ভ্যাম্পায়ার,পর্বঃ৪,৫

#ভ্যাম্পায়ার,পর্বঃ৪,৫
#লেখাঃ লাবন্য নাওয়ার
#পর্বঃ৪

প্রহর – কিন্তু কেনো যেনো নিজের রাগ কে
কোন্ট্রল করতে পারিনা মাঝে মাঝে।
ওর পায়ের সামনে যেয়ে বসলাম।
পা টা ধরলাম।
ব্যান্ডেজ খুলার জন্য।

রাত্রি – ঘুম ভেংগে গেলো।চোখ খুললাম।
পায়ের সামনে কে যেন বসে আছে।
আমি উঠে বসলাম।
তুমি ইইইইইইইইই!!”
এই কি করছ???

প্রহর- এটা চেঞ্জ করতে হবে তাই করছি।

রাত্রি- তোমাকে কে বলেছে করতে।
নিশি আপি কে ডাক দাও।

প্রহর- ও নেই চলে গেছে।

রাত্রি- তাহলে আমাকে ডাক দিতে আমাকে
বলতে আমি করতাম।

প্রহর- তুমি ঘুমাচ্ছিলে।

রাত্রি- তাতে কি ডাক দিতে।
ছাড়ো।
ছাড়ো।

প্রহর- রাত্রি একটু পিছিয়ে গেলো।
আমি পা ধরে টান দিলাম।
ও একে বারে আমার কাছে এসে পরল।
রাত্রি- আমি কোনো মত ওর ২ কাধে আমার ২
হাত দিয়ে ওর উপর পরে যাওয়া টা
ঠেকালাম।

এখনি ত পরে যাচ্ছিলাম।
ওর চোখের দিকে তাকালাম।

প্রহর- ওর চোখের দিকে তাকিয়ে আছি।
আমার অনেক টা কাছে ও যে আমি ওর প্রতি
টা নি:শ্বাস অনুভব করতে পারছি।

রাত্রি- ( এইভাবে তাকিয়ে আছে কেন??
চোখ দিয়েই ঘায়েল করবে নাকি? ?)
তাকিয়ে কি দেখছ???

প্রহর- আমার ঘোর ভাংল।
চুপ করে ভালমত বসো।
পা নিয়ে ব্যান্ডেজ খুলতে লাগলাম।

রাত্রি – হি হি হি।
আরে আরে থামো।
কি করছ? ?

প্রহর- আমি অবাক হয়ে ওর দিকে তাকালাম।
এই মেয়ে কি পাগল হয়ে গেছে? ? হাসছ
কেন? ??

রাত্রি- পায়ে সুড়সুড়ি লাগছে।
ত হাসি পাবেনা? ?

প্রহর- ……..

রাত্রি – ( হুহ কি ভাব। হুহ।) মুখ বাকালাম।

প্রহর- ওর পায়ের ক্ষত টা গভির।
এখনও হালকা রক্ত বের হচ্ছে সেখান থেকে।
আমি নিজেকে শান্ত করছি করছি।
কোন্ট্রল করছি।
আমি নিজেকে কোন্ট্রল করতে না পারলে
ওর ক্ষতি করে ফেলব।
কিন্তু আমি ওর ক্ষতি করতে না ওর যাত্র
ক্ষতি না হয় তার জন্য এসেছি।
কিন্তু এই রক্তের পিপাসা না আমাকে মরতে
দেয় না বাঁচতে।

রাত্রি – একে এমন ফেখা যাচ্ছে কেন? ?
কি হয়েছে এর? ? কাটা দেখে আবার অসুস্থ
হয়ে গেলো না ত ??

এই তুমি ঠিক আছো।

প্রহর – ঠিক আছি আমি।
হয়ে গেছে।
আসি।

রাত্রি – আরে এ ত বড়ই আজব।
আমার ঘুম ভাংগিয়ে চলে গেলো

আর আমি এখন কি করব? ?
উঠতেও ত পারছিনা।
ফোন ই দেখি।

প্রহর- আমি বের হয়ে দৌড়ে জংগল এর দিকে
যাচ্ছি।
গভির জংগল।
যেখানে চাঁদের আলো ও পৌঁছাতে পারেনা।
গাছের সাথে হেলান দিয়ে দাঁড়ালাম।
আমি হাপাচ্ছি। না দোড় দিয়েছি তার জন্য
না।
রক্তের পিপাসার জন্য।
.
rose – well well. my dear hunter . how r u?
.
প্রহর- rose!! তুমি এইখানে? ?

rose- জংগল ই ত আমার বাড়ি।
অনেক দিন পর দেখা হল।
wht a surprise.
.
প্রহর- সে ত বটেই।
এই শহরে কবে আসলে?।
?

rose- তোমার সাথে দেখা করতে এলাম
ডিয়ার হান্টার।

প্রহর- আমাকে এই নামে মানুষ এর সামনে
ডেকো না।

rose- মানুষ বলতে রাত্রি রাইট?

প্রহর- …….

rose- what?? এইভাবে তাকিয়ে আছ কেন? ??
আমি সব ই জানি।
তুমি কি ভেবেছ আমি কিছু জানিনা? ?
বাট সুইট হার্ট নাইট এর হাত থেকে ওকে
কিভাবে বাঁচাবে? ?

প্রহর- আগে যেভাবে বাঁচিয়ে ছিলাম।
ওকে আগেও বাঁচিয়েছি।
এখন ও বাঁচাব।
আর সামনেও বাঁচাতে থাকব।
rose- dear dear dear. u know something that’s
why i like u very much.
my hero!
.
প্রহর- back off.আমার এসব পছন্দ না।
আমি আগেও বলেছি।

rose- ya ya i remember that.
আমাকে আর পছন্দ হবে কেনো।
তুমি ত আরেক জন কে পছন্দ করো।

বাট ভুলে যাচ্ছ সে মানুষ।

তাই তোমার আর ওর ……
প্রহর- তুমি ভুল করছ। আমি ওকে পছন্দ করিনা।
ওকে রক্ষা করা আমার কাজ।

rose- rose এর কাছে কিছুই লুকানো যায় না।
তুমি কেনো ভুলে যাচ্ছ।
হানি।

প্রহর- আমাকে যেতে হবে।

rose- হুম হুম যাও।
আর মনে রেখো ও শুধু মানুষ ই না আরও অন্য
কিছু।

প্রহর- আমি সব জানি।তোমাকে বলতে
হবেনা।
আমি শুধু চাই তুমি তোমার মুখ টা বন্ধ রাখো
আর আমার সামনে আসার দরকার নেই।
রোজ – ওকে।

প্রহর- বাতাসের বেগে ছুটলাম রাত্রির
কাছে।
আমি ঘরের এক কোনায় দাড়ালাম।
ওকে দেখছি।
ও ঘুমাচ্ছে গভির ঘুমে। চাদের আলো মুখে
এসে পরছে।
ওর ঘুমন্ত চেহারা আরও মায়াবি।
শুধু ওর কাছে টানে।
আমি ওর কাছে যেয়ে ওকে দেখতে লাগলাম।
ঠোটের উপর চুল উড়ে এসে পরল।
আমি আরেক্টু কাছে যেয়ে ফু দিয়ে সরিয়ে
দিলাম।
আমার ঘোর কাটতে চায় না ওর কাছে গেলে।
না না কি করছি আমি??
এটা ঠিক না।
আমি সারারাত ঘরের এক কোনায় বসে ওকে
পাহাড়া দিলাম।
রাত্রি – আড়মোড়া ভেংগে ঘুম থেকে উঠলাম।
চোখে আলো এসে পরল।
পাশে রাখা বই টার দিকে নজর গেলো।
আল্লাহ! এটা ত লাইব্রেরী তে জমা দেওয়ার
লাস্ট ডেট আজ। আমার ত মনেই নেই।
আজ না দিলে ত আবার ফাইন দিতে হবে। আজ
কাজ করি ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করে বের হয়ে
পরি। ওই গার্ড দেখার আগেই।
হুম।
রেডি হয়ে বের হচ্ছিলাম।
আশে পাশে ভাল মত তাকালাম। কাউ কে
দেখলাম না।
প্রহর মনে হয় এইখানে নাই এই টাই ঠিক সময়
বের হওয়ার। দ্রুত বের হয়ে গেলাম।
লাইব্রেরী তে পৌছে বই জমা দিয়ে নতুন
কিছু বই খুজতে লাগলাম।
একটা বুক সেল্ফ এর কাছে গেলাম।
অনেক ধরনের হয় আছে তাতে।
কিন্তু নজরে পরল এক্টা বই “history of vampires

বই টা উপরের দিকে হাত ঠিক মত যাচ্ছে না।
পা উঁচু করে নিতে চেস্টা করছিলাম।
কিন্তু কিসের থেকে কি হয়ে গেলো সেল্ফ
সোজা আমার উপর পরতে নিচ্ছিল আর আমি
মুখ হাত দিয়ে ঢেকে নিচে বসে পরলাম।
কিছুক্ষন পর চোখ খুলে দেখলাম প্রহর আমার
দিকে ঝুকে আছে আর ওর পিঠে ঠেকে আছে
সেল্ফ টা।

প্রহর – সেল্ফ টা ঠিক করে বাইরে এসে গাড়ি
তে বসলাম।

রাত্রি- আমি মাথা নিচু করে এসে গাড়ি তে
বসলাম।
এত জোড়ে গাড়ি চালাচ্ছে মনে হচ্ছে গাড়ি
চালাচ্ছেনা রকেট চালাচ্ছে।
হুহ রাগ দেখাচ্ছে তাও আমাকে??
ওর রাগের ধার ধারি নাকি আমি? ?

বাসার সামনে এসে গাড়ি থেকে নেমে ঘরে
ঢুকছিলাম কিন্তু

প্রহর – ওর হাত ধরে আউট হাউজে নিয়ে
গেলাম।
দরজার সাথে আটকে ধরলাম।

রাত্রি- what the hell r u doing? ???
leave my hands.
leave me.

চলবে……..

#ভ্যাম্পায়ার

#লেখাঃ লাবন্য নাওয়ার

#পর্বঃ৫

প্রহর – ওর হাত ধরে আউট হাউজে নিয়ে
গেলাম।
দরজার সাথে আটকে ধরলাম।

রাত্রি- what the hell r u doing? ???
leave my hands.
leave me.
.
প্রহর – তোমার সাহস ত কম না।
তুমি আমাকে না বলে চলে গেলা কিভাবে? ?
এখন যদি তোমার কিছু হয়ে যেত তখন কি
বলতাম তোমার আংকেল কে? ?

রাত্রি- ……..

প্রহর – এইভাবে হবেনা।
বুঝেছি স্যার কে ফোন দিতে হবে।
যাতে তোমাকে এইখান থেকে নিয়ে যায়।

রাত্রি – no no no don’t do it. pls pls.
ok I’m sorry.
আমি আর এমন করব না।

প্রহর – ঠিক ত?

রাত্রি – হ্যা হ্যা ঠিক।
বলে বেরিয়ে এলাম।
তোমাকে আমি দেখে নিব।
শয়তান একটা।

প্রহর – কিছু বললে?

রাত্রি- না না কিছুনা।
সন্ধায় খুব বৃষ্টি শুরু হল।
আমি ছাদে বসেই বই পড়ছিলাম।
এইখানে প্রায় ই খুব বৃষ্টি হয়।
কিন্তু আমি ঠান্ডার ভয়ে ভিজতে পারিনা।
কিন্তু খুব শখ হল আজ ভিজার।
সন্ধ্যায় বৃষ্টির মধ্যে ভিজার লোভ টা
সামলাতে পারলাম না।
খুব জোরে পরা শুরু হয়েছে।
আর আমি বানরের মত লাফাচ্ছি ।
পানিতে পা পরতেই ঝপ ঝপ শব্দ হচ্ছে।
সাথে নুপুরের ও শব্দ হচ্ছে।
বৃষ্টিতে ময়ুর যেতন খুশিতে নাচে ঠিক আমার
ও হয়েছে সেই অবস্থা।
কিন্তু হঠাত আমি থমকে গেলাম।
কারন সামনে কিছুটা দুরে কেউ দাড়িয়ে
আছে।
সে এক পা এক পা করে সামনের দিকে
এগিয়ে আসছে।
আধারে তাকে ভালো মত দেখা যাচ্ছেনা।
তার উপর এই বৃষ্টি।
আমি দৌড়ে ছাদ থেকে থামতে গেলাম।
সিড়িতে পিছলে পরে যাচ্ছিলাম।
আর যখন চোখ খুললাম তখন দেখলাম প্রহর
আমাকে ধরে আছে।

প্রহর – এই পা নিয়ে সকালে বের হলে আর
এখন ছাদে লাফাচ্ছিলে , এখন যদি পরে
যেতে কি হত???

রাত্রি- ছাদে তুমি ছিলে??
প্রহর – ত কাকে আশা করছিলে??
রাত্রি- তুমি ছাদে এলে কখন আমি দেখলাম
না ত।
আর এত তাড়াতাড়ি ছাদ থেকে এসে আমাকে
ধরলেই বা কি করে?

প্রহর – তোমার এত প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার
প্রয়োজন মনে করছিনা।

রাত্রি- প্রহর আআমাকে ছেড়ে দিয়ে নিচে
চলে যাচ্ছিল।
কিন্তু আমি খেয়াল ই করিনি আমার পায়ের
কাটা জায়গা থেকে আবার রক্ত বের হচ্ছিল।
আমি কোনো মত ঘরে যেয়ে কাটা জায়গা
পরিস্কার করতে লাগলাম।

প্রহর – আমি রক্তের স্মেল পাচ্ছি।
নিজেকে কন্ট্রোল করা কঠিন হচ্ছে।

রাত্রি- পা পরিস্কার করে ব্যান্ডেস যেই
করতে যাব মনে হল কোনো ঝড় হাওয়া এসে
আমাকে বিছানা তে চেপে ধরল।
প্রহর! !!!!!!
কি করছ কি তুমি? ?? ছাড়ো আমাকে ছাড়ো।
কি হল? কি দেখছ এইভাবে??

প্রহর – আমি তখন আমার মধ্যে ছিলাম না।
আমি তখন ছিলাম ঘোরের মধ্যে।
আমার তখন রক্তের প্রয়োজন।
রক্তের পিপাসা কন্ট্রোল করা খুব কঠিন
হচ্ছিল।

রাত্রি- প্রহর আমার দিকে আরও এগিয়ে
আসছিল।
আমার ভয়ে আত্তা বের হয়ে যাওয়ার মত
অবস্থা।

প্রহর – ওর ঘাড় থেকে চুল সরালাম।

রাত্রি- আমি ভয়ে চোখ বন্ধ করে আছি।
ঘাড়ে প্রহরের নি: শ্বাস বাড়ি খাচ্ছে।
আমি ভয়ে জমে যাচ্ছি।
এই প্রথম কেউ এত কাছে এল।
।প্রহর ঘাড়ের দিকে ক্রমশ এগিয়ে আসছে।

প্রহর – চোখ লাল হয়ে গেছে।
চোয়ালের দাত বড় বড় হয়ে গিয়েছে।
রক্তের নেশা বাড়ছে।

রাত্রি- ঘাড়ে ঠোটের স্পর্শ পেলাম।
আমি কেঁপে উঠে অনেক জোড়ে দিলাম
ধাক্কা।
বিছানা তে উঠে বসলাম ঘাড়ে হাত দিয়ে।
প্রহর আমার দিকে না তাকিয়েই রুম থেকে
বের হয়ে গেলো।
এখনও আমার হার্ট বিট খুব দ্রুত হচ্ছে।
কি হচ্ছিল সেটা ভেবেই আত্তা কেঁপে
কেঁপে উঠছিল।

প্রহর – আমি সোজা জংগল এ চলে এলাম।
কি করছিলাম কি আমি? ??
i have to control myself.
আমি ত অন্য সব ভ্যাম্পায়ার দের মত না।
I’m a hunter.
I have to control.
রক্তের পিপাসা আমাকে দুর্বল করে দিতে
পারেনা।

না না না।
আমি থাকলে হয়ত রাত্রির ক্ষতি হতে পারে।
না আমি আর ওর কাছে যাবো না।
না না না।

রাত্রি- রাতে কখন ঘুমিয়ে গিয়েছিলাম
জানিনা।
সকালে ঘুম থেকে ঊঠে ফ্রেশ হয়ে নাস্তা
করে নিলাম।
নিশি আপি ও কি খেয়েছে??

নিশি- ও টা কে গো?

রাত্রি- আরে ওই বডি গার্ড।

নিশি- এত দিন ধরে আসছে কখনও ত খেতে
দেখলাম না।
আর আজ ত সকাল থেকে দেখছি ও না।

রাত্রি- তাই নাকি?

নিশি- হুম।

রাত্রি – নাস্তা করে আউট হাউজে গেলাম।
প্রহর ছিল না।
সারা ঘর কেমন এলোমেলো।
আজব এই ছেলে এত নোংরা? ?
রুম টা ভালোমত গুছালাম

আজ সারাদিন ই প্রহরের কোনো সাড়া
পেলাম না।
আজব কোথায় গেলো।
বাইরে যেতেও ইচ্ছা করছেনা আর বই পরতেও
না।
যাক ভালোই হয়ছে ওই বডি গার্ড নিজের
ইচ্ছাতেই চলে গেছে।
তা আমার আবার ওর কথা মনে পরছে কেন? ?
উফফ।
হঠাত হাতের দিকে চোখ গেলো।
পুরা লাল হয়ে আছে।
পাচ আংগুল এর দাগ বসে আছে। এত জোরে
ধরেছিল যে দাগ ই বসে গিয়েছে।
আচ্ছা ও কি কালকের জন্যই চলে গেলো
নাকি? ?
উফফ আমি এত ভাবছি কেন? ??ওর আসার হলে
আসবে না হলে নাই।
আমি ঘুমাই।
হঠাত এক বিকট শব্দে ঘুম ভেংগে গেল।
আমি ঊঠে জানালার কাছে গেলাম।নিচে
কাওকে দেখতে পেলাম।
অস্পষ্ট।
মনে হয় প্রহর এসেছে।
আমি দৌড়ে নিচে গেলাম।
কিন্তু কাউকে দেখতে পেলাম না।
ব্যপার টা কি হল? ?
আমি ত কাউকে দেখেছিলাম।
গেটের সামনে বসে দাড়োয়ান ঘুমাচ্ছে।
আমি চলে আসছিলাম হঠাত চোখ গেলো
পিছনের গেটের দিকে।
এই গেট কখনও খোলা হয়না
তালা মারা থাকে।
কিন্তু খুলল টা কে? ?.
গেটের সামনে গেলাম।
তালা খোলা ছিল।
তাহলে কি চোর বাড়িতে ঢুকেছিল???
গেট লাগাতে যাচ্ছিলাম কিন্তু চোখ গেলো
ঘন জংগল টার দিকে।
আমাদের বাড়ির পিছনের দিকে রয়েছে
একটা ঘন জংগল।
এর জন্য গেট খোলা রাখা হয়না।
আর এই রাস্তাতেও মানুষ কম চলাচল করে

এত রাতে এইখানে কে??সে চলে যাচ্ছে
জংগল এর রাস্তা ধরে আরও ভেতরে।
আমি তাকে ডাকতে লাগলাম।
পিছন পিছন যেতে লাগলাম

কিছুদুর যেতেই আর কাউকে দেখতে পেলাম
না।
রাত কয়টা বাজে জানিনা।
কিন্তু চাঁদের আলোতে জংগল টা আলোকিত
হচ্ছে

আশে পাশের সব দেখা যাচ্ছে।
কিন্তু আমি মনে হচ্ছে পথ গুলিয়ে ফেলেছি।
আমি কোন দিক যাবো বুঝতে পারছিনা

চলতে চলতে কিছুর সাথে বাড়ি খেয়ে নিচে
পরে গেলাম।
পিছনে তাকিয়ে মনে হল কোনো মানুষ উপুর
হয়ে পরে আছে।
আমি মুখ টা দেখার জন্য মুখ টা তুললাম।
মুখ টা দেখে আমার জানে আর জান ছিল না।
সারা দেহ রক্তে ভেসে যাচ্ছে।
আমি চিতকার দিয়ে দৌড়াতে শুরু করলাম।
কোন দিক যাচ্ছি নিজেও জানিনা।
হঠাত পা থমকে গেলো, কিছু একটা এগিয়ে
আসছে আমার দিকে সেই আগের মত লাল
চোখ আর বড় দাত।
মুখ থেকে রক্ত বেয়ে পরছে।
আর কিছু মনে নেই।
সকালে ঘুম ভাংল।
নিজেকে আবিষ্কার করলাম নিজের ঘরে
বিছানাতে।
বিছানা থেকে উঠে দাড়ালাম।
কাল কে রাতের কথা মনে হল।
সেই দৃশ্য চোখে ভেসে ঊঠল।
আমি দৌড়ে নিচে নামলাম।
সিড়ি দিয়ে নামার সময় ধাক্কা খেলাম
কারো সাথে। তাকিয়ে দেখি প্রহর।
আমি জরিয়ে ধরলাম ওকে।

চিতকার করে কালকে রাতের কথা গুলা
বলছিলাম।

প্রহর – কাল কে রাতের ব্যাপার টা তে ও এত
ভয় পেয়েছে ….. সময় মত আমি না গেলে খুব
খারাপ হয়ে যেত।
কিন্তু ও এত ভয় পেয়েছে যে ভালো মত নি:
শ্বাস ও নিতে পারছেনা।
এত টা উত্তেজিত হওয়া ঠিক না কোনো
মানুষ এর জন্য। যে কোনো কিছু হয়ে যেতে
পারে।

রাত্রি – প্রহর তুমি শুনতে পাচ্ছ আমি কি
বলছি???

প্রহর – রাত্রি রিলেক্স। কুল ডাউন।

রাত্রি- না তুমি আগে আমার কথা শুনো।
প্রহর – ও কোনো মত শান্ত হচ্ছেনা। উপায় না পেয়ে….

চলবে……..m

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here