Accounting Teacher,Part 27,28

Accounting Teacher,Part 27,28
Ritu Rosni
Part 27

—মা বাবা তোমরা একসাথেই আছো ভালো হয়েছে।
আমি বিয়ে করতে চাই,,সেটা আগামী ১০ ই জানুয়ারীতেই।
তোমরা আংকেল আন্টির সাথে কথা বলে সব কিছুর ব্যবস্থা করো।(রাত্রির বাবা মা)
—বিয়ে করবে ভালো কথা,,তাই বলে এতো তাড়াতাড়ি কেনো??
আমার একমাত্র ছেলের বিয়ে বলে কথা,,আমি চাই অনেক বড় ধুমধাম করে ছেলের বউ ঘরে তুলবো।(শুভ্রের বাবা)
—আমি কোনো কথা শুনতে চাই না,যা বলছি তাই করো।
মনে রেখো বিয়েটা কিন্তু ১০শে জানুয়ারি তেই হবে।
এই বলে শুভ্র তার নিজের রুমে চলে গেলো।
,
–খুব কষ্ট হচ্ছে আজ,কি বলে গেলো উনি??😭😭আমি আমার প্রেমিক কে বিয়ে করছি😆আমার তো খুশি থাকার কথা,,
হ্যাঁ এই দেখুন না!!আমি কত্তো খুশি,খুশির চোটে চোখ দিয়ে খুশির বন্যা বয়ে যাচ্ছে।
(একটা মলিন হাসি দিল)
আমাকে একটু ও বুঝলো না উনি।আমার উপর রাগ করে অন্য কাউকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আচ্ছা,উনি কি সত্যিই অন্য কাউকে বিয়ে করবে??উনি এটা পারবেন তোহ??উনার কি একটু ও কষ্ট হবে না😭😭এতোটা পাষাণ হলেন কি করে উনি
আল্লাহ আমার সাথেই কেনো এমন টা হয়,,(ঋতু)
,
—তুমি কি ভেবেছো,বিয়ে করে স্বামী ঘর সংসার নিয়ে তুমি সুখে সংসার করবা আর আমি বসে দেবদাসের মতো কি গান গাইবো মমতাজের?😊
‘বন্ধু যখন বর লইয়া,
আমার বাড়ির সামনে দিয়া
হাইট্টা যায় ও বুক টা ফাইট্টা যায়😭😭
Nooo,, মিস ঋতু Ur Idea is absolutely wrong.
এই শুভ্র চৌধুরী এতোটাও ইমোশনাল নয়,যে একটা মেয়ের জন্য ভেঙ্গে পড়বে।
তাও একটা হার্টলেস, নিষ্ঠুর,লোভী মেয়ের জন্য।
আমিও তোমাকে দেখাতে চাই যে আমিও পারি।
শুভ্র এসব নিজে নিজেই বলছিলো।
,
—-শুভ্রর মা শুভ্রের রুমের সামনে এসে দাড়িয়ে আছে,,
ভেতরে যাওয়ার মতো সাহস তার নেই,তার
ছেলের রাগ সম্পর্কে তার ধারণা আছে।
শুভ্রর এখন মাথা গরম আছে,হুট হাট করে না জানি কি করে বসে।তাই আর ভেতরে যাওয়ার কোনো সাহস হচ্ছে না।
—দেখলাম মা এসে রুমের সামনে দাড়িয়ে পায়চারী করছে,
আম্মু বাইরে দাড়িয়ে কি করছো??ভেতরে আসো,,,,
–হু
–কিছু বলবে নাকি??
–হুমম,,বলবো বলেই তো আসলাম।
তুমি যে সিদ্ধান্ত নিয়েছ এটা কি ভেবে চিন্তে করছো??
দেখো বাবা বিয়ে টা একটা বন্ধন,তোমরা সারাজীবনের মতো একি সুতোয় বাধা পড়বে।
সারাজীবনের মতো একটা সম্পর্ক,রাগের বসে হুট করে একটা সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললে পরে অনুশোচনা করেও কূল পাবেনা।
আমি তোমার মা,আমি কখনোই তোমার খারাপ চাইবো না।
আমি জানি তুমি বিয়েটাকে কখনোই মন থেকে মেনে নিতে পারবে না।আর বিয়েটা করছো তুমি ঋতুর ওপর রাগ করেই।
আমি চাই তুমি সময় নিয়ে ভেবে চিন্তে যেকোনো সিদ্ধান্তে আসো।
—না আম্মু,,আমি আর ভাবতে চাই নাহহ
যা বলেছি সেটাই করো।কোনো কথা শুনতে চাই না।
আমি ওকে দেখাতে চাই,,,আমি ঐ হার্টলেস,সেলফিশ মেয়েটার জন্যে কষ্ট পাবো তুমি ভাবলে কি করে মা??
—ওহহহ তাই নাকি!!সত্যিই কি তুই কষ্ট পাচ্ছিস না??
এই আমার মাথায় হাত রেখে বল তোহহ
–কি করছো কি মা,তুমি কি পাগল হলে(মাথা থেকে হাত নামিয়ে)
—কি হলো!!হাত সরিয়ে নিলি কেনো??
মায়ের চোখ কে ফাকি দেয়া ওতো সহজ না বাবা।তুই যখন
সন্তানের বাবা হবি তখন বুঝবি।
শুভ্রের মা চলে গেলে,,,
আমি কি সত্যিই পারবো ওকে ভুলে নতুন জীবনে পা রাখতে??পারবো কি ওর জায়গা তে নতুন করে অন্য কাউকে বসাতে😰
নাহ পারতে আমাকে হবেই।
,
যেহেতু ওদের বিয়ের আর দেরি নেই,সময় ও হাতে নেই বেশি।
শপিং কিছুই হয়নি করা।
শুভ্র আর রাত্রি এসেছে মার্কেটে।
শুভ্রের যাবার ইচ্ছে না থাকলেও মনের ওপর জোর করে গেছে,নইলে ওর মা আবার টেনশন করবে।
ও চায়না বুঝতে দিতে ওর ভেতরের যন্ত্রণা টা কে।
রাত্রি একের নিজে নিজেই বক বক করে যাচ্ছে, শুভ্র মাঝে মাঝে হু হ্যাঁ করছে।
রাত্রি বিষয়টা লক্ষ করছে অনেকক্ষণ ধরে,,,
শুভ্র এই শুভ্র,,,,,,,,,,,,,(রাত্রি)
–হু ডাকছিলি??(কি বজ্জাৎ মেয়েরে বাবা,ওর চৌদ্দ বছরের বড় আমি,আর আমারে নাম ধইরা ডাকে,বেদ্দপ মাইয়্যা)
–হুমম ডাকছিলাম তো!!সেই কখন থেকে দেখছি তুমি কেমন যেনো উদাস হয়ে আছো।কিছু ভাবছো নাকি তোমার শরীর খারাপ করছে হ্যাঁ(গায়ে হাত দিয়ে)
–রাত্রি আমি ঠিক আছি,তোকে এসব ভাবতে হবে না।তুই শপিং কর।আমি ঠিক আছি।
—হুহহ,বললেই।চলো (হাত ধরে)
—কি হচ্ছে টা কি রাত্রি? কি শুরু করলি এসব??বললাম নাহ আমি ঠিক আছি(ধমক দিয়ে)
–স,,,সরিিিিিি ভু,,লল হয়েে গেছেে।তুমি এভাবে রিয়েক্ট করবে বুঝতে পারি নি আমি।(রাত্রি)
–হু,ঠিক আছে।তুই তোর কাজ কর।
বজ্জাত,গায়ে পড়া স্বভাবের মেয়ে।কেনো যে আমি বিয়ের কথা কলেম😰
মনডায় চায় থাপ্পড় দিয়া দাঁতের কপাটি ভেঙ্গে দেই।সাহস কত্তবড় বজ্জাত মেয়ে আবার আমার নাম ধরে ডাকে।
যাস্ট ইরিটিং একটা।এরে কেমন করেই যে সহ্য করবো আমি কে জানে😰
আল্লাহ রশি ফালাও হেতিরে তুইল্লা দেই😆😆
ওর কাছে থেকে বোর হওয়ার চেয়ে চারপাশ ঘুরে দেখি।
হঠাৎ দেখলাম একজনকে দাড়িয়ে থাকতে,,
রাত্রি তুই দেখতে থাক আমি আসছি।
—আরে আরে কই যাও???বলে,,,,,,,,
ধুরররর ছাই চলেই গেলো।(রাত্রি)
,
অভি আর ঋতু ও এসেছে।ঋতুর এসব করতে মোটেও ভাল লাগছে না।
আর পারছে না সবার সামনে ভালো থাকার অভিনয় করতে।খুব কষ্ট হয় ওর,বুক টা ফেটে যায়।
ওর বাবার কথা ভেবে আবার চুপসে যায়।
বাবার এই ১৮ বছরে তিল তিল করে গড়ে তোলা ভালোবাসার কাছে যে শুভ্রের কয়েক মাসের ভালোবাসা টা যে তুচ্ছ😰
ও পারবে না কখনোই ওর বাবা কে কষ্ট দিতে।
ওর বাবা যে ওর জান আর শুভ্র ওর প্রাণ।😍
একটাকে ছাড়া আরেকটা মুল্যহীন।
এক কঠিন পরিক্ষায় ওর সামনে।
কাকে বেছে নিবে ঋতু।😰
সব কিছু অভিই পছন্দ করছে।ঋতু চুপচাপ সব দেখছে,শুনছে মাঝে মাঝে হু হ্যাঁ করছে।
বিষয় টা অভির চোখে এড়ালো না।
—ঋতু তুমি ঠিক আছো তো??কি হয়েছে,শরীর খারাপ করছে??
–না অভি ভাইয়া,আমি ঠিক আছি।তোমার অস্থির হওয়ার দরকার নেই তো।
–কিচ্ছু ঠিক নেই,তোর কি হয়েছে বলতো??
মুখটা এমন বাঙ্গলার পাচের মতো করে রাখছিস কেনো??
তোকে এভাবে মানায় না।
–একটা শুকনো হাসি দেয়ার চেষ্টা করলো।😊
–হু এভাবেই হাসবি বুঝলি।
চল সামনে রুপমাঝি তে যাই(রবিউল মার্কেট এর ২য় তলায়)।
–হু,চলো।
দুজনে একসাথে যখন রুপ মাঝির দিকে যাচ্ছিলো,তখন এক জোড়া চোখ দুর থেকে ওদের দেখছিল আর রাগে ফুসছিল।
ঋতু ও সামনের দিকে তাকিয়ে থমকে গেলো।
এক জোড়া চোখ ওর দিকে চেয়ে আছে,মুখে স্পষ্ট রাগের ছাপ দেখা যাচ্ছে।পাব্লিক প্লেস না হলে হয়তো এতক্ষণে ঋতুকে কুড়াল দিয়ে কুচি কুচি করে কেটে ফেলতো।
—বাহহহ ম্যাডাম বরের সাথে শপিং এ আসছে😊
ভালোই আছে,খুব ভালো।(শুভ্র)
শুভ্র,এই শুভ্রহহ,,,,,
ওহহ তুমি এখানে??আর আমি তোমাকে পুরো মার্কেটে হন্ন হয়ে খুজে বেড়াচ্ছি।(রাত্রি)
–আরেেে এটা তোর সেই টিচার নাহ,যে তোকে হাসপাতালে দেখতে গিয়ে পড়ার কথা বলছিলো।(অভি)
–হুমম
—বুঝলাম, কিন্তু পাশের ঐ মেয়েটি কে??চিনলাম না তোহহ।চল তো দেখি।
(অভি)
–অভি ভাইয়া হাত ধরে টেনে নিয়ে গেলো শুভ্রের সামনে।উনার সাথে দেখলাম রাত্রিও এসেছে।
হয়তো বিয়ের কেনাকাটা করতে এসেছে।
—Hi!Mr. Shuvrro Chawdhury.How R U??(Avi)
–Fine.U??(Shuvrro)
–I’m also fine.
—Gd.মিট।হার নেম ইজ রাত্রি।
মাই উড বি ওয়াইফ।
—Hi!!(Avi)
—Hlw(রাত্রি)
Mr.Avi!! If u don’t mind.
আমাদের একটা কাপল পিক তুলে দিবেন।
–ওহহ সিউর।Why not??
–Thanks. (তারপরে রাত্রি কে জড়িয়ে ধরে পোজ দিল শুভ্র।সেল্ফি পোজ সবটাই ঋতুকে কষ্ট দেয়ার জন্যই ওর সামনে এসব করছে।)
–👌👌Wow!! Nice Cupol.(অভি)
–থ্যাংকস মিস্টার অভি।(শুভ্র)
-ওয়েলকাম।😊
,
ঋতু এতক্ষণ সব কিছুই দেখছিল।ও বুঝতে পারছে সব কিছুই শুভ্র ঋতুকে কষ্ট দেয়ার জন্যই করছে।
শুভ্রর পাশে অন্য কাউকে সহ্য করতে পারে না।এতক্ষণ অনেক কষ্টে চোখের পানি টাকে আটকে রেখেছিল ঋতু।
কিন্তু আর পারলো না,চোখের সামনে এমন দৃশ্য মেনে নিতে পারছে না ঋতু।শুভ্র কেনো এমন করছে।
ও কি বুঝতে পারে না ঋতুর কষ্ট হয়,বড্ড কষ্ট হয়।😭
কান্না করতে করতে বেরিয়ে গেলো ঋতু।
বিষয় টা সবাই দেখলো।
—ঋতু,এই ঋতু কই যাস দাড়া।ঋতুউউউউহহহহহহ,,,,,,,,,,,,,,
.
.
পর্ব :- ২৮
.
.
:- ঋতু এতক্ষণ সব কিছুই দেখছিল।ও বুঝতে পারছে সব কিছুই শুভ্র ঋতুকে কষ্ট দেয়ার জন্যই করছে।
শুভ্রর পাশে অন্য কাউকে সহ্য করতে পারে না।এতক্ষণ অনেক কষ্টে চোখের পানি টাকে আটকে রেখেছিল ঋতু।
কিন্তু আর পারলো না,চোখের সামনে এমন দৃশ্য মেনে নিতে পারছে না ঋতু।শুভ্র কেনো এমন করছে।
ও কি বুঝতে পারে না ঋতুর কষ্ট হয়,বড্ড কষ্ট হয়।😭
কান্না করতে করতে বেরিয়ে গেলো ঋতু।
বিষয় টা সবাই দেখলো।
—ঋতু,এই ঋতু কই যাস দাড়া।ঋতুউউউউহহহহহহ,,,,,,,,,,,,,,
অভিও ঋতুর পেছন পেছন ডাকতে ডাকতে চলে গেলো।
,
রাত্রি নিরব দর্শকের মতো সব কিছু দেখছে।😊
শুভ্র:আমি ইচ্ছে করেই ওর সামনে দিয়ে রাত্রির গা ঘেষে বেড়াচ্ছিলাম,,
জানি এসব ও সহ্য করতে পারছে না।
আমিও তো পারি নাহহ,ওর পাশে অন্য কাউকে😰ও কি তা বুঝে না???😡
আমি ইচ্ছে করেই ওর সামনে রাত্রিকে জড়িয়ে ধরে বিভিন্ন স্টাইলে পোজ দিচ্ছিলাম।
আমি স্পষ্ট ওর চোখে জল চিক চিক করতে দেখছিলাম।
আমি তো তাই চাই,ওকে কষ্ট দিতে।
যতোটা কষ্ট আমি পাচ্ছি।😰ও উপলব্ধি করুক ভালোবাসা হারানোর যন্ত্রণা টা।
আমি এসব রাগের বসে,ওর প্রতি একটা জিদ থেকে করছি
এখনো তো সময় আছে না বলে দিতে পারে।
ভালোই যখন বাসে,আমার পাশে অন্য কাউকে দেখলে যখন কষ্টই পায় তো বিয়েটা করছে কেনো???
নাকি কেউ ফোর্স করছে???
না নাহহহ,আঙ্কেল তো বলছে ওর বিয়েতে মত আছে।তাহলে??😒
,
বাসায় এসে ধরাম করে দিয়ে রুম টা আটকে দিয়ে,,
শাওয়ার ছেড়ে চিৎকার করে কান্না করছে ঋতু😭😭😭
কেনো এমন করে উনি,,কেনো????😭😭
উনি ইচ্ছে করেই এমন করে আমাকে কষ্ট দেয়ার জন্যই,আমি সব বুঝি।এতো রাগ আমার উপর উনার??
আমি কি এতোটাই খারাপ???😭😭
হ্যাঁ আমি খারাপই তোহহহ,,আমি চাইনা কারো কাছে ভালো হতে।
আমার খুব কষ্ট হয়,দম বন্ধ হয়ে আসে।আমি পারছি না আর এসব অভিনয় করে যেতে।
অনেক বার বলতে চেয়েও বলতে পারি নি,,যখনি বলতে গিয়েছি😰বাবার সেই হাসি খুশি চেহারা টা চোখের সামনে ভেসে ওঠে।
বাড়ির সবাই কত্তো খুশি বিয়ে টাতে,সব আয়োজন ও শেষ।
আমি নিজের খুশির জন্য এতগুলো মানুষের মুখের হাসি কেড়ে নিতে পারবো নাহ😰😰এতোটা স্বার্থপর আমি হতে পারবো না।
আবার অন্য কাউকে আমার ভালোবাসার মানুষের ভাগ টাও দিতে পারবো না।
আমি এতোটাও মহান নই।😰
শাওয়ারের নিচে বসে পাগলের মতো কান্না করছে আর নিজের চুল মুঠোর মধ্যে নিয়ে টানাটানি করছে ঋতু😭😭
,
বাইরে,,,,,,,,,,,
কি হয়েছে অভি??ঋতুকে দেখলাম দৌড়ে এসে ধরাম করে দরজা আটকে দিতে।
কিছু কি হয়েছে তুই জানিস???(ঋতুর মা)
—ও কিছুনা ছোট আম্মু,তুমি টেনশন করো না আমি দেখছি বিষয় টা।
–হুমম দেখ।আমার কিন্তু ভয় করছে।
–কিছু হবে না ছোট আম্মু,তুমি যাও তো আমার জন্য খাবার নিয়ে এসো।
বড্ড ক্ষিদে পেয়েছে আমার।(তাড়ানোর জন্য বলল)
—যাচ্ছি।
–হুমম যাও
ছোট আম্মু কে তো বললামই টেনশন না করতে,কিন্তু আমারই তো টেনশন আর ভয়ে হাত পা কাঁপাকাঁপি করছে।
কয়েকদিন ধরেই দেখছি কেমন যেনো চুপচাপ।
আগের মতো চঞ্চলতা নেই,সব সময় কেমন যেনো উদাস হয়ে থাকে।যদিও বিষয়টা এর আগে অনেকবার জিজ্ঞেস করেছি প্রতিবারই এড়িয়ে গেছে আমায়।
আজকে শপিংমলে,,,,,,,,
শুভ্রের সাথে ঐ মেয়েটাকে দেখার পরেই যেনো কেমন হয়ে গেলো।শুভ্রও কেমন রাগী চোখে ঋতুর দিকে তাকিয়ে ছিল।
আবার তখন ঐভাবে দৌড়ে চলে এলো😒
নাহহহ আমি আর কিছুই ভাবতে পারছি না।
আমার মাথায় কিছু আসছে না।ভাবতে পারছি না কিছু,,
দরজা কয়েকবার জোড়ে ধাক্কা দেওয়ায় খুলে গেলো।
কিন্তু একি!!রুম বেলকনি কোথাও তো নেই,,
হঠাৎ মনে হলো বাথরুম থেকে পানির শব্দ আসছে।
অনেকক্ষণ ধরে বাথরুমের দরজা ধাক্কাচ্ছে অভি ও পাশ থেকে কোনো সাড়া শব্দ পাওয়া যাচ্ছে না।
কিছু হলো না তো আবার???দরজা ভেঙ্গে ফেলবে নাকি ফেলবে না ভাবছে অভি,,,,
,
এমনিতেই শীত তার উপরে অনেকক্ষণ ধরে শাওয়ার নেওয়াই কাপুনি শুরু হয়ে গেছে ঋতুর।
ঐ দিকে মনে হচ্ছে অনেকক্ষণ ধরেই কেউ দরজা ধাক্কাচ্ছে।
কোনো রকমে জামাকাপড় চেন্জ করে দরজা খুলে দিল ঋতু,,
—তুু,,তুমিিিিিিিি,বাসায় যাও নি??
—এতক্ষণ ধরে কি করলি??সেই কখন থেকে ডেকে যাচ্ছি আমি???হঠাৎ,,,,
কি ব্যাপার তোর চোখ দুটি এমন ফোলা ফোলা লাগছে কেনো??
তুই কি কান্না করেছিস????(অভি)
—ক,,,ককককক,,কইইইইইই চোখখ ফোলা??
আমারর চ,,চোখখখ তো এমনিিিিিিি।
তুমি ভুল দেখছো।
—তুই কিছু লুকচ্ছিস না তো???
—কি বলছো তুমি এসব??কিিিিি লুকোবো আমি??
—আমার মন বলছে তুই কিছু আমার থেকে লুকচ্ছিস,,
–আরে আজিব তোহহহ!!বলছি তো কিছুনা।
–আচ্ছা, ঠিক আছে তুই থাক পরে কথা হবে।
আমার মন বলছে ঋতু ঠিক নেই,ওর কিছু হয়েছে।
আমার থেকে মনে হয় কিছু লুকচ্ছে।
কিন্তু কি????কিছুই বুঝতেছি না আমি😒
হঠাৎ অভির ফোন টা বেজে উঠল।,,
নাহহহহ!!এই ছেড়ি ডা তো আমায় পাগল বানিয়ে ছাড়বে দেখছি😰😰
নাহহহ!!আজকে এর একটা বিহিত করতেই হবে।

চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here