অপ্রকাশিত ভালোবাসা,পর্বঃ ১১-১২

অপ্রকাশিত ভালোবাসা,পর্বঃ ১১-১২
আইরিন সুলতানা
পর্বঃ ১১

কলিংবেল বাজাতেই একটা ছেলে দরজা খুলে দেয়। হিয়া খেয়াল করে ছেলেটা তার দিকে তাকিয়ে আছে হিয়ার চিনতে একটুও অসুবিধে হয় না যে এটাই জয়। (জয় সম্পর্কে কথার চাচাতো ভাই। কথা আর জয়রা পাশাপাশি ফ্লাটে থাকে।) জয়কে এভাবে দেখে হিয়া মনে মনে ভাবলো..
বাবু দেখি ভালোই সাহেব হয়ে দেশে ফিরেছে। আমার দিকে হা হয়ে তাকিয়ে আছে কেনো চিনতে পেরে গেলো নাকি। যাই হোক আমার বেষ্টুটাকে খারাপ লাগছেনা। জয়কে একটু বাজিয়ে নেয়া যাক। হিয়া মাথাটাকে কাজে লাগা কাজের সময় কিছু মাথায় আসে না কেন???? ভাব হিয়া ভাব কিভাবে এই বান্দর কে মজা বুঝানো যায়। Idea……. এবার বুঝবে মি. জয় হিয়া কি জিনিস আমাকে না বলে চলেগিয়েছিলে তাই না তোমাকে যদি আমি নাকানিচুবানি না খায়িয়েছি তাহলে আমি হিয়া না। ( দুষ্টু হেসে)

এবার আসি জয়ের দিকে…. জয় একটা লাল শার্ট পড়েছে আর কালো জিন্স জয় এমনিতেই অনেক ফর্সা তার উপর লাল শার্ট টায় অনেক সুন্দর লাগছে তাকে। উচ্চতা ৬ ফিট হবে তার উপর জিম করা বডি। এক কথায় মেয়েদের ক্রাস বয়। ( দেইখেন কেউ ক্রাস খাইয়েন না আবার)

জয় এখনো হা হয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছে তাই আমি মুচকি হেসে বলল..
আসসালামু আলাইকুম। (আমি)
হু ওয়ালাইকুম আসসালাম। (কিছুটা অপ্রস্তুত হয়ে বলল জয়)
আমি কি ভিতরে আসতে পারি ভাইয়া। (আমি)
Excuse me…. আমি আপনার কোন জনমের ভাই লাগি। (জয়)
এই জনমের ভাইয়া। ( কিউট করে হেসে বললাম আমি)
ধুর….. আচ্ছা ভিতরে আসেন। (জয়)

জয় মনে মনে ভাবছে….. এতো কিউট কোনো মেয়ে হয় নাকি। জয় পাগল হয়ে গেলি একটু আগেই তো তুর সামনে দিয়ে গেলো। (নিজেই নিজেকে বলছে) সত্যি কিউট মেয়েটা। ধুর কোনো মেয়েকে নিয়ে আমি কেনো ভাবছি আমার মনে আগে থেকেই তো অন্য কারো বসবাস। কখন যে আসবে আমার মনের রানি কখন দেখতে পাবো তাকে।

আমি ড্রয়িংরুমে কাউকে দেখতে না পেয়ে সোজা কথার রুমে যায় দেখে কথা ফোনে হবু বরের সাথে আলাপ করছে। তাই হিয়া বলল….
কাল বাদে পরশু বিয়ে এখন এতো প্রেম করার কি আছে এতো দিন প্রেম করে মন ভরেনি বুঝি। (আমি)
আরে হিয়া (জরিয়ে ধরে) কেমন আছিস কখন এলি। তুই জানিস কতো মিস করেছি তুকে। (কথা)
আমি তো এসে গেছি এখন। তুই ভাইয়ার সাথে কথা শেষ কর যা (আমি)
আচ্ছা আয়ান আমার হিয়ুপাখি আসছে বুঝেছ তাই তোমার সাথে পরে কথা বলি প্লিজ। (কথা ফোনে তার হবু বর কে বলছে)
আচ্ছা পরে ফোন করো। বায় বায়। (আয়ান)
হিয়া জানিস জয় সকাল থেকে আমাকে জালিয়ে মারছে তিতুপাখি কখন আসবে ফোন দে একটা হেন তেন মাথা খারাপ করে দিচ্ছিল এখন কই পাগল টা। (কথা)
ড্রয়িংরুমে একা বসে আছে আর তার তুতুপাখির জন্য অপেক্ষা করছে। (আমি)😁😁
মানে? কিছুই তো বুঝলাম না তুই এখানে আর ও অপেক্ষা করছে কিভাবে। (কথা)
(তখনকার সব বললাম) আচ্ছা শোন আমার পরিচয় এখন দিবিনা আর বলবি হিয়া আসবেনা কাল তুর হলুদে আমার পরিচয় পাবে জয়। আমাকে না বলে চলে গিয়েছিল তো এইটুকু শাস্তি পাজি টার কাম্য বুঝলি। (আমি)
হাসতে হাসতে পেটে খিল ধরে যাচ্ছে। এসব প্ল্যানিং কখন করেছিস তুই। (কথা)
কেনো এখন করেছি। আমি হচ্ছি দি গ্রেট হিয়া রায়হান বুঝেছিস। (আমি)
ওলে বাবা হিয়া রায়হান। আপনার মি. রায়হান কে মনের কথা কবে জানাবেন। (কথা)
কখনোই না। (আমি)
কেনো বলবি না। (অবাকের সুরে বলল কথা)
সে অন্য কাউকে ভালোবাসে অন্য কারো জন্য তার বুকে ব্যাথা হয়। তাহলে আমি কিভাবে অন্যের ভালোবাসায় ভাগ বসাই বল। তাছাড়া আমি এমনিতেই ভালো আছি। বিন্দাস আছি মজা মস্তি করে দিন যায়। (মুখে মিথ্যে হাসি ফুটিয়ে বললাম নইলে কথার মন খারাপ হবে আমি যানি)।
খুব ভালো অভিনয় করতে শিখে গিয়েছিস। আমি যে তুকে বুঝতে পারি ভুলে গিয়েছিস তাই না। (কথা)
আমি অভিনয় করছিনা সত্যি আমি খুশি বিশ্বাস কর। ভাইয়ু ভালো আছে এর থেকে বেশি কিছু চাই না আমার। (আমি)
বড্ড বেশি বুঝতে শিখেছিস তাই না। নিজের ভালোবাসা ছেড়ে দিবি তুই। (কথা)
মাত্র আসছি আর তুই শুরু করলি। আন্টি কই রে তার সাথে দেখা করে আসি আমি তুই ফোনেই কথা বল যা। (আমি) এই বলে চলে আসলাম।
আমার কাছ থেকে পালালি হিয়া। আমাকে তো শান্তনা দিলি কিন্তু তুই যে ভালো নেই সেটা আমি বেশ বুঝতে পারছি। আমিও কাউকে ভালোবাসি আমি বুঝি ভালোবাসার ব্যাথা কেমন। দোয়া করি কেউ তুর জীবনে এসে তুকে হাসি খুশি রাখবে সারাজিবন। ( কথা মনে মনে ভাবল)
_________________________________________

এই কথা তিতুপাখি কখন আসবে। (জয়)
হিয়া একটু আগে ফোন করে বলল আসবেনা। কি কাজ পরে গেছে তার। (মন খারাপের ভাব ধরে বলল কথা)
মানে কি। আমার কল পিক করছেনা তুরে বলছে আসবেনা এবার কিন্তু সত্যি আমি তিতুপাখির মামার বাসায় চলে যাবো। (জয়)
আমার বিয়ে হিয়া নেই তুই ও চলে যাবি। একমাত্র হিয়া তুর বন্ধু আমি তুর কেউ না আচ্ছা চলে যা তুই থাকতে হবে না। (এই রে জয় যদি হিয়ার মামার বাসায় চলে যায় হিয়ার সব প্ল্যানিং ভেস্তে যাবে হিয়া আমাকে পানিতে চুবাবে তাহলে। ইমোশনাল ব্লাকমেইল করতে হবে আমাকে এখন। মনে মনে এসব ভাবলাম) কথা
তিতুপাখি কে একটু দেখা না কথা। একবার দেখবো। (জয়)
হিয়া তাহলে তুর সাথে কথা বলবে না তখন আমাকে কিছু বলতে পারবি না। (কথা)
আচ্ছা থাক দেখাতে হবে না। এখন এটা বল যে একটু আগে যে মেয়েটা আসলো সে কে?? (জয়)
ও রাফা আমার কলেজের বন্ধু। কেনো পছন্দ হইছে প্রেম করবি বল না বল?? (অনেক আগ্রহ নিয়ে) কথা
আরে তেমন কিছুনা। তিতুপাখি কে বল না আসতে। (জয়)
তুই আমার রুম থেকে বের হ সারাক্ষণ তিতুপাখি তিতুপাখি করে আমার মাথা খাচ্ছে বদের বদ কনেকার। (কথা)
চুন্নি থাক তুই। আমি গেলাম। (জয়)
___________________________________________________

আমি কথার রুম থেকে বাগানে চলে আসলাম। আমি জানি আন্টিকে এখন আমি ভাগানেই পাবো। হ্যা আন্টি আর জয়ের আম্মু বাগানে কিভাবে কি ডেকোরেশন করবে সেটা বুঝিয়ে দিচ্ছে আছে। আমি পেছন থেকে তার চোখ ধরে চুপ করে দারিয়ে থাকলাম।
এই কে আমার চোখে ধরলে। উম্মম্মম আমি ভুল না হলে আমার হিয়া মা আমার চোখ ধরে আছে। (আন্টিমনি)
আন্টিমনি তুমি প্রতিবার কিভাবে বুঝো যে আমি ই চোখ ধরেছি। (আমি)
কারন আমি আমার হিয়া মার স্পর্শ বুঝতে পারি। (আন্টিমনি)
কি আমার বাচ্চাটা রে। (আমি)
আমাকে কারো মনে আছে নাকি। সবাই তার আন্টিমনি কে নিয়ে ব্যস্ত হুহ। (মুখ ফুলিয়ে বলল জয়ের মা)
আরে আমার আরেকটা বাচ্চা দেখি ফুলে ডোল হয়ে গেছে। সল্লি সল্লি বাচ্চাটা আমার ভুল হয়ে গেছে। (আমি গিয়ে মিমি কে জরিয়ে ধরলাম) জয়ের মা কে ছোট থেকে আমি মিমি বলেই ডাকি।
থাক আর আদিক্ষেতা দেখাতে হবেনা এখন। (মিমি)
তোমরা এমন করলে কিন্তু আমি আমার দুর্দান্ত প্ল্যানিং থেকে তোমাদের কাট্টি করে দিবো বলে দিলাম। (আমি)
কি প্ল্যানিং । (দুজন একসাথে)
আচ্ছা শোন। ……. সব বুঝতে পেরেছ। (আমি)
হুম। (দুজনেই)
এবার কাজে লেগে যাও আমি একটু ঘুমাই গিয়ে। (আমি)
আচ্ছা যা। (আন্টিমনি)
আমি বাগান থেকে কথার পাশের রুমে চলে আসলাম। ফ্রেস হয়ে ঘুম দিলাম।
___________________________________________________

পরেরদিন হলুদ সন্ধা তে কি হবে সেটা আগামি পর্বে জানবেন….

অপ্রকাশিত ভালোবাসা
আইরিন সুলতানা
পর্বঃ ১২

আজকে কথার গায়ে হলুদ সকাল থেকে বাড়িতে মানুষের ভীড় পড়েছে। আশেপাশের বাড়ি থেকে মহিলারা এসে কথা কে দোয়া দিয়ে যাচ্ছে। গ্রামের বিয়ে বলে কথা। বাড়িতে ছোট বাচ্চারা ছোটা ছুটি করছে খেলছে এভাবেই পুর বাড়ি টা জাঁকজমকপূর্ণ হয়ে উঠেছে। হলুদের স্টেজ আমি কথার পছন্দ অনুযায়ী সাজিয়েছি। তবে একটু অন্যরকমভাবে। ফুল আর বেলুন দিয়ে স্টেজ টা সাজানো হয়েছে আমাকে অবশ্য জয় অনেক সাহায্য করেছে তবে আমি আমার পরিচয় এখনো দেই নি। কাজের ফাকে ফাকে জয়কে জালাতে ভুলিনি আমি। আর পারফরমেন্স এর জন্য আলাদা একটা স্টেজ করা হয়েছে।

কথার হলুদ সন্ধেবেলায়……
কথা পার্লারে যায় নি সাজতে কথার অনেক বন্ধু এবং কাজিন সবাই অনেক চেষ্টা করেছে নিয়ে যাওয়ার কিন্তু তার মুখে একটাই বুলি অতো ভারি মেকআপ আমি বইতে পারবো না আমাকে হিয়া সাজিয়ে দিবে। যার পার্লারে যাওয়ার ইচ্ছে সে সেখান থেকেই সেজে আসুক। অগত্যা আমাকেই সাজাতে হলো বিয়ের কনে কে।

কথা আজকে হলুদের মধ্যে লাল পাড়ের একটা শাড়ি পরেছে হালকা মেকআপ চোখে মোটা করে আইলাইনার + কাজল, লাল কালার আইশ্যাডো, ঠোটে ম্যাট লাল লিপস্টিক, চুল গুলো সোজা সিথি করে মঝে একটা টিকলি, কানে বড় ঝুমকো, গলায় ভারি গহনা। সব মিলিয়ে দারুণ লাগছে কথা কে।

আমি কথা কে রেডি করিয়ে দিয়ে নিজে রেডি হয়ে নিলাম… আমি আজকে সবুজের মধ্যে হলুদ পাড়ের একটা শাড়ি পরলাম। হালকা মেকআপ, চোখে কাজল, ঠোটে ম্যাট রেড লিপস্টিক, চুল গুলো একসাইডে সিথি করে মাঝে টিকলি দিলাম ব্যস আমার সাজ শেষ।

৭ টার দিকে আমি আর কথার কাজিন রা মিলে কথা কে স্টেজে নিয়ে বসালাম। অনুষ্ঠান শুরু হয়ে গেলো কিন্তু জয়ের দেখা নেই। বড়রা সবাই কথা কে হলুদ দিচ্ছে আমি একপাশে চেয়ারে বসে আছি। তখন কথার কাজিন গুলা আমার চারপাশে এসে বসলো
Hello… আমি ইশিতা কথার চাচাতো বোন। (ইশিতা)
Hi…. আমি হিয়া কথার বন্ধু। (আমি)
আমি তামান্না কথার বন্ধু + কাজিন। (তামান্না)
একে একে ইভা, জান্নাত, সুমাইয়া, লাভলি সবার সাথে পরিচিত হলাম আমি।
কথা সব সময় বলতো তোমার গানের গলা খুব সুন্দর আজকে আমাদের একটা গান শোনাবে প্লিজ। (তামান্না)
আরে না আমি গান অতোটা গাইতে পারিনা সবার সামনে তো একেবারেই না। (আমি)
প্লিজ একটা গান ই শোনাও না প্লিজ (ইশিতা)।
আচ্ছা আমাকে কেউ বলো জয় কোথায় তারপর গান শোনাবো (আমি)।
সত্যি গান শোনাবে (লাভলি)
হ্যা বাবা পাক্কা প্রমিস আগে জিয় কোথায় দেখে এসো। (আমি)
জয় ভাইয়া তো ওদিকেই আছে দেখো (ইশিতা)।
একটু অপেক্ষা করো আমি এসে তোমাদের গান শোনাবো (আমি)।

এই বলে আমি জয়ের কাছে আসলাম জয় কে না রাগাতে পারলে আমার ভালোলাগেনা তাই আমি এসে জয়কে ডাকলাম
জয় সাহেব (আমি)।
হুম বলুন। (জয়)
আপনাকে না অনেক সুন্দর লাগছে আমি আপনার প্রেমে।পরে গিয়েছি। (আমি)
পাগল টাগল হলেন নাকি। (জয়)
হুম আপনার প্রেমে পাগল হয়েছি। (আমি)
আজব যতোসব পাগল বিয়ে বাড়িতে চলে আসে। (জয় এই কথাটা বলেই চলে গেলো)
Attitude আছে বেশ তো এই না হলো আমার খেলার সাথী। (আমি)

তখনি মাইকে আমার নাম এনাউন্স হলো আমি কি গান গাইবো সেটাই ভাবছি। চোখ বন্ধ করে গাওয়া শুরু করলাম…
তুর মন পারায় থাকতে দে আমায়🎶🎶
আমি চুপটি করে দেখবো আর ডাকবো ইশারায়🎶🎶
তুই চাইলে বল আমার সঙ্গে চল 🎶🎶
ঐ উদাসপুরের বৃষ্টিতে আজ ভিজবো দুজনায়🎶🎶
অভিমানী মন আমার চায় তোকে বারেবার 🎶🎶

(বাকিটা নিজ দায়িত্বে শুনে নিবেন)

আমি চোখ বন্ধ করে গান করছিলাম চোখ গান শেষ হলে চোখ খুলি।
Wow তোমার গানের গলা তো অনেক সুন্দর আর তুমি কিনা বলেছিলে তুমি গান পারোনা।(তামান্না)
আচ্ছা এসব পরে হবে চলো কোথাও বসি। (আমি)

এদিকে জয় ভাবছে……
স্টেজে এটা হিয়ার নাম নিলো কিন্তু হিয়া তো আসেনি তাহলে। তাহলেকি হিয়া আবার আমার সাথে মজা নিয়েছে কিন্তু কই হিয়া স্টেজে যাচ্ছেনা কেনো। হিয়া যখন স্টেজে উঠে জয় হিয়ার দিকে মুগ্ধকর দৃষ্টি নিয়ে হিয়ার দিকে তকিয়ে থাকে হিয়া চোখ বন্ধ করে গান গাওয়াটা জয়ের বুকে গিয়ে লাগে এতো ভালো গান করতে পারে হিয়া। আমি কি হাদারাম নিজের ছোটবেলার খেলার সাথীকেই চিনতে পারলাম না। এখন হিয়ার সামনে গেলে এই ঝাসেকিরানি আমাকে কাচা গিলে খাবে। করা যায় এখন।।।

তিতুপাখি তুই আমার সাথে এমনটা করতে পারলি। (জয়)
কে আপনার তিতুপাখি। আমি হিয়া বুঝেছেন। (আমি)
জানু বাবু ময়না রাগ করিস না তুই আগে পেত্নি ছিলি এখন এতো সুন্দর হইয়া গেছিস তাই চিনতে পারিনাই সল্লি। (জয়)
কি বললি আমি আগে পেত্নি ছিলাম তুই কি ছিলি মরা বট গাছের ঝুলন্ত বিড়াল। (আমি)
এগুলা কি ভাসা (ভেবাচেকা খেয়ে জয়)
এগুলা জাপানিজ ভাসা শুনবি আরও শোনাবো। (আমি)
না থাক আমার শুনতে হবেনা। এবার বল কাল থেকে লুকোচুরি খেলা খেলছিস কেন আমার সাথে।(জয়)
এটা তুর শাস্তি ছিল আমাকে না বলে চলেগিয়েছিলি তাই। (আমি)
তাই বলে এভাবে শাস্তি দিবি। (জয়)
আর না বলে চলে যাবি। (আমি)
উহু কখনো না এবার তো মাফ কর। (জয়)
আচ্ছা চল কথা কে হলুদ মাখিয়ে আসি। (আমি)

আমি আর জয় গিয়ে কথা কে হলুদ মাখিয়ে আসি। তারপর সবাই একসাথে নাচ গান করে রাত ২ টার দিকে ঘুমাতে গেলাম।
_________________________________________________

আজ কথার বিয়ে সকাল ১০ টা বাজে কথা আর হিয়া এখনো পরে পরে ঘুমাচ্ছে। জয় এসে অনেকবার ডেকে গেছে কিন্তু কাজ হয় নি। প্রবাদে আছে না যার বিয়ে তার খবর নেই পাড়াপড়শির ঘুম নেই। তারপর কি হলো সেটা জানতে হলে আগামী পর্বের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।

চলবে……….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here