#রোমান্টিক_বর,পর্বঃ২
(ডাইরিতে আরহা)
#আসিফ_আহমেদ
ওয়াশরুম থেকে বেরুয়ে দেখি মিঃআসিফ দোরজার সামনে দারিয়ে ডেবডেব করে চেয়ে আছে আমার দিকে।ইস!মনে হয় আমি ভিন্ন গ্রহের এলিয়েন।ভুল করে পৃথিবীতে এসে পরেছি।আর তিনি তা অবাক চোখে দেখছেন?এখন আমার জেনো কেমন বিরক্ত লাগছে।আর লাগারি কথা কাউকে কেউ একভাবে চেয়ে থাকলে বিরক্ত তো লাগবেই।নাহ!এখানে এভাবে দারিয়ে থাকলে চলবে না?প্রচুর খিদেও পেয়েছে।এখন যদি বলি খাওয়ার কথা তাহলে বলবে বউ আবার রাক্ষস নাকি?নাহ!থাক বলবো না।তবেঁ এখান থেকেও সরতে তো হবে।এভাবে দারিয়ে থাকলে চলবে?তাই একটু গলা ছেড়ে জরে কেশে উঠলাম।দেখি ওনার ধ্যান ভেঙ্গেছে।একটু সরে দারালো।আমিও বিছানায় গিয়ে বসলাম।এখনো দারিয়ে আছে কিছু বলছেনা।একভাবে চেয়ে আছে আমার দিকে।ওফ!এ কোন মছিবতে পড়লাম।
–ওহ হ্যা!আপনি ওযু করে এসেছেন?(আসিফ)
.
ওফ!এতো ক্ষনে বুঝি ওনার ভাবনার মগ্ন ভাঙ্গলো
–হমমম(আরহা)
.
–আচ্ছা চলুন তাহলে(আসিফ)
.
তারপর দুজনে নামাজে দারালাম।আজ আমাদের নতুন জিবনের প্রথম রাত।আল্লাহর কাছে নামাজ পরে দোয়া চেয়ে নেই।তারপর নামাজ পরলাম।আমি গিয়ে বিছানায় বসলাম।আর ওনি আমার বর মিঃআসিফ হাতে ফোন নিয়ে বেলকুনিতে গেলো।কিছুক্ষণ পর ফিরে এসে বিছানায় বসলো আমার পাশে একদম।খুব অস্থির লাগছে।নিশ্বাসটা ঘনঘন ছাড়ছে।খুব ভয়ও করছে।এখন কি তার পুরুষত্ব ফেলবে।নাহ!ভাবতে পারছি।মাথা ভনভন করছে।হঠাং ওনার ফোন বেজে উঠলো।
–হে ছানি বল।(আসিফ)
.
ওপ্রান্ত থেকে কি বললো শুনা গেলো না
–কি পাশনি।কেনো ডাক্তারের দোকান খোলা নেই।ওআল্লাহ তাহলে আজ রাত চালাবো কি করে(আসিফ)
.
~ওআল্লাহ কি বলে এসব ডাক্তারের দোকান তারপর রাত চালানো?তার মানে আমার ধারনাই ঠিক।তার পুরুষত্ব ফেলবে।নাহ!আমাকেউ প্রস্তুত থাকতে হবে যে।আমার উপর ওনার হক আছে।যদিও আমি মন থেকে মানিনি তবুও কিছু করার নাই এটা ওনার অধিকার।লাইসেন্স করা আছে এখন চাইলোও বাধা দিতে পাড়বো না।নিরবে সব সজ্জ করতে হবে।
–ও আচ্ছা শুনছো শুয়ে পর।আজ বোধহয় তুমি খুব ট্রায়োড।গাড়িতে তো দেখলাম একদম ঘুমে নুয়ে পড়ছিলে।তা এখন ঘুমিয়ে পর(আসিফ)
.
~~হমমম জানি জানি এখন ভালো রুপ দেখাবে।আর কিছুক্ষণ পর তার আসল রুপ দেখাবে।বেরিয়ে আসবে ভিতরে থাকা শয়তানটা।থাক!আমিও নাহয় অপেক্ষা করি।তাই শুয়ে পরলাম।ওনি মিঃআসিফ আমার পাশে শুয়ে পরলো।তবেঁ কিছুটা দূর্তো নিয়ে।ঘুম আসছেনা খুদার জালায়।পেটেতো ইঁদুর দৌড়াচ্ছে।বোধহয় প্রতিযোগিতা নিয়েছে পেটের ভিতর।ক্ষুধা থাকলে ঘুম কি আসে আর সহজে।তবুও তো ঘুমানোর চেষ্টা করছি।তবেঁ মিঃ বজ্জাতটা কি ঘুমিয়ে পরছে?হয়তো পরছে!তবেঁ শিয়র হওয়ার জন্য একটু দেখলাম।নাহ!সত্যি সত্যিই ঘুমিয়ে পরেছে।সারা শব্দ পাচ্ছিনা।বাহ!একটু সময়ের মধ্য ঘুমিয়ে পরলো।নাহ!আমাকেও ঘুমাতে হবে।চোখ দু’টো বুজে ফেললাম।আসতে আসতে ঘুমি তলিয়ে গেলাম।
.
ঘুম ভাঙ্গলো শরিলে কারো হাত পরায়।চেয়ে দেখি মিঃআসিফ।ধুরমুচিয়ে উঠলাম।কিন্ত অদুর্ত বিষয় হলো ওনার হাতে একটি প্যল্টে তাতে খাবার রাখা।
–কি ব্যাপার এতো ঘুম মহারানীর?একটু সময়ে মধ্য ঘুমিয়ে পরলে।সে কখন থেকে ডাকছি উঠার নামি নেই।নাও খেয়ে নাও?
.
~কি বলছে ছেলেটা?তাহলে আমার ধারনাটা ভূল?আবারো কি তাকে ভূল ভাবলাম।ইস!আবারো লজ্জা লাগছে।তবেঁ এবার মিঃআসিফ এক নাম্বারের বজ্জাতটা বুঝতে পারবেনা আমি যে লজ্জা পেয়েছি।
–মহারানী আমাকে আর গালি দিতে হবে না।খাবারটা খেয়ে আমাকে উদ্ধার করুন?(আসিফ)
.
-ইস রে!আবারো লজ্জা পেলাম।তবেঁ বজ্জাতটা কি মনের কথা জানতে পারে?আমি যে তাকে গালি দিলাম সেটা কিভাবে জানলো?
.
–এই যে ভাবনেওয়ালী আর ভাবতে হবেনা কিভাবে জানলাম তুমি গালি দিলে যে।এবার হা করো আমি খায়িয়ে দি(আসিফ)
.
~চেয়ে দেখি মুখের সামনে লক্মা ধরে আছে।হা করবো নাকি এটা নিয়ে দিদ্রান্তায় পরলাম।তবেঁ হা করলাম।খুব ক্ষুদা লেগেছে যে।এতো ভাবলে চলবেনা।খাওয়া দরকার?
!!
”
মিঃআসিফ আমাকে খায়িয়ে দিচ্ছে একমনে।কোনো সারা শব্দ করছেনা।ইস!ছেলেটাকে না আরো কত খারাপ ভাবলাম।এতোটাই খারাপ ভেবেছি যে কিসের সাথে তুলনা করে বসলাম।এখন নিজেকে কেমন জেনো অপরাধী মনে হচ্ছে।হঠাং চোখ থেকে টপ করে একফোটা নোনাজল পরে গেলো।ছেলেটা আমার দিকে মায়া নিয়ে তাকিয়ে আছে।আমি আর দেরি না করে ধুরমুচিয়ে জরিয়ে ধরলাম।চোখ থেকে অনবর পানি পরে যাচ্ছে।আজ যেনো নোনাজল গুলোও কেমন বাধা মানছেনা।আমি বুঝতে পারলাম না তাকে এভাবে হঠাং জরিয়ে ধরলাম কেনো?হয়তো একমুঠো স্থান পেয়েছি তাই।
–এই পাগলি কাদে কেনো?পাগলি একটা।(বুক থেকে উঠিয়ে)নাও এবার খাওয়াটা শেষ করে আমাকে উদ্ধার করো(আসিফ আদুরে গলায়।)
.
আমিও বজ্জাতটার ঘারে মাথা দিয়ে খেতে থাকলাম।সারা জিবন জেনো এভাবে মিঃ বজ্জাতটাকে জালাতে পারি হাহাহা?হঠাং আমার হাসি উধাও হয়ে গেলো।মুখে প্রচুর ঝাল লাগছে।চেয়ে দেখি মিঃ আসিফ একনাম্বারের বজ্জাত ৩২পাটি দাত বের করে হাসছে।আর এদিকে আমার ঝালে মরি মরি অবস্তা।চোখ দিয়ে টপটপ করে পানি পরছে।আর মিঃআসিফ হেসেই যাচ্ছে।হঠাং চোখের সামনে একজড়া গোলাপী আপেল নড়ছে।আর কিছু না ভেবে ঠোট ডুবিয়ে দিলাম।তারপর!তারপর আর কিছুর দিকে খেয়াল নেই।ঝাল আসতে আসতে কমতে থাকলো।ঠোট উঠিয়ে দেখি এতো আপেল নয় মিঃ এর ঠোট।হায় আল্লাহ একি করলাম।ঝালের জন্য আপেল ভেবে,,,,,,,,,(বুঝে নিন)।তখন তো ঝালে মরছিলাম এখনো লজ্জায় মরি মরি।এখন মুখ দেখাবো কি করে মিঃআসিফকে।
–এভাবে যদি মরিচ খাওয়ালে মিষ্ঠি পাওয়া যায় তাহলে তো আমি রোজ খাওয়াতে পারি,,,,,,
#চলবে,,,,,,,