#True_Love_Never_Breaks,Part_14,15
#Writer_Fayeja_Sultana_Piu
#Part_14
🌺🌺
রাতে মনির এসে সাদুকে নিয়ে গেল।মিমের শশুর বাড়ির লোকজন মনির কেও থাকতে বলেছিলো বাট মনির থাকেনি।
সন্ধ্যায় কি কি করেছে ইসুর সাথে সব বলল ঈশান আরিয়ানকে।সব শুনে আরিয়ান বলল হুম টিক আছে বাট একটা কথা।
ঈশানঃ কি কথা।
আরিয়ানঃ আমরা তো কাল চলে যাবো তাহলে জেলাস করাবি কি করে।
ঈশানঃ টিক তো এখন কি হবে রে তাইলে কি আমি ইসু কে পাবোনা।
আরিয়ানঃ দূর গাধা তোরি হবে আচ্ছা শুন একটা আইডিয়া আছে সেটা করলে কাজে,দিবে।
ঈশানঃ কি আইডিয়া বল।
আরিয়ানঃ আমরা তো কাল চলে যাবো।তুই ও আমাদের সাথে চল।সেখানে পিউ কে কিছু একটা বলে কিছু দিন রাখলে ইসু ও থাকবে।আর সেই কয়েক দিনে ওর মিখ থেকে ভালবাসার কথা টা না হয় জেনে নিবি।
ঈশানঃ মন্দ বলিসনি।আচ্ছা তাি হবে।
আরিয়ানঃ ওকে।
🌺🌺
সবাই নাস্তা করে যে যার রুমে গেল।মিমও গেল রুমে।রুমে ডুকতেই কে যেন ওর হাত টান দিল দেখতে পেল মেরাজ।
মিমঃ কি হলো এমন টান দিলে কেন।
মেরাজঃ জানো না কেন দিছি।
মিমঃ না তো কেন।
মেরাজঃ তুমি আজ কি একবারো আমাকে টাইম দিয়েছো।মনে পড়েছে,কি,এক বারো এই অভাগা পোলাটার কথা।
মিমঃ আহালে বেচালা।কি করে টাইম দিবো বলো বাসায় মেহমান আসছে আমাট বেস্টুরা আসছে ওদের তো টাইম দিতে হবে তুমি জানো ওরা আমার কি।
মেরাজঃ জানি তো তবুও যে মন মানেনা।
মিমঃ আচ্ছা জনাব এখন ছাড়েন রাতের রান্না করতে হবে। আর কিছুক্ষণ না হয় মনকে মানুয়ে রাখুন। রাতে না হয় বাকি টা পোষায় দিবো।
মেরাজঃ সত্যি তো।
মিমঃ পাক্কা তিন সত্যি।
মেরাজঃ ওকে যাও।
মিমঃ ওকে।
🌺🌺
ইসু রুমে এসে ভাবতে লাগলো একটু আগে ঘটে যাওয়া মোমেন্ট টা। ঈশান ওর সাথে এমন করলো কেন।ও রিলেশনে কখন গেল।ডাহলে ও বললই বা কেন আমাকে ভালবাসে আমাকে দেখা ব্যতীত কি করে বুঝলো সেটা আমি ছিলাম আর বললই বা কেন দুপুরে এত কিছু। দুপুরের কথা আর একটু আগের কথা দুটোই একে অপরের বিপরীত। কিছুই বুঝতেছেনা ইসু।
ইসু উঠে দাড়ালো ঈশানের রুমে যাবে বলে।যখন ওর রুমের সামনে গেল তখন দেখতে পেল ঈশান কার সাথে ফোনে কথা বলতেছে তাও হেসে হেসে।ইসু কে দেখেও না দেখার বান করে ফোনে কথা বলতে ব্যস্ত সে।এসব দেখে ইসুর অনেক রাগ হচ্ছে কেন হচ্ছে সেটা ও নিজেও জানেনা।আর থাকতে না পেরে ইসু ঈশান কে ডাক দিল।
ইসুঃ ঈশান।
ঈশানঃ এখন ব্যস্ত আছি পরে কথা বলব।
ইসুঃ কি এমন ব্যস্ত আমার সাথে ও কথা বলার টাইম নাই।
ঈশানঃ ওয়েট ওেয়ট তোমার সাথেও মানে কি।তুমি কে।কি হও,আমার যে তোমার সাথে কথা বলতে হবে।
ইসুঃ আমি কে তোমার।আসলেই তো আমি কে তোমার কিছু হওয়ার অধিকার তো নিজ হাতেই শেষ করেছি তাহলে আজ এমন লাগতেছে কেন।ওর অন্য জনের সাথে রিলেশনে য়াওয়াতে অন্য কারো সাথে কথা বলাতে আমার এমন লাগার কারন কি তাহলে কি আমি সত্যি ঈশান কে না না এ কি,ভাবছি আমি।
ঈশানঃ সং এর মত দাড়াই আছো কেন।যাও এখান থেকে।
ইসুঃ হুম।ইসু চলে যাওয়ার জন্য ফিরতেই ইশান বলল।
ঈশানঃ আচ্ছা এসেছো যখন কেন এসেছো বলে যাও।
ইসুঃ না থাক বলা হয়ে গেছে।এখন বলেও আর লাভ নাই।এসেছিলাম সরি বলতে ভেবেছিলাম দুপুরে আরিয়ান কে ভালবেসেছিলাম বলে তুমি কষ্ট পেয়েছো বাট আমি ভুল ছিলাম।তুমি তো এখন রিলেশনে আছো তাহলে আমার জন্য কেন কষ্ট পাবে।
ঈশানঃ হুম আমি কেন কষ্ট পাবো আজব।আর তুমি ছিলে আমার অতীত আর এখন আমার নিউ গফ আমার বর্তমান।অতীত নিয়ে কেউ বসে থাকেনা।
ইসুঃ হুম কনগ্রেস।এই বলে দৌড়ে চলে গেল ইসু।
এতক্ষন ওদপর কথা সব আরিয়ান শুনছিল।আসলে ইসু এদিকে আসতে দেখে আরিয়ান বলেছে ঈশান কে এসব করার জন্য।
ঈশানঃ এটা কি হল আরিয়ান ওকে তো বলে দিলাম এখন কি হবে রে।
আরিয়ানঃ কিছু হবেনা তুই শুধু দেখে যা কি হয়।
ঈশানঃ হুম কিন্তু আমার ভয় করতেছে রে।
আরিয়ানঃ সালা ভিতু কোনহানকার চুপ থাক।
ঈশানঃ আচ্ছা চুপ।
🌺🌺
ইসু দৌড়ে রুমে আসলো চোখে তার পানি বাট কেন সে নিজেও জানেনা।ইসুকে এভাবে দৌড়ে আসতে দেখে পিউ জিজ্ঞেস করল
পিউঃ কি হয়েছে ইসু তুমি এভাবে দৌড়ে কোথা থেকে এসেছো।
ইসুঃ এমনি কোথও থেকে না।চোখের জল মুছে।
পিউঃ আমার থেকে লুকাতে পারবেনা।তবে না বলতে চাইলে জোর করবনা।হয়তোবা এখনো বন্ধু ভাবনি।
ইসুঃ কি বলো এসব বন্ধু কেন ভাববো না।
পিউঃ বন্ধু ভাবলে আমাকে কি হয়েছে সেয়ার কর আর সর্ব প্রথমে তুই দিয়ে।
ইসুঃ আচ্ছা বলতেছি বাট আমার কেন এমন হচ্ছে আমি বুঝতেছিনা আমি তো ওরে ভালবাসিনি তাহলে ওর অন্য কারো সাথে এফেয়ার থাকলে আমার খারাপ লাগতেছে কেন।
পিউঃ কিছুই বুঝলাম না সব মাথার দুই ইঞ্চি উপর দিয়ে গেল।কার এফেয়ার কাকে ভালবাসার কথা বলতেছো তুমি।
ইসু ঈশানের সাথে রিলেশন হওয়া ব্র্যাকআপ আর আজকের ঘটনা বলল আর একটু আগে ঈশান যা যা বলল সেই গুলাও বলল ইসু।
পিউঃ তুই কি এখনো কনফিউজ।
ইসুঃ কি নিয়ে।
পিউঃ ঈশান কে ভালবাসা তা নিয়ে।
ইসুঃ আরে আমিতো ওকে ভালই বাসিনি তাহলে সিউর আর কনফিউজ আসতেছে কোথা থেকে।
পিউঃ হাহাহাহাাা
ইসুঃ তুই হাসতেছিস কেন।
পিউঃ তোর কথা শুনে।
ইসুঃ কি এমন বললাম যে তোর হাসি পেল।
পিউঃ যার পাখি ডাক শুনে তোর মন শিউরে উঠে যার মুখে কষ্ট দেখে তাকে সরি বলার জন্য উতলা হওয়া যাকে অন্য কারো সাথে হেসে কথা বলা মেনে নিতে না পারা যার অন্য কারো সাথে এফেয়ার আছে শুনে চোখ দিয়ে আপনা আপনি পানি চলে আসে সে ব্যক্তি কে তুই ভালবাসিস না বলতেছিস।এর থেকে হাসির ব্যাপার আর হতে পারে বল।
ইসুঃ তুই কি বুঝাতে চাইছিস বলতো।
পিউঃ এখনো বুঝিস নি আমি কি বললাম।
ইসুঃ না।
পিউঃ তাহলে শুন ক্লিয়ার করে,বলতেছি।তুই ঈশান কে ভালবাসিস না না তুই ওকে অনেক ভালবাসিস।বুঝলি।
ইসুঃ বাট কবে আমি যদি ওকে ভালবাসতাম তাহলে ব্র্যাকআপ কেমনে করলাম।আর আরিয়ানকে কেমনে ভালবাসলাম।
পিউঃ প্রথমত আরিয়ানের প্রতি ঐটা তোর ভালবাসা ছিলনা ঐ টা আবেগ ছিল।আর ঈশানের সাথে ব্রাকআপ টা কিন্তু তুই নিজের ইচ্ছায় করিসনি বান্ধবীদের কথায় করেছিস।তখন তোর মনে শুধু জিত টায় ছিল ভালবাসা না।এতদিন পর যখন সে আবার তোর সামনে আসল এখব উপলব্ধি করতেছিস বুঝলি।
ইসুঃ হুম বুঝলাম।বাট বুঝে আর কি হবে ও তো আর এখন আমার না অন্য কারো হয়ে গেছে।
পিউঃ চিন্তা করিস না সে তোরি হবে। জানিস তো #True_Love_Never_Breaks তাই তোর ভালবাসাটাও কখনো হারাবিনা।গোর ভালবাসা টা যে খাঁটি সোনার মত খাঁটি ভালবাসা।
ইসুঃ তাই যেন হয়রে।
পিউঃ তুই ওকে বলে দে যে ওকে ভালবাসিস সেটা।
ইসুঃ যদি মেনে না নেয়।
পিউঃ আগে তো করে দেখ।
ইসুঃ আচ্ছা কয়েকদিন যাক আমি আরো সিউর হশে নি যে আমি ওকে ভালবাসি।
পিউঃ ওকে তোর ইচ্ছা। তোর যেটা ভালো লাগে কর।
ইসুঃ হুম।থিঙ্কু বেবি।
পিউঃ কিল্লায় থিঙ্কু।
ইসুঃ ঈশানের প্রতি আমার ভালবাসা টা বুঝানোর জন্য।
পিউঃ শুধু থিঙ্কু নিতাম না আমি।
ইসুঃ তো কি নিবি বল।
পিউঃ আমি চাই তাড়াতাড়ি ঈশানের সাথে এক হয়ে আমাকে ১২ দু গুনে ২৬ টা বেবির খালামনি বানাবি এই সামান্য কিছুই চাই।
ইসুঃ কি ২৬ টা বেবির খালামনি এতটা আমার আর ঈশানের হবে।ঈশানের কথা বলতেই বেবির কথা মনে পড়তেই ইসুর মুখ লাল হয়ে গেল।
পিউঃ কিরে,হঠাৎ এমন টমেটো হয়ে গেলি কেন।ঈশান দেখলে পাকা টমেটো ভেবে খেয়ে ফেলবে আবার।
ইসুঃ যাহ তুই ও না।এসব কি বলিস দেখছিস লজ্জা পাচ্ছি তার উপর আরও লজ্জা দিচ্ছিস।
পিউঃ ওলে লে লেলে।আহালে লজ্জাবতী টা থাক আর পেতে হবেনা।
আমাকে ছেড়ে কি এমন আড্ডা হচ্ছে শুনি মিম বলল।
পিউঃ পূর্ণ দৈর্ঘ্য বাংলা ছায়াছবি হচ্ছে ঈশান তুমি আমার।
ইসুঃ পিউউউউ কি বাচ্ছিছছছছ।
পিউঃ ঐ এখনো আমার বিয়ে হয়নি যখন বিয়ে হবে আর বাচ্চা ফয়দা হবে তখন বলিস শুধু শুধু এখন বলে নিজের হায়াত কমাস না।
ইসুঃ ইইইইইইই তোকে তো আমি।
পিউঃ আমাকে কি কিস করতে মন চাইতেছে না ঈশাাাান এর নাম নিছি বলে।
ইসুঃ যাহ লুচু মাইয়া কিস নেওয়ার ধান্দা।
মিমঃ বাপরে বাপ তোরা থাম আমার মাথ ঘোলায় যাচ্ছে কিছু বলতেই পারলাম না তোরা এত কিছু বলে,দিলি।
পিউঃ ঐ একদম লুচু বলবিনা।আর আমি তোী কিস কেন নিবো যা ঈশান কে গিয়ে দে গা।আমি,তো শুধু আমার আরিয়ানের নিবো হু।আর এই ছেমরি বিয়ের একদিনে কি সব ভুলে গেলি নাকি যে সব তোর মাথর উপর দিয়ে যাবে।
মিমঃ আরে বাবা ভুলবো কোন বাট এই কথার মাঝে বার বার ঈশান নাম টা কেন আসতেছে বুঝতেছিনা।
ইসুঃ হুম ঈশান কেই দিবো তুই তোর রসিক থেকে নে গা।আমিতো,,,মিমের কথা শুনে চুপ হয়ে গেল ওর মনেই ছিলনা ঈশান মিমের দেবর।
পিউঃ না বুঝার কি আছে ইসু ঈশান কে ভালবাসে।সিম্পল।
মিমঃ কুত্তী,,,,,,,,
চলবে,,,,,,,,,
#True_Love_Never_Breaks
#Writer_Fayeja_Sultana_Piu
#Part_15
🌺🌺
মিমঃ কুত্তী,,,,,, আমার দেবরের সাথে প্রেম আর আমি জানিনা।
ইসুঃ বলার সুযোগ হয়নি।তা ছাড়া ভালবাসি এখনো বলিনি।এতদিন ফিল করিনি যে ওকে ভালবাসি।
পিউঃ ফিল করেছিস বুঝতে চাসনি যে ভালবাসিস সেটা।
ইসুঃ যেটাই হোক একটাই তো।
মিমঃ আচ্ছা বমি একটা কথা বুঝতে ছিনা ঈশানের সাথে প্রেম মানে প্রেমের ফিলিংস টা আসল কি করে তোদের তো মাত্র কাল দেখা হল।
পিউঃ কে বলল ওদের কাল দেখা হয়েছে।
মিমঃ তাহলে।
পিউ শুরু থেকে শেষ অব্ধি সব বলল মিম কে।
মিমঃ ওরে তলে তলে এতদুর।বাট আমি বুঝতেছিনা ঈচান এখন এমন করতেছে কেন।
ইসুঃ আমিও বুঝতেছিনা হঠাৎ ওর কি হল।
পিউঃ সব টিক হয়ে যাবে,তুই শুধু প্রপোজ টা করে দে।
ইসুঃ আমি মেয়ে প্রপোজ করব।কি বলিস।
মিমঃ তো কি করবা।ও যখন করেছিল তখন বাজির বশে শেষ করে দিলা এখন তোমাকেই করতে হবে।
ইসুঃ দেখি কি করা যায়।
মিমঃ আচ্ছা পরে দেখিস এখন আয় খাবি অনেক রাত হয়ে গেছে।
পিউঃ হুম চল।এই চল ইসু পরে ভাবিস কি করবি এখন আমার পেটে ইদুর নাছতেছে খাব।
ইসুঃ খাদকনি।
পিউঃ মোটেও না।তোর মত আমি কি মুটকি নাকি খাদকনি হব।
ইসুঃ আমি মোটেও মুটকি না। তুই তো শুটকি।
পিউঃ আমি শুটকি না আমার পারফেক্ট ফিগাট বুঝলি।যে কেউ সহজেই প্রেমে পড়ে যায় বুঝলি।ভাব নিয়ে।
ইসুঃ হ বুঝছি মেরি,মা চল এবার।
পিউঃ ঐ আমার এখনো বিয়েই হয়নি তোর মত আস্ত হাতির মা হলাম কি করে।
ইসুঃ আরে তুই আমার মা হবি কেন।
পিউঃ তাইলে বললি কেন মেরি মা।
ইসুঃ আমি,,,,,
মিমঃ উফ তোরা থামবি।খেতে চলবি নকি এখানেই উষ্টামো এক একটারে।
পিউঃ থাক আপনাকে আর কষ্ট করতে হবেনা যাচ্ছি আমরা।
ইসুঃ হুম তুমি অনেক কষ্ট করেছো উষ্টায়্যা আর কষ্ট দিতে চাইনা।
মিমঃ তাহলে চল।
পিউ,ইসুঃ হুম চল।
ওরা খাবারের টেবিলে গেল।সেখানেই আগে থেকে আরিয়ান,ঈশান আর মেরাজ বসা ছিল।শশুড় শাশুড়ী কে আগেই খাওয়ায় ফেলছে মিম।এখন ছেলে মেয়ে রা খাবে।
পিউ আর ইসু বসল।ওদের সামনে আরিয়ান আর ঈশান। আরিয়ান আর পিউ চোখাচোখি হতেই মিষ্টি হাসি দিল দুজনেই।কিন্তু ঈশান একবারের জন্য ও সামনে তাকালো না।ইসু দুঃখ পেল ঈশানের এমন বিহেবে।
গল্প হাসি আড্ডায় ওরা খাওয়া শেষ করল।আরও কিছুক্ষণ গল্প করে যে যার রুমে গেল।তখনি পিউর ফোনে আবার সেই কল আসল।এতক্ষণ পিউর ওর কথা মনেই ছিলনা।আড্ডায় হাসির মাঝে এই আপদ টাকে ভুলেই গেছিল সে।আরিয়ানকে বলতে ও ভুলে গেছে।এই সব ভাবতে ভাবতে কল কেটে গেল।আবার ও আসল কল পিউ ইসু কে আসছি বলে উঠে বাইরে চলে আসল।কল রিসিভ করে বলতে লাগল
পিউঃ তোমার প্রবলেম কি কল করতেছ কেন।কইবার মানা করতে হবে।
আয়ানঃ আমি তোমাকে আগেই বলেছি তুমি যতক্ষণ পর্যন্ত আমার না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত তোমাকে শান্তিতে থাকতে দিবনা।
পিউঃ কেন এমন করতেছ।আমি আরিয়ানকে অনেক ভালবাসি।
আয়ানঃ আমি তোমাকে অনেক ভালবাসি।
পিউঃ সেটা কখনো হওয়ার নয়।
আয়ানঃ বাট সেটাই হবে।
পিউঃ হবেনা হবেনা।কখনোও না।এই বলে ফোন টা আছাড় মারল পিউ।ঐদিকে আয়ান কল কেটে দিল।কিছুক্ষণ মাথায় হাত দিয়ে বসে থেকে ফোন নিয়ে উঠে রুমের দিকে পা বাড়ালো পিউ।
ইসুঃ কি রে কোথায় গেছিলি কে কল করেছিল।
পিউঃ কেউ না।একটু বাইরে হাটতেছিলাম।
ইসুঃ ওহহ।আচ্ছা শুয়ে পর অনেক রাত হয়ে গেছে।
পিউঃ হুম। বলে শুয়ে পড়ল।কারো,চোখে ঘুম নাই ইসু ঈশানের ভাবনায় ব্যস্ত।আর পিউ ভাবতেছে কি হবে সামনে আয়ান কি করতে চাইছে।আরিয়ান শুনলে কি ওকে ভুল বুঝবে।নাকি সব মেনে নিবে।আয়ান কে কি করে বুঝাবে ও। সে যা করতেছে সব ভুল।কারো থেকে জোর করে ভালবাসা পাওয়া যায়না।তার উপর ও অন্য কাউকে ভালবাসে।
ঐদিকে
আরিয়ান ঘুমে মগ্ন কিন্তু ঈশানের চোখে ঘুম নাই ও কি বেশি করে ফেলতেছে নাকি ইসুর উপর।এভাবে করা কি টিক হচ্ছে কবে যে ভালবাসি টা বলবে এই সব ভাবতে ভাবতে ঘিমের দেশে পাড়ি দিল সে।
🌺🌺
সকালে,,,
সবাই নাস্তা করে চলে যাওয়ার জন্য রেডি হল।সাথে ঈশান ও যাবে সেটায় রাত্রে ডিনারের টেবিলে বলে দিয়েছিল আরিয়ান।তাই আর বলতে হলনা নতুন করে।সবার থেকে বিদায় নিয়ে চলে গেল বাড়িতে।
বাড়িতে গিয়ে ঈশান সবাইকে সালাম জানাল।আরিয়ানের আম্মু ওকে রুমে নেওয়ার জন্য বলল।আরিয়ান ওকে রুমে নিল।
কিছুক্ষণ পর পিউ এসে বলল আরিয়ানের আম্মু কে।
পিউঃ আন্টি আমি আসি তাহলে।
মৌমিঃ কোথাই যাবি তুই।
পিউঃ কেন আমাদের বাসাই।
মৌমিঃ কোথাও যাওয়া হবেনা তোর।এখানেই থাকবি।
পিউঃ মানে আন্টি।
মৌমিঃ আমি তোর মাকে বলেছি কয়েকদিন এখানেই থাকবি।আমার মেয়েটা পরের ঘরে চলে গেল এখন তুই ও চলে গেলে আমি কি করে থাকব বল।
পিউঃ আচ্ছা আন্টি তাহলে যাচ্ছিনা।আমার এই মায়ের কাছেই থাকতেছি বলে জড়িয়ে ধরল আরিয়ানের আম্মুর গলা।
মৌমিঃ হুম তুই আমার মেয়ে আর আমার কাছেই থাকবি।
পিউঃ হুম আন্টি।
মৌমিঃ আচ্ছা যা রুমে গিয়ে কিছুক্ষণ রেস্ট নে।
পিউ উপরে গিয়ে কিছুক্ষণ রেস্ট নিল।
🌺🌺
পরেরদিন।
এর ভিতর আয়ান কয়েক বার পিউকে কল দিয়েছে বাট পিউ রিসিভ করেনি আর ঈশান ইসুর সামনে গেলেই এড়িয়ে যাচ্ছে।
ঈশান আর আরিয়ান পিউর রুমে এসে বলল আমরা বাইরে বের হচ্ছি চাইলে বের হতে পার আমাদের সাথে।
পিউঃ আমাদের যেতে বলতেছ নাকি লোভ দেখাচ্ছ।
আরিয়ানঃ লোভ দেখাবো কেন নিয়ে যেতে আসলাম।আর তা ছাড়া একটা সারপ্রাইজ ও আছে।
পিউঃ কি সারপ্রাইজ।
আরিয়ানঃ ঈশানের গার্লফ্রেন্ড এর সাথে মিট করাবে,আমাদের।
ইসু কথাটা শুনে সাথে সাথে ঈশানের দিকে তাকালো।ঈশানের চোখে কোন ভাবান্তর নাই।আছে মুচকি হাসি।যেটা দেখে ইসুর রাগ লাগতেছে।
ইসুঃ আমি যাবনা পিউ তুই যা।
যাক বাবা ও যাবেনা বলতেছে ও না গেলে পোরা প্লান টাই তো ভেস্তে যাবে।ঈশান আচতে করে।
পিউঃ আরে যাবিনা মানে একশ বার যাবি।ঐ তোমরা বের হও আমরা রেডি হচ্ছি।
ইসুঃ আমার ভাল লাগতেছেনা পিউ।
পিউঃ গেলে ভাল লাগবে।ঐ তোমরা যাও।
আরিয়ান ঈশানঃ হুম যাচ্ছি বলে বের হয়ে,গেল।আর পিউ আর ইসু রেডি হতে লাগল।ইসু যেতে চদচ্ছেনা তবুও পিউ জোর করে রেডি করালো।
রেডি হয়ে ওরা সবাই বের হল।একটা পার্কে গেল।সেখানে আগে থেকেই একটা মেয়ে উপস্থিত ছিল।ঈশান রা যেতেই মেয়েটি ঈশানকে জড়িয়ে ধরল।যেটা দেখে ইসুর রাগ হল অনেক তবুও নিজেকে শান্ত রাখল সে।
মেয়েটিঃ হাই।ঈশান মেরি জান।
ঈশানঃ হাই মিশু ডার্লিং।
মেয়েঃ মিস ইউ সো মাচ বাবু।কেমন আছ।
ঈশানঃ তোমাকে ছাড়া একটু ভাল ছিলাম না এখন অনেক ভাল আছি।ইসুর দিকে আড় চোখে তাকিয়ে বলল।
ইসু এসব দেখে গা জলতেছে মানতে পারতেছেনা ঈশানের এই নাটক।কি ডঙ্গি মেয়েরে বাবা বাবু জান তামা সোনা কত কিছু বলতেছে ওর ঈশান কে।
মেয়েঃ তাই নাকি বেবি।এখন আরও ভাল থাকবে আমি, আছিতো তোমার পাশে।বাই দা ওয়ে ওরা কারা জানু।
ঈশানঃ হুম পরিচয় করিয়ে,দি।ও হচ্ছে আরিয়ান আমার ফ্রেন্ড প্লাস বিয়াই।
আরিয়ানঃ হাই।
মিশুঃহাই।
ঈশানঃ ও হচ্ছে পিউ আরিয়ানের সেই।
পিউঃ হাই
মিশুঃহাই।
ঈশানঃ আর ও,হচ্ছে পিউর ফ্রেন্ড। ইসু।
মিশুঃ হাই।
ইচ্ছে না থাকা শর্তেও ভদ্রতার কারনে ইসু ও হাই জানালো।কিন্তু ইসু অবাক হয়ে গেল পিউর ফ্রেন্ড বলাতে।ঈশান ওকে এখন নিজের কেউ ভাবেনা পর করে দিল এভাবে।না আর সহ্য করা যায়না কিছু একটা করতে হবে ওর এই সব ভাবতেছে ইসু।তখনি ওর সামনে চুটকি বাজালো ঈশান।
ঈশানঃ কি,হল কার সপ্নে হারিয়ে গেলে।
ইসুঃ কই নাতো।
ঈশানঃ তো এতক্ষণ ডাকতেছি কোন সাড়া নাই তোমার।
ইসুঃ না কিছু না।
মিশুঃ বাদ দাও তো বাবু চল আমরা কোন রেস্টুরেন্টে যাই তোমার সাথে বসে একসাথে কতদিন যো খওয়া হয়নি।অনেক মিস করেছি দিন গুলা।
ঈশানঃ হুম আমিও বাবু।চল। এই তোমরাও আসো।বলে ঈশান মিশুর হাত ধরে যেতে লাগল।যেটা ইসুর বুকে ছুরির মত বিধতেছে।
চলবে,,,,,,,,