অপ্রত্যাশিত মুহূর্ত-২

অপ্রত্যাশিত মুহূর্ত-২
এ রহমান

হলদে চিরকুটটা আলতো হাতে ধরে বিস্ময় নিয়ে সেদিকে তাকিয়ে আছে ঈশা। স্বপ্ন নাকি সত্যি এটা? নিজের ঘোর কাটাতে পুনরায় চিরকুটটায় চোখ বুলিয়ে নিলো আরও একবার। কয়েকবার পলক ঝাপটে নিজেকে ধাতস্থ করার চেষ্টা করলো। এক মুহূর্ত ভাবতেই চোখের সামনে পুরো দৃশ্যটা স্পষ্ট হয়ে গেলো। তার মানে রাতে ঈশা ঘুমের ঘোরেই আবছা ভাবে দেখছিল কেউ একজন তার পুরো ঘরে বিচরন করে বেড়াচ্ছে। সেটা পুরোটাই সত্যি ছিল। কিন্তু ঘুমের মাঝে সেটাকে স্বপ্ন ভেবে মাথা থেকে বের করে দেয় বিষয়টা। এক দৌড়ে বের হয়ে আসে। বারান্দায় গিয়ে দাঁড়ায়। আশপাশটা ভালো করে দেখে নেয়। কোথাও এক চুল পরিমান জায়গা নেই কারো ঢোকার মতো। তাহলে বারান্দা টোপকে আসাটা তো অসম্ভব। আসলো কিভাবে মানুষটা? ঈশা দৌড়ে ঘরে চলে এলো। চারিদিকে অস্থির দৃষ্টি ফেললো। বাইরে থেকে তার ঘরে ঢোকার মতো কোন উপায় নেই। কিন্তু ঘরে তো ঢুকেছে এটা কনফার্ম। তাহলে ঢুকল কিভাবে? দরজার দিকে তাকাল গভীর দৃষ্টিতে। ঈশা যদিও বা রাতে তার ঘর ভেতর থেকে লক করেনা। তবুও এদিক দিয়ে আসতে গেলে তো মেইন গেট দিয়েই ঢুকতে হবে। আর সেদিক দিয়ে ঢুকলে কেউ না কেউ দেখে ফেলবে। একটা অপরিচিত মানুষ তার ঘরে ঢুকে এভাবে ফুলের পাপড়ি ছিঁড়ে বিছিয়ে দিলো আর কেউ দেখল না? অনেকটা সময় ছিল লোকটা। কারো না কারো চোখে পড়ার কথা তো। সেরকম কিছু হলে এতক্ষনে তো বাড়িতে হাঙ্গামা শুরু হয়ে যেতো। এখনো সব শান্ত মানে কেউ কিছুই জানে না। অদ্ভুত ব্যাপার! মাথাটা ঘুরে উঠলো তার। বিছানায় বসে ভাবতে লাগলো। কোনভাবেই হিসাবটা ঠিক করে মেলাতে পারলো না। একে একে নিজের বাড়ির প্রতিটা মানুষকে সন্দেহের তালিকায় ফেলে কয়েক মুহূর্ত ভাবল। কিন্তু সেরকম কাউকেই ঠিকঠাক মেলাতে পারলো না। হতাশ হয়ে একটা শ্বাস ছাড়ল। মাথাটা ভীষণ যন্ত্রণা করছে। কিছুই বুঝতে পারছে না সে। অসহায়ের মতো হাতে ধরে থাকা কাগজটায় পুনরায় চোখ বুলিয়ে অসহায়ের মতো বলল
–আবার সারপ্রাইজ!

–ঈশা খেতে আয়।

মায়ের গলার আওয়াজ পেয়েই হলদেটে কাগজটা হাতের মুঠোয় নিয়ে লুকিয়ে ফেলল। শুকনো ঢোক গিলে বলল
–আসছি।

খুব সাবধানে কাগজটা ড্রয়ারে রেখে দিলো। কেউ দেখে ফেললে বিষয়টা জটিল হয়ে যাবে।। তার আগে ভাবিকে ম্যানেজ করতে হবে যা দেখছে সেটা নিয়ে যেন কারো সাথে আলোচনা না করে। তড়িঘড়ি করে ওয়াশরুমে চলে গেলো। খুব বেশী সময় নিলো না। কিন্তু তার মাথায় বিস্তর ভাবনা। লোকটার সাহস আছে বলতে হয়। ঈশার ওভাবে সামনে আসার কথাটা বলা উচিৎ হয়নি। নিজের ফাদে নিজেই পড়ে গেল। বেশী পাকনামি করতে গিয়ে নিজের বিপদ ডেকে আনল। কিন্তু এবার কি সারপ্রাইজ দেবে? ভাবতেই পারছে না কিছু ঈশা। তার মাথা কেমন যেন করছে। নিজেকে যথাসাধ্য সামলে নিয়ে ঘর থেকে বের হল। টেবিলে বাড়ির সবাই বসে আছে। ঈশা একটা চেয়ার টেনে বসে পড়লো। নাস্তাটা শেষ করেই ঘরে চলে এলো। ভার্সিটির জন্য রেডি হতে হবে।

————–
প্রথম ক্লাসটা শেষ করে মাঠে বসে আছে ঈশা। সাথে তার বন্ধু মহল। চলছে আড্ডা। ইফতি গতকাল রোজ ডেতে ঘটে যাওয়া সেই ঘটনার বর্ণনা করছে বেশ আয়োজন করে। ছেলেটা এই বিষয়টাতে একদম এক্সপার্ট। যে কোন ঘটনা খুব যত্ন করে বর্ণনা করতে পারে। ইফতির কথা শেষ হতেই মায়া বলে উঠলো
–শুধু রোজ ডেতে এতো কিছু করেই শেষ? প্রপোজ ডেতে প্রপোজ করবে না?

ঈশা গভীরভাবে কিছু একটা ভাবছিল। তাই সেটা তার কান পর্যন্ত পৌঁছায়নি। ইফতি একটা কাগজের বল বানিয়ে ঈশার নাক বরাবর মেরে দিলো। চমকে তাকাল সে। তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে চিৎকার করে বলল
–ইফতি?

ইফতি দাঁত কেলিয়ে বলল
–সেই গায়েবী প্রেমিকের ভাবনায় এখনই হারিয়ে গেলি? সামনে আসলে নিজেকে মনে রাখতে পারবি তো? ভেবে দেখিস। আমার তো খুব ভয় করছে।

শেষের কথাটা কৌতুক করেই বলল সে। বন্ধু মহলে হাসির রোল পড়ে গেলো। ঈশা বেশ বিরক্ত হল। ঝাঁঝালো গলায় বলল
–বাজে বকিস না। আমি অন্যকিছু ভাবছি।

সবার দৃষ্টি তীক্ষ্ণ হল। ঈশার দিকে মনোযোগ দিলো। মায়া কৌতূহলী হয়ে জিজ্ঞেস করলো
–কি ভাবছিস?

–আজ নাকি আবার সারপ্রাইজ দেবে। কিন্তু এখনো তো কোন সারপ্রাইজ এলো না। কি এমন সারপ্রাইজ আসতে পারে সেটা নিয়েই ভাবছি।

ইফতি ঠোঁট চেপে হেসে বলল
–প্রপোজ করবে নিশ্চয়। তাছাড়া আর কি করবে? এখন কিভাবে সেটা উপস্থাপন করবে সেটাই ভাবার বিষয়। নিজে সামনে আসবে নাকি অন্যকোন ভাবে করবে। আমার তো খুব চিন্তা হচ্ছে।

মায়া বেশ উতফুল্য ভাবে দুই হাত একসাথে চেপে ধরল। বলল
–আমি তো অধির আগ্রহে বসে আছি সেই দৃশ্য দেখার জন্য। রোজ ডেতে যে এতকিছু করলো। প্রপোজ করতে না জানি কি করবে।

মায়া থেমে যেতেই একটা জুনিয়র ছেলে এসে দাঁড়ালো। হাতে একটা বড় সড় প্যাকেট। সবাই নিজেদের কৌতূহলী দৃষ্টি তার দিকে নিক্ষেপ করলো। ছেলেটি হেসে প্যাকেটটা ঈশার দিকে বাড়িয়ে দিয়ে বলল
–আপু এটা আপনার জন্য।

ঈশা বেশ বুঝতে পারলো কালকের ঘটনার পুনরাবৃত্তি। তাই কিছুটা ঝাঁঝালো সরে বলল
–কে দিয়েছে?

ছেলেটি আবারো হেসে বলল
–ভাইয়া।

সবাই নিজেদের দৃষ্টি আরও তীক্ষ্ণ করে ফেললো। কি হতে যাচ্ছে সেটা দেখতে। ঈশা প্যাকেটটা হাতে না নিয়েই বলল
–ভাইয়াকে বলবে নিজে এসে এটা দিতে। তবেই আপু নিবে। তার আগে নয়।

ছেলেটির মুখের হাসি মিলিয়ে গেলো। সে দাড়িয়েই থাকলো স্থির হয়ে। ঈশা একটু বিরক্ত হয়ে বলল
–কি বলেছি শুনতে পাওনি? ভাইয়াকে আসতে বল। ভাইয়া ছাড়া অন্যকেউ আসলে আমি কিছুই নেবো না।

ছেলেটি হতাশ চোখে কিছুক্ষন তাকিয়ে থাকলো ঈশার দিকে। তারপর ঘুরে যাওয়ার জন্য পা বাড়াতেই ঈশার ফোন বেজে উঠলো। সেদিকে তাকাতেই ঈশার চোখ বড় বড় হয়ে গেলো। মোবাইলের স্ক্রিনের খুদে বার্তায় লেখা কথাটা মোটামুটি ঠাণ্ডা সরের হুমকি ছিল ঈশার জন্য।

“প্যাকেটটা ফিরিয়ে দেয়ার দুঃসাহস করবে না জান। এটা ফিরিয়ে দিলে কিন্তু এরপর তোমার বাবার হাতে চলে যাবে এই প্যাকেট। সাথে লেখা থাকবে তোমার এই প্রেমিকের ছোট্ট প্রেম বার্তা। ভেবে দেখো যা হবে সবটার জন্য দায়ী কিন্তু তুমি। আমি নিরুপায়।”

ঈশা পেছন থেকে ছেলেটাকে ডাকল। ছেলেটা মুচকি হেসে সামনে এসে দাঁড়ালো। ঈশা হাত থেকে প্যাকেটটা নিতেই ছেলেটি হাসি আরও প্রশস্ত করে বলল
–ধন্যবাদ আপু। ভাইয়া খুব খুশী হবেন।

ঈশার এমন আচরনে সবাই অবাক হল। কারণ জানার জন্য উদগ্রীব হয়ে তাকাল তার দিকে। ঈশা সবার দৃষ্টির অর্থ বুঝতে পেরে মোবাইলের মেসেজটা সবাইকে দেখাল। সব দেখে মায়া বলল
–ঐ নাম্বারে ফোন কর। তুই নিজেই সামনে আসতে বল। দেখ কি বলে? আমার তো মনে হয় তুইও তাকে চিনিস। শুধু সামনে আসছে না বলে বুঝতে পারছিস না।

ঈশা একটু ভেবে নাম্বারে কল দিলো। প্রথমবার রিং হয়ে কেটে গেলো। আবারো ফোন দিলো। এভাবে পর পর তিনবার ফোন দেয়ার পর ওপাশ থেকে রিসিভ হল। ঈশা হ্যালো শব্দটা উচ্চারন করতেই সবাই স্তব্ধ হয়ে গেলো। কান খাড়া করে ফেললো। ওপাশ থেকে ভারী নিশ্বাসের শব্দ ছাড়া আর কিছুই শোনা গেলো না। ঈশা বুঝতে পারলো ওপাশের মানুষটা কথা বলতে চায়না। কিন্তু শুনতে তো পারবে। তাই ঝাঁঝালো গলায় বলল
–দেখুন আপনি যেই হন না কেন সামনে আসবেন। এভাবে আড়াল থেকে এসব করে নিজেকে যা প্রমান করতে চাইছেন সেটার কিছুই প্রমান হচ্ছে না। উল্টা আরও আমি আপনাকে ভিতু কাপুরুষ ভাবতে বাধ্য হচ্ছি। এতো কিছু করেও নিজেকে এভাবে ছোট প্রমান করছেন বিষয়টা ভাবতেই আমার খারাপ লাগছে। তাই অনুরধ করছি এসব না করে সামনে আসেন। এরপর যা সারপ্রাইজ দিতে চান সেটা সামনে এসেই দেবেন। সেটা না করলে আমি আর কোন কিছুই গ্রহন করবো না। তারপর আপনি যাই করুন না কেন আমার কোন যায় আসেনা।

এক নিশ্বাসে কথাগুলো বলেই থামল ঈশা। নিস্তব্ধ পরিবেশে ওপাশ থেকে শোনা গেলো শুধু ভারী নিশ্বাসের শব্দ। অতঃপর ভারী গম্ভীর কণ্ঠ
–তাই হবে। তোমার অপেক্ষার প্রহর আজ রাত ১২ টার আগেই শেষ হবে।

ফোনটা কেটে গেলো। ঈশা কানেই ধরে আছে। কণ্ঠটা পরিচিত মনে হল তার। কিন্তু কোনভাবেই খুজে পেলো না কে এই পরিচিত ব্যক্তি।

———-
মাথা ভর্তি এলোমেলো চিন্তা নিয়ে অস্থিরভাবে পায়চারী করছে ঈশা। গত আধা ঘণ্টা যাবত এই অবস্থায় চলছে। প্রচণ্ড চিন্তা নিয়ে রাতের খাবারটাও ঠিক মতো খেতে পারলো না। তখন ফোনে কথা বলার পর থেকেই ঈশার পুরো দিনটা অস্থিরভাবে কেটেছে। গলা শুনে এটা তো বুঝে গেছে যে মানুষটা তার খুব পরিচিত। কিন্তু এখনো বুঝে উঠতে পারছে না কে। সমীকরণটা ঠিকভাবে মিলছে না কিছুতেই। প্রথম প্রথম ব্যাপারটাকে ছেলে মানুষী ভেবে বসলেও এখন তার ভেতরে ভয় তৈরি হচ্ছে। কোনভাবেই এখন আর এটা নিছক কোন আবেগের বশে করে বসা পাগলামি নয়। বিষয়টা বেশ গভীর। সকালের ঐ সারপ্রাইজটা ঈশাকে পুরো নাড়িয়ে দিয়েছে। প্যাকেট ভর্তি আইস্ক্রিম তাও তার পছন্দের ফ্লেভারের। ঈশার পছন্দের ফ্লেভারের আইস্ক্রিম সম্পর্কে খুব কাছের মানুষ ছাড়া কেউ জানে না। কাল থেকে যা কিছু হয়েছে সেসব তেমনভাবে খেয়াল করেনি সে। কিন্তু আজকে ঐ আইস্ক্রিম ভর্তি প্যাকেট পাবার পর থেকেই বিষয়টা তার মাথায় ঢুকেছে। নিজের ডাইরিতে এসব উপহার পাওয়ার ইচ্ছাটা লিখে রেখেছিল সে কোন একদিন। তারপর ভুলে গেছে সেই ডাইরির কথা। কারণ সেসব ছিল আবেগের বয়সের কিছু প্রত্যাশিত মুহূর্ত। যখন লিখেছিল তখন সেসবের মাঝে আবেগ জমে থাকলেও এই বয়সে এসে সেসব পড়লে ভীষণ হাসি পায়। কারণ এখন এই পরিণত বয়সে সেসব অপ্রত্যাশিত মুহূর্ত মাত্র। কিন্তু এসব ঈশা ব্যতিত আর কেউ জানা প্রায় অসম্ভব। কে হতে পারে এই ব্যক্তি যে তার সম্পর্কে এতো কিছু জানে। দেয়াল ঘড়ির দিকে তাকাল ঈশা। ১১ টা পার হয়ে গেছে। ১২ টার আগেই সেই ব্যক্তি তার সামনে আসতে চেয়েছিল। কিন্তু এখনো এলো না। তাহলে কি আসবে না? সব কেমন তালগোল পাকিয়ে যাচ্ছে। শ্বাসটা কিছুতেই বসছে না। বাইরে হুট করেই ঝমঝমিয়ে শুরু হল বৃষ্টি। অসময়ের এমন বৃষ্টি দেখে ঈশা কিছুটা অবাক হল। অপরদিকে আবার মনটাও খারাপ হয়ে গেলো। ফেব্রুয়ারি মাসে এই বৃষ্টি মানেই এখন ঠাণ্ডা বেড়ে যাবে। বাইরে বের হওয়া তো দুরের কথা। কম্বলের নিচে থেকেই বের হতে চাইবে না কেউ। তাহলে তো আর সেই মানুষটাকে দেখাও হলনা। ভীষণ হতাশা নিয়ে বিছানায় যাওয়ার প্রস্তুতি নিতেই ফোন বেজে উঠলো। ফোনের দিকে তাকাতেই কেঁপে উঠলো ভেতরটা। সেই নাম্বার! মনটা কিছুটা খুশি হল। কারণ ঈশাও সেই ব্যক্তিকে দেখতে অধির আগ্রহে অপেক্ষা করছে। কাঁপা কাঁপা হাতে ফোনটা ধরল। এবার ঈশা কথা বলার আগেই ওপাশ থেকে কানে এলো ভারী গম্ভীর কণ্ঠস্বর
–এতো বেশী সময় অপেক্ষা করানোর জন্য দুঃখিত। কিন্তু আমি আমার কথা রেখেছি। বেঁধে দেয়া সময়ের আগেই চলে এসেছি।

ঈশা স্তব্ধ হয়ে গেলো। এই বৃষ্টির মাঝেই চলে এসেছে মানে? অনবরত শ্বাস পড়তে লাগলো তার। কিছুসময় চলল নিরবতা। কানে আসলো শুধু বৃষ্টির ঝমঝম শব্দ। নিরবতা ভেদ করে অপর পাশের মানুষটা আবারো বলে উঠলো
–একবার বারান্দায় আসবে?

ঈশার মস্তিস্ক সজাগ হয়ে উঠলো। এবার কণ্ঠের মালিকের পরিচয়টা বুঝতে পারলেও বিশ্বাস করতে পারলো না। ঠিক শুনছে নাকি পুরোটাই স্বপ্ন। এটা কি করে সম্ভব? এক ছুটে বারান্দায় চলে গেলো ঈশা। নিচের দিকে তাকাল। রাস্তার অপরপাশে কালো গাড়ি দাড়িয়ে আছে। সেটাতেই হেলানি দিয়ে বৃষ্টিতে ভিজছে কাঙ্ক্ষিত মানুষটা। ল্যাম্পপোষ্টের আলোয় মুখটা স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। অন্যরকম এক প্রশান্তির হাসি ঠোঁটে। ফোনটা তখনও কানে। ওপাশ থেকে তপ্ত একটা শ্বাস ছাড়ার আওয়াজ আসলো। সাথে কিছু অপ্রত্যাশিত শব্দ
–এই প্রণয়ের শহরে আস্ত একটা রাজপ্রাসাদ বানিয়েছি এতো বছর ধরে। যেখানে রানীর আসনটা শুন্য পড়ে আছে। এই রাজকুমারী? আমার প্রণয় রাজ্যের রানী হবে? কথা দিচ্ছি! এক বুক ভালবাসায় জড়িয়ে রাখবো তোমার সাম্রাজ্য।

চলবে…

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here