রোমান্টিক_বর,পর্বঃ১

#রোমান্টিক_বর,পর্বঃ১
(ডাইরিতে আরহা)
#আসিফ_আহমেদ

**বাসর রাতে এতোটা লজ্জা বোধহয় কোনো মেয়ে পায়নি একমাত্র আমি ছাড়া।ইস! কি লজ্জা টাই না পেলাম? সব দোষ আমার বর মিঃআসিফের।এক নাম্বারের বর্জ্জাত।ইস!লজ্জায় আমার যায় যায় অবস্থা।এই তো অল্প কিছুক্ষণ আগে বসেছিলাম বাসর ঘড়ে বউ সেজে লম্বা ঘুমটা টেনে।বুকে হাজারো জল্পনাকল্পনা কেমন হবে আমার বর।এসেই কি তার পুরুষত্ব ফেলবে।যদি তাই হয় তাহলে আমি শেষ।না!তাহলে আমার ইচ্ছে গুলো নিমিশে কাচ ভাঙ্গা হয়ে যাবে।স্বপ্ন গুলো ঠিকানাহীন হয়ে যাবে।এতোদিনের চাওয়া গুলো নিমিশে হারিয়ে যাবে।এই রাতটা নিয়ে কত অগণিত স্বপ্ন আছে।এই রাতটার জন্য জিবনে প্রেম করিনি। তবে প্রপোজ পেয়েছি অনেক তবুও রাজি হইনি।তবে কাউকে ভালো লাগেনি এটা বলা ভুল হবে।জানিনা সেটা ভালোবাসা কিনা।তবে ভালো লাগা তো বটেই।
.
~~যখন আমি ইন্টার ২বর্ষে পড়ি রাজশাহীতে গিয়ে ছিলাম মামাতো কাজিনের বিয়েতে।বিয়ের আম্তে আনন্দে মাতোহারা হয়ে গিয়েছিলাম।তবে হঠাং কোথা থেকে একটা ছেলে এসে আমায় সকলের সামনে প্রপোজ করে বসে।ছেলেটা নিল রংএর পান্জাবী পড়া ছিল। মুখে রুমাল বাধা ছিল তাই মুখটা দেখতে পারিনি শুধু চোখ জোড়া বাধে।তবেঁ ওই চোখ জোড়ায় অনেক মায়া ছিল।সেই মায়ায় আমি আসক্ত হয়ে যাচ্ছিলাম।হঠাং ছেলেটা উধাও হয়ে গেলো চোখের আরালে।বুঝতে পারিনি কি থেকে কি হয়ে গেলো ক্ষনিক সময়ের মধ্যে।সেদিন ভিষন লজ্জা পেয়ে ছিলাম।তাই তো তাড়াহুড়ো করে রুমে চলে যায়।ইস!কি লজ্জাটাই না দিয়েছিল ছেলেটা।এভাবে কেউ এতো মানুষের সামনে প্রপোজ করে।তবেঁ অবাক করার বিষয় হলো হঠাং ছেলেটা কোথায় উধাও হয়ে গেলো।এক রঙ্গা ভালোবাসা মনের মাঝে ছেয়ে দিয়ে।বিয়ে বাড়ির আর কোথাও ছেলেটাকে খুঁজে পাইনি।যদিও প্রকাশে খুজিনি।চোখ জোড়া দিয়ে অঝড় ধারায় খুজি তাকে তবেঁ দেখা আর মেলেনি।মনে একরঙ্গা কল্পনা একেঁ দিয়ে হারিয়ে গেছে।আর কাউকে ভালোবাসা হয়ে উঠেনি।এরপর কেটে গেলো ঘোঁটা দু’টো বছর!
.
ভার্সিটি আর হোস্টেল এভাই দিব্যি চলছিল দিন গুলো।হঠাং কি এমন হলো জেনো বাবা-মার বোঝা হয়ে গেলাম।এইতো ক’দিন আগে কি জেনো জরুরি প্রোয়জনে বাসায় আসতে বললো।আমিও নিদৃদ্রায় চলে এলাম হোস্টেল থেকে।কিন্ত বাসায় এসে ঘটলো বিপত্তি।শুনলাম আমায় নাকি ছেলেপক্ষ দেখতে আসবে।ইচ্ছা করছিল এমনটা না হতে?বাবাকে চোখের ইশারাই বুঝিয়েছি আমি এসবের জন্য এখন প্রস্তুত না।কিন্ত লাভ হয়নি কারন বাবাও যে মাকে ভয় পায়।মার উপরে একটা কথাও বলে না।আর আমিও মার সামনে মুখ খুলে বলতে পারিনি।কারন মাকে আমি ভিষন ভয় পাই।আর এই ভয় পাওয়াটা আজ আমার কাল হয়ে দারালো।ছেলেপক্ষ দেখতে এলো।আর বিয়েও পাকা করে ফেললো।তবেঁ অবাক করার বিষয় হলো ছেলে আমি দেখিনি আর ওনিও দেখতে আসেনি আমায়?বা কোথাও দেখা করার সুযোগও আমায় দেয়নি মা আমায়।যদি কোনো গোন্ডগোল(ঝামেলা) লাগায় তাই।তবেঁ হাহাহা ভাবতেই হাসি পায় এরকম বোকা বর হয় যেকিনা না বউ না দেখে সজা বিয়ের পিরিতে বসতে এলো।আমি নাহয় মার ভয়ে কিছুই করতে পারিনি।আর ওনি?বউ যদি কালো হতো।ইস!বেচারা কি ছ্যাঁকাটাই না খেতো।তবেঁ আমি কিন্ত মোটেও কালো না?একটা মেয়েকে পারফেক্ট হওয়ার মত যা লাগে তার কোনো কমতি আমার নেই।যথেষ্ট সুন্দরি রয়েছি।আগেই বলেছি অনেক ছেলের ক্রাশ ছিলাম হাহাহা।
..
এরকম আরো হাজারো কল্পনায় মগ্ন ছিলাম।হঠাং দোরজা ঠেলে কেউ ধুরমুচিয়ে রুমে প্রবেশ করলো।হালকা চমৎকে উঠলাম। ঘুমটার আবচ্ছার মাধ্যমে হালকা দেখা গেলো সারোয়ারি পরা কেউ একজন।কেউ একজন বলতে?আমার বর মিঃআসিফ হবে হয়তো!তবেঁ এরকম ধুরমুচিয়ে ঢুকার কি হলো।হঠাং একটা কথা শুনে বেশ চম্কে উঠলাম
–কি ব্যাপার তুমি এখনো খুলোনি?তুমি রেডিতো?(আসিফ)
.
~কি বলে এই ছেলে?ও আল্লাহ তাহলে কি আমার ভাবনাই সত্য।এসেই কি তার পুরুষত্ব ফেলতে চাচ্ছে।তাহলে তো আমি শেষ।এরকম মনবিরধী ভাবনা ভাবছে আরহা।ওহ হে!আপনাদের তো বলাই হয়নি গল্পের নায়কার নাম কি?তার নাম তানিমা জান্নাত আরহা!)
.
–কি হলো খুলছো নাযে?রেডি আছো তুমি?(আসিফ)
.
~~ও আল্লাহ গো বাবা-মা শেষে কিনা একটা এরকম ছেলের কাছে বিয়ে দিলো।এরকম ভাবছে মনে মনে কাঁদছে আরহা!
.
–কি ব্যাপার কথা শুনতে পাওনা তুমি।নাকি আমি খুলে দিবো(আসিফ)
.
~ও খুলে দিবে মানে আরহা একটু ভয় পেল কথাটা শুনে।হঠাং আসিফ আরহার দিকে এগিয়ে আসতে লাগলো।আরহা ভয়ে আসতে করে পিছুতে লাগলো।হঠাং আসিফ আরহার কানের কাছে গিয়ে,,
–মনমান্সিকতা এতোটা ছোট রাখলে কি হয়?আমি কিন্ত ঘুমটা খুলার কথা বলছি?এরকম লম্বা ঘুমটা দিয়ে বসে রইলে কি চলে?আমি আমার বউকে দেখবো কিকরে?আর রেডি আছো মানে?আজ আমাদের নতুন জিবনের প্রথম রাত।দু’রাকাত নফল নামাজ দিয়ে শুরু করার কথা বলেছি।(এই বলে আসিফ আসতে করে সরে আসলো)
.
~হায় হায় কি বলে এই ছেলে?ইস!কি লজ্জাটাই না দিলো।আর আমি কিনা অন্য কিছু ভেবে বসে আছি।ও আল্লাহ আমারে উঠাইয়া নাও। (আরহা মনে মনে)
!!

–কি ব্যাপার হলো?নাকি ওয়াশরুমে ঘুমিয়ে পরেছো(আসিফ বিরক্ত কন্ঠে)
.
~আরহা ওয়াশরুমে গেছে ফ্রেস হতে।আসিফ মনে মনে অনেক খুশি।তার অনেক ইচ্ছা ছিলো বাশর রাতে বউকে এরকম দৃদ্রান্তায় ফেলবে?যাক ইচ্ছাটা পূর্ণ হয়েছে।ইস!কি লজ্জাটাই না দিলাম মেয়েটাকে।খুব লজ্জা বোধহয় পেয়েছে মেয়েটা?ভাবছে আর মুচ্কি মুচ্কি হাসছে আসিফ!
.
হঠাং আরহা ওয়াশরুম থেকে বেরুলো আসিফ আরহার দিকে ডেবডেব করে চেয়ে আছে,,,,,,,

#চলবে,,,,,,,,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here