ফিল্মি স্টুডেন্ট ||ছোট গল্প||

গল্প- ফিল্মি স্টুডেন্ট ||ছোট গল্প||
মেহরুমা নূর

আনিস স্যার ক্লাসে ঠুকতেই সব স্টুডেন্ট রা দাঁড়িয়ে গানের সুরে বলে উঠলো।
♬ সালামি নামাস্তে এ এ
♬ সালামি নামাস্তে এ এ

আনিস স্যার বরাবরের মতোই বিরক্ত হলেও কিছু বললো না। কারণ যানে এসব ঘাড়ত্যাড়া পোলাপানকে কিছু বলে লাভ নেই। তাই সে চশমা ঠিক করে ক্লাস নেওয়া শুরু করে দিল।

স্টুডেন্ট দের ব্রেঞ্চের সামনে এসে একে একে সবাইকে প্রশ্ন করতে লাগলো। প্রথমে বল্টুর কাছে এসে বললো।
–এই বল্টু বলতো, ডাক্তার আসিবার পূর্বে রুগী মারা গেল। এটা ইংলিশে ট্রান্সলেশন কর।

বল্টু ন্যাকামি সুরে মেলোড্রামা করে বললো।
–স্যার আপনি এতো নির্দয় কেন? আপনার ভেতর কি সহানুভূতি বলতে কোন সফটওয়্যার নেই?

স্যার ভ্রু কুঁচকে বললো।
–এখানে সহানুভূতির কি আছে?

–স্যার একজন লোক বিনা চিকিৎসায় মারা গেল। আর আপনি কিনা সেটা নিয়ে ট্রান্সলেশন বানাতে বলছেন? আপনার ভেতর কি দয়া মায়া বলতে কিছু নেই? একটু ভাবুন স্যার, আপনাকেও তো এক না একদিন মরতে হবে।

স্যার এক ধমক দিয়ে বললো।
–চুপ কর হারামজাদা। বিটলামি হচ্ছে আমার সাথে? দেব এক থাপ্পড় মেরে।

বল্টু ফিল্মি কায়দায় বললো।
–থাপ্পাড় সে ডার নেহি লাগতা স্যার, পাড়ায় সে লাগতাহে।
(থাপ্পড়ে ভয় লাগে না স্যার, পড়াশোনায় লাগে।)

স্যার এবার বিরক্ত হয়ে অন্য স্টুডেন্ট এর কাছে গেল। মিন্টুর কাছে এসে ওকে বললো।
–এই মিন্টু বলতো, গ্রামারের ভাষায় নাম্বার কাকে বলে?

মিন্টু ফুল কনফিডেন্সের সহিত বলে উঠলো।
–স্যার যে জিনিস টা পাওয়ার জন্য ছেলেরা দিনের পর দিন তাদের পকেট আর জুতো ক্ষয় করে শেষ করে ফেলে। আর মেয়েরা সেটা না দিয়ে পার্ট পার্ট নিতে নিতে হিমালয় পর্বতের চূড়ায় পৌঁছে যায়,তাহাকেই নাম্বার বলে।

পাশ থেকে দিপু মিন্টুর সাথে সায় দিয়ে বলে উঠলো।
–এক্কেরে কারেক্ট কইছস দোস্ত। জানোস আমার টা তো পুরো একমাস লাগাইছিল নাম্বার দিতে। পকেট মানির সব টাকা শেষ কইরা তারপরে না দিছে।

বাপ্পি বলে উঠলো।
–ভাই আমিই সবচেয়ে ভালো কাম করছি। চিঠি লিখে দিয়ে দিছি। নাম্বারের ঝামেলায় নাই।😂

এদের কথায় স্যার যেন মূর্ছা যাওয়ার উপক্রম। ক্লাস ফাইভের পোলাপান হয়ে কিসব কথা বলছে। সবকয়টা যে বদমাইশের হাড্ডি তা বুঝতে বাকি নেই তার।

স্যার এবার টুটুলের কাছে এসে বললো।
–টুটুল বলতো,তোর মতে বর্তমান সময়ে সবচেয়ে মহান ব্যাক্তি কে?

টুটুল বলে উঠলো।
–স্যার আমার মতে বর্তমান সময়ে সবচেয়ে মহান ব্যাক্তি হলো টিভি সিরিয়ালের পরিচালক রা।

স্যার ভ্রু কুঁচকে বললো।
–কিহহ?

–হ্যাঁ স্যার তাদের মতো আর কেও নেই। একমাত্র তারাই পারে মরা ব্যক্তিকে জীবিত করে দিতে। তাও আবার একবার না বারবার মরে আবার জীবিত করে দেয়। এমনটা কি অন্য কেও করতে পারে? বেচারা যমরাজও কনফিউজড হয়ে যায়। কে মৃত আর কে জীবিত সেটা বাছাই করতে। আর এতো বার করে তাদের প্লাস্টিক সার্জারি হয় যে দেশের সব প্লাস্টিকই ফুরিয়ে গেছে তাদের সার্জারী করতে করতে। সব মহিলাদের এমন ভাবে মন্ত্রমুগ্ধ করে দেয় যে তারা সিরিয়াল দেখার সময় অন্য কোন দিকে ধ্যানই দেয় না।সিরিয়াল দেখার সময় আপনি শুধু একবার চ্যানেল টা পাল্টে দেখুন স্যার।ব্যাস খেল খতম, তারপর দেখবেন আপনি পৃথিবীর জন্য ইতিহাস হয়ে যাবেন।

টুটুলের এই মহান বানিতে স্যারও সহমত। সেও যে এটার ভুক্তভোগী। একবার শুধু তার বউয়ের সিরিয়াল দেখার সময় চ্যানেল পাল্টানোর দুঃসাহসিকতা দেখিয়েছিল। ব্যাস সেদিন তার বউয়ের রণচণ্ডী রুপ দেখে তার কলিজায় পানি শুঁকিয়ে গিয়েছিল। হার্ট অ্যাটাক হতে হতে বেঁচেছিল বেচারা।

স্যার এবার আরেক স্টুডেন্ট এর কাছে এসে বললো।
–এই তুমি নতুন স্টুডেন্ট না? তোমার পরিচয় টা দাও সবাইকে।

ছেলেটা দুই হাত ছড়িয়ে শাহরুখ খানের মতো করে বলে উঠলো।
–আমি হলাম রাজ, নামতো সুনা হি হোগা।

স্যার তাচ্ছিল্যের সুরে বললো।
–হ্যাঁ হ্যাঁ শুনবো না কেন। তোমার মতো মহান স্টুডেন্ট এর নাম কেনা জানে। যাকে পাঁচ টা স্কুল থেকে উষ্টা মেরে বের করে দিয়েছে। তাকে তো সবাই চিনবেই।

কথাটা অপমান স্বরুপ হলেও, রাজ সেটা গর্বের সহিত নিয়ে বললো।
–বাচ স্যার, কাভি ঘামান্ড নেহি কিয়া।🤓
(কখনো অহংকার করিনি)

–বাহ ফেলটু হয়েও নিজের ওপর গর্ব করছিস গাধা।

–অফকোর্স স্যার, সালমান ভাই কি বলেছে শোনেননি? জিন্দেগী মে তিন চিজ কো কাভি আন্ডারেস্টিমেট মাত কারনা,আই, মি এন্ড মাইসেল্ফ।
(জীবনে তিন জিনিস কে কখনো আন্ডারেস্টিমেট করোনা,আই মি এন্ড মাইসেল্ফ)

স্যার এবার লিটনের দিকে তাকিয়ে দেখলো, লিটন পাশের স্টুডেন্ট এর সাথে কি যেন ফুসুরফাসুর করছে।স্যার ওর সামনে এসে ব্রেঞ্চের ওপর বাড়ি মেরে বললো।
–এই কি হচ্ছে এখানে হ্যাঁ? ক্লাসে মন না দিয়ে কি কথা হচ্ছে এতো? শুনেছি তুই নাকি কূটনামি করে বেড়াস? সবার নামে নাকি নানান কথা ছড়িয়ে বেড়াস? কেনরে হ্যাঁ?

লিটন উঠে দাঁড়িয়ে ইনোসেন্ট ফেস করে বললো।
–কি বলছেন স্যার? এই মাছুমের নামে এতোবড় মিছা কথা? জাতি সইবে না স্যার। আমি কখন কার নামে কি বললাম? এই গুজব কে ছড়িয়ে বেড়াচ্ছে? এটা যথাযতই মিথ্যে অপবাদ স্যার। আপনিই বলুন আপনার যে চোখ টিপানোর অসুখ আছে, আমি কাওকে সেটা বলেছি?

স্যার একটু ভরকো উঠে বললো।
–কিহহ? কি বলছিস এসব? আমি কখন চোখ টিপ পারলাম?

–মিথ্যে বলছেন কেন স্যার? আমি নিজের চোখে আপনার চোখ টিপ পারা অসুখ দেখেছি। যদিও সেটা সবসময় হয় না। মিস লিরা যখন আপনার সামনে থাকে তখনই এমনটা হয়।

লিটনের কথায় স্যার বিষম খেয়ে কাশতে শুরু করে দিল। তার স্টুডেন্ট রা যে এতো হায় লেভেলের বদমাশ তা জানা ছিল না তার। কোনরকমে লিটনকে ধমক দিয়ে বসিয়ে ওন্য স্টুডেন্ট এর কাছে এসে দাঁড়াল। গিল্লুর সামনে দাঁড়িয়ে বললো।
–গিল্লু তুই ইংরেজি সংখ্যা গুলো দিয়ে একটা রাইমস বলতো।

গিল্লু হাসি মুখে বললো।
–এটা কোন ব্যাপার হলো? এখুনি শুনুন স্যার।
♬ ওয়ান টু থ্রি ফোর গেট অন দা ডান্সফ্লোর
♬ শোল্ডার হিচিক মিচিক,বডি হিচিক মিচিক
♬ গিভ মি গিভ মি গিভ মি সাম মোর
♬ ওয়ান টু থ্রি ফোর গেট অন দা ডান্সফ্লোর

স্যার একটা ধমক দিয়ে বললো।
–চুপ কর। এগুলো কি করছিস? সবকয়টা বাঁদরের দল।

স্যার এবার হাসুর কাছে এসে বললো।
–এই তুই বলতো নবাব সিরাজুদ্দৌলার মৃত্যু কিভাবে হয়েছে?

হাসু ভীতু স্বরে বললো।
–স্যার আমি মারিনি, মা কসম।

স্যার শুধু নিজের কপাল চাপড়াচ্ছেন। এ কাদের মধ্যে এসে ফেসে গেছে সে। এগুলো বাচ্চা নাকি যম।

স্যার এবার পল্টুর কাছে এসে বললো।
–এই তুই বলতো, একটা মাঠে এগারো টা ছাগল ঘাস খাচ্ছে। তারমধ্যে দশটা ছাগল চলে গেল। এখন ওখানে কয়টা ছাগল রইলো?

পল্টু বললো।
–একটাও না।

–কিহহ? একটাও না কিভাবে? দশটা চলে গেলে একটা ছাগল তো থাকে।

–স্যার আমার তো মনে হইতাছে আপনি নিজেই একটা ছাগল। আরে দশটা ছাগল চলে গেলে একটা ছাগল কি একা একা ওখানে ঘাস খাবে? সেও তো ওদের সাথে চলে যাবে। এতটুকু কমনসেন্স নেই আপনার? আইছে আবার স্যার হইতে।

স্যারের এবার সত্যি মনে হচ্ছে তাকে কে শিক্ষক বানালো। এরচেয়ে তো মাটি কেটে খাওয়াও ভালো ছিল।

যাইহোক স্যার এবার হিল্টুর কাছে এসে বললো। –এই হিল্টু বলতো টেনস কাকে বলে?

হিল্টু ভয়ে ভয়ে বললো।
–স্যার আমার শুধু শেষের লাইন টুকু মনে আছে।

–আচ্ছা তাই বল।

হিল্টু বললো।
–…………তাকেই টেনস বলে।

স্যার এবার রাগে দাঁত কিড়মিড় করে বললো।
–মজা করছিস আমার সাথে? আচ্ছা ঠিক আছে এটা বল, আমি একটি মোবাইল চুরি করেছি এটার ফিউচার টেনস কি হবে?

–পুলিশ এসে আপনাকে ধরে নিয়ে যাবে।

স্যার নিজের কপাল চাপড়াতে চাপড়াতে আরেক স্টুডেন্ট এর কাছে গেল। রিজুর কাছে গিয়ে বললো।
–এই রিজু বলতো, পিতা পুত্রের বয়স একত্রে ৩০ বছর। পিতার বয়স ২৬ বছর হলে পুত্রের বয়স কত?

রিজু বলে উঠলো।
–এটা কেমন কথা স্যার? আমি কিভাবে জানবো পুত্রের বয়স কত? আমি কি ওকে জন্ম দিয়েছি নাকি? আমার তো এখনো বিয়েই হয়নি। শেষের কথাটা একটু লাজুক ভঙ্গিতে বললো রিজু।

–থাপড়ায় দাঁত সবগুলো ফেলে দিবো। ইতরামি করস? এইভাবে চললে তো পরিক্ষায় ফেল মারবি। তখন কি হবে?

–কি হবে আবার? তখন আমি বাজিগর হয়ে যাবো।

–মানে?

–মানে, হারকে জিতনে ওয়ালে কো বাজিগর কেহতে হে (হেরে জিতাকে বাজিগর বলে)।

স্যার হার মেনে এবার আরেক স্টুডেন্ট এর কাছে এলো। লাবুর কাছে এসে বললো।
–এই লাবু বলতো, বাবা মা ছেলেমেয়েদের বিয়ে দেন কেন?

লাবু বললো।
–কেন আবার প্রতিশোধ নিতে। তারা বিয়ে করে যে যন্ত্রণা সহ্য করেছে। সেটা তারা একা কেন ভোগ করবে, তাইতো প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য বাচ্চাদেরও বিয়ে দিয়ে দেয়।

লাবুর কথায় কিছুটা সত্যতা আছে বলে মনে করলো স্যার। স্যার এবার আরেক স্টুডেন্ট এর কাছে এলো। মনুর কাছে এসে বললো।
–কিরে মনু আজকে তোকে খুব সাফ সুতরা লাগছে।

মনু হাসিমুখে বললো।
–হ্যাঁ স্যার, আসলে হয়ছে কি আজকে স্কুলে আসার সময় আমার মাথায় কেও উপর থেকে পানি ঢেলে দিল। তাই অনিচ্ছা সত্ত্বেও গোসল করতে হলো।

–কেন তুই রোজ গোসল করিস না?

–কি যে বলেন স্যার গোসল আবার রোজ করার কি আছে? গোসল কি কোন খাওয়ার জিনিস নাকি যে রোজই করতে হবে?

–আচ্ছা বাদ দে। এখন বলতো ভারতের রাজধানীর নাম কি?

মনু আঙ্গুল গুনে গুনে কিছু ভাবতে লাগলো। সেটা দেখে স্যার বললো।
–কিরে কি ভাবছিস?

–স্যার ভাবছি কোন দিল্লির নাম বলবো?

–মানে? দিল্লি আবার কয়টা হয়? দিল্লিতো একটাই।

— না স্যার দিল্লি ছয়টা। কেন আপনি ওই ছবি দেখেন নি #দিল্লি 6। যার ভেতর সোনাম আপু কবুতর মাথায় নিয়ে নাচে, ♬ মাসাক্কালি মাসাক্কালি….

–চুপ কর বেয়াদব। সবগুলো একেকটা আইটেম হয়েছে।

স্যার বকা দিয়ে আরেক স্টুডেন্ট এর কাছে এলো। টিপলুর কাছে এসে বললো।
–এই টিপু তুই বলতো সবচেয়ে বড়ো বাদশাহ কে ছিল?

–স্যার পুরোনো দিনের কথা জানিনা তবে এখনকার সবচেয়ে বড়ো বাদশাহ তো একজনই। দ্যা হিট সিঙ্গার সু বয় বাদশাহ…🤘

–এই কি বলছিস এসব গাধা। আর তোরা দুই ভাই পরিক্ষার খাতায় বাবার নাম আলাদা আলাদা লিখেছিস কেন?

–যাতে আপনি আবার এটা না বলেন যে, আমরা একজন আরেকজনের টা কপি করে লিখেছি।

স্যার আবারও কপাল চাপড়ে আরেক স্টুডেন্ট এর কাছে গেল। ববির কাছে এসে বললো।
–এই ববি তুই ইংলিশে এতো কাচা কেনরে?

ববি বললো।
–কে বললো স্যার? ইংলিশে তো আমি টসটসে পাকা। ইংলিশ তো আমার ফেবারিট সাবজেক্ট। আই ক্যান টক ইংলিশ, আই ক্যান ওয়াক ইংলিশ,আই ক্যান ইট ইংলিশ। ইংলিশ ইজ এ ভেরি ফানি ল্যাঙ্গুয়েজ। হাউ ডু ইউ ডু, হোয়াট ডু ইউডু, ডু ইউ হোয়াট, ডু ইউ ডু দিস, ডু ওয়াটএভার ইউ ডু।

–হইসে হইসে থাম এহন। আচ্ছা ইংরেজিতে একটা রাইম কতো।

–আওয়ার লিটিল রিভার ওয়াক বাকে বাকে,
ইনটু দা বৈশাখ মান্থ নি ওয়াটার থাকে।
গোয়িং কাউ এন্ড গোয়িং কার
টু সাইড আপ এন্ড ডাউন হিজ বিচ

সাইনিং সান্ড হোয়ার নট মাড
টু সাইড কাশবন ফ্লাওয়ার ফ্লাওয়ার হোয়াইট।

ছোট নদী কবিতার এমন যাচ্ছে তাই অবস্থা আর সহ্য করতে পারলোনা স্যার। ববিকেও একটা ধমক দিয়ে আরেক স্টুডেন্ট এর কাছে এলো। রাজুর কাছে এসে বললো।
–এই রাজু বলতো সবচেয়ে বেশি ভিটামিন সি আছে কিসে?

–স্যার ভিম সাবানে।

–কিহহ?

–হ্যাঁ স্যার। কেন আপনি শোনেননি? ভিম সাবানে আছে একশ লেবু। তাহলে সবচেয়ে বেশি ভিটামিন তো ভিম সাবানেই আছে তাইনা?

স্যার কপাল চাপড়ে আবার বললো।
–আচ্ছা বাদ দে। এটা বল কোন ফ্রুট খেলে ব্রেইন ভালো থাকে?

–সেন্টার ফ্রুট।

–কিহহ?

–হ্যাঁ স্যার। কেন ওইযে বলে না,সেন্টার ফ্রুট খাও দিমাক কি বাত্তি জালাও।

ব্যাস আর নিতে পারলোনা বেচারা স্যার। ওখানেই বেহুঁশ।

সমাপ্ত

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here