ভ্যাম্পায়ার,পর্বঃ৯

#ভ্যাম্পায়ার,পর্বঃ৯
#লেখাঃ লাবন্য নাওয়ার

প্রহর – নাহ এইভাবে বের করা টা ঠিক হয়নি।
রাগ উঠে গেলে ত আর হুশ থাকেনা।

আমি জানালা দিয়ে রাত্রির ঘরে গেলাম।
ওর সামনে বসলাম।
ওর চোখের কোন দিয়ে পানি বেয়ে পরল।
মনে হয় কাঁদতে কাঁদতে ঘুমিয়েছে।
নিজের উপর খুব রাগ লাগছে।
ওর মায়াবি মুখ টা কি মলিন দেখাচ্ছে।
কাল কে সরি বলে দিব।
কপালে হালকা একটু ভালোবাসার পরশ দিয়ে চলে
এলাম।

রাত্রি- আমি উঠে বসলাম।
মনে হল কেউ আমার কপালে …. কিন্তু কেউ ত
নেই….।সকালে ঘুম থেকে উঠে পাশে নিমি কে
দেখলাম না।ঘড়ির দিকে তাকালাম।১০ টা বাজে।
মাথা বারি। এত দেরি কিভাবে হল।

ফ্রেশ হয়ে নিচে যাচ্ছিলাম।
সামনে প্রহর।

প্রহর – রাত্রি রাত্রি দাড়াও আমার কথা আছে।দাড়াও।
ও চলে গেলো।

রাত্রি- হুহ।
আমার বয়েই গেছে ওর কথা শুনার।
নিচে নামতে নামতে অনেক হাসাহাসি শুনলাম ।

ইলা – আরে রাত্রি ঘুম হয়েছে? ? আসো আসো।
পরিচয় করিয়ে দেই
ও হচ্ছে আমার দেবর স্বপ্ন।

রাত্রি- হাই।

স্বপ্ন – হাই।
হাত বাড়িয়ে দিলাম হ্যান্ডসেক করার জন্য।

প্রহর – উপরে দাড়িয়ে দাড়িয়ে দেখছিলাম।

রাত্রি- হ্যান্ডসেক করলাম।

স্বপ্ন – তুমি রাত্রির ফ্রেন্ড রাইট।

রাত্রি- হ্যা। কিন্তু তুমি জানলে কি করে।

নিমি- আমরা ত তোর কথাই বলছিলাম এতক্ষন।

প্রহর – ওরা নিচে বসে এত হাসাহাসি করছে কি
নিয়ে??

ইলা- আরে প্রহর তুমি উপরে দাড়িয়ে আছো
কেন? ?
নিচে আসো।
আমাদের সাথে বসো।
প্রহর – নিচে এলাম।
রাত্রি আমাকে দেখে মুখ ঘুড়িয়ে নিলো।
সবাই আড্ডা দিচ্ছে আর আমি ওকে দেখে যাচ্ছি।
ছেলেটার সাথে এরি মধ্যে এত ফ্রি হয়ে
গিয়েছে।

স্বপ্ন – আচ্ছা আপনি।

ইলা- রাত্রির বডি গার্ড।

স্বপ্ন – বডি গার্ড! ? তোমার আবার গার্ড লাগে এই
বয়সেই হেহেহে।

রাত্রি- it’s not funny!?
.
স্বপ্ন – ok ok im sorry ।তুমি রেগো না।

রাত্রি- হুম একটা শর্তে।
আমাদের সবাইকে ice-cream খাওয়াতে হবে।

স্বপ্ন- ওকে। ডান।
বিকালেই খাওয়াব।

প্রহর – সারাদিন ও, নিমি আর স্বপ্ন আড্ডা দিল।
রাত্রি আমাকে ইগনোর করছে।
আমাকে সরি বলার ও সুযোগ দিল না।

স্বপ্ন- আচ্ছা তোমরা রেডি হয়ে নেও। বের
হতে হবে ত।
আমি ভাবি আর ভাইকে বলে আসি।

নিমি- তুই রেডি হো।
আমি একটু আসছি।

রাত্রি- হুম।

প্রহর – কি হচ্ছে এসব।

রাত্রি- তুমি!!/??

প্রহর – তো কাকে আশা করছিলে? স্বপ্ন কে?

রাত্রি- করলেও কি? ? তোমার তাতে কি?? তুমি যাও।

প্রহর – তুমি আমাকে ইগনোর করছ! ??

রাত্রি- তোমার সাথে কথা বলতে ইচ্ছে করছেনা
আমার।
রাতে যা করেছ।

প্রহর – আমি সেটার জন্য ই সরি বলতে এসেছিলাম।

রাত্রি- তোমার সরি আমার লাগবেনা।
তুমি যাও ত।

প্রহর – ওকে নিজের সাথে জরালাম।
আমি সরি বলছিতো।

রাত্রি – আমার লাগবেনা।
ছাড়ো।

প্রহর – কেনো ছাড়বো?
নিমি-
রাত্রি তোর হয়েছে? ?
( একি দেখছি আমি! !!?)
ওহ সরি পরে আসছি।

রাত্রি- না দাড়া।
প্রহর আমাকে ছেড়ে দাঁড়ালো। নিমি চল।

স্বপ্ন- ও তোমরা রেডি চল।
ও প্রহর তুমিও চল।

নিমি- আরে ও ত যাবেই।
বডি গার্ড বলে কথা।

রাত্রি- ইচ্ছে হলে যাবে না হলে যাবেনা।

নিমি- প্রহর যাচ্ছো ত?
প্রহর – হুম। যাবো।
সবাই মিলে বাইরে মজা করছে।
আর এই ছেলে শুধু ওর পিছনেই ঘুরার কি আছে
বুঝিনা।
ফোন এল। rose ফোন করেছে।

rose আমি বলেছিত কিছুদিন সময় লাগবে আসতে।
কিং কে আমি বলে দিব।
প্লিজ rose.! ok বাই।
ফোন রেখে পিছনে তাকালাম।
রাত্রি ice-cream টা ফেলে চলে গেলো।
হলো টা কি? ? এখন আবার আমি কি করলাম।

রাত্রি-( rose..rose…rose.. আর কিছু নাই দুনিয়াতে)
স্বপ্ন- anything wrong?
রাত্রি- না কিছুনা।
স্বপ্ন-
চল ওইদিক থেকে হেটে আসি।

রাত্রি- না আসলে….

স্বপ্ন – (হাত ধরে) চল ত।

প্রহর – এইসব দেখতে খুব বিরক্ত লাগছে আমার।
না কিছু বলা যায় না সহ্য করা যায়।
তাকিয়ে তাকিয়ে এইসব দেখতে হচ্ছে।
নিমি- সারাদিন খুব ভাল মজা হল তাই না।

রাত্রি- হুম।
কিং – (ফোনে) প্রহর তোমাকে একবার আসতে
হবে।

প্রহর – জি।
রাতে সবাই ঘুমিয়ে পরেছে হয়ত। এখনি কিং এর
কাছে যেতে হবে।জানালা দিয়ে বের হয়ে
গেলাম। জংগল এর পাশে বিশাল একটা পেলেস।
পেলেস এর ভেতরে গেলাম বিশাল অন্ধকার।
হল রুমে প্রবেশ করলাম। ২ পাশের দেওয়ালে
মশাল জ্বালানো। প্রহরিরা দাড়িয়ে আছে।
আমি সামনের দিকে হেটে যাচ্ছি।
সামনে বিশাল সিংহাসনে বসে আছে কিং।
আমি সামনে যেয়ে হাটু গেড়ে বসলাম।

কিং- আমি খুব চিন্তিত প্রহর।
আমি খবর পেয়েছি নাইট এর সৈন্য রা তৈরি।
যেকোনো সময় আক্রমণ করতে পারে।
আমি চাই না এরপর থেকে তুমি আর এক মিনিট ও
রাত্রির থেকে দুরে থাকো।

প্রহর – আমি সব সময় ই শতর্ক আছি।আপনি চিন্তা
করবেন না।
কিন্তু আমি চিন্তা করছি আরেক টা বিষয়।

কিং- কি?

রাত্রি- আমাদের শরীরে যে চিহ্ন সেটা রাত্রির
গায়ে কিভাবে জ্বলছে??? ওর ত রক্তের প্রতি
কোনো টান নেই।
কিং- এটা ও জন্ম থেকেই পেয়েছে।
আর তুমি ত জানো ও মানুষ হয়েও মানুষ না।

প্রহর – কিন্তু ওর স্বভাব ত মানুষ দের মত।

কিং- কারন ওর মধ্যে রক্তের নেশা নেই।
আর তুমি ত জানো ওর বাবা মানুষ ছিল।
আমি ওর থেকে সরে এসেছিলাম কারন আমি জানতাম
আমি কাছে থাকলে হয়ত ওরা তাড়াতাড়ি ওকে চিনে
ফেলবে কিন্তু ওরা রাত্রির খবর বের করে
ফেলেছে।

প্রহর – আপনি চিন্তা করবেন না।
আমি আছি ত

কিং- I know i know.
আমি চেয়েছিলাম যাতে ও ওর এই পরিচয় কখনই না
জানে।
কিন্তু মনে হচ্ছে….

প্রহর – আমি চেস্টা করব যাতে সেটা না হয়।
রাত্রি- এটা কোনো কাজ হল বল?

নিমি- ইশ সেটাই ত ভেবেছিলাম কত মজা করব আজ।
কিন্তু এই বৃষ্টি আর আসার টাইম পেলোনা।

স্বপ্ন – কে বলেছে বৃষ্টির মাঝে মজা করা যায় না।
বা বাইরে যাওয়া যায়না।
রাত্রি- তাই নাকি? সেটা কিভাবে?
স্বপ্ন-
সবাই রেইনকোট পরে আসো।

নিমি- তাতে কি হবে?

স্বপ্ন – আরে আসোই না।
রেইনকোট পরে সবাই বাইরে গেলাম।
বৃষ্টির জোর সামান্য একটু কমেছে।
আমরা এখন হেটে হেটে চা এর দোকানে
যাবো।
দেখ খুব মজা লাগবে।
বৃষ্টির মধ্যেই থাকব কিন্তু বৃষ্টিতে ভিজব না।
কিন্তু বৃষ্টির প্রতি টা ফোটা ইনজয় করতে পারব
অনুভব করতে পারব।

রাত্রি- আসলেই ভাল লাগছে।
প্রতিটা ফোটা অনুভব করছি। বাতাসের সাথে ঝিরি ঝিরি
বৃষ্টির ফোটা এসে মুখে পরছে।
আমি তাকিয়ে আছি প্রহরের দিকে।
আমি যতই রাগ করি ওর উপর আমার মন ছুটে চলে ওর
দিকে।

প্রহর – রাত্রির দিকে তাকাতেই ও চোখ সরিয়ে
নিল।
আমি বুঝতে পারছি ও আমার দিকে বার বার তাকাচ্ছে।
স্বপ্ন- আরে দেখে। রাত্রি কে টান মেরে
সরিয়ে দিলাম। আর ও এসে পরল সোজা আমার
উপর।এখনি ত গর্তে পা চলে যাচ্ছিল।
দেখে চলবেনা?? কিছু হয়ে গেলে কি হত।

প্রহর – কোথায় লেগেছে?? ঠিক আছো ত??
বেশি লাগেনি ত?
রাত্রি- আমি প্রহরের দিকে তাকালাম। ও কথা বলতে
বলতে চুপ হয়ে গেলো।ও তাকিয়ে আছে আমার
আর স্বপ্নের হাতের দিকে।
আমার হাত স্বপ্ন শক্ত করে ধরে আছে।
প্রহর – নিজের উপর রাগ লাগছে।
এই সব ভাবতে যেয়ে আমি সত্যি অন্যমনষ্ক হয়ে
পরেছি।
ঠিক মত ওর খেয়াল ই করতে পারছিনা।

স্বপ্ন – ঠিক আছো।

রাত্রি- হুম।কিন্তু পায়ে ব্যথা লাগছে।
নিমি-
মনে হচ্ছে মচকে গেছে।

প্রহর – কোথায় লেগেছে দেখি।
রাত্রি- না না থাক
। বেশি লাগেনি।
স্বপ্ন – রাত্রিকে কোলে তুলে নিলাম।
রাত্রি- কি করছ? ?
স্বপ্ন – ঠিকি করছি ম্যাডাম।
গাড়ি ত আনিনি আর আপনিও হাটতে পারবেন না।
তাই এ ছাড়া আর উপায় নেই।চল এখন বাসায় যাই।
রাত্রি-প্রহর ওইখানেই হাতের মুঠ শক্ত করে
দাড়িয়ে আছে।
মুখ দেখে বুঝা যাচ্ছেনা রেগে আছে কিনা।
কিন্তু ওর চোখ অন্য কথা বলছে।
প্রহর – একটা ব্যাকুলতা অনুভব করছি।
যেটা না বলা যায় না সহ্য করা যায়।
অন্য কেউ রাত্রি কে স্পর্শ করেছে সেটা আমার
মোটেও পছন্দ হচ্ছেনা।তারপর ও সহ্য করে
নিচ্ছি।
হয়ত এটাই ওর জন্য ভালো।
আফটা অল ধরতে গেলে ও মানুষ ই।
ওর স্বভাব মানুষ দের মতই।

প্রহর – একটা ব্যাকুলতা অনুভব করছি।
যেটা না বলা যায় না সহ্য করা যায়।
অন্য কেউ রাত্রি কে স্পর্শ করেছে সেটা আমার
মোটেও পছন্দ হচ্ছেনা।তারপর ও সহ্য করে
নিচ্ছি।
হয়ত এটাই ওর জন্য ভালো।
আফটা অল ধরতে গেলে ও মানুষ ই।
ওর স্বভাব মানুষ দের মতই।

রাত্রি- আচ্ছা প্রহরের মনে কি আমার জন্য কখননই
কিছু ফিল হবেনা।
ও ত বলেছিল আমার উপর শুধু ওর ই অধিকার।
তাহলে আজ অন্য কেউ আমাকে ধরেছে ও কিছু
বলছে না যে!?

ইলা- কিরে কি হয়েছে?

স্বপ্ন – পা মচকে গেছে।
ডাক্তার কে ফোন কর।

রাত্রি- ডাক্তার আমার ইঞ্জেকশন খুব ভয় লাগে।
প্লিজ!!!!!”

ডাক্তার – এটা দিলে কিছুক্ষন পরেই তোমার পা ঠিক
হয়ে যাবে।

প্রহর – ডাক্তার ইঞ্জেকশন দিতেই রাত্রি স্বপ্নের
হাত আকড়ে ধরল।
সেটা মোটেও সহ্য করার মত নয়।

স্বপ্ন – ওকে উপরে দিয়ে আসি।

ইলা- হ্যা যা।

প্রহর – না থাক আমি দিয়ে আসছি।

রাত্রি- আমি কিছুটা খুশি ই হলাম।
প্রহর কোলে তুলে নিলো আমাকে।
আমি ত চাচ্ছিলাম ই ও আমার খেয়াল রাখুক।
এই খুশি আর এই চাওয়া টাই জানান দিয়ে যায় আমি কত টা
প্রহরকে চাই।
আমি শুধু প্রহর কেই দেখে যাচ্ছি।
কিন্তু ও এক বার ও আমার দিকে তাকালোনা।
বিছানায় শুইয়ে দিয়ে চলে গেলো। সারারাত আমার
ঘুম হল না।
কারন সকালের পর আমি আর প্রহর কে দেখিনি।
পাশে নিমি বেহুশের মত ঘুমাচ্ছে।

প্রহর- পিস্তল ধরে আছি নাইটসস এর সৈন্য দের
দিকে।
৫ জন মিলে ঘিরে আছে আমাকে।
ওরা খবর পেয়ে গেছে রাত্রি এইখানে আছে।
প্রচুর ধস্তাধস্তি র পর আমি ৪ জন কে মারতে
পেরেছি আর ১ জন পালিয়েছে।
এই জায়গা ছাড়ার সময় এসে গেছে না হলে রাত্রির
সাথে সাথে নিমির পরিবারের ও ক্ষতি হতে পারে।

রাত্রি- সারাদিন আমার একবার খবর ও নিতে আসল না।
আজব মানুষ ত। একবার দেখে আসি কি করছে।
আস্তে আস্তে বিছানা থেকে নামলাম। পা এর ব্যথাটা
এখন নেই।আর ও ও তো এখন ঘুমিয়ে গেছে।
একটু দেখে চলে আসব।

প্রহর – কিছুটা আহত হয়েই রুমে এলাম।শার্ট
খুলে ক্ষত স্থান গুলো দেখতে লাগলাম।
ক্ষতের উপর হাত দিয়ে সেগুলা মিশিয়ে দিচ্ছিলাম।
কিন্তু হঠাত চোখ গেলো আয়নার দিকে।
আমি পিছনে ফিরে তাকালাম।
“তুমি!”

রাত্রি – what the heck!!??এইসব কিভাবে হল? ? এত
কাটে গেলো কিভাবে?? কি হয়েছে দেখি? ?

প্রহর – কিছু হয়নি! তুমি এত রাতে? ?
রাত্রি- কথা ঘুরানোর চেস্টা কোরো না।
দেখি কোথায় কোথায় লেগেছে।

প্রহর – কিন্তু….

রাত্রি- প্রহরের মুখ চেপে ধরলাম।
চুপ এত কথা বলো কেন? ?
চুপ করে বসো।

প্রহর – ( অভ্যাস খুব মারাত্মক জিনিস।তুমি
একবার যদি আমার অভ্যাস এ পরিনত
হয়ে যাও ছাড়ানো খুব কস্ট কর হয়ে যাবে।
তোমাকে আমি অভ্যাস এ পরিনত করতে চাইনা।
)

রাত্রি- নেও হয়ে গেছে।
এটা কি করে হল?

প্রহর – পরে গিয়ে ছিলাম।
রাত্রি- ওহ!

প্রহর – তোমার পা!?

রাত্রি- ঠিক আছে।
আচ্ছা রেস্ট নেও। আসছি।

প্রহর – আমরা কাল চলে যাবো।

রাত্রি- কেনো??

প্রহর – ( কেনোর উত্তর টা কিভাবে দিব
তোমাকে?)

রাত্রি- কি হল কিছু বলো?

প্রহর – আমি বলছি তাই( জোরে করে)

রাত্রি- শুধু শুধু চেঁচাচ্ছ কেনো??

প্রহর – কারন তুমি এক কথা এক বারে বুঝনা

বার বার বলতে হয়।

রাত্রি- যাবো না যাবো না।রুম থেকে
বেরিয়ে যাচ্ছিলাম।

প্রহর – ওর হাত টা ধরে হালকা করে মোচোড়
দিলাম।
যাবে কি যাবে না বলো।

রাত্রি- কি করছ ব্যথা লাগছে।
প্লিজ ছাড়ো।

প্রহর – তোমার উত্তর টা কি আগে বলো।

রাত্রি- আচ্ছা আচ্ছা যাবো।

প্রহর – গুড। যাও এখন।

রাত্রি- এ কখন ই শুধরাবেনা।
আর এর মত এক জনকেই আমার পছন্দ হতে হল??
আল্লাহ দুনিয়া তে আর কেউ ছিল না?

ইলা- কিছু বলবে রাত্রি।

রাত্রি- আপি আজ আমিরা চলে যাবো।

ইলা- কেন? কোনো সমস্যা? ??

প্রহর – না কিন্তু ওর কাকু খুব চিন্তা করছে তাছাড়া বাড়ি
ও ত খালি পরে আছে।
সেটা ত ঠিক না।
তাই আরকি।

ইলা- তোমরা এতদিন ছিলে খুব ভালই কাটছিল দিন গুলা।
মিস করবো তোমাদের।

নিমি- আমি কিন্তু যাচ্ছিনা।
আমি আরও কিছুদিন থাকব।

রাত্রি- কিন্তু!

প্রহর – ওকে।
কোনো সমস্যা নেই।

সবাইকে বিদায় দিয়ে গাড়ি তে উঠে গেলাম।

রাত্রি- একে দেখে মনে হচ্ছে এর মধ্যে
কোনো ফিলিংস ই নেই।
ফিলিংলেস কোথাকার।
পাশে একটা সুন্দরী বসে আছে তাও দেখছেনা।
এই যে! শুনছ?

প্রহর – কান আছে সেহেতু শুনতেও পাই।
বলো।

রাত্রি- তোমার কি ক্ষুদা লাগেনা?? ৩ টা বাজে খুব
ক্ষুদা লেগেছে।

প্রহর – গাড়ি থামালাম। বসো আমি আসছি।
কিছু খাবার কিনে আনলাম।
নেও ধরো।

রাত্রি- আমি খাচ্ছিলাম। নেও তুমিও নেও।
প্রহর – আআমার ক্ষুদা নেই।
রাত্রি- কি বলো। ? তুমি পানিও খাওনি ।এতক্ষন হয়ে
গেলো।

প্রহর – আমার ক্ষুদা নেই।

রাত্রি- তুমি মানুষ ই ত????
প্রহর – গাড়ি থামিয়ে অবাক হয়ে ওর দিকে তাকালাম।

রাত্রি- কি হল গাড়ি থামালে কেন? ??
প্রহর – কি বললে তুমি?
।।
রাত্রি- আমি ত এমনি বলছিলাম।
তুমি সিরিয়াস হচ্ছ কেনো?

প্রহর – তুমি চুপ করে বসে খাও।
বেশি কথা বললে তোমাকে খেয়ে নিব।

রাত্রি- মুখ বাঁকালাম।

প্রহর – গাড়ি ছুটে চলেছে। চারিদিকে আধার
নেমে আসছে।
পাশে রাত্রি চোখ বন্ধ করে আছে।
ঘুমিয়েছে মনে হচ্ছে।
আধার বেড়েই চলেছে চারিদিকে।
রোডের ২ পাশেই ঘন জংগল।
এই রোডেই ওইদিন রাত্রির উপর হামলা হয়েছিল।
আজ ও কি হয় নাকি ভাবতে ভাবতেই গাড়ি থেমে
গেলো হঠাত।

রাত্রি- ওমা এত জোড়ে কেউ ব্রেক করে?
সিট বেল্ট না থাকলে ত এখনি বারি খেতাম।

প্রহর – গাড়ি ব্রেক করিনি ,গাড়ি থেমে গেছে।
দেখছি কি হয়েছে
।তুমি বসো।

রাত্রি-চারিদিকে ঘুট ঘুটে অন্ধকার।
দম বন্ধ হয়ে আসার মত।
অন্ধকার মনে হচ্ছে এখনি গ্রাস করে নিবে।
চাদ টা মেঘে ঢাকা পরে গেছে।
আমি গাড়ি থেমে নেমে গেলাম।
প্রহরের পাশে দাঁড়ালাম।

প্রহর – নাহ!

রাত্রি- কি হল।

প্রহর – হেটেই যেতে হবে মনে হচ্ছে।

।রাত্রি- কি বলছ? আর ইউ মেড??
এটা কি ৫ মিনিট এর রাস্তা যে হেটে যাবো।তার উপর
বার বার বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে।

প্রহর – ত কি এইখানেই থাকব।
কিছু ত একটা করতে হবে।
সামনে যেতে থাকি। যদি কিছু পাই।
লিফট নেওয়া যাবে।

রাত্রি- আরে আমাকে একা রেখে কই যাচ্ছ।
আমি প্রহরের হাত চেপে ধরলাম।
প্রহরের হাত টা অনেক ঠান্ডা।
তোমার হাত এতো ঠান্ডা কেনো?

চলবে……..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here