মায়াজালে_আবদ্ধ পর্ব_৩

মায়াজালে_আবদ্ধ
পর্ব_৩
কলমে_লাবণ্য_ইয়াসমিন

দুহাতের তালুতে মুখ রেখে বসে আছে জুনায়েদ। সাজানো গোছানো জীবনতে হঠাৎ একটা দমকা ঝড়ো হাওয়া এসে সব কিছু এলোমেলো করে দিয়ে চলে গেলো। দুদিন আগ পযর্ন্ত সব ঠিক ছিল। এই মূহুর্তে এর কি করা উচিৎ কিছুই বুঝতে পারছে না। একবার রীমলির সাথে দেখা করতে ইচ্ছা করছে। মেয়েটা হুটকরে এমন একটা সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে অন্তত ওকে বলতে পারতো। জীবনে চলার পথে সমস্যা আসতেই পারে তাই বলে হুট করে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া ঠিক নয়। দীর্ঘ লম্বা একটা জীবন পড়ে আছে আর দীর্ঘ এই জীবনটাতে নিজের ভালোবাসাকে ছেড়ে একা কাটাতে হবে।ভাবতেই ওর সব কেমন পাগল পাগল লাগছে। রীমলিকে ছাড়া এক একটা মূহুর্ত জুনায়েদ কাছে বিষাদময় হয়ে উঠছে।ওর ইচ্ছা করছে সব কিছু ভেগে চুরমার করে দেই কিন্তু ইচ্ছা করলেই তো আর হবে না সহ্য করতে হবে। কথায় বলে অন্ত দহনে জ্বলে পুড়ে মরার চেয়ে একবারে মরে যাওয়া ভালো। এ এক ভিষণ যন্ত্রণা।না যায় সহ্য করা,আবার না যায় ভুলে যাওয়া। ভালোবাসা হারিয়েছে যে সেই শুধু বুঝবে এর যন্ত্রণাটা কেমন। জুনায়েদের চোখ থেকে অনবরত পানি ঝরছে ও আর মাথা ঠান্ডা করে স্থির থাকতে পারলো না তাই দ্রুত রুম থেকে বেরিয়ে পড়লো। বাইরে এসে বাইক নিয়ে চললো রীমলিদের বাড়ির দিকে। জুনায়েদ ওদের বাড়ির সামনে বাইক থামিয়ে ভেতরে যেতে চাইলো কিন্তু দারোয়ান কিছুতেই ঢুকতে দিচ্ছে না। জুনায়েদ ওকে অনেক কিছু বলে বোঝালো তারপর শেষমেশ পকেট থেকে পাঁচশত টা বের করে দারোয়ানের হাতে দিয়ে বলল,

> টাকা টা রেখে তবুও আমাকে শেষবারের মতো ভেতরে যেতে দিন প্লীজ।( অনুরোধ করে)

> এতো রাতে আপনেরে তো ভেতরে যাবার দিবার পারুমনা।তয় এতো করে যহন কয়তাছেন তহন দাড়ান দ্যাখতাছি।

দারোয়ান ওকে শান্ত করে ফোন নিয়ে কাকে একটা ফোন দিয়ে বলল,

> সেই ভাইজান আইছে, ভেতরে যাবার চাই কি করুম?

ওপাশ থেকে কি উত্তর আসলো জুনায়েদ শুনতে পারলো না। ও চুলের মধ্যে হাত রেখে বারবার পায়চারি করছে। ওর কিছুতেই বিশ্বাস হচ্ছে না রীমলির বিয়ে হয়েছে। সামনে থেকে না দেখে বিশ্বাস করা বোকামি হবে। দারোয়ানের ফোন রাখতেই জুনায়েদ জিঞ্জাসা করলো,

> কি বলল?

> কিছুক্ষণ অপেক্ষা করেন ।

> আচ্ছা আপনার আপার কি সত্যি বিয়ে হয়েছে?

> জ্বী ভাইজান। আপার বিশাল বড় এক ডাক্তারের লগে বিয়া হইছে।

> ও এখন কোথায় বলতে পারো?

> আপা এই বাড়িতেই আছে। আজ চলে যাবেন।

জুনায়েদের সব আশা পানি হয়ে গেলো। ও তবুও একবার রীমলির সামনে দাঁড়াবে। জুনায়েদ বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পরেও ভেতর থেকে কেউ আসলো না। কিন্তু অন্য একটা গাড়ি এসে থামলো জুনায়েদের পাশে। ও তাঁকিয়ে দেখতেই মুখটা কালো হয়ে গেলো কারণ এই গাড়িতে কে আছে ওর অজানা নেই। ও গাড়ির দরজার সামনে এগিয়ে যেতেই জয়নাল সাহেব দরজা খুলে দিয়ে গম্ভীর কন্ঠে বললেন

> ভেতরে আসো।

> কিন্তু আব্বু আমি একবার ওর সাথে দেখা করতে চাই। আর ও এখুনি চলে আসবে। তুমি বাসাই যাও আমি আসছি।

> ও আসলে আমাকে এই রাত করে এখানে আসা লাগতো না। আমাকে ফোন করেছিল বলল তোমাকে নিয়ে যেতে।

> কিন্তু।

> আসতে বলেছি। গম্ভীর হয়ে।

জুনায়েদ আর কথা বাড়ালো না মন্ত্র মুগ্ধের মতো গাড়িতে গিয়ে বসতেই গাড়ি চলতে শুরু করলো। জুনায়েদ মাথা নিচু করে বসে আছে। পাশ থেকে জয়নাল সাহেব ওর দিকে তাঁকিয়ে বললেন,

> যে তোমাকে সামান্য কারণে ভুলে গিয়ে অন্য একজন কে বেছে নিতে পারে তার জন্য এমন পাগলামি করা নিতান্তই বোকামি ছাড়া আর কিছুই না। তুমি যে এগুলো করছো এতে কি তোমার কষ্ট কমছে?

> সরি আব্বু আর এমন হবে না। মাথা নিয়ে করে

> পুরুষ মানুষকে একটুতেই ভেঙে পড়লে চলে না মাথা সোজা রেখে চলছে শিখো। তোমার জন্য আমি অনেক অপমান সহ্য করেছি আগামীতে ও করবো।কিন্তু তুমি ছেলে হয়ে নিজের বাবাকে বারবার এমন পরিস্থিতিতে ফেলতে কি তোমার ভালোলাগছে?

> ভুল হয়েছে আমার। আচ্ছা তুমি ও কি বিশ্বাস করো আমি এমন করেছি? ছলছল চোখে তাকিয়ে

> জুনায়েদ আমার বিশ্বাস অবিশ্বাসে কিছু যায় আসেনা। সন্তান খারাপ কিছু করলেও বাবা মা কখনও তাকে ফেলে দিতে পারেনা আশাকরি তুমি বুঝবে। যাইহোক মেয়েটা বিয়ে করে সুখে আছে আর আমি চাই তুমি ও নিজেরতো এগিয়ে যাও।

> চেষ্টা করবো। চোখের পানি মুছে

> আগামীকাল থেকে অফিসে যাবে আর আমি তোমার জন্য মেয়ে দেখছি বিয়ে করে সংসারী হওয়ার চেষ্টা করো। দেখবে জীবনে নতুন কেউ আসলে সব ঠিক হয়ে যাবে।

> এখুনি সম্ভব নয়।

> সময় নাও সমস্যা নেই।তবে আমি তোমার সব কথায় রেখেছি আশাকরি আমার এই কথাটা তুমি রাখবে। আগেই বলেছিলাম রীমলি মেয়েটাকে আমার পছন্দ নয় তুমি তা শুনলে না তবুও আমি তোমাকে খুব একটা প্রেসার দেইনি। তোমার আম্মু পেশারের রুগী তোমাকে নিয়ে তার টেনশন দিনদিন বাড়ছে। কখন কি হয়ে যায় বলা যায় না। আমাদের বয়স হয়েছে আমাদের কথাও তো একবার ভাববে তাইনা?

> জ্বী।

> মাথা নিয়ে করে কি জ্বী জ্বী করছো? তোমার বয়স এখন চব্বিশ বছর। এই চব্বিশ বছর তুমি সুখে ছিলে কখনও কোনো দুঃখ পাওনি ভেবোনা আগামী চব্বিশ বছরেও তুমি সুখেই থাকবে। মনে করো এখন থেকে তোমার দুঃখের দিন শুরু। আমাদের কথা ভেবে তোমার এই দীর্ঘ জীবনটা পার করতে হবে। এখন সবটা তোমার হাতে।

> আমি অফিসে যাবো আর তোমার সব কথা মেনে চলার চেষ্টা করবো।

> হুম।

কথা বলতে বলতেই ওরা বাড়িতে পৌঁছে গেলো। জুনায়েদ গাড়ির দরজা খুলে দ্রুত রুমে এসে, দরজা বন্ধ করে,বাথরুমে গিয়ে সাওয়ার ছেড়ে দিয়ে চিৎকার করে কেঁদে উঠলো। এমন জীবন ও কখনও চাইনি। ভালোবেসেছিল মৃত্যুর আগ পযর্ন্ত পাশে থাকার জন্য কখনও ভাবেনি তাঁকে হঠাৎ মাঝ পথে ছেড়ে দিতে হবে। দীর্ঘ সময় নিয়ে জুনায়েদ সাওয়ারের নিচে দাঁড়িয়ে থাকলো তারপর বাইরে বের হলো। প্রচণ্ড মাথায় যন্ত্রণা করছে ও তাই চোখ বন্ধ করে সোফায় গিয়ে হেলান দিয়ে বসলো। বাইরে থেকে আমেনা বেগম অনবরত দরজা ধাক্কা দিচ্ছে জুনায়েদ চড়া গলাই বলল,

> আম্মু আমার ঘুম পাচ্ছে তুমি এখন যাও। ক্ষুধা পেলে আমি খেয়ে নিবো।

আমেন বেগম কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে খাবার নিয়ে ফিরে গেলেন। ছেলের জন্য উনার ও রাতে খাওয়া হয়নি। জয়নাল সাহেব খেয়ে নিয়েছেন আর উনাকে বুঝেছেন খেয়ে নিতে কিন্তু উনি খেতে পারেননি। উনি মা তাই উনার কাছে কোনো যুক্তি তর্ক চলে না। সব সময় চিন্তা হয় না জানি ছেলেটা কখন কি করে বসে। জুনায়েদ লাইট অফ করে সোফাতেই গুটিসুটি হয়ে শুয়ে পড়লো। ওর চোখ দুইটা ভীষণ জ্বলছে। এক সময় ও গভীর ঘুমে তলিয়ে গেলো।

চারদিকে হাজারো রঙের ফুলের মেলা। রঙ বে রঙের ফুল ফুটে আছে চারদিকে তার মধ্যে সুন্দর একটা সুইমিং পুল। জুনায়েদ অবাক হয়ে চারদিকে তাঁকিয়ে দেখছে । জায়গাটা ঠিক কোথায় ওর জানা নেই। ও সুইমিং পুলের দিকে এগিয়ে যেতেই দেখতে পেলো অতুলনীয় সুন্দরী একটা মেয়ে পানির মধ্যে পেছন ঘুরে দাঁড়িয়ে আছে। মেয়েটা পোশাকের বাহার দেখেই জুনায়েদের কেমন লজ্জা করছে। বিস্ময়কর ব্যাপার মেয়েটা প্রায় অর্ধ নগ্ন হয়ে গোসল করছে। জুনায়েদের প্রচণ্ড রাগ হলো ভাবলো মেয়েটাকে দু চার কথা শুনিয়ে দিয়ে আসি তবেই ওর মনে শান্তি হবে। ও দ্রুত এগিয়ে যেতে গিয়ে থমকে দাঁড়ালো কারণ ওর পেছনে কেউ একজন ঝঙ্কার দিয়ে হেসে উঠলো। ও ভয়ে ভয়ে ঘাড় ঘুরিয়ে তাঁকিয়ে অবাক হয়ে গেলো পেছনে কেউ নেই।কিন্তু একটা মেয়ে হাসির শব্দে আকাশ বাতাস ভারী হয়ে উঠছে। মেয়েটার হাসি প্রথমে ওর কাছে যতটা মধুর লেগেছিল এখন তার ছিটেফোঁটাও লাগছে না। ওর অসহ্য লাগছে তাই ও নিজের কানে হাত রেখে চিৎকার করে বলে উঠলো “থামো প্লীজ”।জুনায়েদের ঘুম ভেঙে গেলো। ও দ্রুত উঠে বসে খেয়াল করলো ও সোফায় শুয়ে আছে।

জুনায়েদ স্বপ্নের ব্যাপারটা নিয়ে বেশি মাথা ঘামালো না কারণ দুদিন ধরে ওর সুইমিং পুলের সেই মেয়েটাকে নিয়ে ঝামেলা চলছে তাই ওর মনে এটা গভীরভাবে গেথে আছে। জুনায়েদের এই মূহুর্তে অন্যকারো কথা ভাবতেই ইচ্ছা করছে না। ও সোফা থেকে উঠে ল্যাপটপটা নিয়ে বিছানায় এসে বসলো। রীমলির সাথে ওর অসংখ্য ছবি আছে। ও সেগুলো দেখেই বাকিরাতটা পার করলো। ও একটা একটা ছবি দীর্ঘ সময় নিয়ে দেখলো আর ভাবলো। কখন রাত পেরিয়ে সকাল হয়েছে ওর হুস নেই হঠাৎ বাইরে থেকে দরজা ধাক্কানোর শব্দে ওর ধ্যান ভাঙলো। ও বিরক্ত নিয়ে ল্যাপটপ বন্ধ করে উঠে এসে দরজা খুলে দিতেই দেখলো আমেনা বেগম ছলছল চোখে বাইরে দাঁড়িয়ে আছে। ও অবাক হয়ে মায়ের দিকে তাঁকিয়ে বলল,

> এতো সকালে ডাকছো কেনো কিছু কি হয়েছে আম্মু?

আমেনা বেগম নিজের আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারলেন না জুনায়েদ কে জড়িয়ে ধরে কেঁদে উঠলেন।

> কি হচ্ছে বলবে? এমন কান্নাকাটি করছো কেনো? মাথায় হাত রেখে

> আমি তোর জন্য কিছুই করতে পারলাম না বাবা। আমার ছেলেটা এতো কষ্ট পাচ্ছে আর আমি মা হয়ে দূরে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখছি। তোর কিছু হয়ে গেলে আমাদের কি হবে? আমি মরেই যাবো বাবা।

> আম্মু আমি একদম ঠিক আছি আমার কিছুই হয়নি। তুমি আমার খাবার রেড়ি করো,রাতে খাওয়া হয়নি আমার প্রচণ্ড ক্ষুধা পেয়েছে।

> সত্যি তো? চোখ মুছে

> একদম। আর আমাকে নিয়ে একটুও চিন্তা করো না। আমার কিচ্ছু হয়নি বুঝলে? হেসে

> হুম, কিন্তু খুব ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম রাতে খাবার নিয়ে ফিরে গিয়ে সারারাত ঘুম হয়নি শুধু মনে হয়েছে আমার ছেলেটা ভুলভাল কিছু করে বসলো না তো। তাই সকালে নামাজ শেষ করেই তোর কাছে দৌড়ে এসেছি।দরজা খুঁলতে দেরী দেখে আমার হাত পা কাপছিলো।

> বুঝি তো আম্মু। সরি এমন আর কখনও হবে না। আমি আজ থেকে তোমাদের কথা মেনে চলবো। এখন যাও তো তাড়াতাড়ি।

> আচ্ছা মনে থাকে যেনো।

জুনায়েদ ওর মাকে তাড়াতাড়ি পাঠিয়ে দিয়ে দুহাত দিয়ে চোখের পানি টা মুছে নিলো। মায়ের সামনে দুর্বল হলে উনি আরও কান্নাকাটি করবেন। বাবা মা এমনিই হয়। জুনায়েদ ভাবলো আর এমন পাগলামি করা যাবেনা।নিজের সাথে সাথে পরিবারের লোকজনকেও কষ্ট দিচ্ছে এটা ঠিক হচ্ছে না। যখন প্রেম করেছিল তখন তো নিজের বুদ্ধিতেই করেছিল তাহলে এখন যন্ত্রণা টা সবাইকে কেনো সেয়ার করবে। বাবা ঠিকই বলেছেন এতো বছর সুখের মধ্যে কেটেছে এবার না হয় সুখে থাকার অভিনয় করে কাটাবে। ক্ষণস্থায়ী এই মানব জীবনে সুখ দুঃখ অঙ্গা অঙ্গীভাবে জড়িয়ে আছে। ভাবতে ভাবতে ও তাড়াতাড়ি ফ্রেস হয়ে খাবার খেতে বাইরে গেলো। অলি খাবার নিয়ে বসে আছে কিন্তু মুখে তুলছে না। শুধু নাড়াচাড়া করছে। জুনায়েদ বসতেই ও কিছু একটা ভাবে বলল,

> ভাইয়া তোমাকে আমি অনেক ভালোবাসি। খুব মন খারাপ আমার। মুখ ভার করে

> আমি ও তোকে অনেক অনেক ভালোবাসি। কিন্তু মন খারাপ হচ্ছে কি জন্য শুনি?

> এমনিতেই হচ্ছে।

> বুঝেছি মন খারাপ করতে হবে না। তোর বান্ধবীর বোনের জন্মদিন যেনো কবে ছিলো?

> আগামীকাল।

> আচ্ছা আজ ফিরার সময় আমি গিফট কিনে আনবো তুমি দিয়ে দিস।

> একা গেলে হবে না। আমাদের সবাইকে যেতে
বলেছে কিন্তু তোমার তো মন ভালো নেই।

> দূর আমার মন অনেক ভালো আছে। ওদের বাড়িতে গিয়ে দুভাইবোন প্রচুর মজা করবো ঠিক আছে?

> সত্যি যাবে তো?
> হুম।

জুনায়েদ আর আলি কথা বলতে বলতে খাবার
খেয়ে নিলো। আমেনা বেগম দাঁড়িয়ে ওদের খাবার পরিবেশন করছে করে মুগ্ধ হয়ে তাঁকিয়ে দেখছে। ওদের দুজনকে এমন হাসিখুশি হয়ে কথা বলতে দেখে গত দুদিন পর উনি টেনশন মুক্ত হলেন। জুনায়েদ খাওয়া শেষ করে রুমে এসে অফিসের জন্য তৈরী হয়ে নিলো। ও বাইরে বের হবে এমন সময় একটা ফোন আসলো। ও ফোন তুলতেই ওপাশ থেকে ওকে দূত হসপিটালে যেতে বললো। জুনায়েদ আর অপেক্ষা করলো না তাড়াতাড়ি বেরিয়ে পড়লো হসপিটালের উদ্দেশ্যে। হসপিটালে ওর অফিসে একজন মহিলা কর্মি ভর্তি হয়েছে। গতকাল রাতে কেউ একজন ওকে বাসার ছাদ থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়েছিল অবস্থা বিশেষ ভালো নয়। মেয়েটার সাথে জুনায়েদের বেশ ভাব ছিল। জুনায়েদ বুঝতেই পারছে না ওর বাসাই কে এমন ছিল যে ওকে ছাদ থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিলো?

চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here