তপ্ত ভালোবাসা #লেখিকাঃরিক্তা ইসলাম মায়া #পর্বঃ_১৬

#তপ্ত ভালোবাসা
#লেখিকাঃরিক্তা ইসলাম মায়া
#পর্বঃ_১৬

.
🍁
উনাকে এমন করতে দেখে আমিও কিছু বুঝে উঠে পারিনি হঠাৎ এমন করার কারণটা,, তাই আস্তে করে আমি নিজেও সামনে দিকে ঘুরে হাটতে থাকি,, সাথে ভাবতে থাকি রিদ খাঁন আমার লাইফে আসার পর থেকেই রোজ কিছু না কিছু অদ্ভুত বিষয় ঘটছেই আমার সাথে তাই জানি না আবার কাল কি হয় আমার সাথে,, এমন সব চিন্তা ভাবনায় মাঝে আবারও হাটতে হাটতে পিছনে ফিরে তাকায় উনার দিকে আমার তাকানোর সাথে সাথে আবারও চোখাচোখি হয় দুজনের মধ্যে, উনি স্থির দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে আমার দিকে..

.

আমি উনার দিকে এক পলক তাকিয়ে থেকে আবারও সামনে দিকে তাকায়, উনাকে নিয়ে কখনোই কোনো রকম অনূভুতি ছিল না আমার মধ্যে, প্রথম প্রথম উনি আমার ক্রাশ থাকলেও পরে সেটা আমার বাঁশে পরিণত করেছেন উনি, তাই উনাকে নিয়ে আমার মনে ভালো লাগাটার চেয়ে খারাপ লাগাটায় বেশি কাজ করে,, কিন্তুু তারপর উনার কোনো রকম ক্ষতিটা আমার কেন জানি ভালো লাগে না, যেমনটা এখন ভালো লাগছে না উনি হঠাৎ রেগে নিজের হাতে ক্ষত করলেন উনার হাতটা কেটে যাওয়ায় এখনো সেখান থেকে ছুয়ে ছুয়ে রক্ত পরছে, উনাকে এমন দেখে আমার খারাপ লাগলেও উনি বেশ শক্ত হয়েই দাঁড়িয়ে আছে নিজ জায়গায় চোখ মুখ লাল করে,,

.

আমি রেস্টুরেন্টে এ দরজা দিয়ে বেড় হতে হতে আবারও পিছন ঘুরে তাকায় উনার দিকে উনি তখনোও আমার দিকে একই ভাবে তাকিয়ে আছে, উনাকে এমন করে তাকাতে দেখে আমিও অনুভূতি শূন্য চোখে তাকিয়ে থেকে হঠাৎ করেই টায় জায়গায় দাঁড়িয়ে পরি দরজা সামনেই, আমার চাহনির মাঝে কোমলতা থাকলেও উনার চাহনির মাঝে ছিল একঝুলি রাগ মিশ্ররিত,, আমার এমন তাকানোর মাঝেই খানিক বাদেই রুদ্র হঠাৎ দাঁড়িয়ে পিছন ঘুরে আমাকে দরজা সামনে দাঁড়িয়ে পরতে দেখে সেও দুকদম এগিয়ে এসে আমার হাত টেনে ধরে নিজের সাথে নিয়ে যেতে লাগলো, আমি চমকে উঠে রুদ্র দিকে তাকিয়েই বলে উঠে…..

.

—-” কি ব্যাপার মায়া হঠাৎ দাঁড়িয়ে পরলে কেন তুমি……

.
আমি রুদ্রের কথা গুলো শুনেই সাথে সাথে নিজের হাতটা আস্তে করে রুদ্র হাত থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে হাসি মুখে বলে উঠি….

.
—” কিছু না এমনই এই একটু দাঁড়ালাম আরকি……..

কথা বলেই আবারও বাঁকা চোখে রিদ খাঁনের দিকে তাকায় উনি তখনো চোখ মুখ শক্ত রাগে দুহাত মুষ্টি বদ্ধ করে দাঁড়িয়ে আছে, হাত মুষ্টি বদ্ধ করার কারণে কাটা হাতটা দিয়ে আরও বেশি রক্ত ঝরতে লাগলো….

.
আমাদের এমন দেখাদেখি মাঝেই আমরা সবাই এসে দাড়ালাম রেস্টুরেন্টের পার্কির এরিয়াতে, সবাইকে রুদ্র বাড়ির পৌছায় দিবে এমনটা জানাতেই ঘোর আপত্তি জানায় আমার পঞ্চ বান্ধবীরা, ওদের কথা হলো ওরা নিজেরাই আপাতত একাই বাড়ি চলে যেতে পারবে পরে কোনো এক সময় রুদ্র সাথে আড্ডা আসর জমাবে কিন্তুু এই মূহুর্তে আমার রুদ্র সাথে আলাদা টাইম কাটানো দরকার,,, তাদের এমন রুদ্র আপত্তি জানাতে চেয়েও জানাতে পারিনি আমার পঞ্চ বান্ধবীদের বাড়াবাড়ি রকমের চাপে,,

.
আমার পঞ্চ বান্ধবীদের বিদায় জানাতেই আমিও রুদ্রকে বলি আমিও আমার বান্ধবীদের সাথে চলে যেতে চাই, আমার এমন কথা বলা সাথে সাথে রুদ্র আমাকে একা যেতে দিবে না বলে, আমাকে নিয়ে গাড়িতে উঠার জন্য খানিকটা এগিয়ে যেতেই হঠাৎ করেই রুদ্র ফোনে কল চলে আসে, রুদ্র ফোনের স্ক্রিনে এক পলক তাকিয়ে থেকে আবারও আমার দিকে তাকিয়ে আস্তে করে বলে উঠে……

.

—” মায়ুপাখি আমার একটা কাইন্ডে কল এসেছে, জরুরি তাই কলটা এটেন্ড করতে হবে, তুমি গিয়ে সামনের কালো গাড়িটিতে বসো আমি দুই মিনিটের মধ্যে কথা শেষ করে চলে আসছি কেমন…..

.
রুদ্র কথায় মাথা নাড়িয়ে সুমতি জানা আমি, আমার সুমতি পেয়ে উনি কলটা রিসিভ করে খানিকটা এগিয়ে গিয়ে এক পাশে দাঁড়িয়ে কথা বলতে থাকে,, আমি রুদ্রকে কথা বলতে দেখে খানিকটা সামনে এগিয়ে যায় রুদ্রর কথা মতো,, কিন্তুু রুদ্র বলা কালো গাড়িটির সামনে দাঁড়াতেই চোখে পড়ল এক সাথে রাখা দুটো বড় বড় কালো গাড়ির, এখন এই দুটো গাড়ির মধ্যে কোনটা রুদ্র গাড়ি হবে কিছু বুঝতে পারছি না আমি তাই খানিকটা কনফিউজড হয়ে নিজের মাথাটা চুলকিয়ে সাথে একটু ভেবে সামনে থাকা বড় কালো গাড়িটি মধ্যে উঠে পরি, সামনে যেহেতু গাড়িটি রাখা তখন এটিই রুদ্র গাড়ি হবে,,, তাই এতো কিছু আর চিন্তা ভাবনায় না করেই গাটির পিছনের দরজা খুলে বসে পড়লাম চুপচাপ, কিছুক্ষণ চুপচাপ বসে থাকার পরও যখন রুদ্র আর আসছিল না তাই আমি আর চুপচাপ বসে থাকতে না পেরে বিরক্তি নিয়ে নিজের ফোনটা চালাতে লাগলাম,,,

.

কিন্তু এই মূহুর্তে ফোনটাও স্বাদ্দ দিচ্ছে না আমার তাই সাথে সাথে ফোনটা নিচে পরে গেলো, ফোনটা গাড়ি সিটের নিচে পরতেই বিরক্তিটা যেন এবার মাথায় চেপে বসেছে আমার,, তাই আমি প্রচন্ড বিরক্তি নিয়ে নিচ থেকে ফোনটা বেড় করার জন্য ঠাস করে নিচের দিকে ঝুঁকতেই সাথে সাথে আমার মাথায় জোরে ভারি খায় স সামনের সিটের সাথে, আবার আমার হাত লেগে ফোনটা আরও ভিতরে চলে যায় সিটের নিচে,,, ভারি খাওয়ার সাথে সাথে ঝিম ধরে আস্তে করে নিচের বসে পরি, পরে মাথাটাও নিচু করে একহাতে মাথা চেপে ধরে অন্য হাতে হাতরাতে হাতরাতে আমার ফোনটা খুঁজে চলছি,,

.
আমার খুঁজাখুঁজি মধ্যেই তখনিই কেউ একজন ঠাস করে গাড়ির ভিতর ঢুকে ড্রাইবিং সিটের বসে পরে, সাথে প্রচন্ড রেগে জোরে জোরে গাড়ির বাহিরে দাঁড়িয়ে থাকা ব্যাক্তিটিকে বলছে, এই মূহুর্তে উনি একা থাকতে চাই তার সাথে কেউ না আসতে সে আজ একাই সবটা সামলাতে পারবে……..

.

ব্যাক্তিটি এমন কথায় আমার তার কন্ঠটি বেশ পরিচিত মনে হলেও আমার মাথা ব্যাথার কারণে সেই দিকে গড় করতে পারছি না আমি,,, তাই নিজের মাথা ব্যাথাটা নিয়েই ফোনটা খুঁজে একহাতে নিয়ে আস্তে করে উঠে দাঁড়াবো তখনই সাথে সাথে আবারও হুমড়ি খেয়ে উপুড় হয়ে পড়লাম পিছনের সিটের নিচে,, কারণ আমার উঠার সময় ড্রাইবিং সিটের ব্যাক্তিটি সাথে সাথে গাড়িটি স্টার্ট দিয়ে প্রচন্ড জোরে টান দেয় সামনের দিকে যার কারণে আমি সাথে সাথে হুমড়ি খেয়ে পরি সিটের নিচের, এবারও মাথায় প্রচন্ড জোরে ভারি খাওয়ার ফলে সাথে সাথে ঐ অবস্থায় জ্ঞান হারিয়ে নিচে পরে থাকি আমি,,,,

.

.
🍁
হালকা হালকা আমার শরীর ঝাঁকুনি দিয়ে বার বার উঠতেই আমি আদু আদু ঝাপসা চোখে সামনের দিকে তাকায়, পরে আমি চোখে সামনে সব কিছু ঘোর অন্ধকার দেখে আমি এক পলক সামনের দিকে তাকিয়ে থেকে আবারও সেই জায়গায় জ্ঞান হারায় আমি…….

.

পিটপিট করে সামনে দিকে তাকায় আমি, পরে ঘুমের মধ্যেই হালকা নড়াচড়া করা জন্য হামি দিয়ে কুরমুড়িয়ে ওঠতেই কিছু একটার সাথে আটকে যায় আমি, কিছু একটার সাথে বাজতেই নিজের অবস্থান বুঝার জন্য বিরক্তি নিয়ে ঘুম ঘুম চোখে চারপাশে চোখ বুলাতেই মূহুর্তে মনে পরে যায় ভুলে যাওয়া বিষয়টি, আমি তো মাথায় ভারি খেয়ে অজ্ঞান অবস্থায় সিটের নিচের পরে আছি,, এই বিষয়টি মনে করেই তাড়াতাড়ি করে উঠতে গিয়েও আবারও ভারি খাই মাথায়, আমি রাগে দুঃখের কপাল ঘষতে ঘষতে আস্তে করে উঠে বসে,, পরে কপাল ঘষতে ঘষতে রুদ্র কথা মনে পরতে আস্তে করে সামনের দিকে তাকায় আমি,,

.

সাথে সাথে ড্রাইবিং সিটের কাউকে দেখতে না পেয়ে চমকে উঠি আমি, আল্লাহ আমকে রুদ্র রেখে চলে যায় নি তো, আর রুদ্র কি আমাকে দেখেনি যে আমি গাড়ি মধ্যেই অজ্ঞান অবস্থায় পরে ছিলাম, হয়তো দেখেনি যদি দেখতো তাহলে আমি সিটের নিচের অজ্ঞান অবস্থায় এতক্ষণ পরে থাকতাম না,, রুদ্র আমাকে গাড়িতে উঠতে দেখেনি এটা সিওর আমি,,

.
তাছাড়া গাড়িটিও এখান চলছে না থামা অবস্থায় আটকে আছে কোথাও,, গাড়িটি এখন কোথায় থামানো হয়েছে সেটি দেখার জন্য চারপাশে চোখ বুলাতেই বুঝতে পারি গাড়িটি মাঝে রাস্তায় আটকা পড়ে আছে,, চারপাশে কোনো রকম গাড়ি বা মানুষ জন্যও নেই তার মানে গাড়িটি কোনো কারণে নষ্ট হয়ে মাঝে রাস্তায় আটকা পড়েছে,, আর রুদ্র চারপাশে কোথাও আছে হয়তো গাড়ির মেকানিক খুজতে বের হয়েছে এমনটা হতে পারে তাই হয়তো গাড়ির মধ্যে কেউ নেই …..

.

আমি এমন সব চিন্তা ভাবনায় করেই গাড়ি দরজা খুলে আস্তে করে বেড় হয়ে রাস্তা দাঁড়িয়ে পরে দু’হাতে ওপরে তুলে হামি দিয়ে চারপাশে চোখ বুলিয়ে কাউকে কোথাও দেখতে না পেয়ে, পেটের ক্ষুদায় দু’হাতে নিজের পেট চেপে ধরে গাড়ি ছাঁদে ওপর ওঠে বসি,, আর গোল গোল চোখে রুদ্র খুঁজে চলছি এক হাত গালে রেখে আর অন্য হাতে পেট চেপে ধরে,,,,

.

আমার এমব খোজা খুঁজি মধ্যেই তখনি কেউ পিছন থেকে খানিকটা তিক্ততা সুরে বলে উঠে…….

.

—” what the hell? …….

.
কারও এমন কন্ঠ কানে আসতেই আমি চমকে পিছন ঘুরে তাকাতেই চোখে পড়ল ভয়ংকর প্যারাবাসিকে মানে রিদ খাঁনকে,, রিদ খাঁনকে চোখের সামনে দেখার সাথে সাথেই আমি লাফ দিয়ে ওঠে দাঁড়ায় বসা থেকে গাড়ি ছাঁদের ওপরই,, আমি ওঠে দাঁড়িয়ে সাথে সাথে এক চিৎকার করে বলে উঠি…..

.
—-” আপনিইইই…..
.
গল্পের পেইজ লিংক
https://www.facebook.com/profile.php?id=100069402592136
.

চলবে……………..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here