Revenge,পর্ব ০৬,০৭

#Revenge,পর্ব ০৬,০৭
#Tisha_Khan_Nabila
০৬
·
·
ডক্টর নিহান আহমেদ অবাক হলেন খুব। উনি ওখান থেকে গিয়ে হসপিটালের আরেক ডক্টর। মিস্টার রতনের কাছে গিয়ে বললো..!!

——কে এই সম্রাট খাঁন আয়াশ??

রতন তাচ্ছিল্য হেসে বললো..!!

——এই হসপিটালে আছেন। আর সম্রাট খাঁন আয়াশ কে চেনেন না??

নিহানঃ আমি আজকেই জয়েন হলাম তাই। আর এসব কি ডক্টর?? হসপিটালে পুল পার্টি করছে। আর আপনারা কিছু বলছেন না কেন??

রতনঃ কি যে বলেন না আপনি?? জলে থেকে কুমিরের সাথে লড়বো নাকি??

নিহানঃ মানে??

রতনঃ ওইযে দেখছেন ছেলেটা কে। ডক্টর সম্রাট খাঁন আয়াশ। এই হসপিটাল ওনার কথাতেই চলে। বিজনেস টাইকুন রায়হান খাঁনের ছেলে। ১সপ্তাহ আগেই লন্ডন থেকে এসেছে। এসেই সবাই কে তার জায়গা বুঝিয়ে দিয়েছে। আর হসপিটালে ইয়োং মেয়ে ডক্টর। আর নার্সরা তো আয়াশ বলতে পাগল। তা তো দেখতেই পাচ্ছেন আর তাছাড়া। আরো একটা কথা এই ছেলেটা। ভীষন রাগী আর ভীষন জেদী সো সাবধান। আর আপনি কি হসপিটালের নাম দেখেননি??

নিহানঃ হ্যা দেখেছি তো না দেখে এসেছি নাকি?? “এস কে এ” হসপিটাল..!!

এবার নিহানের টনক নড়লো। উনি চুপ হয়ে গেলো আবার তাকালো পুলের দিকে। এতক্ষণে আয়াশ কে দেখলো উনি। আয়াশের বুকেও ট্যাটু করা বাট বোঝা যাচ্ছেনা কি লেখা। কারন বুকে ব্যান্ডেজ করার সব ঝোলানো। মেয়েরা চারপাশে ঘুরঘুর করছে..!!

আয়াশঃ হেই চেন্জ মিউজিক..!!

রায়াঃ বেবী তোমার বুকে কি লেখা??

আয়াশঃ অবভিয়েসলি নাম বেবস..!!

রায়াঃ বাট কার নাম??

আয়াশঃ দ্যাটস নন অফ ইউআর বিজনেস। এন্ড এরকম স্টুপিডের মতো কথা কেন বলো?? বুক আমার নাম কি অন্যকারো থাকবে??

বলে ব্যান্ডেজগুলো একটু সরালো। রায়া দেখলো সত্যিই আয়াশ লেখা। ততক্ষণে আয়াশ অন্য সাইডে চলে গিয়েছে। একটা মেয়ে এসে ঢং করে বললো..!!

——হেই চকলেট বয় আই ডক্টর এম ফারিন। ক্যান আই ডান্স উইথ ইউ??

আয়াশ ঠোট কামড়ে চোখ মেরে। মেয়েটার কোমর ধরে টান দিয়ে। নিজের সাথে মিশিয়ে বললো..!!

——ইয়া সিওর বেবী..!!

মিউজিক ভলিউম আরো বাড়িয়ে দিলো। সবাই ডান্স করছে যেন কোনো ক্লাব। তখনি সেখানে উপস্থিত হলো। এউ হসপিটালের নিউ ডক্টর। ডক্টর আলো আলো গিয়েই মিউজিক অফ করে দিলো। হঠাৎ মিউজিক অফ হওয়ায়। আয়াশ রেগে আগুন হয়ে গেলো। হাতে থাকা থার্মোমিটার আর ড্রিংকের বোতল। এক আছাড় দিয়ে ফেলে চেচিয়ে বললো..!!

——হোয়াট দ্যা হেল ইজ দিস?? মিউজিক কেন অফ হলো??

সবাই কেঁপে উঠলো সাথে আলো ও। আলো কাঁপা কাঁপা গলায় বললো..!!

——আ আমি অফ করেছি..!!

সিংহের মতো পেছনে তাকালো আয়াশ। পেছনে তাকিয়ে আলো কে দেখে অবাক হলো। আর সবাই হো হো করে হেসে দিলো। আয়াশ রাগী কন্ঠে বললো..!!

——হোয়াটস ইউআর নেম??

আলো আমতা আমতা করে জবাব দিলো..!!

——আই এম ডক্টর আ আলো। আ আলো আ আমার নাম..!!

সবাই এবার জোরে হেসে দিলো। আর আয়াশ ও হেসে দিয়ে বললো..!!

——লাইক সিরিয়াসলি আলো?? এরকম কালো ফেসে নামটা যায় না রাইট গাইস??

সবাই একসাথে বললো..!!

——রাইট..!!

আলো অতিরিক্ত কালো একটা মেয়ে। তাই সবাই হাসাহাসি করছে। আলোর চোখ ছলছল করছে..!!

আয়াশঃ তারথেকে তোমার নাম কালো?? সো মিস কালো তোমার সাহস কি করে হলো?? মিউজিক অফ করলে কার পারমিশন নিয়ে??

আলোঃ এটা হসপিটাল এখানে পার্টি করা ঠিক না..!!

আয়াশঃ জাস্ট সাট আপ ডু ইউ নো হু আই এম?? আমার পার্টির মিউজিক অফ করো। আমার মুখে মুখে তর্ক করো তুমি জানো?? এই মুহূর্তে তোমাকে বের করে দিতে পারি?? আর এমন সিস্টেম করবো ডক্টরী করতে হবে না লাইফে আর..!!

আলো ভয় পেয়ে গেলো..!!

আয়াশঃ জাস্ট গেট আউট..!!

চিৎকার করে বললো আয়াশ। আলো ভয় পেয়ে চলে গেলো। মনটা খুব খারাপ হয়ে গেলো আলোর। জানতো ওর কথা শুনবে না আয়াশ। তবুও চেষ্টা করে দেখতে চেয়েছিলো। বাট অপমানিত হয়ে ফিরে আসতে হলো। আয়াশ ইচ্ছেমতো পার্টি করে এরপর এলো। এসে নিজের কেবিনে গিয়ে কালো জিন্স প্যান্ট। আর কালো শার্ট পড়ে বেরিয়ে এলো। বেরিয়ে আসতেই ডক্টট রতন এসে বললো..!!

——ডক্টর আয়াশ..!!

আয়াশ ভ্রু কুঁচকে তাকালো। ডক্টর রতন ভয় পেয়ে বললো..!!

——মানে স্যার একটা ওটি আছে..!!

আয়াশঃ সো হোয়াট ক্যান আই ডু??

রতনঃ স্যার এটা একমাএ আপনি করতে পারবেন। আর সবাই আপনার কথা বলেছে। অপারেশনটা মারাত্মক রিস্কি স্যার প্লিজ চলুন..!!

আয়াশঃ আই কান্ট বিকজ আমার ডেট আছে। এন্ড আই এম অলরেডি লেট সো বাই..!!






বলে ড্রিংক করতে করতেই বের হলো। ডক্টর রতন হতাশ হয়ে বসে পড়লো। তখন সেখানে আলো এলো এসে বললো..!!

——ডক্টর আঙ্কেল..!!

ডক্টর রতন তাকিয়ে বললো..!!

——আলো তুমি??

আলোঃ আঙ্কেল আপনারা চাইলে। আমি করবো এই অপারেশন..!!

রতনঃ কি বলছো আলো তুমি?? তুমি পারবে না আয়াশ স্যার যেমনই হোক। যত খারাপ রাগী আর জেদী হোক। আমরা সবাই জানি হি ইজ দ্যা বেস্ট ডক্টর। আর তাই সবাই ইনফ্যাক্ট পেশেন্টের বাড়ির লোক চায়। এই অপারেশন আয়াশ স্যার করুক..!!

আলোঃ বাট আঙ্কেল স্যার তো চলে গেলো..!!

রতনঃ হ্যা তাই তো উনি চলে গেলো..!!

আলোঃ আমাকে করতে দিন প্লিজ..!!

রতনঃ বাট আলো..!!

আলোঃ প্লিজ আঙ্কেল আই উইল ট্রাই মাই বেস্ট..!!

ডক্টর রতন দেখলো আলো খুব। কনফিডেন্স নিয়ে কথাগুলো বলছে। তাই উনি পারমিশন দিলো আলো কে। আলো থ্যাংক ইউ বলে নিজের কেবিনে গেলো। এরপর রেডি হয়ে কয়েকজন কে নিয়ে। ওই লোকটার অপারেশন করতে লাগলো..!!

আয়াশ গাড়ি নিয়ে চলে এলো। একটা হোটেলের সামনে এসে দাড় করালো গাড়ি। গাড়ি থেকে নামতেই একটা মেয়ে এলো। আয়াশ মেয়েটা কে নিয়ে ভেতরে চলে গেলো। আয়াশের বাবা দুর থেকে ছেলের এই অধঃপতন দেখে ফেললো। উনি বাড়ি চলে গেলো বাড়ি গিয়ে সোফায় বসে পড়লো। তখন সেখানে ওনার ওয়াইফ মিসেস রাইমা খাঁন এলো..!!

রাইমা খাঁনঃ কি হয়েছে তোমার?? শরীর খারাপ লাগছে??

রায়হান খাঁনঃ আমার ছেলেটা নষ্ট হয়ে গিয়েছে রাইমা। এক ছেলে কে তো হারিয়েছি। আরেক ছেলেও সারাদিন বাইরে থাকে। যা ইচ্ছে তাই করে বেরায়। আজতো আমি নিজে ওকে দেখলাম..!!

রাইমা খাঁনঃ কি দেখেছো তুমি??

রায়হান খাঁন সবটা বললো রাইমা খাঁন কে। উনিও হতাশ হলো খুব। রায়হান খাঁন কে শান্ত হতে বললো..!!

আলো অপারেশন করে বের হলো..!!

রতনঃ আলো কি হলো??

আলোঃ আমি পেরেছি আঙ্কেল..!!

সবাই খুব খুশী হলো। আলো কালো বলে অনেকে হাসাহাসি করে। কিন্তুু সবাই তো আর করে না। কারন তারা জানে ফেসই সবকিছু না। মানুষের আসল প্রতিভা তার কাজে। তার ব্যবহারে তার মনুষ্যত্ব..!!

রাত ১১টায় আয়াশ বাড়ি গেলো। বাড়ি যেতেই রায়হান খাঁন। আয়াশ কে ঠাস করে এক থাপ্পর মারলো। আয়াশ যেহেতু এখন আগের থেকে রাগী জেদী হয়ে গিয়েছে। তাই থাপ্পরটা ওর হজম হলো না চেচিয়ে বললো..!!

——পাপা..!!

রায়হান খাঁন অবাক আয়াশ কে দেখে..!!

আয়াশঃ তুমি আমাকে কেন থাপ্পর মারলে বলো??

রায়হান খাঁনঃ তুমি যা করেছো তোমাকে তো..!!

আয়াশ মিনি টেবিলটা। একটা লাথি মেরে ভেঙে ফেললো। এরপর ফোস ফোস করতে করতে বললো..!!

——আমার লাইফ আমার ইচ্ছে। আমার যা ইচ্ছে করবো তোমার কি??
·
·
·
চলবে……..

#Revenge (পর্ব ০৭)
#Tisha_Khan_Nabila
·
·
·
আয়াশ মিনি টেবিলটা একটা লাথি মেরে ভেঙে ফেললো। এরপর রাগে ফোস ফোস করতে করতে বললো..!!

——আমার লাইফ আমি যা ইচ্ছে করবো। তাতে তোমার কি হ্যা??

রায়হান খাঁন যেন হতবাক হয়ে গেলো। ছেলের এত অধঃপতন দেখে..!!

আয়াশঃ নেক্সট টাইম আমার গায়ে। হাত তোলা তো থাক দুরে। আমাকে ধমক দেয়ার ও ট্রাই করবে না..!!

বলে হনহন করে রুমে চলে গেলো। রুমে এসেই ঠাস করে শুয়ে পড়লো। যেমন ছিলো তেমন শার্টের বোতাম খোলা। চুলগুলো উস্কো খুস্কো হয়ে আছে। এদিকে রায়হান খাঁন ধপ করে বসে পড়লো। রাইমা খাঁন ওনাকে কোনোরকম বুঝিয়ে। ঔষুধ খাইয়ে ঘুমিয়ে থাকতে বললো। সকালে আয়াশ ঘুম থেকে উঠে। আয়নার সামনে গিয়ে নিজেকে দেখে বললো..!!

——ওহ গড হোয়াট আই হ্যাব ডান?? এরকমই ঘুমিয়ে ছিলাম?? আমি যে কি করি না ড্যাম ইট। অবশ্য আয়াশ কোনো ভুল করে না। আয়াশ যা করে সেটাই ঠিক..!!

বলে ওয়াসরুমে চলে গেলো। শাওয়ার নিয়ে এসে ডার্ক ব্লু কালার শার্ট পড়লো। ব্লাক জিন্স প্যান্ট হাতে ব্লু কালার ব্রান্ডের ঘড়ি। চোখে ব্লাক সাইন গ্লাস শার্টের উপরে। ব্লাক জ্যাকেট পড়ে গলায় একটা চেইন নিলো। চেইনের সাথে একটা গিটার ঝোলানো। গিটারটা হোয়াইট কালার ছোট। মাঝে কিছু লেখা পাশ দিয়ে ডায়মন্ড বসানো। বাট ওখানে আরো একটা পার্ট আছে। যেটা খুললেই বোঝা যায় ওখানে কিছু লেখা। আয়াশ গাড়ির চাবি নিয়ে বেরিয়ে গেলো। গাড়ি স্টার্ট দিয়ে সোজা হসপিটালে চলে এলো। হসপিটালে এসে নিজের কেবিনে ঢুকতেই। একটা বয়স্ক লোক এসে বললো..!!

——আমাকে একটু দেখো বাবা..!!

আয়াশ ভ্রু কুঁচকে তাকালো..!!

লোকটাঃ কয়েকদিন হলো ঠিকমত ঘুমাতে পারিনা..!!

আয়াশঃ তো আমি কি করবো??

লোকটাঃ তুমি তো ডক্টর বাবা। আমার খুব শ্বাস কষ্ট হয়। বুকে প্রচুর ব্যথা করে সহ্য করতে পারিনা। আমি গরীব মানুষ ভেবেছিলাম সেরে যাবে। কিন্তুু যত দিন যায় ব্যথা বাড়ে তাই আজ এলাম..!!

আয়াশঃ ইয়া সো?? আমি কি করবো হ্যা?? এন্ড কার পারমিশন নিয়ে এসেছেন এখানে??

লোকটাঃ এমন করছো কেন বাবা??

আয়াশঃ এই জাস্ট সাট আপ। কে আপনার বাবা?? ইউ থার্ড ক্লাস পিপল আউট..!!

চেচিয়ে বললো আয়াশ লোকটা ভয়ে বললো..!!

——তুমি ডক্টর তাই এসেছি..!!

আয়াশঃ আমি পেশেন্ট তখনি দেখি। যখন আমার ইচ্ছে হয় গট ইট?? রতন, আরে এই রতনের বাচ্চা..!!

আয়াশের চিৎকার শুনে ডক্টর রতন এসে বললো..!!

——কি হয়েছে স্যার??

আয়াশঃ এই লোকটাকে বের করো রাইট নাউ..!!

রতনঃ কিন্তুু স্যার..!!

আয়াশঃ তুমি বের করবে?? নাকি আমি ঘাড় ধরে বের করবো??

রতন লোকটাকে বাইরে নিয়ে এলো..!!

লোকটাঃ উনি কি ডক্টর নাকি আর কিছু??

রতনঃ কিছু মনে করবেন না চাচা। স্যার একটু রাগী তাই..!!

লোকটাঃ ছিঃ ছিঃ এ কেমন ডক্টর??

লোকটা বেরিয়ে চলে গেলো। আয়াশ ফোস ফোস করতে করতে বেরিয়ে গেলো। আলো রতনের কথা শুনলো বাট কিছু বুঝলো না। তাই রতনের কাছে এসে বললো..!!

——কি হয়েছে আঙ্কেল??

রতন আলো কে সবটা বললো..!!

আলোঃ আঙ্কেল উনি এমন কেন??

রতনঃ উনি এমনি রে মা বাদ দাও..!!

রতন চলে যাওয়ার পর। আলো ও নিজের কেবিনে গেলো। আলো সব পেশেন্টদের সাথেই সুন্দর ব্যাবহার করে..!!






২০মিনিট পর আয়াশ আবার এলো। কেবিনে গিয়ে দেখলো একটা মেয়ে বসা। মেয়েটা একটা জিন্স প্যান্ট পড়া। আর টাইট ফিটিং গেন্জি শরীরের সবই বোঝা যাচ্ছে। আয়াশ গিয়ে নিজের জায়গায় বসে বললো..!!

——কি প্রবলেম??

মেয়েটাঃ প্রবলেম তো অনেক..!!

আয়াশঃ সেটাই জানতে চাইছি..!!

মেয়েটা উঠে দাড়ালো। এরপর আয়াশের পিছনে গিয়ে। আয়াশের গলায় হাত বুলাতে বুলাতে বললো..!!

——সামনে এত হ্যান্ডসাম, হট বয় থাকলে। পেশেন্টতো সব ভুলে যাবেই ডক্টর আয়াশ..!!

আয়াশ বাঁকা হেসে উঠে দাড়ালো। মেয়েটার কোমর ধরে কাছে টেনে এনে বললো..!!

——তুমিও কি ভুলে গিয়েছো??

মেয়েটাঃ ইয়েস বেবী তোমাকে দেখলে। এই মীরা সব ভুলে যায় ইউ নো??

আয়াশঃ মনে করিয়ে দেই??

বলে চোখ মারলো, মীরা চোখ বন্ধ করে বললো..!!

——আমিও তাই চাই বেবী..!!

আলো এখান দিয়েই যাচ্ছিলো। কোনো একটা দরকারে আয়াশের কেবিনে আসে। এসেই আলো অবাক শকড হয়ে যায়। মীরা আয়াশের জ্যাকেট খামচে ধরে আছে। আর আয়াশ মীরার কোমর। বোঝা যাচ্ছে লিপকিস করছে আলো বেরিয়ে গেলো। তাড়াতাড়ি যেতে গিয়ে একটা মেয়ের সাথে ধাক্কা লাগলো..!!

আলোঃ আই এম সরি আমি দেখিনি..!!

মেয়েটাঃ ইটস ওকে এনি প্রবলেম??

আলোঃ একচুয়েলি আমি..!!

মেয়েটিঃ বলতে পারেন নো প্রবলেম..!!

আলোঃ আয়াশ স্যার একটা মেয়ের সাথে। বাট মেয়েটাতো স্যারের পেশেন্ট বললো..!!

মেয়েটা তাচ্ছিল্য হেসে বললো..!!

——এটাই স্যারের কাজ..!!

আলোঃ মানে??

মেয়েটাঃ তারআগে পরিচিত হওয়া যাক??

আলোঃ সিওর..!!

মেয়েটাঃ আমি ডক্টর রুপ..!!

আলোঃ আমি ডক্টর আলো। এবার বলুন তো এটা কেন বললেন?? যে এটাই স্যারের কাজ..!!

রুপঃ এককথায় আয়াশ স্যার মেয়েবাজ..!!

আলো যা বোঝার বুঝে গেলো। রুপ আর আলো কতক্ষণ কথা বললো। হঠাৎই দেখলো মীরা মেয়েটা হাসতে হাসতে বের হচ্ছে। আয়াশের কেবিন থেকে বের হয়ে। ঠোটে লিপস্টিক দিলো এরপর হেসে চলে গেলো। আলো অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে..!!

রুপঃ এটা কিছুইনা..!!

আলোঃ মানে??

রুপঃ আয়াশ স্যার রোজ ডেট করে..!!

আলোঃ আচ্ছা স্যার কি ম্যারিড??

রুপঃ তুমি জানোনা??

আলোঃ না আমিতো নতুন..!!

রুপঃ হ্যা স্যার ম্যারিড..!!

আলোঃ হোয়াট?? তাহলে ওনার ওয়াইফ কিছু বলে না কেন??

রুপঃ ওনার ওয়াইফ থাকলে তো বলবে..!!

আলোঃ বুঝলাম না ঠিক উনি ম্যারিড বললে। আবার বলছো ওয়াইফ থাকলে তো বলবে..!!

রুপঃ স্যারের ওয়াইফ ৫বছর আগে মারা গিয়েছে..!!

আলোঃ ওহ সো স্যাড..!!

রুপঃ স্যাড না স্যারের জন্য গুড নিউস..!!

আলোঃ কেন??

রুপঃ স্যারের ওয়াইফ আমার বেস্ট ফ্রেন্ড ছিলো। ওর নাম ছিলো নাবিলা পাহাড় থেকে পড়ে মারা গিয়েছে। বাট আমি জানি এটা খুন..!!

আলোঃ কি বলছো টা কি??

রুপঃ আর সেটাও স্যার করেছে..!!

——তাই নাকি??

আয়াশের কথা শুনে পেছনে তাকালো। আলো আর রুপ দুজনেই ভয় পেয়ে গেলো। আয়াশ অগ্নিদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে..!!

আয়াশঃ কি প্রুফ আছে তোমার কাছে?? যে তোমার বেস্ট ফ্রেন্ড কে আমি খুন করেছি??






রুপ কিছু বলবে তারআগে রায়া এসে বললো..!!

——বেবী তুমি জানো গতকাল কি হয়েছে??

আয়াশঃ না বললে কি করে জানবো??

রায়াঃ তোমার কাছে কাল যে পেশেন্ট এসেছিলো। আই মিন চেয়েছিলো তুমি অপারেশন করো। তুমি যাওয়ার পর তোমার পারমিশন না নিয়ে। এই কালো মেয়েটা তার অপারেশন করেছে। আর হসপিটালে সবাই বলছে সি ইজ বেস্ট ডক্টর। ভাবতে পারছো তোমার জায়গা নিতে চাইছে..!!

একেতো আয়াশের মেজাজ বিগরে ছিলো। রায়ার কথা আগুনে ঘি ঢালার মতো কাজে দিলো। আয়াশ গিয়ে ঠাস ঠাস করে আলো কে দুটো থাপ্পর মারলো। হসপিটালের সবাই তাকিয়ে আছে। আর আলো গালে হাত দিয়ে দাড়িয়ে আছে। আয়াশ চেচিয়ে বলে উঠলো..!!

——হাউ ডেয়ার ইউ?? আমার জায়গা নিতে এসেছো??

আলোঃ স্যার আমিতো..!!

আয়াশঃ জাস্ট সাট আপ স্টুপিড। আমার পারমিশন ছাড়া কেন করেছো অপারেশন?? লিসেন আয়াশ ইজ বেস্ট ডক্টর। ইয়েস আই এম দ্যা বেস্ট। নো অন ক্যান বেটার দ্যান মি আন্ডারস্ট্যান্ড??

বলে ফোস ফোস করতে করতে চলে গেলো। রায়া ও হাসতে হাসতে আয়াশের পিছনে গেলো। আলো চোখ মুছে বাইরে চলে এলো। বাইরে এসে অবাক হয়ে বললো..!!

——বাবা তুমি??

ছোট ছোট পায়ে একটা ছেলে হেটে এলো। এসেই আলোর জামা ধরে বললো..!!

——ইয়েস মাম্মা..!!

আলো ছেলেটা কে কোলে নিলো। ফর্সা গায়ের রং কালো সিল্কি চুল মাথায়। ঠোটগুলো গোলাপী মুখে মিষ্টি হাসি কিউটের ডিব্বা। ছেলেটার বয়স ৪ বছর..!!

আলোঃ তুমি কার সাথে এসেছো??

ছেলেটা মিষ্টি হেসে বললো..!!

——পাপার সাথে..!!

আলোঃ কোথায় তোমার পাপা??

তখনি একটা ছেলে বলে উঠলো..!!

——আলো প্লিজ কাম হারি আপ..!!

আলোঃ আসছি মিস্টার..!!

আলো নিজের ছেলে কে নিয়ে। গাড়িতে উঠে বসলো..!!
·
·
চলবে………

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here