True_Love_Never_Breaks,Part_04,5

#True_Love_Never_Breaks,Part_04,5
#Fayeja_Sultana_piu
#Part_04

পিউ নিজেকে শক্ত করল উঠে বাথরুমে গিয়ে মুখে পানি দিল যাতে বুঝা না যায় সে কান্না করেছে।রুমে এসে শুয়ে পরল কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘুমিয়ে পরল।সন্ধ্যায় সাদুর ডাকে ঘুম ভাঙ্গে পিউর।

সাদুঃ কিরে তুই এখানে ঘুমাতে আসছিস নাকি।

পিউঃ আসলে চোখ টা লেগে গেছিল।তো তোদের কি খবর।

সাদুঃ খবর রাখ।উঠ ফ্রেশ হয়ে নে।দেন রেডি হ।

পিউঃ রেডি কেন।

সাদুঃ আরে একটু পর অনুষ্ঠান শুরু হবে। তাই রেডি হবি।

পিউঃ তোরা এনজয় কর।আমার ভাল লাগছেনা।

মিমঃ এ কেমল কথা পিউ।তুই আমার বেস্টু আমার জানু।তুই যদি আমার অনুষ্ঠানে না থাকিস তাহলে অনুষ্ঠান করে কি লাভ।

পিউঃ মিম জানু শুন আমি না থাকলে কিছু হবেনা সোনা।

মিমঃ ওকে তুই যখন যাবিনা কি আর করার।যাই অনুষ্ঠানের আয়োজন অফ করে দিতে বলি।সাদু চল বলে মিম চলে যাচ্ছে।

পিউঃ ঐ কি করতেছিস অফ করে দিবি মানে।দাড়া আমি যাচ্ছি ত।

সাদুঃ সত্যি। তাহলে উঠ রেডি হয়ে নে আমিও রেডি হয়।মনির আমাকে সেজে দেখার জন্য ব্যাকুল হয়ে আছে ।খুশি হয়ে।

মিমঃ ওকে রেডি হ আমার ও রেডি হওয়ার জন্য পার্লার থেকে মেয়ে এসেছে।

পিউঃ ওকে মিম তুই যা আমি রেডি হচ্ছি।
(মিম চলে গেল) পিউ বাথরুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে এসে একটা ব্লো কালার গাউন পরল।বেশি গর্জিয়াস না হালকার মধ্যে অসাধারন সুন্দর গাউনটা।তার সাথে মিলিয়ে হালকা চোখে কাজল ঠোঁটে ডার্ক রেড কালারেট লিপস্টিক আর চুল গুলা অর্ধেক বিনুনি করে একপাশে এনে ছেড়ে দেয়।তাতেই পিউকে অপ্সরী থেকে কম লাগতেছেনা।

সাদুঃ একটা গোলাপি গাউন পরল।ও শাড়ী পরতে চেয়েছিল বাট পিউ বলল গাউন পরতে।সাদুর গায়ের রং উজ্জ্বল ফর্সা।গোলাপি রং টা সাদু কে বেশি সুন্দর লাগতেছে।সাদুর সাজতে অনেক ভাল লাগে সে নিজের মত করে সাজল।দেখতে কোন প্রিন্সেসের থেকে কম দেখাচ্ছেনা।

পিউঃ তুকে দেখে আজ জিজু হার্ট অ্যাটাক করবে আই এম সিউর।

সাদুঃ দেত কি বলিসনা।তোর সামনে তো আমি কিছুনা।আজ তুই চিনতা কর তোর কি হবে।আরিয়ান দেখলে আজ কন্ট্রোল হারিয়ে ফেলবে।না জানি বিয়ের আাগেই ফুলসজ্জা সেরে ফেলে।

পিউঃ চেচচচ কি বলিস এসব দেত তোর মুখে কিছু আটকায়না।আর ও আমার দিকে কেন থাকাবে। ওর তাকানোর মানুষ আছেরে।

সাদুঃ এই সময় ও তুই এসব ভাববি নাকি।

পিউঃ না ভাববনা চল চল নিছে যায়।আমাদের বধু সাহেবার হয়েছে কিনা দেখে আসি।

সাদুঃ হুম চল।তারা মিমের রুমে গেল।মিম কে এখনো সাজাচ্ছে। বিয়ে হলে এমন গর্জিয়াস করে কেন সাজানো হয় পিউ বুঝেনা তার উপর আবার ভারি কাপড় ভারি গহনা বিরক্তি কর ব্যাপার।এই সময় ও পিউর বিরক্ত লাগতেছে মিমের সাজানি দেখে।আর মিমের মুখের দিকে তাকাল সে তৃপ্তি নিয়ে নিজেকে সাজাতে ব্যস্ত। আর বলতেছে যেন বেশি সুন্দর দেখায় যাতে ওরে দেখে মেরাজ মানে ওর উডবি অবাক চোখে তাকিয়ে থাকে।মেয়েরাও তা করতেছে। অনেক্ক্ষণ যাবত সাজানোর পর অবশেষে কম্পিলিট হল বধুর সাজ।সত্যি অসাধারন লাগতেছে।যেন সাক্ষাৎ হুর পরী নেমে এসেছে আসমান থেকে। হয়ত হুর পরীরা এত সাজেনা আর মিম সেজে হুর পরী হয়েছে হিহিহিহি। একটা মেয়ে কে এত সুন্দর করতে পারে সাজের মাধ্যমে পিউর জানা ছিলনা।তবে মেয়ে গুলাদের সেলুট।।জানিনা কত কালো মেয়েদের এভাবে সাজিয়ে পরী করেছে হিহিহি।।মিমকে সাজিয়ে মেয়ে গুলা বের হয়ে গেল।

পিউঃ বাহ তোকে দেখতে যা লাগছেনা আজ মেরাজ পাগল হয়ে যাবে।

সাদুঃ আমি পাগল হয়ে যাব তুক্কো জিজু পাগল হয়ে যাবে আজ জিজু পাগল হয়ে যাবে।

মিমঃ লজ্জা করেনা বুঝি আমার তোরা এমন করে বলতেছিস।সত্যি করে বলনা আমাকে দেখতে কেমন লাগতেছে।সুন্দর লাগতেছেত মেরাজ আমাকে দেখে থমকে যাবেত।আমার দিকে থাকিয়ে তার চোখ দুটো আটকে যাবেত।ভুলে যাবেত সব কিছু থমকে যাবেত পুরো পৃথিবী।।

পিউঃ ওরিব্বাস।আচতে জানু আচতে।প্রথমত তোকে সত্যি অনেক সুন্দর দেখাচ্ছে। আর জিজু তোকে দেখে ফিদা হয়ে যাবে।আর তোর চোখের মায়ায় আটকে থাকবে।

সাদুঃ ঐ ওয়েট।তুই বললি তোকে দেখে সব ভুলে যেতে তা বেবি যাদি তোর দিকে তাকিয়ে বিয়েটায় ভুলে যায় তখন কিন্তু হিতের বিপরীত হবে বেবি।

মিমঃ দুর কি অলক্ষনে কথা বলিস। বিয়ে কেন ভুলবে।এই সাজ যে ওর জন্য তাই একটু এক্সাইটেড হয়ে গেছিলাম।বাই দা ওয়ে তোদের ও কিন্তু কম লাগছেনা।সাদু আজ জিজু নতুন করে আবার বাসর করবে দেখিস আর পিউ মেরি জানু আজ তোর কপালে কি আছ আল্লাহ মালুম তোকে দেখতে যা লাগছেনা আমি সিউর আজ ভাইয়া ভুল কিছু করে ফেলবে।

সাদুঃ ইস কি বলিস আমার ত ওর সামনে যেতেই লজ্জা লাগতেছে।তুরাও না আমাকে লজ্জা দিস শুধু।

মিমঃ ওলে ওলে থাক বাবু আর লজ্জা পেতে হবেনা।

পিউঃ জানিনা সত্যি কি আরিয়ান আমার দিকে তাকাবে।আমাকে দেখে থমকে যাবে ভালবাসা কি আছে ওর মনে আমার জন্য নাকি সব ওদের মনের আজগুবি কথা জানিনা আমি কিছু জানিনা কি হবে কি করব কিছু না কিছু না।

সাদুঃ কিরে পিউ কি ভাবতেছিস।

পিউঃ না কিছু না।এরি মাঝে মিম কে স্টেজে নেওয়ার জন্য খবর পাঠালো।

সাদুঃ ওকে আয় মিমকে নিয়ে যায়।তারপর মিমকে নিয়ে যাওয়া হল।গিয়ে মেরাজের পাশের স্টেজে বসানো হল।বর আর কনের একসাথে মেহেদি হবে এটা নাকি মিমের সপ্ন ছল তাই এই আয়োজন।

আরিয়ান ঐদিকে কাজ করতেছিল হঠাৎ তার চোখ যায় স্টেজের দিকে।আরিয়ান থমকে গেলে সব নিস্তব্ধ হয়ে গেল ওর জীবনে সামনে পিছনে কি হচ্ছে তার বুঝার বাইরে সেত এক ধ্যানে তাকিয়ে আছে তার অপ্সরীর দিকে।অনেক্ক্ষণ ধরে ওর ফোন বাজতেছে বাট আরিয়ানের কোন খবর নাই পাশ থেকে কে যেন ধাক্কা দিল।আরিয়ানের হোস আসল তখন ফোন রিসিভ করল।

আরিয়ানঃ হ্যালো।

ওপাশেঃ,,,,,,,,,,

আরিয়ানঃ বাহ গুড জব।ওকে নিয়ে আয় কাল যেন টাইম মত সমনে পাই।তার আগে খাতির যত্ন কর।

ওপাশেঃ,,,,,,,,,,

আরিয়ানঃ ওকে ওকে পেয়ে যাবি যেটা করতে বললাম ঐটা কর।আরিয়ান ফোন কেটে পিউর দিকে তাকিয়ে বলল আর বেশিক্ষণ নাই জানেমন তোমার ভুল এইবার ভাঙ্গবেই। আর আমি ফিরে পাব আমার প্রান পাখিকে।মুচকি হেসে আরিয়ান আবার কাজে,লেগে গেল।

ঐদিকে মনির ফোনে কি জানি করতেছিল তার চোখ সাদুর দিকে গেল সাথপ সাথে হাত থেকে ফোন পড়ে গেল। সেটা মনিরের হোসে নেই সে তার রাণীর দিকে তাকিশে আছে আর তা দেখে সাদু লজ্জা পেয়ে মুচকি হেসে নিছের দিকে তাকাল।মনির আচতে আচতে সাদুর কাছে গেল।আর কানে কাে বলল আমাকে কি আজ খুন করার প্লেন আছে নাকি জানেমন।

সাদুঃ কি বল এসব তোমাকে কেন মারব আমি হ্যা।

মনিরঃ তা নয়ত কি এই ভাবে সেজে আমার সামনে।আমার যে নিজেকে কন্ট্রোল করা কষ্ট হচ্ছে মন চাচ্ছে এখনি হারিয়ে যায় অচেনা সুখে ডুব দেয় ভালবাসার সাগরে।

সাদুঃ দেত তেমার মুখে কিছু আটকায়না।কেউ শুনলে কি বলবে।

মনিরঃ কে কি বলল তাতে আমার কি।আমি আমার বউকে বলতেছি অন্যের বউ কে ত না।

পিউঃ একদম জিজু।আপনি আপনার বউকে চকলেট বলবেন নাকি আইসক্রিম সেটা আপনার ব্যাপার লোকের কি তাতে।

পিউর কথা শুনে দুজনেই লজ্জা পেয়ে গেল।মনির আমাী ফোন আসছে বলে কেটে পরল ঐখান থেকে।বর সাদু ও আসি বলে চলে গেল।পিউ এতক্ষণ ওদের কান্ড দেখে হাসি আসছিল তবুও চেপে রেখেছিল।ওরা যাওয়ার পর আর আটকাতে পারলনা হেসে দিল।

প্রথমে মেরাজ কে হলুদ লাগানো হল।কিন্তু সবার আগে মেরাজকে মিম আর মিমকে মেরাজ হলুদ লাগালো।এর পর সবাই আচতে আচতে লাগাল।

হঠাৎ মাইক থেকে সাদুর কন্ঠ শুনা গেল সবাই তার দিকে দৃষ্টি দিল।তখন সাদু বলল যা সেটা শুনে পিউর চোখ কপালে।সাদু বলল,,,,

সাদুঃ প্রিয় মেহমান আর বন্ধু বান্ধব গন আর খালা খালু আঙ্কেল আন্টি কাকু কাকি গন।এখন আপনাদের সামনে আমার মিম বেবি কে ডেডিকেট করে আবৃত্তি করবেন আমাদের জানু ফায়েজা সোলতানা পিউ।। সবাই হাত তালি দিল বাট পিউ পিউস হয়ে দাড়িয়ে রইল।ও বুঝতে পারেনি এমন কিছু বলবে সাদু।এভাবে বাশ দিবে।সাদু দাত সব বের করে হেসে পিউ কে উদ্দেশ্য করে বলে প্লিজ কাম পিউ আর আমাদের সুন্দর মন কাড়ানো আবৃত্তি উপহার দিয়ে এই উৎসব টাকে ধন্য কর।
পিউ আর কি বলবে এতজন মানুষের সামনে নাম এনাউন্স হল এখন আবৃত্তি না করলে খারাপ দেখাশ তাই সে আচতে আচতে সাদুর কাছে গেল সাদুর দিকে অগ্নি দৃষ্টিতে তাকালে সে মন ভোলানো হাসি দিয়ে তারাতাড়ি সেখান থেকে কেটে পরল।পিউ আর কি করবে শুরু করল তার আবৃত্তি

সন্ধ্যাবেলার এই মনোমুগ্ধকর পরিবেশে
উপস্থিত সবাই মেতে আছে হৈ-হুল্লোড়ে
সুখ যেন উবছে পরছে সবারি মাঝে
সবাই আপন হাসিতে ব্যস্ত সাঝে।

হলুদের আবরনে রাঙ্গালো আজ তোমায়
শুরু হল মনের মানুষের হাতের ছোয়ায়
ভালবাসা প্রকাশের থকেত অনেক ধরন
প্রেমিক কে করিয়ে দিতে হয়না তা প্রকাশে স্বরন।

অধির অপেক্ষার পর এসেছে সেই দিন
যেটা নিয়ে মনে ছিল হাজারো সপ্ন রঙ্গিন
অবসান হবে আজ দুটি হৃদয়ের আকুতি
ভালবাসা দিয়ে সূচনা করবে নতুন সৃতি।

হাতে রেখে হাত দিও পারি সারা রাত
পেয়ে যাবে তুমি ঝমকালো এক প্রভাত
শুরু হবে নতুন দিন নতুন ভালবাসা
পাশে রবে সে আর ছোয়ে দিবে স্নিগ্ধ হাওয়া।

অবশেষে মিলন হল দুটি হৃদয়ের
বেধে গেল এক সুতাই সারাজীবনের
থাকে যেন ভালবাসা এইভাবে মিশে
জীবন যেন পার হয় তাদের মিষ্টি হেসে।।

চলবে,,,,,,,,,,,,,,

ভুলত্রুটি ক্ষমা করবেন।।

#True_Love_Never_Breaks
#Writer_Fayeja_Sultana_Piu
#Part_05

আবৃত্তি শেষে সবার হাত তালিতে মুখরিত হল সময়ক্ষন।সবাই প্রশংসা করতে লাগল।পিউর এ সবে কোন ধ্যান নাি সে চিন্তাতে,বিভোর তার অতীত নিয়ে।অতীত কতইনা সুন্দর ছিল সেই মুহূর্ত গুলা যখন আরিয়ান প্রপোজ করেছিল

সেইদিন,,,

পিউ,সাদু আর মিম কলেজ শেষে বাড়ি আসার জন্য বের হল তখন আীিয়ান তাদের সামনে গেল।

মিমঃ আরে ভাইয়া তুই।

আরিয়ানঃ হুম আমি।তোকে একটা কথা বলার জন্য এসেছি।

মিমঃ হুম বল কি কথা।

আরিয়ানঃ আমি না একটা নিউ প্ল্যাট কিনেছি ভাবতেছি ঐখানেই থাকব।

মিমঃ হঠাৎ এই সিদ্ধান্ত কেন।

আরিয়ানঃ বুঝিসনা মাত্র বিদেশ থেলে আসলাম কিছুদিন বন্ধুদের সাথে এনজয় করি।আর ঘরে থাকলে সেটা করা হবেনা।আর সেটা তুই আম্মু আর আব্বুকে বুঝাবি।

মিমঃ আমি। আমার কথা ওনারা শুনবে নাকি।

আরিয়ানঃ আমি জানিন তোকে করতেই হবে।

মিমঃ ওকে দেখি কি করা যায়।

আরিয়ানঃ আচ্ছা তোরা যা।

ওরা চলে যাচ্ছে তখন আরিয়ান বলল দাড়া আমার পিউর সাথে একটু কথা ছিল।

মিমঃ পিউর সাথে তোর আবার কিসের কথা।

আরিয়ানঃ আছে কথা তোর এত জানার দরকার নাই তুই যা।

মিমঃ আমাকে বল আমি ও শুনি।

আরিয়ানঃ তোকে যেতে বললাম পরে শুনতে পারবি।

মিমঃ ওকে। মিম আর সাদু চলে গেল।

পিউ বলল জি বলেন ভাইয়া কি বলবেন।

আরিয়ানঃ আগে বল তুমি আমাকে ভাইয়া ডাক কেন হুম।

পিউঃ আপনিত মিমের ভাইয়া।সেই হিসেবে আমার ও ভাইয়া তাইনা।

আরিয়ানঃ এত হিসাব কে করতে বলেছে আমাকে আর ভাইয়া বলবানা।

পিউঃ জি কেন।

আরিয়ানঃ আমি বললাম তাই।বুঝেছ।

পিউঃ জি।
কিছুক্ষণ দুজনেই নিরব।হটাৎ আরিয়ান হাটু গেড়ে বসে পরল পিউর সামনে।

আরিয়ানঃ জানিনা কবে কখন কি করে তোমাতে হারিয়ে গেছি মনে গেতে পেলেছি তোমাকে।এখন আমার প্রটিতি সময় কাটে তোমার কথা ভেবে জানিনা কেন ভাবতে ভাল লাগে তোমার কথা।এর আগে হয়নি কখনো এমন তাই বুঝিনা এর নাম কি দিব শুধু জানি তোমাকে চাই আমি আমার ভাবনাতে আমার বাস্তবে আমার সারা বেলা আমার কল্পনাতে।হবেকি তুমি আমার মনের রাজ্যের রাণী।ভালবাসি তোমায় আমি অনেক ভালবাসি।

পিউ এতক্ষণ আরিয়ানের কথা গুলো শুনে স্তব্ধ হয়ে গেল এত্ত সুন্দর এত্ত আবেগ দিয়ে প্রপোজ করতে পারে কেউ পিউর জানা ছিলনা।হুম আরিয়ান যে ওকে পছন্দ করত সেটা পিউ জানে।আর পিউ ও আরিয়ান কে মনে মনে পছন্দ করে।তাই সে বলল।

পিউঃ আমাকে ভাবতে হবে ভাইয়া।আর

আরিয়ানঃ আর কি বল।

পিউঃ আমার উত্তর হ্যা পেতে হলে আমাকে আবৃত্তি দিয়ে প্রপোজ করতে হবে তাও নিজ থেকে লিখা।

আরিয়ানঃ আবৃত্তি।

পিউঃ হুম আবৃত্তি কি পারবেননা।

আরিয়ানঃ না না পারব।অবশ্যই পারব।

পিউঃ তাহলে অপেক্ষায় থাকব আপনার আবৃত্তির।

আরিয়ানঃ কাল এই সময়ে আমার জন্য ওয়েট কর এই জায়গায়।

পিউঃ ওকে।এখন আসি আল্লাহ হাফেজ।

এই বলে পিউ চলে গেল।

আরিয়ান ও চলে গেল সারা রাত আবৃত্তি নিয়ে চিন্তা

করতে করতে ঘুমিয়ে গেল আরিয়ান।

পরেরদিন একই জায়গায় দাড়াল পিউ ও জানে আরিয়ান আসবেই।

কিছুক্ষণ পর আরিয়ান আসল

ওকে নার্ভাস দেখাচ্ছে অনেক আর তা দেখে পিউ মিটি মিটি হাসতেছে।

আরিয়াম কপালের ঘাম মুছে বলতে লাগল,,,,

❤❤❤

ওগো মায়াবতী রুপকুমারি
তোমার মায়ায় যে আমি হারায় বারে বারে
দয়া হয়না একটু কি এই অধমের প্রতি
ভালবাসা দিয়ে করে দাওনা সপ্ন গুলা সত্যি।।

মনের কথা মুখে নিয়ে দাড়ায় আছি সামনে তোমার
বুঝবে কি তুমি কি চাই এই মন সাড়া দিবে কি সাথে আমার
চঞ্চল মন যে আমার চাই তোমার ছোয়া
জীবনে এটাই যে আমার শুধু পাওয়া।।

গ্রহন কর ও গো রুপবতী রাণী
শুনিয়ে দাও তোমার ঐ মধু কন্ঠে বাণী
তুমি যে আজ ফিরাবেনা আমায় জানি
আমার হৃদয়ের সত্তা জুড়ে রয়েছ শুধু তুমি।।

ওগো মোর প্রিয়তমা মেনে নাও আমার আবেদন
ধন্য কর আমায় গ্রহন কর মোর প্রেম নিবেদন
হারাতে চাই আমি তোমাতে সুখের সাগরে
পার করতে চাই জীবন তোমার আদরে।।

চুপ করে থেকনা জান পাখি
চারিপাশে ভালবাসার ছোয়া খুলে দেখ আখি
হাজারো পাখি গান গেয়ে যায় ভালবাসার
আকাশ বাতাস অধির আগ্রহে আছে তোমার জবার পাওয়ার।

বল প্রিয়া উত্তর দাও আমার ভালবাসার
তৃপ্ত চোখে তাকিয়ে আছি অপেক্ষায় তোমার
ভালবাস কিনা বল প্রিয় তমা আমায়
তুমি হীনা জীবন যেন আধার হয়ে যায় আমার।।

চাই জবাব প্রিয়তমা মায়াবীনি
হবে কি তুমি আমার রাজ্য রাণী
তোমায় বলি বার বার ভালবাসি
প্রিয়া অনেক বেশি ভালবাসি।।❤❤❤

আবৃত্তি শুনে পিউর চোখে পানি চলে আসে।ও ভাবতেই পারেনি এত আবেগ দিয়ে কবিতা লিখবে আরিয়ান ওর কথা যে রাখবে।খুশিতে কথায় বলতে পারছেনা পিউ শুধু মুখে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে আরিয়ানের দিকে তাকিয়ে।আরিয়ান এবার বলল কি উত্তর কু পাবনা আজ।তখন পিউ বলতে লাগল,,,

❤❤❤
গ্রহন করলাম প্রিয় তোমার আবেদন,,
সার্থক করলাম আমি তোমার প্রেম নিবেদন
জানিনা কি আছে তোমার ঐ মুখে
মনে হয় পার করতে পারব জীবন তোমার মুখ দেখে।

অনুভব করিনি কখনো ভালবাসায় যে এত সুখ
আজ পরিপূর্ণ তোমায় পেয়ে পুর্ন আমার বুক
আগলে রাখব তোমায় ভালবাসা দিয়ে জীবনে
ছেড়ে যাবনাকো যত বিপদ আসুক বা মরনে।।

আজ পেলাম আমি নিজের পুর্নতা
স্বাদ গুরহন করলাম ভালবাসা কি তা
প্রেমে পরেছি আমি তোমার সেই কথায়
এখনো সেই শব্দ গোলা কানে বেজে যায়।

আর কিছু বলার নাই প্রিয়তম
বলব শুধু আমার ভালবাসা পাহাড় সম
পারবনা কো থাকতে ছেড়ে তোমাকে কবু
তোমার কোলে মরন দেয় যেন মোরে প্রভু।।❤❤❤

তখনি আরিয়ান পিউর মুখে হাত দিল। এই সব মরনের কথা একদম বলবেনা পিউ।তোমার কিছু হলে আমি বাচবনা কেন বুঝনা।বল আর কোনদিন বলবানা এমন কথা বল।

পিউঃ ওকে বলবনা। এবার হ্যাপি।

আরিয়ানঃ অনেক হ্যাপি।বলে পিউকে বুকে জড়িয়ে নিল।পিউ চোখ বন্ধ করে জড়িয়ে আছে আরিয়ানের বুকে ওর মনে হচ্ছে পৃথিবীর সব সুখ এই বুকে আর কোথায় নাই।এভাবে অনেক্ক্ষণ থাকার পর আরিয়ান বলল পিউ আজ কি এই বুকে থাকার প্লেন করলা নাকি।দুষ্টমি করে।

আরিয়ানের কথায় পিউ লজ্জা পেয়ে উঠে যেতে নিলে আরিয়ান চরও শক্ত করে জড়িয়ে ধরল।একদম না ছাড়বেনা আমাকে।।

পিউঃ আরে সবাই দেখতেছেত ছাড় প্লিজ।

আরিয়ান ও খেয়াল করল অনেকে তাদের দিকে তাকিয়ে আছে তখন সে পিউ কে ছেড়ে দিল।
পিউ লজ্জায় তাকাতে পারছেনা আরিয়ানের দিকে।আরিয়ান হালকা মুখ উপরে তুলে পিউর কপালে একটা ডিপ কিস করল।চল তোমাকে বাড়ি পৌছে দেই।

পিউঃ হুম চল আম্মু চিন্তা করবে আবার।আরিয়ান পিউকে নিয়ে পৌছে দিল।

এইসব ভেবে ছোট্ট একটা নিশ্বাস ফেলে চলে গেল পিউ মিমের রুমে ফ্রেশ হয়ে আবারও হারুয়ে গেল ঘুমের রাজ্যে।।

পরের দিন মিমের বিয়ে।চারিদিকে আওয়াজে পিউর ঘুম ভাঙ্গল।ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখল ১০ টা বাজে।আরে আমি এতক্ষণ ঘোমালাম কেউ ডাকলনা কেন।

সাদুঃ এমনি ডাকিনি।ভেবেছি তুই চিক তাই তোর রেষ্টের প্রয়োজন।এমনিতেই এখন কোন কাজ ছিলনা।এখন উঠছিস।যা ফ্রেশ হয়ে রেড়ি হ।

পিউঃ ওকে যাচ্ছি।।

চলবে,,,,,,,,,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here