জ্বীন রহস্য (love story )❤,Part 10,11

জ্বীন রহস্য (love story )❤,Part 10,11
Writer Maishara Jahan
Part 10

,,, আমরা সবাই অনেক চেষ্টা করেও ছাড়ানো যাচ্ছে না। আমরা সবাই কাঁদতে থাকি। ফারাকে কি আর বাঁচানো যাবে না।

ফারা আর শ্বাস নিতে পারছে না। ওর চোখ বন্ধ হয়ে এসেছে। তখনি আমার নজর ঘড়ির দিকে যায়।

আমি সাথে সাথে চিৎকার করে উঠি।
,,, রক্ষী জ্বীন ফারাকে ছেড়ে দাও,, এটা আমার হুকুম।

সাথে সাথে ফারা উপড় থেকে নিচে পড়ে যেতে নেয় রোহান ধরে ফেলে,, আমরা সবাই ফারার কাছে যায়। ফারা নাক মুখ দিয়ে এখনো রক্ত পড়ছে।

রোহান গিয়ে ফারাকে সোফায় শুয়ায়। ফারা চোখ বন্ধ করে আছে আর কাঁপছে। মুগ্ধ পানির মতো কি খাওয়ায় আর ফারা সাথে সাথে ঠিক হয়ে যায়।

ফারা চোখ খুলার সাথে সাথে রোহান তাকে জরিয়ে ধরে কাঁদতে থাকে।

রোহান,,,,,,, তোমার কিছু হয়ে গেলে আমার কি হতো, ভিতু কোথাকার মনে একটু সাহস ও নেয়।

ফারা,,,,,, এই দাড়াও দাঁড়াও তুমি কাকে ভিতু বললে হুমম,, আমি ভু
ভিতু,,

রোহান,,,,,,, তাহলে সাহসী নাকি,,

ফারা,,,,,,, আবার জিজ্ঞায়,,,

রিয়াদ,,,,,,, হো তুই যে কতো সাহসী তার নমুনা একটু আগে আমরা সবাই দেখলাম।

ফারা,,,,, এই শুন তোর মুখে এই সব কথা মানায় না।

মুগ্ধ,,,,,,,,, কিন্তু জ্বীন তোমাকে ছাড়লো কেনো।

ফারা,,,,,, তুমি কি চাও আমাকে আরো ধরে রাখতো 😑😑🙁

মুগ্ধ,,,,,,, আমি সেটা বলিনি

রিয়াদ,,,,,,,, মনে হলো যীন্নাতের কথা শুনে ছেড়ে দিলো।

ফারা,,,,,,, কুত্তী তাইলে এতো ক্ষন কি করছিলি আগে ছাড়তে বলতে পারলি না।

যীন্নাত,,,,,,, এতো ক্ষন কি তোর নানায় চিল্লাইছে।

ফারা,,,,,, তাও ঠিক।

রোহান,,,,,,, হঠাৎ তোর কথা কেনো শুনতে গেলো আর আগে কেনো শুনেনি।

যীন্নাত,,,,,,,, কারন রাত ১২ টা বেঝে গেছে।

ফারা,,,,, তো

যীন্নাত,,,,,,,,,, আগস্টের ১ তারিখ পাড়ে গেছে 😐

রোহান,,,,,,,, হুম তো

যীন্নাত,,,,,,,, আমার বার্থডে ১ তারিখে 😑😑😤

,,,,,,, ওওও সরি সরি,, happy birthday,,, তো কি হয়েছে 😕😕

যীন্নাত,,,,,,, কিতাবে লেখা ছিলো আমি বিশ বছরে পা রাখলে ঐ জ্বীন আমার কথা শুনবে। আর আমি বিশ বছরে পা রেখেছি এখন।

বলতে না বলতে মুগ্ধ আমার কাছে এসে ওর দুই হাত আমার কাঁধে রেখে বলে।

,,,,,, তুমি ঠিক আছো তো,,, কিছু হয়েছে হলে তাড়াতাড়ি বলো।

যীন্নাত,,,,,,, আমি ঠিক আছি, আমার কি হবে।

রিয়াদ,,,,,, ভাই ওর ২০ তম জন্ম দিন আজ নতুন করে জন্ম হয়নি।

রোহান,,,,,,, নতুন করে জম্ম হলে জিজ্ঞেস করে লাভ হতো না।

ফারা,,,,,, কেনো

রোহান,,,,,, কারন কান্না ছাড়া আর কিছু বলতে পারতো না তাই 😐😐

যীন্নাত,,,,,, চুপ কর তোরা,, মুগ্ধ আমার সাথে আসো তুমার সাথে আমার কিছু কথা আছে।

ফারা,,,,,, ওওহহহহ কি কথা বলবি। 😏😏

যীন্নাত,,,,,,, এমন করে তাকানোর কিছু হয় নায়। একটা গুরুত্বপূর্ণ কথা বলবো।

রিয়াদ,,,,,, আমরা জানি তোমার সেই গুরুত্বপূর্ণ কথা। 😏😏

যীন্নাত,,,,,, তোরা যদি হাসি না থামাছ তাহলে কিন্তু আমি জ্বীনকে ডাকবো।

রিয়াদ,,,,,, তোর কি মনে হয় আমরা ভয় পাই।

যীন্নাত,,,,,, ওও তাই না,,,,😈😈,, রক্ষী জ্বীন হাজির হোও।

সাথে সাথে একটা মধ্যে বয়সী একটা লোক আসে যুদ্ধের কালো পোশাক পড়া, দেখতে এতোটাও খারাপ না।

যীন্নাত,,,,,,,, পিল্জ তোরা এটা বলিস না যে উনাকে দেখে তোরা এতো ভয় পাইছিস। তাহলে তদের বন্ধু বলতে আমার সম্মানে বাঝবে 😶😶

ফারা,,,,,,, আমি তো একে দেখিনি।

রোহান,,,,,,,, এটা ঐ জ্বীন না।

রিয়াদ,,,,,,,, ওই হালাই অনেক বিশ্রী ছিলো দেখতে।

জ্বীন,,,,,, ঐটা আমিই ছিলাম,, ( রিয়াদের দিকে তাকিয়ে )

রিয়াদ,,,,,,, দেখতে এতোটাও খারাপ ছিলেন না। ( কাঁপা কাঁপা গলায় )

জ্বীন,,,,,,, আমি অন্য রুপে ছিলাম।

যীন্নাত,,,,,,, এটা বলো আপনাকে আমার জন্য কে রেখেছে। আমার খেয়াল রাখতে কে বলেছে।

জ্বীন,,,,,, রানী মা।

যীন্নাত,,,,,,,, নাম কি

জ্বীন,,,,,,, রানী মায়াবী।

যীন্নাত,,,,,,, কে উনি

জ্বীন,,,,,, আমি শুধু এটাই জানি আমি উনার গোলাম,, উনার হিফাজত করা আমার দায়িত্ব ছিলো,, এখন আপনাকে হেফাজত করা আমার দায়িত্ব।

যীন্নাত,,,,,,, ঠিক আছে যাও। মুগ্ধ তোমার সাথে আমার কথা আছে চলো।

বলে হাত ধরে বাগানে নিয়ে আসলাম।

মুগ্ধ,,,,,, কি হয়েছে শরীর খারাপ করছে নাকি।

যীন্নাত,,,,,,,, কে তুমি।

মুগ্ধ,,,,,,, মানে,,,, আমি কে দেখতে পারছো না।

যীন্নাত,,,,,, না পারছি না,, তুমার মুখ থেকে শুনতে চাই আমি।

,,,,,, আমি মুগ্ধ

,,,,,,,, সত্যিটা শুনতে চাই,,

,,,,,,, কোন সত্যি

,,,,,,, আর নাটক করো না,,, তুমিই তো যীনহা তাই না।

,,,,,, না আ

,,,,,,, আমি সত্যিটা শুনতে চাই মুগ্ধ আমার আর ভালো লাগছে না মিথ্যা শুনতে, বলো তুমি যীনহা কি না।

,,,,,,, হুমম আমিই যীনহা,,,,

,,,,,,, তুমি কি জ্বী

,,,,,,, হুম আমি জ্বীন

,,,,,,,,, ( তার মানে আমি একটা জ্বীনকে ভালোবেসেছি, এটা আমি কি করলাম, জ্বীনের সাথে মানুষের মিল হবে কি করে । তুমিই যীনহা এটার জন্য খুশি হবো নাকি দুঃখী বুঝতে পারছি না )

মুগ্ধ,,,,,,,, কি ভাবছো,,, আমি ভালো নাকও খারাপ।

যীন্নাত,,,,,,, তুমি যে খারাপ না তা আমি বুঝে গেছি।

মুগ্ধ,,,,,,, তাহলে কী ভাবছো।

যীন্নাত,,,,,, কেনো এলে আমার জ্বীবনে।

মুগ্ধ,,,,,,,, তোমাকে রক্ষা করা আমার কর্তব্য। তোমার জন্য এসেছি আমি। তোমাকে রক্ষা করার জন্য এসেছি।

যীন্নাত,,,,,,,, কে আমি যে আমাকে রক্ষা করার জন্য এতো কিছু। আমার আর ভালো লাগছে না এই রহস্য। আমার জীবন রহস্যময় হয়ে গেছে। এখন তো মনে হচ্ছে, আমি আমার সম্পর্কে কিছুই জানি না। আমার সম্পর্কে আমার থেকে ভালো তোমারা জানো।

মুগ্ধ,,,,,,,, শান্ত হও

যীন্নাত,,,,,,, শান্ত গেছে তেল নিতে,,, আমাকে আগে এইটা বলো এইসব কি হচ্ছে আমার সাথে। কে তুমি কোথায় থেকে এসেছো কেনো এসেছো, আমি কে, কেনো আমার সাথে এমন হচ্ছে।

মুগ্ধ,,,,,,,,, এতো প্রশ্ন এক সাথে।

যীন্নাত,,,,,,,, আমার রাগ সীমা ছাড়িয়ে যাওয়ার আগে বলো না হলে,,,,,,,

হঠাৎ সেই ব্যাথ্যা শুরু হয়ে যায়। আমি মাথা ধরে চিৎকার করে উঠি। ব্যাথ্যাটা যেনো দশ গুন বেড়ে ফিরে এসেছে।
মুগ্ধ আমাকে ধরে,

,,,,,, কি হয়েছে,, কি হয়েছে বেশি ব্যাথ্যা করছে।

,,,,,,, কি হচ্ছে আমার সাথে আমার এতো কষ্ট হচ্ছে কেনো। আর সহ্য করতে পারছি না। মনে হচ্ছে এখনি মরে যাবো। ( কান্না করে )

মুগ্ধ,,,,,,,, এমন করে বলো না সব ঠিক হয়ে যাবে।

যীন্নাত,,,,,,,, আমার কোনো কঠিন রোগ হলো না তো, আমি কও আর বেশি দিন বাঁচবো না। ( কান্না করে )

মুগ্ধ,,,,,,,, কিছু হয়নি তুমার সব ঠিক হয়ে যাবে একটু ধৈর্য ধরো।

যীন্নাত,,,,,,,,, আমি আর পারছি না মরণ যন্ত্রণা সহ্য করতে। ( চিৎকার করে )

ব্যাথ্যা যেনো বেড়েই যাচ্ছে। চিৎকার করে কাঁদছি,, গায়ে যেনো আগুন লেগে গেছে। পিঠ আমার ফেটে যাচ্ছে মনে হচ্ছে।

আমার চিৎকার শুনে ফারা রোহান রিয়াদ সবাই চলে আসে।

,,,,,, কি হয়েছে এমন করছিস কেনো।

ফারা,,,,,,, মুগ্ধ ভাইয়া কি হয়েছে যীন্নাতের।

রিয়াদ,,,,,,,, যীন্নাত কি হয়েছে তোর।

আমি কিছু বলতে পারছি না শুধু ব্যাথ্যায় চিৎকার করছি।
মুগ্ধ আমাকে কোলে করে বাড়ির ভিতরে নিয়ে যায়। আমাকে সোফায় নিয়ে শুয়ায়। মুগ্ধ আমাকে পানির মতো কি খাওয়ায় কিন্তু কোনো কাজ হচ্ছে না।

আমার ব্যাথা কমার নাম নিচ্ছে না, উল্টো আরো বেড়ে যাচ্ছে। মনে হচ্ছে এটাই আমার শেষ দিন।

রোহান,,,,,,,, ওকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে হবে।

মুগ্ধ,,,,,,,, ডাক্তারের কাছে গিয়ে কোনো লাভ নেয়।

রিয়াদ,,,,,,,, লাভ নেয় মানে দেখছো ওর কি অবস্থা, ওকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতেই হবে।

মুগ্ধ,,,,,,,,, কোথাও নিতে হবে না ওকে।

ফারা,,,,,,, ভাইয়া জীদ ধরেন না নিয়ে যেতে দেন ওকে ওর কিছু হয়ে গেলে তখন।

মুগ্ধ,,,,,,, ওর কিছু হবে না,,,,

রিয়াদ,,,,,,, বললেই হলো দেখছো না ও কিভাবে ব্যাথায় চিৎকার করছে। ওকে ডাক্তারের কাছে নিতেই হবে।

মুগ্ধ,,,,,, কোথাও নিয়ে যেতে দিবো না যীন্নাতকে।

রোহান,,,,,,, দেখি আমাদের কে আটকায়।

রোহান আর রিয়াদ যীন্নাতকে নিতে যায় আর তখনি মুগ্ধ চিৎকার করে উঠে।

মুগ্ধ,,,,,,, ওকে এখান থেকে কেও নিয়ে যেতে পারবে না। (চিৎকার করে )
সাথে সাথে মুগ্ধের নীল চোখ ঝলঝল করে উঠে। নীল চোখ আরো নীল হয়ে যায়।

রোহান রিয়াদ আর ফারা ভয়ে পিছিয়ে যায়।

যীন্নাত,,,,,,, পিল্জ তোমরা লড়াই করা বন্ধ করো।

আমি ব্যাথায় ছটফট করছি, মনে হচ্ছে কোনো অজানা শক্তি ভর করেছে আমার উপর, আমি নিজের মধ্যে নেয়।

মনে হচ্ছে হাজারো শক্তি আমার মধ্যে দিয়ে যাওয়া আসা করছে। আমার চিৎকার আর ছটফট বেড়ে যায়। সবাই আমাকে ধরে রাখতে পারছে না।

আমি জেনো আমার সমস্ত শক্তি দিয়ে উঠে যাওয়ার চেষ্টা করছি কিন্তু পারছি না।

মনে হচ্ছে কেও আমার শরীরে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। অসহ্য যন্ত্রণা হচ্ছে। কেও আমাকে ধরে রাখতে পারছে না। আমি মনে হয় নিজের মাঝে নেয়।

আমি সবাইকে এক ঋটকায় ফেলে দিলাম। সবাই আমার থেকে দূরে গিয়ে পড়লো। শুধু মুগ্ধ আমাকে ধরে রেখেছে। মুগ্ধকে ছাড়িয়ে দূরে সরে গেলাম।

আমার পিঠে এতো ব্যাথা করছে বলার বাহিরে।

আমি ব্যাথায় নিচে বসে পড়লাম। উপড়ে তাকিয়ে জোরে চিৎকার দিলাম, মনে হলো আমার পিঠ ফেটে কি এলো।

ব্যাথা কমে গেলো। আমি হাঁপাচ্ছি অনেক হালকা মনে হলো নিজেকে। সামনে তাকিয়ে দেখি সবাই আমার দিকে হা করে তাকিয়ে আছে।

আমি উঠে দাঁড়ায়।

ফারা,,,,,,,, যীন্নাত ( কাঁপা গলায় )

রিয়াদ,,,,,,,,,, এ এ এটা কি

রোহান,,,,,,, যী যী যীন্নাত পিছে দেখ।

আমি পিছনে কিছু অনুভব করলাম, শ শ আওয়াজ করছে। ভয়ে আমার মুখ দিয়ে কথা আসছে না।

মুগ্ধ আমার দিকে করুন দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। আমি কিছুই বুঝছি না।

যীন্নাত,,,,,,, আ আ আমার পিঠে কি

ফারা,,,,,,, যী যী যী সা সা

যীন্নাত,,,,,,,,,,, সা কি, কি আমার পিছনে।

আমি আস্তে করে পিছনে ঘাড় ঘুরালাম। যেটা দেখলাম তার জন্য আমি মোটেই প্রস্তুত ছিলাম না।

যীন্নাত,,,,,,,, আআআআআ এটা কি ( চিৎকার করে ) চিৎকার করে অজ্ঞান হয়ে গেলাম, মুগ্ধ ধরে ফেলে।

চলবে,,,,,,,,

জ্বীন রহস্য ( love story )❤
Writer Maishara Jahan
Part 11

যীন্নাত,,,,,,,,,, আআআআআ এটা কি ( চিৎকার করে ) চিৎকার করে অজ্ঞান হয়ে গেলাম মুগ্ধ ধরে ফেলে।

জ্ঞান ফিরলে নিজেকে মুগ্ধের রুমে আবিষ্কার করি। দেখি সবাই আমার দিকে চোখ বড়ো বড়ো করে তাকিয়ে আছে। আমি উঠে বসতেই মুগ্ধ আমার কাছে আসে।

মুগ্ধ,,,,,,,,,, এখন কেমন লাগছে।

যীন্নাত,,,,,,,, নিজেকে অনেক হালকা লাগছে কেনো ও কিছু খায়নি বলে মনে হয়।

তার পর হঠাৎ আমার পিঠের কথা মনে হলো। তাড়াতাড়ি তাকিয়ে দেখি কিছুই নায়। পিঠে হাত দিয়ে দেখি কোনো ক্ষতও নেয়।

,,,,, আমার পিছনে ঐটা কি ছিলো, আর এখন কোথায়।

মুগ্ধ,,,,,,,, তেমন কিছুই ছিলো না, এখন তুমি আরাম করো।

যীন্নাত,,,,,,, তেমন কিছুই ছিলো না মানে, আমি স্পষ্ট দেখেছি আমার পিছনে দুইটা বড়ো বড়ো সাদা ডানা ছিলো। যেগুলো হাওয়ার সাথে বাড়ি খেয়ে শ শ আওয়াজ করছিলো।
কি ছিলো,,

রিয়াদ,,,,,,, বেশি কিছু ছিলো না শুধু দুটো সাদা ডানা ছিলো একদম মুভির মতো।

ফারা,,,,,,,, এটা বেশি কিছু না😮 কেনো রে তোর কি কয় দিন পর পর ডানা গজায় নাকি।

রিয়াদ,,,,,,,, তা না কিন্তু মুগ্ধ যেইভাবে বললো সেটাই বললাম।

যীন্নাত,,,,,,, চুপ কর তোরা,,,,, মুগ্ধ আমাকে আজ সব কিছু বলো,, এখনি আমার পিঠে ডানা গজালো কেনো।

মুগ্ধ,,,,,,,, কারন তুমি,,,,,, তুমি,,,,

যীন্নাত,,,,,,,,, আমি কি

মুগ্ধ,,,,,,, কারন তুমি একটা পরী মানুষ না।

যীন্নাত,,,,,,,, are you kidding with me.. মজা করছো আমার সাথে।

মুগ্ধ,,,,,, আমি মজা করছি না।

যীন্নাত,,,,,,, আমি যদি পরী হয় তাহলে আমার মা বাবা কেনো মানুষ।

মুগ্ধ,,,,,,,,,, কারন ওরা তোমার আসল মা বাবা না।

যীন্নাত,,,,,,, তুমি যানো তুমি কি বলছো,আমি ওদের সন্তান বুঝলে। আর ওরা যদী আমার মা বাবা না হয় তাহলে আর কে।

ফারা,,,,,,, আর যদি ও আসলেও পরী হয়ে থাকে তাহলে এতো দিন পর ওর কেনো ডানা গজালো আগে কেনো নয়।

মুগ্ধ,,,,,,,,,, আমি সব বলছি।

যীন্নাত,,,,,,,,, বলো।

মুগ্ধ,,,,,,,,,, আমাদের জ্বীন রাজ্যের মহা রাজা ছিলো তোমার বাবা আর রানী ছিলো তোমার মা। জ্বীন রাজ্যের সিংহাসনে বসতে চাইতো সেনাপতি কাল জ্বীন। সে ছিলো অনেক শক্তি শালী। সে আমাদের রাজাকে ধোঁকা দিয়ে মেরে ফেলে।

সে মনে করে এবার হয়তো ওর ক্ষমতার জন্য ওকে রাজা গষণা করা হবে। কিন্তু তা হয়নি, কারন রানী মায়াবী কোনো যুদ্ধার থেকে কম ছিলো না। ওনার দক্ষতার জন্য সবাই রানী মায়াবী কে সিংহাসনে বসার জন্য বলেন।

অনেক দিন ভালোই কাটছিলো কিন্তু জ্বীন কাল তার একটা বড়ো দল গঠন করে হামলা করে। রানী তা সাহসের সাথে মোকাবেলা করে। কিন্তু আমাদের দলের অনেক জন বেঈমানি করে, যার কারনে আমাদের দলের অনেক ক্ষতি হয়।

জ্বীন রাজ্যের কোনো রাজা যদি হারতে নেয় তাহলে তার শক্তি বাড়ানোর জন্য একটা বিশেষ গাছের শিকর আছে তা খেলে শক্তি বহু গুণে বেড়ে যায়।

রানী মায়াবী তা খেলেও কোনো কাজে আসে না কারন ঐসময় তুমি তার গর্ভে ছিলে যার সব শক্তি তোমার শরীরে চলে যায়।

রাণীর পক্ষে যুদ্ধ করা কঠিন হয়ে পড়ে,কারন একে তো তুমি তার গর্ভে ছিলে দ্বিতীয় ঐ ঔষধ খাওয়ার ফলে তোমার শক্তি বাড়তে থাকে যা রানীর পক্ষে অনেক যন্ত্রণাদায়ক ছিলো।

আমার মা বাবা মানে তোমার বাবার চাচতো ভাই রাণী মায়াবীকে লুকিয়ে রাখে,কারন কাল জ্বীন তোমার মাকে খুঁজ ছিলো মারার জন্য।

জ্বীন রাজ্যের নিয়ম যতো দিন আগের রাণী বা রাজা বেঁচে থাকবে বা তারা সইচ্ছায় কাওকে সিংহাসনের অধিকার না দিবে ততোদিন কেও ঐ সিংহাসনে বসতে পারবে না।

তোমার পৃথিবীতে আসার দিন ঘনিয়ে আসছিলো। তখন আমার বাবা তোমার মাকে কথা দিয়েছিলো আমি সব সময় তোমার রক্ষী হিসাবে থাকবো। তোমার কিছু হতে দিবো না। তোমার হুকুম চলবে আমার উপরে। তখন আমার বয়স চার বছর ছিলো।

দিন চলে আসলো আর তুমি জন্ম হলে। কিন্তু কাল জ্বীন যেনে গিয়েছিলো রানী কোথায় আছে তাই সে সেখানে আসে। রাণী তোমার মাঝে জ্বীন রহস্য কিতাব লুকিয়ে রেখেছিলো। রক্ষী জ্বীনকে তোমার হেফাজতের হুকুম দিয়েছিলো। যাতে তোমার ব্যাপারে কেও না জানে।

কিন্তু উনি এটা জানতো না যে যারা এটা জানতে পারবে তাদের রক্ষী জ্বীন মেরে ফেলবে। রানী তোমাকে পরবর্তী রাণী হিসাবে শিকার করেন। কিন্তু তোমারে লুকিয়ে রাখতে হবে যতো দিন তোমার বিশ বছর না হবে।

তাই তোমাকে রানী মায়াবী একটা পানীয় খাওয়ায় যাতে তোমার সব শক্তি লুকানো থাকে। তোমাকে অন্য কোথাও রাখার আগে জ্বীনরা সব চলে আসে।

আমি তোমাকে নিয়ে পালিয়ে যায়, একটা ইতিমখানার সামনে আসি সেখানে তোমার মতো অনেক গুলো বাচ্চা ছিলো, তাদের মধ্যে তোমাকে লুকিয়ে রাখি।

ফিরে গিয়ে দেখি রানী মায়াবী আর আমার বাবা আর বেঁচে নেয়। কিন্তু কাল জ্বীন তাও রাজা হতে পারেনি কারন রানী তোমাকে পরবর্তী রাণী হিসাবে ঘোষণা করেছিলো।

আমি আর মা ঐ এতিমখানায় আবার যায় কিন্তু তুমি ছিলে না। খোজ নিয়ে দেখি বর্তমানে যে তোমার মা বাবা তাদের কোনো সন্তান হয় না তাই তুমাকে দত্তক নিয়েছেন।

আমার মা বললো বিশ বছর হওয়া পযন্ত এটাই তোমার সেফ থাকার জায়গা। তোমার প্রতি আমি সব সময় নজর রাখতাম।

মূলতো এটাই হচ্ছে ঘটনা।

সবাই হা করে আছে আর আমি তো মনে হলো আকাশ থেকে পড়লাম। এতো কিছু আমার সাথেই হতে হলো। আবার কষ্টও হচ্ছে আমি আমার মা বাবার সন্তান না।

রিয়াদ,,,,,,,,, wow গল্পটা অনেক সুন্দর তো শুনতে ভালো লাগছে আর,,,

যীন্নাত,,,,,,,,, কেও ওরে চুপ করাও না হলে আমার হাত থেকে ওরে আর কেও বাঁচাতে পারবে না। 😞

রোহান,,,,,,, ভাই তুই চুপ থাক।

ফারা,,,,,,, এটা কি সত্যি কাহিনি।

মুগ্ধ,,,,,,, হুম।

যীন্নাত,,,,,,,,,, এখন কি হবে,আর আমি বা কি করবো।

মুগ্ধ,,,,,,, কাল আমার সাথে তোমাকে জ্বীন রাজ্যে যেতে হবে।

যীন্নাত,,,,,,,,, কেনো।

মুগ্ধ,,,,,,, সবাই তোমার জন্য অপেক্ষা করছে। আর সিংহাসন ও, যে করে হোক কালকে হাড়াতেই হবে।

যীন্নাত,,,,,,, তুমি তো অনেক শক্তি শালী তাহলে,,,

মুগ্ধ,,,,,, হুম কিন্তু কালকে শুধু তোমার তালোয়ার দিয়েই মারা যাবে আর তালোয়ার অন্য কারো হাতে কাজ করে না।

যীন্নাত,,,,,,,, আমার মা বাবকে হত্যা করার প্রতিশোধ তো আমি নিবই।

মুগ্ধ,,,,,,, কিন্তু একে হারানো এতো সহজ না।

যীন্নাত,,,,,,,, সেটা দেখা যাবে তুমি আছো না।

রোহান,,,,,,,,,,, তার মানে আমরা এতো দিন একটা পরীর সাথে ছিলাম।

ফারা,,,,,,,, আমার ফ্রেন্ড পরী 😮ভাবতেই কেমন লাগতাছে। 🤗

যীন্নাত,,,,,,, কেমন লাগতাছে।

ফারা,,,,,,, তুই বুঝবি না।

রিয়াদ,,,,,, তোরা কি আরো কথা বলবি দেখ আমি ঘুমে পড়ে যাচ্ছি।

রোহান,,,,,,,, এই সব শুনার পরেও তোর ঘুম আসছে।

রিয়াদ,,,,,,, দেখ ভাই ঘুম ইজ ঘুম, এটা আসবেই এটা হলো আমার সবচেয়ে প্রিয় কাজ। এটা বাদ দেওয়া যাবে না।

যীন্নাত,,,,,,,, দূরে গিয়ে মর।

রোহান,,,,,, বাসায় গিয়া ঘুমা যা।

রিয়াদ,,,,,,, এতো রাতে বাসায় যামু মাথা খারাপ।

ফারা,,,,,,, ঘরিতে তাকিয়ে দেখ পাঁচটা বেঝে গেছে।

যীন্নাত,,,,,,, এখন আমাদের বাসা যাওয়া উচিত।

মুগ্ধ,,,,,,,, হুম একটু পড়ে যাও। আর সবাই নাস্তা করে যাও।

আমরা সবাই নাস্তা করে যার যার বাসায় চলে যায়। মুগ্ধ বলেছে আমাকে নিতে আসবে পরে।

বাসায় গিয়ে দরজা নক করছি।

মা দরজা খুলে, গিয়েই মা বাবাকে জরিয়ে ধরি। চোখের পানি আজ বাধা মানছে না। আমি কতো ভাগ্যবতী যে মা বাবা মারা যাওয়ার পরেও এমন মা বাবা পেয়েছি।

আমাকে কখনো বুঝতেই দেয়নি যে আমি ওদের সন্তান না। এতো ভালোবাসা দিয়েছে আমাকে যে তাদের ঋীণ আমি কোনো দিন শোধ করতে পারবো না।

মা,,,,,, কিরে কি হয়েছে।

বাবা,,,,,,, কেও কিছু বলেছে, কার এতো বড়ো সাহস যে আমার মেয়েকে কাঁদায়।

মা,,,,,,, কাল ফারাদের বাসায় ছিলি ঐখানে কেও কিছু বলেছে।

যীন্নাত,,,,,,, না মা বাবা তোমাদের কথা অনেক মনে পড়ছিল তাই।

মা,,,,,,,, এটা কোনো কথা হলো এক রাত আমাদের ছাড়া থাকতে পারিস না তাহলে শশুর বাড়ি থাকবি কিভাবে।

যীন্নাত,,,,,,, সে দেখা যাবে। আমি এখন যায় ঘরে।

বাবা,,,,,, যাও।

আমি আমার রুমে যায়, গিয়ে আগে সাওয়ার নেয় এখন একটু ভালো লাগছে। আয়নার সামনে দাড়ায় আজকে নিজেকে নিজের কাছে অন্য রকম লাগছে।

আয়ানর সামনে গিয়ে পিঠ থেকে টাওয়ালটা একটু নিচে নামায়। একটু ঝাকি দিতেই ডানা দুটো বেরিয়ে আসে। আমার সব শক্তি নাকি ডানার ভিতরে।

সাদা দুটো ডানায় সত্যি নিজেকে নিজের কাছে সুন্দর লাগছে। আমার সৌন্দর্যটা ডানা দুটো বাড়িয়ে দিয়েছে।

আবার স্বাভাবিক হলাম। রেডি হয়ে নিচে গিয়ে দেখি মুগ্ধ এসেছে। মা বাবা এমন ভাবে কথা বলছে খাওয়াচ্ছে মনে হচ্ছে মেয়ের জামাই।

,,,, মুগ্ধ তুমি কখন এলে।

মুগ্ধ,,,,,,,, এইতো ২০ মিনিট আগে।

যীন্নাত,,,,, তোমরা আমাকে কেও ডাক দেওনি কেনো।

মা,,,,,,,, দিয়েছিলাম তো।

যীন্নাত,,,,,, কোথায় শুনলাম না তো।

বাবা,,,,,, মাঝে মাঝে কানে একটু সমস্যা হয়।

যীন্নাত,,,,,, আমার কান একদম ঠিক আছে। মুগ্ধ আমাদের যাওয়া উচিত।

মা,,,,,, আরে এখনো কতো কিছু বাকি আছে জিজ্ঞানোর।

যীন্নাত,,,,,, মানে।

মা,,,,,,,, না মানে খাওয়ানোর

যীন্নাত,,,,,, বুঝেছি মা। আমরা এখন ভার্সিটিতে গেলাম।

মা,,,,, খেয়ে যা।

যীন্নাত,,,,,, না মা ফারার বাসা থেকে খেয়ে এসেছি। আমরা আসছি।

বলে বেরিয়ে আসলাম। আজ আমি প্রথম যাবো জ্বীন রাজ্যে।

চলবে,,,,,,,,,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here