Accounting_Teacher(season2) Part_11,12

Accounting_Teacher(season2)
Part_11,12
Written_by_Ritu_Rosni
Part 11

দুই পাশে ব্যবস্থাপণা আর মাঝখানে হিসাব বিজ্ঞান ডিপার্টমেন্ট দের সীট ফেলছে।
দুই পাশে অন্য কলেজে বেড়া আর চাটমোহর কলেজের স্টুডেন্ট দের সীট পড়ছে।
ভয়ে হাত পা কাপাঁকাপিঁ শুরু করছে।০৪ টা রুম একত্রে একটা মিলনায়তন রুম।যেখানে কয়েকশ স্টুডেন্ট আর প্রায় ২০ জনের মতো টিচার্স।
এতলোক এক সঙ্গে দেখে নার্ভাস হওয়ারই কথা।টিচার্স দের মাঝে একজনকে দেখে একটু হলেও ভয় কেটে গেলো ঋতুর।
আর সে টা হলো ইহান কে দেখে।সেদিন এর ইহান আর আজকের ইহানের মাঝে দারুণ তফাৎ। আজকের ইহানের মাঝে কেমন টিচার টিচার ভাব ফুটে উঠেছে।
যদিও ইহান কে ঋতু সেভাবে চিনে না বা পরিচিত হয়নি।
তারপরেও একটু ভয় টা কমছে এই ভেবে হয়তো একজন কে টিচার কে চিনে।
পরিক্ষা শুরু হতে আর মাত্র কয়েক মিনিট বাকি আছে।খাতা দিয়ে দিয়েছে সবাই রোল,রেজিস্ট্রেশন নম্বর পূরণ করায় বিজি।স্যার ম্যাম রা বার বার বলে দিয়ে যাচ্ছে কেউ যেনো ভুল করেও কাটাকাটি বা ঘষাঘষি না করে খাতায়।
ভুল হলে উপস্থিত শিক্ষক দের দ্বারা দেখে নিতে পারে।
.
১ম বর্ষের পরিক্ষার হলে মিলনায়তন ০২ নং কক্ষে গার্ডের ডিউটি পড়ছে আমার।যথা সময়ে ক্লাসে উপস্থিত হয়ে গেলাম।সবার সাথে কুশল বিনিময় করে খাতা এগিয়ে দিচ্ছিলাম সব স্টুডেন্ট দের মাঝে।হঠাৎ চোখ দুটো এক জায়গায় গিয়ে আটকে গেলো।এ তো সেই পিচ্চি মেয়েটা(ঋতু) নীলের বিয়েতে গিয়ে দেখেছিলাম।
ওহহ!!আই সি।তার মানে পিচ্চি টা অনার্সে পড়ে।দেখে তো মনে হয় সবে ক্লাস টেনে উঠলো।যাই হোক অতটাও পিচ্চি না।
দেখে মনে হচ্ছে অনেক টেনশনে আছে পরিক্ষা নিয়ে।
অভয় দিতে এগিয়ে গেলাম ওর কাছে।ভয় নেই আমি আছি বলে আশ্বাস দিলাম।কোনো সমস্যা হলে জানাবে বললাম।
আমার কথায় কিছুটা ভয় মুক্ত হলো মনে হচ্ছে।
ঘন্টা পড়ছে দেখে প্রশ্ন দেয়া শুরু করলাম।
,
প্রশ্ন মোটামুটি সহজ হয়েছে।যতটা ভয় পেয়েছিলাম অতটাও ভয় পাওয়ার মতো না।খুব সুন্দর হয়েছিল প্রশ্ন টা।
চার ঘন্টা সময় ও মনে হয় কম হয়ে গেছে।লেখে কভার করা যায় না।আগে তিন ঘন্টায় সাত টা সৃজনশীল কম্পিলিট করে রিভিশন দেয়ার জন্য পনেরো মিনিট সময় থাকতো হাতে আর এখন চার ঘন্টায়ও হয়না।
যাই হোক পরিক্ষা টা খুব ভালো হয়েছে।ঐ লোকটা মানে ইহান এসে বার বার খোজ খবর নিয়ে গেছে।
পরিক্ষার শেষে গেটের সামনে দাড়িয়ে আছি।স্যার এখানে দাড়িয়ে থাকতে বলে গেছিলেন তাই।
আস্তে আস্তে কলেজ ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে। পরিক্ষার শেষে যে যার মতো ঘরে ফেরায় ব্যস্ত।
ইতিহাস খুব সহজ একটা সাবজেক্ট। অল্প কিছু পড়ে নিজে থেকে বানিয়ে ও লেখা যায়।
সবাই হাসি মুখেই বের হয়ে যাচ্ছে তার মানে মোটামুটি সবারই ভালো হয়েছে।
,
পরিক্ষার শেষ হওয়ায় অফিশিয়াল কাজে একটু ব্যস্ত হয়ে পড়লাম।আস্তে আস্তে সবাই হল পরিত্যাগ করে চলে যাচ্ছে।
মেয়েটাও হয়তো অন্য সবার মতো চলে গেছে।
কাজ শেষ করে চলে যাচ্ছিলাম উদ্দেশ্য বাসার দিকে।
আমার ভাবনা ভুল হলো মেয়েটাকে ক্যাম্পাসের কৃষ্ণচূড়া গাছের নিচে বেঞ্চিতে বসে থাকতে দেখে।
সেই কখন থেকে মেয়েটা মেয়েটা করে যাচ্ছি কি যেনো নাম ওর।ওহ সীট!আমি তো ওর নামই জানি না।
আচ্ছা..!কি নাম হতে পারে?
উমম!!আমার মোটা মাথায় এসব ভাবা হবে না।
এসব ভাবতে ভাবতে কখন যে ওর পাশে এসে দাঁড়িয়েছি খেয়াল নেই।ওর কথায় হঠাৎ কল্পনার জগত থেকে বাস্তবে ফিরে এলাম।
,
এই যে শুনছেন!!!
–হু কিছু বলছো?
–সেই কখন থেকে দেখছি কি যেনো ভাবছেন।এতো কি ভাবছেন শুনি?
–ওহ কিছুনা।তারপর বলো এক্সাম কেমন দিলে?
–আলহামদুলিল্লাহ, ভালো।থ্যাংকস ফর এভরিথিংক এন্ড সেই সাথে সরি ও।
–থ্যাংকস কেনো?আবার সরিই বা কেনো?
–আজকের জন্য থ্যাংকস।আর সেদিনের ব্যবহারের জন্য সরি।
–নো নো ইটস অকে।
–থ্যাংকস।একটা প্রশ্ন করতে পারি?
–হুম। কেনো নয়?
–আপনাকে দেখে কেনো জানি স্যার স্যার মনে হয় না।
–তাই নাকি?তা কি মনে হয়?
–স্টুডেন্ট।
–হাহাহা।আমি কিছুদিন হলো জয়েনিং করছি।
বাই দ্যা ওয়ে।আমি ইহান মাহমুদ।
আজকে নাম বলতে নিশ্চয় তোমার কোনো আপত্তি নেই?
–নাহ।আমি ঋতু রশনি।
–নাইস নেম।
–ধন্যবাদ।
–স্বাগতম। আমি কিন্তু তোমায় রশনি বলেই ডাকবো।
–আপনার ইচ্ছা সেটা।
–থ্যাংকস। এনি ওয়ে কারো জন্য ওয়েট করছো নাকি?
–জ্বি।
–ওহহহ!!আমি কি ওয়েট করবো সে না আসা পর্যন্ত?
–না নাাহ। কোনো দরকার নেই।এখনি এসে পড়বে।
ঐ তো এসে পড়ছে।বায় বলে চলে এলাম।
,
কয়েকদিন পড়াশুনা নিয়ে অনেক বিজি ছিলাম। ঠিক মতো খাওয়াদাওয়া ঘুম কোনো টাই হয়নি।
আবার পরবর্তী পরিক্ষা হতে প্রায় সপ্তাহ খানিক সময় বাকি।
বাসায় গিয়ে গোসল করে খাওয়াদাওয়া করে একটা লম্বা ঘুম দিলাম।এক ঘুমে রাত টা কেটে গেলো।খুব ভোরে ঘুম ভেঙ্গে গেলো।সচরাচর আমার এত ভোরে কখনো ঘুম ভাঙ্গে না।
আজ হঠাৎ কি মনে করে হলো জানিনা।এই ঘুমের জন্য ফযরের নাম পড়া হয়না কখনো।আজ যখন সময় পেয়েছি তখন নামায টা পড়েই নিই।
নামায পড়ে কুরআন তেলাওয়াত করলাম খানিকখন।
মনটা বেশ ফুরফুরে।
অনেকদিন ছাদে যাওয়া হয় না যেই ভাবা সেই কাজ।
ছাদে গিয়ে ফুলের টবে পানি দিলাম।
আমি আর শোভা ছাদের এক কোনায় ফুলের বাগান
করছি ছোট্ট করে।আর এক পাশে কিছু শাক সবজি।
আসলে শহরে ঐভাবে মাটি পাওয়া যায় না তাই সবাই যেটুকু পারে ছাদেই এসব করে।অবসরে আমরা এখানে গাছের পরিচর্যার কাজে সময় দেই আঙ্কেল আমাদের কাজে সাহায্য করেন মাঝেমাঝে।
,
নিচে গিয়ে টুকটাক পড়াশুনা করে আবার ঘুমিয়ে পড়লাম।
আসলে সাধারণত, পরিক্ষার আগে ছুটি থাকলে কখনোই আগের দিন ছাড়া পড়তে বসি না আমরা।এটা তো আগে থেকেই হয়ে আসছে।
আজকে শুক্রবার সাপ্তাহিক একটা ছুটির দিন।
আঙ্কেল বাইরে গেছেন কি একটা কাজে।আম্মা আর সোনা মা গল্প করছে আর এদিকে আমি শোভা আর বর্ষা প্ল্যানিং করছি বিয়েতে কি কি করবো।
আর শুভ্র ড্রয়িংরুমে বসে ল্যাপটপে কি সব ঘাটাঘাটি করছে।
আসলে ল্যাপটপে তেমন কিছুই করছে না।এখানে বসার মূল উদ্দেশ্য হলো ওকে দেখা।ওর কথা শোনা এ ছাড়া আর কিছুই না।
একটা মানুষ কি করে অনর্গল এত কথা বলতে পারে তা এই মেয়েটা না দেখলে আর জানা হতো না।
কথা না বললেও কেমন মানায় না ওকে। ও যদি কখনো কোনো কারণে চুপ থাকে তাহলে কেমন যেনো বেমানান লাগে।মাঝেমাঝে মনে হয় গুরুগম্ভীর ওর জন্য না।ওর সাথে যায় না।শুভ্র ঋতুকে একটা নাম দিয়েছে আর সেটা হলো কথার রাণী।
শুভ্র ওর এই পাগলামো, বেশি কথা বলা,অদ্ভুদ আচরণ গুলোকেই কিভাবে যেনো ভালোবেসে ফেলেছে।
মেয়েটার মাঝে কেমন অদ্ভুদ রকমের একটা টান অনুভব করে শুভ্র।যেটা ওকে দূর থেকে চুম্বকের মতো ওর দিকে টানে।
অনার্স পড়ুয়া মেয়ের স্বভাব এখনো কেমন বাচ্চাদের মতো।
কেউ ওর কথার ধরণ,ওর বাচ্চামী দেখে বিলিভই করবে না যে ও অনার্সে পড়ে।
দূর থেকে যে কেউ ওর উপর লক্ষ্য রাখছে সে খেয়াল ওর নেই।ও তো কথার ফুলঝুরি নিয়ে বসে আছে।এত কথা পায় কোথায় কে জানে!!
মাঝেমাঝে ওদের কথা শুনে শুভ্র হেসে ফেলছে।
,
এদিকে ঋতু ভাবছে একজন মানুষ এত রোবট অর্থাৎ যান্ত্রিক মানবের মতো হয় কি করে?একটা রস কষহীন আনরোমান্টিক বুইড়া ব্যাডা।মনে শখ আল্লাদ বলতে কিছুই নাই নাকি।যে হের বউ অইবো তার কপাল এক্কেবারে পুরছে।
এর সাথে কেমনেই যে সংসার করবে।
কখনো ভুলেও হয়তো আয়নার সামনে দাড়িয়ে নিজেকে দেখার চেষ্টা করেনি যে হাসলে আসলে তাকে কেমন দেখায়।
হাসতেও মনে হয় আজকাল টাকা পয়সা লাগে।
তানাহলে কিভাবে পারে উনি?
আচ্ছা মানুষ এমন রোবট তো তখনি হয়ে যায় যখন কারো কাছে থেকে তীব্র থেকে তীব্রতর ভাবে একেরপর এক আঘাত পেতে পেতে ভেতরটায় আর কিছু অবশিষ্ট থাকে না অনুভূতি হীন শূন্যতায়।
আচ্ছা উনি কারো কাছে ছ্যাঁক ট্যাঁক কিছু খায়নি তো নাকি।
কি জানি খাইলেও খাইতে পারে।
,
আপুউউউউউহহহহ
–কি কিিিিিি,,ষাঁড়ের মতো এতো চেঁচাচ্ছিস কেনো?
–চেঁচাবো না তো কি করবো।তোকে ডাকছি সেই কখন থেকে তুই শুনছিসই না।
–কি বলছিলি আবার বল।
–চল লুডু খেলি।বসে থাকতে আর ভাল্লাগছে না।
–নট এ ব্যাড আইডিয়া।চল খেলা যাক।
–তিন জনে খেলায় মজা হবে না আপু।
–তিনজন ছাড়া এখন আর লোক পাবো কোথায়?
–চলো আম্মু আর আন্টিকে বলে দেখি রাজি হয় কিনা।
–অকে চল।
দুজনের কেউই রাজি হলো নানা বাহানায়।
এখন বাকি আছে একজন জানি রাজি হবে না।তারপরেও চেষ্টা করা তো নেই মানা।
শোভা আর বর্ষা কে পাঠিয়ে দিয়ে আমি রুমের বাইরে দাড়িয়ে আছি।
–ভাইয়া কি করছিস?
–দেখছিস না কাজ করছি।
–সে তো করবিই।ল্যাপটপ ঘাটা ছাড়া তোর আর কোনো কাজ আছে নাকি।
শুক্রবার সাপ্তাহিক একটা ছুটির দিন সেদিনেও তোর যত রাজ্যের কাজ।
–এত প্যাঁচাল না পেরে যা বলতে এসেছিস তাই বলে চলে যা।আমার অনেক কাজ পরে আছে হাতে।(ধমক দিয়ে)
–হুমম যাবোই তো।দুদিন পরে যখন পরের ঘরের চলে যাব,তখন আর কেউ সময়ে অসময়ে জ্বালাতন করতে আসবে না।তখন বুঝবি আমি তোর কি ছিলাম।খুব বিরক্ত হস আমার উপর তাই না?যখন আমি থাকবো না তখন আর কেউ বিরক্ত করতে আসবে না।বলে শোভা কান্না করতে করতে বেরিয়ে গেলো রুম থেকে।

–কাজ ছাড়া কিছুই বুঝেন না আপনি। ঠিক কবে বাবা মা,বোন কে সময় দিয়েছেন আপনার মনে আছে?
আপনি কি আসলেই একটা মানুষ? নাকি মানুষের ছদ্মবেশের আড়ালে লুকিয়ে থাকা অনুভূতিহীন একটা যান্ত্রিক রোবট।যার মধ্যে ভালোবাসা বলে কিছু নেই।কাজ পাগল লোক একটা।
–ঋতুউউউহহহ!!তোমার স্পর্ধা হয় কি করে আমার মুখের উপর কথা বলার।
–আরে রাখেন তোহ!!শুভ্রকে থামিয়ে দিয়ে।
পারেন তো শুধু ঐটাই।সব সময় ধমকি ধামকি করবেন অন্যের উপর।এটা আপনার ভার্সিটি নাহ আর আমিও এখানে আপনার স্টুডেন্ট নই সো ডোন্ট শাউট।
আপনি সব সময় নিজেকে কি মনে করেন বলেন তো?প্রেসিডেন্ট? হাহাহাাা,আর বাকি সবাই আপনার প্রজা তাই আপনার ভয়ে মুখ লুকিয়ে বেরাবে।
অবশ্য আপনার মতো রষকষ হীন মানুষের কাছে এর থেকে বেশি কিছু এক্সপেক্ট ও করা উচিৎ না।
যে কাজ টা হুমকি ধামকি দিয়ে করছেন সেটা ভালোবেসেও খুব সহজেই করতে পারবেন।
আপনি নিজেই নিজেকে প্রশ্ন করুন তোহহ আপনি যা করছেন তা আদৌ ঠিক করছেন তো।
ভার্সিটি,বাসায় সবাই আপনার ভয়ে ভীতু।সবাই ভয়ে থাকে কখন না জানি কোন ভুলের পানিশমেন্ট পেতে হয়।
আপনি কি কখনোই উপলম্ধি করতে পেরেছেন এভাবে আস্তে আস্তে আপনি আপনার ফ্যামিলির মাঝে দূরত্ব তৈরী করছেন।
কখনো কি প্রয়োজন ব্যতীত আপনার মা কে জিজ্ঞেস করেছেন
করছেন সে আদৌ ভালো আছে কি না।কি করছে,কিভাবে সময় যাচ্ছে। ছোট বোন কে শাসন ছাড়া কখনো ভালোবেসে বুকে টেনে নিয়েছেন?নেন নি তো।
এভাবে চলতে থাকলে দেখবেন সবাই আপনার থেকে মুখ লুকিয়ে নিচ্ছে। কাউকে পাশে পাবেন না আপনার।
জানি আজ এই কথা গুলো বলার জন্য হয়তো আমার পানিশমেন্ট এর ব্যবস্থা করছেন অবশ্য আপনার মতো মানুষ আর কি বা করতে পারবে।আমি আর সবার মতো আপনাকে দেখে ভয় পাই না আপনি শুনে রাখুন।
কথা গুলো একদমে বলে থামলো ঋতু।
শুভ্র ঠিক সেই জায়গাতেই ঠাই দাড়িয়ে আছে।লাল টকটক করছে চোখ দুটি,ভয়ংকর দৃষ্টিতে ঋতুর দিকে তাকিয়ে আছে।
,
ঋতু ভাবছে সে কি বলতে কি বলে ফেললো।আসলে রাগের সময় মাথা ঠিক থাকে না।মাথা ঠান্ডা হলে পরে তার জন্য অনুশোচনায় অনুতপ্ত হয়।
এভাবে শুভ্রকে বলাটা উচিৎ হয়নি বলে মনে হচ্ছে এখন ঋতুর।
শুভ্রের কাছে সরি বলার জন্য এগিয়ে গেলো।
–স,,,সররররিিিি
–গেট লস্ট।
–সরিি
–আই সে গেট লস্ট।(জোরে ধমক দিয়ে)
শুভ্রের ধমকে ঋতুর বুকেঁর ভেতরটায় ভয়ে কেঁপে উঠলো।
ঋতুর মুখের উপর ধরাম করে দরজা লাগিয়ে ধপ করে বিছানায় বসে পড়লো শুভ্র।রাগে ফসফস করছে।
কিছুতেই নিজেকে সংযত করতে পারছে না।ঘরের মধ্যে তান্তব বয়ে চলেছে।
,
আর এদিকে ঋতুর মা পারলে ঋতু কে মারে।যাচ্ছে নয় তাই বলে ঋতু কে গালাগাল পারছে।
শুভ্রর কিছু হলে ঋতুকে দেখে নিবে।কত বড় সাহস ওর যে শুভ্রের মুখে মুখে কথা বলে।
আর এদিকে শুভ্রের মা ঋতুর কে মা কে বলছে ও তো ভুল কিছু বলেনি যা সত্য সেটাই শুধু বলেছেন।তুমি অযথাই ঋতুর উপর রাগ দেখাচ্ছ।
সোনা মা তুই রুমে যা।কোনো টেনশন করিস না আমি আছি তো।আমি থাকতে তোকে কেউ কিছু বলতে পারবে না।
,
বিকেল বেলা বই হাতে ছাদে বসে আছি।রুমে ভালো লাগছিল না তাই ভাবলাম বই নিয়ে ছাদে যাই।মনটাও ভালো হবে আর মাঝেমধ্যে একটু আধটু বই পড়াও হবে।
এক জায়গায় স্থির হয়ে বসে পড়লে আমি খুব একটা মনে রাখতে পারি না।আমার একটা বদ অভ্যাস আছে হেটে হেটে পড়া।এই ধরুন একটানা আধ ঘন্টা পড়লাম এর পরে বিনোদনের জন্য একটা গান শুনে বা দেখে আবার পড়তে বসবো।আমি বুঝে গেছি এখন আর পড়া হবে না।
আসলে সকালে শুভ্র স্যারের সাথে ঐ বিহাভ টা করা আমার ঠিক হয়নি।অবশ্যই আমার উচিৎ এখন তাকে সরি বলা।যে যেভাবে থাকতে পছন্দ করে তাকে সেভাবেই থাকতে দেওয়া উচিৎ।
নিচে যাচ্ছিলাম স্যারের কাছে ক্ষমা চাইতে আর ঐদিক থেকে হদন্ত হয়ে ছুটে আসছিল এক জোড়া চোখ,,,,
.
.
.#Accounting_Teacher(season2)
#__Part__12
#Written_by_Ritu_Rosni
.
.
সেটা আর কেউ নয় শুভ্র।যাক একদিক দিয়ে ভালোই হলো।ছাদে কেউ নেই এখানে সরি বলা যাবে।বকা দিলেও কেউ শুনতে পারবে না।
–স,,সরিি(দুজনে একসাথে বলে ওঠে)
–সরি স্যার আসলে,,
–নো নো ইটস অকে।সরি তো আমার বলা উচিৎ।কথার মাঝখানে ঋতু কে থামিয়ে দিয়ে।
এতদিন আমি একটা ঘোরের মাঝে ছিলাম। সবার সাথে রুড বিহাভ করতাম।না জেনে কতজনের মনে যে কষ্ট দিয়েছি কে জানে।তুমি আজকে আমার চোখে আঙুল দিয়ে আমার ভুল গুলো ধরিয়ে দিয়েছ। তারজন্য তোমায় ধন্যবাদ দিয়ে আর ছোট করতে চাই না।
–হয়েছে হয়েছে আর বলতে হবে না আপনাকে। আমি বুঝতে পারছি।
খুব হাসি পাচ্ছে আমার,লাটসাহেব সরি বলছে তাও আবার আমায়।হুশে বলছে নাকি বেহুশে আছে কে জানে।
–কি এত ভাবছো?
–ক,ককই কিছু না তোহ।
–মনে হলো ভাবছো কিছু।যাই হোক।
ফ্রি আছো তো?
–হু,কেনো বলুন তো?
–না মানেে মাথা চুলকিয়ে আসলে ভাবলাম তোমাদের কে নিয়ে বাইরে থেকে একটু ঘুরে আসি।
—ঘুরতে যাওয়ার কথা শুনে তো আমার খুশি তে বাকবাকম অবস্থা। ঘুরতে আমি ভীষণ ভীষণ পছন্দ করি।
খুশিতে মুখে চওড়া হাসির রেখা ফুটে উঠলো ঋতুর।
–এইইই না নাাা,,তোমার না এক্সাম চলছে।
ওহহহ শীট আমি ভুলেই গেছিলাম। আর পড়া চুন্নি পড়া বাদ দিয়ে ঘুরতে যেতে চাইছে।
মনে হলো।কেউ ধপ করে জলন্ত আগুনের উপর পানির ঝাপটা মেরে দিয়ে গেলো।
যত তাড়াতাড়ি খুশি হয়েছিল তার থেকেও দ্বিগুণ স্পিডে মন খারাপ হয়ে গেলো ঋতুর শুভ্রের কথা শুনে।
–শুভ্র বিষয় টা বুঝতে পারলো।
অকে আমি নিয়ে যেতে পারি তবে এক শর্তে।
—আমি আপনার সব শর্তে রাজি।বলুন কি করতে হবে।
–তোমার নেক্সট কি এক্সাম আছে?
–ব্যবস্থাপনা।
–ঘুরে এসে ঠিক মতো পড়তে যদি বসার কথা দাও তাহলেই হবে।
–অকে ডান।
,

৫ টার দিকে বেরিয়েছিলাম বাসা থেকে ফিরতে ফিরতে রাত ৮ টা বেজে গেছিল।আমার এক্সামের জন্য বেশিক্ষণ ঘুরলো না।
শহরের মধ্যেই ঘুরাঘুরি করে কিছু কেনাকাটা করলাম।
বাইরে থেকে খাওয়াদাওয়া করে আসলাম।
আজকে আর কোনো কারণে বকাঝকা করেনি।
আর ভয়ে আমরাও কোনো রকম দুষ্টামি করি নি।কখন জানি বাঘ আবার গর্জন করে ওঠে।
বাসায় এসে ফ্রেশ হয়ে পড়তে বসলাম। স্যার কে কথা দিয়েছি পড়বো একদিন ঠিক মতো।আর আমাকে সে কথা রাখতেই হবে।
,
এখন আর শুভ্র আগের মতো রাগারাগি করে না।ভার্সিটি,বাসা সব খানেই ফ্রেন্ডলি আচরণ করে।সবাই শুভ্রের এহেন আচরণে সত্যিই অবাক আর সেই সাথে খুশি ও।
শুভ্রের সাথে ঋতুর সম্পর্ক টা আগের থেকে উন্নতি হয়েছে।
দেখতে দেখতে ঋতুর এক্সাম টা খুব সুন্দর ভাবেই কেটে গেলো।
অর্থায়নের নীতিমালা টা একটু খারাপ হয়েছে এ নিয়ে ঋতুর মন খারাপ।শুভ্র ঋতুকে মানসিক সাপোট দিচ্ছে। কিচ্ছু হয় না একটা সাবজেক্টে খারাপ হলে।এবার খারাপ হয়েছে তো কি হয়েছে সামনে বার আরো ভালো হবে।
ঋতুর মন ভালো করার জন্য অবশ্য বাইরে নিয়ে যেতে হয়েছিল শুভ্র কে।
,
এদিকে দুই পরিবারে বিয়ের তোড়জোড় শুরু হয়ে গেছে।
আগাম সপ্তাহে শোভা আর অভির বিয়ে।
কত্ত কাজ পরে আছে।কত্তো কিছু কেনাকাটা বাকি আছে।
ঋতুর হয়েছে ঝামেলা।দুই পরিবারেই থাকতে হবে।
একদিকে সোনা মার কড়া আদেশ অন্যদিকে মনি মার।
মনি মায়ের কথা সে বুড়ো মানুষ,বয়স হয়েছে তার। এসব কি আর একা হাতে সামলাতে পারে নাকি সে।
আবার সোনা মাও কেমন জিদ ধরে বসে আছে।ঋতু কে ছাড়া নাকি বিয়ে বাড়ি মজা হবে না।
আমার এখন মনে হচ্ছে করাতের নিচে নিজেকে দিয়ে দুই খন্ড করে ফেলি।
,
এক্সামের পরে কয়েকদিন হলো ভার্সিটিতে যাওয়া হয় না।
তার জন্য সব হাম্রিগুলা আমার বাসায় চলে এসেছে।
–তোরা কখন এলি?আর আমায় কল দিলেই তো পারতিস আমিই চলে যেতাম দেখা করার জন্য।(আমি)
–ওমাাাাা!!আমরা কি তোর সাথে দেখা করতে এসেছি নাকি?শুভ্র স্যার আমাদের সবাইকে ইনভাইট করছে।
তাই গায়ে হলুদের আগেই চলে এসেছি।
–স্যার ওদেরকে ইনভাইট করেছে”কই আমায় তো কিছু বললো না একবারো।
যাক গা যার যা খুশি তাই করতে পারে তাতে আমার কি,হুহহহ
,
আসার পর থেকেই লক্ষ্য করছি সায়নী কেমন শুভ্র স্যারের পেছন পেছন ঘুরঘুর করছে।
কি ছ্যাঁচড়া ছেমড়ি রে বাবা গায়ে পড়া স্বভাব।মনে হচ্ছে শাঁকচুন্নি টারে ব্লেন্ডারের মধ্যে ঢুকিয়ে ব্লেন্ড করে জুস বানিয়ে খেয়ে ফেলি।এই লুচ্চা মাইয়্যারে ইনভাইট করতে বলছে কে ঐ খারুস টারে।অসহ্য লাগছে আমার ঐ ডাইনী টাকে।আমি বুঝতে পারছি না কেনো এমন হচ্ছে।স্যারের আশেপাশে কেনো জানি আমার অন্য কাউকেই সহ্য করতে পারি না।কেনো এমন হয় জানি না।আমি কি তাহলে স্যারকে মনে মনে..!!না নাাাহহহ
আমি কি এসব ভাবছি এসব।
সারাদিন শপিং এ ঘুরতে ঘুরতে বেহাল অবস্থা।এতো ঘুরাঘুরি করা যায় নাকি।কি আর করার বিয়ের শপিং কি আর যেমন তেমন ভাবে করা যায় নাকি..!
শোভা জন্য বিয়ের বেনারসি, জুয়েলারি সব কিছু স্যার আগে থেকেই অর্ডার করে রেখেছিল।
হলুদের সব কিছু আজকেই কিনে নিয়ে যেতে হবে।সময় তো আর বেশি হাতে নেই।
রাতের আধার কেটে ভোর হলেই নতুন আরেকটা দিনের সূচনা হতে চলেছে।আগামীকাল কেই শোভা আর অভি ভাইয়ার গায়ে হলুদ।
,
ছাদের উপর শোভার গায়ে হলুদের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

একটু পরেই শুরু হবে শোভার হলুদ সন্ধ্যা।
পার্লার থেকে লোক এসেছে শোভা কে সাজানোর জন্য।
তারা শোভা কে সাজাতে ব্যস্ত।
ঋতু একটা সিম্পল হলুদ ড্রেস পড়ে আছে।তার মতে শাড়ি পরা একটা এক্সট্রা ঝামেলা।শাড়ি পরে ভালো করে হাটতে পারে না।এই তো সেদিন ওর এক কাকার বিয়েতে মায়ের জোরাজুরিতে শাড়ি পরে গেছিল বর যাত্রীদের সাথে।সেখানে গিয়ে কি কান্ড টাই না করলো ঋতু।কনে দেখতে যাওয়ার সময় কনে বাড়ির উঠোনের মাঝে শাড়ির সাথে পা পেচিয়ে তাল সামলাতে না পেরে পরে গেলো।কি একটা অবস্থা বিয়ে বাড়ির অত লোকের মাঝে।পরে ওর ঐখানকার একটা আন্টি এসে ঠিক করে দিল।সেদিনের কথা মনে হলেই লজ্জায় মরে যেতে ইচ্ছে করে।
ওর সব বান্ধবি গুলো শাড়ি পরেছে।আর সায়নীর কথা কি বলবো।সেই দুপুর থেকেই রুপ চর্চায় ব্যস্ত হয়ে পরেছে।যেনো ওর নিজেরই গায়ে হলুদ আজকে।
যেভাবে ময়দা মারছে ইচ্ছে করছে আমাদের বাসার সব ময়দা ওর মুখে ঢেলে দিয়ে বলি নে ধর আরেকটু নে কম হয়ে গেছে।
আদিখ্যেতা দেখলে গা জ্বলে যায়।আমি বুঝিনা কি কিছু সব কিছুই শুভ্র স্যারের ফোকাস পাওয়ার জন্য।
রিচুয়াল অনুযায়ী
অভির গায়ে ছোঁয়ানো হলুদ কনের গায়ে দেয়া হবে।
বসে বসে শোভাকে সাজানো দেখছিলাম।শুভ্র স্যার পার্লারের এক কর্মচারী কে ডেকে কি বললো জানি না।ওরা জোর করে আমার গায়ের ড্রেস খুলে একটা হলুদ রঙের জামদানি শাড়ি পরিয়ে দিলো।এত জোর করলাম তবুও শুনলো না।আমার এখন ভীষণ কান্না পাচ্ছে।আবার না জানি ঐদিনের মতো ঘটনা না ঘটে।কাচা ফুলের গহনা আর কোমড়ে একটা ফুলের বিছা দেয়া।
,
রিচুয়াল অনুযায়ী বরের গায়ে ছোঁয়ানো হলুদ কনের গায়ে দিতে হবে।ঐ বাড়ি থেকে গায়ে হলুদের তথ্য নিয়ে সবাই আসা শুরে করে দিয়েছে।
সোনা মায়ের কথা মতো আমরা সবাই মানে আমি উর্মি,মধু,সায়নী,আশিক রা মিলে ঐ বাড়ি থেকে যারা আসবে তাদের হাতে একটা করে ফুল দিবো।
সবাই কে দেয়া শেষে একজন হাত পাতল ঋতুর সামনে।
আমি রজনীগন্ধা নিবো না আমায় গোলাপ দিতে হবে।
–সরিিি!!গোলাপ তো বলে উপরের দিকে তাকিয়ে ঋতু
আপনিিিিিহহহহহ
–মিটিমিটি হেসে,,হু আমি।কেনো অবাক হলে নাকি?(ইহান)
—না মানে আপনি এখানে?
–হুম আমিই এখানে।বর পক্ষের লোক মানে বরের বন্ধু আমি।
—আপনি অভি ভাইয়ার বন্ধু??কই আমি তো কখনো আপনাকে দেখিনি?
–তাই নাকি!!আমি তো তোমাকে দেখেছি।একবার নয় বহুবার।
–তাই নাকি?
–হুম তাই।একটা কথা বলবো?
–কেনো?এতক্ষণ কি বললেন না?
–হুম বলেছি তো তারপরেও অনুমতি চেয়ে নিচ্ছি,,
–তাই নাকি!!তা বলুন কি বলবেন।
পরি কখনো দেখিনি আমি তবে আমার সামনে দাড়িয়ে থাকা এক
মাটির তৈরী হলুদ পরী কে দেখেছি।
আমি না কখনো কারো প্রেমে পরিনি তবে আজকে খুব ইচ্ছে
করছে তোমার প্রেমে হারিয়ে যেতে।
বালিকা দেবে কি আমায় সেই সুযোগ একবার?
–ফ্লার্টিং করছেন আমার সাথে?
–না গো,,বিশ্বাস করো সত্যি বলছি।
হয়েছে বুঝলাম। ভেতরে গিয়ে বসুন আপনি আমি ঐদিক টা একটু দেখে আসছি।
–অকে।
অনুষ্ঠানে আসা সবার ফোকাস এখন ঋতুর উপর।ইহানের কথা গুলো ঋতু মজা হিসেবে উড়িয়ে দিলেও ইহান কথাগুলো মন থেকেই বলেছে।
ছেলেরা অনেকে ঋতুর পাশে ভাব জমানোর চেষ্টা করছে।
,
নিচে নামার সময় কেউ একজন ঋতুর হাত ধরে টেনে দেয়ালের সাথে হাত দুটি চেপে ধরে।
লোড শেডিং হলো মাত্র।অন্ধকারে কিছুই দেখা যাচ্ছিল না।
নিচে নেমে রুমের দিকে যাচ্ছিল ঋতু হঠাৎ করে কে যেনো হাত ধরে টান দেয়।ইলেক্ট্রিক চলে আসায় বুঝতে পারে এটা এটা শুভ্রের রুম।
ব্যথায় ককিয়ে ওঠে ঋতু।দেয়ালের সাথে হাত চেপে ধরে দাড়িয়ে আছে শুভ্র।চোখ মুখ দেখে মনে হচ্ছে ভয়ংকর রকমের রেগে আছে শুভ্র।মনে হচ্ছে এখনি তার চোখের আগুনে ঋতুকে ভস্ম করে দেবে।
শুভ্রকে রাগতে দেখেছে তবে এই রুপের সাথে আজকেই পরিচয় ঋতুর।ওর যতদূর মনে পরছে সে সারাদিন শুভ্রের থেকে দূরেই ছিল।তাকে তো রাগায়নি বা এমন কোনো কাজ করেনি যাতে শুভ্রর রাগ হয়।ঋতু বুঝতে পারছে না কি হলো হঠাৎ উনার।ভয়ে ঢোক গিলছে ঋতু।
—ক্্্কিিিি হয়েছে,,আমায় এখানে টেনে আনলেন কেনো?
–কি হয়েছে তুই জানিস না?👿ছেলেদের সাথে তোর এতো পিরিত কিসের?খুব (দাঁতে দাঁত চেপে বলছে কথাটা শুভ্র)
–ছেলেদের সাথে পিরিত করবো না তো কি মেয়েদের সাথে করবো?আমি কি সমকামী নাকি?
–খুব সাহস বাড়ছে নাহহহ,,আরো জোরে চেপে ধরে।
তোকে যেনো আমি ঐ ছেলের আশে পাশে আর না দেখি।
আর যদি দেখি তো তাহলে আগে ঐ ছেলেকে মারবো তার পরে তোকে।
—আহহহহহহ!!লাগছে ছাড়ুন।
–লাগুক,লাগার জন্যই তো দি,,,
ঋতুর চোখ থেকে দু ফুটা পানি গড়িয়ে পরলো শুভ্রের হাতে।
সাথে সাথে ঋতুকে ছেড়ে দিয়ে চলে যায় শুভ্র।
সব সময় কেনো এমন করেন উনি!!একটু ভালো ব্যবহার করলে কি হয় উনার।সব সময় কেমন খারুসের মতো করে।
মনটাই খারাপ হয়ে গেলো ঋতুর।কত্ত সুন্দর মজা করছে সবাই।কেউ কিছু বলছে না কাউকে আর উনি কেন জানি আমার সাথেই এমন করে।ধুরররররর ভাল্লাগে না কিছু।
রুমে এসে শাড়ি খুলে ফেলে,,সব কিছু টেনে ছিড়ে ফেলে।
উনার কি!!আরো বেশি বেশি করে করবে ও।
আমি কি করবো না করবো উনাকে বলে করতে হবে নাকি মনে মনে এসব বলছে আর রাগ কমানোর চেষ্টা করছে ঋতু।
আদৌ এসব কথাগুলো জোরে বলার মতো সাহস আছে তো ঋতুর?
এদিকে ঐ বাড়ি
থেকে আসা মেহমান রা সবাই চলে গেছে।
ছাদে সবাই মিলে আড্ডা দিচ্ছে। আমার যদিও বা যাওয়ার ইচ্ছে ছিল না তবে শোভার রিকুয়েস্ট না রেখেও পারলাম না।
জোর করে এসে ধরে নিয়ে গেলো।
ছাদে মাদুর পেতে গোল হয়ে সবাই বসে আছে।সবাই স্যারকে গান গাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে।
ভূতের মুখে রাম রাম।এই কর্কশ কন্ঠি কাক করবে কা কা😂
‘যেই না আমার গলা,নাম রাখছে সুরেলা’😂
এতো তেলানোর কি আছে বুঝিনা,হুহহহহহ
ভাব দেখায় এক্সট্রা ভাব আরকি।কথা গুলো মনে মনে বলছে ঋতু।সাউন্ড হলে নিশ্চিত ধাক্কা দিয়ে নিচে ফেলে দিবে জল্লাদ টা।
আসিক কে কি যেনো বললো ও নিচে চলে গেলো।
একটু পরে একটা গিটার হাতে করে নিয়ে এলো।
তারমানে গান গাইবে উনি।করুক না কিছুক্ষণ কা কা ভালই লাগবে।
.
.
চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here