পরীর দেশের ডেবিল,পর্ব -৩

পরীর দেশের ডেবিল,পর্ব -৩
শাহরিয়ার আবিদ

– হঠাৎ এই অদ্ভুদ আলোর ভিতরে মেয়েটা ঢোকার পর উধাও হয়ে চলে যায়। আর আবিদ সেই আলোটার তেজস্ক্রিয়তাই জ্ঞান হারিয়ে ফেলে।

এদিকে আবিদ তার ফুফুর বাসা থেকে বের হয়েছে বেশ কিছুক্ষণ হলো৷ কিন্তু আবিদের ফেরার নামগন্ধও নেই৷ ফুফির বাসায় সবাই চিন্তায় পড়ে গেছে।

সাইমন আর রাফা বড় চিন্তায় পড়ে গেছে৷ তারা কি করবে বুঝতে পারছে না৷ রাফা বলল

-ফুফি আবিদ কোথায় গিয়েছে সেটা কি বলতে পারেন? না মানে ও কি বলে গেছে কোথায় যাচ্ছে ও? (রাফা)

-না এরকম কিছুই তো আমাকে বলে যায়নি। (ফুফি)

-আমি দেখেছি ও এদিকে জঙ্গলের দিকটায় গিয়েছিল সাইকেল নিয়ে। (জ্যাক বলল)

-তুমি নিশ্চিত তো আবিদ জঙ্গলের দিকে গিয়েছে?(সাইমন)

-হ্যাঁ, আমি নিশ্চিত। (জ্যাক)

-জঙ্গলেতো অনেক আজব আজব ঘটনা ঘটে। না জানি কোন বিপদে পড়েছে কিনা? (ফুফি)

-তুমি কোনো চিন্তা করো না। আমরা ওকে নিয়ে আসব। (সাইমন)

-না না তোমরা একলা যেও না। তোমাদের অসুবিধা হবে। (ফুফি বাঁধা দিয়ে বলল)

-তুমি একেবারে চিন্তা করিও না। আমাদের কিছু হবে না। আর আমরা ওকে খুঁজে বের করতে পারব। (রাফা)

-আমরা আসি। (সাইমন)

কথা গুলো বলে বাসা থেকে বের হয়ে গেল সাইমন আর রাফা। দুজনে বাড়ির সদর দরজা পার হয়ে সোজা হাঁটা শুরু করল জঙ্গলের দিকে৷

সাইমন আর রাফা হাঁটছে। রাফা বলে উঠল,
– আজ সকাল থেকে আবিদকে কেমন জানি লাগছিল। কি যেন ভাবতেছিল। ওর মনোযোগ অন্যকোথাও ছিল।(রাফা)

-কি বলিস,, আমিতো খেয়াল করিনি।(সাইমন)

-তুই কেমনে খেয়াল করবি৷ তুই শুধু গিলা আর ঝোলা ভরা ছাড়া পারছ কি৷(রাফা)

-আমাকে নিয়ে যা বলবি বল৷ আমার খাওয়া নিয়ে কিছু বলবি না। (সাইমন)

-ও আপনি তো আবার সম্মানি লোক৷ আপনার মানসম্মানে আঘাত আসবে। থাক কিছু বলব না। আপনি আপনার খাওয়ার কথা বাদ দিয়ে যে কাজ করতে আসছেন সে কাজটায় মনোযোগ দেন। (রাফা)

-আপনিও দেন। খালি আমার খাবারের পিছে লাগেন। (সাইমন)

কেউ আর কোনো কথা বলল না। তারা জঙ্গলে প্রবেশ করেছে কিছুটা সামনে এগুলোই। রাফা আর সাইমনের হাতের ঘড়িটা থেকে টুক টুক শব্দ হচ্ছে। দুজনে সতর্ক হয়ে গেল। চারদিকে কড়া নজর রাখছে। বলা তো যায় না কখন কি হয়?

দুজনে সাবধানে হাঁটছে কিছুটা পথ এভাবে হাঁটার পর তারা আবিদের আনা সাইকেলটা দেখতে পেল। তারা এটা বুঝতে পারল তারা ঠিক পথ ধরেই চলছে। এবার ঘড়ির টুক টুক শব্দটা বেড়েই চলছে। দুজনেই এগিয়ে চলছে কিছুটা দদর যাওয়ার পর তারা দেখতে পেল।

কেউ একজন সেখানে পড়ে আছে রাফা আর সাইমন সেখানে গেল। কে পড়ে আছে এই জঙ্গলে ? রাফা আর সাইমন কাছে গিয়ে দেখল। আরে এটা তো আবিদ । দুজনে আবিদকে জ্ঞান ফেরানোর চেষ্টা করল। কোনো লাভ হলো না । রাফা তার সাথে আনা পানি আবিদের চোখে মুখে ছিটিয়ে দিলে আবিদের জ্ঞান ফিরে।

আবিদের জ্ঞান ফেরা দেখে তারা যেন হাফ ছেড়ে বাঁচে। তারপর তারা দুজন মিলে আবিদকে দাঁড় করিয়ে আবিদকে পানি খেতে দেয়। দুজনে ধরে ধরে আবিদকে সাইকেল পর্যন্ত আনে আবিদকে সাইকেল পিছনে ক্যারিতে বসিয়ে রাফা সাইকেল চালিয়ে বাসায় চলে আসে এদিকে সাইমন জঙ্গলে কিছুক্ষণ এদিক সেদিক হাঁটাহাঁটি করার পর আবিদ যেখানে শুয়ে ছিল তার থেকে কিছুটা দূরে একটা আংটি পাই। সেটা নিয়েই সাইমন বাসায় চলে আসে।

বাসায় ফুফিকে সব কিছু বলে আবিদকে কিভাবে পেয়েছে, কোথায় পেয়েছে। ফুফি সব শুনে ভয় পেয়ে যাই। আবিদ এখনো পুরোপুরি সুস্থ হয়নি এর মাঝে একদিন পার হয়ে যাই। আবিদ মোটামুটি এখন একটু সুস্থ। সাইমন আর রাফা বসে আছে তার পাশে

-আচ্ছা তুই ঐ জঙ্গলে মরতে গেলি কেন? (রাফা)

-না এমনেই । (আবিদ)

-না তুই এমনে যাওয়ার মত ছেলে না । কোনো কিছু ছাড়া তুই এদিক সেদিক যাওয়ার ছেলে তুই না। আসল কথা কি বল? (সাইমন)

-আরে না এমনেই ঘুরতে গিয়েছিলাম। (আবিদ)
আবিদ মনে মনে ভাবল ‘এদের আসল কথা বললে তারা ভয় পেয়ে যাবে তাই আবিদ আর কিছু বলতে চাইতেছে না ‘

-আচ্ছা মানলাম এমনে গেলি। কিন্তু ওখানে মাথা ঘুরে পড়ে গেলি কেন?(রাফা)

– এমনেই এর আগেরদিন লংজার্নি করে এসেছিলাম তাই দূর্বল হয়ে পড়ে গিয়ে দূর্বল হয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। (আবিদ)

-তুই সত্য কথা বললে তোকে একটা জিনিস দেখাব। (সাইমন)

-এতক্ষণ কি মিথ্যা বলছি নাকি?(আবিদ)

-তোর উপর ভরসা নাই। (রাফা)

-যা তো একটু ফে ফে করিছ না। (আবিদ রাফাকে বলল)

-কি বললি তুই? (রাফা)

– না কেমন আছস তা জিগ্যেস করছি। (আবিদ)

রাফা চুপ করে রাগ করে বসে আছে।

-তোরা ঝগড়া বন্ধ কর। এটা কি দেখ। (সাইমন এটা বলে একটা আংটি দেখাল)

আংটিটা থেকে একটা আলো বের হচ্ছে তবে তেমন বেশি নয়। আবিদ আলোটা দেখে বুঝতে পারে এই আলোটাই তো মেয়েটা চলে যাওয়ার সময় যে তেজস্ক্রিয় আলোর গোলকে মধ্যে প্রবেশ করেছিল সে ধরনের আলো বের হচ্ছিল এ আংটিটা থেকে

আবিদ আংটিটা সাইমনের হাত থেকে নেয়ার সময় আংটিটার যে অংশ থেকে আলো বের হচ্ছিল সেখানে চাপ লাগে। তখনি আংটিটা থেকে দোয়া বের হতে শুরু করে….

চলবে

আংটিটা কার? দোয়া বের হবার কারণ কি?
কেমন হয়েছে জানাবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here