#প্রিয়_অভিমান🥀🥀পর্ব-১৯
#ফাবিহা_নওশীন
||
রুহানি বারান্দায় দাঁড়িয়ে ভেজা চুল মুছছে। ওর দৃষ্টি নিচের কালো গাড়িটির দিকে। আহিল ফোনে কথা বলতে বলতে গাড়িতে উঠছে। কিছুক্ষণের মধ্যে গাড়িটা বেরিয়ে গেল বাড়ির সীমানা থেকে। রুহানি তোয়ালে রেলিঙের উপর মেলে ঘরে এলো। আয়নার সামনে গিয়ে দাঁড়াতেই ওর মা ঘরে ঢুকল। রুহানি আড়চোখে মায়ের দিকে তাকাল। মায়ের মুখে হাসি লেগে আছে, তৃপ্তির হাসি। অনেক দিন পরে এত খুশি দেখছে।
রুহানি মায়ের দিকে ঘুরে দাঁড়াল।
“মা, এই আহিল এখানে কেন এসেছিল? কি করতে এসেছে?”
রুহানির মা ওকে বিছানায় বসিয়ে পাশে বসে বলল,
“তোর বাবাকে দেখতে এসেছিল।”
রুহানি অবাক হয়ে বলল,
“বাবাকে দেখতে এসেছিল? কেন? বাবার জখম তাজা করতে এসেছে? খুব দরকার ছিল কি? তুমি এলাও কেন করেছো?”
“রুহানি, রুহানি, আমার কথা শোন৷ আগেই রিয়েক্ট করে বসিস না। আহিল এসবের কিছুই জানতো না। আমাদের সাথে, তোর সাথে কি হয়েছে, আমাদের বর্তমান অবস্থা এসব কিছুই জানতো না। না জানার কারণও তুই ভালো করে জানিস। ও আমেরিকায় সেটেল আর তুই চাস নি ও তোর সাথে যোগাযোগ করুক। তাই আমাদের কোনো খবরই ওর কাছে পৌঁছে নি। গত পরশু দেশে ফিরে তোর খোঁজ করতেই ওর বাবা-মার কাছে সব জানতে পারে। তারপর আমাদের ঠিকানা জোগাড় করে তোর বাবাকে, আমাদের দেখতে এসেছে।”
রুহানি উঠে দাঁড়িয়ে বলল,
“দয়া দেখাতে এসেছে। বেশ করেছে। শুধুমাত্র ভদ্রতার খাতিরে আমি চুপ করে ঘরে চলে এসেছি। নয়তো…. ”
“রুহানি, আহিল প্রথমেই এসে তোর বাবার কাছে ক্ষমা চেয়েছে। ওর বাবা-মাকে বুঝিয়েছে। ওর বাবা-মা আসবে তোর আর আহিলের বিয়ের ব্যাপারে কথা বলতে।”
রুহানি চমকে মায়ের দিকে তাকাল। ওর মা হাসছে। আহিলের সাথে আবারও সম্পর্কের জোরা লাগায় ওর মা খুব খুশি।
রুহানি ক্ষিপ্ত গলায় বলল,
“কি বলছো তুমি? বিয়ে, কিসের বিয়ে?”
রুহানির মা ওর কথা বুঝতে পারছে না। রুহানির এমন একটা নিউজ শুনে খুশিতে পাগল হয়ে যাওয়ার কথা সেখানে রাগ দেখাচ্ছে।
“আমি কোন বিয়ে করছি না এটা মাথায় ঢুকিয়ে নেও।”
রুহানির মা রুহানিকে শান্ত করার চেষ্টা করে বলল,
“তোর রাগ করাটাই স্বাভাবিক। আহিলের উপর তোর রাগ অভিমান স্বাভাবিক হলেও এখানে তো ওর কোনো দোষ নেই। ও তো তোকে এখনো বিয়ে করতে চায়।”
রুহানি চিৎকার করে বলল,
“কিন্তু আমি চাই না। আর কিসের রাগ, অভিমান? আমি উনার উপর রাগ-অভিমান কেন করব? মানুষ রাগ-অভিমান তার উপরই করে যাকে আপন ভাবে কিন্তু আহিল আমার আপনজন নয়। মোটকথা আমি বিয়ে করছি না। প্লিজ মা এসব নিয়ে বাড়াবাড়ি করো না।”
রুহানির মা কটাক্ষ দেখিয়ে বলল,
“রুহানি আমি বাড়াবাড়ি করছি না তুই বাড়াবাড়িটা করছিস? বিয়ের ব্যাপারটা নতুন নয়। দু বছর আগে থেকে বিয়ের কথা হয়ে আছে। শুধু মাঝে একটা ঘটনা ঘটে গেছে। তাহলে এমন রিয়েক্ট কেন করছিস?”
রুহানি নিজেকে দেখিয়ে বলল,
“দেখো, আমাকে ভালো করে দেখো। আমি আর সেই রুহানি কি এক আছি? পুরনো আমিটাই যখন নেই তখন পুরনো কথা বলে কি লাভ?”
রুহানির কথা শুনে ওর মায়ের চোখে পানি চলে এলো।
“রুহানি বিয়েটা হলে সব ঠিক হয়ে যাবে। তুই অনেক ভালো থাকবি। আর তোকে কষ্ট করতে হবে না।”
রুহানি শুকনো হেসে বলল,
“কষ্টকে আমি আর ভয় পাই না। আমি আমার জীবনের লক্ষ্য স্থির করে নিয়েছি মা। বিয়ের কথা ভুলে যাও। সে স্বপ্ন আমার আর নেই। আমি তোমাদের সাথেই সারাজীবন থাকতে চাই।”
“তুই কি ভাবছিস বল তো? তোর বাবা উপার্জনে অক্ষম, তুই সংসারের হাল ধরেছিস। তোর ইনকামে সংসার চলছে তাই তোকে আমরা বিয়ে দেব না? তোকে সারাজীবন নিজেদের কাছে রেখে দেব তোর ইনকাম খাওয়ার জন্য? তুই যদি এটা ভেবে থাকিস তবে ভুল। তোকে অবশ্যই বিয়ে দিতাম, হয়তো তোর যোগ্যতা অনুযায়ী শ্বশুর বাড়ি তোকে পাঠাতে পারতাম না কিন্তু বিয়ে তো দিতেই হতো। আজ যখন আহিল নিজে এসেছে ওকে পায়ে ঠেলে কেন দেব? এমন সুযোগ আর দু’বার আসবে না। আমাদের যা অবস্থা ভালো ঘর থেকে বিয়ের প্রস্তাব আসবে না। রুহানি অবুঝ হোস না। বুঝার চেষ্টা কর। এ নিয়ে আর কথা বলবি না। আহিলের বাবা-মা আসলে যত দ্রুত সম্ভব তোর বিয়ে দিয়ে দেব।”
রুহানি বিস্ময় নিয়ে ওর মা’য়ের দিকে তাকাল। তারপর বলল,
“আমি চলে গেলে তোমাদের কি হবে? সংসার চলবে কি করে? আর বাবার ওষুধ? কিভাবে বলছো মা?”
রুহানির মা দৃষ্টি নামিয়ে বলল,
“ওসব তোকে ভাবতে হবে না। ব্যবস্থা একটা হয়ে যাবে।”
রুহানি ওর মা’কে পর্যবেক্ষণ করে শক্ত কন্ঠে বলল,
“হয়ে যাবে না হয়ে গেছে? আহিল কোন টেনশন করতে না করেছে তাই না?”
রুহানির মা কিছু বলছে না। চুপ করে আছে। রুহানি পা এলিয়ে দিয়ে বসে বলল,
“এই দিনের জন্য এত কষ্ট সহ্য করেছি? আমাকে বেঁচে দিচ্ছো?”
রুহানির মায়ের যেন রক্ত মাথায় উঠে গেল। রুহানিকে সজোরে এক থাপ্পড় মেরে বলল,
“তুই কি পণ্য যে তোকে বেঁচে দেব? না খেয়ে মরে গেলেও কোন বাবা-মা নিজের মেয়েকে বেঁচে দেয় না। যারা দেয় তারা বাবা-মা না। আহিল যথেষ্ট ভালো ছেলে। তোর জন্য একদম পারফেক্ট। খুব সুখে থাকবি। তুই না চাইলেও তোকে এই বিয়ে করতে হবে।”
রুহানির মা দরজা পর্যন্ত গিয়ে থেমে গেল। পেছনে ঘুরে রুহানির দিকে তাকাল। রুহানি কাঁদছে। রুহানিকে উদ্দেশ্য করে বলল,
“আর হ্যা ভিখারি নই যে মেয়ের জামাইর টাকায় খাব। আহিল বলেছে বিজনেসটা দাঁড় করাতে সাহায্য করবে, তারপর নাহয় ওর টাকা ফেরত দিয়ে দেব। ছেলেটা যথেষ্ট বুদ্ধিমান। বুঝতে পেরেছে হাত পেতে টাকা নেব না। এটুকু তো মেয়ের জামাইর উপর অধিকার থাকে। সে সীমা কখনো লঙ্ঘন করব না।”
তারপর ঠাস করে দরজা বন্ধ করে চলে গেল। রুহানি শব্দ করে কেঁদে দিল।
“এদের জন্য আমি এতদিন এত কষ্ট সহ্য করেছি? এদের জন্য নিজের জীবনের স্বাদ-আহ্লাদ,স্বপ্ন সব বিসর্জন দিতে চেয়েছি? যাদের জন্য এতকিছু করলাম আজ তাদের কাছে আমার মতামতের কোন মূল্য নেই। আহিল এখন সব? এতদিন কোথায় ছিল? যখন প্রয়োজন ছিল তখন তো আসেনি। আমি বলেছিলাম আমার সাথে যোগাযোগ না করতে তার মানে তো এই নয় যে আমার কোন খোঁজ রাখবে না। এত কষ্টের পর আজ যখন সব গুছিয়ে নিয়েছি তখন সব তছনছ করতে চলে এসেছে।”
রুহানির শ্বাস আঁটকে আসছে। কান্নাটাও দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। শান্তিতেও কাঁদতে পারে না। বুকে চাপ লাগে, দম বন্ধ হয়ে আসে। রুহানির পিপাসা পেয়েছে খুব। পানি খাওয়া দরকার। শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। রুহানি রুহানকে ডাকার চেষ্টা করছে। উঠে গিয়ে দরজা খুলতেই রুহানকে ড্রয়িংরুমে টিভি দেখতে দেখল। রুহান দরজা খোলার শব্দে পেছনে ঘুরে। রুহানির অবস্থা দেখে দৌড়ে আসে।
রুহান ভয়ার্ত কন্ঠে বলল,
“আপু কি হয়েছে? এমন করছো কেন?”
রুহান রুহানিকে বসিয়ে দ্রুত পানি নিয়ে এলো। রুহানিকে পানি খাওয়াতেই রুহানি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে লাগল।
রুহানিকে স্বাভাবিক দেখে রুহান বলল,
“আবার এই ঘটনা কেন ঘটলো আপু?”
রুহানি চোখের পানি মুছে বলল,
“কেঁদেছিলাম তাই। বাবাকে আর মা’কে কিছু বলার দরকার নেই। কেঁদেছি জানলে নানা প্রশ্ন করবে।”
“কাঁদছো কেন আপু?”
“প্রশ্ন তাহলে শুরুই করে দিলি?” রুহান ওর চোখের দিকে একবার চেয়ে চোখ নামিয়ে বলল,
“সরি আপু।”
।
রুহানি মন খারাপ করে নুশা আর রনকের সাথে বসে আছে। রুহানি চুপচাপ কফি খাচ্ছে। নুশা রনকের দিকে তাকিয়ে ইশারায় জিজ্ঞেস করল রুহানির মুড অফ কেন, রনক ইশারায় বলল জানে না।
নুশা তাই বাধ্য হয়েই জিজ্ঞেস করল,
🤨”রুহানি মুড অফ কেন?”
রুহানি মন খারাপ করে বলল,
“আরেক মসিবত এসে ভীড় করেছে।”
নুশা আবারও প্রশ্ন করল,”কি?”
“কি না কে? আহিল! আহিল আমাদের বাড়িতে এসেছিল। আমার তো ইচ্ছে করছিল ওকে মেরে দেই।”
নুশা অস্ফুট স্বরে বলল,”আহিল! এতদিন পর?”
“আমার সুখের জীবন নষ্ট করতে এসেছে। আগামীকাল দেখা করবে দেখি কি বলে। আমি এখন উঠি রাতে ইনস্টিটিউটের ফাংশন আছে। আমাকে যেতে হবে।”
রুহানি উঠে দাঁড়াতেই দূরে ফালাককে দেখতে পেল। ফালাকের চোখে চোখ পড়তেই মুচকি হাসল। রুহানি বই দিয়ে নিজেকে আড়াল করে বাইরে বের হচ্ছে। ফালাক রুহানির কাছে না এসে ওখানেই দাঁড়িয়ে রইল।
.
রাত ১১টা। প্রোগ্রাম শেষ হওয়ার নামই নেই। রুহানি বারবার ঘড়ি দেখছে। ওর বাসা থেকেও ফোন আসছে। কিন্তু ওর স্যার না বলা পর্যন্ত ও যেতে পারবে না। এসিস্ট্যান্ট তাই সব জায়গায় সব কাজে এসিস্ট করতে হবে। রুহানিকে বারবার ঘড়ি দেখতে দেখে ইমন বলল,
“এনি প্রব্লেম রুহানি?”
“জি স্যার। কত রাত হয়ে গেছে। বাসা থেকে ফোন আসতেছে বারবার। মা’কে বলার পরেও বুঝতে চাইছে না। টেনশন করছে।”
“ঠিক আছে তাহলে তুমি চলে যাও। আমি ম্যানেজ করে নেব।”
রুহানি খুশি হয়ে বলল,”ধন্যবাদ স্যার।”
রুহানি আজ গাড়িও নিয়ে আসে নি। গাড়িতে তেল নেই। আর তেল কিনতে টাকা লাগবে তাই গাড়ি ছাড়াই এসেছে। একটা রিকশা পেয়ে গেলেই হলো।
কিন্তু অনেকক্ষণ যাবত দাঁড়িয়ে থাকার পরেও রিকশা, অটো কিছুই পাচ্ছে না। রুহানি স্ট্যান্ডের দিকে এগিয়ে গেল। স্ট্যান্ডে এসে আরেক বিপদে পড়ল। নীরব-নিস্তব জায়গা। মানুষ জন কিছুই নেই। গা ছমছমে পরিবেশ। এই অন্ধকারে রুহানির অনেক ভয় লাগছে।
রুহানি ফোনের টর্চ জ্বালিয়ে হেঁটে যাচ্ছে সামনের দিকে। আর মনে মনে দোয়া দরুদ পড়ছে। শা শা করে গাড়ি ছুটে যাচ্ছে লম্বা সময়ের ব্যবধানে। যা রুহানির ভয় বাড়িয়ে দিচ্ছে।
একটা গাড়ি ধীরে ধীরে ওর পেছনে পেছনে আসছে। রুহানি অনেকক্ষণ ধরে ব্যাপারটা খেয়াল করছে। পেছনে না দেখে দ্রুত পা চালাচ্ছে। ওর গতির সাথে গাড়ির গতিও বাড়ছে। রুহানির সারা শরীরে কম্পন অনুভুত হচ্ছে। হৃদপিণ্ডটা দ্রুত বেগে চলছে। ভয়ে কুকঁড়ে যাচ্ছে।
হটাৎ করে ওর পেছনে পায়ের আওয়াজ শোনা যায়। একটা কন্ঠে নিজের নাম শুনে বুক ধুকপুক করে উঠলেও থেমে পেছনে ঘুরে রুহানি। পেছনের মানুষটাকে দেখে সাহস পায়। দু’পা সেদিকে এগিয়ে গিয়ে বলল,
“তুমি! এখানে কি করছো? তুমি আমাকে ইচ্ছে করে ভয় দেখাচ্ছিলে?”
ফালাক মুখ ইনোসেন্ট করে বলল,
“আমি তোমাকে কখন ভয় দেখালাম? তুমি একা একা এই রাস্তা দিয়ে হাঁটছো তাই এলাম।”
রুহানি আর কিছু বলল না।
ফালাক শক্ত কন্ঠে বলল,
“এত রাতে একা একা এই নিরিবিলি, অন্ধকার রাস্তা দিয়ে হাঁটছো কেন? জানো না এই রাস্তাটা ভালো না?”
রুহানি মনে মনে বলছে, “কিছু করার নেই। রিক্স নিয়েই জীবন চালাতে হয় আমাদের। জীবন বাঁচানোর জন্য জীবনকেই বিপদে ফেলতে হয়।”
রুহানিকে চুপ দেখে ফালাক ধমকে বলল,
“এই জব ছেড়ে দেও। এত রাতে বাইরে থাকতে হয় এমন জব করার দরকার নেই।”
রুহানি ভ্রু কুঁচকে ফালাকের দিকে তাকাল। তারপর আবার সামনের দিকে হাঁটা দিল। ফালাক ওর পেছনে যেতে যেতে বলল,
“কোথায় যাচ্ছো তুমি? থামো বলছি।”
“আমি বাসায় যাচ্ছি। আমার পেছনে আসবে না।”
“আমি তোমাকে দিয়ে আসব। এত রাতে একা একা তোমার যেতে হবে না। আমার গাড়িতে আসো।”
“দরকার নেই আমি যেতে পারব। কারো সাহায্য প্রয়োজন নেই।”
ফালাক রুহানিকে থামানোর জন্য মিথ্যে বলল,
“যাও, সামনে গাজাখোড়দের আড্ডা খানা। ওদের সাথে গিয়ে আড্ডা দেও। দেখবে কত সুন্দর ভাষায় তোমার সাথে কথা বলে।”
রুহানি ফালাকের কথা শুনে ভয় পেয়ে দাঁড়িয়ে যায়৷ তারপর পেছনে ঘুরে ফালাকের দিকে ভয়ার্ত দৃষ্টিতে চেয়ে বলল,
“সত্যিই কি তাই?”
“বিশ্বাস না হলে আরো দশ মিনিট হেঁটে দেখো। আমি যাচ্ছি টাটা। আমার কাজ আছে।”
রুহানি ফালাকের কাছে এসে বলল,
“একটা মেয়েকে এভাবে ফেলে চলে যাচ্ছেন? মানবতা বলে কিছু নেই,?”
“যাক বাবা, এখন আমার দোষ? আমি তো বলেছিলাম তুমিই শুনো নি… ”
রুহানি ফালাকের সাথে কথা না বাড়িয়ে গাড়ির দরজা খুলে ওঠে বসে।
.
হালকা আলোয় ফালাকের হাস্যোজ্জ্বল মুখটা স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে। রুহানির ডাউট হচ্ছে। ফালাক মিটমিট করে হাসছে কেন?
“আপনি এই রাস্তায় কি করছিলেন? আপনার বাসা, অফিস কোনটাই এদিকে না। তবে কি করছিলেন?”
“তোমাকে ফলো করছিলাম।”
কি এটা বলব আশা করেছিলে? আমার কি আর কাজ নেই? আমি একজনের সাথে মিট করতে এসেছিলাম। তোমাকে দেখলাম ভয়ে ভয়ে হাঁটছো তাই লিফট দিতে চাইলাম।”
রুহানি ফালাকের কথা শুনে মুখ অন্যদিকে ঘুরিয়ে নিল।ফালাক আড়চোখে রুহানিকে দেখছে।
চলবে……!