তুমি রবে নীরবে পর্ব ২২,২৩

তুমি রবে নীরবে
পর্ব ২২,২৩
অপরাজিতা টুয়া
পর্ব ২২

কাল রাতে বাড়িতে ফিরে এসেছে ওরা, জয় আছে তাই আপাতত মামনি আর টুয়া ওখানেই থাকবে ঠিক হয়েছে, মামনি কে ওখানে রেখে আসতে চায়নি স্নেহা, কিন্তু মামনি কিছুতেই এলোনা, এখানে জায়গারও অভাব, তাই আর জোর করেনি বাবাইও। মনে মনে ভেবে নিয়েছে ট্রান্সফার নেবার চেষ্টা করবে ও, এক্ষুনি কিছু বলবে না কাউকে, এই ভাবে জয়ের ভরসায় ওদেরকে রাখতে পারবেনা ও।

হসপিটালের গেট দিয়ে ঢুকতে ঢুকতে দেখলো সায়ন্তি দাঁড়িয়ে আছে, মুখটা শুকনো, চেহারাটাও খারাপ লাগছে, গত মাসকয়েক ধরে যেহেতু কথা বলছিলো না, তাই আর একটুও খোঁজ নেওয়াই হয়নি ওর বাবার, ও কেনো ফোন করেছিলো জানাও হয়নি আর, নিজেরই যা গেলো এতদিন, কেমন আছে ওর বাবা এখন কে জানে, এতদিন পরে নেহাত ভদ্রতাবশতই ওর দিকে এগিয়ে গেলো বাবাই।

কাকু কেমন আছেন? তোর কি শরীর খারাপ নাকি? এরকম লাগছে কেনো?

ভালো আছে এখন, কিন্তু খুব ছোটাছুটি করতে হচ্ছে তো তাই, সকাল থেকে খাওয়া হয়নি আজকে, ক্যান্টিনের দিকেই যাবো ভাবছিলাম, তোকে দেখে দাঁড়িয়ে পড়লাম। তুই কবে এলি?

কালই, তুই খেতে যাচ্ছিস? ঠিক আছে যা তাহলে,

বলেই চলে যাচ্ছিলো বাবাই, পেছন থেকে ডাকলো সায়ন্তি,

এক কাপ চা খেয়ে যা, চল একটু তোর সঙ্গে কথা আছে,

অনেকদিন পরে প্রথম দিন এসেছে, এখন যাওয়া ঠিক হবে কিনা মনস্থির করতে পারছিলো না, ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখলো একবার বাবাই

আচ্ছা চল, বেশিক্ষন বসা যাবেনা কিন্তু,

আরে না, আমারও তাড়া আছে।

আজ অনেকদিন পরে একসঙ্গে ক্যান্টিনে বসেছিলো ওরা, সায়ন্তি অনেক কথা বলেই যাচ্ছিলো, কিন্তু বাবাই এর খুব বেশি ভালো লাগছে না, ও ঘড়ির দিকে দেখছিলো, অনেক দেরি হয়ে যাচ্ছে!!

তোর দেরি হয়ে যাচ্ছে নাকি?

আসলে অনেকদিন পরে এলাম তো তাই। তুই ফোন করেছিলি, ধরা হয়নি তখন, খুব ব্যস্ত ছিলাম, কিছু জরুরী দরকার ছিলো কি?

এতদিন পরে জিজ্ঞেস করছিস? আমাকে সামনে না দেখলে আর সেটাও তো করতিস বলে মনে হয়না। এমনই ফোন করেছিলাম, তোর এত খারাপ সময় গেলো, তাই একটু পাশে থাকতে চেয়েছিলাম শুধু, আর কিছু নয়, যাইহোক, আমি কিছু মনে করিনি। তোর মানসিক অবস্থা তো ভালো ছিলো না সেটা জানি, তাই এই ছোটো ছোটো ব্যাপারগুলো আর মনে রাখতে চাই না।

হ্যাঁ, সেতো খারাপ ছিলই, বাবার কোনো বিকল্প তো হয়না কখনো, যাইহোক এখন ঠিক আছি মোটামুটি।

তোকে কিছু কথা বলার ছিলো, কিন্তু এখন নয়, একটু সময় নিয়ে বলতে হবে, বেশ কিছুদিন ধরেই বলতে চাইছিলাম, আসলে ঐ জন্যেই ফোন টা করেছিলাম। আমার মনে হয়েছিলো যে বাড়িতে অনেক লোকজন রয়েছে, তাই তুই আমার ফোন ধরিস নি, সেই জন্যই আর ফোন করিনি, ভেবেই রেখেছিলাম, তুই এলে মুখোমুখি বসে কথা বলবো।

আচ্ছা,আমি আসলে বুঝিনি যে তুই কোনো দরকারে ফোন করেছিলি, আমি ভেবে ছিলাম এমনি, তাই আর রিং ব্যাক করিনি, না হলে বাড়িতে লোকজন থাকলেও ফোন ধরতে কোনো অসুবিধা ছিলনা।

তুই কি বিকেলে ছুটির পরে একটু আমার সঙ্গে বাবার কাছে যেতে পারবি? হটাৎ করেই বললো সায়ন্তি, আজ পর্যন্ত যে মেয়ে টাকা ছাড়া কোনো দিনও খোঁজ নেয়নি ওর, সে ওকে বাবার কাছে নিয়ে যেতে চাইছে, অবাক হচ্ছিলো বাবাই। তবু যেহেতু উনি অসুস্থ, তাই একবার দেখা করতে যাওয়াই উচিত এমনিও, ভেবেই রাজি হয়ে গেলো ও।

ঠিক আছে, যাবো, তোর বিকেলে হয়ে গেলে ডেকে নিয়ে যাস আমাকে, বলেই উঠে পড়লো বাবাই।

দুপুরে বাড়িতে ফিরছিলো, দেখলো স্নেহা দাঁড়িয়ে আছে ব্যালকনিতে, অন্যমনস্ক ভঙ্গি তে তাকিয়ে আছে, কোনো কিছু ভাবছে মনে হয়, বাবাই এর গেট দিয়ে ঢোকা লক্ষ্য করলো না ও।

লিফট থেকে নেমে দেখলো আজ দরজা খুলে দাঁড়িয়ে নেই স্নেহা, সত্যিই ওর মন টা খুবই খারাপ হয়ে আছে, ভাবতে ভাবতেই বেলে হাত দিলো বাবাই।

আজ বিকেলে ফিরতে একটু দেরি হবে আমার, সায়ন্তির বাবাকে দেখতে যাবো, খেতে বসে বললো ও।

বেশি রাত কোরো না কিন্তু, কদিন খুব ধকল গেছে, তাছাড়া কাল ট্রেন জার্নি ও করেছ।

হ্যাঁ, হ্যাঁ, তাড়াতাড়িই ফিরবো,তুমি চিন্তা করোনা, আমি না ফেরা পর্যন্ত বসে থেকোনা যেনো, তুমি খেয়ে নিও, তোমার ধকলও তো কম কিছু যায়নি।

ও নিজেই এখন জানে সায়ন্তির প্রতি ওর আর কোনো দুর্বলতা নেই, যেটা ওকে সত্যি কথা বলা থেকে আটকে রাখবে। স্নেহার চোখের দিকে তাকালে এখন আর ওর কোনো গিলটি ফিলিং হয়না, তাই মিথ্যে কথা বলার কোনো প্রয়োজন আর ওর নেই।

গত কয়েকদিনে স্নেহার সঙ্গে ওর সম্পর্ক টা খুব স্বাভাবিক হয়ে এসেছে, স্নেহা যে ভাবে সব কিছু একা হাতে সামলালো, নিজেই অবাক হয়ে যাচ্ছিলো। চুপ চাপ মেয়েটা যেনো এই কদিনে দায়িত্বশীল বউ এ বদলে গিয়েছিলো।

বিকেলে হসপিটাল থেকে বেরিয়ে গেটের কাছে সায়ন্তির সঙ্গে দেখা করলো ও, একটা ট্যাক্সি কে হাত বাড়িয়ে ডাকলো সায়ন্তি।

ট্যাক্সি কেনো? তোর বাড়ি তো কাছেই, একদম না জানার ভঙ্গি করে তাকালো ও।

তোকে আসলে বলবো ভেবেও বলা হয়ে ওঠেনি আর, তোর আর আমার দুজনেরই যা গেলো কিছুদিন ধরে, একটা সারপ্রাইজ আছে তোর জন্য, গেলেই দেখতে পাবি, চল ওঠ।

আজ প্রথম বার ট্যাক্সি ভাড়াটাও সায়ন্তিই দিলো, উত্তরোত্তর অবাক হচ্ছিলো বাবাই। ট্যাক্সি থেকে নেমে ওর হাতটা ধরে একদম ফ্ল্যাটের সামনে নিয়ে এলো সায়ন্তি

দ্যাখ, এটা আমি কিনেছি, ভালো হয়েছে না?

বাহ্! খুব সুন্দর!! নিজের থেকেই একটু অতিরিক্ত উচ্ছাস দেখিয়ে বললো ও, অলরেডী জেনে ফেলা খবর টা আবার নতুন করে জানলো আজ।

আয়, ভেতরে আয়, বাড়িতে ঢুকে এলো দুজনে।

সবাই যেনো জানতোই ও আসবে, সবার ব্যবহারে খুব অবাক হচ্ছিলো ও, বিশেষ করে সায়ন্তির এত উচ্ছাসের কারণ ঠিক স্পষ্ট হচ্ছিলো না ওর কাছে। আলাপ পরিচয়ের পালা শেষ হবার পর সোফায় বসেছিলো ও, সায়ন্তি বোধহয় রান্না ঘরে উঠে গেলো ওর মায়ের সঙ্গে, বাবাই এর একটু অস্বস্তি লাগছিলো।

তোমরা বিয়ে করতে চাও জেনে আমরা খুব খুশি হয়েছি,

আচমকাই ওর বাবার বলা কথায় চমকে তাকালো বাবাই। বিয়ে করতে চায়!! ওরা!! কখন এরকম কথা হয়েছে ওর সায়ন্তির সঙ্গে, ও কি কিছু এমন কথা বলেছিলো যে সায়ন্তির মনে হয়েছে এটা, মনে করতে চেষ্টা করছিলো বাবাই।

যাক, দেরিতে হলেও যে ডিসিশন নিয়েছ তোমরা, এটা জেনে ভালো লাগছে, আমার শরীর ভালো না, কবে কি হয়ে যায়, তুমি ডিভোর্সের ব্যবস্থা করে ফেলো তাড়াতাড়ি, বাবাই এর দিকে তাকিয়ে বললেন ভদ্রলোক।

ওনার শরীর ভালো না, কিছু বলতে গেলে যদি নতুন করে কিছু সমস্যা হয়, তাই চুপ করে থাকার ডিসিশন নিলো বাবাই। নাহ! ভদ্রলোককে কিছু বলবেনা ও, যা বলার সায়ন্তিকেই বলবে, ও ও বলেছিলো ওর কিছু কথা আছে, ওর ভাবনার মধ্যেই ঘরে ঢুকে এলো সায়ন্তি, প্লেটে অনেক মিষ্টি নিয়ে,

আজকে খুব শুভ দিন, একটু মিষ্টিমুখ করো বাবা, বলে প্লেটটা সামনে এগিয়ে দিলেন ওর মা, একটু হেসে প্লেট থেকে একটা মিষ্টি তুলে নিলো বাবাই।

পর্ব ২৩

আয় আমার রুম টা দেখে যা, বাবাই কে নিজের রুমে নিয়ে গেলো সায়ন্তি।

বাবা তোকে কিছু বলেছে? জানতে চাইলো ও, ঘাড় টা একটু হেলালো বাবাই।

আমার আর ভালো লাগছে না এইরকম থাকতে, অনেকদিন ধরেই তোকে বলবো ভাবছিলাম, কিন্তু তুই তো আমার ওপর রেগেছিলিস, তাই আর বলিনি, জানি তোরও এইভাবে থাকতে ভালো লাগেনা, তাই তুই আমার ওপর রাগ দেখাস সব সময়। কিন্তু এবার ঠিক করেই নিয়েছিলাম, তুই ফিরে এলেই বলবো তোকে, চল আমরা বিয়ে করেনি। তুই এতদিন এটাই তো চেয়েছিলি, আমিই মনস্থির করতে পারছিলাম না, এখন আমিও বুঝতে পেরেছি এতদিন তোর থেকে দূরে থেকে, তোকে ছাড়া থাকা আর সম্ভব নয় আমার পক্ষে।

বাবাই কোনো উত্তর দিলোনা, শুধু একদৃষ্টে তাকিয়ে থাকলো ওর দিকে

কিরে, কিছু বল? চুপ করে আছিস কেনো?

ভালোই তো!! এতদিন পরে যে তুই বুঝলি, তাও ভালো!!

আমি সবটাই বুঝি রে, কিন্তু সব সময় তো সব কিছু করা সম্ভবপর হয়না। তুই যে এতদিন ধরে আমার সঙ্গে কথা বলিস না, আমি কি কিছু বুঝিনা বলে তোর মনে হয়, তোর রাগের কারণও আমি বুঝি, কিন্তু পরিস্থিতি সেরকম ছিলো না এতদিন।

তুই কি এই কথাগুলো বলার জন্যই ফোন করেছিলি আমাকে?

হ্যাঁ, ভীষণ ইচ্ছে করছিলো তোর গলাটা একবার শুনতে, আমি রাগ করে ফোন করতাম না বলে তুইও তো করিস নি এতদিন। কিন্তু আর রাগ ধরে রাখতে পারছি না তোর ওপর, তাই সেদিন করেই ফেললাম। জানি তো বাবা চলে যাওয়াটা কতটা কষ্টের,খুব ইচ্ছে করছিলো তোর কাছে ছুটে যাই, তোর পাশে গিয়ে দাঁড়াই একটু, কিন্তু কোনোটাই তো আমার পক্ষে সম্ভব নয় সেটা জানি আমি। আমি গেলে তোর অসুবিধাই হতো, বাড়ির সবার সামনে তোকে অস্বস্তিতে পড়ে যেতে হতো।

যাক! ভালো লাগলো জেনে তুই আমার কথা এত টা ভাবিস!!

সব সময় ভাবি, তুই হয়ত মনে করিস আমি তোকে ভালবাসি না, কিন্তু বিশ্বাস কর, অনেক সমস্যা ছিলো আমার।

বুঝলাম, এবার তাহলে আমাকে কি করতে হবে, সেটা বল?

হ্যাঁ,সেই জন্যেই তো তোকে ডেকেছি আজ, বোস এখানে, হাত ধরে বাবাই কে খাটের সামনে নিয়ে গেলো ও।

খাটে বসে বাবাই জিজ্ঞেস করলো, তুই সব ভেবেচিন্তে ডিসিশন নিয়েছিস তো? আগের বার তোর কথায় বাড়িতে বিয়ের জন্য বলেছিলাম, কিন্তু তুই শেষ পর্যন্ত পিছিয়ে গিয়েছিলি, এবার আবার সেরকম কোনো কিছু করবি না তো?

না রে, এবার তো আমি নিজের থেকেই এগোতে চেয়েছি, তোকে দেখে খুব খারাপ লাগতো আমার, তুই কতটা কষ্টে আছিস, আমার থেকে আর কে ভালো বুঝবে বল!

সেটাই! তুই যে মত পাল্টেছিস, এটা জেনে খুব ভালো লাগছে, কতদিন আমি এই কথাগুলো তোর মুখ থেকে শুনতে চেয়েছিলাম।

ছেড়ে দে! যা হয়ে গেছে সব ভুলে যা, চল আবার নতুন করে শুরু করি, এবার আর কোনো অভিযোগ থাকবে না তোর দেখে নিস! তোর বউয়ের সঙ্গে কথা বলতে হবে তো, তাড়াতাড়ি বলে নে, এমনিতেই অনেক দেরি হয়ে গেছে, আর একটুও দেরি করতে চাইনা।

হ্যাঁ, সেতো বলতে হবেই, সত্যিই আর দেরি করা যাবেনা, অনেক রাত হয়ে গেলো, এবার উঠতে হবে
উঠে দাঁড়ালো বাবাই।

আর তোর নিশ্চয়ই আমার ওপর কোনো রাগ নেই, ওর হাত ধরে বললো সায়ন্তি।

নাহ! একদম না, একটুও রাগ নেই আর,

হেসে বললো ও।

বেরিয়ে যাবার সময় ওর বাবা, মায়ের সঙ্গে দেখা করতে গেলো বাবাই।

একটু তাড়াতাড়ি করো বাবা, তোমার মায়ের তো এখন মন নিশ্চয়ই ভালো নয়, না হলে তোমার সঙ্গে কথা না বলে ওনার সঙ্গেই বলা উচিত ছিলো আসলে, বলে উঠলেন সায়ন্তির মা।

না, না, আপনাদের কিছু বলতে হবেনা, আপনারা ব্যস্ত হবেন না, যা বলার আমিই বলবো, আমি কথা বলে ওকে জানিয়ে দেব সবটাই, সায়ন্তির দিকে তাকিয়ে বললো ও।

আসছি বলেই বেরিয়ে এলো বাবাই, সায়ন্তি ওর সঙ্গে এগিয়ে এলো ওকে ক্যাবে উঠিয়ে দেবার জন্য।

তোর বউয়ের সঙ্গে কি কথা হলো জানাস,

হ্যাঁ, জানাবো বলে হাত নেড়ে বেরিয়ে গেলো বাবাই।

বাড়িতে ঢুকতে গিয়ে দেখলো গেট বন্ধ হয়ে গেছে, ইস অনেকটা রাত হয়ে গেলো, স্নেহা নিশ্চয়ই বসে থাকবে না খেয়ে, ওকে খেয়ে নিয়ে বললেও যে ও খাবেনা সেটা তো মনে মনে জানেই ও।

খাওনি তো? ঘরে ঢুকতে ঢুকতে জিজ্ঞেস করলো ও

না, চলো খেয়ে নিই, ঘুম জড়ানো গলায় বললো স্নেহা,

এখন আর কোনো রকম কথা বলার মত পরিস্থিতি নেই, যা বলার সেটা পরে ভেবেচিন্তে বলতে হবে, তাড়াহুড়ো করে কিছু করা যাবেনা, মনে মনে ভেবে নিয়ে বাথরুম থেকে বেরিয়েই খেতে বসে গেলো ও।

এত ক্লান্ত থাকা সত্বেও কিছুতেই ঘুম আসছে না, মাথাটা একদম ভার হয়ে আছে, স্নেহা পাশেই ঘুমিয়ে আছে, ধীরে ধীরে বাইরে বেরিয়ে এসে ব্যালকনিতে দাঁড়ালো ও। সকাল থেকে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো যেনো বিশ্বাসই হচ্ছে না এখন, একসময় যাকে বিয়ে করার জন্য সবার বিরোধিতা করেছিলো ও, সবার মতের বিরুদ্ধে গিয়েও চেষ্টা করেছিলো নিজের সবটুকু দিয়ে, সেই আজ নিজে থেকে ওর কাছে আসতে চাইছে, শুধু চাইছেই না ওর অজান্তেই অনেকটা এগিয়ে গেছে ব্যাপারটা নিয়ে, বাড়িতেও কথা বলে ফেলেছে!! দুহাতে নিজের মাথাটা চেপে ধরে বারান্দায় দাঁড়িয়ে থাকলো ও।

চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here