I live in your hope,Part 14 {Last part}
Adnan Mahmud
তাসনিমের ঠোঁট দুটো ভালোমতো কামড়ে নিচ্ছে রিয়াদ।মনে হচ্ছে তীব্র ক্ষুধার যন্ত্রনায় খোরক হিসেবে এটাই বেছে নিয়েছে।
কিছু সময় এভাবেই কেটে গেলো দুজনের।
-“পিছনে হুট করে কোন একটা শব্দ পেয়ে রিয়াদের বুক ধরে ধাক্কা দিয়ে পিছনে সরে এলো তাসনিম।
দুহাত দিয়ে ঠোঁট ডলে নিলো।
-রিয়াদ প্রথমে কিছু বুঝে উঠতে পারেনি।তাই দাঁড়িয়ে থেকে তাসনিম সরে যাওয়ার কারণ বুঝে উঠার চেষ্টা করছে।
এমন সময় বাইরে থেকে রেহেনা আন্টির গলার আওয়াজ শুনে বুঝে গেলো সরে যাওয়ার কারণ।
-“রিয়াদের লাল ঠোটে তাসনিমের লিপস্টিক লেগে আরো লাল হয়ে গেছে।তাসনিম ইশারা করে মুছতে বলল।”
-“রিয়াদ দুহাত দিয়ে সাথে সাথে ঠোঁট মুছে নিলো।অতঃপর দুজনে রুমে গিয়ে দরজা খুলে দিলে।
-“আরে খেতে আসো না কেনো তোমরা?আমার আবার সিড়ি বেয়ে উপরে উঠতে হলো।”
রিয়াদের দিকে তাকিয়ে বলল রেহেনা বেগম।
-“এইতো আন্টি,সব গুছিয়ে রাখছি তো তাই।রেহেনা বেগমকে বলল,রিয়াদ।
-“রেহেনা আন্টিকে আসতেছি বলে নিচে পাঠিয়ে দিলো রিয়াদ।রেহেনা বেগম চলে গেলে রিয়াদ তাসনিমকে ঘরে ঢুকিয়ে আবার গেট লাগিয়ে দিলো।”
-“আরে কি করছো?ছাড়ো বলছি।
রিয়াদকে বলল তাসনিম।
-“রিয়াদ তাসনিমের কোমর ধরে আস্তে আস্তে হেটে খাটের কাছে গিয়ে ঠাস করে খাটে ফেলে দিলো।তারপর নিজে তাসনিমের উপর শুয়ে পড়ে তাসনিমের গলায় কিস করতে থাকলো।”
-“রিয়াদ ছাড়তে বলছি কিন্তু। ছাড়ো নিচে যেতে হবে আন্টি ডেকে গেছে কিন্তু।
হাসতে হাসতে বলল তাসনিম।”
-“নাহ আজকে কোনো ছাড়াছাড়ি নেই।আজকে ছাড়ছি না তোমাকে।আমার এখনো হয়নি।
কিস করতে করতে আমতা আমতা করে বলল রিয়াদ।”
-“আরে আদর করার অনেক সময় আছে।আমিতে চলে যাচ্ছি না কোথাও।আর রাতও বাকি। খারাপ ভাববে আন্টি।ধুর সরোতো।”
-“রিয়াদকে ধাক্কা দিয়ে নিজের উপর থেকে ফেলে দিয়ে বলল,তাসনিম।”
-খাট থেকে উঠে এলোমেলো হওয়া কাপড় ঠিক করে নিয়ে আয়নার সামনে গিয়ে মাথার এলোমেলো হওয়া চুল ঠিক করে নিলো।”
-“রিয়াদ খাটের উপর চিৎ হয়ে হয়ে অমনেই শুয়ে আছে।তাসনিম নিজে রেডি হয়ে রিয়াদকে টেনে তুলে নিয়ে নিচে চলে আসলে।”
-“সবাই একসাথে খেতে বসলো।হাউজ কিপার ওখানকার স্থানীয়। সেও খুব ভালো মনের একজন লোক।
-“তাসনিম তুমি তো রিয়াদের রুম দেখলে তাসনিয়ার রুম দেখবে না?
খেতে খেতে বলল,রাজন সাহেব।”
-“জার্মানির খাবার খেতে খুবই আনইজি লাগছে তাসনিমের।”
-“হ্যাঁ আংকেল,দেখবো তো।আমিতো তখনই দেখতে চেয়েছিলাম।খাবার মুখে নিয়ে বলল তাসনিম।
-“খাওয়া শেষ করে সবাই রওনা হলো তাসনিয়ার রুম উদ্দেশ্য করে।”
খুবই কষ্টে খাবারগুলো শেষ করেছে তাসনিম।রিয়াদের পূর্বের অভ্যাস থাকায় গপগপিয়ে খেয়ে উঠেছে।”
-“চাবি দিয়ে রুম খুলে দিলো রেহেনা বেগম।একে একে সবাই ঢুকলো রুমের মধ্যে। তাসনিম রুমে ঢুকে হতভম্ব হয়ে গেলো।এই রুম রিয়াদের রুম থেকে দ্বিগুণ বড় আর চারগুণ সুন্দর।”
-“এখনো ঠিক সেইভাবে আছে সবকিছু। রুমের এক একটি জিনিসে হাত বুলাতে বুলাতে বলল রিয়াদ।”
-“তাসনিমের হঠাৎ মনে পড়লো রিয়াদের ওয়াশরুমের কথা। তখনি সাথে সাথে ওয়াশরুমের দরজা ঠেলে ভিতরে দেখতে গেলো তাসনিম।”
-“নাহ,এটাও রিয়াদের মতনই।তেমন পার্থক্য নেই।
খানিকটা সময় রুমে অবস্থান করে সকলে একেক করে বেরিয়ে এলে রেহেনা বেগম পুনরায় দরজায় তালা লাগিয়ে দিয়ে চলে যান নিজেদের রুমে।সাথে সাথে রাজন আংকেল ও চলে যায় রিয়াদ তাসনিমকে নিজের রুমে চলে যেতে বলে।”
-“রুমে ঢুকে দরজা লাগাতেই ইলেক্ট্রিসিটি চলে যায়।পুরো বাড়ি হয়ে যায় অন্ধকার।”
একটু পরে দরজার বাইরে রাজন আংকেলের গলা শুনা যায়।
তিনি চেচিয়ে বলছেন,,
আজকে ইলেক্ট্রিসিটির কিছু কাজ করবে।আগেই এনাউন্সমেন্ট করে জানিয়ে দিয়েছিলো।ইলেক্ট্রিসিটির অপেক্ষা না করে ঘুমিয়ে যাও।আর এমনিতেই কখনো এখানকার ইলেক্ট্রিসিটি যায় না।”
-“গা থেকে টি-শার্ট খুলে ফেলল রিয়াদ।পাতলা ট্রাউজার আর হাতা কাটা শর্ট গেঞ্জি পরে আছে রিয়াদ।
-“উফ্,খুবই গরম লাগছে তো।হাফ ছেড়ে অস্থির হয়ে বলল,তাসনিম।”
-“যাও তো বেলকনির থাই গ্লাসটা খুলে দিয়ে এসো।রিয়াদকে বলল তাসনিম।”
-“বেশি গরম লাগলে শাড়ি খুলে ফেলো।
তাসনিমকে অন্ধকারে জড়িয়ে ধরে বলল রিয়াদ।”
-“ধুর কি যে বলো।যাও থাই খুলে দিয়ে এসো।
রিয়াদের গালে একটা কিস দিয়ে বলল তাসনিম।”
-“লক্ষী ছেলের মতন রিয়াদ গিয়ে থাই খুলে দিয়ে এলো।
ফিরফির করে ঠান্ডা হাওয়া এসে ঢুকছে রুমে।”
-“রিয়াদ ফিরে এসে তাসনিমের শাড়ির আঁচল ধরে টান দিয়ে শাড়ি খুলতে লাগলো।”
-“কি করছো?ছাড়ো তো।
রিয়াদকে বলল তাসনিম।
-“তাসনিমের কথা যেনো রিয়াদ শুনতেই পায়নি।টেনে টেনে তাসনিমের পুরো শাড়ি খুলে ফেলল রিয়াদ।শাড়িটা বিছানার এক পাশে রেখে তাসনিমকে হালকা একটা ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিলো নরম বিছানায়।”
-“তাসনিম শুধু অন্ধকারে সব অনুভব করছে।রিয়াদ সোজা তাসনিমের উপর শুয়ে পড়লো।শুয়ে তাসনিমের মাথা থেকে কিস করতে শুরু করল।এক হাতে তাসনিমের মুখের উপরে চুল চলে আসলে তা সরিয়ে দিতে লাগল।”
-“ঠোঁটের কাছে এসে আটকে গেলো রিয়াদের ঠোঁট। আবারো তাসনিমের গোলাপি কোমল মসৃণ ঠোঁটে ঠোঁট ডুবিয়ে দিলো রিয়াদ।যেন ছাড়তেই চাইছে না।একপর্যায়ে তাসনিম তার ঠোঁটে কামড়ের অনুভূতি পেলো।”
-“তাসনিমও কি কম যায় নাকি?সেও রিয়াদের ঠোঁটে কামড় বসিয়ে দিলো।
তাসনিম আস্তে আস্তে রিয়াদকে নিজের উপর থেকে সরিয়ে রিয়াদের বুকের উপর উঠে গেলো।এখনো ঠোঁট ছাড়েনি রিয়াদ।”
-“এভাবে হঠাৎ কখন কে ঘুমিয়ে পড়ল কেউ বুঝতে পারলো না।”
-“সকালে প্রথম ঘুম ভাংলো তাসনিমের।রিয়াদের বুকের উপর মাথা রেখে ঘুমিয়ে ছিল সে।আস্তে উঠে গিয়ে গোসল করে ফ্রেশ হয়ে কাপড় পাল্টে বাইরে এলো তাসনিম।”
-“রিয়াদ এখনো ঘুমিয়ে আছে।এলোমেলো চুলগুলোর কিছু কপালের উপর এসে রয়েছে।ঘুমন্ত রিয়াদকে আরো বেশি সুন্দর লাগে।যেটা তাসনিম আগে কখনো লক্ষ্য করেনি।”
-“লাল টকটকে ঠোঁট দুটো রিয়াদের সুন্দর্য আরো বাড়িয়ে দিচ্ছে দ্বিগুণ।”
তাসনিম রিয়াদকে এমনভাবে দেখে নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারলো না।”
-“রিয়াদের ঠোঁটে আবারো একবার ভালোবাসার পরশ একে দিলো তাসনিম।”
কিস দিয়ে উঠেই যাচ্ছিলো তখনি রিয়াদ তাসনিমের হাত টেনে ধরল।”
-“তুমি জাগনো?
খানিকটা ভ্যাবাচেকা খেয়ে বলল,তাসনিম।”
-“হুম,জাগনো।আর সক্কাল সক্কাল বউ আমাকে এরকম আদর করলো।তাহলে আমাকেও একটু বউকে আদর করা দরকার।নাহলে তো নিজের কাছে নিজে ছোট হয়ে যাবো।”
-“এটা বলেই তাসনিমকে একটানে বুকের উপর ফেলে দিয়ে কপালে কয়েকটা কিস করল রিয়াদ।”
তারপর ছেড়ে দিয়ে নিজেও উঠে গেলো বিছানা ছেড়ে।
-“ফ্রেশ হয়ে ওয়াশরুম থেকে বাইরে বেরিয়ে এলো রিয়াদ।এখনো ইলেক্ট্রিসিটি আসেনি।”
-“এখনো ইলেক্ট্রিসিটি আসলো না?
তাসনিমের দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করল রিয়াদ।”
-“খুব সুন্দর লাগছে।টাউয়েল পেছানো সেন্টু গেঞ্জি গায়ে রিয়াদকে দেখে বলল তাসনিম।”
-“তেমাকেও খুব খুব খুবই সুন্দর লাগছে। তাসনিমের দিকে তাকিয়ে বলল রিয়াদ।”
-“কাপড় চোপড় পরে গোছগাছ হয়ে পরীর মতো খাটে বসে রয়েছে তাসনিম।”
-“তুমি আজকে এভাবেই থাকো প্যান্ট, টি-শার্ট পরতে হবে না।
রিয়াদের দিকে তাকিয়ে হাসতে হাসতে বলল তাসনিম।”
-“ফাজলামো করো নাকি তুমি?
প্যান্ট পরতে পরতে বলল রিয়াদ।”
-“রিয়াদের কথা শুনে ফিক করে হেসে দিলো তাসনিম।
হাসির মাঝেই দরজায় নক করলো কে যেনো।”
-“রিয়াদ, বাবা খেতে আয় কতো বেজে গেলো এখনো ঘুমাচ্ছে।”
-বাইরে থেকে বলল,রেহেনা বেগম।”
-“রেহেনা বেগমের কথা শুনে তড়িঘড়ি করে প্যান্ট আর টি-শার্ট পরে নিলো রিয়াদ।অতঃপর তাসনিম গিয়ে দরজা খুলে দিয়ে বলল,,
-“আরে আন্টি কে বলেছে আমরা এখনো ঘুমিয়ে আছি?আমরা তো সেই কখন উঠেছি।”
-“খুবই ভালো। নিচে আসো আংকেল তেমাদের জন্য টেবিলে ওয়েট করছে। ”
এটা বলে নিচে চলে গেলো রেহেনা বেগম।”
-“রেহেনা বেগম যাওয়ার পরপরই খাবার টেবিলে গিয়ে বসলো দুজন।”
রিয়াদ তাসনিমকে দেখে মুচকি একটি হাসি উপহার দিলেন রাজন সাহেব।”
-“রিয়াদ তোমার বাবাকে ফোন করে আজই আসতে বলেছি।”
খেতে খেতে বলল রাজন সাহেব।
-“কেন আংকেল হঠাৎ বাবা?
খাওয়া রেখে জিজ্ঞেস করল রিয়াদ।”
-“ওহ সরি!তোমার মা আর বেনকেও।
রিয়াদের দিকে তাকিয়ে পুনরায় বললেন রাজন সাহেব।
-“আসলে আমি ভুলেই গিয়েছিলাম যে কালকের দিন পরে মানে পরশুদিন আমাদের কোম্পানির দশ বছর পূর্ণ হবে।আগে খেয়াল থাকলে তোমাদের সাথেই সবাইকে আসতে বলতাম।”
রিয়াদকে প্রশ্নের সুযোগ না দিয়ে নিজেই বললেন রাজন সাহেব।”
-“হুম,খুবই মজা হবে সবাই আসলে। খুশির চোটেএকপর্যায়ে জোরে চিল্লাতে চিল্লাতে বলে উঠল তাসনিম।”
-“তাসনিমের এরকম বিহেভিয়ারের জন্য হাউজ কিপার সহ উপস্থিত সকলেই হেসে উঠলো। ”
-“তো ভিসা রেডি করে আজকেই যেন লাস্ট ফ্লাইটে উঠে যায়।তাহলে কাল সকাল সকাল চলে আসবে।পরে সারাদিন সারারাত বিশ্রাম করবে।তারপরের দিন তো অনুষ্ঠানই।”
রিয়াদের দিকে তাকিয়ে বলল রাজন সাহেব।”
-”আচ্ছা, আপনি তো বলেছেনই,আর আবারো আমি ফোন করে বলে দেবো।”
তো অনুষ্ঠান হবে কোথায়?
রাজন সাহেবকে প্রশ্ন করল রিয়াদ।”
-“হবে হচ্ছে আমাদের কোম্পানির সামনের বড় ফিল্ড টাতে।”
রিয়াদকে বললেন রাজন সাহেব।
-“খুবই ভালো হবে।ওখানে সব কভার হয়ে যাবে।আর সবাইকে ইনভেটেশন করেছেনতে?
রাজন সাহেবকে জিজ্ঞেস করল রিয়াদ। ”
হ্যাঁ আমাদের ম্যানেজারকে সব দায়িত্ব সকালে বুঝিয়ে দিয়েছি।
খাওয়া শেষ করে বেসিনে গিয়ে হাত ধুতে ধুতে বললেন রাজন সাহেব।”
-“রিয়াদ তাসনিমের খাওয়াও শেষ হয়ে গেলো।
আচ্ছা, তাহলে তাসনিমকে আজকে বাইরে নিয়ে কিছু জায়গা ঘুরিয়ে নিয়ে আসি।কি বলেন?
রাজন সাহেবকে জিজ্ঞেস করল রিয়াদ।”
-“হ্যাঁ, যাও তবে কেয়ারফুল।
একাসাথে রাজন সাহেব আর রেহেনা আন্টি বলে উঠল।
-“দুজনে বাসা থেকে বেরিয়ে গেলো।তারপর বাবার কাছে ফোন দিয়ে আসার ব্যাপারে কথা বলে নিলো।
-“রিয়াদ নিজের চেনাজানা সব জায়গাগুলোর কিছু জায়গা ঘুরে দেখালো।”
দুপুরের লাঞ্চ একটি বাঙালি হেটেলে ইলিশ মাছ আর গরুর মাংস দিয়ে করলো দুজনে।”
-“আরো ছোটখাটো কিছু জায়গা ঘুরে বাসার দিকে গাড়ি ছোটালো রিয়াদ।সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসছে।কয়েকঘন্টা পর বাসায় এসে পৌছাল দুজন।”
-“ঘরে বসে মেবাইলে কিছু পিক দেখছে।তাসনিম।সারাদিন রিয়াদকে সাথে নিয়ে অনেকগুলো পিক তুলেছে সে।বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানের অদ্ভুত সুন্দর দৃশ্যগুলোও ক্যামেরা বন্দী করে নিয়েছে সে।”
-“রাতের খাবার শেষ করে দুজনে শুয়ে পড়লো।সকালে ঘুম থেকে উঠেই রিয়াদ দেখে বাবা-মা আর রিয়া হাজির।তাসনিমতো তাদেরকে পেয়ে মহাখুশি।
-“সারাদিন গল্প গুজবে কি করে সময়গুলো যে চলে গেলো তা কিছুতেই বুঝতে পারলো না কেউ।
-“সন্ধ্যাবেলা নিজেদের রুমে বসে গতকালের পিক একটা একটা করে রিয়াকে দেখাচ্ছে তাসনিম।
রিয়া যতই দেখছে আর মুগ্ধ হচ্ছে ততই।”
-“এমনভাবে একসময় ডাক পড়লো খাবারের জন্য। সবাই একসাথে বসে ডিনার করলো।”
ডিনার শেষে রেহান সাহেব আর রাজন সাহেব কালকের অনুষ্ঠান নিয়ে কথা বলতে লাগলো।রাহি বেগম আর রেহেনা বেগম ও গল্পে মেতে উঠলো।”
-“রিয়ার সাথে টাইম স্পেন করছে তাসনিম।আর এদিকে রিয়াদ বেচারা পড়েছে মহা বিপদে।একলা বোধ করছে সে।অথচ বাড়িভর্তি লোকজন।”
-“তাসনিমের তোলা বাকি পিকগুলো না দেখে ছাড়ছে না রিয়া।তাসনিম সব পিক আস্তে আস্তে দেখাতে লাগল রিয়াকে।রিয়াদ তাসনিমের পাশে শুয়ে পড়তেই চোখের পাতা ঘুমে ভারী হয়ে এলো।একসময় নিজের অজান্তেই ঘুমিয়ে পড়লো রিয়াদ।”
-“সকলে প্রথম ঘুম ভাঙলো রিয়াদের।চোখ খুলে দেখলো তাসনিম জড়িয়ে ধরে গায়ের উপর দিয়ে পা উঠিয়ে দিয়ে ঘুমিয়ে আছে।
মাথা উচু করে দেখল তাসনিমের ওপাশে রিয়াও ঘুমিয়ে আছে ওদিকে মুখ করে।”
-“আস্তে করে তাসনিমের মুখের উপর আসা চুলগুলো সরিয়ে দিলো রিয়াদ।নিজের মুখটা তাসনিমের কপালের কাছে নিয়ে কপালে একটা কিস করলো রিয়াদ।
কিস করতেই তাসনিম চোখ খুলে ফেলল।”
-“পিছনে একনজর রিয়াকে দেখে রিয়াদকে আরো শক্ত করে জড়িয়ে ধরল। রিয়াদও তাসনিমকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে কয়েকটা কিস করল।তাসনিমও কয়েকটা কিস করল।”
-“ওই ছাড়ো!তোমার বেন উঠে যাবে।
ফিসফিস করে বলল তাসনিম।”
-“ওকে রাখছো কেনো?
গলায় একটা কিস দিয়ে বলল রিয়াদ।
-“ধুর ছাড়োতো।রিয়াদকে সরিয়ে দিয়ে উঠে বসে পড়লো তাসনিম।”
তারপর রিয়াদ উঠে ফ্রেশ হয়ে বেলকনিতে গিয়ে দাড়ালো।
রিয়াকে ডেকে নিলো তাসনিম।রিয়াও উঠে ফ্রেশ হয়ে নিলো।তারপর তিনজনে নিচে চলে আসলো।”
-“অনুষ্ঠানের তোড়জোড় শুরু হয়ে গেছে অলরেডি।সারারাত নাকি বাকিরা কেউই ঘুমোয়নি।”
ঘন্টাখানেক বাদে সকলে ব্রেকফাস্ট সেরে অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্যে রওনা হলো।
একেক করে সবাই উপস্থিত হলো সেখানে।শহরের গণ্য মান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত হলো সবাই।
-রিয়াদকে নতুনভাবে আর তাসনিমকে সবার সামনে পরিচয় করিয়ে দিলো রাজন সাহেব।
-“আজ কেনো জানি মনে রিয়াদের মনে হচ্ছে তাসনিমকে বিয়ে করার প্রথম কয়েকদিনের কথা।
হঠাৎ এগুলো মনে হওয়ায় খুবই খারাপ লাগছে রিয়াদের।কিভাবে তাসনিমের সাথে খারাপ ব্যবহার করেছে রিয়াদ।কতো মাইর ও দিয়েছে।সিগারেট খাওয়াকালীন সিগারেটের ছ্যাঁকাও দিয়েছিলো।সকালে তাসনিমের নাভীর দিকে চোখ পড়তেই দেখেছে সিগারেট দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া দাগটা।”
-“তাসনিম রিয়াদের চোখে মুখে অস্থিরতার ভাব দেখতে পেয়ে চিন্তায় পড়ে গেলো।কোনরকম সারাদিন অনুষ্ঠান কাটিয়ে রাতের বেলা রিয়াদকে একা পেয়ে কাছে গেলো।”
-“সেদিনের মতে আজও রিয়াদ বেলকনিতে দাঁড়িয়ে বেলকনির গ্রিল ধরে নিচু হয়ে দাড়িয়ে আছে।
-”তোমার কি কিছু হয়েছে?সেই সকাল থেকে দেখছি তোমার মন খারাপ।
সেদিনের মত আজও পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে জিজ্ঞেস করল তাসনিম।
-“তাসনিমকে সরিয়ে দিয়ে তাসনিমের দিকে ফিরে দাড়ালো রিয়াদ।
-“আচ্ছা আমি তোমাকে প্রথম প্রথম অনেক অত্যাচার করেছি।অনেক খারাপ ব্যবহার করেছি।তোমার কখনো আমাকে ছেড়ে যেতে ইচ্ছে হয়নি?
তাসনিমের চেখের দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করল রিয়াদ।
-“আমার একমুহূর্তের জন্যও এটা মনে হয়নি।আমি জানতাম,আমার একটা বিশ্বাস ছিলো তুমি ঠিক হয়ে যাবে।আমি তেমাকে ঠিক করতে পারতাম।এই আশায় বেচেঁ ছিলাম।রিয়াদের দিকে তাকিয়ে হেসে হেসে বলল তাসনিম।
-“তাসনিমের কথা শুনে রিয়াদ তাসনিমকে জড়িয়ে ধরলে।তাসনিম বলে উঠল, হ্যাঁ প্রিয়!তোমার আশায় বেচেঁ আছি।{l live in your hope}
সমাপ্তি