অন্ধকারের_মানুষ (পর্ব২)

#গল্প১৪১

#অন্ধকারের_মানুষ (পর্ব২)

ফার্মগেটের ওভারব্রিজের নিচে মতি মিয়া ভ্যানের উপর রাখা এলোমেলো শার্টগুলো ভাঁজ করছিল। কাস্টমার একটা শার্ট কিনতে আইসা সব আউলায় ফেলে। মতি গজগজ করতে করতে শার্টগুলো ভাঁজ করতে থাকে। রাত আটটা বেজে গেছে, আজ আর শার্ট বেচবে না। আকাশে বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে, বাড়ি ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় মতি মিয়া। ঠিক তখন একটা লোক ফ্যাঁসফ্যাঁসে গলায় বলে, ‘ভাই, একটা শার্ট লাগব আমার সাইজের।’

মতি মিয়া লোকটার দিকে তকায়, শার্টের সামনের অংশ ছেঁড়া, কয়েকটা বোতাম নেই। লোকটা কী কোথাও মারামারি কইরা আসছে নাকি? মতি মিয়া না করতে যেয়েও ভাবে এমন লোকদের সাথে গেঞ্জাম করার দরকার নাই। মতি মিয়া লোকটার সাইজ আন্দাজ করে কয়েকটা শার্ট বেছে সামনে বাড়িয়ে ধরে।

রইস উদ্দিন শার্টগুলো নেড়েচেড়ে দেখে, তারপর একটা গাঢ় নীল রঙের শার্ট পছন্দ করে। দাম দর করে শার্টটা কিনে নেয়। তারপর পরনের শার্টটা খুলে নতুন কেনা শার্টটা পরে দেখে নেয় ঠিক আছে কিনা। তারপর পুরাতন শার্টটা ব্যাগে ভরে নেয়।

মতি মিয়া লোকটার কাজকর্ম দেখে এবার নিশ্চিত হয় ওর আন্দাজই ঠিক। এই লোক কোথাও থেকে মারামারি করে এসেছে। মতি টাকাটা চুপচাপ নিয়ে নেয়, কথা বাড়ায় না।

রইস একটা রিক্সা নিয়ে এবার বাড়ির পথ ধরে। মনে মনে ভাবে আজ বড় বাঁচা বেঁচে গেছে। কিন্তু একটা জিনিস খুব অদ্ভুত লাগে, বাসে ওর পাশে বসা মেয়েটা ঘুমিয়েই ছিল। ও যখন পচা গন্ধ পাচ্ছিল তখন আআঁতিপাঁতি করে খুঁজেও আতরের শিসিটা পেল না, যেন ভোজবাজির মতো উধাও হয়ে গেছে। শেষ পর্যন্ত না পেরে যখন মেয়েটার গায়ে হাত দিচ্ছিল তখনই মেয়েটা চোখ খুলে ফেলে। ঘুমের মানুষ জেগে গেল কেমনে! রইস ভাবছিল মেয়েটা কিছু বলবে না লজ্জায়, কিন্তু ঘটনা ঘটল উল্টো। চিল চিৎকার করে ওর কলার ধরে ফেলল। আর গালে চটাস চটাস করে থাপ্পড়। রইস কোনোমতে নিজেকে ছাড়িয়ে নিয়ে চলন্ত বাস থেকেই নেমে পড়েছিল। ড্রাইভার অবস্থা বুঝেই গাড়ির গতি একদম কমিয়ে দিয়েছিল। ভাগ্য ভালো বাসে থাকা কেউই এগিয়ে আসে নাই!

কিন্তু একটা জিনিসে দুশ্চিন্তা হচ্ছে, কেউ একজন ঘটনাটা ভিডিও করার চেষ্টা করেছে। মনে করার চেষ্টা করে, ওর মুখটা আসছে কিনা! ভাবতে ভাবতে ব্যাগে থাকা শার্টটার দিকে তাকায়, তারপর শার্টটা অন্ধকারে ছুঁড়ে ফেলে। এই রকম শার্ট আগামী কয়েক মাস আর পরা ঠিক হবে না।

রাতে ও যখন বাসায় পৌঁছে তখন রিতা অবাক গলায় বলে, ‘নতুন শার্ট কিনছ?’

রইস মাথা নেড়ে বলে, ‘হ্যাঁ, কয়দিন আগেই কিনছিলাম, তুমি খেয়াল করো নাই।’

রিতা ভ্রু কুঁচকে একটু ভাবে, রইস তো নতুন শার্ট কিনলে ওকে আগে দেখায়। কী জানি, এটা আবার কবে কিনল।

পরদিন নতুন শার্টটা পরেই রইস অফিসে আসে। আড়চোখে দেখে পাশের টেবিলের রাজুকে ঘিরে কয়েকজন হুমড়ি খেয়ে কী যেন দেখছে। রইস কৌতুহলী হয়ে এগিয়ে যায়। শুনতে পায়, ওর সহকর্মীরা গালি দিয়ে বলছে, ‘মাইয়াটা একদম উচিত কাম করছে। এমন বেজন্মাগো এমন কইরাই থাপড়ানো উচিত।’

রইসের বুকটা ধক করে ওঠে, নিশ্বাস ভারী হয়ে আসে। পায়ে কোনো জোর পাচ্ছে না। রইসের দিকে চোখ পড়তেই রাজু হাত ইশারায় ডাক দেয়, ‘রইস ভাই, দেখেন, নতুন ভাইরাল ভিডিও।’

রইস দূর্বল পায়ে এগিয়ে যায়, তারপর ভিডিওটা দেখে। একটা স্বস্তির নিশ্বাস ফেলে, ওর পেছন থেকে ভিডিওটা করেছে, তাও খুব অল্প সময়ের। ওকে চেনা যাচ্ছে না। আর বাসে আলো কম থাকাতে কালকের শার্টের রঙটাও বোঝা যাচ্ছে না। রইস এবার জোর গলায় বলে, ‘ঠিক কাম করছে মেয়েটা। কী শয়তান মানুষ!’ কথাটা বলতে গিয়ে ভেতরে ভেতরে কুঁকড়ে ওঠে ও। ইশ, আরেকটু হলেই তো আজ ও সবার কাছে এমন একটা বাজে মানুষ হয়ে যেত, ওর ভালো মানুষের মুখোশটাই খুলে যেত।

সেদিন অফিসে সবাই এই ভিডিও নিয়েই আলোচনা করে। দুপুরের দিকে অনলাইন নিউজপেপারগুলোতেও খবরটা চলে আসে। রইস খবরটা পড়তে পড়তে ভাবে, নাহ দিন দিন ও ঝুঁকির মধ্যে পড়ে যাচ্ছে। আতরে কোনো কাজ হয়নি সেদিন। কী করা যায়? ভাবতে ভাবতে হঠাৎ একটা কথা মনে হয়, একটু ভাবে রইস, একটা জায়গায় যাওয়া দরকার। তারপর মনস্থির করে, যাবে ও।
***********

নাক, কান, গলা বিশেষজ্ঞ ডা. এনামুল অবাক হয়ে সামনে বসা লোকোটার দিকে তাকিয়ে আছে। গম্ভীরমুখে বলেন, ‘আপনি মাঝে মাঝে নাকে পচা গন্ধ পান, সবসময় না?’

রইস মাথা নাড়ে, বলে, ‘হঠাৎ হঠাৎ পাই।’

ডা. এনামুল ভালো করে নাক আর গলাটা দেখে। তারপর বলে, ‘অনেকেই দূর্গন্ধ পায় যদি সাইনাসের সমস্যা থাকে অথবা ন্যাজাল পলিপস থাকে। আপনার তো সে সমস্যা নেই। আর দুর্গন্ধ পেলে তো সবসময় পাবার কথা। আচ্ছা, তাও কিছু ওষুধ দিলাম, আর এই ড্রপটা নাকে দিনে একবার দেবেন। ভালো হয়ে যাবার কথা। আর না হলে আপনি বরং একজন মানসিক ডাক্তার দেখান।’

রইস প্রেসক্রিপশনটা ভালো করে বুঝে নেয়। ভেবেছিল ওর নাকেই কোনো সমস্যা আছে, তা না হলে হঠাৎ করে এমন পচা গন্ধ আসবে কেন। তাই এই ডাক্তারের কাছে আসা। দেখা যাক ওষুধগুলো খেয়ে।

এরপর রইস নিয়ম করে ওষুধ খায়। কয়েকটা দিন পার হয়। অবাক হয়ে খেয়াল করে এই ক’দিন একবারও পচা গন্ধটা আসে নাই। রইসের বিশ্বাস হতে শুরু করে ওর অসুখটা সেরে গেছে। তাই সেদিন শুক্রবার কুলসুম যখন ওর চোখের সামনে দিয়ে বাথরুমে ঢোকে তখনও ও আত্মবিশ্বাসী ছিল। কিন্তু বাথরুম থেকে আসা পানির শব্দে হঠাৎ করেই গন্ধটা পায়। রইস ভাবে ওর ভুল হচ্ছে। কিন্তু একটু পর যখন পচা গন্ধটা তীব্রতর হয়, রইসের তখন বুঝতে বাকি থাকে না ওর অসুখটা আসলে সারেনি।

রইস বাসা থেকে বের হয়, তারপর এক ছুটে সেদিনের সেই পার্কটায় চলে আসে। রিতা অবাক হয়ে ওর দিকে তাকিয়ে ছিল আসার সময়। বলেছে, এক বন্ধু এক্সিডেন্ট করেছে তাই যেতে হচ্ছে। রইস সেদিনের বেঞ্চিতে বসে হাঁপাতে থাকে। গন্ধটা নেই এখন, কিন্তু এভাবে ও ছুটে পালাবে কী করে ওর এই কুপ্রবৃত্তি থেকে? ওর এই মনোবিকারের চিকিৎসা কী?

হঠাৎ করেই সেদিনের সেই ডাক্তারের কথা মনে পড়ে যায়। ডাক্তার সাহেব বলছিলেন ভালো না হলে একজন মানসিক ডাক্তার দেখাতে। রইস মাথা নিচু করে ভাবে, আসলেই তো এটা ওর মানসিক সমস্যা। নাহ, শেষ চেষ্টাটা ওকে করতেই হবে।
**********

ডা. দেবদ্যুতি চ্যাটার্জি, মনোচিকিৎসাবিদ। রইস উদ্দিন দরজার উপর লেখা নামটা পড়ে। দোতলা বাডির নিচতলায় চেম্বার। অফিসের একজনের কাছ থেকে ওনার ঠিকানা পেয়েছে। উনি নাকি সময় নিয়ে সব সমস্যা শোনেন। অবশ্য ফি টাও অনেক বেশি, দুই ঘন্টা সেশনের জন্য ছয় হাজার টাকা। ওর মতো মানুষের জন্য অনেক টাকা। কিন্তু রইস একটা শেষ চেষ্টা করে দেখতে চায়।

রইসকে নির্মলা নামে একজন দশাসই চেহারার মহিলা ডেকে ভেতরে নিয়ে যায়। চেম্বারে ঢোকে ও সালাম দিয়ে বসে। ডাক্তার সাহেবকে দেখে রইস ভরসা পায় না। কমবয়সী একজন, একে কী এগুলো খুলে বলা যায়। নাহ, বড্ড ভুল হলো।

দেবদ্যুতি নির্মলাকে ইশারা করতেই দরজাটা ভেজিয়ে দিয়ে বের হয়ে যায়। লোকটা গড়পড়তা, তেমন কোনো বৈশিষ্ট্য নেই চেহারায়। চোখের দিকে তাকাতেই থমকে যায়, লোকটা চোখ নামিয়ে নিয়েছে। দেবদ্যুতি ওকে সহজ করতে বলে, ‘আপনি তো মনিরুল ইসলাম?’

রইস মাথা নাড়ে। ইচ্ছে করে এখানে ও ভুল নাম, ঠিকানা দিয়েছে। এই বুদ্ধিটুকু ও আগেই করে রেখেছে।

দেবদ্যুতি নরম গলায় বলে, ‘এখন থেকে দুটো ঘন্টা আমরা দু’জন কথা বলব। আমার কাছে আপনি একদম অপকট থাকবেন। সত্যটা লুকোবেন না তা যত ভয়ংকর হোক। আমি আপনাকে সাহায্য করতেই বসেছি এখানে। আপনি ধীরে সুস্থে আপনার সমস্যাটা বলুন। তার আগে আপনি আপনার সম্পর্কে একটু বলুন, কী করেন, পরিবারে কে কে আছে, এই আর কী।’

রইস গলা খাকড়ি দিয়ে বলে, ‘আমি একটা বেসরকারি কোম্পানির আইটি ডিপার্টমেন্টে আছি। বিয়ে করেছি প্রায় আট বছর, একটা ছেলে আছে। বাবা মা কেউ বেঁচে নেই। পারিবারিকভাবে একজন সুখী মানুষ। অফিসেও কোনো ঝামেলা নেই। আমার শুধু একটাই সমস্যা, আর তা হলো আমি মাঝে মাঝে একটা পচা গন্ধ পাই। নাক কান গলার ডাক্তার দেখাইছি ওনারা কোনো সমস্যা পান নাই। বলল মানসিক সমস্যা।’

দেবদ্যুতি ভ্রু কুঁচকে তাকায়, এমন ধরনের সমস্যা নিয়ে কেউ তো আসে না। সাধারণত মানুষ হতাশা নিয়ে আসে, অথবা আত্মবিশ্বাস কম, অথবা সুসাইডাল টেন্ডেসি আছে এমন মানুষই কথা বলতে আসে। একটু ভাবে দেবদ্যুতি, তারপর বলে, ‘পচা গন্ধ পেলে একটা সুগন্ধি ব্যবহার করবেন, তাতে তো অন্তত পচা গন্ধটা চলে যাবার কথা।’

রইস জোরে মাথা নাড়ে, বলে, ‘না যায় না, আমি চেষ্টা করে দেখছি।’

দেবদ্যুতি ভাবে, তারপর বলে, ‘আচ্ছা, আপনি বললেন যে মাঝে মাঝে পান। ঠিক কখন পান বা কোনো বিশেষ অবস্থায় গন্ধটা পান তা বলতে পারবেন?’

এবার রইস মাথা নিচু করে, কিছু বলে না। দেবদ্যুতি বুঝতে পারে সামনে বসা লোকটা পুরো সমস্যাটা এখনো বলেনি। একে সহজ করতে হবে। দেবদ্যুতি এবার ভিন্ন কিছু জানতে চায় যাতে মনিরুলের মনে চাপ না পড়ে। বলে, ‘আপনার ছোটবেলার মজার কিছু স্মৃতি বলুন।’

রইস একটু অবাক হয়, ভেবেছিল ডাক্তার সাহেব ওকে জোর করবে ব্যাপারটা জানার জন্য। যাক তা করেনি। স্বস্তির নিশ্বাস ফেলে বলে, ‘গ্রামে থাকতাম আমি। মজার স্মৃতি বলতে বৃষ্টি হলেই পুকুরে ঝাপিয়ে পড়তাম। আশ্বিন মাসে পানি কমে গেলে ক্ষেতে মাছ ধরতাম সবাই মিলে। রানু আপার সাথে ঘুমাতাম। রানু আপা খুব আদর করত।’

দেবদ্যুতি ওকে থামায়, ‘আপনার বড় বোন, রানু আপা?’

রইস মাথা নাড়ে, বলে, ‘দূর সম্পর্কের বড় বোন। বাবা নিয়া আসছিল বাড়ির কাজের জন্য। দেখতে ভালো না বলে বিয়ে হয় না।’

দেবদ্যুতি বলে, ‘আচ্ছা। তখন আপনার বয়স কত?’

রইস মনে করার চেষ্টা করে, ‘১২-১৩ বছর।’

দেবদ্যুতি ছোট করে নোট নেয়। তারপর বলে, ‘আচ্ছা, আপনার কোনো ভয়ের বা কষ্টের স্মৃতি আছে?’

রইস হড়বড় করে বলে, ‘ছয় বছর বয়সে মা মরে গেল, বাবা আরেকটা বিয়ে করল। মা না থাকলে তো অনেক কষ্ট।’

দেবদ্যুতি সম্মতিসূচক মাথা নাড়ে, তারপর বলে, ‘কোনো ভয়ের স্মৃতি?’

রইস এবার চোখ বন্ধ করে, তারপর দূর থেকে আসা গলায় বলে, ‘মা মরে যাবার পর আমি বাবার সাথেই ঘুমাতাম। কিন্তু বাবা নতুন বিয়ের পর আমাকে নিয়েই সমস্যা শুরু। তখন আমাদের অবস্থা খুব খারাপ। একটা মাত্র শোবার ঘর। পাশে ছোট্ট একটা টিনের বেড়া দেওয়া ঘর তাতে হাবিজাবি জিনিস রাখা। বাবা মাঝে মাঝেই আমারে জোর করে ওই ঘরটায় নিয়া রাইখা আসত। আমার ভয় করত খুব, ঘুটঘুইটা অন্ধকার। প্রায়ই ঘুম ভেঙে যেত, আমি চমকে চমকে উঠতাম। মাঝে মাঝে ভয়ে বাবার রুমে গেলে খুব মারত। আমারে জোর করে আবার পাশের ঘরেই পাঠিয়ে দিত।’

দেবদ্যুতি নড়েচড়ে বসে, এবার কিছু একটা অন্যরকম শুনছে। লোকটা পুরোটা খুলে বলছে না। দেবদ্যুতি সতর্কতার সাথে জিজ্ঞেস করে, ‘আপনি কী তখন এমন কিছু দেখেতেন যা আপনার দেখা উচিত ছিল না?’

রইস কিছুই বলে না, চুপ করে থাকে। দেবদ্যুতি এবার বলে, ‘আপনি মার খাবেন জেনেও কী প্রায়ই যেতেন ওই রুমে?’

রইস অনেক্ষন চুপ থাকে, তারপর সম্মতিসূচক মাথা নাড়ে।

দেবদ্যুতি একটু ভেবে রইসের দিকে সামনে ঝুঁকে আসে, তারপর নিচু গলায় বলে, ‘আপনি যে পচা গন্ধটা পান, সেটা কী আপনার স্ত্রীর সাথে অন্তরঙ্গ মুহুর্তের সময়?’

রইস এবার দেবদ্যুতির দিকে তাকায়, ডাক্তারটা সুন্দর দেখতে। এই যে ওর দিকে ঝুঁকে তাকিয়ে আছে, বুকের ভাঁজটা দেখা যাচ্ছে। রইস হঠাৎ করেই পচা গন্ধটা পায়। ঘোর লাগা চোখে ও বলে, ‘না আপা, তখন পাই না। কিন্তু এখন পাইতেছি।’

দেবদ্যুতি লোকটার গলার স্বরে চমকে তাকায়, চোখের দৃষ্টিটাও পালটে গেছে এখন। এই চোখ ও চেনে, দেবদ্যুতির মুখটা কঠিন হয়ে যায়। গম্ভীরমুখে বলেন, ‘এখন পাচ্ছেন মানে কী?’

ততক্ষণে রইস ওঠে দাঁড়িয়েছে, পচা গন্ধটা বেড়েই চলেছে। দেবদ্যুতি আতংকিত চোখে তাকিয়ে দেখে লোকটা এগিয়ে আসছে ওর দিকে। নির্মলা কী আশেপাশে আছে। ভয়ে গলা দিয়ে শব্দ বের হচ্ছে না দেবদ্যুতির। আড়চোখে একবার তাকায় টেবিলের ড্রয়ারের দিকে। একটা লম্বা নিশ্বাস নিয়ে নিজেকে শান্ত করে দেবদ্যুতি, কী করে এই সাইকোপ্যাথকে থামাতে হবে ও এখন জানে।

(চলবে)

মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান সুবাস
শিমুলতলী, গাজীপুর
১৩/০৪/২০২২

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here