ভ্যাম্পায়ার,পর্বঃ১৩,১৪

#ভ্যাম্পায়ার,পর্বঃ১৩,১৪
#লেখাঃ লাবন্য নাওয়ার
#পর্বঃ১৩

রাত্রি- ( মন ত আমার ভেংগে ছে। )

কাব্য – আংকেল এখন আসি তাহলে।

কাকু- প্রহর আমার রুমে আসো।

প্রহর – কিছু বলবেন। ?

কাকু- আমি জানি তুমি কেনো এইখানে এসেছ? আর
আমি জানি রাত্রির কি হয়েছে?? আর ওর পিছে কারা
লেগেছে??

প্রহর – মানে?

কাকু- রাত্রির বাবা আমার খুব ভাল বন্ধু ছিল।কখনও কিছু
লুকায়নি।
রাত্রির মা যে কি আর তুমিও যে কি আমি সব জানি!

প্রহর – ……..

কাকু- নাইট কিং যে ওর খবর এইখানেও বের করতে
পারে সেটা আমি জানি।তাই আমি চাই তুমি এইখানে
থাকো।
আর হ্যা তোমার কথা কিং আমাকে আগেই
বলেছে।
মানে আমি শুরু থেকেই জানি তুমি কি??
এই কথা তোমার আর আমার মধ্যেই থাকবে।
আমি চাই তুমি রাত্রির খেয়াল রাখো।
তুমি ছাড়া সেটা আর কেউ পারবেনা আমি জানি।

প্রহর – জি।

ইমা- এই যে হিরো!?

প্রহর – আমি!?

ইমা- তুমি নয় ত আর কে।
এটা তোমার রুম।
রেস্ট নেও।
বাই।

প্রহর- দরজা লাগাতে যাবো তখনি রাত্রি হাজির।

রাত্রি- কলার চেপে ধরলাম ওর।
এইখানে কি করতে এসেছ?? কি চাই?? আর তোমার
রোজ কই? ? সাথে আনোনি???

প্রহর – এইখানে তোমার কাকুই আমাকে থাকতে
বলেছে।আর কথায় কথায় রোজ এর কথা
আনবেনা।

রাত্রি- আমি কাকুকে এখনি বলছি তোমাকে আমার
দরকার নেই।জাস্ট ওয়েট।

প্রহর – হাত টেনে ধরলাম। যদি তোমার কাকু রাজি হয়
তাহলে চলে যাব।আগে রাজি ত হোক।

রাত্রি- হুম।আমিও দেখছি রাজি কি করে না হয়।

প্রহর – ওকে।
হাত ছেড়ে দিলাম।
( তোমাকে এই কয়দিন না দেখে আমার কি অবস্থা
হয়েছিল তুমি যদি জানতে।)

রাত্রি- এর থেকে দুরে আসলাম একে ভুলার জন্য।
আর এ ও পিছে পিছে এসে হাজির।
আর কাকু ও রাজি হল না। এখন প্রতি দিন আবার ওকে
দেখতে হবে??
ওকে দেখলেও জ্বালা। না দেখলেও জ্বালা।
কই যাবো আমি।?

প্রহর – না তোমার থেকে দুরে যেতে পারি না
কাছে আসতে পারছি।
আর এই কাব্য টাকে আমার সুবিধার মনে হচ্ছেনা।
তোমাকে কিভাবে গাড়ি তে ধরছিল।মোটেও ভাল
লাগছিল না আমার।
তুমি ত জানোনা।
তোমাকে অন্য কেউ ধরলে আমার বুকের
মধ্যে কি হয়।

রাত্রি-
আমি বুঝেছি আমাকে কি করতে হবে।তোমাকে
আমিও দেখাবো আমি তোমাকে ছাড়া কত ভালো
আছি।

প্রহর- সকালে রুম থেকে বের হয়ে দেখি কাব্য
এসেছে।
( এই ছেলে র কি আর কাজ নেই নাকি? ?)

রাত্রি- আমার লাগছে বিরক্ত। এই কাব্য টা খুব কথা
বলে।কিন্তু কিছু বলতেও পারছিনা।

ইমা- আরে হিরো দাড়িয়ে আছো কেন? ?
এইখানে বসো

প্রহর – হুম।
কাব্য আর রাত্রি গল্প করছে।
আর আমি জ্বলে পুরে শেষ হচ্ছি।

রাত্রি- ( এর কি হয়েছে? ?? এমন লাল হয়ে আছে
কেন? ? কি জানি।)
আমি একটু পানি খেয়ে আসি।

উঠে রান্না ঘরে গেলাম।পানি খেয়ে পিছনে
ঘুড়তে ই দেখি প্রহর।

প্রহর – হাত ধরে ওর পিঠে লাগালাম। হাত টা একটু
মোচোড় দিলাম।

রাত্রি- কি করছ? ব্যথা লাগছে।

প্রহর – খুব মজা তাইনা।
আরেক জন গায়ের উপর এসে পরছে তোমার
খুব ভাল লাগছে তাইনা?

রাত্রি- তাতে তোমার কি হ্যা?? তোমাকে কেন
উত্তর দিতে যাবো??
ছাড়ো।

প্রহর – তোমাকে বলেছিনা তোমার উপর শুধু
আমার ই অধিকার।

রাত্রি- কিসের অধিকার? ?? হ্যা?? কোন অধিকার এর
কথা বলছ? ? তুমি অন্য কাউকে ভালবাসো।
আর রোজ এর উপর তোমার অধিকার। আমার উপর
নয়।

প্রহর – আরে সেটা ত মিথ্যা ছিল।( কথাটা বলে
নিজের জিভ কাটলাম। )
রাত্রি- কি বললে মিথ্যা??

প্রহর – না মানে।

রাত্রি- তুমি নিজের মুখে বলেছ তুমি ওকে
ভালবাসো।

প্রহর – কিছু না বলে চলে এলাম।

রাত্রি- এর কথার আগা মাথা কিছুই বুঝিনা।
(মিথ্যা ছিল? ? ) কথাটার মানে কি দাড়ালো? ?
উফফ যাই হোক।আমি এত কিছু ভাবছি কেন?

ইমা- আপি এত ক্ষনে তোর পানি খাওয়া হল।
কাব্য – আমরা ঘুড়তে যাওয়ার প্লান করেছি বিকালে।

রাত্রি- যাক ভালই করেছ।

প্রহর – কি ব্যাপার রেডি হয়ে কোথায় যাচ্ছ?

ইমা- বেড়াতে যাচ্ছি।
তুমি কিন্তু যাবে।

রাত্রি- ওর যাওয়ার দরকার নেই।আমি ফোন টা নিয়ে
আসি।

গাড়ি তে উঠে দেখি প্রহর বসে আছে।

ইমা- আপি বেশি ভেজাল করিস না।হিরো যাচ্ছে।
রাত্রি- তুই ওকে হিরো হিরো করিস কেন?

ইমা- উফফ আপি তুই ও না।

প্রহর- কাব্য আর রাত্রি একসাথে বসে আছে।

ইমা- ( হিরো লুকিং গ্লাস এ বার বার আপি কে
দেখছে। বুঝাই যাচ্ছে ব্যপার ত কিছু একটা আছে।
কিন্তু আপি যে বলল ওর গার্ল ফ্রেন্ড আছে??
কিন্তু ……. ব্যপার টা
কি? )

রাত্রি- খুব সুন্দর ত জায়গা টা। চারিদিকে পাহাড় । একটা
ঝড়না এর বুক চিরে পরছে।

মনে হচ্ছে তুষার পড়েছিল।কিছু কিছু জায়গায় বরফ
জমে আছে।

ইমা- আপি দেখ কি সুন্দর ঝড়না।
চল না ওই টার কাছে যাই।
প্লিজ প্লিজ।

কাব্য – হুম চল যাওয়া যাক।
কিন্তু দেখে শুনে পা রাখবে।এই রাস্তা টা কিন্তু খুব
উচু নিচু।
পা পিছলে গেলে কিন্তু খবর আছে।

রাত্রি- হুম।দেখে শুনেই চলব।

প্রহর – ইমা রাত্রি আগে আগে আমি আর কাব্য পিছে
পিছে হাটছি।
হঠাত ই রাত্রির পা পিছলে গেলো।আমি ওর হাত টা
ধরলাম।

রাত্রি- হাত টা ঝাকি দিয়ে ছাড়িয়ে নিলাম।

প্রহর – মেয়ে টা খুব রেগে আছে।
একে যদি এখন আমি বলিও “আমি তোমাকে ভালবাসি,
রোজ কে না” তাও মনে হয়না আমাকে মানবে।
উল্টা আমার মাথা ফাটাবে।তাহলে ত আরেক ভেজাল
হবে।
মাথার ত কিছু হবেনা উল্টা ও জেনে যাবে আমি মানুষ
ই না।
হায় রে।
কেন যে বলতে গিয়েছিলাম রোজ কে ভালবাসি।
এখন বসে বসে নিজের মাথা চাপড়াই।

কাব্য – কিছু ভাবছ!?
প্রহর – না। কিছুনা।

ইমা- উফফ এই পাথুরে পথ চলা খুব কস্ট।
দুরর।
হাটতেই ত পারছিনা।

রাত্রি- তুই ই ত আসতে চাইলি।

ইমা- তা তুই ও ত মানা করিস নি।

রাত্রি- আচ্ছা তুই ঝগড়া থামা।

ইমা- এই প্রহর আমার হাত টা ধর না।আমি হাটতে পারছিনা।

প্রহর – আমি এই কথা শুনে তাকালাম রাত্রির দিকে ও ত
আমার দিকে রেগে লাল হয়ে তাকিয়ে আছে।

ইমা- কি হল!?

রাত্রি – তোমাকে ধরতে হবেনা।আমিই ধরছি।
ইমার হাত ধরে হাটতে লাগলাম।

ইমা- ( হুম ব্যপার টা কিছু কিছু ক্লিয়ার হচ্ছে তাহলে। )
আমি মিট মিট করে হাসছি।

রাত্রি- হাসছিস কেন? ? অন্য মনষ্ক হয়ে হাটতে
যেয়ে পাথরের সাথে বারি খেয়ে পড়েই
যেতে নিচ্ছিলাম।
কেউ আমাকে ধরল।
চোখ খুলে দেখি কাব্য।
কাব্য – ঠিক আছো।

রাত্রি- হ্যা। ও মা!!!!

কাব্য – কি হল।কি হয়েছে! ???

রাত্রি- মনে হচ্ছে পা এ মোচকে গেছে।আরে
আরে কি করছ? কোলে নিচ্ছ কেন?

কাব্য -ম্যাম আপনি হাটতে পারছেন না। তাই নিতে হল।

ইমা- ( মিটমিট করে হাসছি আমি
প্রহর কে দেখে।
ওর ফেস টা দেখার মত হয়েছে। কাহিনি ত আগেই
বুঝতে পেরেছিলাম এখন শিউর হয়ে গেলাম।
কিন্তু এই গার্ল ফ্রেন্ড এর চক্কর টা বুঝলাম না।
মেবি আপু রেগে বলেছে কথাটা। )

কাব্য – এইখানে বসো আমি পা টা একটু দেখি।
প্রহর – আমি দেখছি।
কাব্য কে সরিয়ে দিয়ে রাত্রির পা এর কাছে বসলাম।
পায়ে ত কোনো মতই মেয়ে হাত দিতে দিবেনা।
তাও জোর করে পা ধরে দিলাম একটা মোচোড়।

রাত্রি- প্রহরের হাত খামচে ধরে দিলাম চিতকার।

চলবে……….

#ভ্যাম্পায়ার

#লেখাঃ লাবন্য নাওয়ার

#পর্বঃ১৪

রাত্রি- প্রহরের হাত খামচে ধরে দিলাম চিতকার।

ইমা- আরে বাবা থাম।কান গেলো।

প্রহর – দেখো এখন পা ঠিক আছে।

রাত্রি- হ্যা। এখন ঠিক আছে।আমি এইখানে বসি।
তোমরা সামনে থেকে ঘুড়ে আসো।

ইমা-( কাব্য থাকলে এদের মধ্যে কথা হবেনা।
আসল প্যাঁচচ টা বুঝতে হলে কাব্য ভাইকে সরাতে
হবে।হুম)
ভাইয়া চল ওইদিক থেকে ঘুড়ে আসি।

কাব্য – কিন্তু রাত্রি!?

ইমা- আরে প্রহর আছে ত সমস্যা নাই।
চল ত।কাব্য ভাইয়া কে নিয়ে অন্য জায়গায় সরে
গেলাম।

রাত্রি- (এখন বসে বসে এর মুখ দেখব! ? হাহ .আমার
আর খেয়ে দেয়ে কাজ নেই।)

প্রহর – কোথায় যাচ্ছ!?

রাত্রি- তোমার কি! ? আমি যেখানে খুশি যাবো।
হাহ আসছে প্রশ্ন করতে।
বলতে না বলতে হঠাত খুব জোরে একটা গাছের
সাথে প্রহর আমাকে আটকে ধরল।

প্রহর – সোজা কথার সোজা উত্তর দিতে কস্ট
হয়! ?

রাত্রি- তাহলে প্রশ্ন করই কেন? ? ছাড়ো আমাকে
ছাড়ো বলছি।
আমি কিন্তু ইমা কে ডাকব।

প্রহর – হ্যা ডাকো।

রাত্রি- ডাকতে যাবো তখনি দেখলাম ও আমার দিকে
মুখ বাড়ালো। আমি সাথে সাথে মুখ হাত দিয়ে
ঢাকলাম।
আস্তে আস্তে হাত নামিয়ে ওর দিকে তাকালাম।
চোখ দেখে মনে হচ্ছে এখনি গিলে খাবে।
কি হয়েছে এইভাবে তাকিয়ে আছো কেন? ?

প্রহর – হাত ২ টা ধরে ওর পিঠে লাগালাম।
খুব মজা তাইনা।অন্য জনের সাথে হাসছ, কথা বলছ,
অন্য জন কোলে নিয়ে বেড়াচ্ছে।

রাত্রি- তাতে তোমার কোন ক্ষতি হয়েছে! ??
তুমি আমাকে স্পর্শ করবেনা।

প্রহর – ত কে স্পর্শ করবে!? কাব্য!?

রাত্রি – হ্যা ও ই করবে।
তুমি আমাকে ছেড়ে রোজ এর কাছে যাও।

প্রহর – ওর চুল খুব শক্ত করে ধরলাম। আর মুখ টা
উঁচু করলাম।

রাত্রি- কি ভাবছ তোমাকে আমি ভয় পাই? ?

প্রহর -( আমি তোমার এই রাগ, টা কে খুব ভয় পাই।
তোমাকে হারাতে ভয় পাই।
আমি ভুল করে ফেলেছি বুঝতে পারছি।
কারন তোমাকে অন্য কারো সাথে আমি দেখতে
পারব না।আমি নিজেকে খুব বুঝিয়েছি।কিন্তু বার বার
হেরে গেছি।)
রাত্রি- ও অন্যমনষ্ক তাই ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিলাম।

প্রহর – কিন্তু আমি ওকে ধরে ওর পিছনে দাড়া
হলাম।

রাত্রি- (ওকে ছাড়াতে চাচ্ছি।খুব শক্ত করে ধরে
আছে।
এ কি চায় বুঝিনা। )
কাধ থেকে আস্তে করে চুল গুলা সরাতেই আমি
কেঁপে উঠলাম। কারন ওর স্পর্শ খুব ঠান্ডা।

প্রহর – ওর কানের সামনে মুখ নিয়ে আস্তে
করে বললাম”” তোমাকে আমি ছাড়ছি না। যেখানেই
যাবে আমাকে পাবে””

রাত্রি- চোখ বন্ধ করে ওর হাত শক্ত করে ধরলাম।
ঘাড়ে ওর ঠোটের স্পর্শ পেতেই ওর হাত
খামচে ধরলাম।
নিজেকে খুব শক্ত করে রেখেছি।

প্রহর – ঘাড়ে আরেক টু আদর করতেই রাত্রি সরে
গেলো কাছ থেকে।

ইমা- খুব সুন্দর ওই জায়গা টা তাই না ভাইয়া।

কাব্য – হুম।
আরে তোমরা এইখানেই দাড়িয়ে আছো?
আমি ভাবলাম তোমরাও
আসবে।
কিন্তু এলেনা দেখে চলে আসলাম।

রাত্রি- আমার ভাল লাগছেনা আমি বাসায় যাবো।

কাব্য – ওকে।
এখন হাটতে পারবে ত না আবার কোলে নিব।

রাত্রি- না না হাটতে পারব।
আড় চোখে প্রহরের দিকে তাকালাম।
ও আমার দিকেই তাকিয়ে আছে।আমি তাড়াতাড়ি চোখ
সরালাম।
গাড়ি তে আমি আর ইমা পাশাপাশি বসলাম।

প্রহর – রাত্রিকে কাব্যের পাশে বসতে দেইনি।
এতে কাব্য অনেক টাই অসন্তোষ আমি বুঝতে
পারছি।
তাতে কি? ?

ইমা – আপি ঘুমিয়ে পরেছ?

রাত্রি- না কিছু বলবি?

ইমা- তোমার আর প্রহরের কি কাহিনি? ?

রাত্রি- মা,,,,মা,,,,মানে???( তখন কিছু দেখে নেয়নি ত)

ইমা- আরে তুমি ওর উপর রেগে থাকো তাই বলছি
আরকি।( আপি আমি ত সব ই দেখেছি কিন্তু
তোমাকে এখন বলব না।সময় আসুক।)

রাত্রি- না এমন কিছু না।
তুই যা ত আমি ঘুমাব।

আমি হালকা ঘুমে ছিলাম।মনে হল কেউ আমার গালে
স্পর্শ করল।
আমি ভয়ে নড়ছিনা।
হালকা করে চোখ খুললাম।
কেউ চলে যাচ্ছে আধারের মাঝে মিশে
গেলো।
আমি উঠে লাইট জ্বালালাম।
এক ঢকে এক বোতল পানি খেয়ে নিলাম।
কে এসেছিল? ? প্রহর না ত ??

প্রহর – সকালে রাত্রির ঘরে গেলাম।
বেহুশের মত ঘুমাচ্ছে।আমি ওর মুখের উপর থাকা
চুল গুলা সরিয়ে দিলাম।

রাত্রি- আমি চমকে উঠে বসে পড়লাম।
তুমি! ?? এখন আবার এসেছ? ?

প্রহর – আবার এসেছি মানে?

রাত্রি- রাতেওও ত এসেছিলে!

প্রহর – রাতে আমি এসেছিলাম? ? তুমি আমাকে
দেখেছ? ?

রাত্রি- না দেখলেও আমি জানি তুমি ই এসেছিলে।আর
কে আসবে তুমি ছাড়া।

প্রহর -( আমি ত আসিনি তাহলে নাইট না ত ………।ও
তাহলে জেনে গেছে রাত্রি এখানে আছে?
আমাকে আরও সাবধানে থাকতে হবে।এখন ওকে
কিছু বুঝতে দেওয়া যাবেনা।)
এসেছিলাম তাতে কি? ?

রাত্রি- তোমার ত সাহস কম না।

প্রহর – সাহসের ত কিছুই দেখোনি।

রাত্রি- দেখতেও চাইনা।
যাও এখন।
।( হুহ আমি যখন পাত্তা দিয়েছিলাম তখন ত
…… আর এখন!!!!)

রোজ- ( ফোনে) কি বলছ এইসব। তাহলে ও
নিশ্চয় ই নাইট হবে।এখন কি করবে??

প্রহর – নজরে রাখতে হবে। রাতে আমি ওর ঘরে
নজর রাখব।
যেই হোক না কেনো রাতে আবার আসবে।
আচ্ছা রোজ রাখছি।

রাত্রি- রোজের নাম টা শুনে সামান্য ধাক্কা দিলাম
প্রহর কে এতে করে ওর হাত থেকে ফোন টা
পরে গেলো।

মুখ ভেংগিয়ে চলে এলাম।

প্রহর – নিশ্চয় ই আবার রোজের নাম টা শুনেছে।
আমিও ওর পিছু পিছু গেলাম।

ইমা- হ্যাপি বার্থডে আপিইইইইইইই।

প্রহর – আজ ওর জন্মদিন।
ডেম। কি করে ভুলে গেলাম।
দুরর।

রাত্রি- থ্যক্স।

কাকু&কাব্য – হ্যাপি বার্থডে।

রাত্রি- সবাই উইশ করল।আর এ!? বুঝলামম জানেনা।তা
সবাই বলার পর ত জেনেছে।
তখন ত উইশ করতে পারত।
উল্লুক, ভাল্লুক একটা।
( আমি তোমাকে ছাড়ছিনা।যেখানে যাবে আমাকে
পাবে।আহারে কি ডায়লগ দিল কালকে আর এখন! ?)
সারাদিন হয়ে গেল চোখেও দেখলাম না।

ইমা- আপি চল শপিং করে আসি।সন্ধায় বাবা পার্টি দিচ্ছে।
উফফ কি মজা।

রাত্রি- না রে আমার ভাল লাগছেনা।

ইমা- আমি কিছু শুনছিনা ।চচচল।

রাত্রি- বিকালের দিকে বের হলাম।সন্ধ্যায় আসতে
আসতে দেখি সারা বাড়ি সাজানো হয়ে গেছে।
অনেকেই চলে এসেছে।

কাকু- রাত্রি ইমা তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে আয়।

প্রহর – সারাদিন আজ রাত্রিকে দেখিনি।
পার্টি তেও দেখছিনা।
তারপর দেখলাম ও আর ইমা সিড়ি দিয়ে নামছে।
রাত্রি কালো একটা গাউন পরেছে।চুল গুলা কাধের
এক পাশে।
এত সুন্দর লাগছে। বলার মত না।
আমি সামনে যাওয়ার আগেই কাব্য গেলো তাই আমি
আর গেলাম না।

রাত্রি- প্রহর কে ত দেখতেই পাচ্ছিনা।

ইমা- কিরে কাকে খুঁজছিস?
রাত্রি- না কাউকে না।

ইমা- আপি ওই দেখ প্রহর।

রাত্রি- কই কই?

ইমা- হিহিহি।

রাত্রি- তোকে না।

ইমা- আপি দেখনা সব কাপল ডান্স করছে চল না
আমরাও যাই।
রাত্রি- না না। আর অন্ধকারে আমি ভাল দেখতে পাব
না।লাইট ডিম করে রাখার যে কি দরকার ছিল।
কাব্য – রাত্রি চল ডান্স ফ্লোরে।
রাত্রি- না না।
আমি যাবোনা।

কাব্য – তুমি না বললে আমি শুনব নাকি।
হাত ধরে টেনে নিয়ে গেলাম।

প্রহর – হাতে গ্লাস ছিল।জোরে করে চাপ দিতেই
ভেংগে গেলো।
হাত সামান্য একটু কাটল।
অন্য হাত দিয়ে কাটা টা মিলিয়ে দিলাম।

ইমা- গ্লাস ভেংগে আর কি হবে।
কিছু না করলে কাব্য হয় ত আপি কে তুলেই নিয়ে
যাবে।

প্রহর – সেটা হতে দিলে ত।

রাত্রি- কাব্য একটু দাড়াও আমি পানি খেয়ে আসি।

কাব্য – ওকে।
রাত্রি- আল্লাহ বাচায়ছে।
পানি খাওয়ার নাম করে ইমা কে খুঁজতে লাগলাম।
হঠাত কেউ হাতে টান দিল।
আরে কে!?

প্রহর – ওকে কোলে তুলে নিলাম।

রাত্রি- ‘তুমি! ??? কি করছ? ? কোথায় নিয়ে যাচ্ছ! ?
নামাও।

প্রহর – চুপ একদম চুপ।

চলবে…………

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here