বিনি_সুতোয়_গাঁথা 💙,পর্ব_১১

বিনি_সুতোয়_গাঁথা 💙,পর্ব_১১
লেখক_ঈশান_আহমেদ

রিধিকাকে নিয়ে শপিংয়ে গেলাম।কি যে এতো কেনাকাটা করছে কে জানে!আমি চুপচাপ এক জায়গায় বসে আছি।এইসব জিনিস আমার একদম ভালো লাগে নাহ্।আর এমনিই মনটাও ভালো লাগছে না রিধিকার কথাটা শুনে।

এই যে বাসায় কি যাবেন নাহ্?(রিধিকা)

যাক শেষ হলো তাহলে।তোমার সব শপিং শেষ হয়েছে তাও আবার মাত্র দুই ঘন্টায় তাই নাহ্!(আমি)

কথাটা কি আমাকে খোটা দিয়ে বললেন?(রিধিকা)

আমি কি তোমায় খোটা দিতে পারি!চলো এখন বাসায় যাবো।(আমি)

গাড়িতে গিয়ে বসলাম।

আইসক্রিম খাবো।প্লিজ কিনে দিন।(রিধিকা)

কি আইসক্রিম?আইসক্রিম কোথায়?(আমি)

ওই যে রাস্তার ঐ পাড়ে।(রিধিকা)

আমি তাকিয়ে দেখলাম শপিংমলের অন্যপাশে একটা আইসক্রিমের দোকান।

তুমি না এইমাত্র পিজ্জা খেলে?(আমি)

আইসক্রিম তো আর খাইনি।(রিধিকা)

আচ্ছা তুমি দাঁড়াও আমি নিয়ে আসছি।(আমি)

রাস্তায় এতো গাড়ি যে পাড় হতেই পারছি না।অর্ধে্ক রাস্তায় যেতেই একটা গাড়ি আমার দিকে আসছে এমন সময় কে যেন আমাকে ধাক্কা দিয়ে রাস্তার পাশে ফেলে দিল।সেটা আর কেউ না রিধিকা।গাড়িটা রিধিকাকে ধাক্কা দিয়ে চলে গেল।রিধিকা ছিটকে গিয়ে পড়ল রাস্তার মাঝে।আমি তো হতবাক!কি হয়ে গেল এটা।কিছুক্ষণের মধ্যে মানুষের ভীড় জমে গেল।আমি দৌড়ে রিধিকার কাছে গেলাম।মাথা ফেটে রক্ত বের হচ্ছে,মুখ,হাত-পা অনেক জায়গায় ছিলে গেছে।আমার চোখ দিয়ে পানি পড়ছে।আমাকে বাঁচাতে গিয়ে নিজের কি অবস্থা করল।

আমি তাড়াতাড়ি রিধিকাকে কোলে তুলে গাড়িতে কোন ভাবে বসালাম।এক হাত দিয়ে ও কে ধরে আছি আর আরেক হাত দিয়ে ড্রাইভ করছি।রিধিকা এখনোও তাকিয়ে আছে।ওর চোখ দিয়ে পানি পড়তে।রিধিকা আমার হাতটা ধরে অনেক কষ্টে বলল,
‘মি.চৌধুরী আপনাকে অনেক কিছু বলার বাকি ছিল।(মনে হয় অনেক কষ্টে কথাগুলো বলল।যেন গলা দিয়ে কথাই আসছে নাহ্।)

তারপরে হঠাৎ আমার ঘাঁড়ে মাথাটা ফেলে দিল।

এই রিধিকা,রিধিকা,একটু তাকাও।কি হলো তোমার?প্লিজ তাকাও।(আমি)

রিধিকার কোন সাড়াশব্দ নেই।আমি আরও জোরে গাড়ি চালিয়ে হসপিটালে আসলাম।

উনাকে এখনই ওটিতে নিয়ে যান।(ডক্টর)

রিধিকাকে ওটিতে নিয়ে গেল।কি হবে আমি কিছুই জানি নাহ্।আমার বুকের মধ্যে কিছু হারিয়ে ফেলার যন্ত্রণাটা তীব্র হতে লাগল।চোখ দিয়ে একভাবে পানি পড়ছে।ফ্লোরে বসে পড়লাম।দুইজন ওয়ার্ডবয় আমাকে ধরে চেয়ারে নিয়ে বসালো।

বাড়ির সবাই এসে উপস্থিত।সবাই কান্নাকাটি করছে।

তোমরা এখানে?(আমি)

আমার বন্ধু(ডক্টর কাকু) জানিয়েছে।(নিধিকার বাবা)

আম্মু বলো না রিধিকা ঠিক হয়ে যাবে।জানো মা ও না আমাকে বাঁচাতে গিয়ে গাড়ির সামনে চলে এসেছিল।(আমি)

আম্মু কাঁদতে কাঁদতে বলল,

ঠিক হয়ে যাবে বাবা।আমার ওমন লক্ষী মেয়ের কিছু হবে না।(মা)

ভাইয়া তুই এমন করিস না।তুই এমন করলে এতোগুলো মানুষকে সান্ত্বনা দিবে কে!(আনহি)

একটা চেয়ারের উপর বসে আছি।বড্ড পানির তৃষ্ণা পাচ্ছে।তাই পানি খাওয়ার জন্য ফ্লিটারের কাছে যেতেই দেখলাম নিধিকা কাঁদতে কাঁদতে কার সাথে যেন ফোনে কথা বলছে।

ওফ নিলয়!একটা কাজও ঠিকভাবে করতে পারো না।বললাম আরাভের উপর দিয়ে গাড়িটা চালিয়ে নিয়ে যাবে আর তুমি কি করলে আমার বোনকে ধাক্কা মারলে।মেয়েটা এখন মৃত্যুর সাথে লড়াই করছে।আমি আর আয়ান কি তোমায় খালি খালি এতোগুলো টাকা দিয়েছি।(নিধিকা)

নিধিকার কথাগুলো শুনে আমার বুকটা ফেটে যাচ্ছিল।আমি এই মেয়েটাকে এতো ভালোবাসতাম যে আমাকে মারতে চায়।আর আমার নিজের ভাই সেও আমাকে মারার জন্য ওই অসভ্য নিলয়কে টাকা দিয়েছে।

আমি পিছন থেকে হাত তালি দিলাম।নিধিকা পিছনে ফিরে আমাকে দেখে ভয়ে কাঁপছে।

বাহ্ নিধিকা সরি ভাবি!বাহ্!আপনাকে আমি এই ভালোবেসে ছিলাম।যাকে আমি নিজের চেয়েও বেশি ভালোবাসতাম সেই আমাকে মারতে চেয়েছে।ওয়াও!আমাকে নাহলে মারতে চেয়েছেন।আচ্ছা একবারও ভাবলেন না আমি মরলে যে রিধিকা বিধবা হয়ে যাবে।(আমি)

দেখো আরাভ আমি কিছু করি নাই।সবটা আয়ানের প্লান।(নিধিকা)

আর কত মিথ্যা বলবেন?(আমি)

তোমার বিশ্বাস না হলে তোমার ভাইকে গিয়ে জিগাসা করো।ও এগুলো করতে আমায় বাধ্য করেছে।(নিধিকা)

আপনিও কোন ধোঁয়া তুলসি পাতা নাহ্ নিধিকা চৌধুরী।(আমি)

মানে?(নিধিকা)

আমিও এমন একটা জিনিস জানিস যা আপনি মিথ্যা বলেছেন।

নিধিকা আমার দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে।

আরাভ আমি তোমাকে আরেকটা জিনিস বলতে চাই।(নিধিকা)

আপনি আর কি বলবেন?আপনি এটাই বলবেন যে আপনি সেদিন যা বলেছেন আই মিন আপনি যে আমাদের বাড়িতে বিয়ের আগে আসেননি এটা পুরোটা মিথ্যা তাই নাহ্।(আমি)

আসলে আমি….(নিধিকা)

আমি নিধিকাকে বলতে না দিয়ে বললাম।

আমাকে ভাইয়া সবটাই বলেছে।বিয়ের আগে আপনি আমাদের বাড়িতে একবার না দুইবার নাহ্।তিন তিনটা বার এসেছে আর আপনি ভালো করেই জানতেন যে আমি আয়ান চৌধুরীর ছোট ভাই।হ্যাঁ ভাইয়া সেদিন আমায় বলতে পারেনি কারণ সবার সামনে ভাইয়া আপনাকে অপমান করতে চায়নি।(আমি)

নিধিকা ভয়ে চুপসে আছে।ওর মুখে কোন কথা নেই।

কি হলো এতো ভয় পেয়ে গেলেন যে।(আমি)

আমি ওটা বলেছিলাম জানি তুমি আমাকে অবিশ্বাস না করো।মানে আমার প্রতি জানি তোমার রাগটা চলে যায়।(নিধিকা)

আপনার সাথে না আমি জাস্ট আর কোন সম্পর্কই রাখব নাহ্।আপনার মতো এতো…..যতই হোক আপনি আমার ভাইয়ের বউ আপনাকে আর কিছু বলা ঠিক হবে না।(আমি)

আমি নিধিকাকে টানতে টানতে সবার সামনে নিয়ে আসলাম।নিধিকাকে এভাবে টানতে দেখে সবাই বসা থেকে উঠে দাঁড়ালো।আর ভাইয়া তো অবাক হয়ে আছে।

আয়ান!আরাভ সবটা জেনে গেছে।এখন তুমি সবটা বলবে না আমি বলব?(নিধিকা)

মানে কি বলছো?(আয়ান)

ভাইয়া সত্যিটা বলে দে।তুই কি সত্যি আমাকে মারতে চেয়েছিস?(আমি)

আরাভ কি বলছিস এইসব?(বাবা)

আমি নিধিকার ফোনে বলা সব কথা সবাইকে বললাম।

কি আয়ান!এগুলো সত্যি?কি করেছিস তুই?(মা)

হ্যাঁ!হ্যাঁ!আমি সত্যিই আরাভকে মারতে চেয়েছিলাম।তবে চেয়েছিলাম না এখনও চাই।(আয়ান)

ভাইয়া চিৎকার করে কথাগুলো বললো।

কি বলছিস তুই?ও তোর ছোট ভাই!(বাবা)

কিসের ছোট ভাই!ও আমার কেউ নাহ্।আর হ্যাঁ আমিই তো আসলে তোমাদের কেউ না।আমি তো হলাম এক এতিম ছেলে।(আয়ান)

কি বলছিস তুই এগুলো?(আনহি)

ঠিকই বলেছি।পারলে তোর বাবার থেকে শোন।(আয়ান)

বাবা ভাইয়া কি বলছে এগুলো?(আনহি)

ও ঠিকই বলছে।আয়ান সত্যি আমার ছেলে না।ও কে আমরা রাস্তায় কুড়িয়ে পেয়েছিলাম।(বাবা)

আম্মু মুখে কাপড় দিয়ে কাঁদছে।আমার তো মুখ দিয়ে কথা বের হচ্ছে না।মনে হয় আমি কথা বলতে ভুলে গেছি।

বাবা তুই এগুলো কেন বলছিস!আমরা কখনো তোদের তিন জনকে আলাদা চোখে দেখি নাই।আর তুই আমার বড় ছেলে।তুই আমাকে প্রথম মা ডাক শোনার আনন্দ দিয়েছিস।(মা)

চুপ করো তোমরা।তোমরা কখনোই আমাদের তিনজনকে এক চোখে দেখো নাই।নাহলে কেন আমাকে অফিসের সব দায়িত্ব দিতে চাও না।আর কেনই বা আমাকে অফিসের বড় কোন কাজ দেও না।এর জন্যই আমি চেয়েছি আরাভকে আমার রাস্তা থেকে সরিয়ে দিতে।ও সরে গেলেই তো সবকিছু আমার।আর কোন সমস্যা হবে নাহ্।(আয়ান)

নিধিকা তুই ও কে এই বিষয়ে সায় দিলি কেন?(নিধিকার মা)

নিধিকার চোখ দিয়ে একভাবে পানি পড়ছে।

বল তুই এগুলো কেন করলি?(নিধিকার বাবা ধমক দিয়ে বলল)

আমি সবটা তোমাদের জন্যই করেছি।আয়ান বলেছিল আমি যদি ওর এইসব কাজে সায় না দি তাহলে ও তোমাদের মেরে ফেলবে।(নিধিকা)

নিধিকার তুমিও ওতোটা ভালো নাহ্।তুমি তো কত মিথ্যা বলেছো আরাভের রাগ ভাঙাতে।সেদিন যে বলেছিলে তুমি নাকি বিয়ের আগে আমাদের বাড়িতে আসো নাই।কিন্তু তুমি তো আমাদের বাড়িতে এসেছিলে।আর এটা মাও ভালো করে জানে।(ভাইয়া)

হ্যাঁ আমি ভালো করেই জানি।তবে আর জানি অশান্তি না বাড়ে তাই আমি কিছু বলি নাই।(মা)

আরাভ পুলিশকে ফোন দিয়ে বল এই ছেলেকে আমার সামনে থেকে নিয়ে যেতে।যেই ছেলেকে আমি নিজের চেয়ে বেশি ভালোবাসতাম।কখনো কোন কষ্ট পেতে দেই নাই।সেই ছেলেকে আজ…….

বাবা আর বলতে পারল না।দাঁড়ানো থেকে বসে পড়ল।

ওরে হতভাগা তুই যে বললি আমরা কেন তোকে অফিসের কোন বড় কাজ দি না আর কেনই বা সবকিছুর দায়িত্ব দেই না তার কারণ তুই কি জানিস!(মা)

আমি যা জানার তাই জানি।(আয়ান)

চুপ কর।তুই কিছুই জানিস না।তোকে কোন বড় কাজ বা দায়িত্ব দেওয়া হয় না তার কারণ হলো তোকে বেশি প্রেশার দেওয়া নিষেধ।ছোটবেলায় যখন তুই অনেক ছোটাছুটি করতি তখন একদিন তুই হঠাৎ সেন্সলেস হয়ে গেছিলি তখন ডাক্তার বলে ছিল কখনো তোকে কোন প্রকার কাজের প্রেশার দেওয়া যাবে না।তাহলে তোর অনেক বড় বিপদ হয়ে যেতে পারে।আর শুনে রাখ তোর বাবার যা সম্পত্তি আছে সব তোদের তিন ভাই-বোনের জন্য সমান ভাবে ভাগ করা আছে।কাউকে বেশি বা কাউকে কম দেওয়া হয়নি।(মা)

মায়ের কথাগুলো শুনে ভাইয়ার চোখ দিয়ে পানি পড়ছে।

আরাভ তোকে বললাম নাহ্ পুলিশকে ফোন দিতে।ও কে আমার সামনে থেকে এখনই যেন গ্রেফতার করে নিয়ে যায়।(বাবা)

না বাবা দয়া করে এমনটা করবেন নাহ।আমি ও কে অনেক ভালোবাসি।(নিধিকা)

ভাইয়া গিয়ে বাবার পা ধরে বসল।

ক্ষমা করে দেও বাবা।আমি লোভে পড়ে এইসব করে ফেলেছি।আমিও আরাভকে যথেষ্ট ভালোবাসি কিন্তু আমি কেন এমন হিংস্র পশুর মতো করলাম আমি নিজেও জানি নাহ্।(আয়ান)

আমার কাছে ক্ষমা চেয়ে লাভ নেই।তোর ভাইয়ের দিকে চেয়ে দেখ ছেলেটা কথা বলতেও ভুলে গেছে।খালি দাঁড়িয়ে কাঁদছে।(বাবা)

ভাইয়া এসে আমার সামনে দাঁড়িয়ে আমার চোখের জল মুছে দিল।আমার পায়ে ধরতে যাবে আমি তার আগে ভাইয়াকে তুলে জড়িয়ে ধরলাম।

ভাইরে আমায় ক্ষমা করে দে।আমি তোর সাথে অনেক অন্যায় করেছি।(আয়ান)

ভাইয়া তোকে আমি নিজের চেয়েও বেশি ভালোবাসি।তুই যদি আমাকে বলতি আমি তাহলে আমার নামে যা আছে সব তোকে দিয়ে দিতাম।(আমি)

না রে ভাই আমার আর কিছু চাই না।এখন আমার শুধু তোদের নিয়ে সারাজীবন বেঁচে থাকার ইচ্ছা।(আয়ান)

ভাইয়া দয়া করে নিধিকার সাথে আমায় কোন সম্পর্ক রাখতে বাধ্য করবি নাহ্।এটা আমার একমাত্র চাওয়া তোর কাছে।(আমি)

আমি ভাইয়াকে ছেড়ে দিলাম।দৌড়ে গেলাম ওটির কাছে।

সিস্টার রিধিকার এখন কি খবর?(আমি)

এখনও অপারেশন শেষ হয়নি।আরও কিছুক্ষণ সময় লাগবে।(আমি)

আমি আজ বুঝতে পারছি।আমি রিধিকাকে ভালোবেসে ফেলেছি।নাহলে আমার এতো কষ্ট কেন হচ্ছে।আর এতোক্ষণ এতো কিছু ঘটে গেল কিন্তু আমার শুধু রিধিকার কথাই মাথায় ছিল।আর কিছুই কাজ করছে নাহ্।আমি কি ওর মুখ থেকে আর মি.চৌধুরী ডাক শুনতে পারব নাহ্!

সন্ধ্যার সময় ডাক্তার বলল,

উনার অপারেশন সাকসেসফুল হয়েছে।তবে এখনোও শরীর অনেক দুর্বল।ঘুমের ইনজেকশন দেওয়া হয়েছে।একটু পরে কেবিনে দেওয়া হবে তখন আপনারা দেখা করতে পারবেন।

যাক আলহামদুলিল্লাহ আমার রিধিকা ঠিক হয়ে গেছে।(আমি)

না এখনও ঠিক হয়নি জ্ঞান ফিরলে বোঝা যাবে সবটা।কারণ এমন এক্সিডেন্টে অনেক সময় মেমরি লসের চান্স থাকে।(ডাক্তার)

ডাক্তার কথাটা বলে চলে গেল।

আমি আসলে অনেক খারাপ তাই না!এর জন্যই তো আমার সাথে কোন ভালো কিছু হয় নাহ্।(আমি)

ভাই এমনটা বলিস নাহ্।তুই তো অনেক ভালো।আর দেখ রিধু সুস্থ হয়ে যাবে।একটু অপেক্ষা কর ভাই।(আয়ান)

আরাভ তুমি এভাবে ভেঙে পড়ো নাহ্।আমার বোনের কিছু হবে নাহ্।(নিধিকা)

আপনাকে কেউ সান্ত্বনা দিতে বলে নাই।(নিধিকাকে উদ্দেশ্যে করে বললাম)

আসলে সবটার জন্য তো আমিই দায়ী।আমার জন্যই তো এমনটা হয়েছে।আরাভ তুই প্লিজ আমাকে পুলিশের হাতে তুলে দে।(আয়ান)

ভাইয়া চুপ করো।আর একটা কথাও বলবে নাহ্।তুমি তো নিজের ভুল বুঝতে পেরেছো এটাই অনেক।তারপরেও ভবিষ্যতে এমন কোন কাজ করো না যে কারণে তুমিও আমার মন থেকে উঠে যাও।(আমি)

তাহলে নিলয়কে তো পুলিশের হাতে দেওয়া উচিত।(নিধিকা)

নিলয়কে পুলিশে দিলে তো আপনাকে আর ভাইয়াকেও দেওয়া উচিত।কারণ নিলয় আপনাদের কথা মতোই কাজটা করেছে।আর এমনিও ওই দুই টাকা মস্তানের ওতো সাহস নেই যে আর কিছু করবে।ও জানি এখন নিজেই ভয়ে গাঁ ঢাকা দিয়েছে।আর হ্যাঁ আপনি নিজের চরকায় তেল দিন।আরেক জনের বিষয় নিয়ে এতো ভাবতে হবে নাহ্।ভাইয়া তোমার বউকে এতোকিছু বলায় কিছু মনে করো নাহ্।(আমি)

নাহ্ আমি আর কি মনে করব।আমরা দুজনেই তো সমান অপরাধ করেছি।তারপরেও এই মেয়ে এতো কথা কিভাবে বলে আমার মাথায় আসছে নাহ্।আমার তো লজ্জায় মাটির নিচে ঢুকে যেতে ইচ্ছা করছে।(আয়ান)

চলবে………

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here