Mr_Innocent,part_6

Mr_Innocent,part_6
You_are_my_love_addiction
writer_ আশফিয়া_নুর_আরুশি

হঠাৎ করে আদ্রিয়ান আরুশিকে জরিয়ে ধরলো।

-” স্যার কোনো কিছু কি হয়েছে?আপনি আমাকে চর মারলেন কেন?”

-“…….. ”

-“কি হয়েছে বলুন।”

-” আমাকে না জানিয়ে তুমি কোথায় চলে গিয়েছিলে? তুমি যানো আমি কতো ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম।”
রাগি কন্ঠে বললো আদ্রিয়ান।

-” আমি তো আর হারিয়ে যাই নি বা মরে যাই নি।”

আরুশির মুখে মরার কথ শুনে আদ্রিয়ান আবার আরুশির গালে একটা কষে চর বসিয়ে দিলো। আর রাগি কন্ঠে বললো,
-“চুপ একদম চুপ আর একবার যদি মরার কথা মুখেও নিয়েছো তো……।আমি তোমাকে আর হারাতে পারবে না তুমি চলে যাওয়ার আগে আমাকে মেরে ফেলো প্লিজ তাও আমাকে একা করে দিয়ে যেও না।”

-“আচ্ছা যাবো না এখন আপনি পানি খান।”

আদ্রিয়ানকে পানি খাইয়ে চেয়ারে বসিয়ে দিল আর নিজে কাজ করতে লাগলো।

-“আমার কফি। ”

-“আনছি। ”
বলে গালে হাত দিয়ে সেখান থেকে চলে গেলো।

-” পাগলি আমার।”
তখনই আদ্রিয়ানের ফোনে একটা ম্যাসেজ আসলো।আদ্রিয়ান ফোন হাতে নিয়ে দেখে,
ম্যাসেজঃ যত তাড়াতাড়ি সম্ভব প্রেগো রেস্টুরেন্ট এ চলো আসো।

ম্যাসেজ দেখে আদ্রিয়ান চিন্তায় পরে গেলো কে হতে পারে তখনই আরুশি বলল,
-” মে আই কাম ইন স্যার।”

আরুশির মুখে এ কথা শুনে আদ্রিয়ানের রাগ উঠে গেলো তাও নিজের রাগকে সুংযত রেখে শান্ত গলায় বলল,
-“তোমাকে বলেছি না তোমার পারমিশন নিতে হবে না। ”

-“ম্যাম যে বলল..”

-“তোমার বস কে?”

-“আপনি।”

-“তাহলে কার কথা শুনবে তুমি?”

-” আপনার। ”

-“ওকে কফিটা খাও।”

-“কি..”

-“কোনো কিন্তু না। ”
আরুশিকে কথা শেষ করতে না দিয়ে বললো আদ্রিয়ান।

আদ্রিয়ানের কথা মতো এক চুমুক দিলো,
-“ওকে এখন দাও।”

আদ্রিয়ান কফি মগ হাতে নিয়ে গপগপ করে খেয়ে ফেললো।

-“টেস্টি হয়েছে।আচ্ছা তুমি অফিসেই থাকো আমার দরকারি কাজ আছে। আমি ফোন দিলে তুমি অফিস থেকে বের হবে আমি তোমাকে বাড়ি দিয়ে আসবো।”

-” ওকে।”

-“ওকে বাই কাপকেক। ”
বলেই আদ্রিয়ান চলে গেলো।

_______________
★ইন দ্যা প্রেগো রেস্টুরেন্টে
আদ্রিয়ান রেস্টুরেন্টের ভিতরে ডুকে দেখে বুক করা টেবিলে আরো দুজন লোক আর তিনজন মেয়ে বসে আছে দুটো মেয়ের সাথে একটা মেয়ে আর একটা ছেলে বাচ্চাও আছে আদ্রিয়ান ওদের সামনে গিয়ে অবাক হয়ে জিঙ্গেস করলো,
-” তোরা সবাই এখানে এখানে। আমাকে তো মেসেজ দিয়ে এখানে আসতে বলেছিলো তাহলে কি তোদেরও….”

-“তার মানে ”
সবাই একসাথে বলে ডেভিল স্মাইল দিলো আর টেবিল ছেড়ে কোথাও একটা চলে গেলো। ওরা চলে যেতেই একটা ছেলে ওই টেবিলের সামনে গেল এবং কাউকে খুঁজতে লাগলো। খুঁজে না পেয়ে চেয়ারে বসে পড়লো আর তখনই
-“হাউ ”
ভয় দেখানোর জন্য সবাই৷ পেছন থেকে একসাথে চিল্লিয়ে বললো।

.-“ওহহহ মাই আল্লাহ ভুতততততত। ”
ভয়ে চিল্লিয়ে বললো ব্যক্তিটি।

-” আব্বে শালি ভুত না ভুতে নানা-নানী আমরা।”(রিখিয়া)

-” তুই তো বিরাট বজ্জাত বুড়া না জানায়ে আইসে পরছোস।”(ধ্রুব)

-” কেমন লাগলো আমাদের সারপ্রাইজ আয়ু কি বাচ্চি।”
বাকিরা সবাই বললো।

-ওরে শালিগন আর একটু হইলেই তো আমার ইন্না-লিল্লাহ হয়ে যাই তো। আর সারপ্রাইজ দিমু ভাবলাম আমি আর দিলি তোরা।তোদের সাথে আরি।”(আয়াশ)

-“তুই যা তোর শাশুড়ির বাড়ি।”
আয়াশ বাদে বাকি সকলে এক সাথে বললো।

শুনে সবাই হাসতে লাগলো।

-“আসবি যখন আমাদের জানাতি আমরা তোকে গিয়ে নিয়ে আসতাম।” (আদ্রিয়ান)

-“আব্বে সারপ্রাইজ দিতে চাইছিলাম।কিন্তু তোরা তো দিতেই দিলি না। ”

তারপর ওরা সবাই কিছুক্ষণ আড্ডা দিলো।

(( পরিচয়ঃ আয়াশ ইকবাল আরাভ। লন্ডনে ছিলে। দেখতে ফর্সা উচ্চতা ৬.২।স্পাইক করা চুল চোখগুলো টানাটানা ভাসানো ঠোঁট গুলো গোলাপি ঠোঁটের নিচে কিচকিচে কালো তিল আছে))

((পরিচয়ঃ ধ্রুব চৌধুরী রোহিত । লন্ডনে পড়াশোনা শেষ করেছে বিডিতে এসেছে দুবছর হলো। দেখতে ফর্সা উচ্চতা 6.3 চোখ ভাসানো ঠোঁট লাল রঙের))

এখন বলি এরা সবাই কারা
(আদ্রিয়ান,,আয়াশ,,ধ্রুব,, রিসাদ,,রিখিয়া,,কহু আর আরশি এরা লন্ডনে একসাথে পড়ালেখা করে তারপর রিখিয়া,, আরশি,, কুহু পড়াশোনা শেষ করে বিডিতে বেক করে তখন রিখিয়া আর আরশির বিয়ে হয়ে যায় আর কুহুর বিয়ে ঠিক হয়েছে ২ মাস পর বিয়ে কলেজে ওদের একটা গ্রুপ ছিলো 7 স্টার ফ্রেন্ডস ক্লাব। বাকিদের তো তোমরা চিনোই)

-“সো আমরা যখন একসাথেই আছি। তাহলে আজকে রাতে আমার বাসায় পাটি হয়ে যাক 7 স্টার ফ্রেন্ডস গ্রুপের পুর্ণরামিলন উপলক্ষে। (আদ্রিয়ান)

-“ওকে”(সবাই)

-“রিসাদ চল অফিসে যাব আর শোন ড্রেস থিক কিন্তু ব্লেক আর ম্যাসকোরেট পার্টি।”
বলেই আদ্রিয়ান আর রিসাদ সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে চলে যায়।

__________________
-“রিসাদ তুই যা সবাইকে জানিয়ে দে ওকে।”

-“ওকে।”

রিসাদ চলে যেতেই আদ্রিয়ান আরুশিকে ফোন দিলো আর আরুশি বেরিয়ে এলো।

-“আসো ড্রোপ করে দিবো আর শোনো রাতে আমর বাসার পার্টি আছে তুমি ধ্রুব আর ইশিতার সাথে চলে এসো ধ্রুবকে বলা আছে ও তোমাদের পিক করে নিবে আর রাতে তোমার বাসায় একটা ব্যাগ যাবে ওটা নিয়ে নিয়ো।”

-“ওকে।”

আরুশিকে বাড়ি ড্রোপ করে দিয়ে বাড়ি চলে গেলো।

★ রাত আট টায়
এক এক করে মেহমান আসতে লাগলো।

-” তোরা চলে এসেছিস।”
তখনি আদ্রিয়ানের চোখ গেলো একটা মেয়ের উপর মেয়ে পরনে কালো রঙের গাউন সাদা ক্রিস্টাল দিয়ে নকশা করা পরনে কালো মাস্ক। সে আর কেউ না আরুশি।

{ আজ আরুশির পরনে কালো গাউন সাথে সাদা রঙের ক্রিস্টাল দিয়ে ডিজাইন করা ওরনা ঠোঁটের হালকা করে গোলাপি লিপস্টিক চোখ টানাটানা কাজল চুল ছাড়া সাথে ম্যাচিং ব্রেসলেট আর কানের দুল}

আরুশিরও আদ্রিয়ানকে দেখে ক্রাস খাওয়া অবস্থা।

{আদ্রিয়ানরে পরনে আজ সাদা শার্ট কালো কোর্ট কালো জিন্স কোর্টে সাদা রঙের ব্রোন্জ লাগানো হাতে ঘড়ি চুল স্পাইক করা }

-” ব্লাক রোজ কোথায় হারিয়ে গেছো ভিতরে যাবে না। ”
ধ্রুবর কথায় আরুশির ধ্যান ভাঙে।

-” জ্বি। ”
তারপর আরুশি, ধ্রুব আর ইশিতা ভেতরে ডুকে আদ্রিয়ানের কাছে যায়।

-“ধ্রুব ইশিতা তোদের খুব সুন্দর লাগছে একদম পারফেক্ট ম্যাচ।” (আদ্রিয়ান)

{আজকে ধ্রুবর পরনে সাদা শার্ট কালো কোর্ট কালো জিন্স কোটে সাদা রঙের ফ্লাওয়ার ব্রোন্জ হাতে ঘড়ি চুল স্পাইক করা }

{ ইশিতার পরনে সাদা রঙের শার্ট এবং কালো রঙের স্কার্ট। শার্টে কালো রঙের ক্রিস্টাল দিয়ে ডিজাইন করা সাথে ম্যাচিং নেকলেস ঠোঁটের হালকা লাল লিপস্টিক চুল খোপা করা }

-” ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকেও অনেক সুন্দর লাগছে” (ইশিতা)

-“তোদের দুজনকেও কিন্তু মেড ফর ইচ আদার লাগছে দোস্ত।”
আদ্রিয়ানের কানের কাছে ফিসফিস করে বলল ধ্রুব।

-” ধন্যবাদ দোস্ত। ”
আদ্রিয়ানও ফিসফিস করে জবাব দিলো।

-“আমাকে তো সবাই ভুলেই গেছে।”
ন্যাকা কান্না করে বললো আরুশি।

-” তোরে যে ভুলতে পারে সে খুবই ভাগ্যবান কারণ তুই যা জ্বালানী জ্বালাস তোরা ভুলা এতো সহজ না মেরি মা।”(ইশিতা)

ইশিতার কথা শুনে সবাই ফিক করে হেসে দেয়।

-” তুই বাড়ি যা একবার তখন দেখাবো মজা।” (আরুশি)

-“সত্যি তোমাকে অনেকের চেয়েও বেশি সুন্দর লাগছে কাপকেক। একদম পরির মতো আমি তো ঘায়েল হয়ে গেলাম”
আরুশিরর কানের কাছে এসে আস্তে করে বললো আদ্রিয়ান।

আদ্রিয়ানের কথা শুনে আরুশি লজ্জায় লাল হয়ে গেলো।

আরুশিকে লজ্জা পেতে দেখে আদ্রিয়ান আবার বললো,
-“আমাকে কেমন লাগছে বললে না তো।”

আরুশি মুচকি হসে বললো,
-“আপনাকেও খুব হ্যান্ডসাম লাগছে যেকেউ দেখলে প্রেমে পরে যাবে। এতো সাজেন কার জন্য আপনি।”
আস্তে করে বললো।

-“তোমার জন্য।”
বলেই ওখান থেকে সরে গেলো। আর আদ্রিয়ানের কথা শুনে আরুশি ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেলো

-“কি বললো এটা।”
নিজে নিজেই বিরবির করে বললো আরুশি।

-” কিরে কি এত বিরবির করছিস আর হাসছিস।”(ইশিতা)

-” আর এসব বাদ দে ওদিকে চল।”
কথা ঘুরানোর জন্য বললো আরুশি।

-” ওই দেখ রিসাদ ভাইয়া তোকে ওনার কথা বলেছি না। চল পরিচয় করিয়ে দেই। “(আরুশি)

-“আচ্ছা চল।” (ইশিতা)

রিসাদের কাছে গিয়ে

-“হাই ভাইয়া।” (আরুশি)

-” আরে কিউটিপাই তুমি কখন এলে।”(রিসাদ)

-“এইতো এইমাএ। ” (আরুশি)

-“ইনি কে তোমার সাথে?”(রিসাদ)

-“ওহহ ও হচ্ছে আমার বোন।”(আরুশি)

-“হ্যালো আমি ইশিতা।”(ইশিতা)

-” হায় আমি রিসাদ।”(রিসাদ)

-” নাইস টু মিট ইউ। “(ইশিতা)

-“আপনাকে অনেক সুন্দর লাগছে ভাইয়া।” (আরুশি)

-” ধন্যবাদ কিউটিপাই।তোমাকেও বেশ লাগছে।”

{ আজকে রিসাদের পরনে আকাশি রঙের শার্ট কালো কোর্ট কালো জিন্স কোটে ব্রোন্জ লাগানো হাতে ঘড়ি চুল স্পাইক করা }

-“আচ্ছা এটা কিসের পার্টি মানে কি উপলক্ষে? “(ইশিতা)

-” আজকে অনেক দিক পর আমরা সব বন্ধুরা এক হয়েছি তাই সেই উপলক্ষে এই পার্টির আয়োজন করা হয়েছে।”(রিসাদ)

-“ওহ।”(আরুশি&ইশিতা)

তখনই দরজা দিয়ে আগমন ঘটলো মিশমি আর আয়াশের ওরা আলাদা আসলেও দরজা দিয়ে একসাথে ডুকায় অনেকে ওদের কাপল মনে করে।

{ আজেক আয়াশের পরনে কালো কোর্ট লাল শার্ট কালো পেন্ট হাতে ঘড়ি চুল স্পাইক করা}

{মিশমির পরনে কালো গাউন লাল রঙের ক্রিস্টাল দিয়ে ডিজাইন করা চুলগুলো ছাড়া ঘাঢ় করে লাল লিপস্টিক ঠোঁটে চোখে টানা টানা কাজল সাথে ম্যাচি নেকলেস }

একজন লোক ওদের কাছে গিয়ে বলে পারফেক্ট কাপল
এতে তারা দুজন দুজনের দিকে তাকিয়ে……………

“চলবে”

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here