Accounting_Teacher(Season2) Part_3,4

Accounting_Teacher(Season2)
Part_3,4
Written_by_Ritu_Rosni
Part 3
.
আমার তো খুশিতে লুঙ্গী ডান্স দিতে ইচ্ছে করছে যে আমি আমার ক্রাশ অভির সাথে এতক্ষণ ছিলাম।
আচ্ছা, এটা আমার কল্পনা নয় তো?চোখ খুললেই হারিয়ে যাবে?হাতে চিমটি কেটে,,ওমাগোোোোোোোোোো,,,,,
তারমানে এটা আমার স্বপ্ন নয় বাস্তব।ইশশশশশশ
আমার এতো খুশি লাগে ক্রে,,,,(শোভা)
.
—আজকের মতো তো ডেভিলটার হাত থেকে বেচে গেছি জানি না,,আগামীকাল কে আমার কপালে কি আছে।
যাই থাকে থাকুক,আগামীকালকের টা আগামীকাল ভাবা যাবে।আপাতত এখন আমার একটু ঘুমের দরকার।
ভার্সিটি থেকে এসেই বিছানায় গা এলিয়ে দেয়ার সাথে সাথেই ঘুমিয়ে পড়লো ঋতু,,
বর্ষার ডাকে ঘুম ভাঙ্গলো,,চোখ পিটপিট করে তাকিয়ে,,,,
-কি হয়েছে কি?এভাবে আমার স্বাদের ঘুম টা ভাঙ্গলি কেনো??
–ওলেেে আমাল নবাবজাদির স্বাদের ঘুম রে,,,,
এই তোর বরের টাকার সার্ভেন্ট পাইছোস আমায়?সব কাজ আমি একাই করবো,আর তুই শুয়ে বসে গিলবি।(বর্ষা)
—ঐ বস্তার ঘরের বস্তা,তোর সাহস তো কম না?আমারে কথা শুনাস।(আমি)
–হুহহহহহহহ
—আমার কাঁচা ঘুমটা দিল ভাঙা দিলো শাঁকচুন্নি টা,,
কিছুক্ষণ বসে থেকে অলসতা কেটে ফোন টা হাতে নিয়ে আমার চোখ তো কপালে😱
৪:৩৫ মিনিট বাজে।তার মানে ভার্সিটি থেকে এসে আমি ৪ ঘন্টার বেশি ঘুমাইছি।এদিকে এখন আবার ক্ষিদেয় যায় যায় অবস্থা।পেটের মধ্যে কিছু দিতে হবে তার আগে বড় কথা গোসল করা টা জরুরি।ইশশশশ!!আজকে যোহরের নামায টা কাযা হয়ে গেলো আমার।
গোসল শেষ করে ডাইনিং এ বসলাম পেটে কিছু দেয়ার জন্য,নইলে ইন্দুর মামা রা যে রেস শুরু করছে😰
,
যেই না মুখে এক লোকমা ভাত তুলে দিয়েছি ওমনি আম্মা কোথা থেকে যেনো এসে সামনে হাজির হলো।
—তোর কি সংসারের কোনো কাজ কর্মই করতে মন চায় না।আমি একা একজন মানুষ সব দিকেই খেয়াল রাখতে হয়।
বয়স হয়ে যাচ্ছে কবে মারা যাবো না জানি।এতো বলি করে বিয়ের কথা কে শুনে কার কথা।মরার আগে মনে হয় না আর মেয়ের জামাইয়ের মুখ দেখে যেতে পারবো।,,,,,
—উফফফহহহহহহ!!আম্মা তুমি একটু থামবা?সব সময় তোমার এসব আর শুনতে ভাল্লাগে না।
দেখছোই তো খেতে বসেছি,একটু শান্তিমতো খেতে দিবা তো নাকি?
—তোকে খেতে কে নিষেধ করছে?আমার কথা তো তোর ভালোই লাগে না কোনো সময়।
—-ধুরররররররর,,,খাবোই না আমি।(বলেই ভাতের প্লেট টা ছুড়ে মেরে রাগে গজগজ করতে করতে ডাইনীং ছেড়ে রুমে ঢুকে দরজা লক করে দিলো।)
এ দিকে পেছন পেছন ডেকেই চলেছেন ঋতুর আম্মা,,,,,
বড্ড জেদি আর একগুঁয়ে স্বভাবের।একদম ওর বাবার মতো হয়েছে।
,
ধমক দিয়ে কিছু বলতেও পারি না।বাপ মরা মেয়েটা আমার কষ্ট পাবে।কখনো কোনো কিছুর অভাব বুঝতে দেয়নি।
কখনো বলতে যেনো না পারে আজ আমার বাবা থাকলে এটা হতে পারতো না।আমরা মানুষেরা বড়ই অদ্ভুদ এক প্রাণী।
যে থাকবে না,মানে বর্তমানে যে অনুপস্থিত।সে হোক না খারাপ তখন তারই গুনগান গাইবে।আপনি যতোই তাকে কলিজা কেটে খাওয়ান না কেনো একটু কমতি হলেই হলো।
,
অনেক রাত হয়ে গেছে ক্ষিদেয় এদিকে আমার তো করুন অবস্থা।তখন ঐভাবে রাগ করে না চলে আসলেও পারতাম।
আসলে আমার রাগ হলে একদম মাথা কাজ করে না।যখন রাগ টা একটু কমে তখন অনুপ্ত হই নিজের ব্যবহারের জন্য।
এমন টা না করলেও পারতাম।কিন্তু অনুতপ্ত হয়ে কি লাভ?যা হওয়ার তো হয়েই গেছে।
আম্মা তখনকার বিহাভের জন্য অনেক কষ্ট পেয়েছে জানি।কিন্তু কি করবো বলুন।খুব ভালোবাসি আমি আমার আম্মা কে।নিজের থেকেও বেশি।খুব কষ্ট হয়,ভেতরটা দুমড়ে মুছড়ে যায় আম্মার মুখে মরার কথা শুনলে।স্বার্থপরের মতো বাবা আমাদের ছেড়ে পরপারে পাড়ি জমিয়েছে।এই আম্মা ছাড়া যে আমার দুনিয়া টাই অন্ধকার।
বাবা মারা গেলে মা তার বুঁকের মধ্যে সন্তানকে আগলে রাখে।মা বাবা দূজনেরই ভূমিকা পালন করে।কিন্তু মা মরে গেলে কখনোই একজন বাবা মায়ের মতো করে আগলে রাখতে পারেনা।এই পৃথিবীতে যাদের বাবা মা বেচে নেই তারাই জানে একমাত্র মা বাবার অভাব টা।
যাই একটু দেখে আসি আম্মা কি করছে,,
আমি জানি এখন আমার অভাগি মা টা খাওয়ার টেবিলে আমার জন্য খাওয়ার নিয়ে বসে বসে চোখের পানিতে বুঁক ভাসাচ্ছে।
হুমমম,,ঠিকই বলেছি।
উহুম উহুমমম,,,,আজকে মনে হয় আমাদের বাড়িটা কারো চোখের পানির বন্যার প্লাবনে ডুবে যাবে।
আমার কথার আওয়াজ পেয়ে আম্মা উপরে তাকাঁলো।
—ওহহ আম্মা, আমার না খুব ক্ষিদে পেয়েছে।
–তো আমি কি করবো?
—একটু কি খাইয়ে দিবা??
—কেনো নিজে খেতে পারস না?
—তুমি খাইয়ে দিবা কি না তাই বলো।
–পারবো না।নিজের হাত দিয়া খা,,
—আচ্ছা, ঠিক আছে।কাউকে কষ্ট করে আর আমারে খাইয়ে দেওয়া লাগবে না।আমি তো আর নিজের মেয়ে না।পরের মেয়েকে কি কেউ খাইয়ে দেয়।আমার আব্বু থাকলে ঠিকই খাইয়ে দিতো।(আরেকটু রাগানোর জন্য বললাম)
—তো যা নাহ,তোর বাপ কে কবর থেকে তুলে নিয়ে আয়।
আমায় বলিস কেন?
এভাবে আমি প্রতিদিনই আম্মাকে রাগিয়ে দেই,,আম্মাকে রাগাতে আমার ভালো লাগে।
,
ঘুম থেকে উঠতে আজকেও লেট,ক্লাস শুরু হতে আর মাত্র ১৫ মিনিট বাকি।এমনিতেই আজকে লেট তার উপরে ১ম ক্লাস টাই ঐ বদ রাগি এনাকন্ডা টার।আমারে তো আজ পরোটার সাথে জেলি বানিয়ে খাবে।
আল্লাহ তুমি আমারে বাঁচাও
এই ডেভিলের হাত থেকে নয়তো দড়ি ফালাও আমি উপরে উঠে যায়।তড়িঘড়ি করে রেডি হয়ে নিলাম।
ব্রেকফাস্ট না করার জন্য আম্মা পেছন থেকে চিল্লিয়েই যাচ্ছে।আমার আবার না খেয়ে থাকলে সমস্যা হয়।
,
অলরেডি ক্লাস শুরু হয়ে গেছে ১৫ মিনিট আগে।
জল্লাদের বংশ টা লেকচার দিয়ে যাচ্ছে।আর সবাই মন্ত্র মুগ্ধ হয়ে শুনছে।শুনছে বললে ভুল হবে সব লুচ্চি মাইয়্যাগুলো স্যারের দিকে ড্যাবড্যাব করে চেয়ে আছে।পারে তো মনে হয় স্যারকে গিলে খাবে।
.
.
.#Accounting_Teacher(season2)
#___Part___4
#Written_by_Ritu_Rosni
.
.
আর তাকাবেই না বা কেনো?এমন সুদর্শন পুরুষ কে,কে না চায় জীবন সঙ্গী হিসেবে।আমাদের শুভ্র স্যারকে দেখে মনেই হয় না যে উনি একজন ভার্সিটির লেকচারার।যে কেউ প্রথম দেখায় ভেবে নিবে উনি একজন স্টুডেন্ট।আমাদের কলেজের সব থেকে ইয়াং টিচার শুভ্র স্যার।জাতির ক্রাশ।
আমার জানামতে আঙ্কলের নিজের বিজনেস আছে।যার শাখা প্রশাখা বাংলাদেশের বাইরেও আরো কয়েক টা রাষ্ট্রে ছড়িয়ে আছে।তার ছেলের এই অন্যের আন্ডারে জব করার রহস্য ঠিক আমার মাথায় ঢুকে না।হতেও পারে উনি সব কিছু নিজ যোগ্যতা দিয়ে অর্জন করতে চায়।অন্যের উপর নির্ভরশীলতা হয়ে থাকা টা পছন্দ করেন না।
,
ব্লু শার্ট সাথে ব্ল্যাক ব্লেজার,হাতে ঘরি,চুল এক পাশে স্ট্যাইলিশ করে শিথি করে জেল দিয়েছেন।
লেকচার দেওয়ার সময় হাত উচিয়ে উচিয়ে কথা বলার মাঝেমাঝে ঠোঁট কামড়ানো বাচ্চাদের মতো।সব মিলিয়ে একটা মেয়েকে ঘায়েল করার জন্য যথেষ্ট।
এতক্ষণ যেনো ঘোরের মাঝে হারিয়ে ছিলাম।ক্লাসের সবার হাসির শব্দে ঘোর থেকে বাস্তবে ফিরে এলাম।
কি হলো হঠাৎ করে কিছুই তো বুঝলাম না।উৎসুক চোখে শুভ্রের দিকে তাকিয়ে বোঝার চেষ্টা করছে ঋতু।
,
ক্লাসে এসে দেখলাম মধু,উর্মি সুমি, অপু, আশিক,অপু মোট কথা ওদের ফ্রেন্ডসারর্কেলের সবাই ক্লাসে উপস্থিত আছে শুধু মহারাণী ছাড়া।নিশ্চয় ঘুমাচ্ছে পড়ে পড়ে।সারারাত নেটে থাকবে আর সকাল হলে ঘুমাবে।যার দুদিন পরে টেস্ট পরিক্ষা আর সে কি না আজ ক্লাসে অনুপস্থিত।এমনিতেই ফিন্যান্স এর কিছুই পারেনা।বাচ্চাদের মতো আজাইরা প্রশ্ন করে করে মাথা টা খেয়ে ফেলে।আর আজকে ক্লাসে অনুপস্থিত😡
রাগে মনে হয় থাপ্পড় দিতে ইচ্ছে করে এগালে ওগালে এলোপাথাড়ি।আপসোস বেয়াদব টা এখন আর সামনে নেই,থাকলে হতো।
প্রায় ১০.৩০ টা মিনিট বাজতে চললো এখনো আসার নাম গন্ধ নেই।বজ্জাত টা আজ আসুক আগে।
ক্লাস নেওয়ায় মনোযোগ দিলাম। ‘ফিন্যান্স’ এর “অর্থের সময় মুল্যের” নোট গুলো করে দিলাম।আগামী দিন থেকে ম্যাথ গুলো শুরু করবো।দরজার দিকে তাকিয়ে দেখলাম বজ্জাত টা হা করে তাকিয়ে আছে।এমন ভাবে হা করে তাকিয়ে আছে যেনো আস্তো একটা রোস্ট ওর সামনে ধরলে গিলে খাবে তবুও টের পাবে না কিছুই।
কয়েকবার ডাক দিলাম নাম ধরে বাট নো রেসপন্স।এমন উজবুকের মতো করে কি ভাবছে কে জানে।এদিকে ওর কর্মকান্ডে যে সবাই ওকে নিয়ে হাসাহাসি করছে সেদিকে কি ওর খেয়াল আছে।
,
রাগে আমার শরীর জ্বলে যাচ্ছে।হাতের কাছের মার্কারি টা ছুড়ে মারলাম ওর গায়ের উপর।আর এতে সবার হাসাহাসির পরিমাণ আরো বেড়ে গেলো যেনো।
কি হচ্ছে টা কি?এখান থেকে কি আমি চলে গেছি।হাসাহাসির ইচ্ছে থাকলে ক্লাসের বাইরে চলে যেতে পারো।
আর আপনি?এখন কয়টা বাজে?এটা কি আপনার নিজের বাসা পেয়েছেন যে যখন ইচ্ছে আসবেন আবার ইচ্ছে হলেই চলে যাবেন।কয়টা বাজে?
ওয়াট টাইম ইজ ইট?আন্সার মি ড্যামন ইট।
চিল্লিয়ে চিল্লিয়ে কথাগুলো বলছে শুভ্র।শুভ্রর রাগী আর ভয়ংকর রুপ দেখে সবাই ভয়ে থর থর করে কাপঁছে।
এর আগে কেউ শুভ্রের এমন ভয়ংকর রুপ দেখেনি।
এ যেনো নতুন রুপে দেখছে সবাই শুভ্রকে।
পুরো ক্লাস জুরে পিনপিন নিরাবতা।যেনো কিছুক্ষণ আগেই ঝড়ে সব সর্বশান্ত করে দিয়ে গেছে।
গেট লসট,গেট লসট মাই ক্লাসরুম।
,
সব কিছুই ঋতুর মাথার উপর দিয়ে চলে গেলো।সামান্য লেট হওয়ার জন্য এতোটা রিয়েক্ট করবে শুভ্র যা ঋতুর ভাবনার বাইরে।কান্না করতে করতে ক্লাসের বাইরে চলে গেলো ঋতু।
,
ক্লাসে মন বসাতে পারছে না শুভ্র।ঋতুর চোখে স্পষ্ট জল দেখতে পেয়েছে শুভ্র।বুঁকের ভেতরটায় তোলপাড় হয়ে যাচ্ছে।কাল বৈশাখীর ঝড় যেনো বইছে।এতোটা রিয়েক্ট না করলেও পারতাম।কিন্তু রাগ হলে যে নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারিনা।কেউ ওকে নিয়ে হাসাহাসি করবে সেটা শুভ্রের সহ্য হয় না।
ও কি সেই ছোট্ট বাচ্চাই রয়েছে নাকি?নিজের বুঝটা কি বুঝতে শিখেনি নাকি?বাচ্চাদের মতো পাগলামি করে সবার সামনে নিজেকে হাসির পাত্র বানায়।
,
হুরররররররর,,,আমি আর কখনোই ঐ চুড়েল,বজ্জাত, জল্লাদের বংশ,আফ্রিকান এনাকন্ডা,মেনি মুখো হুলো বিড়াল,নেংটি ইদুর।কালা কুমিড়।অস্ট্রেলীয়ান বাছুর,টিকটিকি, ভেড়া,গরু,ছাগল,আলু,বেগুন,টমেটো টার ক্লাস করবো না।সব সময় হুদাই রাগ দেখায়।
হতচ্ছাড়া তোর কপালে দেখিস বউ জুটবে না।
একা একাই বকবক করছে ঋতু আর মনেমনে শুভ্রকে গালাগাল করছে।
,
এদিকে ক্লাস শেষে ঋতুকে পুরো ক্লাস রুমে তন্নতন্ন করে খুজে বেড়াচ্ছে।ও নিশ্চিত ঋতু ভার্সিটিতেই আসে।আর কোথাই ওকে পাওয়া যাবে সে বিষয়ে নিশ্চিত।
,
কিরে?তুই তখন ওমন হা করে কি দেখছিলিরে??পরে গেছিস নাকি?(উর্মি)
—পরে গেছি মানে?কিসের কথা বলছিস?(আমি)
–আর আমাদের শুভ্র স্যারের উপর ক্রাশে ক্রাশিত তুই।নইলে কি আর ওমন হা করে স্যারের দিকে ড্যাব ড্যাব করে তাকিয়ে থাকিস?(মধু)
—একদম ফালতু কথা বলবি না।
–হুহহহহ তুমি করলে ভালো আর আমরা বললেই কালো তাই না?(আশিক)
তা বাদদে,তুই কি কোনোদিন ই ঠিকঠাক মতো ক্লাস টাইমে ক্লাসে উপস্থিত হতে পারবি না?দুদিন বাদে এক্সাম সে খেয়াল আছে তোর?(উর্মি)
—শোন এতো পড়ে আমি কখনোই বিদ্যাসাগরের বউ হতে পারবো না।তুই ভালো কর পড়বি তোর টা দেখে লেখলেই চলবে।এতো পড়ে কি হবে?সেই তো অন্যের চুলোয় ছাই তুলতেই হবে।
—যাহ শয়তান সর সামনে থেকে।তোকে এবার আর আমরা কেউ দেখাবোনা।তুমি একটা করে ঝামেলা বাধাবে আর আমাদের ও তার মাঝে জড়াবে।ভাগ্যিস সেদিনের স্যারের গাড়ির টায়ার ফুটো করার ব্যাপারটা স্যার এখনো বুঝতে পারেনি।নইলে এতক্ষণে জুবলির পানিতে চুবাতো সবাইকে।(মধু)

,

হুম খুজতে খুজতে লাইব্রেরিতে পাওয়া গেলো শেষমেশ।
পেছনে দাড়িয়ে ওদের সবার কথা শুনছে আর রাগে ফুঁসছে শুভ্র।
.
.
চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here