তুমি রবে নীরবে,পর্ব ৮,৯

তুমি রবে নীরবে,পর্ব ৮,৯
অপরাজিতা টুয়া
পর্ব ৮

গত কাল সকাল থেকেই বাবাই এর ব্যবহারে একটু পরিবর্তন দেখছে যেনো। পরশু রাতে বমি করার পর ওকে জড়িয়ে ধরেছিল যখন, ওটা জ্বরের ঘোরে করা বলে মনে হয়েছিলো স্নেহার।

কিন্তু কাল সকালে যখন এই প্রথম বার স্নেহার নাম ধরে ডাকলো বাবাই, একদম চমকে গিয়েছিলো ও। অন্যদিন চা করে নিজেই দিয়ে আসে ও,কাল রবিবার ছিলো, কোনো তাড়া ছিলনা, তাই আর ডিস্টার্ব করতে চায়নি বাবাই কে।

বাবাই ওকে ডেকে চা করে দিতে বললো এই প্রথম, ওর খুব আনন্দ হচ্ছিলো, বেশি কিছু তো চাইনি কোনোদিনও, কিন্তু বিনা কারণে যে মিস বিহেভ গুলো করে ওর সঙ্গে সেগুলোই কষ্ট দেয়। ভালো ব্যবহার আশা করিনা, কিন্তু খারাপ ব্যবহার না করলেই হবে, মনে মনে ভাবছিল।

মা নাকি কমপ্লেন করেছে ওর নামে বাবাই এর কাছে, সেটা যে ওকে ডেকে বলবে বাবাই, ও স্বপ্নেও ভাবেনি কোনোদিনও। কিছুটা অবাক হয়ে ভাবছিলো, এত কথা এর আগে কখনো বলেনি ওর সঙ্গে, কিন্তু কি উত্তর ছিলো ওর কাছে দেবার মত, মায়ের প্রতি যে ক্ষোভ জমে আছে ওর, একটুও যে কথা বলতে ইচ্ছা করেনা, সেটা তো আর বাবাই কে বলতে পারবে না, তাই চুপ করে থাকাটা কেই সোজা পথ বেছে নিয়েছে, একমাত্র কথার উত্তর না দেওয়াই সব সমস্যার সহজ সমাধান, এটা এত দিনে জেনে গেছে ও।

এরপর আর কথা এগোয়নি, বাবাই নতুন করে জানতেও চায়নি আর,বেঁচে গেছে স্নেহা। আজ সকালে হসপিটালে বেরিয়ে যাবার পর ও খেয়াল করলো, বাবাই ডুপ্লিকেট চাবি টা নিয়ে যেতে ভুলে গেছে।

কিন্তু এখন আর কিছু করার নেই, একদিন না হয় ওই দরজা খুলবে, ওর তো কোনো দোষ নেই, বাবাই যদি ভুলে যায় ও আর কি করতে পারে। যদিও ও জানে বাবাই বিরক্ত হয় দরজা খুলেই ওকে দেখলে, কিন্তু আজ আর কোনো উপায় নেই। চাবি নিয়ে যেতে ভুলে গেছে মানে স্নেহা কে আজ তাড়াতাড়ি বাজার থেকে ফিরতে হবে, ঝট পট রেডী হয়ে বেরিয়ে পড়লো ও।

বাড়ি ফিরে রান্না, কাজ কর্ম সেরে , স্নান করে তবে এখন টুয়া র সঙ্গে গল্প করতে বসলো ও। সেদিনের ঘটনার পর থেকে নিজের রুটিন টা একটু বদলে নিয়েছে। স্নেহার গল্প শেষ হয়ে যাবার পরেও দেখলো বাবাই আসেনি, ঘড়ির দিকে তাকিয়ে বুঝলো আসার সময় হয়নি এখনও, আসলে চাবি নেই বলে যদি ঢুকতে না পারে তাই আজ তাড়াতাড়ি ফিরেছে বাজার থেকে, কাজ কর্মও তাই সব শেষ হয়ে গেছে তাড়াতাড়ি।

কিছুই করার নেই দেখে নিজের ফেসবুক টা খুলে বসলো স্নেহা। ওর কোনো অচেনা বন্ধু নেই ফেসবুক এ, যারা আছে সবাই চেনা, তাই এমনই তাদের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে কথা হয়ে যায়, তাই এখন ফেসবুক খোলার উৎসাহ অনেকটাই হারিয়ে ফেলেছে ও।

এখন আবার নতুন বিপদ হয়েছে বিয়ের পর, সব বন্ধুরা ওর বিয়ের ছবি, হানিমুনের ছবি দেখতে চায়। স্নেহা কি করে বলে ওর কোনো হানিমুন হয়নি, আজ পর্যন্ত ও কোথাও যায়নি বাবাই এর সঙ্গে, আর বিয়ের ছবি গুলোতে বাবাই এর মুখ এত টাই গোমড়া, যে সেগুলো আর দিতে ইচ্ছা করেনা স্নেহার।

ফেসবুক খুলতেই একটা ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট এর নোটিফিকেশন দেখলো, অচেনা একটা ছেলের ছবি দেখে সঙ্গে সঙ্গেই রিমুভ করে দিলো ও। আজকাল এমন পরিস্থিতি চার দিকে অচেনা লোক জন কে অ্যাড করতে ভয় হয়, কে জানে কার কি মতলব থাকে। বেল বাজার আওয়াজে বাবাই এসেছে বুঝেই মোবাইল রেখে তাড়াতাড়ি দরজা খুলতে গেলো।

দরজা খুলেই বাবাই কে দেখে তাড়াতাড়ি সরে গেলো স্নেহা, এক্ষুনি বিরক্ত হবে, বাবাই অবশ্য কিছু না বলেই ভেতরে ঢুকে গেলো বাথরুমে, স্নেহা ভাত বাড়তে গেলো, বেরিয়েই খেতে বসবে ও। খেতে দিয়ে দূরে দাঁড়িয়ে ছিলো, খুব ইচ্ছা করছিলো শরীর কেমন আছে জিজ্ঞেস করবে, কিন্তু সাহস করে উঠতে পারছেনা কিছুতেই। এক্ষুনি আবার কি বলে বসে কে জানে, ওর মুড ঠিক বুঝতে পারেনা স্নেহা।

বাবাই খেয়ে উঠে যাবার পর নিজে খেতে বসলো ও, আজ পর্যন্ত কোনোদিনও ওরা এক সঙ্গে খায়নি, বাবাই ও ডাকেনি কোনো দিনই। একা একা খেতে ওর ভালো লাগে না, বাড়িতে দুপুরে সবাই এক সঙ্গে না বসলেও, রাতে এক সঙ্গেই খেতে হবে, বাবা এটা চাইত সব সময়, তাই এত বছর এক সঙ্গেই খেয়ে এসেছে ও এখন এই একা খেতে ওর খুব খারাপ লাগে, প্রথম প্রথম তো দু এক গ্রাস খেয়েই উঠে যেত, এখন আস্তে আস্তে অভ্যেস হয়ে গেছে।

সারা সন্ধ্যে আজ রাজুদের সঙ্গে কাটালো স্নেহা, ওরা একটা সিনেমা দেখার আবদার নিয়ে এসেছিলো, শেষ হতে হতে বাবাই ফিরে আসে কিনা এটুকুই ভয় ছিল ওর, যাইহোক বাবাই আসার আগেই শেষ হয়ে গেলো সিনেমা টা, ওরা চলে যেতেই রুটি করতে এলো। অনেক দিন পরে একটু কথা বলতে পেরে ভালো লাগছিলো।

বাবাই সকালে চাবি নিয়ে যেতে ভুলে গিয়েছিল বলে এবেলা একদম দরজার সামনেই টেবিলের ওপর রেখে দিয়েছিলো, কিন্তু দরজা টেনে বেরিয়ে যাবার পর দেখলো ওটা ওখানেই পড়ে আছে।

একটু খটকা লাগছিলো, যে এত দিন ধরে চাবি নিয়ে যেতে কোনোদিনই ভোলেনি, সে বারবার ভুলে যাচ্ছে কি করে, নাকি ইচ্ছা করেই নিয়ে যাচ্ছে না আর, স্নেহা ই দরজা খুলুক, এটাই চাইছে বাবাই।

দোলাচলে ভুগছিল ও, বাবাই কি সত্যিই ওর কাছে আসতে দিতে চাইছে স্নেহা কে, নাকি সব টাই ওর নিজের ধারণা, হয়ত এবেলা ও ভুলেই গেছে, নিজেকেই বললো স্নেহা।

গত মাস তিনেক ধরে বাবাই এর যা ব্যবহার দেখেছে, অত সহজে সেটা ঠিক হয়ে যাবে মনে হয় না একটুও। কিন্তু সেদিন রাতে যে ওকে মাথা টিপে দিতে বলেছিলো সেটা তো মিথ্যে নয়, এমনিতে স্নেহা ধারে কাছে এলেও যে বিরক্ত হয়, সে মাথা টিপে দিতে বলবে আদৌ ভাবেনি। ওকে শিশুর মত জড়িয়ে ধরে ঘুমাচ্ছিল যখন তখন স্নেহার খুব মায়া হচ্ছিলো, মুখ টা দেখে মনেই হচ্ছিলো না, এই ছেলে টা এত খারাপ ব্যবহার করে ওর সঙ্গে। বেল টা বেজে উঠলো ওর ভাবনার মধ্যেই, এই প্রথম সাহস করে দরজা খুলেই স্নেহা জিজ্ঞেস করলো,

চাবি টা টেবিলে রেখেছিলাম, তুমি নিয়ে যেতে ভুলে গিয়েছিলে?

ওর প্রশ্নের কোনো উত্তর না দিয়েই ভেতরে ঢুকে এলো বাবাই, স্নেহা ও আর কথা বলার সাহস দেখালো না, বাবাই এর এই গম্ভীর মুখ টা কে ও খুব ভয় পায়।

চলবে

তুমি রবে নীরবে
পর্ব ৯

নিজে থেকে আর সায়ন্তি কে ফোন করবে না মনে মনে ভেবেই নিয়েছিলো বাবাই, সেই যে গেছে বাড়িতে, তারপরে ফিরেও একদিনও কথা বলেনি ওর সঙ্গে, মোবাইল বন্ধ দেখে যে মেসেজ করে রেখেছিলো ও তার ও কোনো জবাব দিলনা, অথচ ও যে অসুস্থ সেটা ফোনে বলেছিলো, তখন তো এসেই দেখা করছি বলেছিলো ওকে, কিন্তু তারপরে প্রায় সপ্তাহ খানেক কেটে গিয়েছে সায়ন্তি ওকে ফোন বা মেসেজ কোনো কিছুই করেনি।

আজ হসপিটালে ঢুকেই সায়ন্তি কে দেখতে পেয়ে একদম না দেখার ভান করে জায়গাটা পেরিয়ে গেলো ও। নিজের রুমে চেয়ারে বসে মনে হলো সায়ন্তি কে একটা শিক্ষা দেওয়া উচিত, ও ও বুঝুক, বাবাই ওকে এড়িয়ে চলছে, তবে যদি ওর ফোন করার কথা মনে হয়।

একসময় বাবাই যখন রাজি হচ্ছিলো না, তখন প্রতিদিন প্রায় কলেজে এসে ওর সামনে কান্না কাটি করতো ও।

বাবাই তখন অনেক বার বুঝিয়েছে, যে ওর বিয়ে ঠিক হয়ে আছে, ওর পক্ষে আর কোনো সম্পর্কে জড়ানো সম্ভব নয়, তখন এরকমও বলেছে সায়ন্তি,

তুই শুধু আমাকে ভালবাসিস এইটুকুই বল, তোকে বিয়ে করতে হবে না।

একদিন ওকে হটাৎ করে ফোন করে হোস্টেল থেকে নিচে নামতে বলেছিলো সায়ন্তি, বাবাই নেমে আসতেই বাবাই কে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে শুরু করেছিল। খুব অস্বস্তি হচ্ছিলো বাবাই এর।

কি করছিস তুই, পাগল হয়ে গিয়েছিস নাকি?

হ্যাঁ, পাগলই হয়ে গিয়েছি, তোকে না পেলে আর বাঁচতে চাইনা আমি, বলেই ছুটে চলে গিয়েছিলো ওখান থেকে।

বাবাই খুব ভয় পেয়েছিল, কষ্ট হয়েছিলো মেয়েটার জন্য খুব, যদি সত্যিই কিছু করে বসে, ওর জন্য কোনো মেয়ে সুইসাইড করবে এটা ভাবতেও খারাপ লাগছিলো। সেই মুহূর্তেই মনস্থির করেছিলো ও, না, সায়ন্তিকে মরতে দিতে পারবে না কিছুতেই, দরকার হলে ও বাপি কে বুঝিয়ে বলবে সবটা, ভেঙে দেবে ওর বিয়েটা।

মনস্থির করেই সায়ন্তি কে ফোন করেছিলো ও, তুই যা চাস তাই হবে, আমাকে আর কষ্ট দিসনা, তোকে ছেড়ে আমিও থাকতে পারবো না, প্লিজ এমন কিছু করিস না, যাতে আমাদের দুজনেরই কষ্ট হয়।

তারপর থেকেই সায়ন্তিই ওর ধ্যান, জ্ঞান। বাপি কে বাড়ি গিয়ে বলেছিলো সোজা,

আমি স্নেহা কে বিয়ে করতে পারবোনা বাপি, আমি অন্য একজন কে ভালোবাসি।

বাড়িতে ঝড় বয়ে গিয়েছিলো সেদিন, এক এক করে বাবা, মা, মামনি সবার সামনে দাঁড়াতে হয়েছিলো ওকে। বাপি বলেছিলো

আজ তোমার জন্য আমি আমার বন্ধুর কাছে কথার খেলাপ করলাম, আর কোনো দিনও বাড়িতে এসো না তুমি।

মামনি সব সময় বাপি কেই সাপোর্ট করে এসেছে, চুপ করে শক্ত হয়ে দাঁড়িয়ে ছিলো। একমাত্র মা এগিয়ে এসেছিলো তখন,

তোর যাকে ভালো লাগবে তুই তাকেই বিয়ে করিস, স্নেহার কথা তোকে ভাবতে হবেনা, ওর জন্য নিশ্চয়ই ভালো ছেলে পাবো আমরা।

এই একটা সময় খুব খারাপ লাগছিলো বাবাই এর, মা যেনো সেই মুহূর্তে স্নেহার মা না হয়ে ওর মায়ের ভূমিকায় দাঁড়িয়ে ছিল। কিন্তু মনে মনে জানতো ও, মা কতটা কষ্ট চেপে রেখে এই কথা গুলো বলেছিলো সেদিন। স্নেহার মুখোমুখি আর হবার সাহস ও দেখায়নি, কিই বা বলার ছিলো স্নেহা কে, সেদিনই ট্রেন ধরে কলকাতা ফিরে এসেছিলো ও।

তারপর থেকেই মামনি আর খুব বেশি কথা বলতো না, বাপি তো ফোন করা বন্ধই করে দিয়েছিল, শুধু মা নিয়ম করে খবর নিত রোজ।এত দিনের সব সম্পর্ক গুলো কেমন যেনো হারিয়ে যাচ্ছিলো ওর জীবন থেকে। শুধু সায়ন্তির জন্য ও সব টাই মেনে নিতে রাজি ছিলো।

এরপর হটাৎ করেই একদিন ফোনে মামনি জানালো বাপির স্ট্রোক হয়েছে, রাতের ট্রেনে উঠে বসেছিলো ও।

আমাকে পৌঁছেই ফোন করবি কিন্ত,বলেছিলো সায়ন্তি,

হ্যাঁ, চিন্তা করিস না।

পৌঁছে দেখলো বাপি অনেক টা সুস্থ, বাড়ি ফিরে এসেছে। প্রতিদিন ফোন করতো সায়ন্তি,

তাড়াতাড়ি ফিরে আয়, ভাল লাগছে না,

শুনে ওরও চলে আসতে ইচ্ছে করছিলো। চলে আসার দিন বাপি বলেছিলো,

তোমাকে ত্যাজ্য পুত্র করলাম আমি, তোমার আর কোনো দিনও মুখ দর্শন করতে চাইনা, আমার সম্পত্তি তে তোমার কোনো অধিকার থাকবে না আর।

একটা কথাও না বলে ফিরে এসেছিলো ও, সায়ন্তির জন্য সব ছাড়তে পারে ও, কিন্তু কোনো কিছুর বিনিময়ে ও সায়ন্তি কে ছাড়তে পারবে না জানতো সেটা।

পরের দিন দুজনে বিকেল বেলায় গঙ্গার ঘাটে গিয়ে বসেছিলো,

কি হয়েছে তোর, এত চুপ চাপ কেনো,কাকুর শরীর ভালো তো?

জানিস তো আমার আর নিজের বলে কেউ থাকলো না রে, তুই কিন্তু কোনো দিনও আমাকে ছেড়ে যাসনা, সায়ন্তিকে জড়িয়ে ধরে ছিলো বাবাই।

কি হয়েছে, কোনো সমস্যা হয়েছে নতুন করে? ওর মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বলেছিলো সায়ন্তি।

বাবা আমাকে ত্যাজ্য পুত্র করেছে, ওই বাড়ি আর আমার নয়,

বলার সঙ্গে সঙ্গে চমকে উঠে সায়ন্তি বলেছিলো, তুই অধিকার ছেড়ে দিবি,না কিছুতেই সেটা হতে দেওয়া যাবে না, চল উকিলের সঙ্গে কথা বলবো আমরা।

তুই কি পাগল নাকি? বাপির সঙ্গে সম্পত্তি নিয়ে লড়াই করবো, তাছাড়া বাপি কতটা অসুস্থ তুই জানিস না, মাথা ঠাণ্ডা করে ভাব, এরকম করা যায়না কোনো দিনও।

যদি তুই না যাস, তাহলে তোর সঙ্গে কোনো সম্পর্ক থাকবেনা আমার, জেদ ধরে বসেছিলো সায়ন্তি,

অগত্যা ইচ্ছার বিরুদ্ধে গিয়েও যেতে হয়েছিলো উকিলের কাছে। সব কিছু শুনে উনি বলেছিলেন
বাবার সম্পত্তি উনি কাকে দেবেন সেটা ওনার নিজের ইচ্ছা, এখানে কারোর কোনো কিছু করার নেই, বাবাই এর খুব নিশ্চিন্ত লেগেছিলো, যাক গে এমনিতেই ও সবাই কে অনেক কষ্ট দিয়েছে, আর নতুন করে কষ্ট দিতে হবে না ভেবে ভালো লাগছিলো।

কিন্তু তারপর থেকেই সায়ন্তি যেনো ওকে একটু এড়িয়ে চলছিলো, বাবাই বিয়ের কথা বলায় বার বার ওকে ফিরিয়ে দিচ্ছিলো এই বলে যে ওর বাড়ির অনেক দায়িত্ব।

এদিকে বাপির শরীর ও ভালো যাচ্ছিলো না, তখন একদিন ও সরাসরি কথা বলেছিলো, যখন সায়ন্তি বিয়ে করতেই চায়না, তাহলে ঐ বা সবার বিরুদ্ধে গিয়ে কি করবে, শেষে স্নেহার সঙ্গেই হয়ে গিয়েছিল বিয়েটা, বাড়ির সবারই অভিমান হয়ত কমেছিল, কিন্তু ওর নিজের একটা অদ্ভুত রাগ তৈরি হয়েছিল স্নেহার ওপর।

কিন্তু গত তিন চার মাসে সেই রাগ টা অনেক টা কমে এসেছে নিজেই বুঝতে পারছে ও, অন্যমনস্ক হয়ে পড়েছিল কথা গুলো ভাবতে ভাবতে, হটাৎ ফোন টা বেজে উঠতেই দেখলো সায়ন্তি, ঠিক যা ভেবেছিলো তাই, ওকে এড়িয়ে যেতে দেখে ওনার মনে পড়েছে, ধরবেনা ভেবেও ধরে ফেললো শেষে,

হ্যালো বলার সঙ্গে সঙ্গে সায়ন্তির উদ্বিগ্ন গলা শুনতে পেলো,

একবার গেটের সামনে আসবি প্লিজ, খুব বিপদে পড়েছি,

যাবে না ভেবেও উঠে দাঁড়ালো বাবাই, ও কিছুতেই না বলতে পারেনা সায়ন্তি কে।

চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here