প্রিয়_অভিমান🥀🥀পর্ব-২১
#ফাবিহা_নওশীন
||
মুখে ভুলে যাওয়ার কথা বললেই কি ভুলে যাওয়া এত সহজ? যাকে মনের গভীরে জায়গা দিয়েছে, তিল তিল করে তার অবস্থান পোক্ত হয়েছে তাকে কি এত সহজেই মনের গভীরে থেকে সরিয়ে দেওয়া যায়? যায় না। ফালাকের ক্ষেত্রেই সেটাই ঘটেছে।
ফালাক আটতলা বিল্ডিংয়ের নিজের ফ্লাটের বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছে। রাতের ঘুটঘুটে অন্ধকার আশেপাশের বিল্ডিংয়ের আলোয় পরাজিত। প্রতিটি বাড়িতে আলো জ্বলছে। আকাশেও এক ফালি চাঁদ দেখা যাচ্ছে। ফালাক হাজার চেষ্টা করেও রুহানিকে ভুলতে পারছে না। ফ্লাটে এসেছে দুঃখ বিলাস করতে। এই দুঃখী চেহারা নিয়ে বাড়িতে যায় নি। তাহলে বাবা-মায়ের হাজারো প্রশ্নের জবাব দিতে হবে। শুধু জবাবই না তাদের টেনশন আর রাতের ঘুম কাড়ার কারণও হবে। অফিসের পাশের এই ফ্লাটে ফালাক প্রায়শই আসে সময় কাটাতে। অফিসে প্রচুর কাজ ফিরতে গেলে অনেক রাত হবে তাই বাড়িতে ফিরতে পারবে না বলে জানিয়েছে মা’কে।
ফালাক নিজের কষ্ট উড়াবে এই বারান্দায় দাঁড়িয়ে। শুনেছে সিগারেট খেলে নাকি কষ্ট ভুলে থাকা যায়। সিগারেটের ধোঁয়ায় কষ্ট উড়ায়। তাই আজ সিগারেট কিনে এনেছে। পকেট থেকে সিগারেটের প্যাকেট বের করল। এই প্রথম সিগারেট খাবে। খাওয়া নিয়ে কিছুটা সংশয় আছে ওর। অভ্যাস নেই, এছাড়া কখনো কাউকে কাছ থেকে খেতে পর্যন্ত দেখে নি। তাতে কি ফালাক তো আজ খাবেই।
প্যাকেট থেকে একটা সিগারেট নিয়ে মুখে দিল। আগুন জ্বালানোর পর কেমন একটা অনুভূতি হচ্ছে। কিন্তু ফালাক পরল বিপদে। ধোঁয়া বের করতে পারছে না। মুখ দিয়ে ধোঁয়া বের হবার বদলে ভেতরে ঢুকে গেছে। ফালাক সিগারেট ছুড়ে ফেলে দিয়ে কাশতে শুরু করল। বিশ্রী অনুভূতি হচ্ছে। একন জঘন্য জিনিস এর আগে দেখে নি। ফালাক দ্রুত রুমের ভেতরে গিয়ে জগ থেকে পানি নিয়ে ঢকঢক করে খেয়ে নিল।
তারপর বুকে হাত দিয়ে বিরবির করে বলল,
“এগুলো মানুষ খায় কিভাবে? ওয়াক! ছিহ! এত বাজে জিনিস। এটা তো আমার কষ্ট কমানোর বদলে বাড়িয়ে দিল। না জানি কতগুলো ধোঁয়া পেটের ভেতর গিয়ে বসবাস করছে। শান্তিতে বসবাস করছে না হাঙ্গামা করছে কে জানে?”
ফালাক আরেক গ্লাস পানি খেয়ে সিগারেটের প্যাকেট ঝুড়িতে ফেলে দিল। বিরক্ত আর রাগ দুটোই লাগছে। আগে জানলে সিগারেট ছুয়েও দেখত না।
ফালাক শুভ্র সাদা দেয়ালের সামনে গিয়ে দাঁড়াল। পুরো দেয়াল জুড়ে রুহানির ছবি। ফালাক যত ছবি পেয়েছে ওর সব দেয়ালে এক সাথে পাশাপাশি বাঁধিয়ে রেখেছে। রুহানিকে দেখে হটাৎ করেই বুকে চিনচিনে ব্যথা অনুভব হলো। স্বপ্ন ভাঙার ব্যথা।
.
রুহানি নিজের রুম জুড়ে পাইচারি করছে। অস্থির অস্থির করছে। এদিক থেকে সেদিক হেঁটে বেড়াচ্ছে আর চুলে হাত বুলাচ্ছে। রুহানির মা দরজায় নক করল। রুহানি জোরে শ্বাস নিয়ে নিজেকে স্বাভাবিক করে বলল,
“হ্যা মা এসো।”
রুহানির মাকে দেখে খুব খুশি মনে হচ্ছে। খুশি যেন তার চোখ মুখ থেকে ছড়িয়ে পড়ছে।
রুহানি জিজ্ঞাসুক দৃষ্টিতে তাকাল।
রুহানির মা রুহানির দৃষ্টি অগ্রাহ্য করে বলল,
“এখনো জেগে আছিস কেন? ঘুমিয়ে পড়। আর হ্যা শোন আগামীকাল ইন্সটিটিউট থেকে তাড়াতাড়ি আসিস। আহিলের বাবা-মা আসবে।”
রুহানি অবাক হয়ে বলল,
“ওরা কেন আসবে?”
রুহানির মা আলতো হেসে বলল,
“কেন আবার? হয়তো বিয়ের কথা বলতে আসবে। আমি আর তোর বাবা ভেবেছিলাম আমাদের সাথে সাথে তোর কপালও পুড়েছে। এগুলো ভেবে তোর বাবা কত কেঁদেছে। কিন্তু দেখ সব ঠিক হয়ে গেছে। তোর বাবা তো ভীষণ খুশি। বলছে এখন মরে গেলেও দুঃখ নেই। আমরা আর ক’দিন তুই আর রুহান ভালো থাকলেই মরেও শান্তি পাব।”
রুহানির মা ওর মাথায় হাত বুলিয়ে বলল,”শুয়ে পড়।”
রুহানি মাথা নাড়িয়ে ছলছল চোখে বলল,”হুম।”
.
রুহানির ঘুম আসছে না৷ কি হতে কি হয়ে যাচ্ছে। সব কিছু এত দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে যে কিছুই করতে পারছে না। রুহানি বিছানায় উঠে বসে।
“হে আল্লাহ, কোন গোলকধাঁধায় ফেসে গেলাম? কি হচ্ছে এ-সব? কি করব আমি? জীবনের কঠিন সময়েও এতটা সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগি নি, তাহলে এখন এমন কেন হচ্ছে? আমার আহিলের সাথে কথা বলতে হবে। এভাবে চলতে দেওয়া যায় না। তাহলে মানসিক যন্ত্রণায় মরে যাব।”
রুহানি বেড সাইড টেবিল থেকে নিজের ফোনটা হাতে নিল আহিলকে ফোন করার জন্য।
.
রুহানি ইনস্টিটিউট যাওয়ার আগে আহিলের সাথে দেখা করে কথা বলবে। তাই সেদিনের সেই রেস্টুরেন্টে বসে আছে। আজ রুহানি আহিলের আগে এসে বসে আছে। কিন্তু আহিলের খবর নেই। খবর থাকার কথাও না। আজ ও সময়ের আগেই চলে এসেছে।
কিছুক্ষণ পরে আহিল ভেতরে এসে রুহানিকে দেখে বসতে বসতে বলল,
“সরি, সরি, আমি হয়তো লেট করে ফেলেছি।”
“না ঠিক আছে আপনি সময় মতোই এসেছেন। আমিই একটু তাড়াতাড়ি এসেছি।”
আহিল রুহানির কথা শুনে বলল,
“আগে আগেই চলে এসেছো। গুরুত্বপূর্ণ কিছু?”
রুহানি আমতা আমতা করে বলল,
“আসলে তা নয়, আমাকে ইন্সটিটিউট যেতে হবে তাই তাড়াতাড়ি চলে এসেছি৷ কথা শেষ করে সময় মতো যেতে হবে তাই।”
“হ্যাঁ তাহলে বলো কি বলতে চাও? কোন সমস্যা?”
রুহানি ইতস্তত করছে। কিভাবে বলবে বুঝতে পারছে না। কোথায় থেকে শুরু করবে।
রুহানি নিজের জড়তা কাটিয়ে বলল,
“দেখুন বিয়ে কোন ছেলেখেলা নয়। এত গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়ে হুট করে আমি সিদ্ধান্ত নিতে পারব না। আমার পরিবার আমাকে জোর করছে, আমার কথা শুনতেই চাইছে না। কারণটা আপনি ভালো করেই জানেন। কিন্তু আমি এভাবে বিয়ে করতে পারব না। আমার সময় প্রয়োজন। আপনি হয়তো পুরনো কথা টানতে পারেন কিন্তু যেখানে পুরনো আমিটাই নেই সেখানে পুরনো কথা টানা বোকামি। পরিস্থিতি, আমার চিন্তাভাবনা সব কিছু এখন আলাদা তাই আমি নতুন করে ভাবতে চাই বিয়েটা নিয়ে। আমার রিকুয়েষ্ট আপনি আমার কথাগুলো বুঝবেন। এসব আমার জন্য মোটেও সহজ নয়। প্রতিনিয়ত মানসিক যন্ত্রণা সহ্য করছি। আর পারছি না। তাই বাধ্য হয়ে আপনাকে বললাম। এখন আপনিও যদি আমার পরিবারের মতো না বুঝেন হয়তো বিয়েটা আমি করে নেব কিন্তু আমি আর আমি থাকব না।”
আহিল রুহানির কথা শুনে দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলল,
“বুঝেছি আমি রুহানি। তবে আমার কেন জানি মনে হচ্ছে বিষয়টা আমি যেমন ভাবছি তেমন নয়। বেশ ঘোলাটে।”
রুহানি আমতা আমতা করে বলল, “তেমন কোন ব্যাপার নয়। আসলে আমার জীবনে ঝড় না এলে আমি জীবনের আসল মানে বুঝতাম না। বুঝতে পারতাম না জীবন কতটা মিনিংফুল। হয়তো অনেক দুঃখ-কষ্ট সহ্য করতে হয়েছে কিন্তু মানুষ হতে পেরেছি। এটা আমি অনুভব করতে পেরেছি। এই বদলে যাওয়া নতুন আমি সব কিছুর মাঝেই মানে খুঁজি। নিজের ভালোমন্দ খুঁজি। নিজের পছন্দ অপছন্দ প্রায়োরিটি দেই। তাই আমার সময় প্রয়োজন। হুট করে আমি বিয়ে করতে পারব না।”
আহিল এই রুহানিকে দেখে অবাকের উপর অবাক হচ্ছে। কেমন অবলীলায় নিজের ভালো লাগা মন্দ লাগা বলে যাচ্ছে।
“ঠিক আছে। তুমি সময় নেও। আমি বাড়িতে বুঝিয়ে বলল। তবে আমার মনে হচ্ছে তোমার উত্তর হ্যাঁ হবে না।”
রুহানি চোখ তুলে আহিলের দিকে তাকাল। তারপর বলল,
“কথা দিতে পারছি না। আমার উত্তর হ্যাঁ না দুটোই হতে পারে। আপনি চাইলে ব্যাপারটা এখানেই শেষ করে দিতে পারেন।”
“অপেক্ষা করব। আমি এত দ্রুত ধৈর্য্য হারিয়ে ফেলি না।”
রুহানি আশ্বস্ত হলো। আহিল ব্যাপারটা বুঝেছে। রুহানি নিজেকে বুঝার জন্য যথেষ্ট সময় পেয়েছে।
.
রুহানি সন্ধ্যায় বাড়িতে ফিরেই রুহানের ঘরে গেল। রুহান পড়তে বসেছে। সামনেই এসএসসি পরীক্ষা। রুহানির উপস্থিতি টের পেয়ে রুহান বই রেখে ঘুরে তাকাল।
“আপু, কিছু বলবে?”
রুহানি ঠোঁট কামড়ে সময় নিয়ে বলল,
“ওরা এসেছিল?”
“না আপু। আহিল ভাইয়া কোন এক কাজে আঁটকে গেছে। বলেছে অন্য সময় আসবে।”
রুহানি স্বস্থির নিশ্বাস নিল। এর চেয়ে ভালো খবর যেন আর হয় না। রুহানি চেয়ার টেনে রুহানের পাশে বসে বলল,
“পড়াশোনা ঠিক মতো করছিস তো? মাঝে একটা মাস তারপর পরীক্ষা। ভালো রেজাল্ট করতে হবে। আমি রনকের সাথে কথা বলেছি পরীক্ষা পর্যন্ত ও তোকে পড়াতে আসবে।”
রুহানি স্মিত হেসে রুহানির হাতের উপর হাত রেখে বলল,
“আপু একদম চিন্তা করো না। আমার প্রিপারেশন খুব ভালো। দিনরাত পড়াশোনা করছি। ইনশাআল্লাহ খুব ভালো রেজাল্ট হবে। দেখে নিও আমি তোমাদের মুখ উজ্জ্বল করব।”
রুহানি রুহানের হাতের উপর আরেক হাত রেখে বলল,
“অবশ্যই। আমার ভাই টপ করবে।”
“আপু আমার কথা বাদ দেও। আগামী মাসে তোমার থার্ড ইয়ার ফাইনাল পরীক্ষা। তুমি তো পড়াশোনা ঠিক করে করছোই না।”
“করছি, তুই দেখিস না। আর আমি টেনেটুনে পাশ করে গেলেই হলো কিন্তু তোকে ভালো রেজাল্ট করতে হবে।”
“আপু, আমি একটা কথা বলতে চাই। আমি উচ্চ মাধ্যমিকে অন্যত্র ভর্তি হতে চাই।”
“কেন? তোর স্কুলেই তো উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত আছে। তাহলে অন্য জায়গায় কেন ভর্তি হবি?”
“আপু আমি নিজের মতো বাঁচতে চাই। যেমন আমি তেমন করে থাকতে চাই। আমি এমন এক জায়গায় এডমিশন নিতে চাই যেখানে আমাকে সব সময় ভয়ে ভয়ে থাকতে হবে না। যেখানে কারো কটু কথা শুনতে হবে না৷ যেখানে আমি মাথা উঁচু করে যেতে পারব, সবার সাথে নির্দ্বিধায় কথা বলতে পারব। কোন ভয় থাকবে না। নতুন করে বাঁচতে পারব। রিকশায় চড়ে কিংবা পায়ে হেঁটে গেলেও কারো হাজারো প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হবে না। প্লিজ আপু। আমার স্কুল ছাড়াও অনেক ভালো ভালো স্কুল-কলেজ আছে। যেখানে কম টাকা খরচ করেও ভালো রেজাল্ট করা যায়। শিক্ষার মান ভালো। আমি অবশ্যই ভালো একটা কলেজে চান্স পেয়ে যাব আর সেখান থেকে ভালো রেজাল্ট নিয়ে বের হয়ে ভালো ভার্সিটিতে এডমিশন নিতে পারব।”
রুহানি ওর কথাগুলো ভালো করে ভেবে দেখে বলল,
“আচ্ছা, আমার ভাই যা বলবে তাই হবে। এখন পড়তে বস।”
রুহান হালকা হেসে আবারও বইয়ে মনোযোগ দিল।
রুহানি নিজের রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে শুয়ে পড়ল। কেমন হালকা হালকা লাগছে। মনে হচ্ছে ভারী কিছু মাথার উপর থেকে নেমে গেছে। রুহানি চোখ বন্ধ করে নিজেকে কল্পনা করছে বউ সাজে। কিন্তু কিছুতেই বর হিসেবে আহিলকে সহ্য করতে পারছে না। রুহানি চোখ খুলল। সিলিংয়ের দিকে চেয়ে আছে। ফালাকের মুখটা ভেসে উঠছে। রুহানির চোখ বেয়ে পানি পড়ছে। বুঝতে পারছে না ওর সাথে কি হচ্ছে, কেন হচ্ছে।
রুহানি রেডি হয়ে সকাল সকাল নুশার বাড়িতে হাজির।
নুশা ভার্সিটি যাওয়ার জন্য রেডি হচ্ছিল আর তখনই রুহানিকে রুমে ঢুকতে দেখে বেশ অবাক হলো। রুহানি ওর বিছানার উপরে গিয়ে বসে পড়ল। ওর চোখ মুখ দেখে মনে হচ্ছে রাতে ঘুম হয় নি। মুখটা কেমন ফ্যাকাসে। লাল চোখগুলো ছলছল করছে। নুশা দ্রুত ওর পাশে বসে ওর হাত ধরে বলল,
“কি হয়েছে রুহানি? তোকে এমন বিধ্বস্ত লাগছে কেন?”
রুহানি নুশার দিকে চেয়ে কেঁদে ফেলল। নুশা হুট করে ওর কান্না দেখে ঘাবড়ে গেল। কি বলে শান্তনা দেবে, কি করে কান্না থামাবে তার চেষ্টা করে যাচ্ছে।
নুশা অনেক চেষ্টা করে ওর কান্না থামাতে সক্ষম হলো। রুহানি কান্না থামাতেই নুশা জিজ্ঞেস করল,
“এখন বল কি হয়েছে?”
রুহানি চোখের পানি মুছে বলল,
“আ’ম ইন লাভ!”
রুহানির কথা শুনে নুশা এতটা অবাক হলো যে হতবাক হয়ে আছে।
বিস্ময় কাটিয়ে বলল,”আহিল!”
রুহানি মাথা নাড়িয়ে না করল।
নুশা ভেবেছিল আহিল। কিন্তু রুহানি না করল।
“তাহলে কে সেই ভাগ্যবান?”
রুহানি ইতস্তত করে বলল,”ফালাক!”
নুশা ওর কথা শুনে কয়েক হাজার বোল্টের শকড খেল। রুহানি নুশাকে সব খুলে বলল। নুশা সব শুনে রিয়েক্ট করতে ভুলে গেল।
“বাহ! ডুবে ডুবে আমার বান্ধবী পানি খাচ্ছে আর আমি জানিই না।”
“মজা করিস না। এখন বল কি করব? ফালাক আমার উপর প্রচন্ড রেগে আছে। কি করে ওর সাথে কথা বলব? ও আমার সাথে কথাই বলবে না আমি শিউর।”
“আগে ভার্সিটিতে চল। চেষ্টা তো করতে হবে। আগেই হাল ছেড়ে দিস না।”
.
নুশা রুহানিকে নিয়ে ভার্সিটিতে গেল। ওরা দুজন ফালাককে খুঁজছে। কিছুক্ষণ খোঁজার পর পেয়েও গেল। নুশা ফালাককে ডাকল।
ফালাক নুশার ডাক শুনে ওর দিকে তাকাতেই সাথে রুহানিকে দেখতে পেল। রুহানিকে দেখে ওর চেহারার রং পালটে গেল। নুশার ডাকে সাড়া না দিয়ে চলে গেল। রুহানি নুশার দিকে কাঁদো কাঁদো ফেস করে তাকাল।
চলবে…….!