জ্বীন রহস্য (love story)❤,Part 12,13

জ্বীন রহস্য (love story)❤,Part 12,13
Writer Maishara Jahan
Part 12

বলে বেরিয়ে আসলাম, আজ প্রথম যাবো জ্বীন রাজ্যে।

অদ্ভুত লাগছে জানি না কেমন হবে ঐখানের সব কিছু।

মুগ্ধ,,,,,,,,,,, কও ভাবছো।

যীন্নাত,,,,,,,,,, কোথায় জ্বীন রাজ্য, আমরা কি ভাবে যাবো।

মুগ্ধ,,,,,,,,,, উড়ে যাবো আর কিভাবে। দুটো ডানা তো আর সাজিয়ে রাখার জন্য না।

যীন্নাত,,,,,,,,,, কিন্তু আমি তো উড়তে পারি না।

মুগ্ধ,,,,,,,,,, চেষ্টা করলেই হবে। কিন্তু এখান থেকে যাওয়া যাবে না, আশেপাশে অনেক মানুষ জঙ্গল থেকে যেতে হবে।

যীন্নাত,,,,,,,,, হুমম চলো তাহলে।

আমরা জঙ্গলে গেলাম, সেখানে একটা উচুঁ টিলায় উঠলাম। এখান থেকে উড়তে হবে, কেমন লাগছে।

মুগ্ধ,,,,,,,, কি ভয় লাগছে।

যীন্নাত,,,,,,,,,,, আমি ভয় পাই না। ( সত্যি বলতে একটু ভয় লাগছে। )

মুগ্ধ,,,,,,,,,,,,, ঠিক আছে তাহলে প্রস্তুত হও। কিন্তু তুমি এই ভাবে যাবে নাকি।

যীন্নাত,,,,,,,,,,, কিভাবে 🤨🤨

মুগ্ধ,,,,,,,, না মানে এই সেলোয়ার-কামিজ পড়ে।

যীন্নাত,,,,,,,, তো কি হয়েছে।

মুগ্ধ,,,,,,,,, জ্বীন রাজ্যের রানী প্রথম তার রাজ্যে যাবে তাও আবার সেলোয়ার-কামিজ পড়ে একটু অদ্ভুত না।

যীন্নাত,,,,,,,,, তো এখন কি করবো।

মুগ্ধ,,,,,,,, দাঁড়াও।

মুগ্ধ আমার হাত ধরে, ধরে আমাকে একটা ঘুরানি দেয় আর সাথে সাথে আমার ড্রেস চেন্স হয়ে যায়।

একটা সাদা গ্রাওন মেচিং এয়ার রিং,, গ্রাওনটা খুবি সুন্দর। মুগ্ধ আমার দিকে তাকিয়ে আছে। একটু লজ্জা লাগলো।

,,,,,, মুগ্ধ এবার চলো।

,,,,,,, কিছু একটা কমতি আছে।

,,,,,, কি

মুগ্ধ আমার কাছে আসে, আমার নিশ্বাস বন্ধ হয়ে আসছে, হার্ট বির্ট বেরে যাচ্ছে। ওর চোখে হারিয়ে যাচ্ছি। মুগ্ধের এক হাত দিয়ে আমার চুল গুলো খুলে দেয়। আমার লম্বা ঘন চুল নিমিষেই বাতাসে এলো মেলো হয়ে যায়।

মুগ্ধ চুল গুলো পরম যত্নে ঠিক করে দেয়।

,,,,,, এবার ঠিক আছে, তুমার ডানা মেলাও যেতে হবে।

আমি একটু ঝাকি দিতেই ডানা বেরিয়ে পড়ে।

মুগ্ধ,,,,,,,,,,, ( কেও এতটা সুন্দর কিভাবে হতে পারে, সত্যি অপূর্ব লাগছে )

মুগ্ধ তার হাত বাড়িয়ে দেয়, আমি হাত ধরি, আস্তে করে ডানা ঝাকাতে থাকি। একটু পর আমি মুগ্ধের হাত ধরে উড়তে থাকি।

যীন্নাত,,,,,,,, wow amazing. আকাশে উড়তে কি যে ভালো লাগছে বলে বুঝাতে পারবো না।

মুগ্ধ,,,,,,,, তাই।

এবার আমি নিজে নিজে উড়তে পারবো কিন্তু আমার কাছে মুগ্ধের হাত ধরে উড়তে বেশি ভালো লাগছে।

জ্বীন রাজ্যে যাওয়ার সময় আমি উপর থেকে এমন এমন জায়গা দেখি যা আগে কখনো দেখি নি। কিছু ক্ষনের মধ্যে আমরা জ্বীন রাজ্যে পৌঁছে যায়।

ঐখানে যাওয়ার পর নিজের চোখ কে বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। এতো সুন্দর জায়গা হতে পারে বলে আমার ধারণা ছিলো না।

আমরা রাজ মহলের সামনে নামি, এখানে অনেক মানুষ না মানে জ্বীন পরী সিরিয়াল ধরে দাড়িয়ে আছে।

আমরা যেতেই সবাই আমাদের উপর ফুল ছিটাচ্ছে। একজন বয়ষ্ক মহিলা আমাকে জরিয়ে ধরে কাঁদতে থাকে।

মুগ্ধ,,,,,,, উনি তোমার নানিজান

নানি,,,,,,,,,, কিছু ক্ষণের জন্য মনে হয়েছে যেনো আমার মেয়ে ফিরে এসেছে।

আরেক জন মহিলা আসে, তাকে মুগ্ধ জরিয়ে ধরে।

মুগ্ধ,,,,,,,, যীন্নাত এ হলো আমার মা।

আমি সালাম দেয়।
,,,,,,, তাহলে তুমিই হলে আমাদের মায়াবীর মেয়ে, দেখতে একদম তোমার মায়ের মতো হয়েছো মাশাআল্লাহ।

আমি ভিতরে যায়, সবাই আমার অনেক খেয়াল রাখছে। সবাই মিলে আমার সিংহাসনে বসার একটা দিন ঠিক করলো। সবাইকে খুশি দেখালেও কেমন জানি সবার চেহেরায় চিন্তার ছাপ।

মুগ্ধ ও কেনো জানি চিন্তিত দেখাচ্ছিলো। ঠিক তখনি একজন লোক আসে, বেশ লম্বা গম্ভীর দেখতে, ওনি আসাতে দেখলাম পরিবেশ থমকে গেলো।

মুগ্ধ আমার পাশে এসে দাঁড়ালো। সবাই জেনো জোর করে হাসছে মনে হলো।

,,,,,,,,, তাহলে তুমিই আমাদের রানী মায়াবীর মেয়ে যীন্নাত।

,,,,,, হুমমম,,, কিন্তু আপনি কে।

,,,,,,,,, আমি তোমার বাবার বন্ধু ছিলাম। এখন তো উনি নেয় তাই তোমাকে দেখতে এলাম।

,,,,,,,, ওওও,,,, আপনার সাথে দেখা হয়ে ভালো লাগলো।

,,,,,,, আমারো বেশ ভালো লাগলো।

কেনো জানি লোকটিকে বেশি সুবিধার মনে হচ্ছে না। কেমন করে তাকিয়ে ছিলো। অনেক খন পর সব স্বাভাবিক হলো।

নানি আর মুগ্ধের মা আমাকে আমার মা বাবা, দাদা,দাদি এদের ছবি দেখাচ্ছে।

মা বাবার ছবি দেখে অনেক খারাপ লাগছে। উনারা যদি বেঁচে থাকতো তাহলে আজ কাহিনি অন্যরকম হতো।

রাজ মহল ঘুরছি তখন আমার চোখ গেলো মুগ্ধের দিকে। অনেক পরীরা তাকে গিরে ধরেছে।

কতো সুন্দর করে তাদের সাথে কথা বলছে দেখো লুচু জ্বীন কোথাকার। দেখাচ্ছি মজা,,,

আমি ঐখানে গেলাম।

যীন্নাত,,,,,,,, কী হচ্ছে এখানে।

সব পরীরা আমাকে দেখে মাথা নিচু করে জবাব দিতে লাগলো।

,,,,,,, আসলে রাজকুমারী মুগ্ধ অনেক দিন পড়ে এসেছে তো তাই কথা বলছিলাম।

যীন্নাত,,,,,,, তো কি হয়েছে এতো কথা বলার কি আছে। মুগ্ধ আমার সাথে আসো কথা আছে।

বলতে গেলে একটু জোর করেই নিয়ে আসলাম।

মুগ্ধ,,,,,,, ধন্যবাদ ওদের থেকে বাঁচানোর জন্য।

যীন্নাত,,,,,,, ওওও তাহলে কি তুমি ঐখানে বিরক্ত হচ্ছিলে।

মুগ্ধ,,,,,,, হ্যাঁ প্রচুর।

যীন্নাত,,,,,,,,, ( মিথ্যাুক কোথাকার, ভালোই মজা নিচ্ছিলো। ) কাওকে পছন্দ হয় নাকি ঐখান থেকে।

মুগ্ধ,,,,,, আরে না কি বলছো।

যীন্নাত,,,,,,,,, আচ্ছা ঠিক আছে অন্য কাওকে পছন্দ না কি বিয়ে করার জন্য।

মুগ্ধ,,,,,,,,,, আমি কোনো দিন বিয়ে করবো না।

যীন্নাত,,,,,,,, হ্যাঁহ কেনো কেনো।

মুগ্ধ৷,,,,,,,,, কারন আমার জীবন শুধু তোমার জন্য, আমার বাবার ওয়াদা নিভাতে তোমাকে রক্ষা করা আমার দায়িত্ব।

যীন্নাত,,,,,,,,,, আমাকে তো বিয়ে করতে পারো।

আমার কথা শুনে মনে হলো চমকে গেলো।

মুগ্ধ,,,,,, না আমি তোমাকে বিয়ে করতে পারবো না।

যীন্নাত,,,,,,,, ( মুখের উপর সরা সরি না করে দিলো, ভাবে কি নিজেকে ) কেনো।

মুগ্ধ,,,,,,,, কারন আমার বাবা তোমাকে রক্ষা করার, তোমার সাথে থাকার কথা দিয়েছে, বিয়ে করার না। আর তোমার কথা মতে চলতে বলেছে।

যীন্নাত,,,,,,,,,, বিয়ে করে সারা জীবন সাথে থাকো, আর স্ত্রীর রক্ষা করা তো স্বামীর দায়িত্ব, তাছাড়া বিয়ের পরে তো স্বামী তার বউ এর কথা মতেই চলে। তাহলে তোমার বাবার ওয়াদা আরো ভালো করে পালন হবে তাই না।

আমার কথা শুনে মুগ্ধ মনে হলো ভাবনার জগতে চলে গেছে। কিছু খন ভেবে বললো,,,

মুগ্ধ,,,,, এতো কিছু জানি না বিয়ে করতে পারবো না বেস।

যীন্নাত,,,,,,, তোমাকে বিয়ে করার আমারো কোনো শক নাই আমি তো এমনি বলছিলাম হুুহহ।

মুখ ভেঙিয়ে চলে আসলাম। ভাবে কি নিজেকে কিন্তু আমার নামো যীন্নাত যদি তোমার মুখ থেকে ভালোবাসি না বের করতে পারি তাহলে আমার নামো যীন্নাত না।

মহলে হাঁটছি কিছু কিছু জ্বীন আমার কাছে বেশ অদ্ভুত লাগলো। হয়তো প্রথম এসেছি তাই।

বাগানের দিকে গেলাম, বাগানটা বেশ সুন্দর করে সাজানো। মনে হচ্ছে পৃথিবীর সব ধরনের ফুলের উৎস এখানেই, এমন কোনো ফুল নেয় যা এখানে নেয়। বাগানটা এতো বড়ো যে একদিনে হেঁটে শেষ করা যাবে না মনে হয়।

সুন্দর বাতাস বয়ছে, আমি চারপাশটা একটু হেঁটে দেখছি। যেতে যেতে দেখি মুগ্ধ বাগানে সবুজ ঘাসে বসে আছে। দেখে অনেক চিন্তিত মনে হলো। মনে হচ্ছে কি যেনো গভীর মনো যোগ দিয়ে ভাবছে।

আমি মুগ্ধকে এতো চিন্তিত প্রথম দেখলাম। আমি গিয়ে ওর পাশে বসলাম কিন্তু সেদিকে তার কোনো খেয়াল নেয়।

আমি মুগ্ধকে ডাক দিলাম।

,,,,, মুগ্ধ মুগ্ধ

,,,,,,,, হুম ও তুমি

,,,,, কেনো অন্য কারো কথা ভাবছো বুঝি।

,,,,,, অন্য আর কার কথা ভাববো।

,,,,,,, তার মানে আমার কথা ভাবছিলে বুঝেছি।

,,,,,,,, তোমার মনে হয় না একটু বেশিই বুঝো।

আচ্ছা যায় হোক এখানে কি করছো।

,,,,,, কিছুনা এমনি বসে ছিলাম।

,,,,,, আমার থেকে কিছু লুকাচ্ছো।

,,,,,,,,, না কি লুকাবো ( অনেকটা অস্থির হয়ে ) আচ্ছা চলো ভিতরে চলো।

,,,,,,,,,, হুমম চলো।

আমরা আবার ভিতরে যায়। সেখানে খাওয়ার আয়োজন করা হয়। একটা বড়ো টেবিলে, আমরা সবাই খেতে বসি। মুগ্ধের মা বললেন,,,,,,

,,,,, মুগ্ধ তোমার বিয়ের বয়স তো হলো এবার বিয়েটা করে ফেলো।

মুগ্ধ,,,,,,, মা আমি বলেছিনা আমি বিয়ে করবো না

মা,,,,,,,, কেনো শুনি তোমার বাবা তো আর এটা বলে যায়নি যে তুমি বিয়ে করতে পারবে না।

যীন্নাত,,,,,,, ঠিক বলেছেন আন্টি,, কেনো বিয়ে করবে না, বিয়ে তোমাকে করতেই হবে।

মুগ্ধ,,,,,,, আজিব তো

মা,,,,,,, এবার তো কথা শুন, দেখ তোর বাবা এটাও বলেছিলো যীন্নাতের সব কথা মানতে এখন তো রাজি হয়ে যা।

মুগ্ধ,,,,,,,,, তোমরা মানবে না তাই তো, ঠিক আছে

মা,,,,,,, বিয়ে করবে তো, তোমার জন্য অনেক সুন্দর সুন্দর পরী দেখে রেখেছি।

এটা শুনার সাথে সাথে আমার মাথায় আকাশ ভেঙে পড়লো।

মুগ্ধ,,,,,,, যীন্নাত যখন বলেছে বলেছে বিয়ে তো করতেই হবে।

এবার মনে হচ্ছে নিজের পায়ে নিজেয় কুড়াল মারলাম। মুগ্ধের বাচ্চা দাড়া।

আমি কিছু বললাম না চুপচাপ খেয়ে নিলাম, খাওয়া আর গলা দিয়ে নামে নাকি।

খাওয়া শেষে আমি আমার রুমে গেলাম, রুমটা অনেক বড়ো আর সুন্দর এখন এটা বলার সময় নাই। রাগে আমার মাথা গজগজ করছে।

পা বাড়ালাম মুগ্ধের রুমের দিকে, দরজা খুলে ভিতরে ডুকি মুগ্ধ বসে ছিলো আমাকে দেখে দাঁড়িয়ে পড়ে। আমি গিয়ে দরজা লাগিয়ে দিয়।

মুগ্ধ,,,,,,,, কি ব্যাপার দরজা কেনো লাগালে।

যীন্নাত,,,,,,,, সমস্যা কি তোমার

,,,,, আমার আবার কি সমস্যা

,,,,,,,, বিয়ে জন্য রাজি হয়ে গেলে যে, আমাকে ছাড়া অন্য কাওকে বিয়ে করার কথা ভাবলেও না জান নিয়ে নিবো।

,,,,,,,, তোমাকে বিয়ে

,,,,,, হ্যাঁ আমাকে ছাড়া অন্য কাওকে বিয়ে করতে পারবে না।

,,,,, কেনো,,,আর তুমিই তো বললে বিয়েতে রাজি হয়ে যেতে তাই।

,,,,,,, আমি বলেছি বলে করতে হবে।

,,,,,,,,, রানী বলে কথা

,,,,,, ওও তাই না, আমি যা বলবো তাই করবে তাইতো।

,,,,,, হুমম

,,,,,, ঠিক আছে kiss me..

,,,,,,, কিহহহ

,,,,,, এখনি কিস করো আমাকে।

,,,,,,, পাগল হয়ে গেলে নাকি করবো না।

,,,,,,,, তোমার বাবা বলে গেছে আমার সব হুকুম মানতে তাহলে, আর কোনো জ্বীন ওয়াদা করলে সেই ওয়াদা কোনো দিন ভাঙে না, যদি ১ সেকেন্ডের মধ্যে আমাকে কিস না করো তাহলে ভাববো তুমি তোমার বাবার কথার,,,,

বলতে না বলতে ঠোঁটে কিস করে দিলো, সাথে সাথে আবার সরিয়ে নিলো। আমি ভাবি নি যে ও কিস করে দিবে। আমি ভেবেছিলাম ও না করে দিবপ আর আমি বলবো এটা যখন না করতে পারছো তখন বিয়েও না করতে পারো কিন্তু,,,

আমি বরফের মতো জমে গেছি। কিছু খন পর,,,

যীন্নাত,,,,,, গালে বলেছিলাম।

,,,,,,, ওও কিস বলেছো তাই ভাবলাম ঠোঁটে,,,

,,,,,,, গালে দিলে ওটাকেও কিস বলে।

,,,,,,, যেখানেই বলো বলবে কেনো। এমন পাগলামোর মানে কি,,

,,,,,,, জানো না কারন ভালোবাসি তোমাকে। আর আমি জানি তুমিও আমাকে ভালো ভাসো।

,,,,,, না ভাসি না।

,,,,,, ভাসো না তাই না ঠিক আছে কাল দেখো কি করি।

বলে চলে যায়।

মুগ্ধ,,,,,,, যতোটা ভালো এখন আমায় ভাসো হতে পারে কিছু দিন পর তার থেকে বেশি ঘৃণা করবে।

,,,,,,

সন্ধ্যা প্রায় হয়ে এলো, এবার আমাকে যেতে হবে।

নানি,,,,, সাবধানে যেও,,, কাল আবার আসবে কিন্তু।

যীন্নাত,,,,,,, ঠিক আছে নানু।

মা,,,,,, মুগ্ধ যা যীন্নাতকে ছেড়ে দিয়ে আয়।

যীন্নাত,,,,,, লাগবে না আমি যেতে পারবো।

মুগ্ধ,,,,, চলো আমি দিয়ে আসছি।

,,,,,হুমম।

বাসায় চলে আসলাম,,,, শুয়ে শুয়ে ভাবছি,

,,,,, কাল এমন খেলা দেখাবো, যে ভালোবাসি এটা কিভাবে না বলো আমিও দেখবো।

চলবে,,,,,,,

জ্বীন রহস্য (love story) ❤
Writer Maishara Jahan
Part 13

,,,,,, কাল এমন খেলা দেখাবো যে, ভালোবাসি এটা কিভাবে না বলো আমিও দেখবো।

সকালে,,,,,,,,,

মা,,,,,,,, তুই দিন দিন এমন শুকিয়ে যাচ্ছিস কেনো, খাওয়া দাওয়া ঠিক করে করিস না নাকি।

যীন্নাত,,,,,,,, মা কোন দিক দিয়ে আমাকে শুকনো লাগে।

মা,,,,,,, সব দিক দিয়ে,পাশের বাসার মেয়েটার কি সুন্দর সাস্থ মোটা তাজা।

যীন্নাত,,,,, থাক মা এতো সুন্দর হওয়ার আমার কোনো প্রয়োজন নেয়। আমি গেলাম।

মা,,,,,,, সাবধানে যাবি কিন্তু।

যীন্নাত,,,,,, হুমম।

বাসা থেকে বেরিয়ে দেখি মুগ্ধ দাঁড়িয়ে আছে। আমি বেশি কথা না বলে ওর সাথে জ্বীন রাজ্যে চলে আসি।

গিয়ে দেখি অনেক আয়োজন হচ্ছে কারন মুগ্ধের জন্য অনেক গুলো মেয়ে পরী এসেছে। যাকে মুগ্ধের ভালো লাগবে তার সাথে বিয়ে হবে।

মেয়ে গুলো দেখতে বেশ সুন্দর কিন্তু মনে চাচ্ছে সব গুলোকে পঁচা পানিতে ডুবিয়ে মারি।

আমরা যাচ্ছি আর সব মেয়েরা মুগ্ধের দিকে যেভাবে তাকিয়ে আছে যেনো এখনি খেয়ে ফেলবে। সম্ভব হলে এখনি মুগ্ধকে পেকেট করে রেখেদিতাম।

রাজ মহল এতো সুন্দর করে সাজানো হয়েছে শুধু মুগ্ধের জন্য মেয়েরা এসেছে তার জন্য নয়। আগে আগে দেখো হতাহে কেয়া।

আমি বেশ হাশি খুশি ভাবে কথা বলছি এতে বেশ অনেকটাই অবাক হয়।

যীন্নাত,,,,,,,,, আরে মুগ্ধ একটা ভালো কাপড় পড়ো না এতো পরীদের সামনে যাবে একটু স্টাইলে যাবে।

মুগ্ধ,,,,,,,, এটা তুমি বলছো, আজ কি হলো তোমার।

,,,,,,, কি আর হবে কিছু না, যাও না রেডি হও,, আমিও তাড়াতাড়ি রেডি হয়।

,,,,,,, তুমি কেনো রেডি হবে।

,,,,,,,, কারন তো একটা আছে, কিন্তু এটা বলার সময় নেয় পড়ে বলবো। এখন আমি গেলাম রেডি হতে।

,,,,,,,, হুমম ( এটা কি হলো রহস্য তো আছে কিন্তু কি )

কিছু খন পর আমি রেডি হয়ে আসি,, আমি নীল কালার গ্রাওন পড়ি আর হালকা সাজ। সামনে তাকিয়ে দেখি মুগ্ধ আসছে আজ ওকে দেখে আরেক দফা ক্রাস খেলাম।

মুগ্ধ ও নীল ড্রেস পড়েছে, নীল ড্রেস নীল চোখ অসাধারণ। ওর চোখে তাকালে মনে হয় হারিয়ে যায়।

আমি ও কম লাগছি না, তাই একটু ভাব দেখিয়ে সামনে যায়। আমাকে দেখে অবাক হয়ে গেছে হয়তো ভাবছে আমি এতো সুন্দর করে কেনো সাজলাম।

যীন্নাত,,,,,,,, আমি জানি আমাকে সুন্দর লাগছে তাই বলে এভাবে তাকানোর কিছু হয় নাই। 😏😏

মুগ্ধ,,,,,,, তুমি এতো সুন্দর করে কেনো সেজেছো।

যীন্নাত,,,,,,, তার মানে মানছো যে আমাকে সুন্দর লাগছে। যাক তোমার পছন্দ হয়েছে মানে ওদের ও পছন্দ হবে।

মুগ্ধ,,,,,,,,, কাদের।

যীন্নাত,,,,,,, সামনে দেখো।

মুগ্ধ সামনে তাকিয়ে দেখে পরীর সাথে সাথে অনেক গুলো যুবক জ্বীন ও এসেছে।

,,,,,,, এতো ছেলে এখানে কি করছে।

,,,,,, তুমি যেমন বিয়ে করার জন্য মেয়ে দেখবা তেমনি আমি ছেলে দেখবো।

বলে আমি নানু আর মুগ্ধের মায়ের কাছে চলে গেলাম।

,,,,, মানেনেনে

বলে মুগ্ধ ও আমার পিছনে পিছনে আসে।

মুগ্ধ,,,,,,, এগুলো কি হচ্ছে তুমি বিয়ে করবা নাকি।

মা,,,,,,, হ্যাঁ যীন্নাতের বিয়েও ঠিক করা হবে আজ।

মুগ্ধ,,,,,,, কিন্তু মা যীন্নাতের ও তো মত লাগবে তোমরা ওট উপরে জোর করতে পারো না।

মা,,,,,, আমরা কেও জোরা জোরি করিনি কাল যীন্নাতই বলেছে ওর জন্যও ছেলে দেখতে।

মুগ্ধ,,,,,,, কিহহ যীন্নাত তুমি নিজের বিয়ের কথা নিজে বলেছো।

যীন্নাত,,,,, হুমম,, আর এটা আমি সবার ভালোর কথা ভেবে বলেছি।

মুগ্ধ,,,,,,, কিভাবে।

যীন্নাত,,,,,,, দেখো আমি আর কতো দিন মা বাবাকে মিথ্যা বলে আসবো,আর সত্যি কথা তো আমি ওদের বলতে পারবো না। আর কিছু দিন পড়ে তো আমাকে এখানেই থাকতে হবে, তাই ভাবলাম কাওকে বিয়ে করলেই তো এখানে থাকতে পারবো আর মা বাবা ভাববে শশুর বাড়ি আছি 😉😉

মুগ্ধ,,,,,,, বিয়ের জন্য তোমার মা বাবা রাজি হবে।

যীন্নাত,,,,,, ওদের রাজি করানো এক মিনিট এর ব্যাপার।

মা,,,,,,, তোর এতো সমস্যা কেনো।

মুগ্ধ,,,,,,, আমার আবার কি সমস্যা থাকবে।

আমি আর মুগ্ধ সবার সামনে গেলাম। পরীরা এক সাইডে আর জ্বীনরা এক সাইডে বসে ছিলো আমাদের দেখে দাঁড়ালো।

আমি আর মুগ্ধ সামনে এক সোফায় বসলাম, আমাদের সাথে সাথে সবাই বসলো।

সব ছেলেরা আমার দিকেই তাকিয়ে আছে আর নিজের পরিচয় দিচ্ছে।

মুগ্ধের দিকে তাকিয়ে দেখি ওর মুখ রাগে লাল হয়ে আছে, ভাবলাম আরেকটু জ্বালিয়ে দিলে কেমন হয়।

যীন্নাত,,,,,,,, মুগ্ধ ঐ জ্বীনটাকে দেখো বেশ হেন্সাম কিন্তু, আর ঐ ছেলেটার কি সুন্দর বডি just wow.

মুগ্ধ,,,,,,,, কেনো করছো এই সব।

যীন্নাত,,,,,,, এখনো করি নি কিন্তু করবো বিয়ে। কারন তুমি বিয়ে করবা আর আমি কি চেয়ে চেয়ে দেখবো না কি। আর তাছাড়া ছেলে গুলো দেখতে কিন্তু হেব্বি।

মুগ্ধের চেহেরা দেখার মতো পরো টমেটো।

যীন্নাত,,,,,,, আরে তুমি তো পরীদের দেখছোই না, দেখো কি সুন্দর সুন্দর সবাই তোমার সাথে মানাবে।

মুগ্ধ,,,,, ঠিক বলেছো, ( জোর করে হাসি দিয়ে )

কথাটা শুনে বুকটা আমার চিরে গেলো তাও একটা হাসি দিলাম।

যীন্নাত,,,,,, আর আমার মনে হচ্ছে ঐ ছেলেটার সাথে আমাকে বেশ মানাবে কি বলো।

জিজ্ঞেস করার সাথে সাথে আমার দিকে এমন করপ তাকালো যেনো এখনি মেরে ফেলবে। আমি মুখ ঘুরিয়ে নিলাম।

যীন্নাত,,,,,,,, আচ্ছা সবার কি আমাকে পছন্দ হয়েছে।

,,,, সবাই হ্যাঁ বললো।

,,,,,, শুধু কি এজন্য পছন্দ যে আমি কিছু দিন পর সিংহাসনে বসবো।

একজন বলে উঠলো
,,,,, না আপনি অনেক সুন্দর দেখতে।

,,,,,, আরেক জন,,,,, আপনাকে প্রথম দেখাতেই প্রেমে পড়ে যায়, আপনি যদি কোনো সাধারণ পরীও হতেন তাও আমি আপনাকে বিয়ে করতাম।

আরেক জন,,,,,, আপনার মতো সুন্দর নারী পাওয়া সৌভাগ্য স্বরুপ।

এমন আরো অনেক জন বললো।

মুগ্ধের চেহারা দেখার মতো। আমার অনেক আনন্দ হচ্ছে কিন্তু অনেক জন কিভাবে জেনো তাকিয়ে আছে একটু অদ্ভুত লাগছে।

আমি এমনি জিজ্ঞেস করলাম। আমার কি সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে।

অনেকে ভালো ভালো উত্তর দিলেও কিছু জনের উত্তরে আমার নিজের ও কেমন জানি লাগে।

এই কিছু জন আমার ঠোঁটের উপর বলেছে।

,,,,, আপনার ঠোঁট আমার কাছে বেশি আকর্ষনীয় লেগেছে। আপনার ঠোঁট অনেক সুন্দর।

মানে যার যেটা মনে হয় তা না ভেবেই বলে দেয়।

এটা শুনার সাথে সাথে মুগ্ধ দাঁড়িয়ে পড়ে, আর আমার হাত ধরে দাঁড় করায়। আমাকে ধরে টেনে নিয়ে যেতে নেয়, আমি তাড়াতাড়ি বলি সবাইকে

,,,,,, আমাদের মতামত একটু পর এসে জানাবো।আর,,,,

বলা শেষ করতে না করতে আমাকে টেনে নিয়ে যায়, দেখেই বুঝা যাচ্ছে বেশ রেগে আছে।

আমাকে তার রুমে নিয়ে যায়, নিয়ে দরজা লাগিয়ে দেয়।

যীন্নাত,,,,,,, মুগ্ধ কি,,,,,

কিছু বলার আগেই আমাকে দেওয়ালের সাথে ঠেকিয়ে আমার ঠোঁটে ঠোঁট লাগিয়ে দেয়। সব রাগ আমার ঠোঁটের উপর দিয়ে ডালছে। এমন ভাবে রেগে আছে আমি সরাতে পারছি না।

আমার ঠোঁটের সব লিপস্টিক মনে হচ্ছে খেয়েই ফেলেছে। ক্লান্ত হয়ে ওকে ছাড়ানোর চেষ্টা ছেড়ে দিয়ে চোখ বন্ধ করে নিয়।

এখনো ছাড়ছে না এবার ব্যাথ্যা পাচ্ছি। আমার দম বন্ধ হয়ে আসছে। অনেক খন পড়ে ছাড়লো, আমি হাঁপাচ্ছি।

মুগ্ধ,,,,,,,,, চুপচাপ এখানে বসে থাকবে নিচে আসার ভুল ও করবে না।

যীন্নাত,,,,,,, এ অবস্থায় আমি নিচে যেতেও পারবো না। আমার সাথে এমন কেনো করলে।

মুগ্ধ,,,,,,, এখনো তো কিছুই করি নি, আমার কথা না শুনলে তোমার জন্য ভালো হবে না।

রাগে গজগজ করতে করতে চলে গেলো সাথে দরজা বন্ধ করে। আমি শুধু চলে যাওয়ার দিকে তাকিয়ে রইলাম।

আয়নার দিকে তাকিয়ে দেখি ঠোঁটের আর অবস্থা নেয়, লিপস্টিক তো নেয় তাও ফুলে লাল হয়ে আছে। কিছু খন আগে ঘটে যাওয়া ঘটনার জন্য এখন আমার লজ্জা করছে।

আমি একটু নিজেকে ঠিক করে নিলাম। চাইলেই দরজা খুলে যেতে পারি কিন্তু যাবো না কারন মুগ্ধ অনেক রেগে আছে যদি রাগের মাথায় কিছু করে বসে তখন।

অনেক খন পর মুগ্ধ এলো মনে হয় রাগটা কিছুটা কমেছে।

যীন্নাত,,,,,,,, কি করলে এটা, এটা যদি সবাই জানতে পারে তাহলে আমাকে বিয়ে করবে।

মুগ্ধ,,,,,, বিয়ে করা লাগবে না আমি সবাই কে বাগিয়ে দিয়েছি।

,,,,,, কেনো

,,,,,,, কারন আমি তোমাকে অন্য কারো হতে জীবনেও দিবো না বুঝলে৷

,,,,,,, কিন্তু কেনো তুমি তো আমাকে ভালোবাসো না।

,,,,,,, কে বলেছে বাসি না অনেক ভালোবাসি, সেই ছোটো থেকে সবসময় তোমাকে দূর থেকে দেখতাম, আমার থেকে বেশি ভালো তোমাকে আর কেও বাসতে পারবে না।

যীন্নাত,,,,, সেটা তো আমি জানি শুধু তোমার মুখ থেকে শুনতে চাইছিলাম।

মুগ্ধ,,,,, শুনা হয়েছে এবার তোমার মুখ থেকে জেনো অন্য কারো নাম না শুনি, বুঝেছো।

যীন্নাত,,,,, এই ভাবে কেও প্রপোজ করে, আন রোমান্টিক পারসন।

মুগ্ধ,,,,, সেটা তো বিয়ের পরেই বুঝাবো।

,,,,,,,আচ্ছা দেখা যাবে।,,,, আর নানু আর মাকে কি বলবে,,

,,,,,,, ওদের আমি সামলে নিয়েছি।

,,,,,, তাহলে তো ভালো৷

,,,,,,, এখন আমার যাওয়া লাগবে বাসায়।

,,,,,,, এতো তাড়াতাড়ি

,,,,,,, হুমম আজ মা তাড়াতাড়ি বাসায় ফিরতে বলেছে।

,,,,,, ঠিক আছে চলো আমি দিয়ে আসি।

,,,,,, হুমম

মুগ্ধ আমাকে বাসায় পৌঁছে দেয়, জালানা দিয়ে ঢুকতে ঢুকতে অভ্যাস হয়ে গেছে, তাই আজকেও জালানা দিয়ে ঢুকে পড়ি।

আমি সাওয়ার নিয়ে চুল মুছতে মুছতে ওপর থেকে নিচে নামি,, বাবা মা আমার দিকে হা করে তাকিয়ে আছে।

,,,,,, কি হলো ভুত দেখার মতো তাকিয়ে আছো কেনো।

মা,,,,,,,, ভুত দেখার মতোই তো,, তুই ওপর থেকে কিভাবে নামলি।

,,,,,, কিভাবে মানে সিরি দিয়ে।

,,,,,, সে তো আমরা দেখতেই পারছি, কিন্তু আমরা এখানে অনেক খন ধরে বসে আছি তোকে তো ভিতরে আসতে দেখলাম না।

,,,,,,,,, ওপসসস,,,,, না মানে আমি এসেছি হয়তো তোমরা খেয়াল করো নি।

মা,,,,,,, কিন্তু দরজা তো মারা।

যীন্নাত,,,,,,, 😶😶 আরে আমি যখন এসেছি তখন খোলাছিলো, আজ কাল তোমার খেয়াল যে কোথায় থাকে।

বাবা,,,,,, ঠিক বলেছিস তোর মায়ের আজ কাল কিছু মনে থাকে না।

মা,,,,,, আরেরেরে

,,,,,,, মা খেতে দাও তো অনেক ক্ষুধা লাগছে।

,,,,,,, হুমম বস আমি দিচ্ছি।

খাওয়া দাওয়া শেষ করে কিছু খন মা বাবার সাথে কথা বলে রুমে চলে আসি।

রাত হয়ে গেছে জালানা খোলা ঠান্ডা বাতাস আসছে, শুয়ে আছি চোখ বন্ধ করলেই শুধু ঐ ঘটনাটা মনে পড়ে, একা একাই হাসছি একা একাই লজ্জা পাচ্ছি।

এক পাশ হয়ে শুয়ে আছি, চোখ বন্ধ করে আছি। কিছু খন পর আমার পেটে একটা গরম হাত অনুভব করলাম।

আমাকে পিছন থেকে জরিয়ে রেখেছে। আমি জানি এটা কে, ওর শরীরের ঘ্রাণ যে আমার অনেক চিনা।

আমার পেটে চাপ দিয়ে ধরেছে আমি আর নিজের মাঝে নেয়। আমি সামনের দিকে ফিরি, মুগ্ধের মুখ ঠিক আমার মুখের সামনে। মুগ্ধের নিশ্বাস আমার মুখে পড়ছে৷

তার এই নেশা ভরা চোখ আর পাগল করা গায়ের ঘ্রাণ, আমি কিছু না ভেবেই চোখ বন্ধ করে ঠোঁটে ঠোঁট লাগিয়ে দিয়।

তারপর মুগ্ধের বুকে মুখ লুকায়, এখন নিজের কাছেই লজ্জা লাগছে। মুগ্ধকে শক্ত করে জরিয়ে ধরি।

,,,,,, এরকম করলে কিন্তু নিজেকে সামলে রাখতে পারবো না, পরে আবার আমাকে বলো না।

আমি সাথে সাথে ছেড়ে দিয়ে ওপাশ হয়ে যায়, লজ্জায় দুই হাত দিয়ে মুখ ঢেকে রেখেছি।

মুগ্ধ আমার কানের কাছে এসে বলে,,,

,,,,,, লজ্জা পেলে বুঝি। ঠিক আছে আমার সাথে এক জায়গা যাবে।

,,,,,,, কোথায়

,,,,,, পৃথিবীতে দেখার মতো অনেক সুন্দর জায়গা আছে, যাবে নাকি বলো।

,,,,,, হুমম

ঠিক আছে চলো বলে আমার হাত ধরে একটা টান দিলো মূহুর্তের মধ্যে আমি কোথায় থেকে কোথায় এসে গেলাম

জায়গাটা বেশ সুন্দর, চাঁদনী রাত, চার দিকে নানা রকম ফুল, সামনে ঝড়ণা বয়ছে, সবুজ ঘাস ঠান্ডা হাওয়া অনেক ভালো লাগছে।

আমি ঘাসে বসে আছি আর মুগ্ধ আমার কোলে মাথা রেখে শুয়ে আছে।

,,,,, আমরা এখানে কেনো এসেছি।

,,,,,, এটা আমার পছন্দের জায়গা,, আমি যখনি কোনো চিন্তায় থাকি তখনি এখানে আসি।

,,,,,, এখন কিসের চিন্তা তোমার।

,,,,,,,,, ক কয় না তো,,, তোমাকে দেখানোর জন্য এনেছি।

,,,,,, ওওও

,,,,,, আচ্ছা তুমি আমাকে বিশ্বাস করোতো।

,,,,,,, নিজের থেকেও বেশি।

,,,,,,,, কোনো দিন ছেড়ে যাবে না তো।

,,,,,,,, কোনো দিন না,,, তুমি এই সব বলছো কেনো।

,,,,,,, এমনি,,,,,,, ( কি করে তোমাকে সত্যিটা বলবো, আমি নিরুপায় আমাকে এটা করতেই হবে পারলে আমাকে মাফ করে দিও )

,,,,,,,, ( মুগ্ধকে এতো চিন্তিত্ত লাগছে কেনো, কিছু লুকাচ্ছে মনে হচ্ছে কিন্তু কি,, আমি কি কি ভাবছি হয়তো কালকে কি ভাবে মারবে সেটা ভাবছে )

মুগ্ধ আমার কোলে মাথা রেখে চোখ বন্ধ করে আছে, আমি ওর চুলে হাত রেখে ওর দিকে তাকিয়ে আছি।

চলবে,,,,,,,,,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here