তোকে ঘিরে,Part_37,38

তোকে ঘিরে,Part_37,38
Ariyana Nur
part-37

সবাই বলে দিন নাকি চোখের পলকেই কেটে যায়।কৈ আমার দিনতো কাটছে না।আমার কাছে তো এক একটা দিন এক একটা বছরের মত লাগছে। বেডে হেলান দিয়ে শুয়ে চোখ বন্ধ করে মনে মনে কথাগুলো বলছে মানহা।

একটু পর মিষ্টি আর তুর এর কান্নার শব্দ পেয়ে মানহা তড়িঘড়ি বেড থেকে নেমে ড্রয়িং রুমের দিকে ছুটলো।ড্রয়িং রুমে এসে সামনে দিকে তাকাতেই মানহার পা দুটো আটকে গেলো।নিজের চোখকে ও বিস্বাস করতে পারতে পারছে না।মনে হচ্ছে ও যা দেখছে তা ও ঘোরের ঘরে অথবা স্বপ্ন দেখছে।ঘুম ভাঙ্গলেই তা মিথ‍্যে হয়ে যাবে।

কেননা মেন ডোরের সামনে আরহামকে জরিয়ে ধরে তুর আর মিষ্টি কান্না করছে।আর আরহাম পরম স্নেহে দুজনকে আগলে ধরে তাদের কান্না থামানোর চেষ্টা করছে।

মানহা কিছুক্ষন ওদের দিকে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে। নিজের প্রিয় মানুষটাকে চোখের সামনে দেখে মানহা খুশিতে আত‍্যহারা হয়ে গেলো।ওর মন চাচ্ছে দৌড়ে গিয়ে আরহামকে জরিয়ে ধরে চিৎকার করে বলতে আমি জানতাম আপনি আসবেন।আপনি আমাকে একা ফেলে রেখে যেতে পারেন না।কিন্তু গলা দিয়ে কোন কথা বের হচ্ছে না আর না পা চলছে।মানহার পুরো শরীর কাপছে। নিজের শরীরের ব‍্যলেন্স ধরে রাখতে না পেরে মানহা পরে গেলো।চোখ দুটো বন্ধ করার আগে শুধু মিষ্টির মৃদু চিৎকারে ভাবি ডাকটি ওর কানে গেলো।

_______________________________

চোখের মধ‍্যে পানির ছিটা পরতেই মানহা আস্তে আস্তে চোখ খুলে তাকালো।চোখের সামনে আরহামের শুকনো চেহারটা ওর দিকে ঝুকে থাকতে দেখে কিছুক্ষন অপলক দৃষ্টিতে মানহা ওর দিকে তাকিয়ে রইলো।ওর এখনো মনে হচ্ছে ও স্বপ্ন দেখছে।আরহামের মাথায় বেন্ডেজ দেখে ওর ইচ্ছে করছে তা ছুয়ে দিয়ে।পরোক্ষনে মনে হলো ওকে ছুতে গেলে যদি ও চলে যায় তখন???তারপরেও নিজের ইচ্ছা টাকে দমিয়ে রাখতে না পেরে কাপা কাপা হাতে আরহামের মাথার সাদা বেন্ডেজটাতে হাত ছুইয়ে দিল।আরহামকে ছুতে পেরে ঝড়ের গতিতে শোয়া থেকে উঠে আরহামের বুকে ঝাপিয়ে পরে ওকে শক্ত করে জরিয়ে ধরে ডুকরে কেদে উঠলো।

ঘটনাটা এতো দ্রুত ঘটলো যে আরহাম কিছুক্ষন স্তব্দ হয়ে থেকে এদিক ওদিক তাকিয়ে থেকে দেখে সবাই মুচকি মুচকি হাসছে।লজ্জায় আরহামের মুখটা লাল হয়ে গেলো।আর এদিকে তো মানহার কোন হুস নেই।সে তো আপন মনে তার আপন ঠিকানায় কান্না করেই যাচ্ছে।

একে একে সবাই রুম থেকে বের হয়ে গেলো।সবাই চলে যেতেই আরহাম মানহাকে জরিয়ে ধরে শান্ত শুরে বলল….
—এটা কিন্তু ঠিক না।আর একদম ঠিক হয়নি।

মানহা কান্না বন্ধ করে অবাক চোখে আরহামের মুখের দিকে তাকাতেই আরহাম ইনোসেন্ট ফেস করে বলল….

—আমাকে এতোদিন পর দেখে কোথায় আমার বউ ফ্লিম এর হিরোইনদের মত দৌয়ে গিয়ে আমাকে জরিয়ে ধরবে।তা না করে উল্টো সে আমাকে দেখেই অজ্ঞান হয়ে গেলো।আর আমাকে ফ্লিম এর হিরোদের মত টুটাফুটা শরীরে তাকে কোলে নিয়ে এসে বেডে শোয়াতে হলো।

আরহাম মানহার কান্না থামানোর জন‍্য কথাগুলো বলল।কিন্তু তা হিতে বিপরীত হলো।মানহা আরহামের চেহারার দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থেকে চোখের জল ফেলছে।আরহাম মানহাক এভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে ওর শুকনো মলিন চেহারার দিকে কিছুক্ষন তাকিয়ে থেকে নিজেকে আর সামলাতে পারলো না। ওকে জরিয়ে ধরে কান্না করতে লাগলো।

কিছুক্ষন পর মানহা ফুপিয়ে ফুপিয়ে কান্না করতে করতে বলল….

—তুমি ঠিক আছো???এতোদিন কোথায় ছিলে তুমি???আমাকে কষ্ট দিতে খুব ভালো লাগে তোমার তাই না???তাই তো বার বার আমাকে একা ফেলে চলে যাও???আর যেওনা প্লিজ….আমাকে একা ফেলে???তাহলে যে আমি থাকতে পারবো না????
মানহা একটার পর একটা নিজের অভিমান-অভিযোগ আরহামের কাছে বলছে।আর আরহাম কান্না বন্ধ করে মানহার কথা শুনছে।ওর কানে শুধু মানহার তুমি কথাটাই বার বার ঘুরে ফিরে বাড়ি খাচ্ছে।মানহার মুখে তুমি শুনে ও শক্ট খেয়ে ভেবলার মত মানহার দিকে তাকিয়ে আছে।

চলবে

তোকে ঘিরে
Part_38
Ariyana Nur

রাতের খাওয়া দাওয়া শেষ করে সবাই এক সাথে বসে আছে।তুর আরহামের কোলে ঘুমিয়ে আছে।এতো দিনের জমানো সব কথাগুলো আজ পাপাকে পেয়ে সব কথা ঝুলির থেকে বের করছে।আর আরহামও মেয়ের সাথে বসে মেয়ের সব কথা মনোযোগ দিয়ে শুনেছে।একটু পর মিষ্টি তুর কে নিয়ে রুমে চলে গেলো।

ইহান এক কোনে চুপ করে বসে আছে।আসার পর থেকে আরহাম এর সাথে একটা কথাও বলেনি।আরহাম কথা বলতে চাইলেই ইগনোর করে চলে গেছে।আরহাম একটা দীর্ঘ নিশ্বার্স ফেলে মনে মনে বলল….

—লেগে পর বেটা মটুর মান ভাঙ্গাতে।

আরহাম ইহানের সামনে হাটু গেরে বসে পরলো।তা দেখে ইহান ওকে ধরে ওর পাশে বসিয়ে রাগি গলায় বলল…

—কি করছিস ডাঃ না তোকে পায়ে চাপ দিয়ে বসতে না করেছে তাহলে এই ভাবে বসছিস কেন???

—ওওও ডাঃ এই কথা বলেছে 🤔তাহলে তুই জানলি কি করে???

আরহামের কথা শুনে ইহান চুপ করে রইলো।
ইহানকে চুপ থাকতে দেখে আরহাম ওকে জরিয়ে ধরে গলা জরানো কন্ঠে বলল….

—মাফ করে দে ভাই।এভাবে রাগ করে থাকিস না।সেদিন আমার কাছে যেটা ঠিক লেগেছে আমি সেটাই করেছি।কেননা আমি পারতাম না আমার চোখের সামনে তোর কোন ক্ষতি দেখতে।তাহলে যে আমি নিজেকে কখনো ক্ষমা করতে পারতাম না।

ইহান নিজের রাগ ধরে রাখতে না পেরে ওকে জরিয়ে ধরে ছলছল চোখে বলল….

—আই এম স‍্যরি….
আমি পারিনি তোকে সেভ করতে।আমাকে মাফ করে দে।

—চুপ থাক।কিসের স‍্যরি।তুই যা করেছিস তা কি কম ছিলো।

ইহান ওকে ছেড়ে দিয়ে অবাক হয়ে বলল…
—মানে!!!

—-কেনো এই চুকোচরি করছিস।আমি জানি তুই আমার পাশে ছায়ার মত ছিলি।তুই আমার সামনে না গেলেও আমি তোকে অনুভব করতে পেরেছি।

ইহান অবাক হয়ে বলল….
—তার মানে তুই সব জানতিস!!!

আরহাম মুচকি হেসে বলল….

—তা না হলে কি আমি এমনি এমনি সব কিছু ওদেরকে বলে দেই।আমি তোকে সেখানে দুরে দাড়িয়ে থাকতে দেখেছি।মুখোসের আড়ালেও তোকে আমার চিনতে ভুল হয়নি।তাই তো আমি সকল তথ‍্য তাদেরকে দেই।

ওদের কথার মাঝেই আফরা বলল….
—কিসের কথা বলছেন আপনারা???কি হয়েছিল ভাইয়া আপনার সাথে বলবেন প্লিজ…..

আরহাম দীর্ঘ একটা নিশ্বাস ছেড়ে বলতে লাগলো…..

—সেদিন ওরা আমাকে একটা পুরোনো বাংলোতে নিয়ে যায়।সেখানে গিয়ে জানতে পারি তারা আমাকে কেন কিডন‍্যাপ করেছে।
কিছুদিন আগে তাদের ইনলিগেল ব‍্যাবসা বন্ধ করতে আমি পুলিশকে সাহায‍্য করেছি।সবাইকে ধরতে পারলেও তাদের মাথাটাকে ধরতে পারিনি।আর সেখানে তাদের একটা ফাইল আমি পাই এবং সেটা আমার কাছেই রেখে দেই। কেননা সেটা আমি বিশ্বাস করে ঐ পুলিশদের হাতে দিতে পারছিলাম না।আর আমার সাথে যার ভালো সম্পর্ক আছে সে বিডির বাহিরে ছিলো।তাকে সব জানালে সে বলে সেটা আমার কাছেই রেখে দিতে আর তিনি বিডিতে এসে আমার হাত থেকে নিজে সেটা নিবেন।কিন্তু কিভাবে যেন তারা জানতে পারে ফাইলটা আমার কাছে আছে।আর তারপরেই তারা সেদিন এটাক করে।

আরহাম একটা দীর্ঘ নিশ্বাস ছেড়ে আবার বলতে লাগলো….

—তারা আমাকে সেখানে নিয়ে টর্রচ‍্যার করে যাতে আমি বলে দেই ফাইলা কোথায় আছে।কিন্তু আমি মুখ বুজে সব সর্য‍্য করেছি।সাতদিন তাদের টর্রচ‍্যার সর্য‍্য করার পর আধমরা হয়ে পরে ছিলাম।চোখ বন্ধ করার পূর্বে গোলাগোলির শব্দ পেয়েছি।বাকি আর কিছুই জানি না।

যখন চোখ খুললাম তখন নিজেকে হাসপাতালের বেডে আবিশ্বাক করলাম।সেখানে তারা বলে আমি নাকি আজ তিনদিন পর চোখ খুললাম।আমি সবার সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে তারা জানায় যে,আমি কারো সাথে যোগাযোগ করতে পারবো না।কেননা এখন যদি আমি সবার সামনে যাই তখন আমাদের পরিবারের উপর তারা আবার এটাক করতে পারে।এটা শুনার পর আমার মাথা ঘুরতে লাগলো।তারপর কি হয়েছিলো জানি না।

ইহানঃবাকিটা আমি বলছি…..

—এমনিতেই তখন ওর শরীর দূর্বল ছিল।তার উপর মানসিক চাপে তখন জ্ঞান হারিয়ে ফেলে।ডাঃ বলে ও শরীরের যেই কন্ডিশন বেশি মানসিক চাপ পরলে হিতে বিপরীত হতে পারে।তাই ওকে আমরা কিছুদিন ঘুমের ইনজেকশনের মাধ‍্যমে ঘুম পারিয়ে রাখি।

আফরাঃ তার মানে তুমি জানতে ভাইয়া বেচে আছে!!!

ইহানঃহুম….
আমি যখন ওর খোজ পেয়ে আমার লোক নিয়ে ওকে উদ্ধার করতে যাই সেখানে গিয়ে দেখি ও অচেতন হয়ে পরে আছে।শরীরে মারের দাগ গুলো স্পষ্ট হয়ে আছে।ওর অবস্থা আনেক খারাপ ছিলো।আমরা সেদিনও ব‍্যর্থ হই।মাথাটাকে ধরতে পারিনি এমনকি জানতেও পারিনি কে সে।আরহাম একটু সুস্থ হলে ওর থেকে সব তথ‍্য জানতে পারি।আর এটাও জানতে পারি ওদের মাথাটা কে ছিলো।

আফরাঃকে সে???আর এলি আপুই বা তাদের হয়ে কাজ কেনো করেছে???

ইহানঃ তোমাদের স্রদ্ধের জিজুই হলো মেন মাথা।আর আমার সব থেকে বড় শক্র।সাথে রনিও ও ছিলো।(রেষ্টুরেন্টের মেনেজার)বহুকষ্টে তাদেরকে কালকে প্রমান সহ আমারা ধরতে পারি।আর এ সব কিছু তোমাদেরকে না জানানোর একটাই কারন তারা তোমাদের উপর তারা নজর রেখেছিলো।

মাঃতাহলে লাশটা কার ছিলো???

ইহানঃএটা ওদের চাল ছিলো।ওরা জানতো না আরহাম আমার কাছে।তাই আমাকে দূর্বল করে দিতে এটা করেছে।

মা এবার রেগে কান্না করতে করতে বলল….

—এজন‍্যই বলেছিলাম আমি এমন কাজ বেছে নিস না।আজ আমার দু সন্তান মরতে মরতে বেচে গেলো।আমাকে তো তোরা সান্তি দিবি না।তোরা চাস তোদের চিন্তায় চিন্তায় আমি মরে যাই।

আরহাম আর ইহান মার দুপাশে বসে মাকে এক হাতে জরিয়ে ধরে আরহাম বলল….

—তুমি যদি এভাবে ভেঙ্গে পরো তাহলে আমাদের লড়াই করার শক্তি কে দিবে।

ইহানঃতুমিই তো আমাদের কে শিখিয়েছো মানুষের বিপদে-আপদে তাদের পাশে থাকতে।তোমার সেখানো পথেই তো আমরা চলছি।তাহলে আজ কেনো এই কথা বলছো।

মাঃকি করবো বল।ভয় হয়।তোদের হারানো ভয়।আমি তো মা…তোদের কিছু হয়ে গেলে তখন কি হবে আমার বল??

—তোমার দোয়া আমাদের উপর থাকলে আল্লাহ্ এর রহমতে আমাদের কিছু হবে না।

আরহাম আর ইহান মাকে জরিয়ে ধরে কান্না করতে লাগলো।মাও তার দুই ছেলেকে পরম মমতার আচলে আগলে ধরে কান্না করছে।এতোদিন পর দুই ছেলেকে কাছে পেয়ে চোখের জল আজ বাধ মানছে না।

ইহানের মা মারা যাবার পর থেকে ইহান আরহামের মাকেই মা বলে ডাকে।আর তিনিও ইহানকে নিজের ছেলের মত দেখে।

____________________________

ইহান ফ্রেস হয়ে এসে দেখে আফরা বেডের উপর রনমূর্তি হয়ে বসে আছে।

ইহান আফরাকে এভাবে দেখে মনে মনে বলল….

—এর আবার কি হল???যেভাবে বসে আছে মনে হচ্ছে কাচা চিবিয়ে খাবে।আল্লাহ্ রক্ষা করো।

ইহান একটা শুকনো হাসি দিয়ে বলল…
—তুমি এখানে এভাবে বসে আছো কেনো????

আফরা রাগি গলায় বলল…
—কেনো ডিস্টাব করলাম???

—ডিস্টাব কেনো করবে।কি হয়েছে তোমার এভাবে কথা বলছো কেনো???

—মিথ‍্যে কথা কেনো বলেছেন??

ইহান অবাক হয়ে বলল….
—মিথ‍্যে কেনো বলবো!!!আর কি মিথ‍্যে বলেছি???

আফরা রেগে বেড থেকে নেমে ইহানের কলার ধরে বলল…

—তুই জানিস না কি মিথ‍্যে বলেছিস???ভাইয়ার কথা কতবার তোকে জিগ্যেস করেছি,প্রতিবার চুপ করে ছিলি।কিচ্ছু বলিসনি আমায়।এই আমি তোর বিয়ে করা বউ।

—দেখো সব তো তুমি শুনলেই।তার পরেও কেনো এমন করছো???

—চুপ থাক একটা কথাও বলবিনা।তুই থাক এখানে আমি চললাম মিষ্টির ওখানে।যদি আমার পিছু নিয়েছিস।তাহলে তোকে সত‍্যি সত‍্যি এবার খুন করে ফেলবো আমি।😡

এই বলে আফরা বড় বড় পা ফেলে চলে গেলো।আর ইহাম ঢপ করে বেডে বসে মাথায় হাত দিয়ে বলল…..

—আল্লাহ্ এ আমি কাকে বিয়ে করেছি।পুরোই বম…
আমার জীবনটা পুরো তেজপাতা বানিয়ে ছাড়বে।

কথাটা বলে ইহান সাথে সাথে মুখ হাত দিয়ে চেপে ধরে মনে মনে বলল….
—কি করছিস তুই???ভুলে গেছিস দেয়ালের ও কান আছে।

(ইহান আফরাকে ঘরোয়া ভাবে বিয়ে করে ওদের বাড়িতে নিয়ে আসে যাতে আফরার কেউ কোন ক্ষতি করতে না পারে।)

___________________________

মানহা আরহাম এর কাধে মাথা রেখে ওর এক হাত জরিয়ে ধরে ব‍্যালকানিতে বসে আছে।কারো মুখেই কোন কথা নেই।নিরবতা ভেঙ্গে আরহাম বলল….

—চেহারার এ কি অবস্থা করেছো দেখেছো???এমন পাগলামোর কোন মানে আছে বল।আমি যদি সত‍্যিই হারিয়ে যাই তাহলে আর এমন পাগলামো করবে না।নতুন করে বাচবে।পারলে আমাকে ভুলে যাবে।

মানহা আরহামের কথা শুনে ফট করে ওর হাত ছেড়ে দিয়ে দাতে দাত চেপে বলল…..

—আমার জায়গায় আপনি থাকলে মনে হয় এই করতেন???

আরহাম ওকে রাগানোর জন‍্য বলল….
—হুম…..

ব‍্যাস আর কি লাগে মানহা রেগে কোন কথা না বলে রুম থেকে বের হয়ে মিষ্টির রুমে চলে গেলো।আর আরহাম বেকুবের মত বসে বসে ভাবতে লাগলো….
— এটা কি হল????

চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here