Mr_Innocent,part_7,8
You_are_my_love_addiction
writer_ আশফিয়া_নুর_আরুশি
part_7
একজন লোক ওদের কাছে গিয়ে বলে পারফেক্ট কাপল
এতে তারা দুজন দুজনের দিকে তাকিয়ে ক্রাস খাওয়া অবস্থা তবুও কাউকে বুঝতে না দেওয়ার জন্য দুজনই একসাথে বলে,
-” নননননননননননা। ”
বলেই মিশমি আরুশির দিকে আর আয়াশ আদ্রিয়ান ধ্রুবর দিকে দৌড়ে চলে যায়।
মিশমিকে দৌড়ে আসতে দেখে আরুশি জিঙ্গেস করে,
-“কিরে দৌড়াদৌড়ি করছিস কেন ভুত দেখলি নাকি?”
-“ভুত না ক্রাস”
মিশমি আনমনে বলে ফেলে।
-“কি?”
-” আব না না কিছু না। চল স্যারের সাথে দেখা করে আসি।”
-“হুম চল।”
-” এই আরু এটা কিসের পার্টি তুই কি জানিস?”
-“রিসাদ ভাইয়া বললো অনেকদিন পর আদ্রিয়ান স্যার আর ওনার বন্ধুরা এক হয়েছে সেই উপলক্ষে এই পার্টির আয়োজন করা হয়েছে।”
-“ওহহ।”
-“হুম। এখন চল।”
__________
-“কিরে আয়াশ তুই দৌড়াছিস কেন চুরেল দেখলি নাকি।”(আদ্রিয়ান)
-“হ রে ভাই চুরেল এর চেয়ে কম কি।”(আয়াশ)” ভাই চুরেল না পরি দেখছি”( মনে মনে)
-“কিহ আপনি আমাকে চুরেল বললেন?”(মিশমি)
-“চুরেলকে তো চুরেলই বলব।”(আয়াশ)
-“আপনাকে তো আমি পরে দেখে নিব।”(মিশমি)
-“পরে কেন এখনই দেখ তোমার সামনেই আছি আর দেখবেই তো আমি কতো হ্যান্ডসাম।”
ভাব নিয়ে স্টাইল করে চুল ঠিক করতে করতে বললো আয়াশ।
-“আয়াশ / মিশমি তুই চুপ করবি। “(আদ্রিয়াম & আরুশি)
-“মিশমি। আমার ডার্কচকলেট। তোমাকে তো আমার চাই ই চাই এট এনি কস্ট।”
আস্তে আস্তে বললো আয়াশ।
-“হুহ।”(মিশমি)
-“তুমি কখন আসবে আমার যে আর অপেক্ষা করতে ইচ্ছা করছে না কতদিন পর তোমাকে দেখবো। ”
মনে মনে ভাবছে রিসাদ।
তখন সবার চোখ গেলে সিড়ি দিয়ে নামা একটা মেয়ের উপর
মেয়েটার পরনে কালো গাউন সাথে কালো ক্রিস্টালের ডিজাইন করা আকাশি রঙের ওরনা ঠোঁটে হালকা লাল লিপস্টিক চোখে কাজল চুল খোপা করা সাথে ম্যাচিং জুয়েলারি।
মেয়েটিকে দেখে আদ্রিয়ান এগিয়ে গিয়ে মেয়েটাকে হাত ধরে নিচে নামিয়ে সবার সাথে পরিয় করিয়ে দিল।
-“হেই গাইস ও আমার ছোট বোন আজমিরা চৌধুরি। আজমিয়া ও হচ্ছে আরুশি ( আরুশিকে দেখিয়ে) ইশিতা ( ইশিতাকে দেখিয়ে) মিশমি ( মিশমিকে দেখিয়ে) আর বাকিদেরকে তো তুই চিনিস রিসাদ ধ্রুব আর আয়াশ।
-‘হুমমম কেমন আছো সবাই?”
-“ভালো ”
সবাই এক সাথে বললো।
-“অনেক বড় হয়ে গেছে আমাদের আজু।”(ধ্রুব)
-” ঠিক। ওই রিসাদ তুই কই হারায় গেলি।”(আয়াশ)
আয়াশের কথাই রিসাদের ধ্যান ভাঙে
-“কই কোথাও না তো আমি তো এখানেই আছি( দাঁত কেলিয়ে)। মিরা কেমন আছো? ”
-“আলহামদুলিল্লাহ ভালো, ভাইয়া। ”
আজমিরার মূখে ভাইয়া শুনে রিসাদের মূখের হাসি নিমিষে গায়েব হয়ে যায়।
-” হ্যালো লেডিস এন্ড জেন্টেলম্যানস। আপনারা সবাই হইতো ভাবছে এটা কিসের পাার্টি। এই পার্টি টা রাখা হয়েছে সেভেন স্টার ফ্রেন্ডস ক্লাব এর পূর্ণ মিলনের জন্য আজকে আমার সবাই অনেক বছর পর একসাথে হয়েছি তাই। সবাই পাটি ইনজয় করুন। “(আদ্রিয়ান)
বলেই আদ্রিয়ান মাইক রেখে দিয়ে সবার কাছে গেলো।
-“লেডিস এন্ড জেন্টেলম্যানস আজকের পূর্ণ মিলন পার্টিতে আদ্রিয়ান, আয়াশ, রিসাদ আর ধ্রুব আমাদের গান শোনাবে তারপর ডান্স হবে। “(রিখিয়া)
সবার জোড়াজুড়ি তে ওরা কেউ আর না করতে পারলো না।
আদ্রিয়ান,
You’re the light, You’re the night,
You’r the colour of my blood ( ( আদ্রিয়ান আরুশির দিকে তাকিয়ে চোখ টিপ মেরে স্টেপ করলো))
You’re the cure,
You’re the pain,
You’re the only thing i wanna touch (( আয়াশ আঙ্গুল তুলে মিশমিকে শুট করার ইশারা করে স্টেপ করলো))
Never knew that it could mean so much,so much ((আদ্রিয়ান আর আয়াশ একসাথে স্টেপ করে। আদ্রিয়ান আর আয়াশ দুই দিকে চলে যায়। রিসাদ আর ধ্রুব একসাথে পিছন থেকে স্টেপ করে এগিয়ে আসে))
You’re the fear
I don’t care
“Cause I’ve been so high (( রিসাদ স্টেজ থেকে নেমে আজমিরার কাছে গিয়ে ওর চারপাশে ঘুরে স্টেপ করে ))
Follow me through the dark
Let me take you past our satellites ( ( ধ্রুব ইশিতাকে ফ্লাইং কিস দিয়ে স্টেপ করে আর ))
You can see the world you brought to life, to life((রিসাদ আর ধ্রুব হাইফাইভ দিয়ে একসাথে স্টেপ করে সরে যায়))
So love me like i do, Lo-lo- love me like i do *2
Touch me like i do, To-to-touch me like i do
What are you waiting for(( চার জনে একসাথে স্টেপ করছে।))
Fading in, fading out
On the edge of paradise
Every inch of your skin is a holy grail I’ve gotta fine (( আরুশির দিকে করুন দৃষ্টিতে তাকিয়ে আদ্রিয়ান স্টেপ করছে))
Only you can set my heart on fire, on fire
((আয়াশ মিশমির হাত ধরে ওকে নিজের দিকে ঘুরিয়ে নিয়ে স্টেপ করে))
Yeah, I’ll let you set the pace
” Cause i’m not thinking straight
((হঠাৎ লাইট ওফ হয়ে যায় আর রিসাদ আজমিরাকে জড়িয়ে ধরে স্টেপ করে। স্টেপ শেষ হতে লাইট ওন হয়ে যায় আর রিসাদ আজমিরাকে ছেড়ে দিয়ে ওখান থেকে চলে আসে))
My heart spinning around, i can’t see clear no more
(( ধ্রুব ইশিতাকে পিছন থেকে জড়িয়ে স্টেপ শুরু করে,,,,))
What are u waiting for?
Love me like i do lo-lo-love me like i do*2
Touch me like i do to to touch me like i do
What are u waiting for?
I’ll let you set the pace
” Cause i’m not thinking straight.
My heart spinning around, i can’t see clear no more
What are u waiting for?
Love me like i do lo-lo-love me like i do*2
Touch me like i do to to touch me like i do
What are u waiting for????((চার জনে একসাথে স্টেপ করলো।))
চারজনেরই গান শেষ হতে সবাই কড়তালি দিলো।
-“তো এখন বল ডান্স হয়ে যাক কিন্তু তোরা কাপল কই পাবি।”(কুহু)
-“আরে পাবো পাবো।”(আয়াশ)
-“তুই কি প্রেম করিস যে পাবো পাবো করছি।”(আদ্রিয়ান)
-“আব্বে ইয়ার আমাদের মতো সুদর্শন যুবকের সাথে কে ডান্স করতে চাইবো না তুই ই বল।”(আয়াশ)
-“আচ্ছা আচ্ছা থাম কাপল তো আমরা ডাবল রা সিলেক্ট করবো সিঙ্গেলদের জন্য।”
দাঁত কেলিয়ে বললো কুহু।
-“ওকে।”
আদ্রিয়ান, আয়াশ, ধ্রুব আর রিসাদ একসাথে বললো।
কাপল সিলেক্ট করার সময় আদ্রিয়ান, আয়াশ, ধ্রুব আর রিসাদ গিয়ে চুরি করে নিজেদের নামের সাথে আরুশি , মিশমি , ইশিতা আর আজমিরার নাম লিখে দিলো আর কেউ বুঝতেও পারলো না।
-‘এখন আমি কাপলদের নামগুলো এনাউন্সমেন্ট করবো।” (কুহু)
আদ্রিয়ান & আরুশি, আয়াশ & মিশমি , ধ্রুব & ইশিতা , রিসাদ & আজমিরা ……………………….
মিউজিক শুরু হতেই
রিসাদ আজমিরার কোমড় জড়িয়ে ওকে নিজের কাছে এনে ওর হাতে হাত রেখে নাচতে শুরু করল।
ম্যায় বারিশ হো জায়ুঙ্গা তুম বাদাল হো জায়োগি
……দেখ লেনা দেখ লেনা……
ইতনা তুমকো চাহুঙ্গা তুম পাগাল হো জায়োগি
……দেখ লেনা দেখ লেনা……
ক্যাহতা হ্যায় সুন্ ইয়ে ধূপ কিনারা
তেরা হুয়া ম্যায় সারা কা সারা
দেখ লেনা তেরে হোঠো পে হামেশা
ম্যায় হাসতা হি রাহুঙ্গা দেখ লেনা
দেখ লেনা ভিগি জো তেরি আখে
আখো সে ম্যায় বাহুঙ্গা দেখ লেনা….🎶
ইশিতা ধ্রুবর দিকে ঘুরে ওর কাধে হাত রাখে। ধ্রুব ইশিতার কোমড় জড়িয়ে ধরে ওর চোখের দিকে তাকায়।
হুমম দিল তো হ্যায় হার সিনেমে
হ্যায় পেয়ার লেকিন মুঝমে
সাভসে জিয়াদা দেখ লেনা…
হুমম আপনি লাকিরো মে ম্যায়
লিখ লুঙ্গি খুদহি তুমকো
হ্যায় মেরা ওয়াদা দেখ লেনা….🎶
আয়াশ মিশমির হাত শক্ত করে ধরে। মিশমি অবাক চোখে তাকায় আয়াশের দিকে। আয়াশ মায়াবী চোখে মিশমির দিকে তাকিয়ে লিরিক বলে।
ক্যাহতা হ্যায় সুন্ ইয়ে ধূপ কিনারা
তেরা হুয়া ম্যায় সারা কা সারা
দেখ লেনা তেরে হোঠো পে হামেশা
ম্যায় হাসতা হি রাহুঙ্গা দেখ লেনা
দেখ লেনা ভিগি জো তেরি আগে
আখো সে ম্যায় বাহুঙ্গা দেখ লেনা
আরুশি আদ্রিয়ানের দিকে একপলক তাকালো। আদ্রিয়ান ওর দিকেই তাকিয়ে আছে।
আরুশি আদ্রিয়ানের সামনে গিয়ে ওর কাধে হাত রাখে। আদ্রিয়ান মুচকি হেসে আরুশিকে নিজের সাথে জড়িয়ে ধরে। আরুশি আদ্রিয়ানের দিকে ঘোরলাগা দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।
বারসো না ভূলো গে তুমি
এ্যাসি কাহানী তুমসে
ক্যাহ জায়েঙ্গে হাম দেখ লেনা
আরুশি আদ্রিয়ানের বুকে মাথা রেখে চোখ বন্ধ করে নিল।
হুমম এ্যাসা ভি হোগা ইকদিন
দিলকি জাগাহ সিনেমে
রেহ জায়েঙ্গে হাম দেখ লেনা
ক্যাহতা হ্যায় সুন্ ইয়ে ধূপ কিনারা
তেরা হুয়া ম্যায় সারা কা সারা
দেখ লেনা ভিগি জো তেরি আখে
আখো সে ম্যায় বাহুঙ্গা দেখ লেনা
গান বন্ধ হতেই সবাই মিলে হাত তালি দিতে শুরু করে।
তালির আওয়াজে আরুশির ঘোর কেটে যায় আর ও বুঝতে পারে যে ও এতোক্ষণ আদ্রিয়ানের সাথে ডান্স করছিল।
তারপর সবাই ডিনার করে একে একে চলে গেলো।
ধ্রুব ইশিতা, আরুশি আর মিশমিকে বাড়ি পৌছে দিলো।
আয়াশ চলে যেতে চাইলে আদ্রিয়ান যেতে দিলো না।
____________
★সকাল বেলায়
-” ইশু বেবি আমার অনেক লেট হয়ে গেছে আমি ক্যান্টিন থেকে কিছু খেয়ে নিবো তুই চিন্তা করিস না।”
-“আরে আস্তে যা পরে যাবি তো।”
আরুশি চলে গেলো।
-“আজ অনেক লেট হয়ে গেছে স্যার তো আমাকে কাঁচা খেয়ে ফেলবে উফফ কোনো রিকশাও নেই। ”
আরুশি রাস্তায় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে রিক্সা খুঁজছে আর বিরবির করছে।
তখনি আরুশি একটা রিকশা পেয়ে গেলো আর ওটাতে উঠে পরলো আর যেতে না যেতেই জ্যামে আটকে পরলো।
-“ইস আর ভালো লাগে না। ”
বলেই আরুশি রিকশা থেকে নেমে হাঁটা ধরলো। তখনি ওই খেয়াল করলো একটা বাচ্চা রাস্তার মাঝখানে বল নিয়ে খেলছে আর কিছুটা দূর থেকে একটা ট্রাক খুব দ্রুত গতিতে ছুটে আসছে।আরুশি কোনো উপায় না পেয়ে দৌড় লাগালে বাচ্চাটাকে বাঁচানো জন্য যেই না আরুশি বাচ্চাটাকে ধাক্কা দিলো……………
“চলবে”
#Mr_Innocent
#You_are_my_love_addiction
#Writer_ #আশফিয়া_নুর_আরুশি
#part_8
_________________
আরুশি কোনো উপায় না পেয়ে দৌড় লাগালে বাচ্চাটাকে বাঁচানো জন্য যেই না আরুশি বাচ্চাটাকে ধাক্কা দিলো। ট্রাকটা এসে সজোরে আরুশিকে ধাক্কা দিলো আর আরুশি ছিটকে গিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পরলো।চোখ বন্ধ করার আগে দেখলো বাচ্চাটা ঠিক আছে শুধু মাথায় একটু আঘাত পেয়েছে তারপর মুচকি হেঁসে ও চোখ বন্ধ করে ফেললো। আরুশিকে ওভাবে দেখে লোকজন ছুটে আসতে লাগলো। কয়জন লোক মিলে আরুশিকে সিটি হসপিটালে পাঠানোর ব্যবস্থা করলো সাথে একজন মহিলাকেও পাঠালো। অন্য একজন আরুশির ফোন বের করে লিস্টের প্রথমে যে নাম্বারটা ছিলো তাতে ফোন করলো,
-“হ্যালো? ”
-” হ্যালো কে বলছেন? আর এটা তো আরুশির ফোন নাম্বার এটা আপনার কাছে কেন?”
-“এই ফোনের মালিকের এক্সিডেন্ট হয়েছে আপনি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সিটি হসপিটালে চলে আসুন।”
বলেই ফোন কেটে দিলো
এক্সিডেন্টের কথা শুনে ইশিতা চোখে ঝাপসা দেখতে শুরু করলো আর একটা সময় সেন্সলেস হয়ে পরলো
ইশিতা সেন্সলেস হয়ে পরাই সবাই ধ্রুবকে ফোন দিল ইশিতার এমন অবস্থা শুনে ধ্রুব এক মুহূর্ত দেরি না করে ইশিতার অফিসে চলে আসে আর ইশিতার সেন্স ফেরানোর চেষ্টা করে। সেন্স ফিরতেই দেখে ও ধ্রুবর কোলে মাথা রেখে শুয়ে আছে। ইশিতা উঠে বসে ধ্রুবকে জড়িয়ে ধরে ফুপিয়ে কান্না করতে করতে বললো,
-” ধ্রুব আআআরু, ধ..ধ্রুব আ..আমার আরু..
-“ইশি প্লিজ শান্ত হও। এই নেও পানি খাও।”
পানির গ্লাস এগিয়ে দিয়ে বললো।
ইশিতা ডগডগ করে পানি খেয়ে ফেললো।
-“এবার বলো কি হয়েছে?”
-” ধ্রুব আরুশির এক্সিডেন্ট হয়েছে।”
কান্না করতে করতে বললো।
-“কিভাবে আর কে বললো তোমাকে? ”
-” একজন লোক ফোন দিয়ে বলল এই ফোনের মালিকের এক্সিডেন্ট হয়েছে আপনি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সিটি হসপিটালের আসুন।”
-” ওহ মাই গড। আচ্ছা চল আমরা এখনই সিটি হসপিটালে যাব।”
বলেই ইশিতা আর ধ্রুব সিটি হসপিটালে গেলো
_________________
★ইন দ্যা চৌধুরি ইন্ড্রাসটি
-” ও এতো লেট করছে কেনো? এতো লেট হওয়ার তো কথা না তার উপর ফোন ধরছে না।একটা কাজ করি ইশিতাকে ফোন করি।”
আদ্রিয়াম টেনশনে পড়ে ইশিতাকে ফোন করলো
-“দিস নাম্বার ইস কারেন্টলি আন রিচেবেল। ”
-“উফফফ ইশিতাও ফোন ধরছে না। হলোটা কি এদের।হ্যালো রিসাদ একটু আমার কেবিনে আয়।”
রিসাদকে ফোন দিয়ে বললো।
-“হুম বলো।”
রিসাদ কেবিনে ঢুকে বললো।
-” হুম।”
-” কোনো দরকার। ”
-“আরুশি এখনো অফিসে আসেনি। তোকে কি কিছু বলেছে?”
-” না। কালকের পরে তো ওর সাথে আমার আর কথাই হয় নি।”
-“ওহহ আাচ্ছা।”
-“হুম।”
-“ওকে তুই যা এখন।”
রিসাদ চলে গেলো
-“একটা কাজ করি ধ্রুবকে ফোন দেই।”
-“হ্যালো ধ্রুব আরুশি এখনো আসেনি অফিসে। তুই কি জানিস কিছু যে কেন অফিসে আসে নি?”
-” আ আদ্রিয়ান…”
বলতে গিয়েও থেমে গেল ধ্রুব
-” কি হয়েছে বল তুই থেমে গেলি কেন আর তোর আওয়াজ এমন লাগছে কেন ঠিক আছিস তো। কাপকেক ঠিক আছে তো?
-” নারে ভাই ঠিক নেই। তোর কাপকেক ঠিক নেই। ওর এক্সিডেন্ট হয়েছে। লোকজন সিটি হসপিটালে নিয়ে গেছে। আমি আর ব্লাকবেরি ওখানেই যাচ্ছি।
-“……… ”
-“আদ্রিয়ান! আদ্রিয়ান!শুনতে পারছিস? টুট.. টুট…”
ফোন কেটে গেলো
এক্সিডেন্টের কথা শুনে আদ্রিয়ানের দুনিয়াটা যেনো থমকে গেলো কানে শুধু একটা কথাই বাজছে আরুশির এক্সিডেন্ট হয়েছে।
-“না না এটা হতে পারে না এটা কিছুতেই হতে পারে না আমার কাপকেকের কিছুই হবে না। ”
বলেই আদ্রিয়ান সিটি হসপিটালের উদেশ্যে বেরিয়ে পরলো।
_________________
★ইন দ্যা হসপিটাল
ধ্রুব আর ইশিতা হসপিটালের রিসেপশনে এসে জানতে পরলো আরুশিকে ওটিতে নিয়ে গিয়েছে।প্রচুর রক্ত বেরিয়ে গেছে পরিবারের লোকজন আসলেই ওপারেশন শুরু করবে।
-” আমরাই ওর পরিবারের লোক ও হচ্ছে ওর বোন।”।ইশিতাকে দেখিয়ে বললো ধ্রুব।
-” ওহহ আচ্ছা আপনাদের কিছু ফরমালিটিস পূরণ করতে হবে।। “(রিসেপশনিস্ট)
-“আচ্ছা যা যা লাগবে দিন আমি পূরণ করে দিচ্ছি।” (ধ্রুব)
-“আমি কি আজুর সাথে একবার দেখা করতে পরব? ”
-” জ্বি। সোজা ডান দিকে গিয়ে সাত নম্বর রুমে উনি আছে।” (রিসেপশনিস্ট)
ইশিতা দৌড়ে চলে গেলো
ইশিতা আস্তে আস্তে করে আরুশির কাছে গেলো
-“খুব মজা পাচ্ছিস আমাকে কষ্ট দিয়ে তাই না। জানিস বাবা জানতে পারলে কতটা কষ্ট পাবে।প্লিজ জলদি ঠিক হয়ে যা।”
-“আপনি প্লিজ বাহিরে জান মেম ওনাকে ওটির জন্য রেডি করতে হবে”(নার্স)
ইশিতা চলে গেলো
ইশিতা বাহির এসে দেখে ধ্রুব সব ফরমালিটিস পূরণ করে দিয়েছে।
-” দেখা হয়েছে।”
-“হুম।”
বলেই ইশিতা কেঁদে দেয়
ইশিতাকে শান্ত করার জন্য ধ্রুব বলল,
-” তুমি যদি এভাবে ভেঙে পরো তাহলে কিভাবে হবে জান। প্লিজ কান্না থামাও।তোমার কান্না যে আমার সহ্য হয় না।”
ইশিতা কান্না জরিত কন্ঠে বললো,
-“যার গায়ে আমি একটা ফুলের টোকাও লাগতে দেই নি সে আজ মৃত্যু সজ্জায় ধ্রুব। ওর না অনেকে কষ্ঠ হচ্ছে জানো ও না একটুখানি রক্ত দেখলেও ভয় পেয়ে যায় আর দেখো ওর পরনে জামাটাই রক্তে লাল হয়ে গেছে।ও ধ্রুব, ধ্রুব আমার আরুকে ঠিক করে দেও না, প্লিজ।
-“তোমার এরকম অবস্থা হলে আদ্রিয়ানের কি রকম অবস্থা হবে তা শুধু আমি জানি আরুশির কিছু হলে ওকে বাঁচানো অসম্ভব হয়ে পরবে। প্লিজ আল্লাহ তায়ালা তুমি আরুশিকে সুস্থ করে দেও(মনে মনে)। ডক্টর তো দেখছে তুমি প্লিজ ভেঙে পরো না।”
________________< আদ্রিয়ান কোনো রকমে গাড়ি পার্ক করে হসপিটালের রিসেপশনের দিকে দৌড় লাগায়। রিসেপশনে এসে রিসেপশনিস্টকে জিজ্ঞেস করতেই ও জানতে পারে আরুশিকে ওটিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ওর অবস্থা অনেক খারাপ অনেক রক্ত বেরিয়ে গেছে বাঁচাতে পারবো কি না সন্দেহ আছে। রিসেপশনিস্টের কথা শুনে আদ্রিয়ান নিচে বসে পরলো ওর কানে শুধু একটা কথাই বাজছে বাঁচাতে পারব কিনা সন্দেহ আছে। হঠাৎই আদ্রিয়ান আরুশি বলে চিৎকার করে। ইশিতা শুনতে না পারলেও ধ্রুব খুব ভালোভাবেই বুঝে যায় যে আদ্রিয়ান আরুশির নাম ধরে চিৎকার করছে। তাই এক মুহূর্ত দেরি না করে ধ্রুব আদ্রিয়ানের কাছে চলে যায়।কারণ আদ্রিয়ানকে এখন শান্ত করতে হবে। ধ্রুব দৌড়ে আদ্রিয়ানে কাছে চলে যায়।আদ্রিয়ানের কাছে গিয়ে দেখে ও চুপচাপ বসে আছে আর চোখের জল ফেলছে। ধ্রুব আদ্রিয়ানের কাছে গিয়ে বললো -" ভাই কান্দিস না।। দেখ তুই কান্না করলে তোর কাপকেককে কে সামলাবে বল। প্লিজ ভাই তুই কান্দিস না।" -"আমার সাথেই কেন এমনটা হয়? তুই তো জানিস ছোটবেলায় আমি মাকে হারাই তাও আমি বেঁচে আছি শুধুমাত্র কাপকেক আর আজমিরার জন্য। ওরা ছাড়া তো আমার আর কেউ নেই। এখন যদিও ও চলে যায় আমার যে বাঁচার ইচ্ছেটাই মরে যাবে।প্লিজ তুই আমার কাপকেককে বাঁচিয়ে দে। দে না আমার কাপকেককে আমার কাছে ফিরিয়ে। আমি কখনো ওকে কষ্ট দিব না আর ওকে আমার কাছ ছাড়া করব না। প্লিজ আমাকে ফিরিয়ে দে আমার কাপকেককে প্লিজ।" ফুপিয়ে ফুপিয়ে কান্না করতে করতে বললো আদ্রিয়ান। -" প্লিজ তুই শান্ত হো।এভাবে তো তুই অসুস্থ হয়ে পরবি। এখন তুই যদি অসুস্থ হয়ে পরিস তাহলে তোর কাপকেকের খেয়াল কে রাখবে?" -"........" -"ধ্রুব আযান তোরা এখানে কিউটিপাই কোথায়?" ধ্রুব সামনে তাকিয়ে দেখে রিসাদ, আজমিরা, মিশমি আর আয়াশ দাড়িয়ে আছে।আসলে ধ্রুব ওদের ফোন দিয়ে আসতে বলেছি সাথে মিশমি আর আজমিরাকেও নিয়ে আসতে বলে কারণ ধ্রুব একলা আদ্রিয়ানকে সামলাতে পারবনা। আদ্রিয়ানকে সামলানোর জন্য আজমিরা রিসাদ আর আয়াশকেও লাগবে আর মিশমিকে নিয়ে আসতে বলে ইশিতাকে সামলানের জন্য। -"ব্লাকরোজকে ওটিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে প্রচুর ব্লিডিং হয়েছে।ডক্টর আগেই কিছু আসসাস দেই নি।"(ধ্রুব) -"ওটির ওখানে কেউ নেই?"(আয়াশ) -"ইশিতা আছে ও খুব ভেঙে পরেছে।"(ধ্রুব) -" মিশমি আর মিরা তোমরা ইশিতার কাছে যাও আর তোরা আদ্রিয়ানকে ধর ওকে আগে সিটে বসাই।"(রিসাদ) - "হুমম চল" (আয়াশ) মিশমি এবং আজমিরা ইশিতারর কাছে চলে গেলো আর রিসাদ, আয়াশ এবং ধ্রুব মিলে আদ্রিয়ানকে ধরে ওটির সামনে নিয়ে গেলো। কিছুক্ষণ পর ডক্টর বেরিয়ে এলো........ ........................ To be continue