Mr_innocent,Part_12,13

Mr_innocent,Part_12,13
You_are_my_love_addiction
written_by_আশফিয়া_নুর_আরুশি
Part_12

-” আম্মিমম নাহহহহহ স্যার আর করবো না সরি সরি।” কাঁদো কাঁদো ফেস করে বললো আরুশি।

-“তোমার পানিসমেন্ট তো ঠিক হয়েগিয়েছে সো বি রেডি কাপকেক।”

বলেই আদ্রিয়ান ফোন কেটে দিলো।

-” কেন যে ফোনটা না দেখে ধরলাম ওহহহ মাই আল্লাহ এবার আমায় কে বাঁচাবে এ্যা এ্যা। ”

আদ্রিয়ান অফিসে চলে আসলো। এসেই কেবিনে ডুকে পরলো।

আরুশিকে ভয় দেখিয়ে আদ্রিয়ান হাসছে

-“তুমি ঠিক ছোট বেলার মতোই আছো একদম বদলাও নি।” মুচকি হেসে নিজে নিজে বললো আদ্রিয়ান

-“কিন্তু তোমার ওই আজগুবি বকা শুনলে যে আমার মাথার ফিউজ উড়ে যায় বিয়ের পর সহ্য করব কিভাবে। এই তো ওর আজগুবি বকা দিয়ে বিয়ের আগেই আমাকে পাগল বানিয়ে পাবনার পাগলা গারদে পাঠায় দিবে।”
ভেবেই ডুক গিললো আদ্রিয়ান।

রিসাদ কিছু কথা বলার জন্য আদ্রিয়ানের কেবিনে এসেছিলো। কেবিনে এসে আদ্রিয়ানের মুখে এসব শুনে ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যায় আর জোরে হেসে দেয়।

কারো হাসির আওয়াজ শুনে আদ্রিয়ান সামনে তাকিয়ে দেখে রিসাদ হাসছে।

-” ওই হাসতাছোস কেন তুই আমি আছি আমার জ্বালায় আর তুই হাসতাছোস। তুই কি বুঝবি আমার জ্বালা। আমার বউ তো একটা পাগল আল্লাহ তুমি রক্ষা কইরো তোমার এই মাসুম বান্দাটাকে। ‘

-” ওরে সালা তুই তো প্রোপজও করলি না। আর এখনি আমার বারবিডলকে তোর বউ বানাই নিলি।”

রিসাদ পেছনে আর আদ্রিয়ান সামনে তাকিয়ে দেখে আয়াশ মিটিমিটি হাসছে আর এসব বলছে

-” ওই তুই কোথা থেকে টপকালি??”(আদ্রিয়ান)

-” আরে আমি কি নারকেল নাকি যে উপর থেকে টপকামু! আমি তো রাস্তা দিয়ে হাঁইটে হাইটে আসছি। “(আয়াশ)

-” হুহহহ। আচ্ছা বল ওরে প্রোপজ করবি কেমনে?? “(রিসাদ)

-” ভাবতাছি।”(আয়াশ)

-” তুই ভাবতাছি কস কেন তুইও কি প্রেমে পড়লি নাকি? “(আদ্রিয়ান)

-” আরে জানু প্রাণু তোমরা প্রেমে পড়তে পারো আর আমি প্রেমে পরলেই দোষ।”(আয়াশ)

-” আমরা মানে প্রেমে তো শুধু আমি আর ধ্রুব পরছি রিসাদ তো নিরামিষ।”(আদ্রিয়ান)

-“তোরে কে বলছে এই সালা নিরামিস।”(ধ্রুব)

-” তুই কখন আসলি ধ্রুব আর এই কথা বললি কেন।”(আদ্রিয়ান)

-” আরে ধ্রুবর তো কাজই আমার লেগপুল করা। “(রিসাদ)

-“আহাহাহা আমি তো আজকে বলমুই।” (ধ্রুব)

-” কি বলবি রে। “(আদ্রিয়ান)

-” হো কি বলবি তাড়াতাড়ি কো।”(আয়াশ)

-” আমাদের রিসাদ প্রেমে পড়ছে। “(ধ্রুব)

-“আব্বে তুইও ট্যাম্পু চালাস তলে তলে।” (আয়াশ)

-” ওহহো এই কাহিনি তো কে সেই দূর্ভাগবতী।”(আদ্রিয়ান)

-” আজমিরা।”(ধ্রুব)

-” ওর আজমিরা!!! এহহহহহহ আজু।”
ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেলো আদ্রিয়ান।

-” তাই তুই ওইদিন আজুর পিছে পিছে ঘুরতাছিলি। ”
দাঁত কেলিয়ে বললো আয়াশ।

-” ওরে বাটপার আমার বোনের সাথে প্রেম করস আর আমারেই কস না তোরে তো। “(আদ্রিয়ান)

বলেই আদ্রিয়ান রিসাদের পেছনে দৌড়াতে লাগলো।

-“আরে ভাই প্রেমে পড়ছি কিন্তু এখনও স্বীকার করতে পারি নাই।”
দৌড়াতে দৌড়াতে বললো রিসাদ।

-” ওহহ তাই বলি প্রেম করলে তো আজু আমাকে বলতো। ( মাথা চুলকিয়ে)। আচ্ছা আমরা না হয় প্রেমে পড়ছি কিন্তু এই গর্ধবটা। “(আদ্রিয়ান)

বলেই আদ্রিয়ান আর বাকি সবাই আয়াশের দিকে তাকালো____

-“ওই তোরা আমার দিকে এভাবে তাকাই আছোস কেন ডাল ম্যা কুছ কালা হে। “(আয়াশ)

-” তোর জন্য মাইয়া খুঁজমু তাই দেখতাছি কেমন মাইয়ার সাথে তোরে মানাবো।”(ধ্রুব)

-” আমার কাছে একটা মাইয়া আছে।”(আদ্রিয়ান)

-” কে সে?”(রিসাদ)

-” রিংকিকক।”(আদ্রিয়ান ও ধ্রুব)

-” নননননা এ হতে পারে না মাম্মমিমমম আমি ওই শাঁকচুন্নিরে বিয়ে করলে আমার মিশুর কি হবে। “(আয়াশ)

-” মিশু মানে মিশমি?”
চোখ বড় বড় করে জিঙ্গেস করলো রিসাদ।

-” তুই মিশমির সাথে প্রেম করস।”
হকচকিয়ে জিজ্ঞেস করলো আদ্রিয়ান।

-” প্রেম আর করলাম কই ওই তো আমারে পাত্তাই দেয় না।”
কাঁদো কাঁদো ফেস করে বললো আয়াশ

-” তার মানে আমাদের সবার একই অবস্থা। “(আদ্রিয়ান)

-” হুমমমম।”(ধ্রুব)

-” ওই তুই হুম কস কেন?? তের আর ইশিতার তো বিয়ে হওয়ার কথা!”(আয়াশ)

-” আরে ওইটাতে পারিবারিকভাবে কিন্তু আমি তে ওকে জানাতেই পারি নাই যে আমি ওকে ভালোবাসি।
ঠোঁট উল্টিয়ে বললো ধ্রুব

-” ওহহহহ।”(আয়াশ)

-” এখন ভাব কিভাবে ইজহার করব ওদের কাছে আমাদের ভালোবাসার কথা।”(আদ্রিয়ান)

আদ্রিয়ানের কথা শুনে সবাই ভাবতে শুরু করলো।

হঠাৎ আদ্রিয়ান বলে উঠলো____

-“আইডিয়া।”(আদ্রিয়ান)

-” কি আইডিয়া?”(আয়াশ)

-” আমাদেরও বল।”(রিসাদ)

-” হ্যা জলদি বল।”(ধ্রুব)

-” কুহু ওর বিয়ের জন্য জায়গা সিলেক্ট করার দায়িত্ব আমাকে দিছে।”(আদ্রিয়ান)

-” তাতে আমাদের প্রোপজের সাথে কি সম্পর্ক?”(আয়াশ)

-” আরে আছে আছে আগে পুরাটাতো শোন। “(আদ্রিয়ান)

-” হুম বলল।”(রিসাদ)

-” আমরা সবাই সাজেক যাব
………………………………………………………………………. তারপর ওখানেই আমাদের প্লান সাকসেসফুল করব।”(আদ্রিয়ান)

-” হবে তো?”(রিসাদ)

-” আরে হবে মানে দৌড়াবে। “(আদ্রিয়ান)

-“যদি প্লান সাকসেসফুল না হয় তোর কপালে শনি রবি সোম মঙ্গল থুরি অমঙ্গল সব থাকবো।” (আয়াশ)

-” আরে হবো হবো কার প্লান দেখতে হব্বে না। এখন চল কুহুকে জানাতে হবে পনেরো দিন পরই আমরা সাজেক যাবো।”(আদ্রিয়ান)

-” এর মধ্যেই সব শপিং শেষ করতে হবে মেয়েরা যা শপিং করতে পারে বাপরে বাপ।”(আয়াশ)

-‘ হুমম চল ওদের সবাইকে খবরটা দিয়ে দেই।”(রিসাদ)

-” হুম চল সবাই।”(ধ্রুব)

সবাই আরুশিদের বাসায় চলে গেলো

আরুশি অসুস্থ দেখে ইশিতা বাসায় ছিলো।হঠাৎ দরজায় আওয়াজ হওয়ায় দরজা খুলতে গেলো আর দরজা খুলে দেখলো আদ্রিয়ান, আয়াশ, রিসাদ আর ধ্রুব দাঁড়িয়ে আছে____

-“আরে আপনারা আর ধ্রুব তুমি কাজে যাও নি।”
ভ্রু কুঁচকে জিজ্ঞেস করলো ইশিতা।

-“আরে ব্লাকবেরি সব বলছি আগে ঘরে তো ডুকতে দাও।”(ধ্রুব)

-” হুমম আসো আর আপনারাও ভিতরে আসুন ভাইয়া।”(ইশিতা)

এক এক করে সবাই ভিতরে ডুকলো

-” ইশিতা কাপকেক কোথায় এখন কেমন আছে ওই।”(আদ্রিয়ান)

-” ওই পেতনি ওর ঘরে বসে বসে চকলেট খাইতাছে।”(ইশিতা)

-” আচ্ছা তোরা থাক আমি একটু দেখা করে আসি। “(আদ্রিয়ান)

-” ভাইয়া আপনি বসুন আমি ওকে এখানে নিয়ে আসছি।”(ইশিতা)

-” আরে ব্লাকবেরি তুমি আমাদের জন্য কফি বানাও। আদ্রিয়ান ব্লাকরোজকে নিয়ে আসতে পারবে।”(ধ্রুব)

-” ওকে।”(ইশিতা)

-” আমি ওকে নিয়ে আসছি।”(আদ্রিয়ান)

আযান আর ইশিতা চলে গেলো___

আদ্রিয়ান আরুশির রুমের দরজা নক করতে গিয়ে দেখলো দরজা খোলা। ভিতরের ডুকে যা দেখলো তা দেখে আদ্রিয়ান কান্না করবে নাকি হাসবে নাকি রাগ করবে কিছুই বুঝতে পারছে না।

আদ্রিয়ান ভেতরে ডুকে দেখলে_____

আরুশির রুমের চারিদিকে চকলেটের প্যাকেট ছড়ানো ছেটানো আর আরুশি মনের সুখে কোলবালিশ জড়িয়ে ঘুমিয়ে আছে। মুখে নাকে অনেক জায়গায় চকলেট লেগে আছে।
আরুশিকে এমন অবস্থায় এক নজর দেখে আদ্রিয়ান চলে যেতে ধরলে আবার রুমে ডুকে কিছু ছবি তুলে নেয় আর দরজা লাগিয়ে বসার রুমে চলে আসে। বসার রুমে আসতেই সবাই জিজ্ঞেস করলো আরুশি আসে নি কেন?? ও ঠিক আছে তো??
সবার প্রশ্নের প্রতিউত্তরে আদ্রিয়ান বললো_____

-‘আরে ও ঠিক আছে মূখে চকলেট মেখে ঘুমাচ্ছে। ”

-” মানে?”(আয়াশ)

আদ্রিয়ান সবাইকে সবটা বললো।

আর আদ্রিয়ানের কথা শুনে সবাই হাসতে লাগলো তখন ধ্রুব আর ইশিতা বললো।

-” এরকমটা প্রায়ই হয়।”(ধ্রুব)

-” হুম ওই অসুস্থ হলেই এভাবে ঘুমায় চকলেট খেতে খেতে ঘুমিয়ে যায় আর হাতে মূখে চকলেট লেগে থাকে। “(ইশিতা)

ইশিতার কথা শুনে সবাই হাসতে লাগলো

-“আচ্ছা কফিটা খেয়ে নাও না হলে ঠান্ডা হয়ে যাবে।” (ইশিতা)

-” ইশিতা আমরা সবাই পনেরো দিন পর সাজেক যাবো।”(ধ্রুব)

-“ওওওয়াও সাজেক!!! কিন্তু কেন?”(ইশিতা)

-“আমি বলছি। “(আদ্রিয়ান)

-” জ্বি ভাইয়া বলুন।”(ইশিতা)

-” ওইদিন পার্টিতে তোমাদের সাথে কুহুর পরিচয় হয়েছিলো মনে আছে??”(আদ্রিয়ান)

-” জ্বি ভাইয়া মনে আছে।”(ইশিতা)

-” আমরা ওর বিয়েতে যাবো।আসলে ওই ওর বিয়ের অনুষ্ঠান কোথায় করবে তা ভেবে পাচ্ছিলো না তাই আমাকে বলেছিল।
তাই আমি সাজেক যাওয়ার ডিসিশন নিয়েছি। “(আদ্রিয়ান)

-“হুমম জায়গাটা অনেক সুন্দর একদম পারফেক্ট প্লেস ___ ওখানে গেলে সবার মনটাও ভালো হয়ে যাবে আর আমরা ঘুরাঘুরি করতে পারব___” (আয়াশ)

-“কোথায় ঘুরাঘুরির কথা বলছেন আয়াশ ভাইয়া?”(আরুশি)

কারে কন্ঠ শুনতে পেরে সবাই পিছনে তাকিয়ে দেখে আরুশি টেবিলে ভর দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে
( এক্সিন্ডেন্টে পায়ে ব্যাথা পাওয়ায় টেবিলে ভর দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে)

-” আরে আরু তুই কখন উঠলি??”(ইশিতা)

*”তুইই তো জোড়ে দরজা লাগালি আর তাই আমার ঘুম ভেঙে গেলো।”(আরুশি)

-” আমি!”(ইশিতা)

-“কাপকেক ওটা ইশিতা ছিল না আমি ছিলাম সরি আমার জন্য তোমার ঘুম ভেঙে গেলো। “(আদ্রিয়ান)

আদ্রিয়ানের কথা শুনে আরুশির সামনে তাকালো আর আদ্রিয়াকে দেখে আরুশির সকালের কথা মনে পড়ে গেলো আর শুকনো ঢুক গিললো____

-“স্যার আপনিও এসেছেন??”
ভয়ে ভয়ে জিজ্ঞেস করলো আরুশি।

আদ্রিয়ান বুঝতে পারলো আরুশি ওকে দেখে একটু ভয় পেয়েছে। কিন্তু কেন পেয়েছে তা বুঝতে পারলো না কেন ভয় পেয়েছে___
পরক্ষণেই আদ্রিয়ানের সকালের কথা মনে পড়লো আর ডেভিল স্মাইল দিয়ে বললো______

-” কেন কি ভেবেছিলে আমি আসবো না। “(আদ্রিয়ান)

-” না না তা কেন ভাববো। ”
ঢুক গিলে বললো আরুশির

-“ব্লাকবেরি ব্লাকরোজকে এখানে নিয়ে এসে বসিয়ে দাও।”(ধ্রুব)

-” ওহহ আমার মনেই ছিলো না এখনি ওকে নিয়ে আসছি।”(ইশিতা)

-“তা কেন মনে থাকবে।”(ধ্রুব)

-” কি বললা___”
চোখ গরম করে জিজ্ঞেস করলো ইশিতা।

ইশিতাকে ওভাবে তাকাতে দেখে ধ্রুব বললো____

-” কককই কিছু বলি নাই তো___ ওই আমি কি কিছু বলছি?
আদ্রিয়ান,,রিসাদ,,আয়াশকে উদ্দেশ্য করে জিজ্ঞেস করলো ধ্রুব।

-” বললি___”(আয়াশ)

আয়াশ ধ্রুবর দিকে তাকিয়ে দেখে ধ্রুব ওর দিকে চোখ গরম করে তাকিয়ে আছে তাই আয়াশ বললো

-” কই কিচু বলিস নাই তো।”(আয়াশ)

আয়াশ ধ্রুব আর ইশিতার কান্ড দেখে সবাই হেসে দিলো আর ইশিতা গিয়ে আরুশিকে নিয়ে এসে বসিয়ে দিলো

-” আচ্ছা তখন কিসের ঘুরাঘুরির কথা হচ্ছিল? “(আরুশি)

ইশিতা আরুশিকে সব বললো___

-” ওহহহ তো কে কে যাবো??”(আরুশি)

-” আমরা সবাই। “(আদ্রিয়ান)

-“মিশমিকে আনার দায়িত্ব তোমার। ” (আয়াশ)

.-“আমাকে কোথায় নিয়ে কিসের কথা হচ্ছে? “(মিশমি)

সবাই পেছনে তাকিয়ে দেখে মিশমি দাঁড়িয়ে আছে__

-“আরে মিশমি তুমি কখন এলে।” (আদ্রিয়ান)

-“স্যার কেবল আসলাম দরজা খোলায় ছিলো তাই নক করতে হয়নি। “(মিশমি)

-“আয় বস এখানে” (ইশিতা)

মিশমি গিয়ে ইশিতার পাশে বসে পরলো

-” আরু এখন কেমন আছিস তুই?”(মিশমি)

*” আলহামদুলিল্লাহ ভালো”(আরুশি)

-” আচ্ছা আমাকে নিয়ে কি কথা হচ্ছিল? “(মিশমি)

চলবে

#Mr_innocent
#You_are_my_love_addiction
#written_by_ #আশফিয়া_নূর_আরুশি
#Part_13

-” তোমার মতো শেওলা গাছের চুরেলকে নিয়ে কেন আমরা কথা বলতে যাব? ভুল শুনেছো তুমি।”(আয়াশ)

-” আমি মোটেও ভুল শুনিনি আরু তুই বল কি কথা হচ্ছিলো?”(মিশমি)

-” আমি বলছি ।”(আদ্রিয়ান)

আদ্রিয়ান মিশমিকে সব বুঝিয়ে বললো,

-” ওয়াও অনেক মজা হবে টু ইন ওয়ান। কিন্তু শপিং করতে হবে তো!”(মিশমি)

-” যা বলেছিলাম ।”(আয়াশ)

-” কি বলেছিলেন? “(মিশমি)

-“কিছু না।” (আয়াশ)

-” আচ্ছা বাদ দে শপিং এ যাওয়া হবে কিন্তু অজান্তার সুস্থ হওয়ার পর। “(আদ্রিয়ান)

-” ওকে স্যার”(মিশমি)

-” অফিসের বাইরে আমাকে স্যার না ডাকলেও চলবে।”(আদ্রিয়ান)

-” ওকে।”
মুচকি হেসে বললো মিশমি।কিন্তু মিশমির মুচকি হেসে জবাব দেওয়াটা আয়াশের একদম পছন্দ হলো না।

-” সবাইকে বললো যাতে অফিসের বাহিরে স্যার না ডাকতে শুধু আমাকেই বললো না। ”
মনে মনে বললো আরুশি

-” আমি জানি তুমি কি ভাবছে তোমাকে যদি বলি স্যার না ডাকতে তাহলে তুমি ভাইয়া ডাকা শুরু করবে তাই তেো তোমাকে বলিনি। ”
আদ্রিয়ানও মনে মনে বললো।

ওরা সবাই অনেকক্ষণ আড্ডা দিয়ে চলে গেলো।

এভাবেই দশ দিন চলে গেলো এই দশদিনে আরুশিদের বাসায় সবারই আনাগোনা ছিল।

___________
১০ দিন পর

এখন আরুশি অনেকটাই সুস্থ নিজে নিজে হাঁটতে পারে।
দুপুরের দিকে আদ্রিয়ান আয়াশ মিশমি ওরা সবাই এলো শপিং এ যাবে বলে।

-” সবাই রেডি তো? “(আদ্রিয়ান)

-” হুম।”
সবাই একসাথে বললো।

-” তাহলে যাওয়া যাক।”(আদ্রিয়ান)

বলেই সবাই শপিংমলের উদ্দেশ্যে চলে গেলো

শপিংমলে এসেই সবাই প্রথমে লেহেঙ্গার দোকানে ডুকলো।

লেহেঙ্গার দোকানে ডুকতেই আরুশির নজর গেলো একটা কালো রঙের লেহেঙ্গার উপর আদ্রিয়ান সেটা খেয়াল করলো.

-” আচ্ছা এই কালো রঙের লেহেঙ্গা কেমন আরুশি?”(আদ্রিয়ান)

-” খুব সুন্দর। “(আরুশি)

-” তাই কিন্তু আমার কাছে তেমন ভালো লাগলো না।”(আদ্রিয়ান)

আদ্রিয়ানের কথা শুনে আরুশি ওখান থেকে রেগে চলে গেলো আর আদ্রিয়ান একটা লোককে ডেকে এনে বললো,
-” এই লেহেঙ্গাটা প্যাক করে দিন আর কেউ নিতে চাইলে বলবেন সেল
হয়ে গেছে কে নিয়েছে বলবেন না। (আদ্রিয়ান)

-“ওকে স্যার।”

-“ধ্রুব দেখো ওই লেহেঙ্গাটা অনেক সুন্দর না।”
ডার্ক নেভিব্লু রঙের একটা লেহেঙ্গা দেখিয়ে বললো ইশিতা।

-” মন্দ না তোমার পছন্দ হয়েছে কি?”(ধ্রুব)

-” অনেক।”(ইশিতা)

-” ওকে তাহলে ওইটা তোমার। “(ধ্রুব)

ইশিতা প্রতিউত্তরে মুচকি হাসলো

-“ওই লেহেঙ্গাটা প্যাক করে দিন তো।”
একটি লোককে উদ্দেশ্য করে বললো ধ্রুব

অন্যদিকে মিশমি আর আয়াশের মধ্যে চলছে তুমুল যুদ্ধ। মিশমি বলছে সবুজ রঙের লেহেঙ্গা নিবে আর আয়াশ বলছে সাদা রঙের লেহেঙ্গা নিতে।

-” আমি বললাম না সাদা নিবে।”(আয়াশ)

-” না আমি সবুজটাই নিবো আর লেহেঙ্গা তে আমি পরব আপনি তো আর পরবেন না তাহলে আমাকে আমার পছন্দেরটা নিতে দিচ্ছেন না? আপনার যদি ওইটা নিতে খুব ইচ্ছা করে আপনি ওটা নেন আপনি পইরে আমি ওটা নিবো না নিবো না।”(মিশমি)

-” বললাম না ওইটাই নিতে হবে। আর পড়বে তুমি ঠিকই কিন্তু দেখবো তো আমি তাই ওইটাই নিবে তুমি। “(আয়াশ)

-” মানে।”(মিশমি)

-” মানে কিছুই না চুপচাপ ওটা নিয়ে নেও। “(আয়াশ)

মিশমি আয়াশের সাথে ঝগড়া করে না পেড়ে সাদা রঙের লেহেঙ্গাই নিলো

আজমিরা কি নিবে বুঝতে না পেড়ে আদ্রিয়ানকে বললো

-” ভাইয়া আমার কিছুই পছন্দ হচ্ছে না একটা পছন্দ করে দে না। “(আজমিরা)

-“আমি কাপ… আরুশিকে বলে দিছি আরুশি পছন্দ করে দিবে।” (আদ্রিয়ান)

-” ওকে ভাইয়া। “(আজমিরা)

বলেই আজমিরা আরুশির কাছে চলে গেলো

-“আরুশি আপি আমাকে একটা লেহেঙ্গা পছন্দ করে দেও না গো আমার একটাও পছন্দ হচ্ছে না।” (আজমিরা)

-“আচ্ছা আসো।”

বলেই আরুশি আর আজমিরা লেহেঙ্গা সিলেক্ট করতে গেলো তখনই হঠাৎ রিসাদ একটা লেহেঙ্গা হাতে করে নিয়ে এসে ওদের সামনে দাঁড়ালো।

-“কিউটিপাই দেখো তো এটা মিরাকে ভালো মানাবে না?”
আকাশি রঙের লেহেঙ্গা দেখিয়ে বললো।

আরুশি রিসাদের হাত থেকে লেহেঙ্গাটা নিয়ে আজমিরার গায়ে ধরে দেখলো আর বললো

-” আজমিরা তোমাকে এই লেহেঙ্গায় অনেক সুন্দর মানিয়েছে।”(আরুশি)

-“ধন্যবাদ আপি আর রিসাদ ভাইয়া।”( আজমিরা)

আজমিরার মুখের ভাইয়া শুনে রিসাদ রেগে ওখান থেকে চলে গেলো

-” কি হলো ভাইয়া চলে গেলো কেন?(আরুশি)

-” জানি না।” (আজমিরা)

-” এই তোরা এখানে কি করছিস আর আরুশি তুই লেহেঙ্গা কিনবি না? “(ইশিতা)

-“হ্যাঁ আপি তুমি কিনবে না?” (আজমিরা)

-” অবশ্যই কিনবো আমার একটা কালো রঙের লেহেঙ্গা অনেক পছন্দ হয়েছে আমি ওটাই কিনব।”
মুচকি হেসে জবাব দিলো আরুশি

-” তাই কোথায় সেটা?”(ইশিতা)

-৳ হ্যাঁ কোথায় আমরাও দেখবো।”(আজমিরা)

-” কি দেখার কথা হচ্ছে?”(মিশমি)

-” ওইতো অজান্তার একটা লেহেঙ্গা পছন্দ হয়েছে ওইটার কথাই বলছি।”(ইশিতা)

-” ওহহহ কোথায় আমাকেও দেখা।”(মিশমি)

-” আচ্ছা তোরা সবাই আমার সাথে আয় আমি দেখাচ্ছি।”(আরুশি)

বলেই ওরা সবাই ওই জায়গায় গেলো যেখানে লেহেঙ্গাটা রাখা আছে আর গিয়ে দেখলো লেহেঙ্গাটা তার আগের জায়গায় নেই। তাই অজান্তা একজন লোকে ডেকে জিজ্ঞেস করলো,
-“এখানে একটা কালো রঙের লেহেঙ্গা ছিলো ওটা কোথায়?”

-” ওই লেহেঙ্গা তো ম্যাম বিক্রি হয়ে গিয়েছে।”(লোকটি)

– “কে কিনেছে?”( মিশমি)

-” তা তো ম্যাম বলতে পারবো না এটা আমাদের নিয়মের বাহিরে।”(লোকটি)

-” ওরকম লেহেঙ্গা আর নেই?”(ইশিতা)

-” না ম্যাম একটাই ছিলো।”(লোকটি)

-“আচ্ছা ঠিক আছে আপনি যেতে পারেন।”(আরুশি

-” ওকে ম্যাম।”(লোকটি)
বলেই লোকটি সেখান থেকে চলে গেলো

-” চল আরু অন্য একটা লেহেঙ্গা পছন্দ করবি।”(ইশিতা)

-” হুম চল।”(মিশমি)

-” নারে আমি লেহেঙ্গা কিনব না।”(আরুশি)

-” তাহলে তুমি রিসেপশনে কি পরবে?”(আজমিরা)

-” চিন্তা করো না আমার কাছে আরো অনেক লেহেঙ্গা আছে ওখান থেকেই একটা পরব।”(আরুশি)

-” মন খারাপ করিস না অন্য একটা পছন্দ করবি চল।”(মিশমি

-“আমি কিনব না বললাম না।”
রেগে গিয়ে বললো আরুশি

বলেই সেখান থেকে চলে গলো। আজমিরা ওর পেছনে যেতে চাইলে ইশিতা না করলো আর বললো,
-“আজমিরা যেয়ো না ও ওই রকমই। যেটা ওর পছন্দ সেটা যদি ওই না পায় তাহলে খুব রেগে যায়।”

-” তাহলে কি ওই লেহেঙ্গা কিনবে না?”(আজমিরা)

-” না কারণ ওই ওর পছন্দের জিনিস পায় নি।”(ইশিতা)

-” আচ্ছা চল ওর কাছে যাই।”(মিশমি)

-” হুম চল।”(ইশিতা)

বলেই ওরা আরুশির কাছে যায়।
আরুশি বাহিরে রেলিং ধরে দাঁড়িয়ে আছে। হঠাৎ কারো গরম নিশ্বাস ঘাড়ে পরায় ও পেছনে ঘুরে কিন্তু পেছনে কাউকেই পায় না। তখনি ইশিতা মিশমি আর আজমিরা ওর কাছে আসে।

-” আপু তুমি আর কষ্ট পেয়ো না। চল আমরা শাড়ি কিনব বিয়ের দিন পড়ার জন্য।”(আজমিরা)

তখনি হঠাৎ কেউ পেছন থেকে বলে

-” আমাকেও তো কিছু পছন্দ করে দাও আমার তো মনে হচ্ছে তোমাদের বিয়ে আমার না। “(কুহু)

সবাই পেছনে ঘুরে দেখে কুহু দাঁড়িয়ে আছে

-“আরে আপু আগে বলবেন তো।” (আরুশি,)

-” এখন বললাম তাহলে এখন চল যাওয়া যাক। “(কুহু)

ওরা সবাই ওখান থেকে চলে গেলো

তারপর সবাই মিলে অনেক শপিং করলো কুহুর জন্য সবাই বেগুনি রঙের লেহেঙ্গা কিনলো রিসেশনে পড়ার জন্য আর বিয়েতে পড়ার জন্য সবাই লাল রঙের ক্রিস্টাল বসানো শাড়ি কিনলো। কুহু বেনারসি কিনলো সাথে ম্যাচিং জুয়েলারি ক্রিস্টালের । সবশেষে ছেলেরা শপিং করলো আদ্রিয়ান কালো রঙে ড্রেস সেট কিনলো, আয়াশ সাদা রঙের, রিসাদ লাল রঙের আর নভিব্লু আর সাদা রঙের ড্রেস সেট কিনলো।
শপিং শেষে সবাই রেস্টুরেন্টে গেলো। রেস্টুরেন্ট যেতেই কেউ আদ্রিয়ানকে জড়িয়ে ধরলো। আদ্রিয়ান কিছু একটা ভাবে ওই ব্যক্তিকে জড়িয়ে ধরলো
-“বেবি তুমি এখানে কখন এলে আর আমাকে জানাও নি কেন?

-” জানাবো কিভাবে তুমি তো usa গিয়েছিলে রিংকি।”

অফিসের কাজের জন্য আদ্রিয়ান রিংকিকে Usa পাঠায়। আসলে আদ্রিয়ানের মূল উদ্দেশ্য আরুশির কাছ থেকে রিংকিকে দূরে রাখা )

-” তুমিই তো আমাকে জোড় করে পাঠালে।”(রিংকি)

-” হুমম কাজ প্রথমে আমার কাছে চল সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দেই।”(আদ্রিয়ান)

-” হুম চলো।”(রিংকি)

আদ্রিয়ান সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দিল

-” রিংকি আজ থেকে পাঁচদিন পর আমরা সাজেক যাবো কুহুর বিয়ের জন্য তুমি কি যাবে?”(আদ্রিয়ান)

-” বেবি তুমি যাবে আর আমি যাব না তা কি কখনো হয়।”(রিংকি)

আদ্রিয়ান রিংকির কথায় মুচকি হাসলো তখনি হঠাৎ আরুশি চেয়ার থেকে উঠে পড়লো আর চলে যেতে নিলেই ইশিতা বললো

-” কোথায় যাচ্ছিস এভাবে?”(ইশিতা)

-” আমার মাইগ্রেনের ব্যাথাটা বেড়েছে তাই বাড়ি যাচ্ছি।”(আরুশি)

-“আচ্ছা সাবধানে যা।”(ইশিতা)

-” আমি দিয়ে আসি তোমাকে?”(আদ্রিয়ান)

-” নো স্যার ধন্যবাদ আমি একা যেতে পরব। “(আরুশি)

-” একা যেতে পার দেখেই তো এতো সমস্যায় পড়ো আসো আমি দিয়ে আসছি। “(আদ্রিয়ান)

বলেই আদ্রিয়ান আরুশির হাত ধরে নিয়ে চলে গেলো।আরুশি হাত ছাড়াতে চাইলে আদ্রিয়ান আরো জোড়ে হাত চেপে ধরলো আর গাড়িতে বসালো।

-” রিংকি ম্যামকে একা রেখে আসলেন কেন? “(আরুশি)

আরুশির কথা শুনে আদ্রিয়ানের বুঝতে বাকি রইলো না যে ওই কেন অপসেট।

-” আমি বুঝবো যে আমি কাকে একা রেখে আসবো আর কার সাথে থাকবো তোমার তা নিয়ে মাথা না ঘামালেও হবে।”

আদ্রিয়ানের কথা প্রতি উত্তরে আরুশি চুপ হয়ে থাকলো আর আরুশি চুপ থাকায় আদ্রিয়ান গাড়ি স্টার্ট দিলো।

দুজনই চুপচাপ বসে আছে। হঠাৎ আদ্রিয়ান বললো,
-” গাড়ি থেকে নামো। ”

আদ্রিয়ানের কথা শুনে আরুশি বাহিরে তাকিয়ে দেখে
এটা ওর বাসা না একটা ঝিল। ঝিলের পাশে অনেক কাশফুল বসার জায়গাও আছে। এসব দেখে আমি আর গাড়িতে বসে থাকতে পারলাম না গাড়ি থেকে নেমে সোজা ঝিলের পাশে চলে গেলো।

আরুশির পেছন পেছন আদ্রিয়ানও গেলো।আরুশি ঝিলের কাছে এসে দুহাত ছড়িয়ে সতেজ বাতাস
অনুভব করতে লাগলো হঠাৎ ওর মনে হলো কেউ ওকে দেখছে আশেপাশে তাকিয়ে দেখলো আদ্রিয়ান বেঞ্চে বসে মোবাইলে হেসে হেসে কথা বলছে তাছাড়া আশেপাশে আর কেউ নেই। আরুশি মনে মনে ভাবতে লাগলো,
-” শপিং মলেও কেউ ছিলো আর এখানেও কিন্তু সে কে?? এই অপরিচিত ব্যক্তিটা না তো?? কিন্তু এতো দিনতো শুধু কালো গোলাপ এসেছে কোনো মেসেজ তো আসে নি এই দশদিন তাহলে কে এই??

-” কি ভাবছো এতো?”
পেছন থেকে আদ্রিয়ান এসে জিজ্ঞেস করলো।

আদ্রিয়ানের কথায় আরুশির ধ্যান ভাঙলো। আরুশি আদ্রিয়ানের দিকে একবার তাকিয়ে মুখ ফিরিয়ে নিয়ে বললো
-” আপনার ফোনে কথা বলা শেষ হলে আমরা কি যেতে পারি?”

-” তোমার জায়গাটা পছন্দ হয় নি?”

-” পছন্দ না হওয়ার কিছুই নেই এখানে। আমার জায়গাটা বেশ ভালো লেগেছে আর আমার এমনিতেই নির্জন জায়গা ভালো লাগে। ”

-” তাহলে চলে যেতে চাইছো যে। ”

-” আমি তো আগেই বলেছি আমার মাথা ব্যাথা করছে।”

-” আচ্ছা তোমার মাথা ব্যাথা কমানোর ঔষধ নিয়ে আসি।”
বলেই আদ্রিয়ান চলে গেলো,

-“আমি জানি তুমি আমাকে মিথ্যা বলছো আমাকে রিংকির সাথে দেখে তুমি এমন করছো আমি সবজানি কাপকেক। আমি এটাও জানি তোমার মনে আমার জন্য অনুভূতি আছে। সেই অনুভূতিটা আমি বুঝতে পারলেও তুমি বুঝতে পারছ না তাই এ কইদিনে তোমার মনে আমার জন্য জায়গা বানাতে হলে তোমাকে একটু কষ্ট পেতে হবে। ”
মনে মনে বললো আদ্রিয়ান

আদ্রিয়ান চলে যেতেই ছোট্ট একটা বাচ্চা এসে আরুশিকে একটা চিরকুট হাতে দিয়ে চলে যায়।

আরুশি চিরকুটটা হাতে নিয়ে আশে পাশে কাউকে খুজতে লাগে। তখন ওর চোখ যায় গাছের পেছনে কেউ দাঁড়িয়ে আছে। তাকে দেখার জন্য আরুশি দৌড়ে ওই গাছটার কাছে যায় কিন্তু কাউকে খুঁজে পায় না।
তাই আবার চিরকুটটা খুলে দেখতে লাগে,

চিরকুটে লেখা

-“জানেমান যতই ওই ছেলের সাথে ঘুরোঘুরি কর না কেন শেষমেষ তোমাকে আমার জালেই ধরা দিতে হবে।আর আমি তোমাকে না পেলে কেউ তোমাকে পাবে না। যে তোমাকে পাওয়ার আশা করবে সে প্রাণে মরবে।”
ইতি তোমার
Unknown lover.

-” কে হতে পারে। এটা তো ঠিক বুঝতে পারছি এটা সেই ব্যক্তিযে আমাকে কালোগোলাপ দেয় কিন্তু সে কে?”
আরুশি মনে মনে ভাবছে।তখনই হঠাৎ পেছন থেকে আদ্রিয়ান বলে,
-” তুমি এখানে কি করছো?”

আদ্রিয়ানের কথা শুনে আরুশি পেছনে তাকিয়ে দেখে আদ্রিয়ান দুহাতে দুটো আইসক্রিম নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।

আদ্রিয়ানের প্রশ্ন এড়ানোর জন্য আরুশি বললো,
-“এমনি হাঁটতে হাঁটতে চলে এসেছি।”

-” ওহহ এই নাও তোমার মাথা ব্যাথার ওষুধ।”

-” না আমার লাগবে না আমি বাড়ি যাব।”

-” নিতে বলেছি নাও।”
কিছুটা রাগ দেখিয়ে বললো আদ্রিয়ান।

বাধ্য হয়ে আরুশি নিলো।

-” হাতে ধরে রাখবে নাকি খাবে। আমি খাইয়ে দিব কি?
দাঁত কেলিয়ে বললো আদ্রিয়ান

-” না থাক আমি নিজেই খেতে পারি।{ এই বেটার উপর বিশ্বাস না যেকোনো কিছু করতে পারে( মনে মনে বললো)}

-” জলদি খাও বাড়ি যেতে হবে। ”

-” আমি কোনো রোবর্ট না।”

-” আচ্ছা চলো যেতে যেতে খেয়ো। ”

-” হুম চলুন।”

এরা চলে গেলো।

এরা চলে যেতেই গাছের পেছন থেকে একটা লোক বের হলো,
-” মজা করে নাও যত পারো। তোমাকে তো আমার কাছেই আসতে হবে।তুমি শুধু আমার শুধু আমার। আমার না হলে তুমি অন্য কারো হতে পারবে না জানেমান আর মাফিয়া কিং তোমাকে যে এবার আমার মূখমুখি হতে হবে তোমার ব্যাপারে অনেক শুনেছি এখান সামনাসামনি দেখবো।
ডেভিল স্মাইল দিয়ে বললো লোকটি।

To be continue
ভুল ত্রুটিগুলো তুলে ধরবেন এবং ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here