Mr_innocent,Part_10,11

Mr_innocent,Part_10,11
You_are_my_love_addiction
written_by_ #আশফিয়া_নুর_আরুশি
Part_10

-“মিশমি,,, ইশিতা তোমরা এখানে।”(আয়াশ)

ধ্রুব রিসাদ পেছনে তাকিয়ে দেখে ইশিতা অবাক দৃষ্টিতে ওদের দিকে তাকিয়ে আছে।

-“ইশি তুমি এখানে?”(ধ্রুব)

-“এসবের মানে কি ধ্রুব?”(ইশিতা)

-“তুমি এখনে বসো আজ তেোমাকে সব বলবো।”
ইশিতার হাত ধরে বসিয়ে বললো।

Flashback

★১৫ বছর আগে
আয়াশ, রিসাদ, আদ্রিয়ান, ধ্রুব আর আরুশির বাবা বিজনেসের কাজে সাত দিনের জন্য সাজেক যাবেন। তাই ওরা সবাই ভাবলেন পরিবারকে নিয়ে আসলে কাজও হবে ঘুরাঘুরিও হবে আর সবাই মজাও করতে পারবে।তাই সবাইকে সাথে করে নিয়ে আসেন।আয়াশ, ধ্রুব, রিসাদের বাবা দরকারি কাজ থাকায় ওদের ফ্লাইট মিস হয়ে যায় তাই আদ্রিয়ান আর আরুশির বাবা সবাই কে নিয়ে আগেই চলে আসে।

-” আরুশি মামুনি দাড়াও পড়ে যাবে তো। ”
আরুশির বাবা বললো।

-“আঙ্কেল তুমি বাসা যাও আমরা কাপকেককে দেখে রাখবো।”(আদ্রিয়ান)

-” আচ্ছা কিন্তু তাড়াতাড়ি চলে আসবি কিন্তু।”(আরুশির বাবা)

-” ওকে আঙ্কেল।”
আদ্রিয়ান,রিসাদ,আয়াশ&ধ্রুব একসাথে বললো।

আজিম সাহেব চলে গেলেন।

-” আদ্রি ভাইয়া দেখো ওখানটা কতো সুন্দল।আমি যাবে ওখানে নিয়ে যাবে পিলিজ “(আরুশি)

-” না কাপকেক আঙ্কেল, মামুনি, ডেড, মম, আন্টি কেউ নেই তাই সেখানে একদম যাওয়া যাবে না।”(আদ্রিয়ান)

-” না আমি যাবো আমাকে নিয়ে চলো।”(আরুশি)

-” না কিউটিপাই আমরা তোমাকে কাল নিয়ে যাবো।”( রিসাদ)

-” না না।”(আরুশি)

-” বারবিডল তুমি এখন আমাদের কথা শুনলে আমরা তোমাকে অনেক চকলেট আইসক্রিম দিব”(আয়াশ)

-” সত্যি আয়ু ভাইয়া। “(আরুশি)

-” হুম ব্লাকরোজ আয়াশ ভাইয়া সত্যি বলছে তুমি যদি জিদ না করো তাহলে আমরা সবাই তোমাকে চকলেট দিব।”(ধ্রুব)

-“ইয়েয়য় কি মজা আমি চকলেট খাবো। “(আরুশি)

-” হুম এখন চলো আমরা বাসায় যাব।”(আদ্রিয়ান)

-” আমি তোমাদের সবার আগে যাবো তোমার আমাকে ধরতে পারবে না ”
বলেই আরুশি দৌড় দিল।

যেহেতু আরুশি রাস্তা চিনত তাই কেউ আর ওর পিছনে যায় নি আস্তে আস্তে গল্প করতে করতে যাচ্ছিল।

আরুশি দৌড়ে কটেজে এসে পড়ে। কিন্তু এসে দেখে ওর মম, ডেড, মামুনি সবাই রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে আছে আর আরকামের হাতে রক্তে মাখা ছুরি। আকরাম পেছনে তাকিয়ে দেখে আরুশি দাড়িয়ে আছে। আরুশিকে দেখে আকরাম ভয় পেয়ে যায় কিন্তু আকরাম বুদ্ধি খাটিয়ে নিজের দোষ আদ্রিয়ানের বাবা আরহান সাহেবের উপর দিয়ে দেয় আর বলে,
-” আরুশি তোমার মিম্মাই তোমার মিম্মি,মম আর ডেডকে এই যে এটা দিয়ে মেরে ফেলেছি।”
ছুরি দেখিয়ে বললো আকরাম সাহেব।

-” মামাইপাখি ও মরেছে আমি মারি নি তুমি বিশ্বাস করো। তুমিই বলো তোমার মিম্মাই কি কাউকে মারতে পারে।”
অজান্তার কাছে আগাতে আগাতে বললো আরহান সাহেব।

-“না না তুমি পঁতা। তুমি পঁতা। তেমার সাথে আলি কথা বলব না। ”

আরুশি ছোট থাকায় তেমন কিছু বুজতে পারেনি কিন্তু আরহানে গায়ে রক্ত থাকায় ভয় পেয়ে যায় আর আরহানকে আগাতে দেখে আরুশি আরো ভয় পেয়ে যায় আর দৌড় দেয়।

-” মামাইপাখি যেয়ো না আমার কাছে আসেো।” (আরহান)

আরুশিকে দৌড়াতে দেখে আরহানও ওর দৌড় দিয়ে বাইরে চলে যায়।

অন্যদিকে আদ্রিয়ান, আয়াশ, রিসাদ, আর ধ্রুব ওরা বাহিরে দাড়িয়ে গল্প করছিলো। আরুশি আর আরহানকে দৌড়তে দেখে ওরাও ওদের পিছেনে দৌড়ে যায়।

আরুশি দৌড়াতে দৌড়াতে পাহাড়ের কোনায় চলে আসে। রাস্তা শেষ হয়ে যাওয়ায় আরুশি পছনে ঘুরে দেখে আরহানও ওর পেছনে

-” মামাইপাখি আমার কাছে আসে না হলে তুমি পড়ে যাবে।”
সামনে আগাতে আগাতে বললো আরহান।

আরহানকে সামনে আগাতে দেখে আরুশি পিছিয়ে যেতে থাকে আর পড়ে যেতে ধরলে আরহান দৌড়ে গিয়ে ওকে ধরতে যায় কিন্তু পারে না

-” মামাইপাখিখ।”
জোরে চিৎকার করে বললো আরহান।

-” কাপকেককককক!” (আদ্রিয়ান)

আদ্রিয়ানের চিৎকার শুনে আরহান পেছনে তাকিয়ে দেখে আদ্রিয়ান দাঁড়িয়ে আছে আর আয়াশ, রিসাদ আর ধ্রুব দৌড়ে ওদের কাছেই আসছে।

-” ডেড তুমি আমার কাপকেককে ফেলে দিলে কেন? “(আদ্রিয়ান)

-” বিশ্বাস কর বাবাই আমি ওকে ফেলি নি আমি তো ওকে বাঁচাতে গিয়েছিলা কিন্তু মামাইপাখি পড়ে গেলো আমি বাঁচাতে পারলাম না।”
বলেই হাঁটু গেড়ে বসে পড়লো আরহান সাহেব।

-” না না তুমি আমার কাপকেককপ ধাক্কা দিয়েছো আমি দেখেছি।”(আদ্রিয়ান)

তখনই আয়াশ, রিসাদ আর ধ্রুব এসে বলল,

-” কি হয়েছে আঙ্কেল।”(আয়াশ)

-” আঙ্কেল ব্লাকরেজ কোথায় ও তো তোমার সাথেই ছিলো।”(ধ্রুব)”

-” আঙ্কেল তোমার গায়ে রক্ত কেন?”(রিসাদ)

আরহান সবার প্রশ্ন শুনে জোরে চিৎকার করে কাঁদতে লাগে।

-” তুমি খুব পঁচা ডেড খুব পঁচা। তোমার সাথে আমি আর কখনো কথা বলব না। প্লিজ ডেড আমার কাপকেককে এনে দেও প্লিজ। ”
বলেই আদ্রিয়ান দৌড়ে কটেজের দিকে চলে যায়।

আদ্রিয়ানকে চলে যেতে দেখে বাকি রাও চলে যায় কিন্তু আরহান ওখানেই বসে কাঁদতে থাকে।

হঠাৎ কেউ পেছন থেকে এসে আরহানের মাথায় ভারি কিছু দিয়ে জোরে আঘাত করে আর আরহান অজ্ঞান হয়ে যায়।

-” এটাকে এখান থেকে নি যা আর যত্ন করিস যাতে মরে না যায়।”

-“ওকে বস”

আদ্রিয়ান, রিসাদ, ধ্রুব আর আয়াশ কটেজে এসে দেখে ওখানে অনেক পুলিশ। আূদ্রিয়ানের মম আর আরুশির মম ডেড মাটিতে পড়ে আছে।
রিসাদ আর ধ্রুব বাবা পুলিশের সাথে কথা বলছে আর আয়াশের বাবা পরিস্থিতি ঠিক রাখার চেষ্টা করছে।

-” আঙ্কেল মমের কি হয়েছে?”(আদ্রিয়ান)

-” কিছু হয়নি বাবা তোমরা সবাই ঘরে যাও। (আয়াশের বাবা)

তখনি হঠাৎ একটা বাচ্চার কান্নার আওয়াজ শুনতে পেয়ে বাচ্চাটার কাছে ছুটে গিয়ে আদ্রিয়ান বাচ্চাটাকে কোলে নেয়

-” কি হয়েছে আমার প্রিন্সেসটার কান্না করে না আজু মম দেখলে কিন্তু অনেক বকা দিবে।”(আদ্রিয়ান)

-“আদ্রিয়ান আজমিরাকে তোমার আন্টির কাছে দিয়ে আমার কাছে আসো তোমাকে কিছু বলব।”(রিসাদের বাবা)

-” ওকে কি এখনই এসব বলার দরকার আছে।”(ধ্রুবর বাবা)

-“হ্যাঁ দরকার আছে। ওর জানাটা দরকার।”(আয়াশের বাবা)

-” আচ্ছা আপনারা যা ভালো মনে করেন।আদ্রিয়ান আজমিরাকে আমার কাছে দাও। “(ধ্রুবর বাবা)

আদ্রিয়ান আজমিরাকে ধ্রুবর বাবার কাছে দিয়ে দেয় আর আয়াশের বাবার কাছে যায় আর যা শোনে তা শোনার জন্য ও একদমই প্রস্তুত ছিলো না।

-“আদ্রিয়ান আমি যা বলব তা মন দিয়ে শুনবে কান্না করবে না।”(আয়াশের বাবা)

-” ওকে।”(আদ্রিয়ান)

-” আদ্রিয়ান তোমার মম, মামাই আর মামুনি ওরা কেউ বেঁচে নেই। “(আয়াশের বাবা)

আয়াশের বাবার কথা শুনে আদ্রিয়ান সেন্সলেস হয়ে যায়।আদ্রিয়ান পড়ে যেতে ধরলে আয়াশ ওকে ধরে ফেলে।

-” কি হয়েছে আদ্রিয়ানের বাবা।”(আয়াশ)

-” আয়াশ আদ্রিয়ান একটু অসুস্থ ওর বিশ্রামের প্রয়োজন। আর আরুশিকে তে দেখছি না ও কোথায়। “(আয়াশের বাবা)

-“আঙ্কেল আরুশি পাহাড় থেকে পড়ে গিয়েছে।”(ধ্রুব)

-” ও পড়ে গেলো আর তুমি আমাদের এখন বলছো। “(ধ্রুবর বাবা)

-” সরি ডেডি।”(ধ্রুব)

রিসাদের বাবা এখন কথা না বাড়িয়ে আরুশিকে খুঁজে বের করতে হবে।

আয়াশের বাবা আরুশিকে খোঁজার জন্য পুলিশ পাঠিয়ে দিলো।

_________________
৭ দিন পর

এখন আদ্রিয়ান কিছুটা সুস্থ কিন্তু কারোর সাথে তেমন কথা বলে না, খাবার খায় না। আয়াশ, রিসাদ আর ধ্রুব মিলে জোর করে খাওয়ায়। হঠাৎ বাসার কলিংবের বাজতে কাজের বুয়া গিয়ে দরজা খুলে দেখে পুলিশ এসেছে

-” সাহেব বারিত পুলিশ আইছে।”(কাজের বুয়া)

-” আরুশির কোনো খবর পাওয়া গিয়েছে।”(আয়াশের বাবা)

-” নো আমরা অনেক খুঁজেছি কিন্তু কাউকেই পাইনি।হয়তো জন্তুজানোয়ার খেয়ে ফেলেছে।”(পুলিশ)

-” আপনার হয়তো দিয়ে কিছুই যায় আসবে না অফিসার আপনি যেতে পারে এখন।(আয়াশের বাবা)

পুলিশ কোনো কথা না বলে চলে গেলো

আয়াশের বাবা পরের দিনই আদ্রিয়ান,আয়াশ, ধ্রুব আর রিসাদকে লন্ডন পাঠিয়ে দিলো আজমিরা ছোট থাকায় ওকে নিজের কাছেই রেখে দিলো।

___________
বতর্মান
-” আমরা লন্ডনে চলে যাই ওখানে গিয়ে আদ্রিয়ানের মনও একটু একটু করে ভালো হতে থাকে কিন্তু আরুশিকে ও ভুলতে পারে না। আমি, রিসাদ, আয়াশ সবসময় ওকে আনন্দে রাখার চেষ্টা করতাম। সারাদিন হাসিখুশি থাকলেও রাতে আন্টি আর আরুশির জন্য কান্না করতো।এভাবে দিন চলতে থাকলো আদ্রিয়ানের মধ্যে রাগ বাড়তে থাকলো আংকেলের প্রতি…….”(ধ্রুব)
To be continue

#Mr_innocent
#You_are_my_love_addiction
#Writer_ #আশফিয়া_নুর_আরুশি
#Part_11

-“এভাবে দিন চলতে থাকলো আদ্রিয়ানের রাগ বাড়তে থাকলো আংকেলের প্রতি।”

-“তুমি কিভাবে জানলে যে আমার আরুশিই তোমাদের আরুশি?”(ইশিতা)

-“আরুশিকে ধ্রুব চিনবে না তো কে চিনবে।আরুশি তো ধ্রুব ভাইয়া বলতে পাগল ছিল। এই নিয়ে একবার আদ্রিয়ান অনেক রাগ করেছিলও। পরে বুঝতে পারে যে ধ্রুব আরুশিকে নিজের বোনের মতো দেখে।কিন্তু তুমি জানলে কিভাবে যে ওর নাম আরুশি?”(আয়াশ)

-” তোদের মনে আছে আমি সাতদিনের জন্য বিডিতে এসেছিলাম।”(ধ্রুব)

-” হুম আমার মনে আছে আন্টি অসুস্থ ছিল তাই তুই বিডি আসছিলি।”(রিসাদ)

-” ঠিক কিন্তু তখন মাম্মমি অসুস্থ ছিল না আমি তখন আরুশির খোঁজ পাই তাই চলে আসি। ডেড বলেছিলে ওর কিছুই মনে নেই।আমি বিডিতে এসে আগে বাসায় যাই আর ডেডিকে বলে পার্টি এরেন্জ করতে বলি। ডেডি আমার কথা মতোই পার্টি এরেন্জ করে আর ইশিতার ফ্যামিলিকে আসতে বলে।ওখানেই আমার ইশিতা আর আরুশির সাথে বন্ধুত্ব হয়। এভাবেই আমাদের বন্ধুত্ব বাড়তে থাকে আমরা একে অপরের সাথে মিশে যাই। একদিন ওদের বাসায় গিয়ে দেখি ইশিতা আরুশিকে বন্ধু বন্ধু করে ডাকছে তা দেখে আমার মাথায় একটা বুদ্ধি আসে। আমি ইশিতাকে বলি আরুশির একটা নাম রাখতে ইশিতা নাম খুঁজে না পাওয়াই আমাকে নাম রাখতে বলে আর আমি আরুশির নাম আরুশি বলে দেই এতে কেউ বুঝতে পারে না যে আমি ওকে চিনি। কিন্তু সমস্যা হয় সেইদিন যেদিন আমি চলে আসবো। তাই আমি আসার একদিন আগেই ইশিতার বাবা আর ইশান ভাইকে সব বলে দেই যেন ওরা সবসময় আমাকে আরুশির খবর দিতে পারে।

-“তোর বুদ্ধি কবে হইলো দোস্ত?” (আয়াশ)

-” তোদের মতো কিছু অকর্মা বুদ্ধিহীন দোস্ত থাকলে নিজের মাথায় কিছু বুদ্ধি রাখতে হয় বুঝলি বলদা। “(ধ্রুব)

-” তুই কিন্তু ইনডাইরেক্টলি আমাদের অপমান করতাছোস।”(রিসাদ)

-” হো।”(আয়াশ)

-” আমি ইন্ডাইরেক্টলি না ডাইরেক্টলিই অপমান করছি তোদের হুহহ।”(ধ্রুব)

-” তোরে তো দেইখ নিমু।” (আয়াশ)

-” দেখ তোরে কেউ না করছে আমি তো তোর সামনেই আছি।”( ধ্রুব)

-” আব্বে….”(রিসাদ)

-” আচ্ছা দেখা দেখি পরে হবে আগে কিছু খেয়ে নেও। ”
ইশিতা নিজেকে স্বাভাবিক রেখে বললো।

-” হুমম চলে আমার পেটের ইঁদুর বিড়াল ছোটাছোটি করছে।”(আয়াশ)

-” আমারও।”(রিসাদ)

-” মিশু ওদের দে তো।”(ইশিতা)

-” এই নেও তোমাদের খাবার।”
খাবার রিসাদ আর আয়াশের সামনে এগিয়ে দিয়ে বললো।

-” তুমি খেয়েছো?”
মিশমির দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করলো আয়াশ।

-” তুমি। ”
ব্যাংঙ্গ করে বললো ধ্রুব।

-” আরে তোমরা হবে মুখ ফসকে তুমি বাহির হয়ে পরছে।”
কেবলা হাসি দিয়ে বললো ধ্রুব।

-“বুঝি বুঝি আমরা সব বুঝি।”
রিসাদ দাঁত কেলিয়ে বললো

-” কচু বুঝস।”(আয়াশ)

-” আজমিরা কোথায়?”(ইশিতা)

-” মিরা বাসায় চলে গেছে ওর কলেজ কাল পরিক্ষা আছে।”(রিসাদ)

হঠাৎ আদ্রিয়ানের চেঁচামিচি আওয়াজ শুনলো অবাক হলো সবাই।

আদ্রিয়ানের চেঁচামিচি আওয়াজ পেয়ে সবাই কেবিনে ডুকে দেখে আদ্রিয়ান
আরুশি আরুশি করে উত্তেজিত হয়ে উঠেছে।

-” আদ্রিয়ান তুই উত্তেজিত হচ্ছিস কেন আরুশি ঠিক আছে তো।”(ধ্রুব)

-” আমি ওর কাছে যাব। “(আদ্রিয়ান)

বলেই আদ্রিয়ান হাতে ক্যানেলা খুলে ফেললো।

-” তুই এসব কি করছিস আদ্রি বারবিডল ঠিক আছে।”(আয়াশ)

-” না আমি তাও আরুশির কাছে যাব। প্লিজ আমাকে নিয়ে যা।”(আদ্রিয়ান)

-” আচ্ছা চলুন আমি আপনাকে নিয়ে যাচ্ছি ভাইয়া।”(ইশিতা)

-” ধন্যবাদ ইশিতা।”(আদ্রিয়ান)

ইশিতা আদ্রিয়ানকে আরুশির কেবিনে নিয়ে গেলে।

আরুশির কেবিনে গিয়ে দেখে আরুশি ঘুমিয়ে আছে।

আদ্রিয়ান আরুশিরর পাশে গিয়ে চেয়ার টেনে বসে পড়লো।

আরুশির হাতে পানীয় কিছু অনুভব করলো। চোখ খুলে দেখে আদ্রিয়ান মাথা নিচু করে বসে আছে _____

-” স্যার আপনি এখানে।”(আদ্রিয়ান)

আরুশিরর আওয়াজ শুনে আদ্রিয়ান তাড়াতাড়ি মাথা তুলে মুখ ফিরিয়ে নিলো আর চোখের জল মুছে নিলো।

আদ্রিয়ানকে মুখ ফিরিয়ে নিতে দেখে আরুশি জিজ্ঞেস করলো,
-” স্যার আপনি কাঁদচ্ছেন?”

-” কই না তো কাঁদবো কেন।”

-” আমি জানি আপনি কাঁদছিলেন।”

-” আচ্ছা এসব বাদ দাও বল তোমার শরীর কেমন আছে এখন? ”

-” ভালো। ”
মুচকি হেসে জবাব দিলো আরুশি।
-” আপনি তখন সেন্সলেস হয়ে গেলেন কেন স্যার?”
আদ্রিয়ানকে প্রশ্ন করলো।

-” না আসলে মানে ইয়ে….”

-” হইছে হইছে আর তোতলাইতে হবে না যান গিয়ে খেয়ে আসেন আর আমাকেও খেতে দেন। ক্ষুধায় পেট চু চু করছে। ইশু বেবি তুই কই?”
চিল্লিয়ে ডাক দিলো ইশুকে।

আরুশির চিৎকার শুনে সবাই কেবিনে ডুকলো,

-” কি হয়েছে চিল্লাস কেন?”(ইশিতা)

-” আমার ক্ষুধা লাগছে।”
মুখ কাচুমাচু করে বললো আরুশি।

-” ওরে আমার ছোট্ট খুকিটা পাঁচ মিনিট তোর প্রিয় বিরিয়ানি নিয়ে আসচ্ছি?”(ইশিতা)

-” তাড়াতাড়ি।”

-” আমাকে দিবে না ব্লাকরোজ?”(ধ্রুব)

-” হুম আমি আর তুমি খাব আর কাউকেই দিব না।”
দাঁত কেলিয়ে বললো আরুশি।

-“আমরাও খাবো।”
ঠোঁট উল্টিয়ে বললো আয়াশ, রিসাদ ও আদ্রিয়ান।

-” না আমি আর ধ্রুব ভাইয়া খাবো।”(আরুশি)

-” আচ্ছা সবাই খাবো।মিশমি চল।”(ইশিতা)

ইশিতা আর মিশমি গিয়ে বিরিয়ানি আনলো আর সবাই মজা করে খেলো।তারপর ডক্টর আদ্রিয়ান আর আরুশিকে চেক করে গেলো___

-” ডক্টর আমরা কি আজ আরুশিকে বাড়ি নিয়ে যেতে পারবো??”(আদ্রিয়ান)

-“হুম পারবেন কিন্তু ওনাকে এক সপ্তাহ বেড রেস্ট করতে হবে।”(ডক্টর)

-” ওকে ডক্টর। ”

ডক্টর চলে গেলো। সবাই কিছুক্ষণ আড্ডা দিয়ে আরুশিকে নিয়ে চলে গেলো।

আরুশি ইশিতা আর ধ্রুব একসাথে গেলো।

আদ্রিয়ান আর আয়াশ রিসাদ আর মিশমিকে ওদের বাড়ি নামিয়ে দিয়ে চৌধুরি মেনশন চলে গেলো।

বাড়িতে এসে সবাই যার যার রুমে ঘুমিয়ে পরলো কিন্তু শুধু আরুশি ঘুমালো না। ও ওর ঘরে এসে ভাবতে লাগলো
-“স্যার আমার জন্য এতো টেনশন করছিল কেন? আর স্যার কান্না করছিলো কিন্তু কেন? আর স্যারের কান্না দেখে আমার এতো কষ্ট হচ্ছিল কেন?”

আরুশি মনে হাজারো প্রশ্ন নিয়ে ঘুমের রাজ্যে তলিয়ে গেলো।

___________
সকাল বেলায়
চৌধুরি মেনশনে

আদ্রিয়ান ঘুম থেকে উঠেই আরুশিকে ফোন দিলো আর ফোন দিয়ে যা শুনলো তাতে আদ্রিয়ানের বেহুস হওয়ার মতো অবস্থা,

ফোনের আওয়াজ শুনে,

-” ওই সুইট কিউটি প্লিজ ভ্যা ভ্যা করিস না আমি ঘুমাবো।”

আওয়াজ বন্ধ না হওয়া আরুশি বিরক্তি নিয়ে ফোন ধরে বললো___

-” ওই আক্কেল ছাড়া বিয়াক্কেল তোর কি খায়ে দায়ে কাম নাই সকাল সকাল আমার ঘুমের তেরোটা বাজাইতাছোস। উগান্ডার হাত্তি, বুদ্ধি ছাড়া মানুষ , কানকাটা এনাকন্ডা , হলুদ তেলাপোকা, বিরিয়ানির আলুবোখরা, আমার মতো মাছুম বাচ্চার ঘুম তুই হারাম করছোস তোর বিয়ে হবো না আর হইলেও উগান্ডার শাকচুন্নির সাথে হবো,,সালি।”

-” হেই সাট আপ অপরিচিত লোক ফোন দিলে কি তাদের সাথেও এভাবে কথা বলল আর এসব শিখলে কার কাছ থেকে হুমমম।” রেগে বললো আদ্রিয়ান।

-” সসসস্যার আপনি।”
শুকনো ডুক গিলে বললো আরুশি

– “হ্যাঁ আমি। কেন অন্য কেউ ফোন দেওয়ার কথা ছিল নাকি। ”

-“না না কে ফোন দিতে যাবে।”

-” যাইহোক তোমার শরীর কেমন আছে ঘুম হয়েছে ভালো মতো?”

-“ঘুম আর হইলো কই আপনিই তো ঘুমাইতে দিলেন না লেজকাটা হনুমান।”(মনে মনে)

-” তুমি আমাকে লেজ কাটা হনুমান ডাকলে কেন? ”

-” কককই না তততো।”

-” আজকে তোমার পান্সিমেন্ট আছে।”

-“হিহি আমাকে তো ডক্টর সাতদিন বেড রেস্ট করতে বলেছে আমি তো অফিস যাবো না। আপনি কি আমাকে স্বপ্নে পান্সিমেন্ট দিবেন নাকি__??”

-” তুমি না আসতে পারো আমি তো আসতে পারবো।”
ডেভিল স্মাইল দিয়ে বললো আদ্রিয়ান

-” আম্মিমম নাহহহহহ স্যার আর করবো না সরি সরি।
কাঁদো কাঁদো ফেস করে বললো আরুশি

To be continue

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here