Revenge,পর্ব ১৪,১৫

#Revenge,পর্ব ১৪,১৫
#Tisha_Khan_Nabila
১৪
·
·
মাহি অস্পষ্ট ভাবে বললো..!!

——মিমিমিশান..!!

মিশান স্টেজ থেকে নেমে। সবার একদম সামনে এলো। আয়াশ মিশান কে জড়িয়ে ধরে বললো..!!

——মিশান তুই ভাল হয়ে গিয়েছিস??

মিশানঃ ইয়েস ব্রো আর কতদিন শুয়ে থাকবো??

নাবিলাঃ মিশান জিজু..!!

মিশানঃ হেই কিউটি হাউ আর ইউ??

নাবিলাঃ তোমার কি হয়েছিলো বলো তো?? প্রথমে শুনলাম তুমি মারা গিয়েছো। এরপর সেদিন দেখলাম রুমে শুয়ে আছো..!!

মিশানঃ অনেকে চেয়েছিলো আমি মরে যাই। বাট আল্লাহ হয়তো চায়নি তাই বেঁচে আছি..!!

মাহির দিকে তাকিয়ে বললো। মাহি ধীর পায়ে এগিয়ে এসে বললো..!!

——তুমি বেঁচে আছো??

মিশানঃ কেন তোমার ভাল লাগছে না?? অবশ্য তুমি তো চাওনি আমি বেঁচে থাকি..!!

আবিরঃ এসব কি বলছো তুমি??

আয়াশঃ মিশান ঠিকই বলছে ভাইয়া..!!

আবিরঃ মাহি কেন চাইবে না??

মিশানঃ তো মিস মাহি ওপস মিসেস মাহি। তোমার অলোক কেমন আছে বলো??

নাবিলাঃ জিজু তুমি কি বলছো??

মিশানঃ তোমার ভুল হচ্ছে আমি তোমার জিজু না..!!

রাইমা খাঁনঃ মিশান..!!

মিশানঃ মম ডোন্ট ক্রাই ওকে??

কনিকা চৌধুরীঃ এসব কি হচ্ছে বলবে কেউ??

নাবিলাঃ আয়াশ তুমি সবটা জানো রাইট??

আয়াশঃ হামমম জানি বাট বলবো না..!!

মিশান মনে মনে বললো..!!

——সরি কিউটি তোমাকে কিছু বলতে পারবো না..!!






নাবিলাঃ বাট হোয়াই??

মিশানঃ সেই টাইম এখনো আসেনি..!!

অংশ ছোট ছোট পায়ে হেটে এসে। মিশানের সুট ধরে টানছে। মিশান মিষ্টি হেসে অংশ কে কোলে নিলো..!!

মিশানঃ হেই চ্যাম্প হোয়াটস আপ??

নাবিলা ভ্রু কুঁচকে তাকালো..!!

অংশঃ হু আর ইউ??

মিশানঃ আমি তো মিশান, বাট তুমি কে??

অংশঃ আমি অংশ..!!

মিশানঃ আই নো তুমি অংশ..!!

নাবিলাঃ তুমি কি করে জানো??

মিশানঃ আরে আজকে জেনেছি..!!

কনিকা চৌধুরীঃ তুমি তো মারা গিয়েছিলে। তাহলে বাঁচলে কি করে??

মিশানঃ ওইযে বললাম আল্লাহ চেয়েছিলো। আর বাকীটা ধীরে ধীরে জেনে যাবেন..!!

বলে অংশ কে কোলে নিয়ে। উপরে চলে গেলো মাহি তাকিয়ে আছে..!!

মাহিঃ কোনদিন ও চাইনি তোমার ক্ষতি হোক। তাইতো তোমাকে দুরে সরিয়ে দিয়েছিলাম। যাতে তুমি ভাল থাকো মিশান কিন্তুু তুমি তো। নিজের ক্ষতি করে ফেললে কিন্তুু তুমি। এই ৬বছর কোথায় ছিলে??

মনে মনে বললো মাহি। সবটা কেমন ধোয়াসা লাগছে ওর। যেন কোনো কিছুর কুল কিনারা পাচ্ছেনা..!!
·
·
·
চলবে………..

#Revenge (পর্ব ১৫)
#Tisha_Khan_Nabila
·
·
·
মাহি আনমনে কথাগুলো ভাবছে। তখনি নাবিলা এসে বললো..!!

——-কি ভাবছো আপু??

মাহিঃ না রে কিছুনা..!!

নাবিলাঃ তোমাদের মাঝে কি হয়েছিলো??

এরকম প্রশ্নে মাহি হচকিচয়ে বললো..!!

——-কি হবে??কিছু হয়নি তো..!!

নাবিলাঃ তাহলে মিশান জিজু কেন বললো??তাকে আর জিজু না বলতে..!!

মাহিঃ বলতে বারন করেছে বলিস না..!!

বলে মাহি বেরিয়ে গেলো। নাবিলা অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে..!!

নাবিলাঃ কি এমন হতে পারে??

আয়াশ এসে বললো..!!

——-আমি বলছি সবটা..!!

নাবিলাঃ তুমি জানো সব??

আয়াশঃ জানতে চাওনা মিষ্টি?? কেন আমি তোমার উপর টর্চার করতাম??

নাবিলা চোখ মুখ শক্ত করে বললো..!!

——-না জানতে চাইনা..!!

বলে যেতে গেলেই আয়াশ বললো..!!

——-কিন্তুু এটা জানলেই সবটা জানতে পারবে..!!

ওমনি নাবিলা দাড়িয়ে গেলো….আয়াশের দিকে তাকিয়ে বলে উঠলো..!!

——-মানে??

আয়াশঃ চলো আমার সাথে..!!

নাবিলাঃ কিন্তুু অংশ??

আয়াশঃ অংশ মিশানের কাছে আছে..!!

আয়াশ নাবিলা কে নিজের রুমে নিয়ে এসে….দরজা আটকে একটা দীর্ঘশ্বাস নিয়ে বলতে শুরু করলো..!!

——-তুমি মিশান কে জিজু বললে। তারমানে মিশান আর মাহির রিলেশন ছিলো। এটা তুমিও জানো রাইট??

নাবিলাঃ হামমমমম জানি এরপর। হঠাৎ করেই একদিন দুপুর থেকে। মাহি আপুকে অন্যরকম লাগতো। মনে হতো কোনো টেনশনে থাকে। আর এরপর একদিন কেঁদে বাড়িতে গেলো। আর গিয়ে বললো বাংলাদেশে থাকতে চায়না। আমরা চেষ্টা করেও আটকাতে পারিনি..!!

আয়াশঃ কেন চলে গিয়েছিলো জানো??

নাবিলাঃ না কেন??

আয়াশঃ তোমার বোন মিশান কে ঠকিয়েছিলো..!!

নাবিলাঃ হোয়াট??

আয়াশঃ আর ওর জন্য আমি তোমাকে ভুল বুঝেছিলাম..!!

নাবিলাঃ এসব কি বলছো??

আয়াশঃ হ্যা মিষ্টি ৬বছর আগে। একদিন রাতে মিশান বেরিয়ে যায়। আর যাওয়ার আগে বলে যায়। আরসাল চৌধুরী’র মেয়ে কে তুই শাস্তি দিবি ব্রো। আমি ওর কথা বুঝতে পারিনি তখন। অনেক রাত হওয়ার পরও যখন ও বাড়ি ফিরলো না। তখন ওর রুমে চলে যাই আমি। ওর ডাইরিতে লেখা ছিলো। হোয়াইট ক্যাট কে আমি ভীষন ভালবাসি। কিন্তুু ও আমাকে ঠকালো অলোকের জন্য। ও আমাকে অনেক কষ্ট দিয়েছে। আরেকটা পেজে লেখা ছিলো। এটা আমার লাস্ট লেখা হতে পারে। আরসাল চৌধুরীর মেয়ে কে তুই ক্ষমা করবি না ব্রো। ও আমার জীবনটা নরক করে দিয়েছে। এই নরকে আমি থাকতে পারবো না। তাই আমি সারাজীবনের মতো চলে যাচ্ছি..!!

নাবিলাঃ মাহি আপু জিজু কে ঠকিয়েছে??

আয়াশঃ এটাই লেখা ছিলো আর আমি। তোমাকে ওর করা শাস্তি দিয়ে বসি। কারন আমার জানামতে তুমি আরসাল চৌধুরীর মেয়ে। মাহি কে যে সবাই আঙ্কেলের মেয়ে ভাবে। সেটা আমি জানতাম না আর না তো কখনো। আমি মিশানের হোয়াইট ক্যাট কে দেখেছিলাম। আমি ভেবেছিলাম তোমার কথাই মিশান বলেছে। তাই দিনের পর দিন আমি তোমার সাথে অন্যায় করেছি। সবটাই একটা ভুল বোঝাবোঝি মিষ্টি। মিশান কে অনেক ভালবাসি। সেদিন রাতে যখন শুনলাম মিশান নেই। তখন দুনিয়াটা থমকে গিয়েছিলো। মিশানের বলে যাওয়া কথাগুলো মাথায় আসছিলো বারবার। আর ওই কথাগুলো একটা কথা আমাকে শিখিয়েছে। যে আমার রিভেন্জ নিতে হবে নিতেই হবে। আর তাই তোমার সাথে লাভ গেম খেলতে শুরু করি। বাট আমি তোমাকে ভালবেসে ফেলি। তোমাকে বিয়ে করার পর ভেবেছি। তোমাকে আমি মেনে নেবো সব ভুলে যাবো। কিন্তুু ওই কথাগুলো মাথায় আসতো শুধু। আর তোমাকে কষ্ট দিয়ে ফেলতাম আমি। কিন্তুু তোমাকে মেরে ফেলতে চাইনি। আমি জানিনা এটা কি করে করলাম আমি??






মিশান স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে। আস্তে আস্তে রুমে এসে বললো..!!

——-ব্রো তুমি আমার জন্য। কিউটি কে শাস্তি দিয়েছো?? সেটাও বিনা অপরাধে??

আয়াশঃ আমি খুব বড় ভুল করেছি। আমার প্রথমেই সব খোজ নেয়া উচিত ছিলো। কিন্তুু আমি স্টুপিডের মতো সেটা করিনি। রিভেন্জ নেয়ার চক্করে অন্ধ হয়ে গিয়েছিলাম..!!

মিশানঃ সব দোষ আমার। আমি যদি তোমাকে না বলতাম। যে আরসাল চৌধুরীর মেয়ে কে ক্ষমা করো না। তাহলে এসব কিছুই হতো না..!!

নাবিলাঃ জিজু তুমি কোথায় ছিলে??

মিশানঃ প্যারিস..!!

নাবিলাঃ কিহহহহ??

মিশানঃ হামমমম প্যারিস ছিলাম। সেদিন শুধু আমার না। আরো একটা গাড়ির এক্সিডেন্ট হয়েছিলো। যার স্পট ডেথ হয়েছিলো ওই গাড়ি। এন্ড আমার গাড়ি সেম ব্রান্ডের ছিলো। এমনকি ড্রেসও সেম ছিলো কারন ও আমার ফ্রেন্ড ছিলো..!!

আয়াশ শকড হয়ে বললো..!!

——তোর কোন ফ্রেন্ড??

মিশানঃ ওকে তোরা চিনিস না ব্রো। ও প্যারিস থেকে বাংলাদেশে এসেছিলো। ওর পরিবারও এসেছিলো ওর পরিবার আমাকে নিয়ে যায়। আর তোরা আমাকে ভেবে ওকে কবর দিয়েছিলি। কারন ওর মুখটা থেতলে গিয়েছিলো। সেন্স আসার পর আমার কিছু মনে ছিলো না। আমার ফ্রেন্ডের নাম ছিলো জেইন। আর সেদিন সেন্স আসার পর। আমি কাউকে চিনতে পারিনি। ওনারা বলে আমি নাকি জেইন। আমার মেমোরি লস ছিলো তাই বিলিভ করে নেই। ওনারাই আমাকে ওনাদের ছেলের মত করে রেখেছে। ২মাস আগে আমার সবটা মনে পড়ে। কিন্তুু তখন আমি আসিনি ওনাদের জন্য। ওনারা খুব কান্নাকাটি করছিলো। এরপর যখন আসি। রাস্তায় আবার এক্সিডেন্ট হয়। তবুও আমি এখানে এসে পৌছাই..!!

নাবিলার খটকা লাগলো তাই বললো..!!

——-সেদিন কি তুমি ইচ্ছে করে। তোমার এক্সিডেন্ট করিয়েছিলে??

মিশানঃ চেয়েছিলাম করতে। বাট তার আগেই ব্রেক ফেল হয়ে যায়..!!

নাবিলাঃ বারবার এক্সিডেন্ট কি কাকতালীয়??

আয়াশঃ এক্জাটলি আমারও তাই মনে হচ্ছে..!!

মিশানঃ ইউ মিন কেউ ইচ্ছে করে..!!

নাবিলাঃ রাইট ইচ্ছে করে কেউ। আমাদের সবার ক্ষতি করতে চাইছে। আমি জানিনা আয়াশ তুমি কতটা সত্যি বলছো। যে তুমি আমাকে সেদিন ইচ্ছে করে ফেলে দাওনি। তুমি কেন ফেলে দিলে তুমি জানোনা এটা বলছো। আমি যদি খুব ভুল না হই। আর তুমি যদি সত্যি না জেনে থাকো। তাহলে আমি বলবো তোমাকে সেদিন ড্রাগস দেয়া হয়েছিলো। এবার আমাদের বের করতে হবে কে সে?? বাট তোমাকে কিন্তুু আমি ক্ষমা করবো না। শাস্তি তোমার পেতে হবে এটা শিওর থাকো..!!

বলে বেরিয়ে চলে গেলো। আয়াশ অসহায় মুখ করে আছে। এদিকে কেউ একজন বলছে..!!

*না আমার এত বছরের প্লান। এভাবে বিফলে যেতে পারেনা। এভাবে সবাই কে ইউস করে। শেষে কি না সবাই হাতছাড়া হয়ে যাবে?? নো ওয়ে, এটা আমি হতে দেবো না..!!
·
·
·
চলবে……..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here