ভ্যাম্পায়ার,পর্বঃ৮

#ভ্যাম্পায়ার,পর্বঃ৮
#লেখাঃ লাবন্য নাওয়ার

রাত্রি- whaaat!!! আমি গাড়ি থেকে নামলাম সাথে
ড্রাইভার ও।
গাড়ি র পিছন দিকে গেলাম।
কিন্তু কেউ ছিল না।
ড্রাইভার কাকা এইখানে ত কেউ নেই বলে তার
সামনে যেয়ে দাঁড়ালাম।
তারপর যা দেখলাম তা বলার মত না।এত ভয়ংকর চেহারা
আমি এর আগেও কয়েকবার দেখেছি।
আমি চিতকার করে পিছনের দিকে সরে গেলাম।
গাড়ি র দরজা খুলার চেস্টা করতে লাগলাম।
কিছুতেই খুলছেনা।
নিমি কে চিতকার করে ডাকছি কিন্তু মনে হচ্ছে ও
শুনতেই পাচ্ছেনা।
আমি দৌড়াতে লাগলাম।
পিছনে তাকিয়ে দেখি কেউ নেই।
আমি থেমে গেলাম।
সামনের দিকে তাকাতেই দেখি আমার সামনে
দাড়িয়ে আছে।
আমি প্রহরর বলে চিতকার দিয়ে উঠে সরর যেয়ে
কাদার মধ্যে পড়লাম মনে হল।
আমি সারা গায়ে তাকালাম।
চাদের আলোতে স্পষ্ট দেখতে পেলাম সারা
গায়ে লাল লাল।
মনে হচ্ছে রক্ত।
আমি এটা দেখেই অজ্ঞান হয়ে গেলাম।যখন
জ্ঞান ফিরল তখন
চোখ খুলে দেখলাম প্রহর সামনে দাড়িয়ে
আছে।
আমি দৌড়ে যেয়ে জরিয়ে ধরলাম ওকে।

প্রহর – কি করছ ছাড়ো। সবাই তাকিয়ে আছে।

রাত্রি-আমি পিছনের দিকে তাকিয়ে দেখি নিমি, নিমির
বোন আর দুলাভাই আমার দিকে সবাই ডেব ডেব
করে তাকিয়ে আছে।
আমি সরে পাশে দাড়ালাম।
আসলে….

ইলা আপু- এখন ঠিক আছ??

রাত্রি- হ্যা।

নিমি- তুই ফ্রেশ হয়ে নে।
আমরা আসছি।
প্রহর তুমিও চল।

রাত্রি- এসব কি হচ্ছে আমার সাথে? ? প্রহর কে কি
বলব? ?? বিশ্বাস করবে???
কিন্তু না বলেও ত হচ্ছেনা।
wait a minute … ও এইখানে কিভাবে আসল? ??
ফ্রেশ হয়ে নেই আগে। তারপর প্রহর কে সব
বলতে হবে।
হুম এটাই করতে হবে।
তার আগে জানতে হবে ও এইখানে এলো
কিভাবে??
এত রহস্য কেন আমার জীবনে।
রহস্যে রহস্যে ভরে গেছে।

নিমি- কিরে ফ্রেশ হয়েছিস??

রাত্রি- হুম হলাম ত।
আচ্ছা প্রহর কোথায়??
দেখছিনা ত।

নিমি- ছাদে হতে পারে।ছাদের দিকেই ত যেতে
দেখলাম।

রাত্রি- আচ্ছা।

নিমি- দাড়া দাড়া। কোথায় যাচ্ছিস?? আমার কিছু জিজ্ঞেস
করার ছিল।

রাত্রি- তোর সাথে পরে কথা বলছি।আমার একটু কাজ
আছে।
ছাদের দিকে গেলাম।
ছাদে আরেক জন কথা বলছে ফোনে।
কার সাথে কথা বলছে কে জানে?? আচ্ছা ওই
মেয়েটার সাথে না ত??
তাতে আমার কি উফফ।
এই যে মিস্টার ওয়াট এভার ( কথাটা ইচ্ছে করেই
বললাম।)

প্রহর – কাল কে থেকে রাগ টা চেপে
রেখেছিলাম। ওর এই কথা শুনে রাগ টা আরও ২০ গুন
বেড়ে গেলো।
চেপে ধরলার ওর ২ হাত আর লাগালাম রেলিং এর
সাথে।

রাত্রি- hey what’s ur problem. ?
প্রহর – no you tell me what’s ur problem? বাড়ি
থেকে বের হয়ে গেলে কাউকে কিছু না
বলে।
?? এত সাহস হয় কি করে??
তোমার যদি কিছু হয় দায় কার উপর যাবে আমার উপর।
কিন্তু দোষ টা যে তোমার ….

রাত্রি- দোষ আমার না দোষ টা তোমারি।
তোমার কাজ হচ্ছে আমাকে পাহাড়া দেওয়া।
২৪ ঘন্টা আমার সাথে থাকে।
আর তুমি কি করো?? দিনের ১ ঘন্টা ও কি আমার
সাথে থাকো???
আমার খোজ নেও??
তুমি কি করেছ সকালে না বলেই বের হয়ে
গেলে?? আমাকে জানিয়ে গিয়েছিলে??
যাও নি।
তাহলে তুমি কিভাবে আশা করো আমি তোমাকে
সব বলব??
now u tell me?? speak up!!!!????

প্রহর – সরি।

রাত্রি- সরি!!!?? that’s it?? so easily? ? কোনো
কথা এখন বলার নেই?? অবশ্য থাকবেই বা কি করে।

প্রহর – ওকে ভুল টা আমার।
তোমাকে বলে যাওয়া দরকার ছিল।
যেটা আমি করিনি।
ঠিক আছে??
তা তুমি হঠাত এইখানে আসার প্লান করলে কেন??

রাত্রি- that’s none of ur business .
now back off and let me go.
.
প্রহর – আমরা এখন ই বেক করব??( রাত্রির হাত
টেনে ধরে।)

রাত্রি- সেটাও কি তুমি ঠিক করবে?

প্রহর – I have that right.
.
রাত্রি- আমার উপর তোমার কোনো অধিকার নেই।
ছাড়ো আমার হাত।

প্রহর – (টেনে নিজের সাথে জরালাম) সব অধিকার
আছে আমার তোমার উপর। আর শুধু আমার ই অধিকার
আছে। আর কারও না।

রাত্রি-( এহহ এমন করে বলছে যেনো আমি ওর
বাবার
সম্পত্তি। হুহ।অন্য মেয়ের সাথে ঘুড়ার সময় মনে
থাকেনা।)
ছাড়ো আমাকে আমার ব্যথা লাগছে।
আর আমি এইখানে কিছুদিন থাকব। তুমি যেতে চাইলে
চলে যাও।তোমার
rose আবার একা আছে ।

প্রহর – ওর চিন্তা তোমার করতে হবেনা।

রাত্রি- ওর চিন্তা করতে আমার বয়েই গেছে।
ছাড়ো বলছিত।

প্রহর – হাত ধরে নিচে নিয়ে যাচ্ছিলাম।
আমরা আজকেই যাবো।

ইলা- আরে তোমরা এইখানে নাস্তা করে নেও।

প্রহর – না আসলে আমরা এখনি চলে যেতে চাচ্ছি।

রাত্রি- না আপি আমরা আজ যাবো না।
আমি কিছুদিন থাকব।

ইলা- সেটা ত খুব ভালো কথা।
এত দিন বাড়ি টা খালি ছিল।
তোমরা থাকলে আমার ভালই লাগবে।
তোমার দুলাভাই ত সারাদিন কাজে থাকে।
আর আমি একা।

প্রহর – আসলে..!”
ইলা- না আমি কিছু শুনছিনা। তোমরা থাকছ।

রাত্রি- আমি হাত ছাড়িয়ে নিলাম।
আপি খুদা লেগেছে খুব।

ইলা- হুম চল।
আর প্রহর আসো।
প্রহর – না আমার খুদা নেই।

ইলা- তা বললে হয় নাকি?

প্রহর -( এখন কি করি???) আসলে আমার খারাপ
লাগছে আমি পরে খাবো।
একটু রেস্ট নিব এখন।

ইলা- ও আচ্ছা। নিমি ওকে উপরের গেস্ট রুম টা
দেখিয়ে দে।
ওইখানেই ও থাকবে।

নিমি- ওকে।
রাত্রি- ঢং। হুহ।
প্রহর- এই মেয়ে সব সময় সব কিছুতে বেশি
বেশি করে।
আমি যত সব কিছু থেকে ওকে দুরে রাখতে চাই।
আর ও ততই ….. ধ্যাতা। ওরা যদি ওকে খুঁজতে
খুঁজতে এইকগানে চলে আসে তখন ওর জন্য
অন্যরাও মুশকিল এ পড়বে।
রাত্রি- আমার সাথে বেশি বেশি তাই না।
এখন ঠেলা বুঝ।
নিমি- কিরে খাচ্ছিস না ত

রাত্রি- আমার হয়ে গেছে।
প্রহর – কিং কে ফোন করতে হবে।
rose কেউ ফোন করে জানিয়ে দেই।
.
নিমি – রাতে তোর কি হয়েছিল রে।ওই ভাবে
আমাদের রেখে দৌড়ে পালালি কেন? ?
রাত্রি- (ওকে বললে হয়ত বিশ্বাস করবেনা।
কারন আগেও করেনি।
বলে লাভ নাই।উল্টা আমাকেই পাগল ভাববে) আমার
মনে নেই।
নিমি – r u kidding me???তোর মনে নেই? ?যাক
তাও ত প্রহর ছিল বলেই তোকে পাওয়া।

রাত্রি – whaaaat??
নিমি- হ্যা।
ও ই ত তোকে খুজে আনল

তুই তখন অজ্ঞান ছিলি আর পুরা কাদায় মাখা ছিলি।

রাত্রি- ( কাদা!!!! আমি যে দেখলাম রক্ত!!! ভুল ছিল
তাহলে??)

নিমি- কিরে চুপ হয়ে গেলি?.
রাত্রি- না কিছুনা।
তুই যা আমি শাওয়ার নিবো।
নিমি- ওকে।
ওই যে তোর জামার ব্যাগ।

প্রহর – এইখানে থাকবে বলে দিল।
জামা কাপড় ও আনি নি।
আর ওকে ছেড়েও ত যেতে পারব না।এক বার
ভুল করে গিয়েছিলাম এই কান্ড ঘটালো।
আর রিস্ক নিতে পারব না।

ইলা- প্রহর তুমি ত জামা আনো নি।
এগুলা পরতে পারো।
তোমার হবে।
তারপর ইচ্ছা করলে তুমি দোকান থেকে কিনেও
নিতে পারো।

প্রহর – না না এগুলাতেই হবে।( এই মেয়ের জন্য
কই ফেসে গেলাম)

রাত্রি- শাওয়ার নিয়ে বের হলাম।
মাথায় শুধু ঘুড়ছে প্রহর আমাকে পেলো কিভাবে?
ফোন ট্রেক করে নি ত।
উফফ কি জানি।
ওকেই জিজ্ঞেস করতে হবে।
নিমি- কিরে কোথায় যাচ্ছিস।ভালো মত মাথা মুছে যা।
চুল দিয়ে পানি পরছেত।
জামা কাপড় ভিজে গেলো

রাত্রি- টাইম নাই কাজ আছে

নিমি – ওর আবার কি কাজ।
কে জানে।

রাত্রি- প্রহরের রুমে গেলাম।
নক করেছিলাম কিন্তু কোনো সাড়া পাইনি।
ধাক্কা দিতেই দরজা খুলে গেলো।
একি ও নেই?? এখন কোথায় গিয়েছে?? চলে
গেলো নাকি??
আমার কি।
যাক। তাই ভালো।
চলে আসছিলামম।
পিছন ঘুরতেই বারি খেলাম।
আর ভয়ে চিতকার দিয়ে উঠলাম।
আ আ আ আ ।

প্রহর – মুখ চেপে ধরলাম।
কি হয়েছে?? চিতকার দিচ্ছ কেন? ?

প্রহর – মুখ চেপে ধরলাম।
কি হয়েছে?? চিতকার দিচ্ছ কেন? ?

রাত্রি- ভয় পাইয়ে দিয়েছিলে ত কি করব।? আর তাছাড়া
তুমি ত ছিলেনা।
বলে এতক্ষনে খেয়াল করলাম ও শুধু তোয়ালে
পরে আছে।
আবার দিলাম চিতকার


প্রহর – আবার মুখ চেপে ধরলাম।
কি হয়েছে আবার? ???

রাত্রি- তু তু তু……মি মি মি…

প্রহর – কি? ?? কি বলতে চাচ্ছ।
রাত্রি- লজ্জা নেই কি পরে আছো।

প্রহর – তা আমার কি স্বপ্নে এসে বলে
গিয়েছিলে এখন তুমি আসবে??

কি বলতে এসেছিলে??

রাত্রি-তুমি জানলে কিভাবে আমি কোথায় আছি।
।প্রহর – সেটা তোমাকে বলার প্রয়োজন মনে
করছিনা।

রাত্রি- না না সেটা বললে ত আমি শুনব না।
আমি জানতে চাই।বলেই সামনের দিকে ঘুড়লাম।

প্রহর -ওর চুল গুলা বারি খেলো আমার মুখের
সাথে।
আমি ওর কথা শুনছিলাম।
শুনছিলাম বললে ভুল হবে আমি ওকে দেখছিলাম।
কিন্তু ওর কথা গুলা হয়ত কান পর্যন্ত যাচ্ছিল না।
চুল থেকে টপ টপ পানি পড়ছে।
কপালে নাকে মুখে গলায় বিন্দু বিন্দু পানি জমে
আছে সেই আগের মত।
ঘোরের মধ্যে আছি।

রাত্রি- আমি ওকে এত কিছু জিজ্ঞেস করছি আর ও
…. মুখে মনে হচ্ছে তালা মেড়ে দিয়েছে
কেঊ দাড়াও দেখাচ্ছি মজা
বলে একটা চিমটি দিলাম হাতে।

প্রহর- আহ! ব্যথা লাগল।
আর আমার উঠে গেলো রাগ।
রাগ কোন্ট্রল করা আমার জন্য খুব কঠিন।
সহজেই রাগ উঠে যায়।
তাই ওকে নিজের সাথে জরিয়ে ওর হাত টা ওর
পিঠের সাথে আটকালাম।
মনে হচ্ছে এখনি ঘাড়ে কামোড় মেড়ে রক্ত
খেয়ে নেই।

রাত্রি- আমি প্রচুর ভয় পেলাম যে মুখ থেকে
কোনো কথা ই বের হচ্ছেনা।
শুধু চেয়ে আছি।

প্রহর – তোমাকে আমি কোনো কিছুর জবাব দিব
না। বুজলে!??

রাত্রি- রাগে মমনে হহচ্ছে আরেক টা চিমটি
মেড়ে দেই।তাই নাকি? ? কেন দিবানা শুনি।

প্রহর – সেটা সম্পুর্ন আমার ব্যপার।( তাছাড়া
তোমাকে ত বলতে পারিনা যে অন্য ভ্যাম্পায়ার
আমাকে খবর দিয়েছে।)

রাত্রি- না তোমার ব্যপার না।

প্রহর – don’t bore me. now go.
বলে ছেড়ে দিলাম।

রাত্রি- ( কি বলল আমি বোর করি ওকে??)
পিঠে একটা চিমটি মেড়ে দিলাম দোড়।
ঘরে এসে
মনে হল এতক্ষনে জানে জান আসল।
যে দোড় দিয়েছিলাম।
প্রহর – ওর এমন কাজে আমি রাগ হবো না হাসবো
বুঝতে পারছিনা।
এখনও বাচ্চা ই রয়ে গিয়েছে।

নিমি- কিরে হাপাচ্ছিস কেন? ?

রাত্রি- না কিছুনা।
সারাদিন শুয়ে বসে কেটে গেলো ।
# বিকালে
রাত্রি- নিমি রেডি হয়ে নে। চল বাইরে থেকে
ঘুড়ে আসি।
আর বাসায় থাকতে ইচ্ছে করছেনা।

নিমি – ওকে।
এখনি হচ্ছি।

রাত্রি- রেডি হয়ে নিলাম।
ব্লাক জিন্স, ব্লাক হাফ হাতা গেঞ্জি আর উপরে
রেড শার্ট আর গলায় স্কার্ফ জরিয়ে নিলাম।
আমি আর নিমি ঘর থেকে বের হলাম।
সামনেই দেখি প্রহর দাড়িয়ে আছে।

প্রহর – কোথায় যাচ্ছ??

নিমি- আমাদের সাথে যা…
রাত্রি- নিমি কে থামিয়ে …. যেখানেই যাই তোমার কি
তাতে।
আয় ত নিমি।

প্রহর – রাত্রি র সামনে পথ আগলে দাঁড়ালাম।
আমি তোমার বডি গার্ড ভুলে যেওনা।

রাত্রি- আমি ভুলিনা। হয়ত তুমি ভুলে যাও মাঝে মাঝে।
তাই আর মনে করাতে চাচ্ছিনা।

প্রহর- সমস্যা টা কি??

রাত্রি- এত কিছু বলার টাইম নাই।
সরো।

প্রহর – সামনে থেকে সরে গেলাম।

নিমি- তুই ও না মাঝে মাঝে যা করিস।
ও গেলে কি হত।
আমাদের ত ভালই হত।
এমন হ্যান্ডসাম বডি গার্ড আমাদের সাথে থাকলে।

রাত্রি- চুপ করতো।
গাড়ি চালাতে দে আমাকে।
একটা ব্রিজ এর উপর গাড়ি থামালাম।
অনেক সুন্দর পরিবেশ।
ঠান্ডা বাতাসে শীত লেগে যাচ্ছে।
ব্রিজ এর উপর মানুষ খুব কম।
দুরে ২-৩ টা কাপল দাড়িয়ে আছে।
গাড়ি তে করে দুরে কিছু ছেলে নামল।
পরন্ত বিকেল বেলা।
ছেলে গুলাকে দেখে সুবিধার মনে হল না।
তাই আমি আর নিমি নেমে যাচ্ছিলাম।
কিন্তু ছেলে গুলা পথ আগলে দাড়ালো।
খারাপ মন্তব্য করতে লাগল।

নিমি- এখন প্রহর থাকলে এমন টা হত না।
তোকে বললাম ও তুই শুনলিনা।

রাত্রি- একটা ছেলে গায়ে হাত দেওয়ার জন্য হাত
বাড়াচ্ছে।
আমি আর নিমি ছেলে গুলাকে ধাক্কা দিয়ে দিলাম
দোড়।
পিছে ছেলে গুলাও দৌড়াচ্ছে।
হঠাত সামনে যেয়ে থমকে গেলাম কারন সামনে
প্রহর দাড়িয়ে আছে।

নিমি- যাক তুমি সময় মত এসেছ ।

প্রহর – ছেলে গুলা আমাকে দেখে চলে
গেলো।
আর সামনে এলোনা।

প্রহর – যেয়ে গাড়ি তে উঠো।

নিমি- কিরে দাড়িয়ে আছিস কেন পাথরের মত চল
আরে আয় না।
ঠেলে ঠেলে গাড়ি তে তুললাম।

রাত্রি- গাড়ি থেকে নেমেই নিজের রুমে গেলাম।
কারন আমি জানি সামনে থাকলে অনেক ভাষন শুনতে
হবে।
আর ওত ভাষন হজম করা আমার সম্ভব না।
তাই আগেই কেটে পরলাম।

প্রহর-( তুমি কি ভেবেছ তোমাকে আমি একা
পাবো না ??)

রাত্রি- একে ত ওর উপর রাগ তাও ওই মেয়ের জন্য
আবার তার উপর ওর ভাষন কে শুনতে যাবে।
এর জন্য ত ভয়ে রাতে খেতে ও যায়নি।
রাত বাজে ২ টা

পাশে নিমি ঘুমাচ্ছে আরামে আর আমি ক্ষুদার জ্বালায়
ঘুমাতেই পারছিনা।এখন ত অনেক রাত নিশ্চয় ই প্রহর
ঘুমিয়ে পড়েছে।হুম। এখন ত যাওয়া ই যায়।
আস্তে আস্তে বের হলাম রুম থেকে। আস্তে
আস্তে পা ফেলে রান্না ঘরে গিয়ে ফ্রিজে
কেক ছিল সেটা খেয়ে নিলাম।
তারপর পানির বোতলে পানি খেতে খেতে রুমে
আসছিলাম।
হঠাত মনে হল কোনো ঝড় এসে আমাকে
উড়িয়ে নিয়ে গেলো।

প্রহর – খুব শক্ত করে ওকে দরজায় চেপে
ধরে আছি।

রাত্রি- তু তু তু…… মি…… ঘুমাও নি।

প্রহর – ……..

রাত্রি- ওমন ভ্যাম্পায়ার এর মত তাকিয়ে আছো
কেন? ?

প্রহর – অবাক হয়ে কি বললে!?
রাত্রি- না মানে এইভাবে তাকিয়ে আছো কেন?

প্রহর – আমি যদি তখন না যেতাম কি হত??
রাত্রি- কি আর হত! ? কিছুই হত না।

প্রহর – কিছুই হত না???
তাহলে চল ওদের কাছে আবার দিয়ে আসি।

রাত্রি- কি করছ কি হাত ছাড়ো। তোমার ত সাহস কম না।

প্রহর – তোমার প্রব্লেম টা কি বলত?

রাত্রি- তুমি!”!! তুমি হচ্ছ প্রব্লেম। হইছে। শুনেছ?
এবার শান্তি? ??

প্রহর – আমি তোমার প্রব্লেম তাই ত ??

রাত্রি- হ্যা। তাই ই।

প্রহর – ঠিক আছে।
তাই তোমার কাকু কে ফোন করে বলে দিব
তোমার জন্য নতুন কাউকে রাখতে। কিন্তু তার আগ
পর্যন্ত
আমি যত দিন আছি তোমাকে আমার কথা শুনতে
হবে।

রাত্রি- (রাগের মাথায় কি বললাম। ও কি সত্যি ই আমাকে
ছেড়ে চলে যাবে??)
হ্যা তাহলে ত তোমার ভালই হয় তুমি ওই মেয়ের
সাথে সময় কাটাতে পারবে।

প্রহর – ঘুরে ওর এক পাশে দরজায় জোরে
করে হাত রাখলাম।
কোন মেয়ে?? আর কিসের ই বা কথা বলছ তুমি?

রাত্রি- বাহ! কিছু বুঝ না কিছুই জানো না বুঝি।
আমি rose এর কথা বলছি।

প্রহর – ওকে নিয়ে তোমার কি এত প্রব্লেম শুনি।
ও তোমার কি করেছে??
আর ওর সাথে আমি যাই করি তাতে তোমার কি সেটা
ই ত বুঝিনা।

রাত্রি- মাথা থাকলে ত বুঝবা।

প্রহর – কি বললে?

রাত্রি- কিছুনা। আমার ঘুম পেয়েছে আমি যাবো।
যেতে দেও।

প্রহর – ( মাঝে মাঝে মনে হয় মেয়েটাকে
খেয়ে ফেলি। এত দেমাগ আর এত রাগ।)

রাত্রি- কি হল!?

প্রহর – এমন রাগ লাগছে ওকে ধাক্কা দিয়ে বের
করে দিলাম।

রাত্রি- এত বড় ইন্সাল্ট!!!??? আমাকে এইভাবে বের
করে দিল! ?
আমিও দেখে নিব।
হ্যা এই বলে দিলাম।

প্রহর – নাহ এইভাবে বের করা টা ঠিক হয়নি।
রাগ উঠে গেলে ত আর হুশ থাকেনা।

আমি জানালা দিয়ে রাত্রির ঘরে গেলাম।

চলবে………

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here