বিনি_সুতোয়_গাঁথা 💙,পর্ব_১০

বিনি_সুতোয়_গাঁথা 💙,পর্ব_১০
লেখক_ঈশান_আহমেদ

ভাইয়ার কলের কারণে সকালে ঘুমটা ভেঙে গেল।কলটা রিসিভ করলাম।

কিরে ভাইয়া শ্বশুরবাড়ি গিয়েও কি আমাকে কল করা লাগে?(আমি)

তোর সাথে জরুরি কথা আছে।বেশি কথা বলিস না আমি যা বলছি শোন।(ভাইয়া)

ওকে।(আমি)

নিধিকা তোকে সেদিন মিথ্যা বলেছিল।যে বিয়ের আগে ও আমাদের বাড়িতে আসেনি।কিন্তু ও আমাদের বাড়িতে বিয়ের আগে তিনবার আসছে।আর ও ওটাও জানে যে তুই আমার ছোট ভাই।(ভাইয়া)

ভাইয়ার কথাটা শুনে কি আর বলব!অনেকটাই খারাপ লাগছে।যেই না বিশ্বাস করতে শুরু করেছিলাম সেই আবার মিথ্যা কথা।নাহ্ নিধিকার সাথে আর কোন সম্পর্কই রাখবো নাহ্।

ফোনটা রেখে দিলাম।আসলে ও কি টাইপের মেয়ে!আমার মাথায় আসে না।ভাইয়াকেও লাগবে আবার আমাকেও!ছিঃআমার ঘৃণা হয় যে আমি এমন একটা থার্ড ক্লাস মেয়েকে ভালোবেসেছিলাম!নাহ্।ওই মেয়েকে নিয়ে আমি আর কিছুই ভাববো নাহ্।এখন আমার ভাবনা জুড়ে শুধু রিধিকাই থাকবে।

আর আমার মাথায় এই জিনিসটা কেন আসল না যে নিধিকা তো বিয়ের দিন আমায় দেবর জি বলেছিল আর আমাকে দেখে একটুও ইতঃস্তত বোধ করলো নাহ্।এটাতেই তো বোঝা যায় যে,নিধিকা আগেই জানতো আমি ভাইয়ার ছোট ভাই।এই বিষয়টা একবারও আমার মাথায় আসলো নাহ্।

বিছানায় বসে ম্যাগাজিন পড়ছিলাম হঠাৎ দেখলাম রিধিকা গোসল করে এসেছে।একটা নীল শাড়ি পড়েছে।আমি হা হয়ে ওর দিকে তাকিয়ে আছি।এর আগে আমি কখনো ওর দিকে এভাবে তাকাইনি।বলতে গেলে আমার তাকানোর কোন ইচ্ছা হতো না।কিন্তু আজ কি হলো আমার!

আর তাকাবো না কেন একটা মেয়ে এতো সুন্দর!

রিধিকার একটু বর্ণনা দেই-
দুধে আলতা গাঁয়ে রং,চোখ দুটো টানাটানা,লম্বা চুল।সব মিলিয়ে মাশাআল্লাহ!-

যেকোন ছেলে একবার দেখলেই প্রেমে পড়ে যাবে।

কি হয়েছে মি.চৌধুরী?আপনি এভাবে তাকিয়ে আছেন কেন!(রিধিকা)

রিধিকার কথায় বাস্তবে ফিরলাম।রিধিকা ড্রেসিং টেবিলের সামনে বসে সাজছে।আমি গিয়ে ওর পিছনে দাঁড়ালাম।

তুমি সেদিন বলছিলে না তোমার একটা নাম দিতে।(আমি)

কথাটা শুনে রিধিকা আমার দিকে তাকালো।

তোমার নাম হলো এলোকেশরী।তোমার এই লম্বা চুল যখন বাতাসে উড়ে।তখন চুলগুলো এলোমেলো হয়ে যায়।তখন তোমাকে এক অন্য রকম সুন্দর লাগে।(আমি)

কথাগুলো বলে কাশি দিলাম।কি বলছি এইসব!রিধিকা কি ভাববে।ছিঃআরাভ তুই একদম ছন্নছাড়া হয়ে গেছিস।

রিধিকার দিকে তাকিয়ে দেখি ও চুপ হয়ে বসে আছে।মনে হয় অনেকটা লজ্জা পেয়েছে।ও কি লজ্জা পাবে, ওর চেয়ে বেশি আমার লজ্জা লাগছে।আমি তাড়াতাড়ি ওর সামনে থেকে নিচে চলে আসলাম।

নিচে এসে সোফায় বসে আছি।আনহি এসে আমার পাশে বসল।

ভাইয়া, আমি রিধু ভাবির ভার্সিটিতে ভর্তি হতে চাই।(আনহি)

তা গিয়ে ভর্তি হয়ে আয়।আমাকে কেন বলছিস!(আমি)

আরে ভাইয়া তোর যেতে হবে।(আনহি)

আমার যেতে হবে মানে?(আমি)

আরে বড় ভাইয়া বাসায় নাই।আর আব্বু যেতে পারবে নাহ্ বলে দিয়েছে।এখন তো তোরই যেতে হবে।(আনহি)

তা রিধিকার সাথে গিয়ে ভর্তি হয়ে আসলেই তো হয়।(আমি)

ওফ!একজন পুরুষকে যেতে বলছে।(আনহি)

একদম বিরক্তিকর।ছেলেদের কেন যেতে হবে মেয়েরা পারে না নাকি সব ফর্মালিটি পূরণ করতে।আজব!(আমি)

আমি জানি না।তুই আর ভাবি দুজনেই যাবি।(আনহি)

আচ্ছা যাবো।তুই যা এখন।(আমি)

রিধিকা এসে আনহির পাশে বসল।

আচ্ছা ভাবি!বড় ভাবিকে যারা ধর্ষণ করেছিল তারা কি কোন শাস্তি পেয়েছে?নাকি ওদের ধরতে পারে নাই?এইসব লোকগুলোকে জ্যান্ত পুড়িয়ে দেওয়া উচিত।(আনহি)

তুমি ঠিকই বলছো।আর হ্যাঁ আপুকে যারা রেপ করেছিল তাদেরকে পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে।আর জেল হয়েছে দশ বছরের!(রিধিকা)

যাক শুনে ভালো লাগল।আসলে এই বিষয়টা জানা ছিল না।(আনহি)

তোকে এইসব নিয়ে এতো কে ভাবতে বলছে?নিজের কাজ কর।(আমি)

কি বলিস তুই।ভাবিকে ধর্ষণ করা হয়েছিল।আর তাকে যারা ধর্ষণ করেছিল তারা শাস্তি পাবে নাহ্?(আনহি)

যে যেমন তার সাথে তেমনই হয়।এটা দুনিয়ার নিয়ম।কেউ কখনো কাউকে ঠকিয়ে ভালো থাকে নাহ্।(আমি)

আপনি এগুলো কি বলছেন মি.চৌধুরী?(রিধিকা)

যা শুনেছো তাই বলেছি।এর চেয়ে বেশি কিছু জিগাসা করো নাহ্।(আমি)

পরেরদিন সকালে,

উফ এতোক্ষণ লাগে রেডি হতে তোমাদের?আজকে আবার আমার অফিসে যেতে হবে।(আমি)

রিধিকা আর আনহি নিচে আসল।

এতো চিল্লানোর কি আছে?একটু টাইম তো লাগবেই রেডি হতে।(রিধিকা)

হয়েছে এখন চলো।এই পাকনিকে ভর্তি করতে এখনও আমার যাওয়া লাগবে।য়ত্তসব!(আমি)

গাড়ির কাছে চলে আসলাম।

দেখলে ভাবি কি বলে গেল!(আনহি)

থাক মন খারাপ করো না।চলো আমার একমাত্র ননদীনি৷(রিধিকা)

রিধিকা আর আনহি গাড়ির পিছনের সিটে এসে বসল।

আমি কি ড্রাইভার নাকি?দুজনে পিছনে বসলে কেন!(আমি)

বিশ্বাস কর ভাইয়া তোকে না ড্রাইভারের মতোই লাগছে।(আনহি)

হুম আর তোকে কাজের মেয়ে সখিনার মতো লাগছে।(আমি)

ভাবি তুমি কিন্তু সামনে যাবে না।তোমার একমাত্র ননদকে অপমান করতেছে।(আনহি)

আচ্ছা ঠিক আছে শান্ত হও তোমরা।আর মি.চৌধুরী আপনি গাড়ি চালান।আপনাকে একাই বসতে হবে।(রিধিকা)

কি আর করব গাড়ি স্টার্ট করলাম।রিধিকার ভার্সিটির সামনে গাড়ি থামালাম।ভিতরে ঢুকতে কোথা থেকে যেন একটা ছেলে এসে রিধিকার হাত টেনে ধরল।

হেই রিধিকা!এতোদিন আসো নাই কেন?(ছেলেটি)

নিলয় ভাইয়া আমার হাতটা ছাড়ুন।(রিধিকা)

উফ!হাত কেন ছাড়ব।তোমার হাত তো ধরার অধিকার আমার আছে।আর আগে বলো এতোদিন আসো নাই কেন?(নিলয়)

হাতটা ছাড়ুন প্লিজ।(রিধিকা)

আচ্ছা বাই দ্যা ওয়ে এরা কারা?(নিলয়)(আমাকে আর আনহিকে উদ্দেশ্য করে বলল)

রিধিকা ঝটকা দিয়ে নিলয়ের হাতটা ছাড়িয়ে দিল।

কতবার বলছি হাত ছেড়ে দিতে!ছাড়লেন না কেন?একদম অসভ্যতামি করতে আসবেন না আমার সাথে।(রিধিকা)

নিলয় রিধিকার দিকে তেড়ে যাবে এর আগে আমি রিধিকার সামনে গিয়ে দাঁড়ালাম।

এই কে রে তুই?আমার আর রিধিকার মাঝে আসিস?(নিলয়)

আমি কিছু না বলে রিধিকার হাত ধরে নিয়ে আসতে যাবো এমন সময় নিলয় আমার আর রিধিকার হাতে একটা ইট ছুড়ে মারল।আমি রিধিকার হাতটা ধরে থাকায় ইট-টা আমার হাতে লাগল।হাতে ব্যাথা পাওয়ার কারণে রিধিকার হাতটা ছেড়ে দিলাম।

তোর ওর হাত ধরার কোনোঅধিকার নাই।এই অধিকার শুধু আমার আছে।(নিলয়)

উনারই আমার হাত ধরার অধিকার আছে।আপনার কোন অধিকার নাই।আর একদম আমাকে এসে এভাবে বিরক্ত করবেন না।(রিধিকা)

তোমার হাত ধরার অধিকার ওর আছে।কেন?এ কে হয় তোমার?(নিলয়)

আমার হাসব্যান্ড হয়।(রিধিকা)

নিলয় রিধিকার দিকে হা হয়ে তাকিয়ে আছে।নিলয় গিয়ে রিধিকার হাত ধরতে যাবে তখন আমি ওর হাত ধরে বললাম,

একটু আগে বলল না আপনার কোন অধিকার নাই।সো ওর হাত ধরবেন না।আর ওর থেকে যতটা সম্ভব দূরে থাকবেন।(আমি)

রিধিকা তুমি আমাকে রেখে বিয়ে করতে পারো না।আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি।(নিলয়)

আপনার মতো একজন চরিত্রহীন,লম্পট,অসভ্য ছেলেকে আমি কখনোই ভালোবাসবো নাহ্।যেই ছেলে কাপড়ের মতো নারী পাল্টায় তাকে আর যেই হোক রিধিকা কখনো ভালোবাসবে নাহ্।(রিধিকা)

রিধিকা আমাকে আর আনহিকে নিয়ে ভিতরে চলে আসল।

পিছন থেকে নিলয় বলল,

তুই আমার ছাড়া আর কারো হতে পারবি নাহ্।এই কথা বলে দিলাম।(নিলয়)

রিধিকা আর আনহিকে রেখে বের হতে যাবো এমন সময় রিধিকা বলল,

আপনার হাতটা দেখি।(রিধিকা)

কেন?(আমি)

রিধিকা আর কিছু না বলে আমার হাতটা টেনে ওর কাছে নিল।ইটের বারি লাগায় একটা আঙুল কেটে গেছে।রিধিকা আমার আঙুলে ব্যান্ডেজ করিয়ে দিল লাইব্রেরিতে নিয়ে।

রিধিকা আর আনহির থেকে বিদায় নিয়ে বের হতেই নিলয় এসে আমার সামনে দাঁড়ালো।

তোর বউটাকে না একদম হেব্বি দেখতে।বিয়ে করলি কিভাবে একে!এতো কোন ছেলেকেই পাত্তা দেয় নাহ্।(নিলয়)

বিয়ে কিভাবে করেছি আমি নিজেও জানি না।তবে তোকে না এখন একটু আদর দিতে হবে।মনে হয় অনেকদিন আদর খাস না।(আমি)

নিলয়কে ইচ্ছামতো কেলিয়ে ক্যাম্পাসে ফেলে দিলাম।ওর সামনে বসে বললাম,

শোন!আমি হলাম এই ভার্সিটির অনেক পুরনো স্টুডেন্ট।সব স্যার-মেডামরাই আমাকে চিনে।তোকে মারলেও আমাকে উনারা কিছু বলবেন না।কারণ তারা জানে কেউ দোষ না করলে আরাভ চৌধুরী কখনো কারো গাঁয়ে হাত তুলে নাহ্।আর সেকেন্ড টাইম যদি দেখি রিধিকাকে নিয়ে এই ধরনের কথা বলছিস।তোর হাত-পা আর আস্তো থাকবে নাহ্।(আমি)

কথাগুলো বলে ভার্সিটি থেকে বেরিয়ে আসলাম।ক্যাম্পাসের সবাই আমার দিকে হা হয়ে তাকিয়ে আছে।একটা মুচকি হাসি দিয়ে গাড়ি স্টার্ট দিলাম।

অফিসে এসে দেখি আমার পিতা মশাই হাত মুথো করে বসে আছে।আমার দিকে রাগী চোখে তাকালো।

তোমার আসার এখন সময় হলো?আর মস্তানি করে তো জামা-কাপড় একদম সুন্দর ভাবে সাজিয়ে এনেছো!(বাবা)

বাবা কিভাবে জানল!নিশ্চয়ই স্যার বলছে।তবে স্যার তো বাজে কিছু বলবে না।স্যার বললে তো সুনামই করবে।

কি ভাবছো যে তোমার স্যার বলেছে?তোমার স্যার কিছুই বলে নাই।আমি যখন অফিসে আসি তখন দেখেছি।(বাবা)

বাবাকে সব ঘটনা খুলে বললাম।

তারপরও এমন ছেলেদের সাথে ঝামেলা করা থেকে দূরে থাকবে।আর এখন বাসায় গিয়ে কাপড় চেঞ্জ করো।যা অবস্থা এই অবস্থায় অফিসে বসতে হবে না।(বাবা)

আমি আর কিছু না বলে বাড়িতে চলে আসলাম।

অন্যদিকে,

সেদিন তুমি যেভাবে আমার সাথে ব্যবহার করলে সবার সামনে।আমি অনেক কষ্ট পেয়েছিলাম।(নিধিকা)

আসলে রিধিকা এসে হঠাৎ সবকিছু বলেছিল।সেই কারণেই একটু বেশি ওভার করে ফেলছি।(আয়ান)

তোমার জন্য সবটা আমার সবার সামনে বলা লাগলো।জানো কতটা খারাপ লাগছে এইসব বলতে!(নিধিকা)

সরি নিধিকা আর এমন হবে নাহ্।তোমার আম্মু-আব্বুকে বলেছো?(আয়ান)

হুম আম্মুকে বলেছি।আর আম্মুই আব্বুকে বলে দিবে।(নিধিকা)

আর নিধিকা আমি যা বলেছিলি সেটা যেন মাথায় থাকে।আর ওই নিলয়ের সাথেও আমার কথা হয়েছে।আরাভ একদম ওর হাত-পা ভেঙে দিছে।তবে কাজটা নাকি করতে পারবে।(আয়ান)



দুপুরের খাবার খেয়ে সোফায় বসে আছি।রিধিকা আর আনহি এসে আমার দিকে তাকিয়ে আছে।

কি হয়েছে তোমাদের?(আমি)

আপনি নিলয়কে মেরেছেন কেন?(রিধিকা)

মেরেছি ভালো করছি।ওইসব ছেলেদের মার খাওয়াই উচিত।(আমি)

আপনি জানেন ও কত খারাপ ছেলে!যদি আপনার কিছু করে দেয়?(রিধিকা)

ভাবি ঠিক বলেছে।তোর একদম উচিত হয়নি ওই লোকটাকে মারার।(আনহি)

আনহি উপরে চলে গেল।

রিধিকা!ও আমার কিছুই করবে নাহ্।আর শোনো সবকিছু নিয়ে এতো ভাববে নাহ্।তাহলে মাথায় তেলাপোকার বাস শুরু হবে।(আমি)

কি?মাথায় তেলাপোকার বাস হয় নাকি?(রিধিকা)

হুম হয় তো।আমি এক গবেষণায় দেখেছি।(আমি)

তাহলে আমি আর কোন কিছু নিয়ে এতোটা ভাববো নাহ্।(রিধিকা)

রিধিকার মুখ ভয়ে চুপসে গেছে।রিধিকা হেঁটে রুমের দিকে চলে গেল।আমি জোরে হেসে দিলাম।

একি বোকা নাকি আমি মজা করলাম আর সত্যি ভাবলো!(আমি)

এক সপ্তাহ কেটে গেল।সবকিছু ঠিকঠাক।ভাইয়া-আর নিধিকাও বাড়িতে চলে এসেছে।আমি এখন আর নিধিকার সাথে তেমন কথা বলি না প্রয়োজন ছাড়া।তবে ইদানীং আমি কেমন জানি রিধিকার প্রতি দূর্বল হয়ে গেছি।রিধিকাকে ছাড়া এখন কিছুই ভালো লাগে নাহ্।

রিধিকা একটা কালো শাড়ি পড়ে অনেক সুন্দর ভাবে সেজেছে।

কোথাও যাবে?(আমি)

আমি একা না আপনিও যাবেন।একটু শপিংয়ে যাব।আপনি নিয়ে যাবেন।(রিধিকা)

রিধিকার কথায় আমার কোন ভ্রুক্ষেপ নাই।আমি ওর মুখের দিকে একভাবে তাকিয়ে আছি।আল্লাহ্ হাতে ধরে বানিয়েছে।রিধিকা যে এতো সুন্দর এর আগে আমি জানতাম নাহ্।

আমি রিধিকার একদম কাছে।রিধিকা অবাক হয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছে।রিধিকা চোখ নামিয়ে নিল।আমার বুকে হাত দিয়ে ওর থেকে আমাকে কিছুটা দূরে সরিয়ে দিল।

আমি এতোক্ষণ কি করছিলাম!কি হলো হঠাৎ করে আমার।ধূর কোন দুনিয়ায় হারিয়ে গেছিলাম আমি!

মি.চৌধুরী আমার এতোটা কাছে আসবেন নাহ্।(রিধিকা)

রিধিকার কথায় কেমন জানি খারাপ লাগব।তাই কিছু না বলে ওয়াশরুমে চলে আসলাম রেডি হতে।

রিধিকা দাঁড়িয়ে হাসছে।

ওফ!চৌধুরী সাহেব মনে হয় কষ্ট পেয়েছে।সমস্যা নেই।আজ রাতেই সবটা জানতে পারবে!(রিধিকা)

চলবে…………

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here