Accounting Teacher,part:25,26

Accounting Teacher,part:25,26
Ritu Rosni
Part 25

-: অনেক বুঝিয়েছি,,অনেক হয়েছে।
ও কি পেয়েছে কি আমায়??? আমার ফিলিংসের কোনো মুল্যই নেই ওর কাছে??
ও কি ভেবেছে কি নিজেকে😡😡আজ এর একটা শেষ দেখেই ছাড়বো আমি।
শুভ্র নিজেই নিজেকে এসব বলছে।
,
লুচু,বজ্জাত, বদের হাড্ডি,জল্লাদের বংশ,আফ্রিকান কালা গরু,নেংটি ইদুর,জিরাফ,কচুপোড়া মুখ পোড়া লাল হনুমান,জলহস্তী একটা😈
কানের গরে খালি প্যান প্যান করে।মনডায় চায় কুইট্টালায়😆
আরে ভালোবাসা কি গাছে ধরে নাকি যে ও চাইলেই আমি গাছ থেকে টুপ করে পেড়ে থপ করে ধরে ওরে দিলাম😆
লুচু ব্যাটা ওরে টিচার করছিলো কেডায়??হাটুর বয়সী ছাত্রীরে প্রেম নিবেদন করে😈
ক্লাস শেষে বের হয়ে আসছিলাম ঠিক তখনি,,
—ঋতু দাড়াও,
পেছন থেকে শুভ্র ডেকে উঠলো।😰আল্লাহ ই জানে এই লুচু ব্যাডা আবার কি কয় এহন,,
কপাল আমার কপাল, যার জন্য পালিয়ে এলাম সেই তো আবার ধরে ফেললো😰তাহলে আর আমার পালানোর কি হলো😰
জ্বী,,,,,স্যার কিিছু বলবেন??
–হুমম,বলার জন্যই তো ডেকেছি।
–তো স্যার,,,বলুন কি বলবেন??
–এখানে নয় গাড়িতে উঠো বলছি।
–😱স্যার,,আপনি এখানেই বলুন,, আমি শুনছি😰
আমার কান একদম পরিষ্কার আছে😊
—-(দাঁতে দাঁত চেপে)
তাড়াতাড়ি গাড়িতে গিয়ে বসো।
—আল্লাহ গো এই তারছিরা জিরাফের হাত থেইক্কা তুমি আমারে রক্ষা করো মাবুদ😰
সব সময় এমন ধমক দেয় কেনো বুঝি না😰
একটু ভালো করে কি কথা বলা যায় না নাকি,,
গাড়িতে বসে পড়লাম,, কিছুক্ষণ পরে উনি এসে গাড়ি টা স্টার্ট দিলেন।
গাড়ী টা কিছুক্ষণ পরে একটা পার্রকের সামনে এসে থামলো।
–কিছু বুঝতেছি না উনি হঠাৎ এখানে কেনো আমায় নিয়ে এলো।খুব ভয় করছে😰
,, —গাড়ি থেকে নেমে ওকে সীল্ট বেল্ট খুলে দিয়ে ডোর ওপেন করে দিলাম নামার জন্য।নামো,,
কি হলো??নামতে বলছি না???
—হু,নাাামছিি
এখানে আমায় উনি নিয়ে আসলো কেনো মাথায় এসব টেনশন ঘুরপাক খাচ্ছে।
—ভয় নেই,কিচ্ছু করবো না।
আমার কয়েকটা প্রশ্নের উত্তর পেলেই ছেড়ে দেবো।
কথা দিচ্ছি জীবনেও আর তোমার সামনে গিয়ে দাড়াবো না।
–😱😱
–প্লিজজ!!একটা রিকুয়েস্ট এমন কিছু বলো না যে আমি তোমার উপরে রেগে যাই।
–মাথা নাড়ালাম শুধু
—-কাউকে ভালোবাসো???
—মাানেেে??
–মানে বুঝো না??আমি তো বাংলাতেই বলছি তাই না?তাহলে বুঝছো না কেনো??(শুভ্র)
————
চুপ করে থেকো না ঋতু,উত্তর দাও
তোমার মাঝে কি মন নেই???তুমি এতো নিষ্ঠুরর কিভাবে হও??
আমাকে কি তুমি মানুষ ভাবো না??নিজেকে কি ভাবো হ্যাঁ??
আমার ফিলিংসের,ভালোবাসার কি কোনো দাম নেই??
যেই শুভ্রের পেছনে হাজারো সুন্দরি মেয়েরা লাইন ধরে থাকে।
সেই শুভ্র আজ এই দুমাস তোমার পেছনে কুকুরের মতো ঘুর ঘুর করেছে,তুমি হেলায় দুরে সরিয়ে দিয়েছো,তুমি আমাকে মানুষই মনে করো না আসলে।(তাচ্ছিল্যের একটা হাসি দিয়ে)
আরে,দুদিন যদি একটা কুকুর পেছন পেছন ঘুরে তাহলে তার জন্য মায়া হয়,আর আমি মানুষ হয়েও😃😃
,
—আজ শুভ্রের প্রতিটা কথাই যেনো ঠিক ঋতুর বুকের মাঝখানে তীরের মতো গেঁথে যাচ্ছে।
ক্ষত বিক্ষত হয়ে যাচ্ছে ঋতুর মন।
কিছুই বলার নেই ঋতুর।শুভ্র তো ঠিক কথাই বলছে।ওর কথার পেছনে যৌক্তিকতা আছে।
ঋতু শুভ্রের কষ্ট বুঝলেও এতদিন চুপ করে ছিল,শুভ্রের সামনে অভিনয় করে গেছে।এতোদিন অবুঝের মুখোশ পরেছিল শুভ্রের সামনে।ও চায়নি শুভ্রকে বুঝতে দিতে।কিছু ভালোবাসা প্রকাশ করতে নেই।মনের মাঝেই চেপে রাখতে হয়।হ্যাঁ শুভ্রর মতো ঋতু ও শুভ্রকে ভালোবাসে।সেটা অনেক আগে থেকেই।শুভ্রর রোমান্টিক অত্যাচার গুলোকে যখনি আস্তে আস্তে ভালোবাসতে শুরু করছে ঋতু,ঠিক তখনি( জন্মদিনে ওর বাবা অভির সাথে বিয়ের কথা বলা,,,,,)
চোখের সামনে ভেসে ওঠে বাবার সেই হাস্যজ্বল মুখখানা।😍
বাবার খুশি,ঋতুর প্রতি ভালোবাসা ও সেই সাথে বিশ্বাস।
ওর বাবা শুনলে কষ্ট পাবে,আর ও চায় না ওর বাবা কষ্টপাক ওর জন্য।বাবার খুশির জন্য এমন হাজারো শুভ্রের ভালোবাসাকে কোরবান করে দিতেও রাজি আছে ঋতু।
হয়তো কষ্ট হবে ঋতুর,কিন্তু বাবার খুশির কাছে এসব কষ্ট তুচ্ছ।😆
এর জন্য শুভর কাছে দোষী,খারাপ হতে হবে।হবে তাতে কি??

—জানিিি,,আমার কথার জবাব তোমার কাছে নেই।
—ঋতু ছলছল চোখে শুভ্রের দিকে চেয়ে আছে।
কিছু বলার মতো জবাব সত্যিই ওর কাছে নেই।😰
–শুভ্র গাড়ির ডোরের ওপর জোরছে একটা ঘুসি মারে।
রাগটা ঋতুর ওপর না খাটিয়ে নিজেকে আঘাত করছে।
ঋতু এগিয়ে যেতে গেলে শুভ্র বাধা দেয়।
থাক আপনাকে আর আমার জন্য কষ্ট করতে হবে না।অনেক কষ্ট,বিরক্ত করেছি আপনাকে।পারলে ক্ষমা করে দিয়েন।
ভাববেন না,এই শুভ্র আর কখনোই আপনার সামনে এসে দাড়াবে না।
এই বলে গাড়ি স্টার্ট দিয়ে চলে যায় শুভ্র।
আর ঋতু,,
কান্না করতে করতে বাসায় চলে গেলো।
খুব কষ্ট হচ্ছে ওর,শুভ্রের বলা প্রতিটি কথায় কষ্ট লুকিয়েছিল।
ওর কথা বলার সময় মনে হচ্ছিল গলা টা আটকে আসছিল।
–আমি যা করছি তা কি আদৌ ঠিক করছি??
নাা নাহহ একি ভাবছি আমি😰
দুদিন পরে আমার বিয়ে,আর আমি কি ভাবছি এসব??😰
উনার জন্য খুব দুশ্চিন্তা হচ্ছে,আচ্ছা উনি আবার রাগের বসে কিছু করে বসবে না তোহ??
না জানি কি করছে এখন😰
নির্ঘুমে কাটলো ঋতুর রাত।তার দুচোখের ঘুম তো হারিয়ে গেছে।
সকালে,,,,,, ভার্সিটিতে,,,,,
প্রতিদিনের মতো আজকেও ভার্সিটিতে এসেছে ঋতু,আর প্রথম ক্লাস টাও শুভ্রেরই😊
ক্লাস নিচ্ছে শুভ্র,তবে খুব চুপচাপ😒সবাইকে পড়া ধরছে বাট ঋতুকে নাহ,,
ঋতুর সামনে কখনো হঠাৎ পড়লেও পাশ কাটিয়ে চলে যাচ্ছে।এক কথায় ঋতুকে ইগনর করছে শুভ্র।
শুভ্রর এই বদলে যাওয়া,ইগনর করা খুব পীড়া দিচ্ছে ঋতুকে।
ঋতু তো এমন টা চায়নি,এমন হলো কেনো??😰
শুভ্র টা হঠাৎ করেই বদলে গেলো,না হঠাৎ করেই নয়,বদলাতে বাধ্য করেছে ঋতু।
ইদানিং দেখছি শুভ্র রাত্রির(প্রিন্সিপালের মেয়ে) সাথে খুব মিশছে।
মেয়েটাও আছে গায়ে পড়া স্বভাব।একটা করে কথা বলছে আর দাঁত কপাটি খুলে হেসে হেসে কুটি কুটি হচ্ছে😡
রাগে একদম আমার গা জ্বলে যাচ্ছে😡মনে হচ্ছে দুইডারেই কুচি কুচি করে কাটি😈কান কাটা পেত্নি,সাপিনী, শাঁকচুন্নি, ডাইনি লজ্জা করে না স্যারের সাথে ঢলাঢলি করতে😈
কিসের এতো কথা বলে ওরা,এতো ক্যালানোই বা লাগবে কেনো??বলি হারি😡
মনে হচ্ছে শেওড়া গাছের পেত্নিডার চুল কাইট্টা নাড়া করে দেই,ওর কত্তবড় সাহস ও আমার জল্লাদ, বজ্জাত Accounting_Teacher এর দিকে নজর দেয়😡
রাগে ফুসছে ঋতু,,
লুচু ব্যাটা,দুদিন আমার পেছনে ঘুরছে,পাত্তা দেইনি বলে অন্য মাইয়্যার লগে টাংকি মারস?এই ছিল তোর মনে ভালোবাসা?😡
ওদের এসব ঢং দেখে আমার গা একদম জ্বলে যাচ্ছে,,,
.
.
পর্ব :- ২৬
.
.
-: রাগে ফুসছে ঋতু,,
লুচু ব্যাটা,দুদিন আমার পেছনে ঘুরছে,পাত্তা দেইনি বলে অন্য মাইয়্যার লগে টাংকি মারস?এই ছিল তোর মনে ভালোবাসা?😡
ওদের এসব ঢং দেখে আমার গা একদম জ্বলে যাচ্ছে,,,
বেশরম, নির্লজ্জ মাইয়্যা,আদব কায়দা জানেনা।
মনে হচ্ছে যে এখনি দুইডারে কাইট্টা বস্তায় ভরি।😈
—শুভ্র খেয়াল করে দেখছে,,
রাত্রি কে দেখলেই ঋতু রেগে লাল হয়ে মরিচের মতো হয়ে যায়।
শুভ্রের পাশে রাত্রিকে সহ্য করতে পারছে না ঋতু।
(আগেই বলে নেই,রাত্রি শুভ্রের কাজিন।আর ওদের প্ল্যান হচ্ছে ঋতুকে জেলাস ফিল করানো।এতে যদি বুঝতে পারে যে শুভ্রের মনে ওর জন্য জায়গা আছে,ভালোবাসে শুভ্রকে।
আর শুভ্র চায় ঋতু যেনো নিজ থেকে শুভ্রকে তার ভালোবাসার কথা জানায়।😆😆)
শুভ্র মনে মনে হাসছে,যাক প্ল্যান টা কাজে লাগছে।😆
আমি জানি তুমি আমাকে ভালোবাসো।তোমার চোখে আমি আমার জন্য ভালোবাসা দেখতে পাই,কিন্তু আমি বুঝতে পারিনা কেনো তুমি তা অস্বীকার করো।
ভালোই যখন বাসো,অন্য কাউকে সহ্যই যখন করতে পারো না আমার পাশে,তখন মুখ ফুটে বলছো না কেনো??
আমি তো চায়নি তোমাকে কস্ট দিতে,তুমিই বাধ্য করছো আমায় কষ্ট দিতে।
তোমার কষ্ট যে আমারো কষ্ট,তোমার চোখে পানি যে আমি সহ্য করতে পারি না,বুকটা ফেটে যায় তুমি কি তা বুঝো না??😰
তুমি কবে বলবে ঋতু যে তুমি আমায় 💜ভালোবাসো,,,
,,
নাহহহহ আমি আর পারছি না ওদের এসব অন্তরঙ্গ
খুব কষ্ট হচ্ছে আমার,মনে হচ্ছে কেউ আমার কলিজাটা টেনে ছিড়ে নিয়ে যাচ্ছে।
আমার আর সহ্য হচ্ছে না এসব,চোখের সামনে পারছি না এসব দেখতে।
দৌড়ে বাসায় চলে এলাম।
দিন দিন বিয়ের সময় ও ঘনিয়ে আসছে,আর মাত্র কদিন বাকি,,,
বিয়ের সব আয়োজন ও শুরু হয়ে গেছে,অলরেডি কার্ড ছাপানোও শেষ হয়ে গেছে।
বাড়ির একমাত্র বড় মেয়ে বলে কথা,কোনো দিক দিয়ে যেনো ত্রুটি নাহয় আজিজুল হোকের কথা।
তিনি চাননা তার মেয়ের বিয়েতে কোনো কিছুরই কমতি হোক।
বড় আদরের মেয়ে ঋতু তাদের।
বাড়িতে উৎসবের তোড়জোড় শুরু হয়ে গেছে।
সবাই আনন্দ করছে,নাচ গান করছে আর এদিকে ভালোবাসা হারানোর ব্যথায় ব্যথিনী ঋতু কেঁদে কেঁদে বালিশ ভিজিয়ে ফেলছে।
কি করার আছে ঋতুর,না পারছে বাবাকে কিছু বলতে,না পারছে ভালোবাসার মানুষটির হাত ধরে বেড়িয়ে যেতে।
,,
এদিকে,,,,,,,,,
কয়েকদিন ধরে শুভ্রের মাঝে পরিবর্তন লক্ষ্য করছে সেলিনা বেগম।
কেমন যেনো চুপচাপ হয়ে যাচ্ছে শুভ্র,,ঠিক মতো খায় না,ঘুমায় না।সব সময় উদাস থাকে,কিসের এতো চিন্তা ওর??
এক মাত্র ছেলের বদলে যাওয়া টা খুব ভাবাচ্ছে তাকে।
জিজ্ঞেস করলেও সব সময় এড়িয়ে যায় শুভ্র।
খাওয়াদাওয়ার পরে ড্রয়িং রুমে বসে আছে শুভ্র আর তার সামনে আছেন বসে ওর বাবা মা।
আজ যেনো গোয়েন্দাদের মতো পেটের মধ্যকার সব কথা বের করেই ছাড়বে।
তিন জনেই চুপচাপ বসে নিরাবতা পালন করছে।
ঠিক সেই সময়েই আজিজুল হোক কার্ড হাতে প্রবেশ করলেন।

—আরে আজিজ ভাই যে হঠাৎ,তা একা কেনো??
ভাবি কোথায়??(সেলিনা বেগম)
–হ্যাঁ ভাবি,হঠাৎ আসতে হলো,আর আপনার ভাবি বাসায় আছে।
–তা দাড়িয়েই সব কথা বলবি নাকি বসবি??(শুভ্রের বাবা)
–নারে আজকে খুব তাড়া আছে,বাসায় অনেক কাজ পড়ে আছে।
এই নে কার্ড,,,,আগামি ১০ই জানুয়ারি ঋতুর বিয়ে।
খুব তাড়াতাড়িই হয়ে গেলো।একা মানুষ বুঝিসই তো,সব একা হাতে সামলাতে হয়।😊
—কি বলেন ভাই সাহেব!!এতো ছোট মেয়েকে এত তাড়াতাড়ি বিয়ে দিচ্ছেন??ছেলে কি করে??আর ঋতুর মত নিয়েছেন তোহহ
——–
এতক্ষণ শুভ্র বসে বসে সব কথাই শুনলেন।
যখন শুনলেন যে ঋতুর মতেই বিয়ে হচ্ছে তখন,,,,,,
সব আশা শেষ হয়ে গেলো।তারমানে কি ও যা দেখেছে, যা ভেবেছে সবই কি ভুল??
সব টাই মিথ্যে??ও কি করে পারলো এমন টা করতে??
ড্রয়িংরুমে আর এক মুহূর্ত না থেকে বেড়িয়ে রুমে চলে গেলো শুভ্র।
বিষয়টা আর কারো চোখে না পড়লেও সেলিনা বেগমের চোখে এড়ালো না।
শুভ্র রুমে গিয়ে ভাংচুর করছে যা পড়ছে সামনে।
রাত্রে আজিজুল হোক ঋতুর রুমে এলেন।
–কিরে মা,এই অবেলায় লাইট অফ করে দিয়ে শুয়ে আছিস কেনো??কি হয়েছে তোর??শরীর ঠিক আছে তোহ??
—না বাবা,কিছুনা এমনি।
তুমি এসময় আমার রুমে?কিছু বলবে বাবা???
–কিছুনা নারে মা।এমনি দেখতে এলাম তুই ঘুমিয়েছিস নাকি।
মারে সবাইকে কার্ড দেয়া প্রায় শেষ।তোর বন্ধু বান্ধব কাউকে যদি বলার থাকে তো বলিস।
–কিছুনা বলে একটা মলিন হাসি দিলাম।
,
সারা রুম জুরে কাচের টুকরা পরে আছে।সব কিছু এলোমেলো ভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে।
রুমের এক কোনায় পাগলের মতো বসে আছে শুভ্র।
মাথায় কারো হাতের ছোয়া পেয়ে,মাথা তুলে তাকিয়ে দেখে,,
–এতক্ষণে হয়ত এমন একজনকেই খুজছিলো যার কোলে মাথা রেখে একটু কান্না করতে পারে।
যদি মন টা হাল্কা হয়।
—বলিস নি ঋতুকে??
–মায়ের মুখের দিকে তাকায় শুভ্র।
ভাবছে মাকে তো কিছুই বলে নি তাহলে মা বুঝলো কি করে??
—মায়ের মন বাবা,,সবই বুঝি।
কয়েকদিন ধরেই তোকে লক্ষ্য করছিলাম।আজিজ ভাই আসার পর থেকেই তুই কেমন যেনো পাগল হয়ে গেছিস।ভাংচুর করছিস।
এতো ভালোবাসিস যখন বলিস নি কেনো??আমাদের ও তো বলতে পারতিস।
–মায়ের কোলে মাথা রেখে কান্না করছে শুভ্র।ছেলেরা নাকি সহজে কাঁদে না।খুব কষ্ট না পেলে।
হ্যাঁ মা বলেছি,একবার নয় দুবার নয় বহুবার।ও প্রতিবারই আমায় রিজেক্ট করে গেছে।ইগনর করছে মা।
—😱😱আমার ছেলের কিসে কমতি আছে যে আমার ছেলেকে ঋতু রিজেক্ট করে😱
আমাদের বলিস নি কেনো???আমরা তোর আজিজ আংকেলের সাথে কি একবার কথা বলবো??
–না মাহহ,তার দরকার নেই।বলে কি লাভ হবে বলো??উনি কি বলে গেলো শুনলে না??ঋতুর মতেই তো বিয়েটা হচ্ছে,,,
সেখানে আর বলে কি হবে বলো তো??
–তুই কিছু চিন্তা করিস না বাবা,আমি তোর জন্য ওর থেকেও সুন্দরি, শিক্ষিত বউমা নিয়ে আসবো বাবা

,
সকালে ভার্সিটিতে,,,,,,,
বিয়ের আগে এটাই শেষ আসা ভার্সিটিতে।আর আসতে পারে কি না কে জানে।
সবার থেকে বিদায় নিয়ে চলে আসতেছিল ঠিক সেই সময়ে কে যেনো পেছন থেকে মুখ চেপে ধরে একটা ক্লাস রুমের মধ্যে নিয়ে গিয়ে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিল।
সামনে তাকিয়ে দেখি আর কেউ নয়,স্বয়ং জল্লাদ থুক্কু শুভ্রই সামনে দাড়িয়ে আছে।
মনে মনে দোয়া পড়ছি না জানি কপালে কি আছে।
চোখ দুইটা আগুনের ফুলকির মতো দেখাচ্ছে।
দেখেই বুঝা যাচ্ছে খুব রেগে আছে।
ঋতুর দুই বাহু ধরে ঝাকাচ্ছে আর বলছে,,,,
খুব খুশি লাগছে তাই না???
খুব শখ বিয়ে করার নাহহহ!!এই জন্যই আমাকে বার বার অবহেলা করে দুরে সরিয়ে দিতে।কি যেনো নাম ও হ্যাঁ মনে পড়ছে,,
তোমার অভি প্রেমিকের জন্য আমাকে তাড়িয়ে দিতে তাই না???
–ঋতু ব্যাথা পাচ্ছে, ছল ছল চোখে শুভ্রের মুখের দিকে চেয়ে আছে।
শুভ্রের চোখে ওর জন্য ভালোবাসা দেখতে পাচ্ছে।আর কিছু হারানোর ভয়,,
—দেখলাম ওর চোখ দুটো পানিতে টলমল করছে,মনে হচ্ছে এখনি কেঁদে দিবে।
কি ব্যাপার??ও কান্না করছে নাকি??মনে শুভ্রের এমন প্রশ্নেরা দানা বেধে বেড়াচ্ছে।সেসবে তোয়াক্কা না করে,,,
ভালোবাসার মানুষ কে আজ আপন করে পেতে যাচ্ছো,আজ তোমার খুশি থাকার কথা,,
ওহ!!হ্যাঁ বলতেই ভুলে গেছি,,আগামী ১০ ই জানুয়ারি আমার আর রাত্রির বিয়ে,,
মানে যেদিন তোমার বিয়ে,,
কি ভেবেছিলে?তুমি বিয়ে করে বর নিয়ে ঘুরে বেড়াবে আর আমি দেবদাস হয়ে ঘুরবো,তুমি এটাই ভেবে থাকলে ভুল ভেবেছো।
শুভ্র চৌধুরীকে তুমি এখনো চিনতেই পারো নি।
Minded😎
–ঋতু শুভ্রের যাওয়ার দিকে চেয়ে আছে,,,,
—মা বাবা তোমরা একসাথেই আছো ভালো হয়েছে।
আমি বিয়ে করতে চাই,,সেটা আগামী ১০ ই জানুয়ারীতেই।
তোমরা আংকেল আন্টির সাথে কথা বলে সব কিছুর ব্যবস্থা করো।(রাত্রির বাবা মা)
.
.
চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here