তুমি_আমার_অধিকার ( সিজন 2),পার্টঃ6,7

তুমি_আমার_অধিকার ( সিজন 2),পার্টঃ6,7
লেখক_সাব্বির আহাম্মেদ
পার্টঃ6

হাসপাতালে মনিরের সাথে রয়ে গেছে নিলয় অন্তী আবির অথৈ সবাই।

মনির তার বাচ্ছাকে সামলাতে ব্যস্ত এখন

আমি যদি বড় লোক হতাম,
তাহলে রাতের ওই আকাশ পাড়ি দিয়ে
চাঁদটা তোমায় দিতাম !!

শরৎতের আকাশে মেঘেরা লুকোচুরি খেলে
-হেই রাণী তুমি কি এসছিলে আমার মনে

গাছে গাছে ডাকে বউ কথা কও পাখি,
তাহলে আমি কি তোমায় ভালোবাসি

ছন্দ গুলো বলে মায়ান বর্ণের দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসি দিলো ।

বর্ণঃ- তুমাকে বলেছিলাম আমার পিছু পিছু না আসতে তাহলে কেনো আসতাছো তুমি ??

মায়ানঃ- প্লিজ সোনা রাগ করে না, আরে আমার ভুল হয়ে গেছে। আর কখনো হবে না !! এই বলে মায়ান বর্ণের পিছু পিছু যাচ্ছে !!

এইবার বর্ণ পিছন ঘুরে মায়ানকে ধমক দিয়ে বলে, তুমি যদি আরেকবার আমার পিছু পিছু আসো তাহলে তুমার সাথে আমার ব্রেকআপ ??

মায়ান বেচারা সেখানেই দাড়িয়ে গেলো এই মেয়েকে দিয়ে কিছু বিশ্বাস নেই ।

আসলে মায়ান হলো বর্ণের বফ, আর বর্ণ এই হাসপাতালে নার্স হিসাবে কাজ করে । নিত্যদিন মায়ান বর্ণেকে হাসপাতালে ড্রপ করে দিয়ে আসে। আজকে একটু লেট হয়ে গেছে তাই আর বর্ণকে ড্রপ করে দিতে পারে নি তাই বর্ণ এমন করছে ।

বর্ণঃ- স্যার আপনাদের রোগী এখন অশংকা মুক্ত তাকে আপনারা দুইদিন পর নিয়ে যেতে পারেন,আর এইখানে ঔষুধের নাম দেওয়া আছে একটু কষ্ট করে ফার্মেসী থেকে নিয়ে আসলে ভালো হবে।

নিলয় হেসে বলে, ওকে সমস্যা নেই ধন্যবাদ!

বর্ণঃ- ওয়েলকাম ( মুচকি হেসে)

একটু দূর থেকে নিলয় আর বর্ণের কথাকপন দেখছে অন্তী

সে মনে মনে বলে উঠে এই মেয়ের সাথে এত কথা কিসের তার হাতের আঙ্গুল গুলো মুচড়াচ্ছে অন্তী। অনেক ক্ষণ হয়ে গেছে এখনো কথা বলছে নিলয়। অন্তীর আর সহ্য হচ্ছে না, এক্ষুণি মনে হয় সে কেদে দিবে !!

জানালার ওপাশে একটা ছেলে অনেকক্ষণ ধরে উকিঁ দিচ্ছে
চোখে তার বিষন্নতার ছাপ, দেখে বুজা যায় তার প্রিয় কেউ তার সাথে রাগ করে আছে, সে তার রাগ ভাঙ্গাতে ব্যস্ত একটু শ্যামলা ছেলেটা মাঝারি সাইজের চুল গুলো মনে হয় আচরিয়ে আসি নি

নিলয় বর্ণের দিকে তাকিয়ে বলে উঠে, অনেকক্ষণ যাবত খেয়াল করছি জানালার ওপাশে ওই ছেলেটি আপনাকে দেখছে লুকিয়ে লুকিয়ে সে মনে হয় আপনাকে কিছু বলতে চায় । বর্ণ পিছন ঘুরে তাকিয়ে দেখে মায়ান দাড়িয়ে আছে সেখানে । সে নিলয়ের দিকে তাকিয়ে বলে, হুম !!

আপনি কিছু মনে না করলে একটা কথা বলি ??

বর্ণঃ- হুম বলেন.!!
নিলয়ঃ- ছেলেটি আপনার কিছু হয় ??
বর্ণ হেসে বলে উঠে না আমার কি হবে সে !!

বর্ণ ওই ছেলেটার সাথে কি কথা বলছে তা বুজতে সে রুমে ডুকে অন্তীর পাশের চেয়ারটাতে বসলো। অন্তী মায়ানকে তার পাশে বসতে দেখে বলে উঠে,

এই যে আপনি এখানে বসছেন কেনো? মায়ান অন্তীর কথার উত্তর না দিয়ে বর্ণের দিকে এক নাগাড়ে চেয়ে আছে। মায়ানকে দেখে অন্তীর মনে একটু বুদ্ধি আসলো। সে নিলয়কে জোলাস ফিল করানের জন্য মায়ানের সাথে কথা বলবে !!

এই যে আপনি একটু কাছে আসবেন
মায়ানঃ কেনো
অন্তীঃ- আপনাকে চুম্মা দিবো আসেন তো তাড়াতাড়ি

মায়ান অন্তীর মুখ থেকে এমন কথা শুনে লাফ মেরে উঠে বর্ণের কাছে চলে গেলো ।

বর্ণঃ- কি হলো আপনি এখানে আসছেন কেনো, সেখানেই তো ভালো ছিলেন,আরো ভালো করে কথা বলেন মেয়েটার সাথে !!
মায়ান কিছু না বলে চুপ করে দাড়িয়ে আছে.

নিলয় মায়ানের দিকে তাকিয়ে বলে উঠে, ভাই প্রিয় মানুষের রাগ ভাঙ্গানো এত সহজ না আর তুমি তা না করে জানালার ওই পাশে দাড়িয়ে আছো । আর এই যে মেম বেচারাকে আর কত কষ্ট দিবেন এই বার মাফ করে দেন, এই সরি বলো মিয়া

মায়ানঃ- সরি !!
বর্ণঃ- ওকে ভাইয়া আপনি বলাতে এইবার তাকে ক্ষমা করে দিলাম পরের বার কিন্তু করবো না ওকে বলে দিয়েন ।

মায়ানঃ- ভাই আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ, আপনার জন্য তার রাগটা ভাঙ্গলো !

নিলয়ঃ- ইট’স ওকে,

নিলয় তাদের দুজনের ঝামেলা মিটিয়ে অন্তীর কাছে আসলো।

আমার রাণীটা কি করছে, ( অন্তীর গাল টেনে বলে)
অন্তীঃ- খবরদার আমাকে একদম ছুবে না , এতক্ষণ ওই মেয়ের সাথে পিরিত করে এসে এখান এসেছে ঢং করতে

নিলয়ঃ- কি করলাম আমি আরে তাদের দুজনের মধ্য একটু ঝামেলা ছিলো সেটা মিটিয়ে দিয়ে আসলাম

অন্তীঃ- তো ভালো করছো ঝামেলা মিটিয়ে, আমার কাছে এসেছো কেনো এখন
নিলয়ঃ- তো কার কাছে আসবো
অন্তীঃ- সামনে চেয়ে দেখো আর কত মেয়ে আছে তাদের কাছে যাও

নিলয় বিরক্ত স্বরে বলে উঠে, দূর ভাল্লাগেনা কিছু আর এই বলে সে বারান্দায় আসলো ।

সেখানেও এসে দেখে আরেক ঝামেলা চলছে আবির আর অথৈয়ের মাঝে

অথৈঃ- এই তুমি ওই মেয়ের দিকে তাকিয়েছো কেনো
আবিরঃ কোথায় তাকালাম
অথৈঃ তুমি কি মনে করছো আমি বুজি না সানগ্লাস পড়েছো দেখে ভাবছো আমি বুজি না

আবিরঃ- উহ কি জ্বালা !!
অথৈঃ কি আমি জ্বালা

এই তোরা থামবি বাল ভালো লাগছে না, সামান্য ব্যাপার নিয়ে ঝগড়া লাগছিস কেনো । আবির বলে উঠে আমি কই লাগলাম অথৈ তো লাগছে

অথৈঃ কি আমি লাগছি নিজে যে মেয়েদের দিকে তাকাও সেটা দোষ না যাও এখানে আর থাকবো না গেলাম আমি

আবিরঃ- যাও যাও, উহ আপদ বাচা গেলো
অথৈ রাগী স্বরে আবিরের দিকে তাকালো, তারপর চলে গেলো

কি ঝামেলা যে পড়লাম ভাই, নিলয় বলে উঠে আমিওও সেম টু বলতে পারিস। আবির বলে কি বলিস তুইই ও আমার মতো ঝামেলায় পড়েছিস । আহ কি কপাল আমাদের একই সুতো গাথা,

কবি বলেছেন

ভাগ্য যদি তুমার না হয়
তাহলে আফসোস করো না

পারলে সুসাইড করো কিন্তু
নারীর কবলে পড়ো না

নিলয়ঃ- বাহ কি সুন্দর কবিতাটা কে বলেছে রে
আবিরঃ মনে আসছে না তবে হবে একজন আমাদের মতো এমন হতভাগা কবি বলেছে, সে ও আমাদের মতো নারীর কবলে পড়েছে

অথৈ এসে অন্তীর পাশে এসে বসলো, কিরে মন খারাপ কেনো তর অন্তী কথার জবাব না দিয়ে চুপচাপ বসে আছে, অথৈ বুজতে পারলো নিলয়ের সাথে ঝামেলা হয়েছে। নিলয় ভাইয়ের সাথে কি নিয়ে ঝামেলা হয়েছে, অন্তী এইবার কেদে কেদে অথৈয়ের কাছে সব খুলে বললো । সব শুনে অথৈও বলে উঠলো ওহ আচ্চা এই ব্যাপার আমারটাও সেম কাজ করেছে, এদের দুজনের পাখা গজিয়েছে বুজছিস.দাড়া এইবার একটা ব্যবস্থা নিতে হবে চান্দুদের, আমাদেরকে কষ্ট দেওয়া তারা হারে হারে টের পাবে ।

ওইদিকে নিরা আর হ্দয়ের কাহিনি একটু শুনে আসি আমরা

নিরা টিভিটা অন করতেই টিভির মহিলা বলে‌ উঠলো
ব্রেকিং নিউজ,

কক্সবাজারে ঘটে গেলো এক মর্মান্তিক ঘটনা, কে বা কারা রাতের অধারে একজনকে এসিড মেরে চলে গেছে, জানা গেছে কয়েকজন বন্ধু তাদের ওয়াইফকে সাথে নিয়ে সমুদ্রে এসেছে বেড়াতে আর তখনি এই‌ ঘটনাটি ঘটে,পুলিশ এখনো তদন্তে করে কিছু জানতে পারে নি তবে তারা আশা করছে অতি শীঘ্রীই পুরো বিষয়টা জানা যাবে । এসিডে আক্রান্ত মেয়েটি এখন অশংঙ্খা মুক্ত ডাক্তার বলেছে কিছুদিন পর তাকে তার বাসায় নিয়ে যেতে পারবে। আমরা এখানে দেখছি রোগীর বন্ধু বান্ধব কয়েকজন সেই প্রথম থেকে রোগীর সাথে আছে

আমরা প্রথমে একজনের সাথে কথা বলবো, ক্যামেরাটা অন্তীর দিকে ফোকাস করলো

আপু ঘটনাটি কিভাবে ঘটলো আমাদেরকে কিছু বলবেন
অন্তীকে ক্যামেরার দেখে নিরা চমকে উঠে একি অন্তী এখানে কিভাবে তাকে তো হ্দয় এসিড মেরেছে তাহলে সে এখানে কেনো

-নিরা হ্দয়কে ঘুম থেকে টেনে তুললো

এইইই দেখো তো এটা কি সেই মেয়ে যাকে তুই এসিড মেরেছো
হদয়ঃ- জানি না তো অন্ধকারে কি আর এতো কিছু দেখা গেছে নাকি

নিরাঃ- তাহলে যাকে মারলা সে কে তাহলে ( রেগে কথাটা বললো সে)
হদয়ঃ- আমি কি জানি তুমি বলেছো ওই নীল কালারের শাড়ি পড়া মেয়েকে মারতে আমি তো তাই করেছি ।

নিরাঃ- তার মানে কি অন্তী আর ওই মেয়েটা একই কালারের শাড়ি পড়েছে, ইসসস তাহলে তো মিশন ফেইল আমার

হ্দয়ঃ এখন আর কি করার ??

নিরাঃ- কি করার মানে এখন তো আমি তোকে খুন করবো এই বলে নিরা হ্দয়ের দিকে চাকু নিয়ে এগুচ্ছে

হদয় নিরার এমন কাজ দেখে অবাক হয়ে বললো এই কি করছো এইসব তুমি পাগল হলা নাকি. নিরা যেই হদয়কে চাকু দিয়ে আঘাত করতে যাবে, হদয় নিরাকে ধাক্কা মেরে দ্রুত রুম থেকে বেরিয়ে পড়ে এক নিমিষে সেখান থেকে উধাও হয়ে গেলো ।

অনেক দূর এসে হ্দয় হাপিয়ে গেলো, গাছের তলায় বসলো সে

যাক বাবা অনেক জোর বাচা গেলো, জিন্দেগীতে এই মেয়ের সামনে যাবো না আমি ।

চলবে..

#তুমি_আমার_অধিকার (সিজন 2)
#লেখক_সাব্বির আহাম্মেদ
#পার্টঃ7

কিছুদিন পরিস্থিতি চুপ থাকলো। সবাই নিজের মতো করে ব্যস্ত হয়ে গেলো। আসলে নিয়মটা এমনিই একটা ঘটনা নিয়ে কিছুদিন মাতামাতি হবে তারপর যে যার মতো আবার চলা শুরু করবে।

মাঝখানে মনিরের সংসারটা পুরো তছনছ হয়ে গেছে, তার বউ এখনো পুরোপুরি সুস্থ হতে পারে নি..

-নিরা তার প্রথম মিশন ফেল হবার পর দ্বিতীয় মিশন হাতে নিয়ে মাঠে নামবে এইবার। এইবার আর কাউকে দরকার নেই সে একা পারবে।

এই কয়েকদিন নিরা নিলয়ের ওপর নজর রেখেছে, সে কোথায় যায় বা কি করে, এতদিন পুরোপুরি নিলয়ের সম্পর্কে তার ধারণা হয়ে গেছে।

এইইই উঠো..কখন সকাল হয়ে গেছে আর সে পড়ে পড়ে ঘুমাচ্ছে ( অন্তী নিলয়কে ডাকছে)

আসলে ওইদিনের প্রতিশোধ হিসাবে, অন্তী আর অথৈ
নিলয় আর আবিরকে শাস্তি হিসাবে সারারাত বাহিরে রাখছে ঘরে ডুকতে দেই নি! আর সকাল হতে যখন দরজা খুলে দিলো অন্তী ওমনি নিলয় রুমে ডুকে বেঘোরে ঘুম দিলো।

এইইইইই আজকে অফিসে যাবে না তুমি

নিলয় একটু শব্দ করে বললো না যাবো না।আজকে শুধু ঘুম আর ঘুম।

-অন্তী আর কিছু না বলে সেখান থেকে চলে যায়।
নিলয়ের আম্মুঃ- কিরে নিলয় উঠে নাই এখনো
অন্তীঃ- না আম্মু উঠে নাই এখনো পড়ে পড়ে ঘুমাচ্ছে!
আম্মুঃ- কেনো রাতে ঘুমায়নি সে
অন্তীঃ- কিভাবে ঘুমাবে সারা রাত তো সে বাহিরে ছিলো ( এই কথা বলে অন্তী জিহ্বা কামড় দেয়)
আম্মুঃ- কিহ ( অবাক হয়ে ).
অন্তী আর কিছু না বলে সেখান থেকে চলে আসলো।আর নিজেকে বকতে লাগলো!

ওইদিকে আবির আজকে খুব রেগে আছে, সারা রাত ঘুমাতে না পেরে।

অথৈ আবিরের কাছে আসতেই, আবির বলে উঠে সরো আমার কাছে আসবে না।

অথৈঃ- কেনো বাবু কাছে আসলে কি হয়
আবির মুখ ঘুড়িয়ে বলে আসতে না করছি আসবে না। সারা রাত বাহিরে রেখে এখন আসছে ঢং করতে!!
অথৈয়ের আবিরের জন্য খুব কষ্ট হচ্ছে এখন, সারা রাত ঘুমাতে না পেরে আবিরের চোখ গুলো লাল হয়ে আছে মনে হচ্ছে রক্ত লাগিয়ে এসেছে চোখে ‌.

অথৈ করুন স্বরে বলে উঠে আচ্ছা সরি আর হবে না. আবির আর কিছু না বলে বালিশ নিয়ে শুয়ে পড়লো। অথৈও রুমের দরজা লাগিয়ে আবিরের বুকের ওপর শুয়ে পড়লো। ক্লান্ত আবির অথৈকে বুকের ওপর থেকে সরাবে সেই শক্তিটুকু নেই তার।

_________________________________🍀

ব্যস্ততা শেষ করে চেয়ারে বসে আছে নিহাদ পুরো নাম নিহাদ চৌধুরি। কফিতে এক চুমুক দিয়ে পকেট থেকে ম্যানিব্যাগটা বের করে তার প্রেয়সীকে দেখেছে। সিগ্ধ হাসিটা তার খুব প্রিয়, মেয়েটি কেমন ভাবে যেনো নিহাদের দিকে তাকিয়ে আছে মনে হচ্ছে হাসি দিয়ে নিহাদকে কাছে ডাকছে।

-আজ কয়েকবছর হয়ে গেলো নিহাদ বিদেশে এসেছে সংসারের স্বচ্ছলতা আনতে. তার জন্য তাকে ছেড়ে যেতে হয়েছে তার ভালোবাসার প্রিয় মানুষটিকে, এইখানে আসার পর থেকে আর প্রিয় মানুষটির সাথে যোগাযোগ হয় নি। স্মৃতি হিসাবে এই একটি পিক তার কাছে আছে ।

দিন শেষ হয়ে যায় বেলা ফুরিয়ে যায়, আসে সেই অপেক্ষার অবসান। আসলে ছেলেরা মন থেকে যাকে ভালোবাসে তাকে কখনো ছাড়তে চায় না।

আজকে বাদে কালকে ফ্লাইট নিহাদের, অনেকদিন পর সে মনে শান্তি পাচ্ছে অবশেষে তার প্রিয় মানুষটির সাথে দেখা হবে, তবে ভয় হচ্ছে তাকে যদি সে হারিয়ে ফেলে বা সে যদি অন্যের হয়ে যায়। তখন সে কি করবে!! তার এতদিনের লালিত ভালোবাসা নিমেষে অন্ধকার হয়ে মিশে যাবে !!

-ওইদিকে সারাদিন ঘুমিয়ে বিকালে ফ্রেশ হয়ে নিলয় বের হলো অন্তীকে সাথে নিয়ে যেতে চায়ছিলো কিন্তু তার মা দিলো না বললো তুইই যা বউমা যেতে পারবে না। নিলয় বের হয়ে আবিরকে কল‌ করলো লেকের পাশে আসতে…

আবার সেই চিরচেনা প্রিয় জায়গায় নিলয় বসে আছে, এই‌ জায়গায় মিশে আছে কত অজানা স্মৃতি, অন্তীর সাথে এখানে দেখা হয়েছে। আবার নিরার সাথে এই জায়গায় বিচ্ছেদ হয়েছে সব মিলিয়ে নিলয়ের সাথে এই জায়গার এক আত্বার সম্পর্কে তৈরি হয়ে গিয়েছে ।

-অনেকক্ষণ বসে আছে নিলয়। আবিরের আসার কেনো খবর নেই, পিছন থেকে চিরচেনা স্বরে কে যেনো তার নাম ধরে ডাক দিলো নিলয়। সে পিছনে তাকিয় বললো কে??

নিরাঃ- আমি নিরা ।
নিরার নাম শুনতে নিলয় চমকে উঠলো। নিরা তু-তুমি এখানে ( তোতলাতে তোতলাতে বললো কথাটা)
নিরাঃ- কেনো অবাক হচ্ছো আমাকে এখানে দেখে ??
নিলয়ঃ- না কিন্তু কিভাবে বের হলে তুমি! ও
নিরাঃ-সেই অনেক কাহিনি বলতে গেলে রাত হয়ে যাবে !

নিলয়ঃ- তাহলে এখন কি বলতে চাও
নিরাঃ- কিছু না বলে নিরা হাতে কি যেনো নিলয়ের মুখে মারলো.

নিলয় দেখলো তার মাথা ঘুরাচ্ছে, আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখলো আকাশটাও তার সাথে পাল্লা দিয়ে অনেক দ্রুত ঘুরছে মনে হচ্ছে এখনি সে মাটিতে ধপাস করে পড়ে যাবে। তবে নিলয় পড়ে যাওয়ার আগে নিরা আর তার সাথে নিয়ে আসা ছেলে পেলে নিলয়কে ধরে গাড়িতে উঠালো ।

মিনিট পাচঁকের মধ্যে কাজটা সেরে ফেললো নিরা, এইবার নিলয়ের কয়েকটা আপত্তিকর ছবি তুলে অন্তীর কাছে পাঠিয়ে দিতে হবে।

তারপর দেখা যাবে কেমন খেলা মাঠে গড়ায় এই‌ বলে নিরা হাসতে থাকে, আমার খেলায় আমি বিজয়ী হবো সেখানে অন্য কারো জায়গায় নেই ।

আলমারী ঘাটতে ঘাটতে কি যেনো পড়ে গেলো আলমারী থেকে
নিরা সেটা উঠিয়ে দেখে হাসি মাখা একজনের পিক কি উজ্জ্বল হাসি ছেলেটার ,নিরা এই ছেলেটাকে চিনে খুব ভালো করে চিনে
আজ কয়েকবছর পর এই পিকটা দেখে তার মনে কেমন জানি অনুভৃতি হলো। পুরনো ভালোবাসার কথা মনে পড়লো তার.!!

ওইই তোরা কাজ কর আর ভালো করে ছবি তুলবি যেনো সত্যি মনে হয় ।

ছবিটা হাতে নিয়ে নিরা বেরিয়ে পড়লো, রাতের চাদের আলোতে ছেলেটাকে ছবিতে অসম্ভব সুন্দর লাগছে

নিরার মনে এক প্রকার ভালোবাসার দোল খেলে গেলো..

চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here