লেডি_হ্যাকারের_সাইকোগিরি,০৬,০৭

#লেডি_হ্যাকারের_সাইকোগিরি,০৬,০৭
#লেখক_আকাশ_মাহমুদ
#পর্ব_৬

–প্রধান আমার সাথে পাঙ্গা নেওয়া উচিৎ হয়নি তোর।
দেখলি তো মহূর্তের মাঝেই তসনস করে দিলাম তোর অহংকারকে।আমার সাথে পাঙ্গা নেওয়ার আগে অন্তত আমার সম্পর্কে একবার জেনে নেওয়া উচিৎ ছিলো তোর,যে কার সাথে পাঙ্গা নিচ্ছিস।তোর ভাবা উচিৎ ছিলো,যে কিনারায় পাবি কি ঠাই,নাকি সে তোকে জ্বালিয়ে দিয়ে করে দেবে ছাই।মর এবার লোহার কুঠুরিতে।অহংকারের পতন মাত্র শুরু।কাল দেখ আরো কি হয়।মাথা ভর্তি রাগ নিয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম।
.
সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠে রুটিন মোতাবেক ক্লাসে চলে গেলাম।তিন ঘন্টা করে শেষের ঘন্টার আগে বেরিয়ে এলাম।কারন অহংকারী লোক গুলোকে দেখতে থানায় যাবো একটু।রিক্সা নিয়ে থানায় চলে এসেছি।থানার ইনচার্জ আমার দেখে জিগ্যেস করছে…

–এই ছেলে থানায় কি কাজে এসেছো?

–স্যার আমি প্রধান স্যারদের সাথে দেখা করতে এসেছি।আমি একটু উনাদের সাথে দেখা করতে চাই।

–নাহ উনাদের সাথে দেখা করার পারমিশন নেই কারোর।

–স্যার প্লিজ আমি অল্প সময়ের জন্য যাস্ট দেখা করবো।দুই-চার মিনিট সময় দিন স্যার আমায় প্লিজ।

–প্রধান তোমার কি লাগে যে উনার সাথে দেখা করতে এভাবে মিনতি করছো?

–আমার শিক্ষক হোন তিনি।তিনার খুব কাছের মানুষ আমি।উনি আমায় নিজেই কম্পিউটার সম্পর্কে খুটিনাটি ধারণা দেন।

–তার মানে কি প্রধানের সাথে হ্যাকিংয়ে তুমিও জড়িত?

–না,না স্যার ওসব কিছু না।আমি তো ভালো করে কম্পিউটার ও চালাতে পারি না।কি ভাবে হ্যাকিং ট্যাকিং করবো।উনি যাস্ট আমায় নিজের কাছে রেখে কম্পিউটারে শেখায়।কারন উনি আমার আত্নীয় হয় সম্পর্কে।

–আচ্ছা ঠিক আছে যাও দেখা করো।তবে সময় বেশি না পাঁচ মিনিট।

–ঠিক আছে স্যার।
অনুমতি নিয়ে ভিতরে চলে গেলাম ‘চামড়াছিলা’ মুরগী গুলোকে দেখার জন্য।ভিতরে গিয়ে দেখি বেস্ট ইলেভেনের সব কয়টাকে এক কক্ষে ঢুকিয়ে রেখেছে।আর ‘চামড়াছিলা’ প্রধান মুরগীটা এবং জেমসকে এক কক্ষে আটক করে রেখেছে।সোজা জেমস এবং প্রধানের কাছে চলে গেলাম।স্যার কেমন লাগছে এখন?
প্রধান আমার কথার কোনো উত্তর না দিয়ে চোখ পাকিয়ে তাকিয়ে আছে!আমি আবারো জিগ্যেস করলাম।ও স্যার কেমন লাগছে লোহার বেড়িঘরে?

–কেন এসেছিস এখানে?

–অহংকারী মুরগী গুলোকে দেখতে।

–এই ছেলে একদম বেয়াদবি করবি না,তুই কিন্তু ভালো করে এখনো আমায় চিনিস নি।আমি কিন্তু তোর জীবনটাকে পুরো নড়ক বানিয়ে দিব।

–স্যার তার আগে তো চার দেয়াল থেকে নিজেকে মুক্ত করেন।

–সে আমি করে নিব।কারন আমার মতন লোককে বেশিক্ষণ এই লোহার বেড়িঘরে আঁটকে রাখবে,এমন বুকেরপাটা কারোর হয়নি।আর মনে রাখিস আমি আইসিটি প্রধান।আমার ক্ষমতাও কম নয়।

–হা,হা স্যার,এতো ক্ষমতা দিয়ে কি হলো?পেরেছেন নিজেকে আঁটকে রাখতে থানায় আসা থেকে?
পারেন নি তো?সো মনে রাখবেন যার তার সাথে পাঙ্গা নিয়ে পেরে উঠা যায় না।বাপে রো বাপ থাকে।
তারজন্য সব সময় মানুষকে গুনে বেছে চলতে হয়।না হয় যে কারোর সাথে পাঙ্গা নিতে যাবেন তো এই হালত হবে।

–বেটা তোকে তো আমি ছাড়বো না।আমি ভালো করেই জানি,যে তুই আমাদের সবাইকে ফাঁসিয়েছিস।সো তোর রক্ষা নেই আমার হাত থেকে।পুলিশ তো আমায় বেশি সময় এই লোহার বেড়িঘরে আঁটকে রাখতে পারবে না,কারন আমার হাত অনেক লম্বা।আর বাকি রইলো বেস্ট ইলেভেন,তারাও তোকে ছাড়বে না।কারন তাঁদের তুই ফাঁসিয়েছিস।তুই ভালো করে জানিস এই না যে বেস্ট ইলেভেন কি জিনিস।তাঁদের নাম খারাপ হয়েছে তো কি হয়েছে,কিন্তু তারপরেও তারা পারদর্শী হ্যাকিংয়ের দিক দিয়ে।তাঁদের মতন ভয়ানক হ্যাকার অনেক কম এই আছে এই দেশে।তাঁদের সাথে পাঙ্গা নেওয়া দু-চারটে কথা নয়।মনে কর তোর মৃত্যু নিশ্চিত।তুই আমাদের যে ভাবে ফাঁসিয়েছিস,ঠিক একই ভাবে বেস্ট ইলেভেনকে দিয়ে তোকে হ্যাকিং এর মামলায় ফাঁসাবো।খালি একবার বের হই থানা থেকে।আর অল্প কিছু সময় তুই দুনিয়ায় বুকে মুক্ত পাখির মতন উড়ে বেড়া।তারপর ইহজীবনের জন্য তোর পঁচে মরতে হবে লোহার বেড়িকলে।আর আমাদের উপরে যেই মিথ্যে অভিযোগ এসেছে,সেটা তোর নামে হয়ে যাবে।সাথে আরো কিছু অভিযোগ লাগাবো তোর উপরে।যা বৎস জ্বি লে আপনি জিন্দেগী।

প্রধানের কথা শুনে আকাশের চরম হাসি পায়।সে শব্দ করে হাসতে শুরু করে।আকাশের হাসি দেখে প্রধানের আরো রাগ উঠে যায়!

–এই বেটা সামনে থেকে যা আমার।

–ঠিক আছে স্যার চলে যাচ্ছি।কিন্তু তার আগে আপনার সাথে পার্সোনাল একটা কথা আছে।যেটা আপনার শুনে নেওয়া উচিৎ।হয়তো আপনার উপকারে আসবে।

–কি কথা?

–বলছি কিন্তু কানটা একটু সামনে আনুন।না হয় জেমস শুনে ফেলবে।

জেমস দেওয়ালের সাথে পিঠ হেলান দিয়ে বসে আছে।আর প্রধান লোহার বেড়িবাঁধের সামনে এসে আকাশের সাথে কথা বলছে।

–না তুই এমনেই বল।জেমস শুনলে সমস্যা নেই।

–স্যার আসলে আপনার ইজ্জৎ এর ব্যাপার স্যাপার।তাই চাইচ্ছিলাম কানে কানে বলতে কথাটা।

–আচ্ছা ঠিক আছে বল।আমি কান সামনে নিয়ে এসেছি।

প্রধান আকাশের একটু সামনে এগিয়ে আসে।তখনি আকাশ লোহার রাডারের ভিতরে হাত ঢুকিয়ে প্রধানের ঘাড় চেপে ধরে তাঁকে টান দিয়ে একদম লোহার রাডারের সাথে লাগিয়ে ফেলে।তারপর প্রধানের কানের সামনে মুখ নিয়ে গিয়ে বলে…

–শোন এতো সময় ভালো মতন ব্যবহার করেছি।কিন্তু এখন আর না।একটা কথা কান খুলে শুনে রাখ।তোর অহংকার আর বেস্ট ইলেভেনের পাওয়ার অন্য কোথাও গিয়ে দেখাবি।কারন তোদের মতন দুই টাকার প্রধানকে আকাশ গণনায় ধরে না।আর বেস্ট ইলেভেনের কথা তো বাদ এই দিলাম।তাঁদের মতন বাচ্চা হ্যাকারকে ফু দেওয়ার আগেই উড়ে যাবে।
কালো জগতের “Z” নামক হায়েনাটার নাম তো শুনেছিস তাই না?আমি তোর হ্যাকিং দুনিয়ার চৌদ্দ আদিপুরুষ” Z”।কার সাথে হ্যাকিং এর ফাঁপর নিস মুরগীর বাচ্চা প্রধান?কি ভাবিস আমাকে নিয়ে,যে দুই টাকার ছেলে আমি?তাহলে ভুল ভাবিস।কান খুলে একটা কথা শুনে রাখ।আমার সাথে পাঙ্গা নেওয়ার আগে অনেক কয়বার ভেবে নিবি,শুধু বড় গলায় কথা বলার কারনেই যদি তোদের ঠিকানা লোহার কুঠুরি হয়,তাহলে ভেবে নে আমার সাথে লাগতে আসলে তোদের কি হাল হবে।আবারো বলছি ভালো হয়ে যা।না হয় তোদের মতন দু-চারটা প্রধানকে মাটির নিচে গাড়তে আমার বেশি একটা সময় লাগবে না।বাড়াবাড়ি করলে একদম সব কয়টাকে জ্যান্ত মাটির নিচে পুঁতে দিব মাথায় রাখিস।চললাম এবার…

তারপর আকাশ প্রধানকে ছেড়ে দিয়ে সোজা থানা থেকে বেরিয়ে যায়।আর এদিকে প্রধান ধ্রামমম করে মাটির উপরে বসে পড়ে।আর দু-হাত কানে দিয়ে শক্ত করে কান চেপে ধরে।প্রধানের এই অবস্থা দেখে জেমস তাড়াতাড়ি বসা থেকে উঠে দৌড়ে আসে।

–স্যার আপনার কি হয়েছে?
আর সেই ছেলে এতো বড় বেয়াদবি কেন করলো আপনার সাথে?

–চুপ,চুপ,চুপ।
সে কোনো ছেলে না।সে ভয়ংকর হিংস্র প্রাণী।

–মানে কি স্যার?
কিসব উল্টা পাল্টা বলছেন আপনি!

–উল্টো পাল্টা না,সত্যিই বলছি আমি।সে ভয়ংকর এক চিতাবাঘ।যার নাম হলো “Z”।

প্রধানের মুখে আকাশের আসল পরিচয় পেয়ে জেমস ও দু-হাত দিয়ে নিজের কান চেপে ধরে কয়েক পা পিছনে চলে যায়!কারন তাঁদের দু’জনের কানেই এক ধরনের ভয়ানক পেইন দিচ্ছে!মানুষ যখন অপ্রত্যাশিত কোনো কিছুকে নিজের চোখে দেখে ফেলে,তখন কিন্তু অনেকেই নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারে না।যার ফলে তারা স্ট্রোক করে নিজের প্রাণ হারায়।যার ফলে দেহ যায় মর্গে,আর আত্মা যায় সর্গে।অবশ্য এখানে তেমন কিছু ঘটেনি,তবে তার থেকে কম কিছু ও কিন্তু হয়নি।তারা অপ্রত্যাশিত কিছু কথা নিজের কানে শুনে ফেলেছে!যে তারা যেই ছেলেটাকে সাদাসিধা মনে করতো,সে ছেলেটা আসলে চুপসে থাকা এক ভয়ংকর রাক্ষস!তাঁদের নিজের কানকেই যেনো তারা বিশ্বাস করাতে পারছে না আকাশের কথা গুলো শুনে!দুজনের কান দিয়ে যেনো ধোঁয়া বের হচ্ছে!এতোটা উত্ত্যক্ত হয়ে গিয়েছে তাঁদের কান!কানে হাত দিয়ে ভয়ংকর চাহনিতে দু’টো মানুষ দু’টো মানুষের দিকে তাকিয়ে আছে!কিন্তু কারোর মুখে কোনো কথা নেই!প্রধান তো একদম চুপচাপ হয়ে গিয়েছে!প্রধানের নিরবতা দেখে যেনো মনে হচ্ছে সে ভাজা মাছ টাও উল্টে খেতে জানে না!
তবে সত্যিটা কিনে ভিন্ন।আর সেটা আপনারা সবাই জানেন।
.
এদিকে আকাশ বাসায় এসে পড়েছে।
তার ভিতরটা অনেক হালকা লাগছে আজকে কেন জানি!তাই খাবার খেয়ে রুমের দরজা আঁটকে দিয়ে লম্বা একটা ঘুম দেয়।
.
অন্যদিকে..
থানার ঊর্ধ কর্মকর্তা এবং বিভাগীয় প্রধান বেস্ট ইলেভেনের কাছে যায়,আর তাঁদেরকে প্রেসার দেয়,যে তারা যেনো সমস্ত ওয়েবসাইটকে আগের মতন সচ্ছল করে দেয়।কিন্তু তারা অপারগতা শিকার করে।আর বলে যে তাঁদের কাছে এই ওয়েবসাইটের কোনো কিছুই নেই।এই ওয়েবসাইটের সিকিউরিটি অন্য কেউ দিয়েছে।আর যে দিয়েছে,সে কোনো নরমাল হ্যাকার না।তাই তাঁদের পক্ষে সম্ভব না সেই হ্যাকারের বিরুদ্ধে গিয়ে ওয়েবসাইটকে সচ্ছল করা।কারন সে ওয়েবসাইট হ্যাক করে অনেক কড়া সিকিউরিটি দিয়ে রেখেছে এর মাঝে।সবাই হতাশ হয়ে আইসিটি প্রধানের কাছে যায়।আর বলে..

–প্রধান সাহেব,আপনার বেস্ট ইলেভেন তো মানতেই নারাজ যে তারা সমস্ত ওয়েবসাইট হ্যাক করেছে।সো আপনিই তাঁদেরকে গিয়ে বুঝিয়ে বলুন,যে তারা যেনো সমস্ত ওয়েবসাইট রান করিয়ে দেয়।আর সিকিউরিটি সরিয়ে দেয়।প্রধান বিভাগীয় হেড কে বলে…

–এইসবের পিছনে আমাদের কারোর হাত নেই।এইসব অন্যকেউ করেছে।সো আমাদের কারোর পক্ষে সম্ভব না ওয়েবসাইট রান করা।

–প্রধান স্যার আমরা জানি যে আপনি বা আপনার ছেলেরা কিছুই করেনি।কিন্তু কি করবো বলেন,সমস্ত প্রমাণ আপনাদের দিকে।তাই আপনাদেরকে আটক করেছি।কিন্তু বিশ্বাস করুন আমাদের ও লজ্জা লাগছে আপনাকে এভাবে থানায় আঁটকে রাখতে।তাই আপনাদেরকে আমরা ছেড়ে দিব।কিন্তু তার জন্য আপনি আমাদেরকে একজন হ্যাকার খুঁজে দিন,যে কিনা সমস্ত ওয়েবসাইটকে সেই হ্যাকারের হাত থেকে ফিরিয়ে আনতে পারবে।

–এমন কোনো বাপের বেটা জন্ম হয়নি,যে কিনা সেই হ্যাকারের হাত থেকে সমস্ত ওয়েবসাইটকে ফিরিয়ে আনতে পারবে।তবে হ্যাঁ একজন আছে,যার নাম হলো “Z” আপনারা তার তালাশ করুন।সেই “Z” এই একমাত্র ব্যাক্তি,যে কিনা আপনাদেরকে এসবের হাত থেকে মুক্ত করতে পারবে।

–কোথায় পাবো সেই”Z”কে?

–ডার্ক ওয়েবে তাঁকে তালাশ করুন পেয়ে যাবেন।
অবশ্য আপনারা তাঁকে পাবেন না,সে নিজেই আপনাদের সাথে যোগাযোগ করবে।

প্রধান কেনো জানি “Z”এর বিষয় নিয়ে মুখ খুলে না।
সে চাইলে ” Z”মানে আকাশের পরিচয় বা ঠিকানা দিতে পারতো,কিন্তু সে আকাশের ব্যাপারে কিছুই বলে না।

–ঠিক আছে আমরা তাই করছি।

থানার লোকেরা ডার্ক ওয়েবে একটা নিউজ ছাড়ে “Z” এর নামে।যেখানে তারা উল্লেখ করে যে,”Z”এর সাহায্য তাঁদের প্রয়োজন।সেই সুযোগে”M.B.Z”, “Z” এর নামে ফেইক আইডেন্টিটি বানিয়ে তাঁদের সাথে যোগাযোগ করে।থানার লোক যখন তার সাথে ওয়েবসাইটের ব্যাপারে কথা বলে,তখন “M.B.Z” তাঁদের কাছে টাকা দাবী করে।বিভাগীয় প্রধান তখন তার সাথে একটা চুক্তিতে যায়।যে তাঁকে টাকা দেওয়া হবে তার চাহিদা মতন,কিন্তু কাজের শুরুতে সে পুরো পেমেন্ট পাবে না।
অর্ধেক সে কাজের শুরুতে পাবে,আর বাকিটা কাজের পরে।”M.B.Z”রাজি হয়ে যায়।তারপর কাজের আগের পেমেন্ট নিয়ে দুই ঘন্টার সময় চায়।কিন্তু দুঃখের বিষয় সে কোনো ভাবেই কোনো কিছু করতে পারে না!কারন সেখানে “Z” সিকিউরিটি দিয়ে রেখেছে।তাই “M.B.Z”
টাকা গুলো নিয়ে চুপচাপ কেটে পড়ে।দুই ঘন্টা পেরিয়ে গেছে সেই কবেই,কিন্তু ওয়েবসাইট আনলক হওয়ার কোনো নাম গন্ধ নেই।সবাই এখনো অপেক্ষা করে বসে।
কিন্তু “M.B.Z”তো ফেইক “Z”সেজে বহুকাল আগেই টাকা নিয়ে চম্পট হয়ে গেছে…
.
এদিকে আকাশ বিকাল বেলায় ঘুম থেকেই উঠে ভাবে,যে সে সমস্ত ওয়েবসাইট থেকে নিজের সিকিউরিটি সরিয়ে দিয়ে সবাইকে সবার ওয়েবসাইট ফিরিয়ে দিবে।কারন ওয়েবসাইট হ্যাক করার ফলে ওয়েবসাইটের মালিকদের অনেক সমস্যা হচ্ছে।আর আকাশ কারোর সাথে অন্যায় করতে রাজি না।তাই সে সবাইকে সবার ওয়েবসাইট ফিরিয়ে দেয়।
.
অন্যদিকে লেডি-হ্যাকার ফেইক নাম দিয়ে টাকা হাতিয়ে নিয়ে সেই টাকা দিয়ে বাহিরের দেশ থেকে ইন্টারন্যাশনাল অনেক কয়জন হ্যাকারকে হায়ার করে” Z”এর সিকিউরিটি প্রোগ্রামকে হ্যাক করার জন্য।যাদেরকে লেডি-হ্যাকার হায়ার করে,তারাও অনেক ভয়ংকর হ্যাকার।কালো জগতে তাঁদের ও বেশ নাম ডাক আছে।কিন্তু সেই নাম ডাক বাহিরের কান্ট্রির জন্য।রাত দশটায় লেডি-হ্যাকারের হায়ার করা সমস্ত ইন্টারন্যাশনাল হ্যাকার মিলে একসাথে”Z”এর কম্পিউটারের উপরে মিশন চালায়।লেডি-হ্যাকার মোট পাঁচজন হ্যাকারকে হায়ার করেছে।তারা সবাই ভিন্ন ভিন্ন কান্ট্রির।সবাই মিলে একই সাথে “Z”কে অ্যাটাক করার কারনে কম্পিউটারের সমস্ত সিকিউরিটি প্রোগ্রাম আনলক হয়ে যায়!সেটা দেখে লেডি-হ্যাকার এবং সমস্ত হ্যাকার খুশিতে আত্মহারা হয়ে যায়!কিন্তু তাঁদের কল্পনাতেও নেই যে”Z”সে তার কম্পিউটারের সামনেই বসে আছে।আর বসে বসে তাঁদের তামাশা দেখে হাসছে!

চলবে?

ভুল ত্রুটি গুলো ক্ষমার নজরে দেখবেন।

#লেডি_হ্যাকারের_সাইকোগিরি
#লেখক_আকাশ_মাহমুদ
#পর্ব_৭

লেডি-হ্যাকার মোট পাঁচজন হ্যাকারকে হায়ার করেছে।তারা সবাই ভিন্ন ভিন্ন কান্ট্রির।সবাই মিলে একই সাথে “Z”কে অ্যাটাক করার কারনে”Z”এর কম্পিউটারের সমস্ত সিকিউরিটি প্রোগ্রাম আনলক হয়ে যায়!সেটা দেখে লেডি-হ্যাকার এবং সমস্ত হ্যাকার খুশিতে আত্মহারা হয়ে যায়!কিন্তু তাঁদের কল্পনাতেও নেই যে”Z”সে তার কম্পিউটারের সামনেই বসে আছে।আর বসে বসে তাঁদের তামাশা দেখে হাসছে!

–হায়রে পাগলি,কেন করিস তামাশা আমার সাথে!
তোরা যতো বড় হ্যাকার এই হোস না কেন,এই জন্মে তোরা আমার সিকিউরিটি কোনোদিন ও ভাংতে পারবি না।তাও যা একটা সুযোগ দিলাম তোদের।একবার চেষ্টা করে দেখতে পারিস,যে আমায় তোরা কোনো ভাবে পরাজয় করতে পারিস কিনা।
.
লেডি-হ্যাকার এবং তার হায়ার করা ইন্টারন্যাশনাল পাঁচজন হ্যাকার মিলে আকাশের কম্পিউটার তাঁদের আয়ত্তে করে নেয়।অবশ্য সেটা আকাশের ইচ্ছাতেই হয়েছে।কিন্তু তারা কম্পিউটারের কোনো ফাংশনেই যেতে পারছে না।সমস্ত জায়গায় সিকিউরিটি করা।
ইন্টারন্যাশনাল হ্যাকারদের থেকে রোস্টার নামক যেই হ্যাকার আছে,সে বুঝে ফেলে,যে যার কম্পিউটারের সিকিউরিটি ভেঙ্গে তারা প্রোগ্রামে ঢুকার চেষ্টা করছে,সে কোনো সাধারণ মানুষ না।কারন তার সিকিউরিটি প্যাটার্ন অনেক ভয়ংকর।ইন্টারন্যাশনাল হ্যাকার অটো কোডিং জানার পরেও সে কম্পিউটারের প্রোগ্রামে প্রবেশ করতে পারছে না।তার মানে সে তাঁদের ও বাপ।আর সেই ব্যাক্তির ইচ্ছাতেই তারা তার কম্পিউটারের সিকিউরিটি ভেঙ্গে প্রবেশ করতে পেরেছে।এবার সেই হ্যাকার ভয় পেয়ে যায়!
সে শুধু সবাইকে একটা কথাই বলে….

–আমরা সবাই অনেক বড় ফাঁসা ফাঁসতে চলেছি।
কারন যার কম্পিউটারের সিকিউরিটি ভেঙ্গে আমরা প্রোগ্রামে ঢুকার চেষ্টা করছি,সে তার কম্পিউটারের সামনেই বসে আছে।এটা আমি একশোতে একশো পারসেন্ট শিওর।কারন যার প্রোগ্রামে এতো বড় সিকিউরিটি দেওয়া,তার কম্পিউটারে প্রবেশ করা আকাশচুম্বী কথাবার্তা!আমি শিওর যে সে ইচ্ছে করেই তার কম্পিউটারে আমাদেরকে প্রবেশ করিয়েছে।
কারন হয়তো সে আমাদের থেকেও বড় কোনো প্লান সেট করে বসে আছে।সো “M.B.Z”এর মাঝে আমি নেই।আমি চললাম।বেঁচে থাকলে বহু টাকা উপার্জন করতে পারবো।তাই তোমার টাকা আমি তোমায় ফিরিয়ে দিচ্ছি।আর বাকি যারা আছেন,আপনাদের ও এই মিশনের ইতি টানা উচিৎ।না হয় আপনারাও অনেক বড় বিপদে ফেঁসে যাবেন।
.
রোস্টারের কথায় কেউ কান দেয় না।কারন তারা এখনো নিজেকে এলিয়েন মনে করছে।তাই তারা তাঁদের মতন মিশন চালাতে শুরু করে।আর রোস্টার “Z” এর কম্পিউটার থেকে নিজের ডিভাইসকে বের করে সোজা কম্পিউটার রিবুট মেরে দেয়।যাতে করে তার কোনো তথ্যই যেনো কেউ না পায়।
.
অন্যদিকে বাকি চারজন বহু চেষ্টা করছে আকাশের প্রোগ্রামে ঢুকার জন্য।কিন্তু এখনো তারা সেটা করতে পারেনি।এদিকে” Z”বসে বসে মজা নিচ্ছে।ত্রিশ মিনিট অতিক্রম হয়ে গিয়েছে।

–নাহ বাচ্চারা অনেকটা সময় দিয়েছি তোমাদেরকে,কিন্তু তোমরা কিছুই কিছুই করতে পারোনি।সো এবার মাস্টারের খেলা দেখো।
.
আকাশ তার অন্য কম্পিউটার থেকে একটা ফিশিং সাইড তারই কম্পিউটারে সেন্ট করে।যেটা ছিলো একটা কোডের মতন।সেটা দেখে তাঁদের মাঝ থেকে একজন মনে করে,যে তারা যার কম্পিউটারের প্রোগ্রামে ঢুকার চেষ্টা করছে,এটা তার প্রোগ্রামে ঢুকার কোনো এক্সেস।সেই হ্যাকার কোনো কিছু না ভেবেই সেই ফিশিং লিংকে ক্লিক করে বসে।আর সাথে সাথেই সেই হ্যাকারের ডিভাইসের এক্সেস আকাশের কাছে চলে যায়।আর আকাশ তার ডিভাইসের এক্সেস নিয়ে তার কম্পিউটারে প্রবেশ করে সেই হ্যাকারের ডিভাইস কেই লক করে দেয়।এটা দেখে বাকি তিনজন হ্যাকার ভয়ে তাড়াতাড়ি আকাশের ডিভাইস থেকে বেরিয়ে যায়।আর তারা নিজের কম্পিউটার রোস্টারের মতন রিবুট মেরে সোজা পালিয়ে যায়।কারন তারা বুঝে গেছে,যে তারা এতোটা সময় যেই গর্তে কেঁচো আছে মনে করে হাত দিয়েছে,সেই গর্তে কেঁচোর বদলে কোনো এক বিষধর সাপ ঘাপটি মেরে বসে আছে।তাই তারা কোনো কিছু না ভেবে সোজা উল্টো রাস্তা ধরে পালিয়েছে।
.
এদিকে আকাশ এক্সেস নিয়ে যার কম্পিউটার লক করেছে,তার কম্পিউটারের স্ক্রিনে “Z” নামক আলাফাব্যাট রান করছে।এটা দেখে সেই হ্যাকারের চোখ কপালে উঠে যায়!কারন সে নিজেও “Z” এর ভয়াবহতা সম্পর্কে জানে!”Z”কতো বড় দানব সেটা তার অজানা নয়।M.B.Z” তাঁকে “Z”এর ব্যাপারে আগে বলেনি,যে তারা “Z” এর কম্পিউটার হ্যাক করবে।তাই সে এই কাজে মত দিয়েছে।কিন্তু এখন সে জানতে পেরে নিজের কাপল নিজেই দেওয়ালের সাথে চাপড়াচ্ছে!
আর এদিকে”M.B.Z”ভয়ে সোজা নিজের কম্পিউটার এই বন্ধ করে দেয়।অবশ্য সে আকাশের ডিভাইসে প্রবেশ করেনি,কিন্তু তার পরেও তার বুকটা ধুপধুপ করে কাঁপছে!কারন পাঁচ জন ইন্টারন্যাশনাল হ্যাকারকে একই সাথে নাকানি চুবানি খাওয়ানো কোনো দু’টো চারটে কথা নয়।তাই সে ভয়ে নিজের কম্পিউটার এই বন্ধ করে দিয়েছে।কিন্তু তার আবার চরম রাগ ও উঠছে “Z” এর উপরে!কারন সে এতো টাকা খরচ করেও “Z” এর কিছু করতে পারেনি।তাই সে মনে মনে প্রতিজ্ঞা করে…

–Z”তোর শেষ দেখে ছাড়বো আমি!

তারপর সে একদম চুপচাপ হয়ে যায়।কারন সে ভিতরে ভিতরে আরো ভয়ংকর রকমের একটা প্লান সাজায়।
অন্যদিকে রাতের বাজে নয়টা।তখনি আকাশের নাম্বারে অপরিচিত নাম্বার থেকে ফোন আসে।সে ফোনটা রিসিভ করে…

–হ্যালো কে বলছেন?

–আকাশ ভাই আমি জেমস বলছি।

–ওহ জেমস সাহেব,কিন্তু আপনি হটাৎ আবার আমায় ফোন দিলেন যে?আর এমন বিড়ালের মতন কথা বলার মানে কি?আগে তো আমি আপনাদের জন্য শুধু মাত্র আকাশ ছিলাম,কিন্তু এখন হটাৎ করেই ভাই হয়ে গেলাম কি করে?

–ভাই আপনার কাছে মাফ চাওয়ার জন্য ফোন দিয়েছি।আর আপনি অনেক সম্মানিত মানুষ,তাই সম্মান টা আপনার প্রাপ্য।

–আমার কোনো ধরনের সম্মানের দরকার নেই।
সো কি বলতে ফোন দিয়েছেন তাই বলেন?আর থানা থেকে কখন ছাড়লো আপনাদের?

–ভাই একটু আগেই ছাড়া পেয়েছি।পুলিশ প্রধানের কারনে আমাদের সবাইকে ছেড়ে দিয়েছে।আর জেল থেকে ছাড়া পেয়েই সবার আগে আপনাকে ফোন দিয়েছি।কারন আমরা আপনার বিষয়ে না জেনে আপনার সাথে বেয়াদবি করে ফেলেছি।ভাই প্লিজ আমাদেরকে মাফ করে দিন।জীবদ্দশায় আর কোনোদিন আপনার সাথে লাগতে যাবো না।অবশ্য আমি আপনার সাথে লাগতে যাইনি।সেই প্রধান এই আপনার সাথে লেগেছে।বিশ্বাস করেন ভাই এতে আমার কোনো হাত নেই।প্লিজ ভাই আপনি আমাকে ক্ষমা করে দিন।

–ওহ আচ্ছা তাহলে এই ব্যাপার!এজন্যই তো বলি বাঘ দাবী করা লোকজন কেন ভেজা বিড়াল হয়ে গিয়েছে!
শোন জেমস,অনেক সম্মান দিয়েছি তোদের।কিন্তু তোরা আমায় গর্ত থেকে টেনে হেঁচড়ে বের করলি।
সেই শাস্তি তো তোরা পাবিই।অবশ্য প্রতিশোধ আমি নিয়েও নিয়েছি,কিন্তু প্রধানকে আরো কিছু দেখানোর আছে।কারন সে দূর্বল লোক দেখলেই নিজের পাওয়ার দেখিয়ে বসে।সে হলো শক্তের ভক্ত,নরমের জম।
তার সামনে দূর্বল লোক আসলেই করে বসে প্রতিঘাত,
কিন্তু যখনি সে জানতে পারে সেই মানুষটা দূর্বল নয়,তখনি সে নিজেকে গুটিয়ে দিয়ে প্রার্থনার সুরে আগিয়ে দেয় তার দু-হাত।

–আকাশ ভাই প্লিজ আপনি আমাদের মাফ করে দিন।বিশ্বাস করেন আপনার ক্ষমতা সম্পর্কে আমরা জেনে গেছি।কোনোদিন ভুলেও আর আপনার সাথে লাগার মতন দূর সাহস করবো না।অবশ্য সেটা আমি আগেও করিনি,আর ভবিষ্যতেও করবো না।

জেমসের কথা শুনে আকাশের মন গলে যায়।কারন সত্যিই জেমস কিছু করেনি।আর সে কিছু না করেও শাস্তি পেয়েছে।

–ঠিক আছে যা মাফ করে দিলাম।
কিন্তু হ্যাঁ,প্রধানকে ঠিক হয়ে যেতে বলবি।আর আমার এই নাম্বারে আর কখনো তোরা যোগাযোগ করার চেষ্টা করবি না।আর আমার বিষয়ে তো তোরা কখনো মুখ খুলবিই না।না হয় কিন্তু মুখ খুলবি তোরা,আর তোদের সব কয়টাকে গিলে খাবো আমি।

–না,না ভাই মুখ খুলবো না কখনো।জন্মের শিক্ষা হয়ে গেছে প্রথম বারেই।এরপর আর এই দূর সাহস এই জীবনে করবো না।

–কথা টা যেনো মনে থাকে।আর জেমস সাহেব দুঃখিত আমি।কারন এতটা সময় তুই তুকারি করেছি।আর বড় কথা আপনার কোনো দোষ না থাকা সত্বেও শাস্তি পেতে হয়েছে আমার জন্য।

–না,না ভাই,ওসবে আমি কিছুই মনে করিনি
বরং শিক্ষা পেয়েছি আরো।

–আচ্ছা এখন রাখলাম।আর দয়া করে আমার এই নাম্বারে কখনো আর ফোন দিবেন না।

–ঠিক আছে ভাই দিব না।

–হুম রাখলাম…

আকাশ ফোন কেটে দেয়।পরে সে খাওয়া দাওয়া করে কিছুটা সময় তার কম্পিউটারে বসে কাজ করে।পরে ঘুমিয়ে পড়ে।আকাশ ঘুমিয়ে পড়েছে,কিন্তু”M.B.Z”মানে লেডি-হ্যাকার,সে রাত তিনটা বাজে তার কম্পিউটার ওপেন করে।কারন সে নতুন যেই প্লানটা করেছে,সেটাকে বাস্তবায়ন করার জন্য এই গভীর রাতে লাইনে এসেছে।তারপর সে তার প্লানিং করে ঘুমিয়ে পরে।
.
পরেরদিন সকাল বেলায় আকাশ ঘুম থেকে উঠে কলেজে চলে যায়।সে ক্লাস শেষ করে যখন বের হয়,তখনি জেমস তাঁকে আবার ফোন দেয়।সে জেমসের নাম্বার থেকে আবারো ফোন পেয়ে চরম রেগে যায়!সে ফোনটা রিসিভ করে রাগান্বিত কন্ঠে জেমসকে বলে…

–এই যে জেমস সাহেব আপনার সমস্যাটা কোথায়?আপনাকে বারন করার পরেও আপনি আবার কোন সাহসে আমার নাম্বারে ফোন করেছেন?

–ভাই দুঃখিত আমায় ক্ষমা করবেন।আসলে অনিচ্ছা সত্ত্বেই আপনাকে ফোন দিয়েছি।কারন অনেক গুরুত্বপূর্ণ এটকা জিনিস আপনাকে জানানোর আছে।

–মানে বুঝলাম না!কি গুরুত্বপূর্ণ জিনিস জানানোর জন্য ফোন দিয়েছেন আপনি আবার?

–আসলে আকাশ ভাই লেডি-হ্যাকার দেশের সমস্ত হ্যাকারের একটা লিস্ট বানিয়েছে।যেই লিস্টে দেশের সমস্ত এথিক্যাল হ্যাকার এবং সাধারণ কিছু হ্যাকার ও রয়েছে।তারপর সে ডার্ক ওয়েব থেকে ভয়ংকর একটা কন্ট্রাক্ট কিলারের টিমকে হায়ার করে।তারপর সেই লিস্টটা তাঁদেরকে দিয়ে বলে এই লিস্টের সবাইকে ঘর থেকে উঠিয়ে নিতে।আর সেই কন্ট্রাক্ট কিলার গুলা ইতিমধ্যে লেডি-হ্যাকারের কথা মতন লিস্টেট প্রায় বেশ অর্ধেক মানুষকেই তুলে নিয়ে গেছে।

–কিহহহ!
এতো বড় প্লান করেছে লেডি-হ্যাকার!

–হুম ভাই।প্লিজ আপনি একটু সাবধানে থাকবেন।আর কোনো ধরনের সাহায্যের প্রয়োজন হলে আমাকে জানাবেন।

–আচ্ছা ঠিক আছে।

আকাশ জেমসের সাথে কথা বলা শেষ করে ফোন রাখতেই সেই কন্ট্রাক্ট কিলার গুলো আকাশকেও তার কলেজের সামনে থেকে উঠিয়ে নেয়।পরে তাঁকে নিয়ে একটা ঘরের মধ্যে বন্দী করে।যেখানে আরো প্রায় নব্বই-পঁচানব্বই জনের মতন মানুষ রয়েছে।তখনি কন্ট্রাক্ট কিলারের হেড যে,সে লেডি-হ্যাকারের সাথে কন্টাক্ট করে।

–ম্যাম লিস্টের সবাইকে তো উঠিয়ে নিয়েছি।আর আপনার কথা মতন নতুন ল্যাপটপ ও কিনে এনেছি।এবার পরবর্তী নির্দেশনা কি সেটা বলুন?আর তাঁদেরকে কি কারনে উঠানো হয়েছে?

–এই বেটা নিজের কাজে মতলব রাখ।টাকা খেয়ে কাজ করছিস সো নিজের কাজের দিকে ফোকাস কর।এতো কিছু তোদের জানতে হবে না।

–তো এখন কি করবো ওদেরকে?

–তাঁদের সব কয়টাকে একে একে ভিন্ন একটা রুমে নিয়ে গিয়ে তাঁদের কপালে গান পয়েন্ট কর,আর তাঁদেরকে বল তোদের ল্যাপটপের মাঝে তাঁদের নিজের ডিভাইস কে লগইন করতে।আর বাকিটা এদিক থেকে আমি সামলে নিব।

–ম্যাম কি কারনে এসব করা?
তাঁদের কে মারতে হলে বলুন সোজা সব কয়টাকে শুইয়ে দিচ্ছি।কিন্তু এতোসব ঝামেলার মানে টা কি?

–এই জানোয়ার বাচ্চা তোকে একবার বলেছি না নিজের কাজে মতলব রাখতে।তাও কেন তোরা আমার কাছে প্রশ্ন করছিস?কি টাকার পরিমাণ কি কম হয়েছে?কম হলে বল আরো দিব।তাও নিজেদের মতন কাজ কর।কোনো প্রশ্নই করবি না আমাকে তোরা।

–ঠিক আছে ম্যাম আমরা আমাদের কাজ করছি।

–এই তো গুড বয়।শোন যেই ল্যাপটপ টা কিনে এনেছিস,সেটার ডিভাইস নেম আমাকে বল,আর সিকিউরিটি সিস্টেমকে আনলক করে দে।আমি সেটাতে প্রবেশ করবো।তারপর তোরা একে একে সব কয়টার কপালে গান পয়েন্ট করে বলবি তাঁদের ডিভাইস লগইন করতে।আমি যখন নেক্সট বলবো,তখন তাঁকে ছেড়ে দিয়ে অন্য একজনকে ধরে এনে ডিভাইস লগইন করাবি।আমি যদি নেক্সট না বলে গান পয়েন্ট বলি,তখনি তোরা সেই ব্যাক্তির কপালে গান পয়েন্ট করে আমার সাথে ভিডিও কনফারেন্সে আসবি।

–ম্যাম ডিভাইস নেম আপনাকে দিচ্ছি,কিন্তু কোনো সিকিউরিটি নেই।আপনি ডিভাইসে প্রবেশ করুন।আমি ল্যাপটপ থেকে সেটা এপ্রুভ করে দিচ্ছি।

–ঠিক আছে..

লেডি-হ্যাকারে কথা মতন কন্ট্রাক্ট কিলার গুলা কাজ করতে শুরু করে।লেডি-হ্যাকার মানে”M.B.Z”নতুন ল্যাপটপের ডিভাইসে প্রবেশ করে বসে আছে।আর কন্ট্রাক্ট কিলার গুলা একে একে সবাইকে নিয়ে গিয়ে একটা রুমের মধ্যে বন্দী করে।তারপর তাঁদের কপালে গান ঠেকিয়ে তাঁদের ডিভাইসকে তাঁদের ক্রয় করে আনা ল্যাপটপে লগইন করতে বলে।সিরিয়াল বায় সিরিয়াল তারা দশজনকে ধরে এনে ডিভাইস লগইন করায়।আর লেডি-হ্যাকার নেক্সট বলতেই তারা তাঁদেরকে অন্য আরেকটা রুমে রেখে আসে।পরে আরেকজনকে ধরে আনে।এভাবেই দশজন শেষ হয়ে এগারো নাম্বারে আকাশের পালা পরে।তারা আকাশের কপালে একই ভাবে গান ঠেকিয়ে তাঁকে বলে তার ডিভাইস লগইন করতে।আকাশ অনেকটা উত্তেজিত হয়ে যায় তাঁদের আচরণে!কিন্তু সে নিজেকে সামলে নিয়ে শান্ত মাথায় তার ডিভাইস সেই কন্ট্রাক্ট কিলারদের ল্যাপটপে লগইন করে।আকাশ তাঁদের ল্যাপটপে তার ডিভাইস লগইন করতেই তার কম্পিউটারের”Z”নামক ভয়ানক ওয়ালপেপার টা ভেসে উঠে!যেটা দেখে সেখানে থাকা কন্ট্রাক্ট কিলারের যেই টিম ছিলো,তাঁদের সবাই দৌড়ে রুম থেকে পালিয়ে যায়!আর কন্ট্রাক্ট কিলারের যে হেড বস ছিলো,সে সোজা আকাশের পা চেপে ধরে বসে।আর বলে…

–ভাই আমাদেরকে মাফ করে দিন…

আকাশ তার কথার কোনো উত্তর না দিয়ে ল্যাপটপ টাকে দু-হাত দিয়ে উঠিয়ে নিয়ে সজোড়ে তার মাথায় বাড়ি মারে!আকাশ এতো জোরে ল্যাপটপ টা দিয়ে সেই কন্ট্রাক্ট কিলারের মেইন বসের মাথার উপরে বাড়ি মারে,যে ল্যাপটপ টা সাথে সাথে দুই টুকরো হয়ে যায়!আর কন্ট্রাক্ট কিলারের মাথা ফেটে চুইয়ে চুইয়ে রক্ত পড়তে শুরু করে।আকাশের এমন ভয়ানক আচরণ দেখে সেই কন্ট্রাক্ট কিলার আকাশের পা ছেড়ে দিয়ে নিজের মাথায় হাত দিয়ে চেপে ধরে বসা থেকে উঠে দৌড়ে পালিয়ে যায়!আকাশ তাঁদের কান্ড দেখে সজোড়ে হাসতে শুরু করে!আর হাসতে হাসতে বলতে থাকে…

–কেন খামোখা পাঙ্গা নিতে আসিস ব্রুদা তোরা আমার সাথে?তোরা কি আমায় পরী মনি পেয়েছিস,যে ধর্ষনের নামে গুঞ্জন উঠিয়ে চারদিন যাবৎ মুখ বন্ধ করে মিডিয়ার সামনে কান্না কাটি করবো?তাহলে তোরা ভুল ভাবছিস।কারন আমি সেই রকম পাবলিক না।আমি হলাম সেই “Z”যে কিনা নিজের যুদ্ধ নিজে একাই লড়তে পারে।তোরা আমার কপালে গান ঠেকিয়েছিস তো কি হয়েছে,মনে রাখিস সেই গান উল্টো করে ঘুরিয়ে দিয়ে তোদের শ্বাসনালী আঁটকে দেওয়ার ক্ষমতা এই ” Z” রাখে…..

চলবে…..?

ভুল ত্রুটি গুলো ক্ষমার নজরে দেখবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here