গল্প :- Accounting Teacher,পর্ব :- ৩৪ এবং শেষ

গল্প :- Accounting Teacher,পর্ব :- ৩৪ এবং শেষ
লেখা :- Ritu Rosni

-: দুজন ভালোই হাসাহাসি করছে আর পরিক্ষা দিচ্ছে।
আজকে গার্ডে আছে লতিফ স্যার।উনি ঘুমাচ্ছে বসে বসে আর সবাই নকল করায় ব্যস্ত।😁😁
ছেলেটা ভালোই হাসাতে পারে।কিছু মুহূর্তেরর জন্য হলেও কষ্ট টা ভুলে গিয়েছিল ঋতু।
কিন্তু ওদের এই হাসাহাসি দূর থেকে একজন দেখছে আর রাগে ফুঁসছে।
রাগলে শুভ্রকে ভয়ংকর দেখায়।রাগে নাক মুখ লাল হয়ে গেছে শুভ্রের।
ওর মনে হচ্ছে এখন যদি থাডিয়ে দুইডা থাপ্পড় দিতে পারতো ঋতুকে তাহলে গায়ের জ্বালা কিছুটা হলেও মিটতো।কিসের এতো হাসাহাসি ওর।
,
—-এই ছেলে,,এই ছেলেেেেেেেে(সোহানকে)
–জ্বী,,স,,,,স্যার,,,ররররর(সোহান শুভ্রকে দেখে ভয়ে ঢোক গিলছে।ও শুভ্রের রাগ সম্পর্কে জানে)
—পরিক্ষার হলে কিসের গল্প??পরিক্ষা দিতে এসেছো নাকি গল্প করতে??এতো হাসাহাসি কিসের??
—স,,রিিিিিি স,সস্যারররর,,ররর
–Get Out from my class room.
—-Sir,Sorry. আর এমন ভুল হবে না আমার।
—No Excuse.Get lost.
মিসেস ঋতু,,আপনি ভুলে যাবেন না এটা পরিক্ষার হল।গল্প করার প্রয়োজন হলে বেরিয়ে যেতে পারেন।(দাঁতে দাঁত চেপে বললো শুভ্র)
,
😱😱হঠাৎ এমন রেগে আছে কিনু😰কিছুই তো বুঝতেছি না।
হুহহহহহহ!!আমার সাথে কখন বা ভালো করে কথা বলেছে😃😃আমি তো ভুলেই গিয়েছিলাম আমি তো আর উনার নীলা নই।নীলা হওয়ার মতো কোনো যোগ্যতা কি আছে আমার😒
একটা প্যারা থেকে অন্তত মুক্তি পেলাম😊 পরিক্ষা শেষ করে বাসায় যাচ্ছিলাম, হঠাৎ উনি আমার সামনে এসে গাড়ি থামালেন।আমি দেখেও না দেখার ভান করে চলে যাচ্ছিলাম।
আর উনি গাড়ির ভেতর থেকে হর্ন বাজিয়েই চলেছে।
আমি তবুও থামছি না।উনাকে পাশ কাটিয়ে চলে আসছিলাম।
তখন উনি হ্যাচকা টান দিয়ে কোলে করে গাড়িতে নিয়ে বসালেন।আর আমি উনার বুঁকে কিল ঘুষি যা পারছিলাম দিচ্ছিলাম।আর চিল্লাচিল্লি করছিলাম,,,,,,,
ছাড়ুন!ছাড়ুন আমায় যেতে দিন।আমি একাই যেতে পারবো।
,
উনি কোনো কথার জবাব না দিয়ে গাড়ি লক করে ফুল স্পিডে গাড়ি চালিয়ে বাসার সামনে এনে থামালেন।
আমার হাত ছাড়ছেই নাহহ,,খুব জোড়ে হাত চেপে রেখেছে।
আমার হাতে খুব ব্যাথা লাগছে।চোখে পানি টলমল করছে।
বুঝতেছি না উনার হঠাৎ এমন ব্যবহারের কারণ।
এতো রেগেই বা আছে কেনো।
গরুর মতো টানতে টানতে আমায় রুমে এনে ধাক্কা দিয়ে বিছানায় ফেলে দিলো।
,
এতক্ষণ শুভ্র চুপ ছিলো।মুখ দিয়ে একটা কথাও বের হয়নি।
মেজাজ এখন ৩৬০ ডিগ্রি ভোল্টেজে আছে।
তোকে কতোবার বলেছি কোনো ছেলের সাথে কথা বলবি না,,তারপরেও কি???
কিসের এতো হাসাহাসি অন্য পরপুরুষের সাথে তোর??
কই আমার সাথে তো কখনো ওভাবে হেসে হেসে কথা বলিস নি😡😡
কয়টা লাগে তোর??নাকি পরিক্ষা দিতে গিয়ে এটাও পটিয়ে ফেলেছিস???
খুব এক্সপার্ট তো তুই,,
লজ্জা করে না তোর??ভদ্র ঘরের বউ হয়ে এসব নোংরামি করে বেড়াস😡😡😡
,
ঋতু এতক্ষণ সব কিছু মুখ বুজে শুনে যাচ্ছিল।শুভ্রের প্রতিটা কথাই যেনো তীরের মতো ঋতুর বুঁকে গেঁথে যাচ্ছে।
এটাই কি প্রাপ্য ছিল ওর কপালে।
ভালোবাসার মানুষের মুখ থেকে এমন নিচু, নোংরা নোংরা কথাই শোনা বাকি ছিল।
ঋতুর যেনো শুভ্রের কথা শুনে গা ঘিন ঘিন করছে।মনে হচ্ছে নিজের শরীরের চামড়া কেটে যদি লবণ লাগানো যেতো তাহলে হয়তো কিছুটা গায়ের জ্বালা টা মিটতো।
কি বলছে কি শুভ্র এসব??সামান্য একটু দেখাদেখি করছে তার জন্য এতো নোংরা নোংরা কথা😰😰😰😰
😆😆😆ভদ্র ঘরের বউ বলেই তো এতদিন চুপ করে আছি।
টু শব্দ টি ও করিনি।বিয়ের পর থেকে অবহেলা পেয়েই যাচ্ছি,তারপরেও এখানে মাটি কামড়ে পড়ে আছি।
তার কারণ আমি আপনাকে ভালোবাসি।মানছি আমি অনেক কষ্ট দিয়েছিলাম আপনাকে।আমি পরিস্থিতির স্বীকার ছিলাম।
মেয়ে হয়ে বাবা মাকে তো আর অসম্মানিত হতে তো আর দেখতে পারি না।অনেকবার ক্ষমাও চেয়েছি আমি আপনার কাছে,তাতে কোনো লাভ হয়নি।বরং দূর দূর করে তাড়িয়ে দিয়েছেন আমায়।তারপরেও আমি চুপচাপ সব সয়ে গেছি।😰
,
বললেন না কয়টা লাগে আমার??? ভদ্র ঘরের বউ হয়ে আমি এসব করে বেড়াই তাতে আমার লজ্জা করে নাহহ😰😰
আরে আমি তো মাত্র আমার প্রশ্নের উত্তর কমন পড়ছিলো না তাই একটু ওর থেকে হেল্প নিলাম।আর সৌজন্যতা রক্ষার্থে হাসি দিয়েছি।যার মন যেমন তার চিন্তাধারা তো তেমনি হবে তাই না।
কই আমি তো কখনোই আপনাকে আর নীলা ম্যাম কে একসাথে দেখে কখনো সন্দেহ করিনি।
আমার সামনে দিয়ে সবাই বলাবলি করে গেছে,,শুভ্র স্যার আর নীলা ম্যামের কাপল টা কিন্তু খুব মানিয়েছে।শুনলাম উনারা শীঘ্রই বিয়ে করে ফেলবে।
এক সাথেই ভার্সিটিতে পড়াশুনা করেছে,আবার এখন একই ভার্সিটিতে জব করছে।প্রেম তো জমে ক্ষির।😊😊
কই আমি তো কখনোই আপনাকে বলিনি আপনাদের মধ্যে সম্পর্ক টা কি😰
আমি কখনোই এতো নোংরা,জঘন্যতম ভাবনাকে আমার মনে ঠাই দেইনি কখনো।
যাকে ভালোবাসি নিজের থেকেও বেশি,তাকে সন্দেহ করি কি করে??তাকে সন্দেহ করা আর নিজের ভালোবাসাকে গলা টিপে হত্যা করা একই কথা।
আমার ভাবতেই অবাক লাগছে,যাকে আমি ভালোবাসি তার কাছে আমার সম্পর্কে এমন জঘন্য ভাবনা থাকতে পারে😭😭😭
মেঝেতে লুটিয়ে পড়ে কান্না করছে ঋতু😭😭😭😭😭
,
ঋতুর বলা কথা শুনে যেনো পায়ের তলার মাটি সরে গেলো
শুভ্রের।কি বললো মেয়েটা??
আমাদের নিয়ে সবাই এমন নেগেটিভ ভাবনা করে বেড়াচ্ছে ওর সামনে আর ও সব চুপচাপ সহ্য করে গেছে।না জানি বাচ্চা মেয়েটা কত্ত কষ্ট পেয়েছে।
আমার ভালোবাসার প্রতি এই বিশ্বাস??? কি করে পারলাম এমন নিচু মন মানসিকতার পরিচয় দিতে।
আমি সব সময় ওকে ভুল বুঝে অবহেলাই করে গেছি শুধু।কখনোই ভালোবেসে কাছে টেনে নেইনি।
বিয়ের পর থেকেই ওকে শুধু কষ্ট দিয়েই গেছি।কিন্তু কখনোই বুঝার চেষ্টা করিনি,অনুভব করিনি ওর কষ্টটাকে।
শুধু নিজের কষ্টের কথাই ভেবে গেছি স্বার্থপরের মতো।
অবহেলায় অবহেলায় সেই হাসি খুশি মেয়েটা কেমন হয়ে গেছে।চোখের নিচে একদম কালি পড়ে গেছে।একি ঘরে একই ছাদের নিচে থেকেও কখনো খেয়াল করার চেষ্টাও করিনি।
শুকিয়ে কাঠ হয়ে যাচ্ছে দিন দিন।আমি কত্তবড় অন্যায় করেছি ওর সাথে,কখনো টু শব্দ টাও করেনি।
আমি কি মানুষ😰😰মনে হয় না।
নাহহহ!!আর কষ্ট দিবো না আমার প্রেয়শী কে।আচ্ছা,ও কি আমায় ক্ষমা করে দিবে??নিশ্চয়ই দিবে।
,
ঋতুর সামনে হাটু গেরে বসে,,,,
আমি জানি অনেক বড় অন্যায় করেছি তোমার সাথে।
আমি অপরাধী।অনেক বড় অপরাধী।যার কোনো ক্ষমা নেই।
অনেক কষ্ট দিয়েছি তোমায়।ক্ষমা চাওয়ার মুখ নেই আমার তোমার কাছে।😭😭😭
আর একটা বার সুযোগ দেবে কি আমায়??(হাত দুটি ধরে)
কথা দিচ্ছি কখনো পানি আসতে দিবো চোখে।ভালোবাসায় পরম যত্নে আগলে রাখবো এই বুঁকে।ছায়া হয়ে থাকবো পাশে মরণের আগ পর্যন্ত।
বলবো না ভালোবাসা দাও,তবে কখনো ভালোবাসতে আমায় বাধা দিও না।😰😰
ঋতুহীনা শুভ্র যে অচল।শুভ্রের একমাত্র অক্সিজেন যে ঋতু।
প্লিজজজজ কখনো ছেড়ে যেওনা আমায়।আমি তোমায় ছাড়া বাচঁতে পারবো না😭😭(পাগলের মতো কান্না করছে শুভ্র)
,
আর পারলাম না নিজেকে ধরে রাখতে,,
শুভ্রকে জরিয়ে ধরে কান্না করছে ঋতু,,,,
এ কথা কখনোই মুখে আনবেন না প্লিজজজ😭😭😭আপনাকে ছাড়া আমি থাকতে পারবো না।
আপনি বুঝেন না কেনো আমি ভালোবাসি আপনাকে।
আপনার অবহেলা আর সহ্য করতে পারছি না আমি।খুব কষ্ট হয় যে😭😭বুঁকটা ফেটে যায়।
আপনাকে ছাড়া যেখানে আমি কল্পনাই করতে পারিনা কিছু,সেখানে ভাবলেন কি করে আমি অন্য কারোর সাথে……
,
–আমি ভুল করেছি,প্লিজজ ওসব মনে করিয়ে আর আমায় লজ্জা দিও না।
অতিত কে পেছনে ফেলে সামনে আগাতে চাই,,
মনে করো ঐটা আমাদের একটা স্বপ্ন ছিলো,ঘুম ভাঙ্গতেই স্বপ্ন টা ভেঙ্গে গেছে।
আমরা আবার সব কিছু নতুন করে শুরু করবো।(শুভ্র)
—😊😊(ঋতু)
—ঋতুর মাথায় নাক ডুবিয়ে,,ইয়াককক😷😷কতো দিন চুলে শ্যাম্পু দাও না বলো তোহহ!!
তোমার চুল দিয়ে কেমন দূর্গন্ধ বের হচ্ছে।
—-😱😱😱বলে কি এটা।
😒😒হতে পারে আসলে কয়েকদিন সব কিছুই অনিয়মিত করছি।বিয়ের পর থেকে যা ঝড় বইছে আমাদের জীবনে।
—কি ভাবছো???যাও তাড়াতাড়ি ভালো করে চুলে শ্যাম্পু দিয়ে গোসল করে আসো।
আমার খুব ক্ষিদে লাগছে তাড়াতাড়ি করো।
—যাচ্ছি যাচ্ছি আপনি ১০ মিনিট খাড়ান আমি ৫০ মিনিটে আসতেছি😜😜।বলেই দৌড় মেরে বাথরুমে চলে গেলো ঋতু।
—😂😂😂কি শয়তান মেয়ে,,১০ মিনিট খাড়ান ৫০ মিনিটে আসতেছি।
যাক অনেক দিন পরে আবার মুখে হাসি দেখলাম।
,
বাথরুমে,,
গোসল শেষে একিিিিি😱😱😱
আসার সময় তো কোনো জামা কাপড় আনিনি এখন কি হবে??😒
আস্তে করে বাইরে মাথা বের করে উকি দিলাম।
দেখলাম উনি ল্যাপটপ বের করে কি যেনো করছে।
—শুনছেন!!!!!!
—কিছু বলবে???
—ইয়ে না মানে হ্যাঁ,,,,
আমি আসার সময় বাথরুমে জানা কাপড় আনতে ভুলে গেছি।😒
—তো???
—ইয়ে মানে আমার লাগেজ এর ভেতর থেকে একটা শাড়ী বের করে দিবেন???
—শুভ্রের মুখে দুস্টুমির হাসি খেলা করছে।
দিতে পারি তবে ১শর্তে😊😊
—কিসের শর্ত😱😱
—আমাকে পাপ্পি দিতে হবে একটা।
—অসম্ভব!!আমি পারবো নাহহ
—অকে,,নো প্রবলেম।তাইলে আমিও দিতে পারবো না।
—দেখুন,,এটা কিন্তু ঠিক হচ্ছে না😞
—তাই নাকি??তা কি ঠিক শুনি???দেখলাম ওর চুল বেয়ে পানি গড়িয়ে পড়ছে সমস্ত শরীরে।
দেখতে এক অন্যরকম লাগছে।আমি ঘোরের মাঝে হারিয়ে যাচ্ছি হঠাৎ করে ঋতু খপ করে এসে আমার হাত থেকে শাড়ি নিয়ে বাথরুমে পালালো।
আর আমি হা করে তাকিয়ে আছি😱😱এটা কি হলো???
–যা হওয়ার তাই হলো।
—ওকে আমিও দেখে নিবো।রাত্রে কোথায় পালাও আমার থেকে😂😂
,
রাত্রে খাওয়াদাওয়ার পরে শোভার ঘরে বসে আছি।
শোভা আমায় সাজিয়ে দিচ্ছে, ঠিক যেমন টা আমায় বিয়ের দিনে সাজানো হয়েছিল ঠিক তেমনি।
উনার কড়া নির্দেশ উনি না ডাকা পর্যন্ত যেনো আমি রুম থেকে না বের হই।😒
কি করছে এতক্ষণ কে জানে😍আর এদিকে শোভা আমায় পচাচ্ছে। লজ্জায় মাটির সাথে মিশে যেতে ইচ্ছে করছে।😊😊
—ভাবী তুমি একটু অপেক্ষা করো তোমার বর এখনি এসে তোমায় পঙ্খিরাজে চড়ে নিয়ে যাবে😍
—খুব মজা নেয়া হচ্ছে তাই না??দাড়াও তোমার ভাইয়া কে বলে তোমার একটা ব্যবস্থা করছি।(কান ধরে)
–হুহহহহহহ
–শুভ্র এলো,,
সাদা পান্জাবী পড়েছে😲😲😲আমি তো আবার ক্রাশড
আমার খুব শখ ছিলো আমার বর সাদা পান্জাবী পড়ে আমায় নিতে আসবে।
,
ঋতুকে দেখে আমি আবার ও নতুন করে ওর প্রেমে পড়ে যাচ্ছি।
মেয়েটা এতো সুন্দর কেনো কে জানে।
আস্তে করে পাঁজাকোলা করে কোলে তুলে নিলাম,আর ঋতুকে চোখ বন্ধ করতে বললাম।
,
রুমে এনে নামিয়ে দিলাম।এবার চোখ খুলো।
–চোখ খুলে দেখলাম সমস্ত রুম জুড়ে মোমবাতি লাগানো।দেখতে অসাধারণ লাগছে😱😱😱
আবার গোলাপ ফুলের পাপড়ি দিয়ে বিছানাও সাজিয়ে রাখছে।
আল্লাহহ মাটি ফাঁক করো আমি ঢুকে যাই😍এতো লজ্জা কই রাখুম।
—দেখলাম ও লজ্জায় লাল হয়ে যাচ্ছে।ইশশশ!!
মেয়েটা এতো কথায় কথায় লজ্জা পায় কেনো বুঝিনা।
লজ্জাবতি আজ তোমার সব লজ্জা ভেঙ্গে দিবো।😆(ঋতুর কানে কানে বলছে)
এই লোকটা এমন কেনো!!খালি লজ্জা দেয়😊
—আসো আগে কেক কেটে নেই।
—কেক😱😱
কেক আবার কেনো???
–আজ থেকে আমরা আবার নতুন করে সব কিছু শুরু করছি,তাই দিনটাকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য সেলিব্রেট করতে চাই।
রুমের মাঝখানে টি টেবিলের মাঝে কেক রাখা হয়েছে।
কেক কেটে আমি উনাকে খাইয়ে দিলাম।আর উনি আমার গালে মুখে মেখে দিলো।😱😱
–আমি এভাবে খেতে চাই।
–কিভাবে??
—এই ভাবে,,,, ঋতুর গালে মুখে লাগানো কেক চেটে চুটে খাচ্ছে শুভ্র😲😲ইয়াম্মিিিহহহ
ঋতুকে কোলে তুলে বিছানার মাঝে শুয়ে দিলো শুভ্র।
আস্তে আস্তে গয়না খুলে দিচ্ছে এক হাত দিয়ে অন্যহাত দিয়ে শাড়ি খুলছে।
শুভ্র যেনো আজ নিজের মাঝে নেই,ঘোরের মাঝে আছে।ঋতুর নেশায় ডুবে।
আজ ঋতুকে নিজের করে পেতে চায়,আজ শুভ্রের অধিকার টা পেতে চায়।
ভালোবাসায় ভরিয়ে দিতে চায়।
চুল গুলো ছেড়ে দিয়ে গালে মুখে চুমুতে ভরিয়ে দিচ্ছে শুভ্র।
–ঋতুর সমস্ত শরীর জুড়ে শীতলতা বিরাজ করছে।
হাত পা জমে ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে।
আজ ঋতুও যেনো শুভ্রকে আপন করে পেতে চাইছে।শুভ্রের কাছে নিজেকে সম্পূর্ণ রুপে সপে দিতে চাইছে।
আজ নেই কোনো বাঁধা নেই কোনো পিছুটান😊😊
,
ঋতু শুভ্রকে খামচি দিয়ে ধরছে,,
ঋতুর প্রতিটা খামচি যেনো শুভ্রকে পাগল করে তুলছে।
ঋতু বিছানার চাঁদর আকড়ে ধরে আছে।চোখ বুজে শুভ্রের ভালোবাসার স্বাদ নিচ্ছে।
আস্তে আস্তে দুজন হারিয়ে যাচ্ছে ভালোবাসার অতল সাগরে।যে সাগরে ডুব দিলে আর কখনো উঠতে ইচ্ছে করবে না।
আজ পূর্নতা পেলো শুভ্র ঋতুর ভালোবাসা।
আজ ঋতু আপন করে পেলো তার Accounting_Teacher কে।😊
,
দোয়া করি সারাজীবন সুখে দুঃখে এক সঙ্গে যেনো থাকে দুজন।
ওদের ভালোবাসার বন্ধন অটুট থাকুক আজীবন।
.

সমাপ্ত

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here