True_Love_Never_Breaks,Part_16,17

#True_Love_Never_Breaks,Part_16,17
#Writer_Fayeja_Sultana_Piu
#Part_16

🌺🌺
সবাই যখন রেস্টুরেন্টে যাচ্ছে তখনি আয়ান পিউর সামনে এসে হাজির।একবার আরিয়ানের দিকে তাকিয়ে পিউকে বলল।

আয়ানঃ জান তুমি এখানে।ভাবতেও পারিনি এভাবে দেখতে পাবো।কতদিন দেখিনি এই মায়াবী মুখ টা।

পিউঃ এসব কি অসভ্য কথা বার্তা আয়ান।

আয়ানঃ ভয় পাচ্ছো কেন আমিই তো।কিসের জন্য ভয় পাচ্ছো বলতো?

আরিয়ানঃ ও কে পিউ আর এসব কি বলতেছে এই ছেলেটা?

পিউঃ ওর কথা কানে নিওনা আরিয়ান।একটা পাগল সেই কবে থেকে পিছনে পড়ে আছে ছাড়ার নামই নাই।

আয়ানঃ ছাড়া তো হবেনা জীবনেও জান।তুমি শুধু আমার।আর কারো ও না।এই ছেলেটা কে? ওওও এই হচ্ছে আরিয়ান, এই শুন পিউ থেকে সরে যা। পিউ শুধু আমার।আর কারো হতে দিবনা আমি ওকে।

আরিয়ানঃ কিন্তু পিউ কি তোমাকে ভালোবাসে?

আয়ানঃ ও আমাকে ভালোবাসুক আর না বাসুক আমি বাসি এইটাই যথেষ্ট আমার জন্য ।

আরিয়ানঃ একতরফা ভালবাসা কখনো পূর্ণতা পাইনা আয়ান।এটাই তোমার নিতান্তই পাগলামি ছাড়া কিছু নই।

আয়ানঃ পাগলামি হোক বা অন্য কিছু পিউ শুধু আমার আর কারো না।

এতক্ষণ ইসু সব শুনতেছে এমনিতে ঈশানের বিহেভে তার মাথা ১০৪ ডিগ্রি গরম আছে তার উপর আয়ানের কথায় পুরাই ফায়ার হয়ে গেল সে আয়ানের সামনে এসে

ইসুঃ ঐ শাঁকচুন্না,পেত্না,ডায়েন,জিরাফ,সাদা হাতি,পিংক মহিষ,কালো গরু,গোলাপি হরিণ,হিরু আলম,বাফফারাজ এর মামাতো ভাই,অপু ভাইয়ের নানা,রানু মন্ডলের জামাই,সানি লিওনের এক্স,কুত্তা,বিলাই,হনুমান,খোদার গজব,টিকটিকির আচার,সাপের নুডলস,তেলাপোকার চাটনি,বিলাতি কচু,পচা আলু,পচা টমেটো,গন্ধ তরকারি,তোকে তো আমি চাইনিজ কোরাল দিয়ে কুঁচি কুঁচি করে কেটে আমার বাড়ির টমি কে খাওয়াবো বলে দিলাম।সালা খোদার গজব আর কাউরে পাসনা শুধু ওদের পাস সবাই, আগে আমি এখন তুই।এখন ঐ বেটা ঈশান্নার পিছনে মিশু না টিশু পেপার কে জানে ঐ কুত্তি পড়েছে।তোদের দুইটারে আমি মেরে উগান্ডায় পাটামো হারামির দল।

আয়ানঃ এই মেয়ে এই এস কি ছিল?কোন দিন শুনিনাই, আমার মাথা ঘোলিয়ে গেছে এই সব আজাইরা গালি শুনে।

ইসুঃ সালা তোর সাহস তো কমনা আমার আপডেট গালি গুলাকে তুই আজাইরা বললি।তুরে তো আমি,,, এই বলে আয়ানের গলা ধরতেই পিউ আর আরিয়ান ওকে ধরল।

পিউঃ এই কি করতেছিস চলতো এমন ফালতু লোকের কথায় কান দিতে নাই। শুধু শুধু শরীরের এনার্জি শেষ হবে।তাইতো আমার স্টকের গালি গুলা ছাড়িনি। আমি যাকে তাকে আমার গালি গুলা দিনা।আমার গালি শুনার জন্য লেভেল লাগে যা ওর নাই।

আরিয়ানঃ হুম বাদ দাও ইসু।চল ঈশান অপেক্ষা করতেছে আমাদের জন্য।

আয়ানঃ এই অপমানের বদলা আমি নিবই।সুখে থাকতে দিবো না পিউ তোমাকে।এই আরিয়ান কে নিয়ে তোমার অনেক গর্ব তাইনা?যদি আরিয়ানই না থাকে তখন কি হবে হুম,, হা হা হা।।

পিউঃ মানে কি বলতে চাও তুমি?

আয়ানঃ কি বলতে চাই সেটা না হয় কাজে করে দেখাবো কেমন? হা হা হা( পৈশাচিক হাসি দিয়ে)

আরিয়ানঃ চলতো ওর কথায় কান দিওনা পাগলে যা মুখে আসে তাই বলে।ঐ সব কানে নিতে নাই।

পিউঃ বাট আরিয়ান ও কি বলল আরিয়ান থাকবেনা মানে।

আয়ানঃ কি কি হই দেখো মিস পিউ।এতদিন শুধু ভালবাসা দেখেছো।এখন থেকে দেখবে তোমাকে ধ্বংস করার মিশন।

ইসুঃ ঐ কি করবিরে তুই।কিছু করতে পারবিনা।যখন করবি দেখা যাবে।আর তার প্রতিরোধ করতে ঠিকিই জানে পিউ।

কিরে তোরা এখনো এখানে দাঁড়িয়ে আছিস ঐ দিকে মিশু খাওয়ার জন্য তাড়া দিচ্ছে।ঈশান জানেনা এখানে কি হচ্ছে তাই ইসুকে রাগানোর জন্য বলল।

ইসুঃ কুত্তা তুই তোর টিসু নিয়ে আছিস এখানে পিউর আর আরিয়ানের জীবন নিয়ে টানাটানি হচ্ছে।

ঈশানঃ মানে কি হয়েছে আর ঐ ছেলেটা কে।

ইসুঃ তোমার জেনে কি হবে তুমি যাও তোমার টিসু কে খাবার খাওয়ায় ওর অনোক ক্ষিদা পেয়েছে।হু।

ঈশানঃ কি হয়েছে বল আরিয়ান ঐ ছেলেটা কে।

আরিয়ানঃ কিছু নাতো বাদ দে।

ঈশানঃ বাদ দিবো মানে পিউর চোখে পানি কেন আর ইসু এই সব কেন বলল বল আমাই।ঐ ইসু তুমি বলো কি হচ্ছে এখানে।

আরিয়ানঃ বাদ দেতো কিছু না চল।খাবো আর মিশু ওয়েট করতেছেতো।

ঈশানঃ দাড়া আরিয়ান।ইসু তুমি বলো কি হয়েছে।

ইসু এতক্ষণ যা কিছু হয়েছে ওদের মধ্যে সব বলল।সব শুনে ঈশানের চোয়াল শক্ত হয়ে গেল।আয়ানের দিকে তেড়ে যেতেই আরিয়ান ধরে ফেলল।

ঈশানঃ সালা কি করবি দেখে নিব।ওদের কিছু করার আগেই আমরা আছি প্রতিহত করার জন্য। তুই কি করতে পারবি সেটা দেখার বাকি সালা যা কি করবি কর গা।

আয়ানঃ বন্ধুর জন্য এত দরদ ওকে দেখো তাহলে কি কি হই। ওকে তাহলে রেডি থেকো পরবর্তী ধাক্কার জন্য বাইইইইই।।।এই বলে আয়ান চলে গেল।।

পিউঃ কি হবে এখন ও কি বলে গেল। ও আরিয়ানের ক্ষতি করবে বলে গেল।কি হবে আমার? কান্না করতে করতে।

আরিয়ানঃ কিছু হবেনা জান।কিছু করতে পারবেনা তোমার ভালবাসা আছেতো আমার সাথে।

পিউঃ তবুও আমার অনেক ভয় হচ্ছে আরিয়ান।

ঈশানঃ ভয়ের কিছু নাই পিউ আমরা আছিতো।

ইসুঃ হুম পিউ।কোন বিপদ আসলে আমরা সবাই মিলে রক্ষা করব তুই চিন্তা করিস না।

পিউঃ হুম।

আরে তোমরা এখনো আসতেছোনা কেন।কতক্ষণ ধরে ওয়েট করতেছি। মিশু এসে বলল।

ইসুঃ এসে গেছে ডংগি।দেখলেই গা জলে যাই।

ঈশানঃ সবাই চলতো এসব বাদ দে।

আরিয়ানঃ হুম চল।চলো পিউ।দেখো এই সব একদম মনে রাখবানা কিছু হয়নি দেখো।

পিউঃ হুম।

আরিয়ানঃ হাসো একটু প্লিজ।

পিউঃ হুম,, হালকা মুচকি হেসে।

আরিয়ানঃ এইতো গুড গার্ল।

মিশুঃ কি হচ্ছে এখানে চলো সবাই।হেই বেবি চলোনা। পেটে আমার ইদুর ডান্স দিচ্ছে।

ইসুঃ আসছে খাদকনি।

ঈশানঃ আচ্ছা বেবি চলো।এই সবাই চলতো।

সবাই একটা রেস্তোরেন্টে গেল।পিউ আর আরিয়ান সামা সামনি,ঈশান আর মিশু সামনা সামনি আর পিউর পাশে ইসু বসল।

ঈশানঃ কি কি খাবে অর্ডার করো জানু।ইসুর দিকে মেনু বুক টা ধরে।যেই না ইসু বুকটা নিতে যাবে তখনি ইসুর দিক দিয়ে ঘুরিয়ে মিশুকে দিল।ইসুর মুখটা কালো হয়ে গেল।চোখের কোনে জল জমে গেল।ঈশান সেটা দেখেও না দেখার বান করে মিশুর দিকে তাকিয়ে বলল।অর্ডার করো বেবি।

মিশুঃ আইসক্রিম চকলেট অর্ডার করল।

ঈশানঃ এগুলা কেন।এসব খেলে কি ক্ষিদা যাবে নাকি জানু।

মিশুঃ হুম জানু এই সব খাবো তুমি তো জানো আমার এই সব প্রিয়।

ঈশানঃ ওকে।ঐ তোরা কি খাবি বল।

আরিয়ানঃ পিউ তুমি কি খাবে?

পিউঃ আমিও আইসক্রিম আর চকলেট খাবো।

আরিয়ানঃ ইসু তুমি কি খাবে।

ইসুঃ আমি কিছু খাবোনা।তোমরা খাও আমি আাসতেছি বলে উঠে যেতেই ঈশান বলল।

ঈশানঃ কেউ না খেতে চাইলে আমাদের কি আমরাতো খাবো।যাও যাও আমি আর মিশু একসাথে খাবো।

ঈশানের শেষের কথা শুনে আর উঠলনা ইসু বলল

ইসুঃ আমি চকলেট খাবো।

আরিয়ানঃ ওকে সবার জন্য আইসক্রিম আর চকলেট অর্ডার কর।আর আমার জন্য কোলড্রিংক্স।

ঈশানঃ ওকে।ওয়েটার কে ডেকে অর্ডার করলো।
ওয়েটার অর্ডার অনুয়ায়ী নিয়ে আসল সব।সবাই খেয়ে আরো কিছুক্ষণ ঘুরলো।এর মধ্যে ঈশান ইসুকে দেখিয়ে দেখিয়ে মিশুর সাথে ক্লোজ ভাবে মিশতে লাগলো।যা দেখে ইসুর চোখের কোণ ভিজে উঠে।
সবার অগোচরে মুছে পেলে ইসু।যেটা ঈশানের চোখে পড়ে।ঈশানের বুকের মধ্যে কেমন ব্যাথা অনুভব করল ইসুর চোখের পানি দেখে।ভাবতেছে ও কি বেশি করে ফেলতেছে নাকি ইসুর প্রতি।না এত কষ্ট দেওয়া ঠিক হবেনা।বাট এই মিশু টাও না বেশি করে ফেলতেছে বলেছি অভিনয় করার জন্য বাট সে গায়ের মধ্যে ঢলে পরতেছে।

ঘুরাঘুরি শেষে পিউ আর ইসুকে নিয়ে আরিয়ান বাড়ি চলে আসল।আর ঈশান মিশুকে পৌছে দিবে তাই মিশুর সাথে গেল।

চলবে,,,,,,,,

#True_Love_Never_Love
#Writer_Fayeja_Sultana_Piu
#Part_17

🌺🌺
এভাবে পার হতে লাগলো সময়।ঈশান মিশুর সাথে মেলামেশা। ইসুর এইসবে নিজেকে দূঃখি করা।সবসময় মন মরা হয়ে থাকা।এই সব নিয়ে চলছে তাদের জীবন।এট মধ্যে আয়ানের কোন খবর ছিলো না। হঠাৎ করে একদিন পিউর ফোনে কল আসল আয়ানের।

আয়ানঃ কেমন আছো জানেমন।মনে হয় আমাকে ভুলেই গেছো।

পিউঃ তুমি আবারও কিসের জন্যে কল করেছো।তোমার কি লজ্জা নাই হুম।একটা মেয়েকে এভাবে ডিসটার্ব করে কি মজা পাচ্ছ বলতো।

আয়ানঃ মজা তো এখন পাবো বেবি।হাহহা আর তোমাকেও দিব।

পিউঃ মানে কি বলতে চাচ্ছ তুমি কিসের মজা দিবা হুম।দেখো তোমার সাথে কথা বলার কোন ইচ্ছে আমার নাই।রাখছি আমি।

আয়ানঃ ইচ্ছে টা এখন জাগবে।যখন কথাটা শুনবে।

পিউঃ কিসের কথা বলবে তুমি।

আয়ানঃ আজ তোমার আরিয়ান জানি কই যাচ্ছে। সেটা জানো কি তুমি।যদি বলি এটা ওর শেষ যাত্রা হয়।

পিউঃ কি বলতে চাচ্ছ তুমি শেষ যাত্রা মানে কি।হ্যালো,হ্যালো,,,,,,, আরে কেটে দিল।পিউ আবার কল দিল আয়ানকে কিন্তু আয়ান রিসিভ করেনি।কয়োক বার কল দিল কিন্তু আয়ানের আর কোন খবর নাই।পরে পিউ দৌড়ে আরিয়ানের কাছে গেল।

আরিয়ানঃ আরে তুমি হাঁপাচ্ছ কেন।আর এভাবেই বা দৌড়ে আসতেছো কেন।

পিউঃ আরিয়ান, আরিয়ান,ও ও ও,,,,

আরিয়ানঃ কুল পিউ কুল।কি হয়েছে বলো।শান্ত হয়ে এখানে বসো।চেয়ারে বসিয়ে।এখন বলো কি হয়েছে।

পিউঃ তুমি কি কোথায় যাবে?

আরিয়ানঃ হুম অফিসের কাজে কয়েকদিনের জন্য ঢাকায় যেতে হবে।তবে আজ না কাল।আজকে যাওয়ার কথা ছিল। সেটা ক্যানসেল হয়ে গেছে। তাই তোমাকে জানাইনি।।

পিউঃ তুমি যাবে না।প্লিজ আরিয়ান তুমি কোথাও যাবে না।

আরিয়ানঃ না গেলে কি করে হবে বলো, অফিসের কাজ না হলে অফিস আগাবে কি করে।দেখো এই ডিল টা হয়ে গেলে অফিসে অনেক লাভ হবে।আমাদের বিজনেস টপ টেনে চলে যাবে।

পিউঃ আমি কোন কথা শুনতে চাইনা তুমি যাবেনা বেস।

আরিয়ানঃ সেটা কি করে হয় বল জান যেতে তো হবে তবে তুমি চিন্তা করো না আমি তাড়াতাড়ি চলে আসব।

পিউঃ তুমি বুঝতে পারতেছো না আরিয়ান ও তোমার ক্ষতি করবে।

আরিয়ানঃ কে ক্ষতি করবে?

পিউঃ আয়ান। ও আমাকে কল করে ট্রেড দিছে এটা নাকি তোমার শেষ যাত্রা।

আরিয়ানঃ ঐ সব কিছু না শুধু তোমাকে ভয় দেখানোর জন্য বলেছে।কিছু করতে পারবেনা আমার।

পিউঃ তবুও আমার অনেক ভয় করতেছে।তুমি প্লিজ যেওনা। আমর কথা টা শুনো।

আরিয়ানঃ দেখো জান।বলছিতো কিছু হবেনা।আচ্ছা আমি সতর্ক হয়ে থাকবো কেমন আর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চলে আসবো প্লিজ জান মন খারাপ করোনা।প্লিজ

পিউঃ হুমম আচ্ছা।( ছলছল চোখে)

আরিয়ানঃ জান দেখো আমার দিকে।তাকাও।পিউর থুতনি ধরে আরিয়ানের মুখের দিকে তুলে।

পিউঃ হুম,,, আরিয়ানের দিকে তাকিয়ে।

আরিয়ানঃ আমার কিছু হবেনা সোনা।প্লিজ এভাবে মুখ করে রেখোনা।

পিউঃ আমার মন যেতে সাই দিচ্ছে না জান।কি করে হাসি মুখ করবো বলো।

আরিয়ানঃ আমাকে বেশি ভালবাসো তাই এমন লাগতেছে।কিছু হবেনা দেখে নিও।

পিউঃ হুম।কিন্তু আরিয়ান আমি তোমাকে কোন অবস্থাতেই হারাতে চাইনা।

আরিয়ানঃ আমি কোত্থাও হারাবোনা জান।আমি,সবসময় তোমার মন কিনারে বসত করে থাকবো।

পিউঃ হুম।আর আমি আগলে রাখবো কোথাও হারাতে দিবনা সেখান থেকে।

আরিয়ানঃ তাহলে এত্ত ভয় কিসের?আমিতো আছি তোমার মাঝে।

পিউঃ তুমি বুঝবানা আমার চিন্তা টা।ও আমাকে ট্রেড দিছে আর সেইদিন ও বলেছিল তোমাকে নিয়ে তাহলে কি করে চিন্তা না করি বলো।

আরিয়ানঃ আরে বাবা হয়েছে এখন।এসব ছাড়ো কাল তো চলে যাবো।এখন একটু সময় টা হ্যাপি করো।

পিউঃ কি করে। চোখ কুঁচকে আরিয়ানের দিকে তাকিয়ে।

আরিয়ানঃ এই রকম করে বলে পিউকে কাছে নিয়ে ওর ঠোঁটে ঠোট ডোবালো।😐😐

কতক্ষণ ছিল জানা নাই পিউ অনেক ছোটানোর চেষ্টা করে শেষে না পেরে সেও রেসপন্স করে আরিয়ানের তালে।কিছু সময় পরে ছেড়ে দিল আরিয়ান।পিউর মুখ লজ্জায় লাল নীল বেগুনি হয়ে গেল তা দেখে আরিয়ান হেসে দিল।আরিয়ানের হাসি দেখে পিউ আরও লজ্জা পেয়ে যায় সে দৌড়ে রুম থেকে বের হয়ে তার রুমে চলে যায়।পিউর এমন দৌড় দেখে আরিয়ান অট্টহেসে পাগলী বলে কাপড় গোছাতে লাগলো।কারন কাল তার ঢাকা রওয়ানা হতে হবে।

🌺🌺
মিশু আসলো আরিয়ানদের বাড়িতে এসেই ঈশান কে বললো চলো বেবি আমরা কোথাও ঘুরে আসি।কেমন বোরিং ফিল করতেছি।তখনি ইসু রুম থেকে বের হল আর মিশুর কথা শুনতে পেল।ঈশান মানা করতে চেয়েছিল কিন্তু ইসুকে দেখে বলল চল বেবি আমিও কেমন জানি বোরিং হচ্ছি এখানে একা একা থেকে।চল বেড়িয়ে আসি আর এনজয় করি দুজনে মিলে।
ইসু ঈশানের কথা শুনে ঈশানের দিকে শান্ত চোখে তাকালো।কিছু না বলে রুমে চলে গেল।বালিশে মুখ গুঁজে কান্না করতে লাগল।ঈশান এভাবে পাল্টে গেল ও খে কে নিয়ে টিকই সুখে আছো।কিন্তু আমি যে বিরহের উনুনে জ্বলে পুড়ে ছাই হয়ে যাচ্ছি এসব বলতেছে ইু আর অঝর দ্বারায় অশ্রু নামক পানি গড়িয়ে পরতেছে।
ইসুর শান্ত চাহনি দেখে ঈশানের বুকের মাঝে ধুক করে ঞঠল।ইসুর এভাবে চলে যেতে দেখে ঈশান বুঝলো সে কষ্ট পেয়েছে।ঈশান মিশুকে মানা করে দিল সে যাবেনা কিন্তু মিশু ছাড়ার পাত্রী না সে ঈশান কে তাড়া দিয়ে নিয়ে গেল বাহিরে।
ঈশান বাসায় কিছু বলতে পারেনি ইসু শুনবে বলে।যখন মিশু ঈশান কে একটা নিরিবিলি জায়গায় আনল।গাড়ি থেকে নামার পরই ঈশান ও কে বলতে লাগল।

ঈশানঃ তোমার প্রবলেম কি।আসবনা বললাম তবুও এভাবে আনার মানে কি।

মিশুঃ ঘুরতে ইচ্ছে হয়েছিল তো।

ঈশানঃ তো আমি কি করব।তোমার ইচ্ছে হলে তুমি একলা ঘুর আমাকে টানতেছো কেন।

মিশুঃ একটু ঘুরার জন্যই তো আনলাম বিয়ে করার জন্যে তো না।

ঈশানঃ হোয়াট। বিয়ে সিরিয়াসলি মিশু।দেখ তোমাকে শুধু অভিনয় করার জন্য এনেছি। সো লিমিটের মধ্যেই থেক।এরপর থেকে এমন কিছুই করবানা বুঝলে।

মিশুঃ (হাহাহা অভিনয়,,,একবার যখন অভিনয় করার জন্য এনেছো এবার আমার করে নিবই।সেই কলেজ লাইফ থেকে ভালবেসে আসতেছি।তোমার কোন পাত্তা পেলাম না।এখন যখন চান্স পেলাম সেটা কি হাত ছাড়া করা যাই বল।আমার করে তো নিবই তোমাকে হাহাহা কিন্তু ভালবাসার জন্য না তোমার সম্পত্তির জন্য আর একটু টাইম পাস করার জন্য ।।।)মনে মনে।

ঈশানঃ কি হয়েছে কথা বলতেছো না কেন।কি বলছি শুনেছ তো।নেক্সট টাইম এভাবে গায়ে পরবেনা।মনে থাকবে।

মিশুঃ হুম মনে থাকবে।

ঈশানঃ ওকে চল।এসেছো যখন একটু ঘুরো আমি এখানেই আছি।

মিশুঃ তুমি ও চল।দেখো ঐ দিকে কি সুন্দর প্লেস।অনেক ভাল লাগবে।
ঈশান কি করবে আর মিশুর সাথে ঐদিকে গেল। কিছুক্ষণ বেড়িয়ে ঈশান বাড়ি চলে আসলো আর মিশু একটা ক্লাবে।

🌺🌺
পরেরদিন।
আরিয়ানের হাতে কাপড়ের ব্যাগ।মেইন গেটের সামনে দাড়ানো পাশে মা বাবা ঈশান ইসু আর একপাশে দাঁড়িয়ে পিউ।মা সাবধানে থাকতে বলতেছে বাবা বলতেছে টিকটাক যেতে ঈশান বলে শরীরের যত্ন নিতে ইসু বলে দেখে গন্তব্যে যেতে।কিন্তু পিউর মুখে কোন কথা নাই।সে একধ্যানে তাকিয়ে আছে আরিয়ানের দিকে।
আরিয়ান সবাইকে সব করবে বলে ইশারায় পিউকে দেখালো।ওরা বুঝতে পেরে গুড বাই বলে ঘরে চলে গেল।আরিয়ান আচতে আচতে পিউর সামনে আসল।আরিয়ানের আসাতেও পিউর কোন ভাবান্তর নাই সেই চেয়েই আছে আরিয়ানের দিক।আরিয়ান পিউর মুখে হাত রেখে বলল

আরিয়ানঃ কি হয়েছে এমন করে আছো কেন।এভাবে গোমড়া মুখ করে থাকলে মন কি মানে বলো জান।

পিউঃ যেওনা জান থাকতে পারবোনা তোমায় ছাড়া।

আরিয়ানঃ মাত্র কয়েকদিন জান তাড়াতাড়ি ফিরবতো।

পিউঃ হু।

আরিয়ানঃ আচ্ছা এবার একটু হাসি মুখে বিদায় দাও না হলে দিন গুলো ভাল কাটবেনা জান।

পিউঃ আচ্ছা যাও।সাবধানে থাকবা।দেখ অপরিচিত কারো সাথে ক্লোজ হবানা।দেখে গাড়িতে উঠবা,টাইমলি খাবা।আর আমাকে কয়েক মিনিট পর পর কল দিবা ওকে।।

আরিয়ানঃ আরে বাপরে বাপ আমি কি ছোট বাচ্চা নাকি এভাবে পড়িয়ে স্কোলে পাঠাচ্ছো।

পিউঃ দেখো একদম ফান করেনা আমি সিরিয়াস।

আরিয়ানঃ ওকে বাবা সব করব এখন আসি জান।

পিউঃ হুম ওকে যাও বাট তাড়াতাড়ি ফিরবে কিন্তু।

আরিয়ানঃ ওকে জান।আসি তাহলে বাই।

পিউঃ বাই।

আরিয়ান গাড়িতে উঠে বসল ড্রাইভার গাড়ি স্টার্ট দিল।পিছনে ফিরে একবার পিউকে দেখে সুন্দর করে বসল সিটে আরিয়ান।গাড়ি ছোটে চলল তার গন্তব্যে।
যতক্ষণ গাড়ি দেখা যাই তাকিয়ে থাকলো পিউ।ওর মন মানতেছেনা।আরিয়ানের যাওয়া টা।তবুও সে আটকে রাখতে পারেনি।কেউ পিউর কাধে হাত রাখল।ফিরে তাকিয়ে দেখল ইসু।

ইসুঃ কিরে এখনো দাড়িয়ে আছিচ চল ঘরে।সেই কখন চলে গেল গাড়ি তবুও সেদিকে তাকিয়ে দাড়িনিয়ে য়ে আছিস।

পিউঃ হুম চল।এমনি দাড়িয়ে ছিলাম।

ইসুঃ ফিরে আসবে তাড়াতাড়ি চিন্তা করিস না।

পিউঃ হুম।

তারা ঘরের ভিতর চলে গেল।পিউ রুমে গিয়ে শুয়ে থাকল।তার মাথায় আয়ানের কথা গুলো ঘুরপাক খাচ্ছে। তার কথা গুলে বাস্তবায়িত করবেনা তো আবার।আল্লাহ তুমি রক্ষা কর আরিয়ান কে।

চলবে,,,,,,,,,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here