প্রিয়_অভিমান🥀🥀পর্ব-২৬

প্রিয়_অভিমান🥀🥀পর্ব-২৬
ফাবিহা_নওশীন

||

রুহানি বসে বসে নখ কামড়াচ্ছে। কপালে চিন্তার রেখা পড়েছে। মনে হচ্ছে মাথাটাও ধরেছে। রুহানি দু’হাতে চুল গুলো হালকা টেনে টেনে মাথাকে আরাম দিচ্ছে। সামনেই চায়ের কাপ। কাপ ভর্তি দুধ চা অনাদরে পড়ে আছে। রুহানির নজর গেল কাপের দিকে। চুল থেকে হাত সরিয়ে চায়ের কাপ হাতে নিয়ে অতি আগ্রহের সহিত চুমুক দিল। মুহুর্তেই ওর চেহারার রং পালটে গেল। ঠান্ডা চা বিদঘুটে লাগছে। রুহানি না গিলে ওয়াশরুমে গিয়ে ফেলে দিল।
বারান্দায় এসে দাঁড়াল। প্রচন্ড টেনশন হচ্ছে। ওর মা ফালাকের সাথে দেখা করতে গিয়েছে। রুহানি যেতে চাইলে নেয়নি। এখন বসে বসে টেনশন করা ছাড়া উপায় নেই।

.

ফালাক রুহানির মা’য়ের আপ্যায়নের জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়ল। রুহানির মা ওকে থামিয়ে বলল,
“ব্যস্ত হয়ো না। আমি তোমার সাথে দুটো কথা বলতে চাই।”

ফালাক চেয়ার টেনে বসে বলল,
“জি বলুন।”
ফালাক ভেতরে ভেতরে নার্ভাস ফিল করছে। তবুও নিজেকে যথেষ্ট স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করছে।

রুহানির মা ভনিতা না করেই বলল,
“রুহানিকে তুমি ভালোবাসো?”

ফালাক থমকে গেল। এই প্রশ্ন করতে এসেছে এখানে। ফালাক উত্তর দেওয়ার জন্য ঠোঁট ফাক করতেই উনি বললেন,
“রুহানি বলেছে তুমি ওকে ভালোবাসো। ও যেহেতু বলেছে ধরেই নিলাম ভালোবাসো। আমাদের বর্তমান পরিস্থিতিও তুমি জানো। এমন পরিস্থিতিতে নতুন কোন বিপদ কিংবা সন্তানের ক্ষতি মেনে নেওয়ার মতো মানসিক শক্তি আমাদের নেই। সব হারিয়ে রুহানি আর রুহানকে আঁকড়ে ধরে বাঁচতে চাইছি। তাই ওদের কোনরূপ ক্ষতি মেনে নিতে পারব না। রুহানি আর রুহানই এখন আমাদের সব। রুহানি ছোট থেকেই একটু রাগি,জেদি টাইপ মেয়ে। যা বলে তাই করে, যেটা চায় সেটা পেয়েই ছাড়ে। বাবার আদর-আহ্লাদে বড় হয়েছে তো তাই। এখন পরিস্থিতির কারণে নরম হলেও অনেক কিছুই আগের মতো আছে। ওর কথা ভেবেই এখানে আসা। তুমি এটাও জানো যে দু’বছর আগে রুহানির সম্মতিতেই আহিলের সাথে পারিবারিক ভাবেই বিয়ে ঠিক করেছি। আহিল তখন আমেরিকা থাকতো। দুই পরিবারের মধ্যে ভালো একটা সম্পর্ক ছিল। কিন্তু হটাৎ করেই সব এলোমেলো হয়ে পড়ল। আমাদের এই অবস্থা পাশাপাশি ওর বিয়ে ভেঙে যাওয়া। মেয়েটা একদম ভেঙে পড়ে। আমাদের কথা ভেবে নিজেকে শক্ত রেখে ঘুরে দাঁড়ায়। তারপর তুমি এলে ওর জীবনে। তোমার প্রতি দুর্বল হতে হতেই আহিল চলে এলো। কিন্তু রুহানি আহিলের ফিরে আসা ভালোভাবে নিতে পারেনি। আহিলের প্রতি ওর একটা রাগ,ক্ষোভ কাজ করত। প্রথমে আমাদেরও করেছিল যাইহোক বাদ দেই সে-সব কথা৷ আমরা আহিলের সাথেই বিয়ের কথা আগাচ্ছিলাম মাঝখানে রুহানি বাঁধ দিল। তোমার কথা বলল। রুহানির কথা ভেবে সেটাও মেনে নিয়েছিলাম কিন্তু তোমার ফ্যামিলি, তারা তো মানবে না। যে ফ্যামিলি আমার মেয়েকে চায় না সেখানে জোর করার উপায় নেই।”

ফালাক মাথা নিচু করে চুপচাপ কথাগুলো শুনছে। উনার কথার মাঝে কোন বাঁধা সৃষ্টি করেনি।
“এখন মেইন কথায় আসি। তুমি কি রুহানিকে বিয়ে করতে চাও?”

ফালাক নম্রস্বরে বলল,
“জি আন্টি অবশ্যই চাই। আমি সত্যিই রুহানির সাথে, রুহানির পাশে থাকতে চাইছি। আমি আমার বাবা-মায়ের সাথে কথা বলব। আমার বিশ্বাস তারা আপত্তি করতো না যদি না আহিল রুহানির কিছু সিক্রেট ওপেন না করত। কিন্তু এখন ব্যাপারটাই জটিল হয়ে গেছে।”

“হ্যাঁ হয়তো জটিল হয়েছে। কিন্তু রুহানি তোমার প্রতি দিন দিন আরো সিরিয়াস হয়ে যাচ্ছে। পরে দেখা গেল পরিস্থিতি, পরিবারের চাপে তুমিও ওকে ছেড়ে চলে গেলে এটা কিন্তু ও মেনে নিতে পারবে না। আমার মেয়েটা মরে যাবে। তাই বলছি যদি ওকে বিয়ে করা সম্ভব না হয় তবে সম্পর্ক আর এগিও না। আর যদি বিয়ে করার হয় তবে তোমার বাবা-মাকে বিয়ের কথা বলতে আমাদের বাড়িতে পাঠাও। তোমাকে এক সপ্তাহ সময় দিচ্ছি। এর বেশি সময় আমি নিতে পারব না। কারণ আমি কিছুতেই রুহানির জীবনটা ধ্বংস হতে দেখতে পারব না। এমনিতেই আমার মেয়েটা অনেক কষ্ট সহ্য করেছে।”

ফালাক থ হয়ে আছে। এক সপ্তাহে পারবে তো বাবা-মাকে মানাতে। যদি না পারে তাহলে? ফালাকের মুখ শুকিয়ে গেল।

ফালাক শুকনো মুখে বলল,
“আমি চেষ্টা করব। কিন্তু আন্টি একটা কথা আমি সত্যিই রুহানিকে ভালোবাসি। ওকে বিয়ে করতে চাই। সত্যিই চাই।”

রুহানির মা কি বলবে ভাষা খুঁজে পাচ্ছে না। শুধু বলল,”হয়তো চাও। কিন্তু তোমার বাবা-মায়েরও একটা চাওয়ার ব্যাপার আছে। সেটাও তোমাকে দেখতে হবে। আমারও আমার মেয়ের কাছে কিছু চাওয়া-পাওয়া আছে।”

ফালাক খুব গোপনে দীর্ঘশ্বাস ছাড়ল।

.

ফালাক অনবরত চেষ্টা করছে ওর মা’কে বুঝানোর। ওর বিশ্বাস মা মেনে নিলেই বাবা মেনে নিবে। কিন্তু এখন ওর সাথে মায়েরই মনোমালিন্য শুরু হয়ে গেছে। তাই ফালাক রাগ করে কয়েক দিন যাবত বাড়িতে যাচ্ছে না। ওর বাবা এসে জোর করে বাড়িতে নিয়ে গেছে। সেখানে ওর মায়ের সাথে আবারও নতুন করে তর্কাতর্কি চলতে থাকে।

রাতের বেলা ওর বাবা ওকে ডেকে নিয়ে বলল,
“কেন এমন করছিস? কেন পরিবারের সাথে সম্পর্কগুলো উদ্ভট করছিস? কিছুদিন যাবত কি অশান্তি চলছে এই বাড়িতে। এভাবে চলতে পারে না। কি দরকার এমন একটা সিচুয়েশনে নিজেকে ফেলার? ফালাক সব ভুলে যা। মেয়েটাকে ভুলে যা। আমরা তোর জন্য অন্য একটা মেয়ে দেখছি। তাকে বিয়ে করে সুখে থাক। দয়া করে আর কথা বাড়াস না। বাড়িতে অশান্তি করিস না। আর ভালো লাগছে না।”

ফালাক দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে আলতো হেসে বলল,
“অন্য মেয়েকে বিয়ে করলে আমি যদি ভালো থাকতাম তাহলে কেন এতদিন ধরে তোমাদের সাথে লড়াই করে যাচ্ছি? আমার ভালো থাকাটা রুহানির উপর নির্ভরশীল।”

ফালাকের বাবা দাঁড়িয়ে গেল। তারপর বাজখাঁই গলায় বলল,
“তুই থাক তোর জেদ নিয়ে। দুনিয়াতে আর মেয়ে নেই? তোকে ওই মেয়ের পেছনেই পড়তে হলো?”
একা একা বিরবির করে রুহানির সমন্ধে দু’চারটে মন্দ কথা বলতে বলতে চলে গেলেন।

রুহানি মুখ গোমড়া করে বসে আছে। ফালাক শুকনো মুখে ওর পাশে এসে বসল। ফালাকের শুকনো মুখ দেখে রুহানি উদ্বেগ- উৎকন্ঠা নিয়ে বলল,
“কি হয়েছে? খারাপ কিছু হয়েছে?”

“তুমি ওসব বাদ দেও। সামনের সপ্তাহে পরীক্ষা না তোমার। পড়াশোনায় মন দেও।”

রুহানি ভারি কন্ঠস্বরে বলল,
“আংকেল, আন্টি কি বলেছেন? রাজি হয়নি তাই না?” রুহানির গলা ধরে এলো।

ফালাক ওর দিকে চেয়ে বলল,
“আমি চেষ্টা করে যাচ্ছি।”

রুহানি শুকনো হেসে বলল,
“আর চেষ্টা! এক সপ্তাহ হয়ে গেছে ফালাক।”

“এতদিন বাড়িতে যাইনি। মায়ের সাথে ঝামেলা হয়েছে খুব। গতকাল বাবা জোর করে বাড়িতে নিয়ে গিয়েছেন। তারপর আবার নতুন সমস্যা শুরু হয়। আমি বুঝতে পারছি না কবে পর্যন্ত সব ঠিক হবে। মায়ের এক কথা আমি সব মেনে নিতাম, আমার কোনকিছুতে সমস্যা ছিল না কিন্তু হোটেলে নাচ? সমাজে দাঁড়াব কোন মুখে? মানুষ তো থুথু ছিটাবে।”

রুহানির চোখ জোড়া জলে ভরে উঠছে। গলা ধরে আসছে। মনে হচ্ছে খুব বড় পাপ করে ফেলেছে। যে কারণে সেই পাপ স্বরুপ এত কথা শুনতে হচ্ছে।

রুহানি উঠে দাঁড়াল। তারপর বলল,
“সব শেষ।”

ফালাক ওর কথা শুনে উঠে দাঁড়িয়ে বলল,
“কিছু শেষ হয়নি। আমি শেষ হতে দেব না।”

রুহানি ফালাকের দিকে ছলছলে চোখে বলল,
“এর পরেও কি করে বলছো? তুমি দেখতে পাচ্ছো না সব শেষ হয়ে যাচ্ছে? আমি তো দেখতে পাচ্ছি।”

রুহানি ফালাককে রেখেই চলে যাচ্ছে। ফালাক ওর পেছনে পেছনে গিয়ে ওকে বাঁধা দিল। ফালাক বাঁধা দেওয়ায় রুহানি প্রচন্ড রেগে গেল। রেগে গিয়ে বলল,
“প্লিজ আমাকে একটু একা ছেড়ে দেও। প্লিজ।”

“কিন্তু রুহানি তুমি ওভার রিয়েক্ট করছো। রাগ কেন দেখাচ্ছো আমাকে?”

রুহানির আসলেই খুব রাগ হচ্ছে। রাগটা ঠিক কার উপর বুজতে পারছে না। তবে রাগ হচ্ছে। মাথায় আগুন জ্বলছে।
রুহানি চিৎকার করে বলল,
“আমি রাগ দেখাচ্ছি কারণ আমি খারাপ মেয়ে। আমার থেকে দূরে থাকো।”

রুহানি একটা রিকশা নিয়ে উঠে গেল। ফালাক শেষ বারের মতো ওকে ডেকে চুপ হয়ে গেল। দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে চলে যাওয়া ছাড়া কিছুই করার ছিল না।

.

ফালাক তিন দিন রুহানির সাথে যোগাযোগ করেনি। প্রথম দুদিন ফোন করে, হাজার চেষ্টা করেও ওর দেখা পায়নি। তাই আর ওকে ফোন করেনি রাগ করে। তারপর ফোন করল। ফোন করতেই রুহানি রিসিভ করল।

দু’পাশেই পিনপতন নীরবতা। ফালাক নীরবতা ভেঙে বলল,
“একটু দেখা করবে আমার সাথে?”
ফালাকের কন্ঠে আকুলতা স্পষ্ট। রুহানি সে আকুলতা উপেক্ষা করতে পারল না। তাই বলল,
“আসছি।”

রুহানির এই ছোট্ট আসছি কথায় যেন ফালাক পুরো পৃথিবী পেয়ে গেল। মুখে হাসি ফুটল। ব্যস্ত হয়ে পড়ল রুহানির আগমনের আয়োজনে।
রুহানি ফ্ল্যাটের ভেতরে ঢুকে কারো কোনো সাড়াশব্দ পাচ্ছে না। কয়েকবার ফালাকের নাম ধরে ডাকতেই দুজন মেয়ে একটা রুম থেকে হাসি মুখে বেড়িয়ে এসে জিজ্ঞেস করল,
“আপনার নাম কি রুহানি?”

রুহানি কিছুই বুঝতে পারছে না। মাথা নাড়িয়ে হ্যা বলল। তারপর ওরা ওর হাত ধরে রুমের ভেতরে নিয়ে গেল। রুহানিও রোবটের মতো ওদের সাথে চলে গেল। মেকাপ, শাড়ি-গয়না পড়ে আছে খাটের উপর। একটা লাল শাড়ি রুহানির সামনে এনে বলল,
“শাড়িটাাতে আপনাকে বেশ মানাবে। স্যারের পছন্দ আছে।”

রুহানি অবাক হয়ে বলল,
“কিসের শাড়ি? শাড়ি দিয়ে কি হবে?”

“স্যার বলেছে আপনাকে পরিয়ে সুন্দর করে সাজিয়ে দিতে।”

“কিন্তু কেন?”

“তা তো জানি না৷ আমাদের যেটুকু বলা হয়েছে ততটুকুই করব।”
ওদের জোড়াজুড়িতে রুহানি শাড়ি পরে নিল। কিন্তু কি হচ্ছে কিছুই বুঝতে পারছে না। ওরা সাজিয়ে দিচ্ছে কিন্তু রুহানির সেদিকে খেয়াল নেই। ও ভাবনায় বিভোর। ফালাককেও কোথাও দেখতে পাচ্ছে না।

সাজানো শেষে রুহানির নিজের দিকে খেয়াল হলো। একদম বউ মনে হচ্ছে। কিছুক্ষণ নিজেকেই মুগ্ধ হয়ে দেখল। ওরা সাজানো শেষে চলে গেল। রুহানি আর না পেরে ফালাককে ফোন করল। ফোনের টোন কাছেই বাজছে৷ পেছনে ঘুরতেই ফালাককে দেখতে পেল। ফালাক স্যুট কোর্ট পরা। ঘোরলাগা চোখে ওর দিকে চেয়ে আছে। রুহানির একটু একটু ভয় লাগছে। মনে হচ্ছে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটতে যাচ্ছে। ফালাক রুহানির দিকে এগিয়ে এল। ফালাক যতই এগিয়ে আসছে ওর হৃদপিণ্ডের গতি বাড়তে থাকল। ফালাক ওর কাছে এসে কানের ঝুমকায় টুকা মারল। রুহানি সাথে সাথে কেঁপে উঠল। ফালাক রুহানির চুলের বাঁধন এক টানে খুলে ফেলল। তারপর দূরে গিয়ে দাঁড়াল। রুহানিকে দু-চোখ ভরে দেখে বলল,
“পারফেক্ট। আমার খুব ইচ্ছে ছিল তোমাকে শাড়ি পরিহিত অবস্থায় দেখতে। তাই আজ সে ইচ্ছে পূরণ করে ফেললাম।”

রুহানি স্বস্থির নিশ্বাস নিল। ও ভেবেছিল ফালাক না ওকে আজ জোর জবরদস্তি করে বিয়েই করে নেয়। কিন্তু ওর ভাবনায় পানি ঢেলে রুহানিকে শান্তি করে দিল।

ফালাক আবার রুহানির কাছে গেল। চুলে হাত ডুবিয়ে বলল,” তোমার জন্য সুখবর আছে। তোমার কেসটা অনেকটা এগিয়েছে। ইনভেস্টিগেশনে অনেক নতুন তথ্য উঠে এসেছে যা সবটাই তোমাদের পক্ষে।”

রুহানি ফালাকের কথা শুনে মুচকি হাসল। ওর চোখে প্রাপ্তির খুশি।

ফালাক হটাৎ জিজ্ঞেস করল,
“কেমন আছো?”

রুহানির হাসি মিলিয়ে গেল। মলিন মুখে ওর দিকে তাকাল। তারপর চোখ নামিয়ে নিল। ওর চোখ ছলছল করছে।
ফালাক রুহানিকে নিজের সাথে আলতো করে মিশিয়ে নিয়ে বলল,
“রুহানি আমি তোমাকে খুব ভালোবাসি। এতটাই ভালোবাসি যে কারো এতটা কাছে তোমাকে যেতে দিতে পারব না।”

রুহানি ওর চোখে চোখ রেখে বলল,
“আমিও কারো এতটা কাছে যেতে পারব না। প্লিজ কিছু করো ফালাক। আমি আর সহ্য করতে পারছি না। দেখবে একদিন মরে গেছি।”

ফালাক ওর ঠোঁটে আঙুল ছুইয়ে মৃদুস্বরে বলল,
“হিশশ! এ কথা বলো না। মরে গেলে একা কেন মরবে? আমাকে নিয়েই মরবে। আমিও আর নিতে পারছি না।”

রুহানি ফালাককে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে শুরু করে দিল। ফালাক রুহানিকে ছাড়িয়ে ওর চোখের পানি মোছানোর চেষ্টা করছে কিন্তু পারছে না। রুহানি কেঁদেই চলেছে। ফালাক দু’হাতে রুহানির মাথা চেপে ধরে। কপালের সাথে কপাল মিলিয়ে জোরে শ্বাস নিতে নিতে বলল,
“চুপ! একদম চুপ! সব ঠিক হয়ে যাবে।” আচমকা রুহানির ঠোঁটের কোনে আলতো করে ঠোঁট ছুইয়ে বুকে চেপে ধরল। যেন হারিয়ে না যায়।

চলবে….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here