#True_Love_Never_Breaks,Part_18,19,20
#Writer_Fayeja_Sultana_Piu
#Part_18
🌺🌺
আরিয়ানের যাওয়ার পর সেই যে চিন্তা করতে করতে ঘুমিয়ে গেছে এক ঘুমে উঠলো সন্ধ্যায়।জাগা মাত্র মোবাইল হাতে নিয়ে চেক করল দেখতে পেলো ১০ টা মিসড কল আরিয়ানের। তড়িগড়ি করে উঠে বসল পিউ।কল ব্যাক করল আরিয়ান কে।আরিয়ান তখন একটা মিটিং এ আছে তাই ফোন সাইলেন্ট করে রেখেছে।পিউর তো টেনশনে হাত পা অবশ হয়ে আচতেছে।তবুও মনে সাহস জাগিয়ে আরিয়ানের মায়ের কাছে গেল।
পিউঃ আন্টি আরিয়ান,,,,,,
আর কিছু বলতে না দিয়ে আন্টি বলল।
আন্টিঃ আরিয়ান পৌছেছে তোকে কল দিছিল তুই নাকি রিসিভ করিস নি।
পিউঃ আসলে আন্টি আমি ঘুম গেছিলাম তাই আর কি,,,,
আন্টিঃ হুম বুঝতে পেরেছি আমি তাই ওকে বলছি তুই ঘুম,উঠলে তোকে বলে দিবো।
পিউঃ কিন্তু আন্টি ও এখন ফোন রিসিভ করতেছে না কেন।
আন্টিঃ ও হ্যা আর ও এখন মিটিং এ থাকবে বলেছিল। তুই রাত ১১ টার দিকে কল দিস।
পিউঃ আন্টি আর একটা কথা।
আন্টিঃ বল।
পিউঃ আসলে আন্টি অনেক দিন তো হল আম্মু আব্বু কে দেখিনা যদি একটু যেতাম।
আন্টিঃ আমি বুঝতে পারতেছি আরিয়ান নাই এখানে তাই ওকে মিস করতেছিস।আচ্ছা প্রবলেম নাই যা।
তখনি ইসু এসে বলল তাহলে আমি ও চলে যায়।
পিউঃ তুই কোথায় যাবি।
ইসুঃ কোথাই যাবো বাড়িতেই যাবো আর কি।
পিউঃ সেখানে কি তোর কোন ইম্পর্ট্যান্ট কাজ আছে?
ইসুঃ কিসের কাজ?
পিউঃ তো যাওয়ার জন্য লাফাচ্ছিস কেন?
ইসুঃ আরে লাফালাম কই।তুই এখানে থাকবিনা তো আমি থেকে কি করব এখানে।
পিউঃ তুকে এখানে থাকতে কে বলল?
ইসুঃ তুই কি পাগল হয়েছিস।বাড়িতে ও না থাকলে এখানে ও না থাকলে থাকবো কোথায় আমি?
পিউঃ কেন আমি আছি না আমার বাড়ি টা কি তোর চোখে পড়েনা?
ইসুঃ সেটা বল কুত্তী। চোখে কেন পড়বেনা?
পিউঃ আচ্ছা চল গুজগাজ করে নিই।
ইসুঃ হুমম চল।
ওরা রুমে গিয়ে কাপড়ের ব্যাগ নিয়ে নিচে নামতেই দেখলো ঈশান ব্যাগ নিয়ে দাড়িয়ে আছে।
পিউঃ কিরে তুই ও চলে যাবি?
ঈশানঃ তুরা থাকবিনা আমি থেকে কি করব।তাই আমিও গোয়িং।
পিউঃ ওকে চল।সবাই আন্টি থেকে বিদায় জানিয়ে বের হয়ে,গেল।ঈশান ঈশানের বাড়িতে আর পিউ আর ইসু পিউর বাড়িতে।গাড়ির মধ্যে ঈশান বার বার ইসুর দিকে তাকিয়ে দেখছিল। ইসু ও ঈশান কে দেখছিল কয়েকবার চোখাচোখি ও হল ওদের।
পিউ বাড়ি গিয়ে মা বাবার সাথে কিছুক্ষণ আড্ডা দিয়ে রুমে গেল।ফ্রেশ হতে বাথরুমে গেল। বাথরুম থেকে এসে ড্রেসিং টেবিলের সামনে গিয়ে মাথা আচড়াতে যেই চিরুনি হাতে নিচে তখন ফোনে কল আসলো।
আয়ানঃ কি পিউ, মনে হয় খুব নিশ্চিন্তে আছো।সুস্থ ভাবে পৌছেছে বলে?
পিউঃ তাতে তোমার কি।তুমি এত টেনশন নিচ্ছ কেন এতে।
আয়ানঃ হাহাহা। তোমার চিশ্চিন্ত টা আর স্থায়ী হবেনা সব করা কম্পিলিট এখন শুধু ফাদে পা দেওয়া বাকি হাহাহাহা।
পিউঃ কিসের ফাদ কিসের পা,কিছু বলতে চাইছো তুমি?
আয়ানঃ কিছুই বলতে চাইছি,এখন তো শুধু দেখানোর পালা।জাস্ট ওয়েট এন্ড ওয়াচ।এই বলে আয়ান কল কেটে দিলো।
আবারো চিন্তার পাহাড় ভর করল পিউর মাথায়। আরিয়ান কে কল দিলো কয়েক বার কিন্তু আরিয়ানের কোন রেসপন্স নাই।ভয় টা যেন আরও গ্রাস করতে লাগল পিউকে।মাথার দুপাশে চেপে ধরে বসে আছে খাটের এক কোণায়।কতক্ষণ বসা ছিল এইভাবে জানা নাই।রিংটোনের শব্দে সজাগ হল পিউ।ফোনের স্কিনে জান নামটা ভাসতেছে তাড়াতাড়ি রিসিভ করে নিল।যেন কতদিনের পিপাসার্ত মানুষ পানির সন্ধান পেল।রিসিভ করেই বলতে লাগলো,,,
পিউঃ তুমি কেমন আছো? ঠিক আছো তো? এতক্ষণ কোথাই ছিলে? কল রিসিভ করতেছো।না।কেন?কি প্রবলেম তোমার?
ঐ পাশে পিউর এমন পাগলামি দেখে মুচকি হেসে আরিয়ান বললো,,৷
আরিয়ানঃ জান আমি ঠিক আছি।ভালো আছি। এতক্ষণ মিটিংএ ছিলাম তাই কল রিসিভ করতে পারিনি।এখন বলো তুমি কেমন আছো?
পিউঃ আমি কেমন আছি সেটা তোমার জানতে হবেনা হুহ।
আরিয়ানঃ আরে বাপরে আমার জান তো দেখি লাগ কলেছে।আচ্ছা জান উম্মাহ এই একটা আদর দিলাম এবার হাসোতো।
পিউঃ হুম।জান তুমি সাবধানে থাকবা দেখো আয়ান কিন্তু উৎপেতে আছে তোমার ক্ষতি করার জন্য।
আরিয়ানঃ আচ্ছা জান থাকবো তুমি একদম চিন্তা করবানা।
এভাবেই চলতে থাকলো ওদের কথা। অনেক্ষণ বলে রেখে দিলো।কারন এর থেকে বেশি কথা বললে কাল কাজ করতে পারবেনা আরিয়ান আর পিউর কাছে ফিরতে লেট হয়ে যাবে সেটা হলে।পিউ চাইনা কোন মতেই আরিয়ানের আসতে লেট হোক তাই সে ও ফোন রেখে দিল হাজারো কথা বলার ইচ্ছাকে অগ্রাজ্য করে।
🌺🌺
ঈশান বাড়িতে গিয়ে রুমে চলে গেল।এতদিন ইসুর সামনে অভিনয় করলে ও যে তাকে দেখতে পেত।তাই কষ্ট কম হত কিন্তু এখন ও নেই সামনে।অনেক মিস করতেছে ইসুকে।সারা রাত ঘুম হয়নি ঈশানের ইসুর কথা ভাবতে ভাবতে শেষে মনকে বুঝ দিলো কাল পিউর বাড়িতে যাবে এক পলক ইসু কে দেখার জন্য।
ইসুর ও চোখে ঘুম নাই সেও ঈশান আর মিশুর করা কাজ গুলো ভাবতেছে।ঐ সব মাথায় না আনতে চাইলেও বার বার এসে নাড়া দেই। হাজারো ছুরির আঘত হৃদয় টাকে করে দেয় ক্ষত বিক্ষত।একটা নির্ঘুম রাত কাটালো দুই প্রান্তের দুটি হৃদয়।দুজনের মনের কথা এক কিন্তু মুখের কথা ভিন্ন। জানিনা এর পরে কি হবে,,,,
চলবে,,,,,,,,,,,,,,,
#True_Love_Never_Breaks
#writer_Fayeja_Sultana_Piu
#Part_19
🌺🌺
সকালে ঈশান পিউর বাসায় আসলো।এসেই লজ্জায় পড়ে গেল ওদের প্রশ্নে।হঠাৎ কেন ঈশান ওদের বাড়িতে।কাল ও তো ওদের দেখা হয়ে এমন ধরনের অনেক কথায়।তবুও সে নিজেকে ঠিক রেখে বলল।মিশু এক জায়গায় ইনভাইট করেছে তোদের নিতে এসেছি পিউকে বলল।
পিউঃ মিশু ইনভাইট করেছে তোকে আমরা কেন যাব??
ঈশানঃ তোরা আমার ফ্রেন্ড তাই যাবি।যা রেডি হ আর ইসু কেও বল রেডি হতে।
পিউঃ হুম।
পিউ রুমে গিয়ে ইসু কে বলল রেডি হতে।
ইসুঃ রেডি হয়ে কি করব এখন কোথায় যাবি নাকি।
পিউঃ আমি না তোর নাগর যাবে।সাথে আমাদের যেতে বলতেছে।
ইসুঃ আমার নাগর মানে ঈশান🙄।
পিউঃ হুম ঈশান।
ইসুঃ ও কখন ফোন করল আমি তো দেখলামনা।
পিউঃ ফোন করেছে তোকে কে বলল।
ইসুঃ তো বলল কি করে??
পিউঃ ও বর্তমানে আমার বাড়ির নিচে সোফায় বসা।
ইসুঃ কিহ? কখন আসল।আর আমিও জানলাম ও না।
পিউঃ তুই জেনে কি করবি যা রেডি হ।তোর সতিন নাকি ইনভাইট করেছে।
ইসুঃ ও ইনভাইট করেছে সেখানে আমরা গিয়ে কি করব??
পিউঃ সেটা ঈশানকে জিজ্ঞেস কর।আগে রেডি হয়ে নে।
ইসুঃ আমি যাবনা।
পিউঃ না গেলে কি আর হবে ঈশান কে আস্তে আস্তে হারিয়ে ফেলবি।
ইসুঃ মানে কি বলতে চাচ্ছিস?
পিউঃ দেখ এখন যদি ঈশানকে একা ছাড়িস ঐ বজ্জাত মাইয়া ঈশান কে নিজের আরও কাছে নিয়ে যাবে।তো আমার কথা বুঝতে পারছিা সোনা।
ইসুঃ হুম বুঝছি।আচ্ছা চল রেডি হই।
পিউঃ হুম রেডি হব চল।উফ এখন আবার কে কল করল।পিউর ফোনে কল আসাতে বিরক্ত হয়ে যখন স্কিনে জান নাম টা লেখা দেখল বিরক্ত মুছে গিয়ে এক চিলতে হাসি ফুটে উঠল ঠোঁটের কোনে।কিছুক্ষণ কথা বলে রেডি হয়ে নিছে নামল ওরা।
ঈশান পিউ ইসু গেল মিশুর বলা জায়গায় দেখতে পেল অনেক মানুষ মনে হয় বার্থডে পার্টি।সেটা অবশ্য মিশুর বার্থডে না।কোন একটা ছেলের বার্থডে।তাতে ওদের কি ওদের ইনভাইট করা হয়েছে তাই গেছে।মিশু ঈশান কে দেখে দৌড়ে এসে জড়িয়ে ধরল। ইসুর রাগে মাথা ফেটে যাচ্ছে।এক ওয়েটার ড্রিংকস এর ট্রে নিয়ে যাচ্ছে যখনি মিশুর দিক দিয়ে যাচ্ছে ইসু একটা গ্লাস নিচ্ছে এমন করে গ্লাস এর সব টুকু ড্রিংকস মিশুর কাপড়ে ফেলে দিল।
মিশুঃ হেই ইউ ব্লাড়ি ছোট লোক কি করলে এসব জানো এই ড্রেসের দাম কত।দিলে তো আমার দামি কাপড় টা নষ্ট করে।
পিউঃ কি বললা ব্লাডি ছোট লোক,।ছোট লোক তো তুমি এই সব ছিঁড়া কাপড় পড়ে লজ্জা করেনা।ও ছোট লোক নাকি তুমি সেটা প্রমান পাচ্ছে। ও কে জনো মনে হয় জানোনা ও হচ্ছে বাংলাদেশের টপ টেন বিজনেসম্যানদের মধ্যে এক নাম্বারে ইসরাত ইন্ডাস্ট্রিজ এর মালিক রোহান চৌধুরীর মেয়ে ইসরাত জাহান বুঝলে।সো ছোট লোক কে বুঝতে পেরেছ?
পিউর কথা শুনে মিশু ইসুর দেখে তাকালো।এই মেয়ে এত বড়লোকের মেয়ে হবে সে ভাবতে পারেনি।না হলে এমন কথা বলতনা।ইসু কে অপমান করতে গিয়ে নিজেই সবার সামনে অপমানিত হয়ে গেল সে।
ইসুঃ বাদ দে তো পিউ।এটাই হওয়া স্বাভাবিক। এখানে মিস্টার ঈশান চৌধুরী আমাদের অপমানিত করার জন্যই এনেছে।আমি কষ্ট পাইনি এমন কিছু হবে সেটা চমার বোধগম্য ছিল তাই চিল বেবি।
পিউঃ চিহ ঈশান আমি তোকে ভাল ভাবছিলাম বাট কাজ টা ঠিক করিসনি।তোর যার সাথে ইচ্ছে রিলেশনে যা বাট আমাদের অপমান করার রাইট তোকে বা তোর গফ কে কেউ দেইনি।আজ থেকে আমাদের মাঝে কোন ফ্রেন্ডশিপ নাই।গুড বাই।চল ইসু।
ঈশানঃ পিউ তুই আমাকে ভুল বুঝতেছিস।দেখ এমন কিছুর উদ্দেশ্য ছিলনা আমি তো শুধু ইসুকে।
পিউঃ ইসু কে কি ইসুকে অপমান করতে চেয়েছিলি তাইতো।বাট তুই মনে হয় ভুলে গেছিা এক ফ্রেন্ড কে অপমান করলে অন্য ফ্রেন্ড চুপ থাকেনা বুঝলি।
ঈশানঃ ধুর পুরাে কথা না শুনে হাবিজাবি বকিস কেন।
ইসুঃ ওহ এখন হাবিজাবি। আচ্ছা বলো কেন এনেছ আমাকে।বলো।
ঈশানঃ আমিতো আমিতো।
পিউঃ আমিতো আমিতো করছিস কেন বল কেন এনেছিস।
ঈশানঃ আমি ইসুকে জেলাস ফিল করাতে চেয়েছিলাম মিশুর সাথে মিশে।
পিউঃ কেন ওকে কেন জেলাস করাবি তুই তো ওকে ভালই বাসিস না।
ঈশানঃ আমি ওকে ভালবাসি ডেমেড।চিৎকার করে।
পিউঃ তাহলে এতদিন নাটক করলি কেন।
ঈশানঃ আমি ইসুর মুখ থেকে ভালবাসি কথাটা শুনতে চেয়েছিলাম তাই এতো কিছু করেছি।
পিউঃ হুম তো ইসু তুই কিছু বলবি।
ইসুঃ আমি,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
চলবে,,,,,,,,,,,,,,,,
#True_Love_Never_Breaks
#Writer_Fayeja_Sultana_Piu
#Part_20
🌺🌺
ইসুঃ আমিও ঈশানকে অনেক ভালবাসি।
ঈশানঃ সত্যি,,
পিউঃ হুম সত্যি সে তোমাকে অনেক আগে থেকেই ভালবাসে বাট বলতে পারেনি।
ঈশানঃ আমি তোমাকে অনেক অনেক ভালবাসি ইসু জড়িয়ে ধরে।আমাকে ছেড়ে কখনো যেওনা প্লিজ।
ইসুঃ যাবো না ঈশান।তোমাকে আগলে রাখবো এই বুকে সারাজীবন। কোন আবর্জনা আসতে দিবনা আমাদের মাঝে।
মিশুঃ বাহ বাহ নাটক আর কতক্ষণ চলবে শুনি।
পিউঃ কিসের নাটক।
মিশুঃ এই যে লাভ ইউ লাভ ইউ নাটক।
ঈশানঃ এটা কোন নাটক না এটা হচ্ছে ভালবাসা।
মিশুঃ এটা ভালবাসা হলে এতদিন আমার সাথে যা করেছো ঐসব কি ছিল।
ঈশানঃ এতদিন আমাদের মাঝে যা ছিল সব তো অভিনয় ছিল।তোমাকে তো আগেই বলেছি অভিনয় করতে হবে ইসুর সামনে যাতে ও জেলাস হয়।
মিশুঃ অভিনয় হলে এই সব কি ছিল আমাদের মাঝে।একটা খাম ঈশানের দিকে ধরে।
ইসু খাম টি নিল মিশুর হাত থেকে খুলে দেখে ইসুর চোখ বড় হয়ে গেল।পায়ের নিছ থেকে যেন মাটি সরে গেল।তবুও নিজেকে টিক করে পিক গুলা ঈশানের হাতে দিল।ঈশান ও পিক গুলা দেখে ওর চোখ আসমানে।অবাকের চরম পর্যায়ে। এটা কি করে সম্ভব। ইডিট পিক ও না।এখানে যেই অনুযায়ী দেখাচ্ছে পরিবেশ টা মোটেও তেমন ছিলনা।ঈশান ভাবতেছে কি করে ইসু কে বুঝাবে।সজল চোখে ইসুর দিকে তাকালো ঈশান যেই এক্সপ্লেন করতে যাবে তখন ইসু বলল।
ইসুঃ আমাকে কিছু বলতে হবেনা ঈশান।তোমার উপর আমার পুরো ভরসা আছে তুমি এইকাজ গুলো করনি।এই পিক আমি বিলিভ করিনা।আর মিশু তুমি যতই চাও ঈশান কে আমার থেকে আদালা করতে পারবেনা।
ইসুর কথা শুমে ঈশানের চোখে পানি চলে আসল।ঈশান ইসুর দিকে অপলক চেয়ে আছে আজ ওর জায়গায় অন্য মেয়ে থাকলে হয়ত হাঙ্গামা করে ফেলত।অপমান করত সবার সামনে হয়ত থাপ্পড় ও খেতে হত।কিন্তু ইসু কত সহজে সব কিছু ভুল প্রমান করে ব্যাপার টা মিটে গেল।অসম্ভব ভালবাসি ইসু তুকে অসম্ভব ভালবাসি।
মিশুঃ তোমার এই সব ফেক মনে হচ্ছে।দেখ একটাও ফেক না।
ইসুঃ তোমাকে ফেক কে বলল পিক গুলা।পিক গুলা একদম রিয়েল।।।আর একটা কথা তুমি যাকে দিয়ে এই পিক গুলা তুলিয়েছো তাকে বলে দিও ওর ফিউচারআলোকবর্তি।সে অনেক উচুতে যাবে তবে এমন খারাপ কাজে প্রতিভা না ব্যবহার করে ভাল কাজে ব্যবহার করতে বল।চল পিউ এই বলে ঈশানের হাত ধরে গাড়িতে গিয়ে বসল।
ঈশান গাড়ি চালাচ্ছে ইসু একধ্যানে বসে আছে কোন কথায় বলতেছেনা ঈশানের এমন শান্ত পরিবেশ দেখে ভয় লাগতেছে এটা শান্ত পরিবেশ ঝড় আসার পূর্বাভাস নাতো।ইসু কি ফোলে এটেমবোম হল নাকি না জানি কি আছে কপালে।
ঈশানঃ ইসু পাখি বলছি কি,,,,,,।
ইসুঃ চুপ একদম চুপ।সোজা গাড়ি চালা একটা কথাও বলবিনা।
ঈশানঃ বাপরে বাপ রেগেতো ফায়ার।না জানি আজ কপালে কি আছে খোদা রক্ষা করো আমায়।
পিউঃ ইসু একটু শান্ত হ।এমন হাইপার হোসনা।
ইসুঃ কেমনে শান্ত থাকবো বল।এখন কিছু বলবনা আগে বাসায় যেয়ে নি।
কিছুক্ষণ পরে ওরা বাসায় পোছল।পিউ ঈশানকে বেস্ট অফ লাক বলে নিজের রুমে চলে গেল।ঈশান তো ইসুর রুমে ঠাঁই দাড়িয়ে আছে না জানি কি করবে ইসু।
ঈশানঃ ইসু প্লিজ শুন আমার কথা আমি,সত্যি এসব কিছু করিনি।কি করে যে এসব আনল বুঝলামনা।
ইসুঃ আমি কি বলেছি তুই করেছিস এসব।তোর দোষ তো একটায় তুই ঐ মেয়ের সাথে অভিনয় করলি কেন।এটা বল আমায়।
ঈশানঃ কি করব তুমি ভালবাসি বলছিলানা।তাই এতসব।
ইসুঃ তা এখনও কি বললাম।
ঈশানঃ ঐটা আমার দূর্ভাগ্য আজও তোমার মুখ থেকে প্রথমে শুনতে পারলামনা। কিন্তু তবুও বলেছোতো।
ইসুঃ এখন মজা বুঝ তোমার ঐ গফ এর।হু।
ঈশানঃ বাদ দাও তো এসব আসো একটু আদর করি।
ইসুঃ চুপ লুইচ্ছা সর এখান থেকে কোন আদর হবেনা।যা তোর ঐ টিসুর কাছে।
ঈশানঃ আমার ইসু পাখি থাকতে আমি টিসুর কাছে যাবো কেন।এদিকে আসোতো জান।
ইসুঃ হ বয়ে গেছে আমার।
ঈশান ইসুর কাছে গিয়ে ওর চোখ এক হাতে ধরল।
ইসুঃ আরে আরে চোখ চাপলা কেন ছাড়ো।
ঈশানঃ এক মিনিট চোখ অফ রাখোতো।
ইসুঃ কেন।
ঈশানঃ উফ এত্ত প্রশ্ন করো কেন।করতে বলছি করোনা।
ইসুঃ ওকে করতেছি তবে শুধু এক মিনিট।
ঈশানঃ ওকে ওকে করো তো আগে।
হুম বলে ইসু চোখ অফ করল।ঈশান হাটু গেড়ে বসে হাগে একটা রিং নিয়ে বলল এবার চোখ খোল।
ইসু চোখ মেলে তাকালে দেখতে পেল ঈশান তার সামনে হাটু গেড়ে বসে আছে রিং নিয়ে।
ঈশানঃ তোমাকে ভাল ভাবে প্রপোজ করনি শুধু বলেছি ভালবাসি।আজ বলতেছি তুমি আমার হৃদয়ের মোহনা।নিঝুম রাতের জোছনা।একলা হাটার সঙ্গী বৃষ্টি তে পা মেলানোর সাথী ভালবাসি তোমায় অনেক ভালবাসি।হবে কি এই হৃদয়ের রাণী হবে কি আমার বাবা মায়ের সন্তানের জীবন সঙ্গীনী হবে কি আমার নান্টু মন্টুর মা।
ইসু ঈশানের প্রপোজ দেখে কয়েক ফোটা পানি গড়িয়ে পড়ল চোখ থেকে।পানি মুছে ঈশানের দিকে হাত বাড়িয়ে বলল আমি হতে চাই তোমার সব কিছু আমি রাজি।
ঈশান রিং টা ইসুর রিং পিঙ্গারে পরিয়ে দিল।দাড়িয়ে ইসুকে জড়িয়ে ধরল। ইসুর কপালে ঠোঁটের পরশ একে দিল।শুরু হল নতুন এক ভালবাসার।সত্যি কারের ভালবাসা কখনো হারাবার নয় সেটা ওদের দেখে আবার প্রমান পেল জাতি।🤣
🌺🌺
কয়েকদিন পর,,,
পিউ ঘুম তখনো।তার ফোনের রিংটোনে চোখ খুললো পিউ।জান নাম টা দেখে রিসিভ করে বলতে লাগল।
পিউঃ জান আজ না তোমার আসার কথা।বের হয়ে গেছ কি।
ওপারের উত্তর শুনে পিউর মুখের কথা অফ হয়ে গেল।চিৎকার করে মাকে ডাকতে লাগল।কয়েক বার মাকে ডেকে হুঁশ হারালো পিউ।
মা এসে দেখে পিউ বেহুশ অবস্থায় নিচে পরে আছে।ওনি ভয় পেয়ে যান এভানে মেয়ের অবস্থা দেখে।তাড়াতাড়ি ওর বাবাকে ডাক দিল বাবা এসে পিউকে খাটে তুলে পানি এনে ঝাঁপটা মেরে হুশ আনল পিউর।পিউ নিবু নিবু চোখ মেলে বাবা মাকে দেখে কান্না করে বলতে লাগল।
পিউঃ বাবা আরিয়ান,,,,, আরিয়ান
বাবাঃকি হয়েছে মা এমন করছিস কেন আরিয়ান কি।
পিউঃ বাবা ফোন ফোন এসেছিল।
বাবাঃ আচ্ছা তুই শান্ত হ আমি ফোন দেখতেছি।বাবা ফোন টা তুলে আরিয়ান এর নাম্বারে কল দিল।ওপাশের কথা শুনে ওনার চোখ কপালে তাড়াতাড়ি ঠিকানা নিয়ে চলে গেল সেখানে।পিউ ও যাবার জন্য অনেক বায়না ধরেছে তাই ওকেও সঙ্গে নিয়ে চলল ঠিকানার উদ্দেশ্যে।
চলবে,,,,,,,,,,,,,,