True_Love_Never_Breaks,Part_02,3

#True_Love_Never_Breaks,Part_02,3
#writer_Fayeja_Sultana_Piu
#Part_02

Lamisha Iftinan Piu

পিউ ফ্রেশ হশে আসল তখনেই তার রুমে সাদুকে দেখতে পেল।
পিউঃ –আরে তুই কখন আসলি।

সাদুঃ —-এই ত এখন আসলাম।

পিউঃ ——–জিজু কেমন আছে,জিজুকে আনিসনি কেন।
সাদুঃ –তুই জিগ্যেস কর কেমন আছে।

পিউঃ —তার মানে জিজু আসছে কই।

সাদুঃ –নিছে আছে।

পিউঃ —-ওকে যায় আমি কথা বলে আসি।

সাদুঃ —-না আগে রেডি হয়ে নে তারপর।

পিউঃ —–আমি আবার কি রেডি হব।

সাদুঃ —–তুকে রেডি হতে হবেনা আমি করে দিচ্ছি। এই বলে সাদু পিউকে ড্রেসিং টেবিলের সামনে বসাল।ওকে সাজাতে লাগল।
পিউঃ —–সাদু প্লিজ এত কিছু দিসনা আমার ভাল লাগেনা।
সাদুঃ —-আরে বেশি কি দিলাম একটু ত দিলাম।
পিউঃ —হুম।
তার পর সাদু পিউকে সাজাচ্ছে। সাজা হলে সাদু আইনার দিকে তাকিয়ে বলল
সাদুঃ — পিউ আয়নার দিকে তাকা।পিউ তাকাল আয়নার দিকে।
-হালকা সাজে পিউকে যে মারাত্মক সুন্দর লাগতেছে।

সাদুঃ —-ইশশ পিউ দেখ তোকে দেখতে কত্ত কিউট লাগতেছে এক্কেবারে চকলেটের মত ইচ্ছে করে খেয়ে পেলি।
আজ জিজু দেখলে ফিদা হয়ে যাবে।খুশির ঠেলায় সাদু কি বলে ফেলল তার মাথায় আসল।
পিউ জিজু শুনে মন খারাপ হয়ে গেল।তার সাজা নিয়ে অনেক সৃতি চোখের সামনে ভাসতে লাগল।বিশেষ করে আরিয়ান পিউর কাজল মাখা চোখ বেশি পছন্দ করত।আর তাই পিউ রিলেশন ব্রাকআপের পর থেকে আর কাজল পরেনি।কিন্তু আজ সাদু ওকে কাজল দিয়ে দিল।কাজলের দিকে নজর পরতেই কাজল মোচতে চাইলে সাদু হাত ধরে পেলে।
সাদুঃ —ঐ কি করতেছিস আমার এত কষ্ট করে সাজানোটার বার টা বাজাচ্ছিস কেন।
পিউঃ —-কাজল টা মোচে ফেলতেছি।
সাদুঃ —–না মোচবিনা থাক কাজল।
পিউঃ —–সাদু তুই জানিস কাজল কেন পরিনা আমি।সাদুঃ আমিএত কিছু জানিনা আজ থাকবেই।।
পিউঃ —-হুম আচ্ছা। আর কিছু বলল না পিউ।
—-তুকেও অনেক সুন্দর লাগতেছে আজ জিজু তোকে ছাড়বেনা।নতুন করে বাসর সাজাবে।
সাদুঃ —–কি বলিস লজ্জা করেত।
পিউঃ ——ওলে লে লে সাদু বেবি লজ্জা পাচ্ছে।
সাদুঃ —-তুই বুঝি পাসনা মনে নেই ঐদিনের কথা।
পিউঃ —– মনে কেন থাকবেনা ওর প্রতিটি কথা প্রতিটি মুহূর্ত যে আমার হৃদয়ে গাঁতা।

একদিন,,,,,,

আরিয়ানের সাথে দেখা করার কথা ছিল তো পিউ একটা ব্লো কালারের ত্রি পিচ পরে ঠোঠে হালকা পিংক কালারের লিপস্টিক আর চোখে কাজল দিল পিউর সাজা মানে ঐটা ঠোঠে একটু লিপিস্টিক আর চোখে কাজল বেস আর কিছুনা।এতেই মাশাল্লাহ পিউ অনেক কিউট লাগে।পিউ আরিয়ানের সাথে দেখা করতে গেল। আরিয়ান উপস্থিত ছিল সেখানে।আরিয়ান দেখল তার সামনে একটা পরী তুক্কো একটা মেয়ে হেটে আসতেছে এক পলকে তাকিয়ে আছে আরিয়ান। ওর চাহুনি দেখে পিউ লজ্জা পেয়ে চোখ নিছে করে পেলল।লজ্জা মাখা চেহারা সাথে একটু সাজ পিউ কে সাধারণের মাঝে অসাধারণ লাগতেছে।আরিয়ান দীর গতিতে পিউর দিকে আগাচ্ছে। আরিয়ানের আগানো দেখে মাতাল করা চোখ দেখে পিউ ঐ খানেই দাড়িয়ে রইল সরতে পারছেনা ও কেন জানি সরতে ইচ্ছে করতেছে না।একটা ছেলে এত্ত কিউট হয় কেমনে একদম চকলেট বয়।আর আজ পরেছে এ্যাশ কালারের শার্ট ওফফ কি লাগছেনা।আরিয়ান আচতে আচতে পিউর সামনে আসল।পিউর মুখের একপাশে হাত দিল হালকা পু দিয়ে কপালের চুল গুলো উরিয়ে দিল।আরিয়ানের কাজ দেখে ওর ছোয়া পেয়ে পিউ কেপে উঠল।আরিয়ানের গরম নিশ্বাস পেয়ে পিউ চোখ বন্ধ করে ফেলল হাত দুটো উরনাটাকে শক্ত করে ধরল।আরিয়ান তাকিয়ে আছে পিউর দিকে আচতে আচতে পিউর ঠোঠের দিকে আগাচ্ছে মুহুর্তেই পিউ ঠোঠ আরিয়ানের কব্জায় চলে গেল।আরিয়ানের এমন কাজে পিউর চোখ বড় হয়ে গেল।অনেক ছাড়তে চাচ্ছে পিউ বাট আরিয়ান ছাড়ার পাত্র নয়।আর না পেরে পিউ থেমে গেল।এভাবে কতক্ষণ ছিল জানা নাই তবে আরিয়ান ছেড়ে দেওয়ার পর দুজনেই হাঁপাচ্ছে।পিউ লজ্জাই তাকাতে পারতেছে না।আরিয়ান কিস ত করল বাট পারমিশন ছাড়া করেছে ঐটা মাথায় আসতেই পিউকে বলল।সরি জান তোমার পারমিশন না নিয়ে ভুলটা করে ফেলেছি। কি করব বল নিজেকে কন্ট্রোল করে রাখতে পারিনি।এমন কিউট পরীকে দেখে যেই পরীটা শুধু আমার।আরিয়ানের কথার স্টাইল দেখে পিউ আরও লজ্জা পাচ্ছে সেটা দেখে আরিয়ান কথা পাল্টালো।বলল শুধু মিষ্টি খেলো চলবেনা চল কিছু খেয়ে নেয় কোন রেস্তোরেন্টে যায়।আরিয়ানের কথা শুনে পিউর চোখ রসগোল্লার মত করে আরিয়ানের দিকে তাকাল আরিয়ান সেইদিকে খেয়াল না দিয়ে পিউকে একটা রেস্তোরেন্টে নিল।।

সাদুঃ —ঐ পিউ কই হারায় গেলি।ঐ পিউ,,,,পিউ,,,,,।
পিউঃ —-হুম হুম আছি বল।
সাদুঃ কি বলব এতক্ষণ ডাকতেছি সাড়া দিচ্ছিস না।

পিউঃ —-ভাবছিলাম।
সাদুঃ —-কি ভাবছিলি শুনি।
পিউঃ —-আরিয়ানের সাথে কাটানো মুহুর্ত।
সাদুঃ —-পিউ আমি জানি তুই জিজুকে অনেক ভালবাসিস তাই তো আজ এত মাস হওয়ার পরেও তুই ভুলতে পারিস নি।সেই দিন কি হয়েছিল জিজু কেন এমন করল একবার ত জিজু থেকে জিজ্ঞেস করতে পারতি।আমার মনে হয় এখনো সময় আছে তুই ফিরে যা জিজু তোর জন্য এখনো অপেক্ষায় আছে।ওর বিশ্বাস তুই আবার ফিরে যাবি।
পিউঃ —–সেটা আর সম্ভব না।আর ও আমার জন্য বসে নেই কত মেয়ে দেখ ওর জীবনে আসছে বা আসবে।
সাদুঃ —–তোকে বুঝানো যাবেনা রে।অভিমান করে রিলেশন টা শেষ করলি কিন্তু মন থেকে কি মোচে ফেলতে পারছিস নাকি কোনদিন পারবি।
পিউঃ —–ঐ সব রাখ ত চল জিজুর সাথে দেখা করি অনেক দিন হল দেখিনা।
সাদুঃ —হুম এখন ত কথা কাটাবিই ওকে চল আমার আর কিছু বলার নাই।
পিউঃ ——আরে চলত এত কথা বলিস কেন তুই জিজু কে বলতে হবে ইদানিং বেশি পেঁচাল পারতেছিস খাবার কমাই দিতে হবে।

মনিরঃ —-কার খাবার কমায় দিতে হবে সালিকা।মনির মানে সাদুর জামাই বলল।

পিউঃ —–কার আবার আপনার গুণধর বউ য়ের।

মনিরঃ —–ওমা আমার বউটা আবার কি করল।

পিউঃ —-করেছে করেছে অনেক কিছু করেছে।

সাদুঃ —–তা কি করেছি শুনি বল তোর জিজুকে আমি কি কি বললাম।

পিউঃ —-না থাক কিছু বলবনা হাজার হলেও তোরা বউ জামাই।আমার থেকেত ত তোকে জিজু বেশি ভালবাসবে তাইনা চোখ টিপে পিউ।

মনিরঃ —-না সালিকা আমি তোমাকেই বেশি ভালবাসি বউ তউ কে না।

পিউঃ —–তাই নাকি জিজু।

মনিরঃ —–একদম সালিকা।

মাঃ—-হয়েছে হয়েছে এবার বন্ধ কর তোরা। আয় কিছু খেয়ে নিবি।পিউ আয় তুই সকাল থেকে কিছু খাসনি।খাবার কোন নিয়ম নাই ইচ্ছা হলে খাবি না হলে খাবি না।একবার নিজের দিকে তাকা কেমন হয়ে যাচ্ছিস বলল পিউর মা।

পিউঃ —-আরে আম্মু আমি কেমন হচ্ছি দেখ এখন আরও মোটা হয়ে গেছি।এতত কথা বলনাত জিজু আসছে জিজুকে খাবার দাও।
তারা টেবিলে গেল আর খেয়ে নিল।এবার যাওয়ার পালা।

সাদুঃ –আচ্ছা আন্টি আমরা আসি তুমি কখন যাবা।

মাঃ আমি তুদের আঙ্কেল আসুক তারপর যাব।ওকে তাহলে আমরা এখন যায়।হুম যাও সাবধানে যাবা আর আমি পিউর দায়িত্ব কিন্তু তোমাদের দিলাম।

সাদুঃ ——তুমি চিন্তা করনা আন্টি আমরা ওকে দেখে রাখব।

পিউঃ —-আমি ছোট বাচ্চা নাকি যে দেখে রাখবি।

মাঃ—-তুই যে আমার ছোট বাচ্চাই মা।তুই ছাড়া কে আছে বল আমাদের তুকে দেখে দেখেই ত আমাদের জীবন পার করতেছি।

পিউঃ —-আম্মু এখন ইমোশনাল কিছু বলনা ত আমি কিন্তু কান্না করে দিব।

মাঃ—-ওলে লে লে কান্না করতে হবেনা তোরা যা আর সাবধানে থাকিস মা,।

পিউঃ —— ওকে আম্মু।

সাদুঃ ওকে আন্টি।পিউরা মিমের বাসায় চলে গেল,,,।

পিউরা এখন মিমের বাড়ির সামনে পিউ যতই সামনে আগাচ্ছে ততই ওর হার্টবিট ফাস্ট হচ্ছে লাগতেছে যেন কেউ হাতুড়ি দিয়ে পিটাচ্ছে।চারিদিকে এত মানুষ তবু পিউর চোখে মুখে ভয়ের চাপ।কি করে সে আরিয়ানকে পেচ করবে।পারবেকি নিজেকে সামলাতে নাকি ঝাপিয়ে পরবে বুকে।না না এসব কি ভাবতেছি আমি আমাকে পারতেই হবে ওর সামনে আমাকে স্ট্রং হতে হবে ওকে যে এখনো ভালবাসি সেটা প্রকাশ করা যাবেনা এসব ভাবতেছে তখনই মিমের এন্ট্রি।

মিমঃ —-আসছিস তোরা ওলে আমার জানুটা আততে এতত লাপ ইউ জানু।

সাদুঃ —–হ এখন জানুকে লাপ করবি আমি যে এত্ত কষ্ট করে আনলাম আর আমিত কিছু না সাদু বলল।

মিমঃ ——কি বলিস বেবি তুইত আমার রসগোল্লা হিহিহি আই খেয়ে ফেলি আই লাপ ইউ বেবি।

সাদুঃ ——আমিও তোদের দুইজনকে লাপ করি সাদু বলল।

পিউঃ —আর আমিত কাউকে লাপ করিনা বাট এত্ত লাভ করি।হিহিহি তিন জনে হেসে দিয়ে গ্রুপ হাগ করল।

মনির সেটা দেখে একটা তৃপ্তির হাসি দিল।এই বন্ধন যেন চিরদিন এমন থাকে দোয়া করল।অপর দিকে একজোড়া চোখ যে অপলক ভাবে তাকিয়ে আছে সেটা কারো চোখে পরেনি পরবে কি করে ও যে আড়ালে দেখতেছে তার পরী টাকে।অনেক শুকিয়ে গেছে খাওয়া দাওয়া করেনা মনে হয় আজকেত ওকে আমি,, কুল কুল আরিয়ান আগেত ওর ভুলটা ভাং না হলে আরও বেশি খারাপ হবে নিজে নিজে বলতেছে আরিয়ান।।যেই করেই হোক তোমার ভুল ভাঙ্গতে হবে প্রিয়তমা। অপেক্ষা মাত্র তোমাকে আর কেউ আলাদা করতে পারবেনা এই সব বলে আরিয়ান চলে গেল। ওর যে অনেক কাজ একমাত্র বোনের বিয়ে বলে কথা,,দায়িত্ব টা যে তার উপর,,বোনকে যে আজ পরিপূর্ণ করার দায়িত্ব ওর কাধে পরেছে তাই ভালবাসার মানুষ কে পেয়েও সামনে গিয়ে ভুল ভাঙ্গানোর সুযোগ টুকু নাই।তবে যাই হোক না কেন ও ভুলটা ভেঙ্গেই ছাড়বে।আর তা মিমের বিয়ের আগেই।আমাকে যে ঐ মেয়েকে আনতে হবে নইলে আমার পরীটা বিস্বাস করবেনা এই বলে আরিয়ান কাকে যেন ফোন করল আর বলল ঐ মেয়ের খোজ নিতে যেন আজ রাতের মধ্যেই ওর সামনে আনে। ফোন রেখে আরিয়ান আবারও কাজে মত্ত হেয় গেল,,,,,,,,,,,,

চলবে,,,,,,,,,,,,,,,

#True_Love_Never_Breaks
#Writer_Fayeja_Sultana_Piu
#Part_03

Lamisha Iftinan Piu

সবাই ব্যাস্ত যে যার কাজে।বিয়ে বাড়ি মানে হৈ হুল্লোড় করা,ছোট ছোট বাচ্চারা দৌড়িয়ে খেলা করা,কত জনের কাজের তাড়না, আবার হরেক জনের পুরানো বন্ধু পেয়ে আড্ডা মাতানো,,কেউ বা সাজতে মশগুল,,,, এরি মাঝে পিউ শান্ত হয়ে বসে আচে মিমের রুমে।ও চাইনা আরিয়ানের সামনে পরতে।তাই আসার পর থেকেই মিমের রুমে গাপটি মেরে বসে আছে।সবাই এতকরে বলল কিন্তু তার কথা একটা সে বের হবেনা।শেষে না পেরে সাদু আর মিম কাজে লেগে পরল।কি আর করার অনেক কাজ যে পরে আচে।
পিউ বের হতে চায়না বাট কিছুক্ষণ পর পর দরজা দিয়ে উকি ঝুঁকি মারতেছে।কেন সে নিজেও জানেনা হয়ত এক পলক তার রাজকুমার কে দেখতে চাই তার দুই আখি।সব বাধা ত মানানো যায়না মনকে বাধলেও যে চোখ বাধা সম্ভব না।।সেই নয়ন যে শুধু খুজে তার মনের আঙ্গিনায় বাস করা পাখিটাকে।হয়ত মুক্ত করে দিয়েছে খাঁচা থেকে।কিন্তু পারেনিত মুচে পেলতে।
আরিয়ান কারো সাথে কথা বলতে বলতে পিউর দিকে আসছিল।পিউ আরিয়ান কে দেখে এক পলক তাকিয়ে থাকল।আরিয়ান খেয়াল করেনি পিউকে।ওর মনে হল কেউ ওর দিকে তাকিয়ে আছে।যখন তাকাল পিউ আড়াল হয়ে গেল যেটা আরিয়ানের চোখ এডাইনি।মুচকি হেসে পাশের লোকটি কে কাজ বুঝিয়ে দিয়ে পাটিয়ে দিল।আর আচতে আচতে পিউর রুমের দিকে যেতে লাগল আরিয়ান।মনের ভিতর অনেক ভয় আর অনেক আশা নিয়ে।কি বলবে ও পিউ কে কি ভাবে এক্সপ্লেন করবে ও। পিউ কি বুঝবে আরিয়ানের কথা নাকি আবার ভুল বুঝবে এই সব ভাবতে ভাবতে আরিয়ান দরজার সামনে গেল।হালকা দরজা টেলে ভিতরে প্রবেশ করল।তখন পিউ খাটের উপর শুয়ে বই পরতেছে।আরিয়ান কে দেখেও না দেখার বান করে ও বই য়ে তে চোখ আবদ্ধ করে রেখেছে।আরিয়ান হালকা গলা ঝার দিল। পিউ চোখ তুলে তাকাল এমন ভাব করল যেন এখন দেখেছে।

পিউঃআপনি।আপনি এখানে কেন।এই রুমে আাসার সাহস কে দিল আপনাকে।যান না আপনার গার্লফ্রেন্ড এর কাছে। লজ্জা করেনা একটা একাকি মেয়ের রুমে ডুকতে।আমি জানি আপনার চরিত্র টিক নাই তাই বলে নিজের বোনের বিয়েতে কোন সিনক্রিয়েট করবেননা।তাতে আপনার বাড়ির মান সম্মান চলে যেতে পারে।আশা করি বুঝেছেন।আপনি আসতে পারেন আর যান আপনার গফ অপেক্ষা করতেছে।এক শ্বাসে সব বলে দিল পিউ। ও নিজেও বুঝতে পারেনি এত কথা বলে ফেলল কি করে। আর কিছু বলতে যাবে তখনই মুখ থেকে শব্দ বের হচ্ছে না।শুধু আওয়াজ হচ্ছে ওমম ওমম।বের হবেই বা কি করে আরিয়ান যে তার ঠোঠ দ্বয় নিজের আয়ত্তে নিয়ে নিছে।আসলে পিউর কথা শুনে আরিয়ানের রাগ উঠে বিশেষ করে যখন চরিত্র নিয়ে কথা বলল।তাই আর কিছু না ভেবে তার ঠোঠে হামলা করল।
কিছুক্ষণ পর ছেড়ে দিল আর আরিয়ান বলল,

আরিয়ানঃ আর কিছু বলার আছে।বল বল যদি দ্বিতীয় বার পেতে চাও ত বল আমি কেমন কার কাছে যাব কখন কি করব বল বল জান পাখি।

পিউঃ আপনি,, আপনি,,।

আরিয়ানঃ হুম আমি, , আমি,,।কি বল জান পাখি।

পিউঃ চেচচচচচ।লজ্জা করেনা কোন অপরিচিত মেয়েকে কিস করতে আসলেই আপনি একটা চরিত্র হীন।কথাটা অনেক কষ্টে বলল পিউ।কারন এ ছাড়া আর পথ নাই মন কে কন্ট্রোল করার।যদি খারাপ কথা বলে তাহলে আরিয়ান হয়ত চলে যাবে তাই এমন বিহেব।

আরিয়ানঃ আমি চরিত্রহীন সেটা আমি জানি আর চরিত্র হীন শুধু আমার জান পাখির জন্য নট আদার।তুমি যতই হার্ট কথা বলনা কেন তোমাকে ছাড়ছিনা আমি।জানি আমাকে ভুল বুঝে আছ।রেগে আছ আমার উপর কিন্তু ভালবাসাটা এখনও টিক আগের মতই আছে।

পিউঃ হা হা হা।।ভালবাসা কে বলল আমি আপনাকে ভালবাসি।কোন দিন ও না আপনার মত ঠকবাজ দের ভালবাসা যায়না শুধু ঘিন্না করা যায় তাই আই জাস্ট হেট ইউ।বুঝছেন আপনি।আর কি বললেন ভুল বুঝলাম কখনো না আমি নিজের চোখে দেখেছি সো ভুলের প্রশ্নই আসেনা।

আরিয়ানঃ চোখের দেখা সব সত্যি দেখা হয়না পিউ।কখনো কখনো ভুল ও হয়। এর পিছনে অনেক রিজন ও থাকতে পারে।যেটা ঘটনার ভিতরে ডুকলে প্রকাশ পাই।আমাকে ভালবাসনা তাইত।

পিউঃ লাগবেনা আমার সত্যি দেখা যা দেখেছি ঐটাই যথেষ্ট।আর হে আপনাকে আমি ভালবাসিনাাাাাাা।অনেক কষ্টে বলল পিউ।

আরিয়ানঃ সেটা বুকের উপর হাত রেখে বলত তুমি যে আমাকে ভালবাসনা হেট কর।

পিউঃ আপনার কথা শুনতে আমি বাধ্য নয় মিস্টার আরিয়ান আবরার।

আরিয়ানঃ আমার আনসার পেয়ে গেছি আমি পিউ।পেয়ে গেছি।একটু ওয়েট কর আমি সব টিক করে দিব এই বলে আরিয়ান চলে গেল।
আর পিউ ঐখানেই বসে পরল।চোখ দিয়ে অজস্র স্রাবণ অনবরত ঝরতে আছে নিজেকে শেষ করে দিতে ইচ্ছা করতেছে কি করে পারল সে তার মনের মানুষ কে এমন কথা বলতে।ও ভাবতেই পারতেছেবা এসব কথা ওর মুখ দিয়ে বের হয়েছে।আনমনে বলতে লাগল পিউ,,,,

মুখে বলা যায় হাজারো কথা
লুকানো যায়না মনেরি আকুলতা
প্রকাশ করা যায়না সেই ব্যেথা
জানি ভুঝবে ভুল আমায়
যাবে দুরে চলে অনেক দুরে
পারবনা দিতে পথ একসাথে পারি
তবুও মন মানেনা কেন বুঝেনা কেন
জান পাখি টা যে এখন অন্যের খাঁচায় বন্দি
জানি আসবেনা ফিরে কখনো আমার নীড়ে
হারিয়ে গেছি আমি হাজার লোকের ভীড়ে
আমার দুনিয়ায় আছে শুধু তোমারি বসবাস
পারবেনা কেউ করতে সেই স্থানে আবাস,
জানি পাবনা তোমায় হবনা কখনো এক
তবু ও মন যে চাই তোকে প্রটিতি পদক্ষেপ
আপসোস নাই পাবনা তোকে সেটা নিয়ে
কষ্ট ত আমার জীবনে এসেছে চির আপন হয়ে
শুধু জানার ইচ্ছা ছিল দোষ কি ছিল আমার
কেন যে অপমানিত হল আমার পবিত্র ভালবাসার।

আরিয়ান যায়নি ও দরজার ওপাশে ছিল আর এতক্ষণ যাবত পিউর কথা বা কবিতা শুনছিল।আমি তোমার সব ভুলের অবসান করব পিউ।পারছিনা তোমার এই কষ্ট সহ্য করতে আর নিজের কষ্ট পোষতে।আর বেশি সময় নেই পিউ।কাদতে হবেনা বেশিক্ষণ। শুধু ওকে পেয়ে যায় সব ক্লিয়ার হয়ে যাবে ঐদিন কি হয়েছিল আর কি ছিল তখন তোমার চোখের দেখাতে।পারছিনা আর সহ্য করতে চোখের সামনে পেয়েও তোমাকে চুতে না পারা কথা বলতে না পারা টা যে কতটা কষ্টের সেটা একমাত্র আমি বুঝি।না আর না আমাকে যত তাড়াতাড়ি ওকে খুজে বের করতেই হবে।পকেট থেকে ফোন বের করে সেই নাম্বারে কল দিল।
আরিয়ানঃ কিরে কাজের খবর কি।পেয়েছিস ওকে।
ওপাশেঃ হুম পেয়ে যাব খবর পেয়েছি ও এখন ঢাকা।আর তাই আমরা যাচ্ছি ঢাকায় ওকে আনার জন্য।

আরিয়ানঃ হুম যা মিমের বিয়ের আগে যেন আমি ওকে চট্টগ্রামে আমার সামনে দেখতে পাই।গট ইট।

ওপাশেঃ হুম পাবে।তাহলে রাখছি।
আরিয়ানঃ হুম।কল কেটে দিয়ে একপলক পিউর দিকে তাকিয়ে একটা নিশ্বাস পেলে চলে গেল।

চলবে,,,,,,,,,,,,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here