সৎ বোন #পর্বঃ ০৪

#সৎ বোন
#পর্বঃ ০৪
#লেখকঃ জুনায়েত

খুব সকালেই ঘুম থেকে উঠে পড়লাম।
আর উঠেই আব্বুর রোমে চলে গেলাম।যে
করেই হোক আব্বুকে বলে রানির ওই ছেলের সাথে মেশা বন্ধ করতে হবে!!আমি জানি আব্বুকে বললে কিছু একটা
উপায় নিশ্চয় বের হবে। আমি আব্বাুর
রোমের দরজার সামনে গিয়ে দাড়ালাম।
আর আব্বুকে ডাকছিলাম আব্বু, আব্বু
একটু দরজারা খুল ত। তুমার সাথে আমার একটু কথা আছে!!

প্রায় ১০ মিনিট হয়ে গেল আব্বুকে ডাকছি আব্বু উঠছে না। কোন সারা শব্দ
নেই। আব্বু ত কখনো এমন করে না।এবার আমার একটু সন্দেহ হলো।আমি
আম্মুর থেকে চাবিটা নিয়ে আসলাম আর
দরজা খুলে ভিতরে যা দেখলাম তা দেখার জন্য মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না।
আব্বু আর বেঁচে নেই। আব্বু মারা গেছে।চলে গেছে না ফেরার দেশে। আমার আর
আপন বলতে কেউ রইলো না। রানির পরেই আব্বু ছিল আমার সব।এখন আব্বু নেই। রানির কাছে ত আমি ভাজে ভাইয়া।

আমার জীবনের সকল আনন্দ নিমিষেই
নিভে গেল। একে একে সবাই আসলো।রানি আর আমি আব্বুর পাশে বসে কাদছিলাম।আম্মু কাদেনি। মনে হয় উনি একটু খুশি হয়েছে এই মানুষটার মৃত্যুতে।
খেয়াল করলাম রকি নামের রানির বয়ফ্রেন্ডটাও এসেছে।। পরক্ষণেই রানি উঠে পড়লো আব্বুর কাছ থেকে আর
আম্মু, রানি আর রকি মিলে কি যেন আলাপ করছে.। আমি কিছু বললাম না। আব্বুকে কবরস্থান এ মাটি দেওয়া হলো।

আব্বু মারা যাওয়া পর আমার সৎ মায়ের
অত্যাচার দিন দিন বেড়ে গেল। এখন রানি আর আমার খুজ নেই না। সারা দিন রকির সাথে ফোনে কথা বলে। আর কি যেন প্লেন করছে। কিন্তু আব্বু আমাকে
তার মারা যাওয়ার আগে বলেছিলো আমি যেন কখনো আমার সৎ মা আর সৎ বোনকে কষ্ট না দেয়। আব্বুর শেষ ইচ্ছে টা যে করেই হোক পূরন করতেই হবে। নয়তো আব্বুর আত্মা কষ্ট পাবে।

কিছুদিন পরের কথা রোমে শুয়ে ছিলাম
। বাবার কথা খুব মনে পড়ছিল। একটু পর রানী আমার রোমে আসলো।আমি
ভাবলাম হয়তো আমাকে সরি বলবে। রোমে এসেই রানি দরজা বন্ধ করলো। আমি জিজ্ঞেস করলাম কিরে দরজা বন্ধ করছিস কেন?? পরক্ষণেই রানি ওর জামার হাতাটা টান দিয়ে ছিড়ে ফেললো।আমি বললাম কি করছিস বোন?? রানি চিৎকার করলো বাঁচাও বাঁচাও।

পরক্ষণেই মা আর ওই রকি আর পাশের
বাড়ির কয়েকজন লোক রোমের দরজার সামনে আসলো।আর রানি দরজা খুলে দিলো। আর বললো ভাইয়া আমার সাথে খারাপ কিছু করার চেষ্টা করেছে। সবাই এসে বললো ছি ছি ছেলেটা এতো খারাপ। আমি কিছু বুঝতেই পারলাম না।
রানি আমার সাথে কেন এমন করলো।রকিকে দেখার পর আমার আর বুঝার বাকি রইলো না এটা ওদের ৩ জন এর প্লেন। আমি কথা বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। শুধু দুই চোখ দিয়ে অঝর ধারাই পানি পড়ছে। ওরা সবাই মিলে আমাকে অনেক মারলো। আর পুলিশ খবর দেওয়া হলো।।
চলবে…..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here