EX গার্লফ্রেন্ড যখন ইংলিশ ম্যাম 💖,পর্বঃ ২২

# EX গার্লফ্রেন্ড যখন ইংলিশ ম্যাম 💖,পর্বঃ ২২
# লেখকঃ Sahid Hasan Sahi

৩৬ নাম্বার সিটে যায়ে তো আমি অবাক। কারণ আমার পাশের সিটেই বসে আছে মিমি। যার কথা আমি গতকালকে শপিং মলে বলেছিলাম। আমার পাশের সারির দুই সিট পিছনে সামিয়া এবং আইসিটি বিভাগের ম্যাম বসে ছিলেন। তবে আমাদের কথা ওরা ওদের সিট থেকে শুনতে পাবে। মিম সামিয়ার কোলে বসে ছিলো। আর নেহা অন্য বাসে ছিলো।

আমি সিটে বসতেই মিম আমাকে দেখতে পেলো।আমাকে দেখেই বললোঃ বাবাই আমি তোমাল কাতে দাবো।

আমিঃ ঠিক আছে আম্মু এসো।

মিমকে আমি আমার কাছে নিয়ে এসে সিটে বসে পড়লাম। জানালার পাশে আমি বসেছি আর আমার পাশে মিমি বসেছে।

মিমি মিমকে কোলে নিয়ে আদর করতেছে। আগে ক্লাসে নিয়ে যাওয়ার কারণে সকলেই মিমকে চিনে কিন্তু মিম সবাইকে চিনে না। তেমনি মিমির ক্ষেত্রেও হয়েছে। মিমি মিমকে চিনে কিন্তু মিম মিমিকে চিনে না মানে তেমন পরিচিত নয়।

মিম মিমির কাছ থেকে আমার কাছে এসে বললোঃ বাবাই এতা ( মিমিকে উদ্দেশ্য করে) তে ?

আমিঃ এটা তোমার মামনি হয় আম্মু। আজ থেকে মামনি বলে ডাকবে আচ্ছা?

মিমঃ থিক আতে বাবাই। মামনি আমাল দন্য তকলেত এনেতো?(ছোট বাচ্চা তো তাই চকলেটের প্রতি আকর্ষণ বেশি)

মিমিঃ এই নাও আম্মু।(মিমি ওর ব্যাগ থেকে চকলেট বের করে দিল।মনে হয় চকলেট নিয়েই এসেছিলো)

সামিয়ার দিকে তাকিয়ে দেখি সামিয়া আমাদের দিকে চেয়ে আছে।আমি ওকে রাগানোর জন্য মিমির সাথে কথা বলতে লাগলাম।

আমিঃ আচ্ছা মিমি তুমি এতো সুন্দর কেন? তোমার সেই কাজল কালো চোখ। সেই আপেলের মতো গাল। সেই পাগল করা হাসি সব মিলিয়ে মনে হয় যেন স্বর্গের কোনো রমনি নেমে এসেছে।

মিমি মাথা নিচু করে লজ্জা মাখা হাসি দিয়ে বললোঃ ধ্যাত কী যে বলো না।(🙊🙊🙊)

আমি আরেকটু পাম দিয়ে বললামঃ সত্যি মিমি তোমার রুপের কোনো তুলনা হয়না। তবে যাই বলো না কেন তোমার মতো সুন্দরী আমাদের কলেজে নেই।

মিমি খুশিতে গদগদ হয়ে বললোঃ সত্যি,,(🙊🙊🙊)

আমিঃ হ্যাঁ সত্যি। মন তো চাচ্ছে তোমাকে আমার মেয়ের আম্মু বানিয়ে ফেলি।

সামিয়ার দিকে তাকিয়ে দেখি রাগে ফুঁসতেছে। যাক তাহলে ঔষধ কাজে লেগেছে। রাগে ওর নাক কান লাল হয়ে গেছে। এটা সামিয়ার একটা অভ্যাস

মিমি মুচকি হেসে বললঃ না করেছে কে, বানিয়ে ফেলো।

ওমা এই মেয়ে বলে কী? আমি ওর দ্বারা আমার EX কে রাগাতে চাচ্ছি আর সে বলতেছে তাকে আমার মেয়ের আম্মু বানাতে।
আমি মিমিকে শান্তনা দিয়ে বললামঃ আমি আমার পরিবারের সাথে কথা বলে দেখি জানু কেমন ।

মিমিঃ ঠিক আছে জানু বলেই আমার গালে কিস করে বসলো।

হায় আল্লাহ,, এ আমি কার পাল্লায় পড়লাম।

সামিয়া আর এসব সহ্য করতে না পেরে তার সিটে থেকে ওঠে আমাদের কাছে এসে মিমিকে বললোঃ এই মেয়ে এখানে কি চুমাচুমি করতে এসেছো? 😡😡😡😡( রেগে লাল হয়ে)

মিমি ভয়ে ঢোক গিলতে গিলতে বললঃ না মানে ম্যাম।

সামিয়াঃ কি মানে মানে করতেছো? আমার সিটে যায়ে বসো যাও?

মিমিঃ কেন ম্যাম?

সামিয়াঃ আবার কথা বলো। আমি যা বলতেছি তাই হবে। যাও বলতেছি?😡😡😡 আর যেন কখনো তোমাকে সাহিদের সাথে না দেখি।

কী আর করার মিমি মন খারাপ করে সামিয়ার সিটে যায়ে বসলো।

সামিয়া আমার পাশে বসলো। আর আমি মনের আনন্দে কানে হেডফোন লাগিয়ে গান শুনতে লাগলাম। মনে হচ্ছে আমি কিছুই জানিনা,,😎😎😎।

সামিয়া বিরবির করে বলতেছে, শয়তান ছেলে বলে কি ওই মিমি পেত্নি ছাড়া নাকি কলেজের অন্য কেউ সুন্দর নয়‌ । তাহলে এতো দিন আমার সাথে ছিলি কেন? এতো দিন যখন আমার সঙ্গে রিলেশন করেছিলি তখন তো এতো সুন্দর করে আমাকে বলিস নি যে তোমার গাল গুলো আপেলের মত সুন্দর, কাজল কালো চোখ গুলো বেশি সুন্দর? আর আজকে একটা পেত্নিকে পেয়ে আমাকে ভুলে গেছিস। বলে কি তাকে ন আবার প্রোপোজ করবে। দাঁড়া তোর প্রোপোজ আমি করাচ্ছি।

সামিয়া যা যা বলতেছে সব কিছু আমি শুনতে পাচ্ছি। কারণ গান টা তখন আমি বন্ধ করে দিয়েছি।
সামিয়া কে বললামঃ ম্যাম কিছু বলতেছেন?

সামিয়া আমার দিকে করুন চোখে তাকিয়ে থেকে বললোঃ আচ্ছা সাহিদ সত্যিই কি আমি তোমার অযোগ্য হয়ে গেছি।

আমিঃ এসব বলতেছেন কেন? আর মিমিকে ওঠে দিয়ে আপনি এখানে বসলেন কেন?

সামিয়া রেগে গিয়ে আমার কলার ধরে বললোঃ আর কোনো দিন যদি আমার নাম ছাড়া অন্য কোনো মেয়ের নাম মুখে নিয়েছিস তাহলে তোকে শেষ করে দিয়ে আমিও শেষ হয়ে যাবো।

আমি শান্তশিষ্ট ভাবে সামিয়ার হাতটা আমার কলার থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে বললামঃ হা হা হা,,,, আমাকে তো সেদিনই মেরে ফেলেছেন, যেদিন মিথ্যা দোষের জন্য মিথ্যা ষড়যন্ত্রের জন্য আমাকে চরিত্রহীন নামক উপাধি টা দিয়েছেন। এখন আবার নতুন করে মেরে ফেলার কি আছে। অযথা, আমার মতো চরিত্রহীন ছেলের লাইফে নিজেকে জড়িয়ে নিজের লাইফটা শেষ করে দিয়েন না।

আমার কথা শুনে সামিয়ার চোখ দিয়ে পানি পড়তে লাগলো।
আমার হাত দুটো ধরে বললোঃ আমাকে কী ক্ষমা করা যায় না।
এখনো রেগে আছো আমার উপর।

আমি হাত দুটি ছাড়িয়ে নিয়ে আমার বুকের উপর হাত দুটি বেঁধে একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললামঃ কারো প্রতি আমার কোনো রাগ নেই। আর ক্ষমা, সেতো অনেক আগেই করেছি। নতুন করে আবার করার কি আছে।

সামিয়াঃ তাহলে আমার সাথে এমন করতেছো কেন?

আমিঃ দেখুন এখন এসব বলতে চাচ্ছি না।

সামিয়া আর কিছু না বলে। গালে হাত দিয়ে নিচের দিকে তাকিয়ে নিরবে চোখ দিয়ে পানি ফেলতেছে। মিম ঘুমিয়ে গেছে। আমি মিমের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছি। আমার মেয়েটা একেবারে আমার মতোই ঘুম পাগলি।

আমিও সিটে মাথা লাগিয়ে দিলাম। হঠাৎ মনে পড়লো আজকে তো মাহফুজ ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলা হয়নি।আর আপনাদের বলা হয়নি গত কাল দুপুরের পর থেকেই কড়া মেডিসিনের জন্য আম্মু বেশ সুস্থ হয়ে উঠছে। তবে আমার কথা ভাবলেই কান্না করে দেয়।

মাহফুজ ভাইয়াকে ফোন দিলাম। প্রথম বার রিসিভ করলো না। আবার দিলাম। এবার রিসিভ করলো,,,

আমিঃ আসসালামুয়ালাইকুম। ভাইয়া কেমন আছেন?

মাহফুজ ভাইঃ ওয়ালাইকুমুস সালাম। আলহামদুলিল্লাহ। তুমি কেমন আছো?

আমিঃ আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। এখন রুডি কেমন আছে?( আম্মুর কথা উচ্চারণ করলাম না। কারণ সামিয়া পাশে বসে আছে। আম্মুর কথা বললে হয়তো বুঝতে পারবে)

মাহফুজ ভাইঃ আলহামদুলিল্লাহ। মোটামুটি সুস্থ। এখন ঘুমের মেডিসিন দিয়ে ঘুমিয়ে রাখা হয়েছে।আর জেগে থাকলেই তোমার কথা। আর শোন এইবার যদি এই রকম সমস্যা হয় তাহলে কিন্তু বড় রকমের সমস্যা হতে পারে। আর পারলে তুমি চলে এসো।

আমিঃ দেখি ভাইয়া যাওয়ার চেষ্টা করবো। আচ্ছা ভাইয়া ভালো থাকবেন।

মাহফুজ ভাইঃ আচ্ছা ভালো থেকো।

ফোন রেখে দিয়ে সিটে হেলান দিয়ে ঘুমিয়ে গেলাম। বেশ ভালোই ঘুম হলো। ঘুম থেকে উঠে দেখি আমি সামিয়ার কাঁধে মাথা রেখে ঘুমিয়ে আছি আর মিম আমার কোলে পা সামিয়ার কোলে মাথা রেখে ঘুমিয়ে আছে। সামিয়া একহাত দিয়ে আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে আর অন্য হাত দিয়ে মিমের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে।

আমি সামিয়ার কাঁধ থেকে মাথা তুলে ঠিক ঠাকই হয়ে বসে বললামঃ সরি,, আসলে ঘুমের মধ্যে বুঝতে পারিনি।

সামিয়া মুচকি হেসে বললঃ সমস্যা নেই। ঘুম কেমন হলো ?

আমিঃ হুমম ভালোই হয়েছে।

দুজনেই আর কোনো কথা বললাম না। বাস তার আপন গতিতে চলতেছে। আর আমি বাহিরের দৃশ্য দেখতেছি। বাসের। হেলাপারের কাছ থেকে শুনলাম আর এক ঘন্টার পথ অতিক্রম করলে আমরা আমাদের গন্তব্যে পৌঁছে যাবো।

একটু পরে আমির মেয়ে ঘুম থেকে উঠলো। ঘুম থেকে উঠেই ওর মামনি কে বললোঃ মামনি আমার তকলেত তই?

সামিয়া মিমকে চকলেট বের করে দিয়ে বললোঃ এই নাও আম্মু।

এর পরে আমার মেয়ে তার মামনির কোলে আধোশোয়া হয়ে মনের আনন্দে চকলেট খাচ্ছে। আমি আমার মেয়েকে বললামঃ আম্মু তোমার ঘুম কেমন হলো?

মিমঃ দালো হয়েতে বাবাই। তোমার ধুম তেমন হলো?

সামিয়াঃ তোমার বাবাইয়ের ঘুমও খুব ভালো হয়েছে মামনি।

মিম আর সামিয়া দুজনে গল্প করতে লাগলো। দীর্ঘ পথ অতিক্রম করার পরে আমরা পৌঁছে গেলাম আমরা আমাদের গন্তব্যে। বাস একটা হোস্টেলের সামনে থামলো। তবে এটা কক্সবাজার শহর থেকে একটু বাহিরে।

এই হোস্টেলটা আমাদের কলেজের টিচাররা অনলাইনে বুক করেছে। আর এটাই কক্সবাজারের সবচেয়ে বড় হোস্টেল।

বাস থেকে নামতেই ইকবাল এসে সামিয়া কে বললোঃ ভাবি ভাইয়ের সাথে জার্নি করতে কেমন লাগলো,,?😜😜😜

সামিয়া লজ্জা মাখা মুখে বললোঃ খুব ভালো হয়েছে দেবরজি।

আমি সিফাতের দিকে রক্তিম চোখে তাকিয়ে বললামঃ এই তোদের কোন কালের ভাবি হয়? আর তোদের না বলেছি ভাবি বলে ডাকি না 😡😡😡😡।

সামিয়াঃ সমস্যা নেই তোমরা আমাকে ভাবি বলে ডাকতে পারো।

আমি সামিয়া কে বললামঃ দেখুন ম্যাম এই বার কিন্তু বেশি হয়ে যাচ্ছে।
বলেই আমি রাগ করে সেখান থেকে চলে আসলাম।

এরপরে স্যার আমাদের প্রত্যেক দুইজনে একটা রুমের চাবি দিলেন। আমি আর ইকবাল এক রুমে। শাকিব আর রিয়াদ এক রুমে।

অপরদিকে সামিয়া আর নেহা এক রুমে। ফ্রেশ হয়ে বাহিরে বের হলাম। একটু ঘুরাঘুরি করতেই সন্ধ্যা লেগে গেলো। আজকে আকাশ কালো বেশ ঘোলাটে। বাহিরে এসে দাঁড়িয়ে আছি , বাইরের দৃশ্য দেখতেছি। হঠাৎ পিছন থেকে কে যেন বললোঃ একাই কি করতেছো?

পিছনে ফিরে দেখি মিমি দাঁড়িয়ে আছে।
আমিঃ ওহহহ তেমন কিছু না। তোমার সাথে একটা কথা আছে, তোমার সময় যদি হয় তাহলে একটু সাইটে গেলে ভালো হতো।

মিমি খুশি মনে বললোঃ হুমম আমারো তোমাকে কিছু বলার আছে। আচ্ছা চলো কোথায় যাবে?

আমিঃ হুমম এসো।

এরপরে মিমকে নিয়ে একটা ফাঁকা জায়গায় গেলাম। সেখানে যায়ে মিমিকে বললামঃ মিমি তোমাকে যে কথা টা বলবো তারপরে যেন কোনো উল্টা পাল্টা কিছু করো না। আর আমাকে ভুল বুঝো না।

মিমিঃ কী এমন কথা বলবে তার জন্য এমন বলতেছো।

আমিঃ তুমি আগে আমাকে কি বলতে চেয়েছিলে তাই বলো। আমি পরে বলতেছি।

মিমিঃ আসলে সাহিদ আমি ভনিতা পছন্দ করি না। সোজা সুজি বলে দেয়। আমি তোমাকে ভালোবেসে ফেলেছি সাহিদ। আমাকে ফিরিয়ে দিও না।

আমি কী বলবো সব কিছু যেন মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছে। করতে চাইলাম কি আর হলো কি?

আমিঃ এটা সম্ভব নয়।

মিমিঃ কেন? ( কান্না কান্না কন্ঠে)

আমিঃ দেখ মিমি তোমার প্রতি আমার সেই রকম কোনো ফিলিংস হয়নি। তোমাকে আমি বন্ধু ভেবে এসেছি। আর বাসে কথা গুলো বলার কারণ গুলো হলো, তোমাদের সামিয়া ম্যাম হলো আমার গার্লফ্রেন্ড। আমরা একে অপরকে ভালোবাসি।একটা ভুল বুঝাবুঝির জন্য আমরা একজন অন্য জনের কাছে থেকেও দূরে আছি। তবে ভালোবাসাটা একই আছে। তাকে রাগানোর জন্য তোমার সাথে ৎএমন করেছি। সত্যি বলতে জানো কি, তুমি যথেষ্ট সুন্দর। তুমি আমার থেকেও ভালো ছেলে পাবে। আমার না আছে কোনো পরিবার না আছে কোনো থাকার যায়গা। সব অন্যজনের। আর পারলে,,,,,

আমার কথা শেষ হতে না হতেই কোথা থেকে সামিয়া এসে
সজোরে মিমির গালে দুইটা থাপ্পড় মারলো। মিমি তাল সামলাতে না পেরে পড়ে গেলো।

সামিয়া মিমিকে তুলে বলতেছেঃ তোকে কতবার বলেছি সাহিদের সঙ্গে কথা বলবি না। তারপরেও শুনিস নি। বলেই আরেকটা থাপ্পড় দিতে যাবে ঠিক তখনি আমি ওর হাতটা ধরে ঠাসস ঠাসস করে দুইটা লাগিয়ে দিলাম।

বেশ জোরে মারার জন্য সামিয়ার ঠোঁটের কিছু অংশ কেটে গেছে। সামিয়া আমার দিকে অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। হয়তোবা কখনো ভাবতেই পারেনি তাকে আমি মারবো।

আমিঃ তোকে আমি কতবার বলবো আমি তোকে ভালোবাসি না। তোর মতো অবিশ্বাসির মায়ায় আর নিজেকে জড়াতে চাইনা। তারপরেও কেন তুই আমার পিছনে পড়ে আছিস। যা চোখের সামনে থেকে তোকে যেন আর না দেখি চোখের সামনে।(রেগে)

সামিয়া কান্না করতে করতে দৌড়ে রুমে চলে গেল। আমার মাথায় রক্ত উঠে গেছে। কী করবো বলেন? এখানে তো আর মিমির দোষ এ। আমি তো মিমিকে এখানে নিয়ে এসেছি।

আমি মিমিকে বললামঃ সরি মিমি, আমার জন্য তোমাকে এই রকম পরিবেশের সম্মুখীন হতে হলো। আমাকে মাফ করে দাও।

মিমঃ আরে সমস্যা নেয়। যে কোনো মেয়ে তার ভালোবাসার মানুষটির কাছে অন্য কাউকে দেখলে সহ্য করতে পারে না। আর তুমি হয়তো আমার ভাগ্যে নেই। আমরা বন্ধু হয়ে থাকতে পারি তো নাকি? আচ্ছা তোমাদের সম্পর্কটা কত দিনের?

আমিঃ হুমম বন্ধু হতে পারি। আর আমাদের সম্পর্কের কথা জানতে চাও তাহলে শুনো,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,(এরপরে কলেজ থেকে শুরু করে সামিয়ার সাথে প্রেম, বাসা থেকে বের হওয়া সব কিছু বললাম)

আমার কথা শুনে মিমি কান্না করতে করতে বললোঃ এত কিছু হয়েছে তোমার উপর?

আমিঃ হুমম। তবে কথা দাও এসব কথা আর ম্যামের সাথে আমার রিলেশানের কথা কাউকে বলবে না।

মিমিঃ ঠিক আছে। তবে সাহিদ ম্যাম তোমাকে হতো ভালোবাসে। আর কষ্ট দিয়ো না।

আমিঃ হুমম জানি। তবে আরেকটু দিবো।

মিমিঃ এমন কিছু করো না, যাতে আবার হারিয়ে যায়।

আমিঃ আরে না,,। আচ্ছা রুমে যাওয়া যাক নাকি?

মিমিঃ হুমম চলো।

এরপরে রুমে এসে দেখি ইকবাল শুয়ে থেকে ফোন টিপতেছে। আমি সোফায় বসে থেকে নেহার কাছে ফোন দিয়ে মিমের কথা জানলাম।

একটু পরে ডিনার করার জন্য ডেকে গেলো। সকলে একসাথে হোস্টেলের ক্যান্টিনে যায়ে ডিনার করলাম। ডিনার করে যে যার রুমে আসলাম। দীর্ঘক্ষণ জার্নি করার জন্য শরির টা বেশ ক্লান্ত হয়ে পড়েছে। এই জন্য আজকে ঘোরাফেরা না করে একটু আগেই সবাই ঘুমিয়ে পড়লো।

তবে ডিনারের সময় নেহাকে একাই দেখলাম ওর বান্ধবীদের সাথে। মিম এতক্ষণ ঘুমিয়ে গেছে। কিন্তু। সামিয়া ডিনার করলো না কেন?

হোসস্ এতো ভেবে কাজ নেয়। রুমে এসে ঘুমিয়ে পড়লাম। রাত বেশি হয়নি। কেবল নয়টা বেজেছে। ইকবাল ঘুমিয়ে পড়েছে। একটা রুমে দুইটা করে বেড আছে। যার ফলে শুয়ে থাকতে অসুবিধা হবে না। শুয়ে পড়তেই ঘুমিয়ে গেলাম।

হঠাৎ ফোনটা বেজে উঠলো। হাতে। নিয়ে দেখি নেহা ফোন দিয়েছে। ঘুম কোথাও উধাও হয়ে গেল। ওদের কারো কিছু হলো না তো।

এক পাউন্ড টেনশন নিয়ে ফোন টা রিসিভ করলাম।

আমিঃ হ্যালো নেহা কারো কিছু হয়েছে নাকি?

নেহাঃ ভাইয়া তুমি তাড়াতাড়ি আমার রুমে এসো?(কাঁপা কাঁপা কন্ঠে)

আমিঃ কেন?

নেহাঃ তুমি এসো তাড়াতাড়ি,,,। (কাঁপা কাঁপা কন্ঠে)
বলেই ফোন কেটে দিল।

আমি রুম থেকে বের হয়ে আমার রুমের দরজা টা বাহির থেকে লাগিয়ে দিয়ে নেহার রুমের কাছে গেলাম। দরজায় ধাক্কা দিতেই নেহা এসে দরজা খুলে দিলো।

আমি রুমের ভিতরে ঢুকে সামিয়ার বেডের দিকে তাকিয়ে দেখতেই আমার কলিজা টা কেঁপে উঠলো। কেননা সামিয়া বেডের উপরে,,,,,,,,,,,,

(চলবে)

💘💘💘 কেমন হচ্ছে তা কমেন্ট করে জানাবেন 💘💘💘

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here