রোমান্টিক_বর,পর্বঃ৩

#রোমান্টিক_বর,পর্বঃ৩
(ডাইরিতে আরহা)
#আসিফ_আহমেদ

–এভাবে মরিচ খাওয়ানোর বদলে যদি মিষ্ঠি পাওয়া যায় তো আমি রোজ মরিচ খাওয়াতে রাজি?(আসিফ)
.
ইস কি লজ্জা? কি লজ্জা? আবারও যে লজ্জা পেলাম?এতোটা ঝাল যে লেগেছিলো বুঝতেই পারিনি আপেল ভেবে অন্য কিছু খেয়ে ফেলেছি।ইস!বজ্জাতটার দিকে তাকাতেই পারছিনা।সব দোষ তো মিঃ টারের।ওনি যদি মরিচ না খাওয়াতো তো এমন হতো।
.
–এই যে ভাবনেওলালী আর ভাবতে হবে না এবার খাওয়া শেষ করেন?(আসিফ)
.
মিঃ বলে কি আমি নাকি ভাবনেওলালী?হে!ভাবিতো? তবেঁ সব ভাবনা তো তার জন্যই।
যাক আর ভাববো না এবার খাওয়া শেষ করতে হবে?তারপর খাওয়া শেষ করলাম।তবেঁ নিজের হাতে খাইনি।আমার #রোমান্টিক_বর নিজ হাতে খায়িয়ে দিয়েছে।তারপর ওনি থালা-বাসন সব রাখতে গেলো আর আমি বসে রইলাম তার ফেরার অপেক্ষায়?কিছুক্ষণ পর ফিরে এলো
.
–শুনছো শুয়ে পড় আজ?জানি সারাদিন খুব ধক্কল গেছে।তবেঁ হে!কাল কিন্ত একদম ছাড় পাবেনা?কাল বিড়াল খুব ভালো করে মাড়বো?
এই বলে শুয়ে পরলো মিঃ।কি বলে মিঃ?বিড়াল মারবে হাহাহা।আমিও শুয়ে পড়লাম তার পাশে।তবেঁ মাঝ খানে অনেকটা ডিফারেন্স।আজ তুলাই ভরপুর বালিশটা কেমন জেনো শক্ত শক্ত লাগছে।মাথা রেখে কিছুতেই শান্তি পাচ্ছিনা?কোথায় মাথা রাখলে আজ পৃথিবীর সবচেয়ে সুখি মানবী হবো?ঘুম আসছেনা।খুব ছটফট করছি।আজ এই রাতে একটা স্বপ্ন ছিলো?মিঃ কি ঘুমিয়ে পরেছে?হয়তো পরেছে তবুও দেখার জন্য পিছু গুড়ে তাকাতেই আমি অবাক মিঃআসিফ বসে আমার দিকে এক ধ্যানে তাকিয়ে আছে।
–এভাবে বিছানায় এপাশ-ওপাশ ছটফট করলে কি কারো ঘুম হবে?(আসিফ)
.
আমি মাথা নিচু করে আছি।কিছুই বলছিনা।হঠাং আমাকে অবাক করে দিয়ে আমাকে কলে নিয়ে বের হচ্ছে রুম থেকে।তারপর আসতে আসতে বাসার মেন দোরজা খুলে বাসার বাইরে এসে নামিয়ে দিলো।আমি অবাক হয়ে চেয়ে আছি তার দিকে?একি করলো?বাসার বাইরে নিয়ে এলো কেনো?
–এই যে মিস এভাবে দারিয়ে থাকবে নাকি এই কালো পিছঢালা পথচারে হাটবে(আসিফ)
.
~কি বলে হাটবো মানে?আরে আমারো তো স্বপ্ন ছিলো।বাশর রাতে আমার ওনির সাথে পথচারে হাটবো অজানা গন্তব্যে।তবেঁ ভেবেছিলাম ওনি কি রাজি হবে আমার সাথে হাটতে নাকি তার পুরুষত্বের প্রমাণ দিবে?তবেঁ ভাবনাটা পুরো ভুল ছিলো?আল্লাহ আমার ইচ্ছা পূরন করেছে।
!!

~এই কালো পিছঢালা পথ ধরে হেটে যাচ্ছি দুজনে হাতে হাত ধরে ।মাথার উপরে রয়েছে হলুদ সোডিয়াম তার উপরে রয়েছে বিশাল আকাশ,আর আকাশে রয়েছে অগণিত তাঁরা,আর সেই তাঁরারা ঘিরে রয়েছে একটি মাত্র চাঁদকে।যে চাঁদের আলোই রাতটা পুরো হলুদে মাখামাখি।চারপাশটা হালকা কূয়াশা মাখা।দুর অস্থ ঠিক দেখা যাচ্ছেনা?তাতে কি হয়েছে এক মানবী অচেনা কারো কাধে মাথা রেখে এক মূল্যবান রাতে অজানা গন্তব্য হেটে যাচ্ছে।মানুষটা কালও অচেনা-অজানা ছিলো।তবে এখন নেই আর অচেনা?আর থাকলেও পরিচয় চায়না সে।শুধু চায় এই মানবটার কাধে এভাবে হঠাং হঠাং মাথা রেখে হাটতে।আর সাক্ষী থাকবে চারপাশে প্রকৃতিরা।আর থাকবে ওই বিশাল আকাশটা।


এখন রাত প্রায় ২টা মিঃ সাথে এখনো হেটেই চলেছি।আজ আর থামতে ইচ্ছা করছেনা।অনেকটা ভরসা নিয়ে তার কাধে মাথা রেখেছি।এভাবে জেনো প্রতি সময় কাধটা আমার অনুকুলে থাকে।চারপাশে প্রকৃতিরা একেবারে নিস্তব্ধ হয়ে নেই।চারপাশে ঝিঝি পোকার ডাক কানে ভেশে আসছে।তবেঁ এশহরে জোনাকির আলো নেই?রয়েছে সোডিয়ামের আলো।আজ পথটা জেনো পুরো ফাকা।আবারও ইচ্ছা করছে মিঃ এর কাধে মাথা রেখে রাস্তার পাশে খানিকটা সময় বসে থাকতে।তবেঁ কি অদুর্ত বিষয় ওনার দিকে তাকাতেই ওনি বুঝে গেলো আমার ইচ্ছাটা।কি ব্যাপার ওনার কি যাদু আছে।চোখের ভাষায় বললেই বুঝে ফেলে?হয়তো আছে যাদু তবেঁ সেটা ভালোবাসা।কতটা ভালোবাসলে এযাদু পাওয়া যায়।হে!তাই তো।তবেঁ সেটা মিঃআসিফ জানে।
.
এখন রাত প্রায় শেষের দিকে।আধার কেটে আলো চলে আসবে কিছুক্ষণ পর।তাই চললাম দুজনে বাসার দিকে।নতুন বউ! লোকে কি বলবে এভাবে বাইরে থাকলে।দূরূত্ব চললাম বাসায়।চলেও এলাম
তারপর শুয়ে পরলাম।সাথে মিঃ রোমান্টিকের ডিব্বাটাও।চোখ দুটো ঘুমে লেগে আসছে।ঘুমিয়ে পড়লাম।তবেঁ বালিশে মাথা রেখে না।মিঃএর বুকে।এখন জেনো পৃথিবীর সবচেয়ে সুখি মনে হচ্ছে।
মিঃ ঘুমিয়ে পরেছে তাই আমিও ঘুমিয়ে পরার চেষ্টা করলাম।এবং ঘুমিয়ে পরলাম খুব সিগ্রয়।
.
.
ঘুম ভাঙ্গলো দোরজা টোকেয়।কে জেনো দোরজা টোকা দিচ্ছে।কে বলতে শাশুড়ি হবে।কারণ বিয়েটা পারিবারিক ভাবে হলেও আত্তিয়সজন বেশি দাওয়াত দেয়নি।আশেপাশের কয়েকজন মিলা।আর তারা রাতে বাসায় চলে গেছে।ফোনের স্কিনের চেয়ে দেখি সকাল ৮টা বাজে।ওআল্লাহ নতুন বউ সকাল ৮টা বাজে উঠলে তো লোকে কি বলবে?তাড়া হুরো করে দোরজা খুলে দেখি শাশুড়ি দারিয়ে আছে
–আসছাল্লামু ওয়ালাইকুম মা(আরহা)
.
–ওয়ালাইকুম আসছালাম।তা এতো বেলা পর্যন্ত ঘুমালে চলবে(শাশুড়ি মা)
.
–আসলে মা(কথাটা বলতে যাবো তার আগে মা থামিয়ে দিয়ে)
.
–সারা রাত আমার ছেলেকে নিয়ে বাইরে ঘুরলে তো এমন হবেই।(মা)
.
আমি মাথা নিচু করে আছি।ইস!কি লজ্জা পেলাম।তবেঁ মা কি করে জানলো আমরা বাইরে গিয়ে ছিলাম
–ইস!আর লজ্জা পেতে হবে না তাড়াতাড়ি ফ্রেস হয়ে গাধাটাকে নিয়ে খেতে আয়।আমি নাস্তা তৈরি করেছি। তাড়াতাড়ি আয়?এই বলে মা চলে গেলো।আমিও ওনাকে তুলে ফ্রেস হয়ে দুজনে নাস্তা খেতে গেলাম।তারপর নাস্তা করলাম ৫জন মিলে।৫জন বলতে মা-বাবা,আর সুমাইয়া(মিঃএর বোন)সহ আমি আর মিঃআসিফ।মিঃআসিফ চলে গেলো রুমে আর আমি চললাম কিচেনে।কারন মা আমাকে রান্না শেখাবেন।
.
মা আমাকে দেখিয়ে দিচ্ছেন এটা ওটা আর আমি রাঁধছি।তারপর মা দেখিয়ে দিয়ে চলে গেলো।আমি একা একা রাঁধছি।খুব ইচ্ছা করছে একমুহুর্তে ওনি এসে পিছ থেকে জরিয়ে ধরে থাক?তবেঁ সে ইচ্ছাটা জলদি পূরন হয়ে গেলো।ওনি আমার বর মিঃআসিফ এসে আমায় পিছ থেকে জরিয়ে ধরলো।হয়তো এখন ভালোবাসাটা পূরন্তা পেলো।আমার ইচ্ছা গুলো জেনো খুব জলধি পুরন হয়ে যায়।মিঃ আমায় জরিয়ে ধরে আছে আর আমি রাঁধছি।আর ওনি দেখছে।হঠাং পিছু থেকে কারো আওয়াজ
–বাড়িতে আর কাজের লোক রাখার কি দরকার।রান্না করার জন্য তো দুজন আছেই।
কথাটা শুনে পিছনে তাকিয়ে দেখি মা।আমি লজ্জায় মাথা নিচু করে আছি আর ওনি মিঃ মাথা চুলকাতে চুলকাতে কিচেন থেকে চলে গেলো।
!!
!!
#চলবে,,,,,,,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here