পরীর দেশের ডেবিল,পর্ব -৪

পরীর দেশের ডেবিল,পর্ব -৪
শাহরিয়ার আবিদ।

-আংটির আলোকিত অংশটা থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে। তিনজন ভয় পেয়ে গেল। তারা বুঝতে পারছে না আদৌ তাদের সাথে কি ঘটছে তারা নিজেরা এখনো বুঝে উঠতে পারছে না।
আবিদ আংটিটা হাত থেকে নিচে ফেলে দিল। আংটি থেকে ধোঁয়া বের হয়েই যাচ্ছে থামার কোনো নামই নেই। কয়েকমিনিট পর ধোঁয়া বের হওয়া থামল।
ধোঁয়া গুলো সব একটা জায়গায় গিয়ে জড়ো হলো। জড়ো হওয়া আকৃতি এমন যেটা কোনো মানুষের আকৃতির মত।

ধোঁয়া গুলো সব একটা জায়গায় গিয়ে জড়ো হলো। জড়ো হওয়া আকৃতি এমন যেটা কোনো মানুষের আকৃতির মত।ধোঁয়া মানব হতে আওয়াজ এল “আদেশ করুন ”
“আমাকে কি করতে হবে বলুন”
“আমি কিভাবে আপনাদের সাহায্য করতে পারি? ”

ধোঁয়া মানবের কথা শুনে স্ট্রেন্জরা ভয় পেয়ে গেল। তিনজনেই রুমের কোণায় কোণঠাসা হয়ে গেছে।

ধোঁয়া মানব আবার বলে উঠল
“- আপনারা ভয় পাবেন না। আমি কারো কোনো ক্ষতি করি না। ”

একথা শুনে আবিদের ভয় একটু কমল। তবে ভয় পুরোপুরি যায় নি। আবিদ তারপরেও মনে সাহস জুগিয়ে ধোঁয়া মানবকে প্রশ্ন করল
– কে আপনি? (আবিদ)

– আমি ধোঁয়া মানব ঐ আন্টির মধ্যে থাকি। (ধোয়া মানব)

তারপর রাফা এগিয়ে এসে প্রশ্ন করল ধোঁয়া মানবের কাছে
-তুমি এতদিন কার কাছে ছিলে? (রাফা)

– আমি পরীদের রাজকন্যা রিমশার কাছে ছিলাম। (ধোঁয়া মানব)

-কি পরী? পরীদের কোনো দেশ আছে নাকি? পরীর দেশটা কোথায়? (সাইমন)

-হ্যা পরীদের একটা দেশ আছে তবে এটা পৃথিবীর কোনো দেশে নই। এই পরীদের দেশটা এই গ্যালাক্সিতে নেই। দেশটা পৃথিবীর চেয়ে অনেক দূরে। (ধোঁয়া মানব)

-তা তুমি এখানে কি করে? (এবারের প্রশ্নটা আবিদ করল)

-রাজকন্যা ভূল করে পথ হারিয়ে এখানে এসে পড়ে ডেবিলদের থেকে বাঁচতে। (ধোঁয়া মানব)

-তার মানে আমি যে জঙ্গলে একটা মেয়ে দেখেছিলাম ওই কি রাজকন্যা ছিল?(আবিদ)

-হ্যা ঐ মেয়েটায় রাজকন্যা ছিল। (ধোঁয়া মানব)

-কোন মেয়েটা? আমরা তো কোনো মেয়ে দেখি নি? তুই দেখেছিস রাফা কোনো মেয়ে? (সাইমন)

-না তো আমি তো কোনো মেয়ে দেখি নি। (রাফা)

-কোন মেয়ের কথা বলছিস আবিদ? (সাইমন)

– তুই চিনবি না। তুই এখন ছোট বাচ্ছা। (আবিদ)

-ওহ তুই তো আবার অনেক বড় হয়ে গেছিস। (সাইমন)

-থামবি তোরা দুনুটা। এখনো ছোট বাচ্ছার মত ঝগড়া করছ। (রাফা বিরক্ত হয়ে বলল)

-সেটায় ওকে বুঝাতে চাচ্ছি বুঝতেই চাই না। এই ছোট বাচ্চাটা। (আবিদ)

– যা ভাগ। (সাইমন)

-থাম এবার।(রাফা চেঁচিয়ে বলল)

– বাপরে তোরটা গলা নাকি মাইক? (আবিদ)

– তুই আমার সাথে কথা বলবি না।(রাফা রাগ করে আবিদকে বলল)

-পেত্নি। (আবিদ রাগিয়ে দেয়ার জন্য আবার বলল)

রাফা আর কোনো জবাব দেয় নি। এদিকে ধোঁয়া মানব তাদের অবস্থা দেখে হাসতে লাগল।

-তোমরা যে স্ট্রেন্জ তা তোমাদের দেখে বুঝায় যায় না। (ধোঁয়া মানব)

-আপনি কেমনে জানলেন আমরা যে স্ট্রেন্জ? (আবিদ প্রশ্নটা করল। ওরা তিনজনই চমকে গেল ধোঁয়া মানবের কথাটা শুনে)

– এটা আমার বিশেষ একটা ক্ষমতা। (ধোঁয়া মানব)

-মানে বুঝলাম না। (সাইমন)

– তোমাদের দেখে আমি বুঝতে পেরেছি তোমাদের চোখ দেখে। চিন্তা করো না সাধারণ কোনো মানুষ বুঝতে পারবে না। (ধোঁয়া মানব)

ওও…….

তখন দরজা টোকার শব্দ হলো। সাথে ওপাশ থেকে ফুফির ডাক শোনা গেল।

-এখন কি হবে তোমাকে তো দেখে ফেলবে। (রাফা ধোঁয়া মানবকে বলল। সবাই চিন্তায় পড়ে গেছে কি করবে। ধোঁয়া মানবকে ফুফি দেখলে অসুবিধা হবে। )

-চিন্তার কোনো কারণ নেই। আমি আবার আংটির মধ্যে ঢুকে পড়ছি। (ধোঁয়া মানব এটি বলেই আবার ধোঁয়া হলেই আংটির ভেতরে চলে গেল।)

সবাই যেন হাফ ছেড়ে বাঁচল।

আবিদ গিয়ে দরজাটা খুলে দিল,
– পেটের মধ্যে কি তালা মেরে রেখেছ নাকি খুধা না লাগার জন্য। আসো কিছু খেয়ে নিবে। (ফুফি)

-ও তাই তো আমার তো পেটের মধ্যে ইঁদুর দৌড়াচ্ছে। (সাইমন)

-খাওয়ার কথা শুনলে তোর পেটে ইঁদুর না হাতি দৌঁড়ায়।। (রাফা)

রাফার কথা শুনে সবাই হাসতে শুরু করল।

সবাই নিচে নেমে গেল। তাদের জন্যে টেবিলে খাবার সাজিয়ে বসে তাদের অপেক্ষায় আছে আন্কেল। তিনি স্ট্রেন্জদের দেখে হাসি দিয়ে খেতে বসতে বলল সবাইকে। খেতে বসে গেল সবাই। হঠাৎ আবিদের রুম থেকে কোনো কিছু পড়ে যাওয়ার আওয়াজ শুনতে পেল। আবিদের রুমেতো কেউ নেই তাহলে আওয়াজটা কিসের???

দুঃ খিত গল্পটা দিতে দেরি হয়ে গেছে। আমার একাউন্টটা হ্যাক হয়ে গিয়েছিল। ভাগ্য ভালো তাই আবার একাউন্টটা পাইছি। কিছুদিন না লেখাতে রাইটিং ব্লকে পড়ে গেছি। তাই পর্বটা তেমন একটা ভালো ভাবে লিখতে পারেনি। আশা করব পর্বটা কেমন হয়েছে জানাবেন। আপনাদের মানসম্মত কমেন্ট প্রতিক্রিয়া পেলে রাইটিং ব্লক কাটিয়ে উঠতে পারব।

-চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here