শুধু_তুমি_চাও_যদি 🥀 #পর্ব – ০৪

#শুধু_তুমি_চাও_যদি 🥀
#পর্ব – ০৪
#লেখনীতে – Aloñe Asha [ছদ্ম নাম]
#Kazi_Meherin_Nesa

আদি ঘুরে তাকায় ধ্রুবের দিকে, বাকা একটা হাসি দিয়ে ওর দিকে, হাতে থাকা স্টেথোস্কোপ গলায় ঝুলিয়ে পকেটে দু হাত গুজে একটু এগিয়ে এসে দাড়িয়ে বলে..

আদিত্য — শুনে ভালো লাগলো যে তুই দিয়ার কথা এতো ভাবিস, বাট ধ্রুব তুই তো আমার ফ্রেন্ড, সেই সুবাদে একটা কথা তো নিশ্চয়ই জানিস যে আমার কিছু নিয়ে অন্য কেউ ভাবলে সেটা আমি ঠিক পছন্দ করি না

ধ্রুব — আমি শুধু সেটাই বলেছি যেটা দিয়ার জন্যে ভালো, তুই ওর সাথে যেটা করছিস সেটা তো..

ধ্রুব পুরো কথা শেষ করার আগেই আদি গম্ভীর কণ্ঠে বলে..

আদিত্য — লিসেন, দিয়ার ভালোমন্দ তোর না ভাবলেও হবে ধ্রুব, সেসব ভাবার জন্যে আরো মানুষ আছে, আর হ্যা ওর কিসে ভালো হবে সেটা ভাবার চিন্তা কিন্তু আমারও আছে

ধ্রুব — হ্যা ভাববি, হাসবেন্ড হিসেবে তুই শুধু নিজের দায়িত্ব পালন করবি, সারাজীবন তুই দিয়াকে শুধু নিজের দায়িত্বের একটা অংশ হিসেবেই দেখে যাবি আর এতে ও খুশি থাকতে পারবে না

আদিত্য — ও হ্যাপি নেই এটা তোকে কে বললো? নিজে নিজেই ভেবে নিলি যে আমার সাথে ও ভালো নেই? দিয়া তোকে নিজে বলেছে নাকি সম্পূর্নটাই তোর মনগড়া ভাবনা?

ধ্রুব — তুই যেভাবে ওর সম্পর্কে কথা বলিস, তাতে যে কেউই বুঝবে যে তোর সাথে ও কেমন থাকতে পারে

আদিত্য — আমার সাথে ভালো আছে ও, ইন ফ্যাক্ট আমি যাই করিনা কেনো দিয়া তার মধ্যে থেকে ঠিকই ওর হ্যাপিনেস খুজে নিতে পারে, এই গুনটা ওর আছে

ধ্রুব — তাই বলে তুই ওর সাথে…

আদিত্য — কিন্তু আমি একটা কথা বুঝতে পারছি না দিয়া আমার ওয়াইফ, আর যাই ইস্যু থাক সেটা সম্পূর্ন আমাদের পার্সোনাল বিষয়.. সেসব নিয়ে তোর এত প্রবলেম কেনো হচ্ছে? তুই তো দিয়াকে ভালোভাবে চিনিস না অব্দি! (ভ্রু কুচকে)

আদির প্রশ্নের থেমে ধ্রুব, কারণ আদির এই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবে না ও..ধ্রুবকে নিরব দেখে আদি বাকা হাসে, ও জানে আর কোনো পাল্টা উত্তর ধ্রুব দিতে পারবে না..

আদিত্য — দেখ একটা কথা তুই ঠিক বলেছিস, দিয়া আমার দায়িত্বের একটা ইম্পর্ট্যান্ট অংশ, ওর জন্যে কোনটা ঠিক কোনটা ভুল, কি ভালো সেগুলো ভাবার জন্যে আমি আছি তো, তুই এত ভাবিস না..তবে হ্যা তুই যদি ভাই হিসেবে বোনের জন্যে ভাবতে চাস তাহলে..

ধ্রুব এবার কিছুটা উচু গলাতেই বলে ওঠে..

ধ্রুব — আমি কিন্তু মজা করছি না, সিরিয়াসলি কথাগুলো বলছি আদি..আমার মনে হলো দিয়ার সাথে অন্যায় করছিস তুই

আদিত্য — আমিও যা বলার সিরিয়াসলি বলছি, আর আজকে ফার্স্ট এন্ড লাস্ট টাইমের মতো বললাম, দিয়াকে নিয়ে এত ভাবিস না.. নাহলে আমাদের এই বন্ধুত্বের সম্পর্ক ফিকে হতে কিন্তু সময় লাগবে না

যথেষ্ঠ শান্তকণ্ঠে আদি কথাগুলো বলে নিজের কেবিনে চলে যায়, কিন্তু সত্যি বলতে আজ প্রথমবার ধ্রুবের আদির বলা কথাগুলো ভালো লাগেনি, অবশ্য লাগার কথাও না..আর তার কারণ ধ্রুব দিয়াকে অনেক পছন্দ করে, একবার দিয়ার পুরো পরিবার ঘুরতে গেছিলো রিসোর্টে, coincidentally ধ্রুবরাও ওই একই রিসোর্টে গেছিলো..তখনই ওদের দেখা হয় আর দিয়াকে ভালো লাগে ওর, এরপর একটু একটু করে দিয়ার সম্পর্কে খোজ নিতেও শুরু করছিলো.. কিন্তু ভালো লাগার মানুষটাকে বলার সুযোগই পায়নি ধ্রুব, তার আগেই তো দিয়ার বিয়ে হয়ে গেলো আদির সাথে.. বৌভাতের দিন ধ্রুব জানতে পেরেছিল যে আদির সাথে দিয়ার বিয়ে হয়েছে..খুব কষ্ট পেয়েছিল নিজের পছন্দের মানুষকে সেদিন নিজের বন্ধুর পাশে দেখে..দিয়া ধ্রুবকে ভালোভাবেই চেনে, কিন্তু বৌভাতের দিন দেখেনি কারণ ধ্রুব দিয়াকে দেখেই ওখান থেকে চলে এসেছিল বিধায় দিয়া জানেনা ধ্রুব আদির বন্ধু..তবে এখনও কেনো যেনো ধ্রুব দিয়াকে ওর বন্ধুর স্ত্রী হিসেবে মানতেই পারেনা, মণের মধ্যে কোথাও দিয়ার প্রতি সেই ভালোলাগার অনুভূতিটা রয়েই গেছে..তবে আদির সামনে এসব প্রকাশ করতে চায় না ও, যা রয়েছে সেটা না হয় মনের মধ্যেই থাক…!!
.
.
সন্ধ্যার কিছু সময় আগেই আজকে বাড়ি ফিরেছে আদি, ধ্রুবের বলা কথাগুলো এখনও ওর মাথায় ঘুরছে..দিয়ার প্রতি ধ্রুবের হঠাৎ এতো কনসার্ন দেখানোর কারণ কি হতে পারে সেটাই ভেবে পাচ্ছে না আদি..এসব ভাবতে ভাবতে ও নিজের রুমের দরজার সামনে আসতেই দিয়া ধপ করে ওর সাথে বারি খায়..আসলে দিয়া বাইরে যেতে যাচ্ছিলো কিন্তু আদিও যে উল্টোদিক থেকে আসছে সেটা বুঝতে পারেনি..প্রায় ছয় ফুট হাইট আদির, আর দিয়া ৫’২..তো আদির সাথে ওর মুখোমুখি ধাক্কা লাগার দরুন দিয়ার মাথা লেগে আদি থুতনির মধ্যে একটু ব্যাথা পায়..আদি হাত দিয়ে থুতনি ধরতেই দিয়া বলে ওঠে..

দিয়া — সরি সরি, তুমি আসছ আমি দেখিনি, ব্যথা লাগেনি তো তোমার?

আদিত্য — নো, আ’ম ফাইন..কিন্তু তুই এতো তাড়াহুড়ো করে কোথায় যাচ্ছিস!

দিয়া — নিচে যাচ্ছিলাম, কিন্তু তুমি আজকে এত তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরে এলে? হসপিটালের কাজ শেষ?

আদি দিয়াকে পাশ কাটিয়ে রুমের মধ্যে ঢোকে..

আদিত্য — কেনো? নিজের বাড়িতে আসতেও কি এখন আমার তোর পারমিশন নিতে হবে?

দিয়া দরজার সামনে থেকে ঘুরে আসে আদির কাছে আর ওর হাত থেকে এপ্রন আর স্টেথোস্কোপ নিয়ে জায়গামতো রাখে, তারপর আদির হাতে তোয়ালে ধরিয়ে দিয়ে বলে..

দিয়া — অবশ্যই না..! আগে এলে তাই বললাম, তুমি জানো আজকে আমার বন্ধুরা আমার থেকে বেশি তোমার কথাই বলছিলো, তোমার সাথে দেখা করতে চায় ওরা..আমিও বলে দিয়েছি ওদের

আদিত্য — কি বলেছিস?

দিয়া — এটাই যে তোমার আমার জন্যেই সময় নেই, ওদের জন্যে সময় বের করবে কিভাবে?

আদিত্য — তোর জন্যে সময় নেই ঠিক আছে, কিন্তু তোর বন্ধুদের জন্যে সময় নেই এটা কবে বললাম? নেক্সট টাইম তোর বন্ধুদের সাথে মিট করবো, বলে দিস

দিয়া বড় বড় চোখ করে তাকায় আদির দিকে, দিয়া যেনো নিজের কানকে বিশ্বাস করত পারছে না..আদি এই কথা বলছে? ও দ্রুত পায়ে আদির সামনে এসে দাঁড়ায় তারপর ওর কপালে গালে হাত রাখে..আদি ভ্রু কুচকে দিয়ার হাত ধরে ফেলে..

আদিত্য — কি করছিস?

দিয়া — তোমার জ্বর টর আসেনি তো? আই মিন, তুমি নিজে থেকে বলছো যে আমার বন্ধুদের সাথে দেখা করবে?

আদিত্য — হ্যা তো? এতে এতো ওভার রিয়্যাক্ট করার কি আছে? কাদের সাথে মিশছিস তুই, কে তোর ফ্রেন্ড সেসব জানার দরকার আছে আমার

দিয়ার হাত ছেড়ে আদি বেড সাইড টেবিলের ওপর থাকা গ্লাসটা নিয়ে পানি খায়..ওর পানি খাওয়া শেষ হতেই ছোটো ছোটো চোখ করে তাকিয়ে দিয়া বলে..

দিয়া — সেটা কেনো? তোমার আমার ওপর ভরসা নেই নাকি?

আদিত্য — তোর কোনো হিডেন সিক্রেট আছে নাকি যেটা আমার সামনে তোর বন্ধুরা ফাঁস করে দিতে পারে?

দিয়া না সূচক মাথা নাড়ায়..আদি বাকা হেসে কাবার্ড থেকে জামা নিয়ে নেয় ফ্রেশ হতে যাবে বলে..

আদিত্য — তাহলে প্রবলেম কিসের? চুপচাপ যেটা বললাম সেটা করবি, আমি একদিন টাইম বের করবো তারপর দেখা করতে যাবো ওদের সাথে, জানিয়ে দিস

দিয়া — তুমি সত্যিই যাবে নাকি আমার বন্ধুদের সাথে দেখা করতে?

আদিত্য — আমি নিজে বলছি তারপরও তোর এত সন্দেহ কেনো বুঝলাম না

কথাটা বলেই আদি ওয়াশরুমে চলে যায় এদিকে দিয়া নিজের জায়গায় স্থির দাড়িয়ে বোঝার চেষ্টা করছে আদির আজকে হঠাৎ হলোটা কি?

দিয়া — আমাকে পছন্দ করেনা, আমার জন্যে সময় নেই আবার আজকে বলে কিনা আমি কার সাথে মিশি সেটা দেখতে যাবে? হঠাৎ হলো কি ওর?

মনে মনে নিজেই নিজেকে কথাগুলো বলে দিয়া, নিজেকে প্রশ্ন করে বোঝার চেষ্টা করে আদির কি হয়েছে কিন্তু আদির মাথায় কখন কি চলে সেটা বোঝা কি আর দিয়ার পক্ষে সম্ভব?
.
.
রাতের খাবার খেতে বসেছে সবাই একসাথে, দিয়া আদি আর ওর মাকে খাবার বেড়ে দিয়ে তারপর নিজেও বসে পড়ে..খাওয়ার এক পর্যায়ে আদি বলে..

আদিত্য — আমাকে জাভেদ আঙ্কেল ফোন করছিলো একটু আগে, উনি বললেন দিয়াকে নিয়ে ও বাড়িতে গিয়ে একটু ঘুরে আসতে

দিয়া — বাবা ফোন করছিলো? তুমি তো আমাকে বললে না কিছু

আদিত্য — তুই নিচে ছিলিস তখন

শেফা — আরে এ তো ভালো কথা, যা না দিয়াকে নিয়ে ঘুরে আয়..১ দিন না হয় থেকে এলি, এমনিতেও তো ওই বাড়িতে গিয়ে থাকিসনি আর যাওয়ার সময়ও তো পাস না

দিয়া — কিন্তু আদিত্য তোমার হসপিটালে কোনো সমস্যা হবেনা তো?

আদিত্য — হুমম, ছোটো একটা সমস্যা একটা আছে.. এই শুক্রবার আমি যেতে পারবো না..প্রত্যেক বছর শীতের সিজনে মফস্বল এলাকায় মেডিক্যাল ক্যাম্প করা হয়, সেখানে আমার হসপিটাল থেকেও টিম যাবে আর সেই টিম আমি লিড করছি..শুক্রবার গিয়ে রবিবার ব্যাক করবো, তাই আমি তো এইবার যেতে পারবো না

শেফা — সেকি..! তাহলে তো দিয়ার বাড়িতে সেটা জানাতে হবে, ওনারা আবার আয়োজন না করে বসে

আদিত্য — আমি যাবো না সেটা আঙ্কেলকে জানিয়ে দেবো তবে, আমি না গেলেও দিয়া যাবে, ও গিয়ে ঘুরে আসুক

আদির কথা শুনে দিয়া মুখ গোমড়া করে ফেলে, একে তো আদির কাছে ওর জন্যে সময় নেই..কোথায় ভেবেছিল ওর সাথে একটু বাপের বাড়ি যাবে এখন সেটাও হবেনা!

দিয়া — আদিত্য মা বাবা আমাদের দুজনকে একসাথে যেতে বলেছে সেখানে তুমি যাবে না আর আমি যাবো এটা হয় নাকি?

আদিত্য — দিয়া আমি আমার কাজের জন্যে যেতে পারছি না তার সাথে তোমার যাওয়ার না সম্পর্ক কি? তুমি যাবে, দরকার পড়লে মাকে সাথে নিয়ে যাও

দিয়া — কিন্তু..

শেফা — আমার মনে হয় আদি ঠিক বলছে দিয়া, তোরা দুজনের কেউই না গেলে কেয়ার আবার খারাপ লাগবে, আমি না হয় যাবো তোর সাথে

আদিত্য — হুমম! এটাই ভালো হবে, আমি না হয় এরপর কোনো সময় গিয়ে আঙ্কেল আন্টির সাথে দেখা করে আসবো

দিয়া — আদিত্য আমি একা..

আদিত্য — দিয়া তুই যাবি, আর কোনো কথা না

দিয়া আর কিছু বললো না, যদিও বাড়ি যাওয়ার অতো তারা নেই এখন ওর, কদিন আগেই তো ঘুরে এলো তবে আদির সাথে যাওয়ার ইচ্ছে ছিলো এখন সেটা হচ্ছেনা..তার ওপর আদি ওকে যেতে বলছে, তবে দিয়া ঠিক করে নিয়েছে আদি বললেও ও যাবেনা..যেমন ভাবনা তেমন কাজই করেছে, খাওয়া দাওয়া শেষে দিয়া ওর মাকে ভিডিও কল করে কথা বলে জানিয়ে দেয় যে ওরা পরে আসবে, সাথে আদির মেডিক্যাল ক্যাম্প যাওয়ার কথাটাও বলে দেয়..

কেয়া — আদিত্য এইবারও আসবে না?

দিয়া — মা ও তো আর ইচ্ছে করে করছে না, তোমার জামাই কতো ব্যস্ত মানুষ জানো তো..তবে বলেছে ক্যাম্প থেকে ফিরেই তোমাদের সাথে দেখা করবে

কেয়া — না না, আদিত্যকে নিয়ে আমাদের কোনো অভিযোগ নেই, ওর ব্যস্ততা বুঝি আমি..আচ্ছা তুই বল, তোদের মধ্যে সব ঠিক চলছে তো?

দিয়া — সব ঠিক আছে মা, আদিত্য আমার অনেক খেয়াল রাখে, হ্যা একটু বকে মাঝে মাঝে তবে সেটা তো আমার ভালোর জন্যেই..তোমাদের মতো করেই আমার কেয়ার করে তাই তুমি আমাকে নিয়ে কিছু চিন্তা করো না তো

ড্রইং রুমে বসে দিয়া ওর মায়ের সাথে কথা বলছিল, ভাগ্যক্রমে আদি তখন নিচে আসছিল ওপর থেকে তখন সেসব শুনে ফেলে..আদির অনেক প্রশংসা করছিলো দিয়া, আবার এমনকিছু কথাও বলছিলো যা আদি কোনোদিন করেনি..দিয়ার মনে আদির জন্যে এতো গভীর অনুভূতি আছে যে কত সহজেই ওর সব দোষ মাফ করে দেয় মেয়েটা, সেটা আদি আজকে যেনো আরো একটু ভালোভাবে টের পেলো..ধ্রুবের বলা কথাগুলো যেনো একটু বেশিই মনে হতে শুরু করলো ওর..নিজেই নিজেকে প্রশ্ন করে বসে আদি যে সত্যিই দিয়ার সাথে অন্যায় করে ফেলছে না তো?
.
.
মায়ের সাথে কথা শেষে দিয়া রুমে এসে দেখে আদি বিছানায় হেলান দিয়ে বসে ল্যাপটপে কিছু করছে, দিয়া কাবার্ড এর ওপর থেকে টিভির রিমোট নিয়ে ধপ করে বিছানায় এসে ওর পাশে বসে, কম্বল দিয়ে ভালোভাবে পা ঢেকে টিভি অন করে বলে…

দিয়া — শোনো মাকে আমি বলে দিয়েছি যে আমরা এখন যাচ্ছি না, আসলে কদিন আগেই তো ঘুরে এলাম, এখন আর যেতে ইচ্ছে করছে না

আদি কোনো উত্তর দিলো না কারণ নিচ থেকে তো শুনেই এসেছে দিয়ার না যাওয়ার কারণ..ওকে চুপ দেখে দিয়া আবার বলে,

দিয়া — আচ্ছা আদিত্য আমি তোমার ব্যাগ প্যাক করে দেবো? এই শো দেখে নেই তারপর তোমার ব্যাগটা প্যাক করে দেবো আমি কেমন? শীতের জামাকাপড় কিন্তু সব নিয়ে যেও

আদিত্য — নো থ্যাংকস, আমি করে নিতে পারবো

দিয়া — আরে নাহ, এইটুকু আমিই করে দিতে পারবো, এমনিতেই কতো দিকে চিন্তা তোমার, আর কদিক দেখবে বলো? আমিই করে দেবো

আদিত্য — তুমি চাইলে আমার সাথে যেতে পারো মেডিকেল ক্যাম্পে..!

দিয়া টিভির দিকে তাকিয়ে ছিল, আদির কথা শুনে চমকে যায় ও..আদি ওকে নিজের সাথে নেবে? ভাবতেই পারছে না তবে খুশি হয়েছে অনেক..তবুও আরেকবার কাপা কাপা কণ্ঠে জিজ্ঞাসা করে..

দিয়া — ক..কি বললে..? আমাকে নেবে তোমার সাথে?

আদি ল্যাপটপের দিকে তাকিয়েই বলে..

আদিত্য — যদি তুমি চাও যেতে পারবে.. আমরা এবার যেখানে যাচ্ছি জায়গাটা সুন্দর, তুমি একটু ঘুরেও আসতে পারবে

দিয়ার মুখে চওড়া হাসি ফুটে ওঠে, মেয়েটা এত খুশি হয়েছে যেটা হয়তো ভাষায় প্রকাশ করতে পারবে না, আদি ওর দিকে তাকিয়ে দেখে হাসিমুখে মেয়েটা ওর দিকে তাকিয়ে আছে..

আদিত্য — হোয়াট..? দেখ আমি কিন্তু ফোর্স করছি না, তোর যদি যাওয়ার ইচ্ছে না থাকে…

দিয়া উত্তেজিত কণ্ঠে দ্রুত গতিতে হ্যা সূচক মাথা নেড়ে বলে ওঠে..

দিয়া — আলবাত যাবো, তুমি বলেছো আর আমি না করবো এটা হয় নাকি? কবে যাবে শুধু সেটা বলো, বাকি গোছগাছের কাজ আমি করে নেবো

চলবে…

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here