EX গার্লফ্রেন্ড যখন ইংলিশ ম্যাম 💖,পর্বঃ ৯ম,১০ম

# EX গার্লফ্রেন্ড যখন ইংলিশ ম্যাম 💖,পর্বঃ ৯ম,১০ম
# লেখকঃ Sahid Hasan Sahi
# পর্বঃ ৯ম

প্রিন্সিপাল স্যারের রুম থেকে বেরিয়ে এসে দেখি সামিয়া শহীদ মিনারের সামনে দাঁড়িয়ে আছে।
আমি সামিয়ার সামনে যায়ে ওর চোখের দিকে তাকিয়ে দেখি চোখের কোণায় পানি টলমল করতেছে।

আমাকে কিছু বলতে না দিয়েই বলতে লাগলোঃ কি দোষ করেছিলাম আমি। কেন আমাকে ঠকালে? তোমার যখন এতই
দেহের প্রয়োজন তাহলে আমাকে বলতে আমি নিজেকে তোমার কাছে সপে দিতাম। ( কান্না করতে করতে)

আমিঃ সামিয়া আমার কথাটা শোনো,,।

সামিয়াঃ কি শুনবো হ্যাঁ। তোমাকে আমার ঘৃণা হয় শুধু ঘৃণা। তোমাকে ভালোবেসেছি এটাই আমার বড় ভুল।
তোমাকে আমার জাস্ট সহ্য হয়না। চলে যাও আমার সামনে থেকে।

একথা বলেই কান্না করতে করতে চলে যেতে চাইলে আমি ওর হাত ধরে থামিয়ে বললামঃ সামিয়া বিশ্বাস,,,

আমাকে আর বলতে না দিয়েই,,
সামিয়াঃ ঠাসসস ঠাসস তোর সাহস কি করে হয় আমার হাত ধরার? আর কি বললি বিশ্বাস।
হা হা হা কাকে বিশ্বাস করবো তোকে। একটা মেয়েকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করে আমার কাছে এসে বলবি আমি কিছু করিনি।
আমি তাই বিশ্বাস করবো। তোর মতো চরিত্রহীন কে আমি ঘৃণা করি ঘৃণা।আর কখনো
তোর ঐ পাপী মুখ নিয়ে আমার সামনে আসবি না।

সামিয়ার মুখে চরিত্রহীন কথা শুনে আমার শরীর অবশ হয়ে গেল।এ আমি কাকে
এতো দিন যাবৎ ভালোবেসে এসেছি। যে আমার একটা কথা না একটা মিথ্যা অপবাদ দিলো।
সামিয়ার সব কথা গুলো শুনে যতটা কষ্ট পেয়েছি তার চেয়ে চরিত্রহীন উপাধি পেয়ে বেশি
কষ্ট পেয়েছি।

আমি সামিয়া কে বললামঃ সামিয়া তুমি আমার কথা না শুনে আমাকে এতো বড় অপবাদ দিলে।
তবে একটা কথা মনে রেখ, যেদিন সত্যটা জানতে পারবে সেদিন আমার জন্য খুব কান্না করবে। কিন্তু আফসোস আমাকে
আর পাবেনা।আর কোনো দিন তোমার সামনে আসবো না।
আর হ্যাঁ পরলে এই চরিত্রহীন কে ক্ষমা করে দিও।
ভালো থেকো আর নিজের যত্ন নিও।

বলেই চলে আসলাম। এখন আমার উদ্দেশ্য হলো এই শহর ছেড়ে চলে যাওয়া যাতে
করে আর কারো মায়ায় না পড়ি।আর নিজেকে মানুষের মতো মানুষ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত
করা।

ভাবতে ভাবতে বাস স্ট্যান্ডে চলে আসলাম। সকালে আমি রাফিকে বলেছিলাম যে আমার
জন্য ঢাকা যাওয়ার একটা টিকিট কাটতে।

বাসে উঠে সিটে বসে পড়লাম। একটু পরেই বাস ছেড়ে দিলো।বাস চলার দুরত্ব যতই বাড়তেছে আমার মনের ভিতর
অশান্তি ততোই বাড়িয়েছে। নিজের শহর ছেড়ে চলে যেতে মন
চাচ্ছে না। কিন্তু বাধ্য।

এই ছিল সামিয়ার ভালোবাসা।এই ছিল আমার জন্য সামিয়ার মনে বিশ্বাস। তবে অবিশ্বাস করারই কথা। যেখানে নিজের পরিবারের লোক নিজের মা বাবা অবিশ্বাস করলো আর এখানে তো দুমিনিটের ভালোবাসার সম্পর্ক।

ভাবতে ছি ঢাকা যায়ে আমি কি করবো কি খাবো? আমার কাছে ক্রেডিট কার্ড,ম্যানিব্যাগ, ঘড়ি, মোবাইল যা কিছু ছিল সব বাসায় রেখে এসেছি। শুধু সিম কার্ড টা পকেটে আছে।আসার সময় রাফি আমাকে জোর করে দশ হাজার টাকা দিয়েছিল। এটাই আমার শেষ সম্বল।

এসব চিন্তা করতে করতে কখন যে ঘুমিয়ে গেছি বলতে পারবো না।
বাসের হেলপারের ডাকে ঘুম ভাঙলো।

হেলপারঃ মামা ঢাকা পৌঁছে গেছি নামেন।

আমিঃ আচ্ছা মামা।

বাস থেকে নেমে রাস্তা দিয়ে হাঁটতেছি আর ভাবতেছি কোথায় থাকবো।বাসা কোথায় পাবো।
হাঁটতে হাঁটতে হঠাৎ করে পেটের মধ্যে ক্ষুধা অনুভব করলাম। সামনে তাকিয়ে দেখি একটা টং
চায়ের দোকান। এই দোকানে যায়ে একটা রুটি আর একটা কলা খেয়ে পানি খেলাম।
বিল দিয়ে দোকানদারকে বললামঃ মামা এখানে বাসা ভাড়া পাওয়া যাবে?

দোকানদারঃ নতুন নাকি মামা?

আমিঃ হ্যাঁ।

দোকানদারঃ মামা ঢাকা শহরে তো বাসা পাওয়া মুশকিল। সামনের দিকে খোঁজ করেন দেখি।

আমিঃ আচ্ছা।

রাস্তা দিয়ে হাঁটতে ছি আর মনে মনে বলতেছি, এই ব্যস্ত শহরে বাসা ভাড়া পাওয়া টা কি সহজ ব্যাপার?
না না এই শহর ব্যস্ত না এই শহরের মানুষ গুলো ব্যস্ত।
হঠাৎ করেই চোখ পড়লো একটা বয়স্ক লোক (বয়স মিনিমাম পঞ্চাশ বছর)। ফোনে কথা বলতে বলতে
রাস্তার বেশ মাঝখানে চলে গেছে।
বিপরীত দিক থেকে যে একটা ট্রাক হর্ণ দিতে দিতে সজোরে আসতেছে সেদিকে কোন খেয়াল নেই।

আমি আর কোন কিছু না ভেবে দৌড়ে যায়ে লোকটিকে ধাক্কা দিয়ে দূরে সরিয়ে দিলাম।এরপর আর আমার
কিছু মনে নেই।

চোখ খুলে নিজেকে হাসপাতালে আবিষ্কার করলাম।আমার চোখ খুলতে দেখে পাশে। বসে থাকা নার্স বললঃ
অবশেষে ১৩ দিন পরে তাহলে আপনার জ্ঞান ফিরলো।

আমিঃ কিহহহ ১৩ দিন পরে আমার জ্ঞান ফিরলো।কি হয়েছিলো আমার? আর এখানেই বা
কে নিয়ে আসলো?

নার্সঃ প্লিজ আপনি শান্ত হন। আপনার বেশি কথা বলা বারণ আছে।
আমি আসতেছি।

নার্সিং বাহিরে চলে গেল।আর আমি ভাবতে লাগলাম কে আমাকে এখানে
নিয়ে আসলো। আমি তো ঐ লোকটা কে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিয়েছিলাম। তিনি
কি এখনো বেঁচে আছে কি।

নানান চিন্তা মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে।হঠাৎ কে যেন বললোঃ তাহলে আপনার। জ্ঞান ফিরেছে।

কথাটা শুনে দরজার দিকে তাকালৈ। দরজার দিকে তাকিয়ে অবাক। কেননা
দরজা দিয়ে রুমে যে লোকটা ঢুকতেছে সে হলো,,,,,,

( চলবে)

# EX গার্লফ্রেন্ড যখন ইংলিশ ম্যাম 💖
# লেখকঃ Sahid Hasan Sahi
# পর্বঃ ১০ম

লোকটাকে দেখে আমি অবাক হয়ে গেলাম। কারণ, লোকটা হলো সেই লোকে যাকে আমি ধাক্কা দিয়ে দূরে সরিয়ে দিয়েছিলাম।
লোকটি বললোঃ বাবা তাহলে তোমার জ্ঞান ফিরিয়ে। এখন কেমন লাগতেছে?

আমিঃ আলহামদুলিল্লাহ ভালো আপনি কেমন আছেন আংকেল? আর আমাকে এখানে কে নিয়ে এসেছে?

আংকেলঃ আলহামদুলিল্লাহ বাবা ভালো আছি।আমি তোমাকে এখানে নিয়ে এসেছি।

আমিঃ কি হয়েছিলো আমার?

আংকেলঃ তুমি যখন আমাকে বাঁচানোর জন্য ধাক্কা দিয়েছিলে ঠিক তখনি তুমি ট্রাক টির সাথে ধাক্কা
খাও।আর পড়ে যায়ে তোমার মাথায় প্রচন্ড আঘাত পাওয়ায় অনেক ব্লাড বের হয়। সেখান থেকে দ্রুত তোমাকে হাসপাতালে
এনে ভর্তি করাই।আজ ১৩ দিন পর তোমার জ্ঞান ফিরলো।

আমি চুপ করে শুনেছি। ডাক্তার আমাকে চেকআপ করে বললেনঃ সমস্যা যেমন নেই দুদিন পরে রোগীকে বাসায় নিয়ে যাতে
পারবেন। বাসায় যায়ে কিছু দিন রেস্ট নিতে হবে।আর মাঝে মাঝে চেকআপে করতে হবে।

এটা বলে ডাক্তার রুম থেকে বেরিয়ে গেলেন।

আংকেল আমার কাছে এসে বললোঃতোমার নাম কি?

আমিঃ সাহিদ হাসান সাহি।

আংকেলঃ বাবা তোমার বাসা কোথায় ? আর তোমার বাবা মা কোথায়?

আমিঃ আসলে আমি এই শহরে নতুন।আর আমাকে বাসা থেকে বের করে দিয়েছে।

আংকেলঃ বাসা থেকে বের করে দিয়েছে মানে,,,,,( অবাক হয়ে)

আমিঃ হ্যাঁ,,, এরপর সব কিছু বললাম।

আংকেলঃ মন খারাপ করো না বাবা । আমি আছি। আচ্ছা তুমি রেস্ট নাও আমি কিছু খাবার নিয়ে আসি।

আমিঃ আচ্ছা।

আংকেল চলে গেল আর আমি ভাবতে লাগলাম কী থেকে কি হয়ে গেল আমার জীবনে।
একটু পরে আংকেল খাবার নিয়ে আসলো। আমি খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে গেলাম।
কোনো ভাবে দুদিন পার করলাম বদ্ধ রুমে।

আজকে আমার রিলিজ দিবে। ডাক্তারের কাছ থেকে রিলিজ নিয়ে আংকেলের সাথে হাসপাতাল
থেকে বেরিয়ে আসলাম। বাহিরে এসে দেখি সামনে একটা দামি গাড়ি পার্কিং করা আছে। আমরা
সেটাই উঠে একটা রাজপ্রাসাদের মতো বাসায় চলে আসলাম। তবে এই বাসা টা আমাদের বাসা
সরি সেটা তো আর আমার বাসা নেই। আমজাদ চৌধুরীর (আমার বাবা) বাসা থেকেও বড়।

যাইহোক,বাসার ভেতর ঢুকে আংকেল আমাকে একটা রুম দেখে দিলো থাকার জন্য। রুমটা বেশ গোছানো। রুমটা দেখতেছি,এমন সময় আংকেল এসে
বললঃ পছন্দ হয়ে কী তোমার?
আমিঃ হ্যাঁ। আপনি কি এই বাসায় একাই থাকেন?

আংকেলঃ হ্যাঁ বাবা।

আমিঃ আংকেল এই রুমে কে থাকতো?

আংকেল একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললোঃ এখানে আমার
ছেলে থাকতো।

আমিঃ কোথায় গেছে আপনার ছেলে?(অবাক হয়ে)

আংকেলঃ এই পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছে।

আমিঃ মানে,,,(কৌতুহল নিয়ে)

আংকেলঃ তাহলে শুনো, আজ থেকে পাঁচ বছর আগে ছিলো আমার সুখের সংসার।
তোমার বয়সের এবং তোমার মতো দেখতে আমার একটা ছেলে ছিলো।একটাই সন্তান আমাদের।
আমি ব্যবহার কাজে বাহিরে যাই।সেখান থেকে ফিরে আসতেই ছেলে আমার কাছে বায়না ধরলো
আমাদের কে নিয়ে সিলেটে ভ্রমণে যাবে। আমিও আর না করতে পারলাম না। ছেলের খুশিতে আমরা খুশি।
তারপরে, আমরা গাড়ি নিয়ে বের হলাম সিলেটের উদ্দেশ্য। আমার ছেলে নিজেই ড্রাইভ করবে। সেদিন ড্রাইভারকে
রেখে আসলাম। আল্লাহর রহমতে ভালো ভাবে সিলেটে ঘোরাফেরা করলাম।কে জানতো যে এই ঘোরাফেরা টাই ওদের
সাথে আমার শেষ ঘোরাফেরা হবে। সেখানে সবকিছু ভালোভাবেই দেখলাম। সবাই খুশি হয়েছি। পরের দিন আমার একটা
জরুরী মিটিং থাকায় সেদিন সন্ধ্যায় বের হলাম ঢাকার উদ্দেশে। আসার সময় আকাশ টা বেশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ছিলো।
মাঝপথে আসতেই হঠাৎ করে বৃষ্টি শুরু হলো।গাড়ি চলছে তার আপন গতিতে। হঠাৎ করে একটা পাথরের ট্রাকের সাথে
আমাদের গাড়ি ধাক্কা খায়।যার ফলে আমাদের গাড়ি দুমড়ে মুচড়ে যায়।তারপরে আর আমার কিছু মনে নেই।

জ্ঞান ফিরলে দেখি আমার অফিসে ম্যানেজার আমার পাশে বসে আছে। আমার অফিসের ম্যানেজার টা ছিলো খুব ভালো মানুষ।
আমি তাকে আমার স্তূপ আর ছেলের কথা জিজ্ঞাসা করলে চুপ করে থাকে। এতেই আমি বুঝতে পেরেছি ওরা আর পৃথিবীতে নেই।‌

তারপর থেকে আমি একাই থাকি । এই বয়সে আর আমার জীবনে কাউকে জড়াইনি,,,।

কথাগুলো বলেই আংকেল চোখের পানি মুছলেন।

আংকেলঃ বাবা তোর কাছে আমার একটা আবদার আছে পূরণ করবি।(অসহায় হয়ে)

আমিঃ হুমম বলেন?

আংকেলঃ বাবা তুই আমার ছেলে হয়ে থাক। তোকে কোনো দিন কষ্ট দিবো না।তুই শুধু আমাকে বাবা বলে ডাকবি,,,,,,(অঝোরে নয়নে কাঁদতে কাঁদতে)

আমি জড়িয়ে ধরে বললামঃ হ্যাঁ আজ থেকে তুমিই আমার বাবা। তুমি এখন থেকে আমার উপর ছেলের অধিকার খাটাবে।

আংকেল মানে বাবু জড়িয়ে ধরে কান্না করতে লাগলেন। আমি চোখের পানি মুছে দিয়ে বললামঃ বাবা আর কেঁদো না।এই দেখ তোমার
ছেলে ফিরে এসেছে।

অনেক্ষণ ধরে কাঁদার পরে বাবা আমাকে ছেড়ে দিয়ে খাবার নেওয়ার জন্য নিচে গেলো।
আমিও ফ্রেশ হয়ে খাটে বসে আছি। বাবা খাবার নিয়ে এসে আমাকে নিজ হাতে তুলে খাওয়ালো।
খাওয়া দাওয়া করাইয়ে আমাকে ঔষধ খাইয়ে দিয়ে মাথায় হাত বুলিয়ে ঘুমিয়ে যাতে বললো।

রুমে এসে ভাবতে লাগলাম, হায়রে দুনিয়া যেখানে নিজের মানুষ অবিশ্বাস করে ছুঁড়ে ফেলে দিলো আর একজন অপরিচিত
।লোক রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে এসে
বিশ্বাস করে নিজের সন্তানের মর্যাদা দিলো।মা বাবার কথা মনে পড়েছে খুব। কেমন আছে তারা।

ভাবতেই চোখের কোণায় পানি আসলো। ঘুমিয়ে গেলাম।ফজরের আব্বুর ডাকে ঘুম থেকে উঠলাম।অজু করে আব্বুর
সাথে নামাজ পড়লাম। নামাজ পড়ে ঘুমিয়ে গেলাম। সকালে আব্বু আমার রুমে নাস্তা নিয়ে এসে খাইয়ে দিলো আর বললো একটু বাহিরে যাবে।

আমি রুমে বসে আছি। প্রায় একঘন্টা পর আব্বু আসলো।হাতে দেখি কিছু ব্যাগ। ব্যাগ
গুলো আমাকে দিয়ে বললোঃ এখানে কিছু প্যান্ট আর টিশার্ট আছে আর এই ব্যাগে ফোন আছে এটা ব্যবহার করিস।

আমিঃ এতো কিছু নিয়ে আসার কি দরকার।

আব্বুঃ তোর দরকার না থাকলে আমার দরকার। আমি আর কোনো কথা শুনতে চাই না।

কি আর করার নিলাম। ফোনের ব্যাগটা খুলে দেখি Redmi 8A Dual ,, আগের মডেল চলবে সমস্যা নেই।

যাইহোক, পনেরো দিন কাটে গেল। আব্বুর সেবাযত্নে আমি এখন অনেক সুস্থ।

সকালে নাস্তা করার সময় আব্বুকে বললামঃ আব্বু আমি একটা জব করতে চাই।

আব্বুঃ কিহহ,,, আমার কি কম আছে?

আমিঃ তা নয় আব্বু। আমি নিজের পায়ে দাঁড়াতে চাই।

আব্বুঃ তাহলে অফিসে জয়েন করো।

আমিঃ আমি তো বেশি লেখাপড়া করেনি।

আব্বুঃ সমস্যা নেই।

আমিঃ আচ্ছা।

আব্বুঃ কবে থেকে জয়েন করবি।

আমিঃ কাল থেকে।

আব্বুঃ ঠিক আছে।

পরের দিন সকালে নাস্তা করে রিকশা করে অফিসে গেলাম। আব্বু গাড়িতে
যেতে বলেছিল বাট আমি যাইনি।আর আব্বু আমাকে অফিসটা দেখিয়েছিল। এজন্য আস্তে কোন সমস্যা হয়নি।

রিকশা থেকে নেমে ভাড়া দিয়ে অফিসে ঢুকেই,,,,,,,

(চলবে)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here