#True_Love_Never_Breaks,Part_08,09,10
#Writer_Fayeja_Sultana_Piu
#Part_08
আরিয়ানঃ আমার ও ভয় করতেছে যদি মা বাবা মেনে না নেই তাহলে কি হবে।
পিউঃ আমি তোমাকে ছাড়া বাচবনা আরিয়ান।প্লিজ তুমি একটা কিছু কর।
আরিয়ানঃ তুমি শান্ত হও দেখি আগে কি হয় তারপর ভাবা যাবে কি করা দরকার।
পিউঃ যা করনা কেন আমি তোমাকে হারাতে পরবনা।যদি হারাতে হয় নিজেই হারিয়ে যাব।
আরিয়ানঃ পিউ😡😭।কি বলতেছ এসব তুমি হারাবা মানে তুমি জাননা তুমি ছাড়া আমি নিঃস্ব তোমাকে ছাড়া আমার বেচে থাকা সম্ভব না।পিউর হাতের উপর মুখ রেখে আরিয়ান।
পিউ দেখল ওর হাত ভিজে যাচ্ছে তার মানে আরিয়ান কান্না করতেছে পিউর বুকটা ধুক করে উঠল ওর। আরিয়ান কান্না করতেছে ওর কথায় কষ্ট পেয়ে পিউ স্তব্ধ হয়ে গেছে। কি বলবে নিজে ভাবতে পারতেছে না তবুও বলল।
পিউঃ আরিয়ান আমার ভুল হয়ে গেছে আমি আর কখনো হারাবার কথা বলবনা প্লিজ তুমি কান্না অফ কর তোমার কান্না যে আমি সইতে পারিনা। (আরিয়ানের চোখ থেকে পানি পরতেই আছে)।চুপ হও আরিয়ান প্লিজ আমি আর নিতে পারতেছিনা তোমার চোখে ঐ পানি। প্লিজ স্টপ হও প্লিজ আরিয়ানের বুকে ঝাপিয়ে পড়ে।
আরিয়ানঃ আমার সামান্য চোখের পানিতে তোমার এতটা কষ্ট লাগল তাহলে বুঝ তোমার হারানোর কথা শুনে আমার কেমন লাগতে পারে।
পিউঃ আমি বুঝতে পারতেছি আর কোন দিন বলবনা প্লিজ তবুও তুমি আর কান্না করবেনা আমি হাজারো দুঃখ বেদনা সইতে পারব বাট তোমার চোখের অশ্রু কখনো পারবনা কখনো না।কান্না করে আরও চক্ত করে জড়িয়ে ধরে আরিয়ানকে।
আরিয়ানঃ ওই পাগলি চুপ হও দেখ আমি আর কান্না করছিনা এবার তুমি ত বন্ধ কর কান্না। পাগলি একটা।
পিউঃ হুম তোমারি তো পাগলি।
আরিয়ানঃ হুম শুধু আমার পাগলি টাইট হাগ করে।আমার ছাড়া আর কারো হতেই দিবনা।
পিউঃ আমি আর কারো হবও না জান।আমি শুধু তোমার জান হয়ে থাকতে চাই।
আরিয়ানঃ হুম সারাজীবন আমার জান হয়ে আমার নিঃশ্বাসে থাকবে তুমি কোথাও যেতে দিবনা।
পিউঃ I Love you আরিয়ান।
আরিয়ানঃ I Love you too মেরি জান।।
পিউঃ আচ্ছা চল দেখি ইসু কি কি বলেছে আন্টি দের।
,,
,
,
,
,
,
,
ঐ দিকে ইসু,,,,,,,,
,
,
ইসু আন্টি আঙ্কেল এর রুমে গেল।গিয়ে দরজা নক করল।
আন্টিঃ কে।
ইসুঃ আন্টি আমি ভিতরে কি আসতে পারি।
আন্টিঃ আসো।
ইসু ভিতরে গেল।
আন্টিঃ বসো এখানে তোমার সাথে তো পরিচিত হওয়া হয়নি আসলে বিয়ের ঝামেলায় তোমার সাথে কথা হয়নি তুমি তো আরিয়ানের ফ্রেন্ড তাইনা।
ইসুঃ জ্বি আন্টি।
আন্টিঃ তো কেমন আছ তুমি তোমার বাড়ি কই ফ্যামিলিতে কে কে আছে।
ইসুঃ জ্বি আলহামদুলিল্লাহ ভাল আছি।আমার বাড়ি সিলেট আন্টি।ফ্যামিলিতে আমি ছোট ভাই আর আব্বু আম্মু।
আন্টিঃ আব্বু কি করে তোমার।
ইসুঃ একটা কোম্পানি আছে ওনার।
আন্টিঃ ওহহ।তা আরিয়ানের সাথে তোমার কেমনে পরিচয়।
ইসুঃ আমরা একি কোম্পানিতে চাকরি করি আন্টি।
আন্টিঃ তোমাদের নিজস্ব কোম্পানি থাকতে তুমি অন্য জায়গায় কেন জব কর বুঝলাম নাতো।
ইসুঃ আরে এত প্রশ্ন আমার মাথা তো গুরায় যাচ্ছে এটা মা নাকি সি আইউি অফিসার।(মনে মনে)।আববব আসলে আন্টি আমার নিজের যোগ্যতায় কাজ করার ইচ্ছে তাই নিজের কোম্পানি ছেড়ে অন্য কোম্পানি তে কাজ করতেছি যাতে কেউ বলতে না পারে আমি বাবার কোম্পানি তে যোগ্যতা ছাড়া কাজ করতেছি।
আন্টিঃ বাহ লক্ষী মেয়েতো।
ইসুঃ লক্ষী হাহ এখন সত্যি টা বললে ঝাটা দিয়ে পিটাবে আল্লাহ রক্ষা কর (মনে মনে). আন্টি আমার একটা কথা ছিল।
আন্টিঃ হুম বল মা কি বলবা।
ইসুঃ আসলে আন্টি মানে,,,,,
আন্টিঃ আরে বল এত তোতলাচ্ছ কেন।কোন ভয় ছাড়া বলতে পার।
ইসুঃ আসলে আন্টি আরিয়ান আর পিউর কথা বলতে চেয়েছিলাম।
আন্টিঃ ওদের আবার কি কথা।আচ্চা তুমি বল।
ইসুঃ না মানে ওরা যে এক জন আর একজন কে পছন্দ করে মানে ভালবাসে সেই বিষয়ে বলতে চেয়েছিলাম।
আন্টিঃ কি ওরা একে অপরকে ভালবাসে।।।এই উঠ উঠনা এই মেয়ে কি বলে দেখ উফ উঠনা আরিয়ানের আব্বু (আঙ্কেল কে ধাক্কা দিতে দিতে)
আঙ্কেলঃ কি কি হল আরে এমন করতেছ কেন চোর পরেছে নাকি ডাকাত।তারাতাড়ি লাফিয়ে ঘুম থেকে উঠে।
আন্টিঃ এর থেকেও বেশি কিছু হয়েছে।
ইসু এই সব দেখে ভয় পেয়ে গেছে কাচু মাচু হয়ে বসে আছে।হঠাৎ বলে উঠল।
ইসুঃ আন্টি আমি যাই এখন।
আন্টিঃ ঐ মেয়ে দাড়াও।
ইসুঃ জ্বি আন্টি।
আঙ্কেলঃ আরে কি হয়েছে বলবেত কি এমন হয়েছে এভাবে ডাকাত পরেছে এর মত বিহেব করতেছ।
আন্টিঃ কি হয়েছে শুনতে চাও তাহলে শুন আরিয়ান এর সাথে নাকি পিউর রিলেশন আছে ওরা একে অপরকে ভালবাসে।।।।
আঙ্কেলঃ কি আবার বল কি বললে আরিয়ান পিউকে ভালবাসে। কবে থেকে এই মেয়ে বল কবে থেকে।
ইসুঃ অনেক আগে থেকে প্রায় বছর হবে বাট এর মাঝে কয়েক মাস রিলেশন ব্র্যাকআপ ছিল।
আঙ্কেলঃ কেন ব্র্যাকআপ কেন হয়েছিল।
ইসুঃ আসলে আক্কেল আমি ওদের মাঝে ব্র্যাকআপ করিয়েছিলাম।
আঙ্কেলঃ মানে কি কেন কি কারনে করিয়েছিলে।
ইসু কি কি হয়েছিল কেন ব্র্যাকআপ করেছে সব বলল ওদের।
সব শুনে আঙ্কেল বলল,,,,,,,,,,,,
চলবে,,,,,,,,,,,,,
#True_Love_Nevar_Breaks
#Writer_Fayeja_Sultana_Piu
#Part_09
আঙ্কেলঃ কি তুমি ওদের মাঝে ব্র্যাকআপ করেছিলে তোমার সাহস তো কম নই আর করেছ সেটা আবার বলতেছ।
ইসুঃ আক্কেল তখন আমি ভালবাসায় অন্ধ হয়ে গেছিলাম তাই ওমন করেছি।প্লিজ আঙ্কেল আমাকে ক্ষমা করে দিন আমার ভুল হয়ে গেছে।
আন্টিঃ মেয়ে টা যখন ভুলটা বুঝতে পেরেছে তাহলে আর কিছু বলনা।ক্ষমা করে দাও ওকে।
আঙ্কেলঃ আচ্ছা তুমি যখন বলতেছ তখন ক্ষমা করে দিলাম।আর এমনি তেও যারা নিজের ভুল বুঝতে পেরে অনুতপ্ত হয় তাদের শাস্তি দেওয়া যাইনা।
ইসুঃ থ্যাংক্স আন্কেল।
আঙ্কেলঃ বাট ওদের ছাড়ছিনা আজ আসুক।ওদের ডাকো।ওদের খবর করব এখন।
তখনি পিউ আর আরিয়ান আসল রুমে।দেখতে পেল ইসু আরিয়ানের মা বাবার সামনে তখনি দুজনের বুকের পানি শুকিয়ে গেছে।আল্লাহ কে ডাকতেছে কি হয় কে যানে।মাথা নিচু করে দাড়িয়ে আছে দুজনই।
আন্টিঃ আসছিস তোরা আয় এদিকে আয়।
আরিয়ানঃ হুম।ওরা আর একটু সামনে গেল।
আঙ্কেলঃ ঐ মেয়ে যা বলতেছে তা কি টিক আরু।(আরিয়ান কে মা বাবা আরু বলেই ডাকে)
আরিয়ানঃ আসলে বাবা,,,,,,
ইসুঃ আঙ্কেল প্লিজ ওদের মেনে নিন পিউ অনেক ভাল মেয়ে ওর মত মেয়ে একটাও পাবেননা।
আঙ্কেলঃ এই মেয়ে তুমি চুপ কর তোমাকে কিছু বলতে বলেছি।(রাগ দেখিয়ে)
আন্টিঃ তুমি এত হাই পার হচ্ছ কেন একটু শান্ত হও প্লিজ।
আঙ্কেলঃ কিসের শান্ত তুমি চুপ কর একটা কথা ও বলবেনা।।
আন্টি চুপ হয়ে গেল।
আঙ্কেলঃ তো বল তোমাদের মাঝে কি আছে বল উত্তর দে।
পিউঃ আঙ্কেল আমি আরিয়ান কে ভালবাসি। এতে আরিয়ানের কোন দোষ নাই ও আমাকে অনেক বারন করেছিল বাট তবুও আমি ওকে ছাড় দেইনি তাই শেষে না পেরে ভালবাসতে হয়েছে এতে ওর কোন ভুল নাই আঙ্কেল সব দোষ আমার।আমাকে যা করার করেন আরিয়ান কে কিছু বলবেন না আঙ্কেল প্লিজ।
আরিয়ান,ইসু,আন্টি,আঙ্কেল সহ পিউর কথায় অবাক হল তারা সবাই পিউর দিকে তাকালো ওদের তাকানো দেখে পিউ চোখ নিচে নামিয়ে ফেলল।
আরিয়ানের দিকে একবার চোখ তুলে তাকালে পিউ বুঝতে পারত আরিয়ানের মুখে রাগ টা ফুটে উঠেছে।ওকে বাচানোর জন্য সব দোষ নিজের কাধে কেন নিবে সে হুম ভালবেসেছি দু জনে বকা হোক না অন্য কিছু দুজনেই সমান দোষি তাহলে ও সব দোষ কেন নিজে নিবে।আর কি বলল ও আমাকে ভালবাসার জন্য জোর করেছে তাই না পেরে ভালবেসেছি কুত্তী তোকে ভালবাসার কথা কে আগে বলেছে।একবার পাই বুঝিয়ে দিব দোষ নিজের কাধে নেওয়ার পরিনাম কি।এই সব কিছু আরিয়ান পিউর দিকে তাকিয়ে বলতেছে।
আঙ্কেলঃ ওহহ আচ্ছা তাই নাকি।তাহলে আরুকে তুমি বাধ্য করেছ তোমার প্রেমে পরতে তাইতো।
পিউঃ জ্বি জ্বি আঙ্কেল। আমি করেছি।
ইসুঃ এই সব কি বলতেছ পিউ আ,,,
পিউঃ আমি যা বলতেছি টিক বলতেছি তুমি কিছু বলনা এসবের মাঝে।
ইসু চুপ হয়ে গেল ও বুঝতে পেরেছে আঙ্কেল আন্টি যেন আরিয়ান কে কিছু বলতে না পারে তাই সব দোষ নিজের ঘাড়ে নিচ্ছে।
আন্টিঃ ও আরিয়ান তাহলে কিছু করেনাই। কি মেয়ে তুমি আমাদের সামনে আমাদের ছেলে কে বাচিয়ে নিচ্ছ তুমি কি জানো আমাদের ছেলে কেমন আমরা জানি।
পিউঃ আন্টি সত্যি এতে আরিয়ানের কোন দোষ নাই।
আঙ্কেলঃ আরিয়ান তোর কি কিছু বলার আছে। পিউ যা বলেছে তা কি সত্যি নাকি মিথ্যা।
আরিয়ানঃ হ্যা বাবা আমি পিউ কে ভালবাসি তবে ও যা বলেছে মিথ্যা ও আমাকে না আমি ওকে ভালবাসার জন্য জোর করেছি।বাবা আমি পিউ কে অনেক ভালবাসি প্লিজ তুমি মেনে নাও আমি আর কিছু চাইনা তোমার কাছে প্লিজ বাবা প্লিজ।হাত জোর করে আরিয়ান।
আরিয়ানের কথা শুনে পিউ ভয়ে কাচু মাচু হয়ে গেল ও মিথ্যা বলেছিল যাতে আরিয়ানকে কিছু না বলে বাট ও এখন নিজেই সত্যি টা বলে দিল কি হবে এখন আঙ্কেল আন্টি কি করবে মেনে নিবেকি আল্লাহ প্লিজ হেল্প কর।।মনে মনে পিউ।
আঙ্কেলঃ পিউ তুমি মিথ্যা বললা কেন।এটা অনেক বড় অন্যায়।
পিউঃ আসলে আঙ্কেল আমি বলতে চেয়েছিলাম,,,,,,
আঙ্কেলঃ তোমাকে কিছু বলতে হবেনা দাড়াও তোমার মা বাবা কে ডাকতেছি যা বিচার করার ওরাই করবে।
পিউঃ আঙ্কেল প্লিজ আমাকে মাফ করে দিন আর কোন দিন মিথ্যা বলবনা আম্মু আব্বু কে বললে আমাকে মেরে ফেলবে।
আঙ্কেলঃ আমাকে ডাকতেই হবে তোমাদের শাস্তি দিতে হবে।
আঙ্কেলের কথা শুনে পিউ আরিয়ান দুজনেই চোখ তুলে তাকালো তাদের মুখে ভয় টা জোরে বেধে বসল। কি হবে এর পর ভালবাসার মিলন কি হবেনা নাকি আরও কাঠ খড় পোড়াতে হবে যতই কিছু হয়ে যাকনা কেন ওরা একে অপরকে ছাড়তে পারবেনা এটা শিউর।
আঙ্কেল পিউর আব্বুর মোবাইলে কল রে কি যেন বলল।
তারপর ওদের কাছে এসে বলল কাল কথা হবে যে যার রুমে চলে যাও।
যে যার রুমে চলে গেল।পিউ আর আরিয়ানের কারোরই চোখে ঘুম নাই সারা রাত ভাবতেছে কাল কি হবে ওদের সম্পর্ক টা মেনে নিবেতো বাবা মা।
,
,,
সকালে,,,,
সারাটা রাত নির্ঘুম কাটিয়ে সকালে উঠে পিউ আল্লাহর দরবারে হাত তুলে চাইল যেন ওদের মেনে নেই সবাই।
সবাই সকালের নাস্তা খেয়ে বসল তখনি কলিং বেল বাজল।পিউর মন টা তখনি বিট হতে লাগল ওর মা বাবা চলে এসেছে।কি হবে এর পর ভাবতে গিয়ে ওর গলার পানি শুকিয়ে যাচ্ছে।
ইসু গিয়ে দরজা খুলে দিল সত্যি দরজার ওপারে পিউর বাবা মা দাড়িয়ে আছে।ওনারা ভিতরে আসল।সোফায় বসল।সম্ভাষণ আদান-প্রদান করে নাস্তা আনা হল। যখন নাস্তা করা শেষ হল তখন আরিয়ানের বাবা বলল,,,,,,,,,,,,,,,
চলবে,,,,,,,,,,,,,,
#True_Love_Nevar_Breaks
#Writer_Fayeja_Sultana_Piu
#Part_10
সিহাব চৌধুরী /আরিয়ানের আববুঃ আপনাকে একটা কারনে কল করেছিলাম ভাইজান।
মিজান তালুকদার/পিউর আব্বুঃ হুম বলেন কি কারন।
সিহাব চৌঃ আপনি কি জানেন পিউ আর আরিয়ান একে অপরকে ভালবাসে।
মিজান তাঃ কি কি বললেন।আমি জানতাম না ভাই জান আপনি কিছু মনে করবেননা আমি আমার মেয়েকে বুঝাবো আপনি বিস্বাস করুন আমি জানলে এই ভুল করতে দিতাম না।।।।। চি পিউ তোকে আমি এই শিক্ষা দিয়েছি যারা তোকে নিজের মেয়ের মত ভালবাসে আজ তাদের ছেলের সাথে তাদের সাথে বেইমানি করেছিস।আমার মান সম্মান শেষ করে দিলি। পিউ উদ্দেশ্য করে,,।
পিউ শুধু শুনতেছে নিচের দিকে তাকিয়ে কি বলবে সে বাবা তো টিকই বলেছে আরিয়ানের মা বাবা ওকে নিজের মেয়ের মত ভাবে।আর আজ ও আরিয়ানের সাথে সম্পর্কে চলে গেল।
সিহাব চৌঃ ভুল যখন করেছে আমি তার শাস্তি ও দিতে চাই।
মিজান তাঃ জ্বি বলেন কি করতে হবে আমার মেয়ে ভুল যখন করেছে শাস্তি তো মাথা পেতে নিতে হবে।
সিহাব চৌঃ ওর শাস্তি হচ্ছে,,,,,,,,,,
পিউ আল্লাহকে ডাকতেছে কি বলবে আঙ্কেল, কি শাস্তি দিবে আরিয়ান থেকে দুরে করে দিবেনাতো আল্লাহ প্লিজ রহম কর।
আরিয়ান আল্লাহ প্লিজ আব্বুর মনে রহম দাও পিউকে যেন মেনে নেই আমি যে থাকতে পারবনা ওকে ছাড়া।
মিজান তাঃ বলেন ভাইজান কি শাস্তি।
সিহাব চৌঃ শাস্তি হচ্ছে পিউকে সারাজীবনের জন্য আমার মেয়ে করে নেওয়া।আপনি কি এই শাস্তি পেতে রাজি আছেন আর না থাকলে ও পেতে হবে কারন এইটা শাস্তি আর শাস্তির জন্য আপনার রাজি নামা নেওয়া হবেনা।।।
মিজান তাঃ আমি তো এক পায়ে রাজি ভাইজান এই শাস্তিতে।আমি তো ভাবতেই পারিনি আপনি ওদের মেনে নিবেন।
সিহাব চৌঃ নিবনা কেন পিউ কেতো আমার সেই প্রথম থেকে ভাল লাগে ওকে বউ করে নেওয়ার সখ ছিল আর এখন ওরা নিজেরাই নিজেদের পছন্দ করেছে এতে আমি আরো খুশি।
মৌমি/আরিয়ানের মাঃ আলহামদুলিল্লাহ তাহলে এইটা ফাইনাল যে পিউ আমার ঘরের বউ হয়ে আসবে।
সিহাব চৌঃ বউ না মা হয়ে আসবে আমার বাড়িতে পিউ।।
মৌমিঃ হুম মা হয়েই আসবে। সেই কবে থেকে এই মেয়ে টা আমার যত্ন নেই।মিম থেকে পিউ আমার বেশি কেয়ার করত ভাবতাম যার ঘরে যাবে আলোকিত হয়ে রইবে ঐ ঘর।মনে মনে আমার ও ইচ্ছে ছিল আমার ঘরের প্রদীপ হোক বাট আমার ছেলেতো বিদেশি কালচারে মিশে এসেছে পিউ কে পছন্দ যদি না হয় তাই কিছু বলিনি।আজ আমার স্বপ্ন টা সত্যি হতে যাচ্ছে। আমি আজ অনেক খুশি মা তুই আমার ঘরে সারাজীবনের জন্য আসবি।পিউর মুখ তুলে থুতনি তে আলতো করে চুমু খেয়ে।
পিউ তো খুশিতে কান্না করে দিয়েছে সবাই যে ওদের মেনে নিবে এভাবে সে কল্পনা ও করতে পারেনি।সেই খুশিতে তার চোখ থেকে পানি চলে এসেছে।
আরিয়ান তার বাবার কথা শুনে তার বাবাকে জড়িয়ে ধরে বলল।
আরিয়ানঃ বাবা তুমি সত্যি পিউকে মেনে নিছ আমি অনেক হ্যাপি বাবা অনেক।তুমি পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ বাবা।তোমার তুলনা হয়না বাবা ILove You বাবা।।
সিহাব চৌঃ তুই ও আমার শ্রেষ্ঠ ছেলে তোর ভালো থাকাই আমাদের ভাল থাকা তোর সুখেই আমাদের সুখ।তুই পিউ তে সুখি থাকবি। আর সেই সুখ এনে দিতে আমরা সক্ষম তাহলে কেন এনে দিবনা বল।
মৌমিঃ হুম বাবা তুই আমাদের একমাত্র ছেলে তোর সুখেই আমরা সুখি।আর পিউ তো একটি লক্ষী মেয়ে।ওকে ভলবেসেছিস তাই তোকে আমি আমার দিক দিয়ে একটা আদর দিচ্ছি বলে আরিয়ানের কপালে চুমু খেল।
আরিয়ানঃ সত্যি মা-বাবা তোমরা সত্যি অনেক ভালো।
মৌমি-সিহাবঃ হয়েছে আর এত সোনাম করতে হবেনা।
মিজান তাঃ সত্যি আপনার মত মানুষ হয়না কত সহজেই মেনে নিলেন সম্পর্ক টা।আপনার ন্যায় সব বাবা মা হলে কোন ছেলে মেয়ের মা বাবার বুক খালি হতনা।
শিরিন/পিউর আম্মুঃ হুম সব বাবা মা থেকে ভাবতে হবে তাদের ছেলে বা মেয়ের নিজস্ব পছন্দ থাকতে পারে সেটা নিয়ে ভেবে যার সাথে রিলেশনে আছে সে ভালো কিনা যাচাই করে তাদের পছন্দের মানুষের সাথে বিয়ে দেওয়া।না হলে পরে নিজের কোল খালি হতে পারে।।
সিহাব চৌঃ হুম আমরা যদি ছেলে মেয়ের পছন্দের গুরুত্ব দি তাহলে তো ওরাও আমাদের গুরুত্ব দিবে।বৃদ্ধ কালে আমাদের আপদ ভাববেনা বা যদিও ভাবে তখনেই মনে আসবে ওনারা ছোট কালে কত যত্ন করেছে তার সব কথার মান রেখেছে তাহলে আজ কেন ওদের সামান্য দেখে রাখতে পারবেনা।
ইসু এতক্ষণ সব কথা শুনতেছে আর নিজের অজান্তেই চোখ থেকে পানি ঝড়তেছে।কারন ওকে যে গুরুত্ব দেওয়ার মত বাবা নাই ওর বাবা যে শুধু চিনে টাকা।ওনার যে একটা মেয়ে আছে সেটা ভাবেন না।ওনার শুধু একটায় কথা টাকা থাকলে সব মেয়ের সব প্রয়োজন পূরন করতে পারবো টাকা দিলেই ভালবাসা হয়ে যায়।কোম দিন ভাবেনি মেয়ে কি চাই।ইসু এসব ভাবতেছে আর কান্না করতেছে যেটাকে বলে নিরব কান্না। কেউ দেখবেনা শুধু অশ্রু ঝরবে সবার অগোচরে,,,,,ইসুর কান্না টা কেউ খেয়াল না করলেও পিউ খেয়াল করেছে।পিউ ইসুর কাছে এসে বলল।
পিউঃ ইসু তুমি কান্না করতেছ কেন।
ইসুঃ তোমাদের আব্বুর ভালবাসা দেখে।
পিউঃ এতে এমন কান্না করতেছ আব্বু কে মিস করতেছ উনার ভালবাসা গুলা মিস করতেছ তাইনা।
ইসুঃ হুম আব্বু কে মিস করতেছি বাট ওনার ভালবাসা না।
পিউঃ কেন ভালবাসা মিস করতেছনা??
ইসুঃ ভালবাসা না পেলে মিস করব কি করে।
পিউঃ কি বলতেছ কিছুই বুঝলাম না বুঝিয়ে বলতো।
ইসুঃ আরে বাদ দাওতো।ঐ সব শুনলে তোমার মন খারাপ হয়ে যাবে আর আমি আমার দুঃখ গুলা মনে রাখতে চাইনা হাসি খুশি নিয়ে থাকতে চাই।
পিউঃ কি হয়েছে বল প্লিজ আমি শুনতে চাই।
ইসুঃ ওকে বলতেছি।।। তোমাদেরকে তোমাদের আব্বু রদ অনেক ভালবাসে অনেক কেয়ার করে কি জিনিসে তোমরা হ্যাপি কি করলে তোমরা হাসি খুচিতে থাকবে সব খেয়াল রাখে তাইনা?
পিউঃ হুম। আর এটাইতো স্বাভাবিক। প্রত্যেক বাবা মা তার সন্তানের জীবন টা হ্যাপি রাখতে চাইবে।
ইসুঃ সবাই না।
পিউঃ মানে।
ইসুঃ মানে সকল বাবা মা না।হয়তো প্রায় মা বাবা।বাট কিছু মা বাবা খবরেই রাখেনা তাদের সন্তানের।কি করছে তাদের সন্তান খাচ্ছে কি না খেলছে কি না পড়তেছে কি না কিছুই খবর নেইনা।
পিউঃ এমন ম বাবা ও আছে।আমার বিস্বাস হয়না।
ইসুঃ জানি বিস্বাস করবানা বাট আছে আর আমার বাবা ম তার জলন্ত প্রমান।
পিউঃ কি বল তোমার বাবা মা।
ইসুঃ হুম আমার বাবা মা।বাবা সারাদিন অফিস আর মা ওনার কলেজ নিয়ে পড়ে থাকে।কোন দিন জানতে চাইনি তাদের সন্তান কি চাই,কেমন করে চলতেছে তার দিন,টাইমলি খাচ্ছে কি না টিক পথে আছে কি না নাকি বিগড়ে গেছে।
পিউঃ কি বলছ এসব ইসু তুমি।
ইসুঃ হুম ওনারা শুধু মনে করে টাকাই সব কিছু। টাকা দিয়ে সব পাওয়া যায় তাইতো সারা জীবন টাকার পিছনে ছুটে আসতেছে।আমার খবর নেওয়ার ও টাইম থাকেনা ওদের।
পিউঃ আমি তোমাকে কি বলব বুঝতেছিনা বাট দেখ একদিন সব টিক হয়ে যাবে তোমার বাবা মা তোমাকে অনেক ভালবাসবে।
ইসুঃ সেটা কখনো হবেনা ওনারা হয়ত ভুলেই গেছে ওনাদের একটা ওরশযাত মেয়ে আছে।
পিউঃ এভাবে বলনা সব টিক হয়ে যাবে দেখে নিও।
ইসুঃ হুম।
পিউঃ আচ্ছা এখন আর মন খারাপ করে থাকবেনা ওকে।
ইসুঃ ওকে।
পিউঃ এবার হাসতো একটু।।
ইসুঃ হিহিহি।। আসলে তুমি একটা সুইটি ডল।সহজেই মন ভাল করে দাও।
পিউঃ তুমিও কম না হুম।অনেক কিউট তুমি।
ইসুঃ তোমার থেকে কম।
পিউঃ একদম না।
ইসুঃ আচ্ছা বাবা আমিও তোমার সাথে কথায় পারবনা।
পিউঃ কোয়ালিটি লাগে বস।হিহিহি।
পিউর কথা শুনে দুজেই হেসে দিল।
তখনি আরিয়ানের বাবা পিউর বাবার উদ্দেশ্য করে বলল।
সিহাব চৌঃ তা ভাইজান,,,,,,,,,,,,,,,
চলবে,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
Lamisha Iftinan Piu