# EX গার্লফ্রেন্ড যখন ইংলিশ ম্যাম 💖,পর্বঃ৩,৪,৫
# লেখকঃ Sahid Hasan Sahi
# পর্বঃ ৩য়
ক্লাস করার পরে তিনজন মিলে ক্যান্টিনে গিয়ে নাস্তা করতেছি এমন সময় মেয়েটি মানে আমার ক্রাশ আসলো😜😜😜
এসে সোজায় আমার পাশে বসলো, আমার হাত পা কাঁপতে শুয়ে করে দিয়েছে।আসলে মেয়েদের প্রতি আমার এলার্জি আছে,, কাছে থাকলেই কেমন জানি ভয় ভয় লাগে🙃🙃🙃
যাইহোক, মেয়েটি কে আমার পাশে বসতে দেখে রাফি আর সিফাত অন্য টেবিলে বসলো।
আমার হাত কাঁপছে দেখে মেয়েটি বললঃ এই যে,মশাই কাপতেছো কেন???
আমিঃ কই নাতো,,,(সত্যি টা বললে মন সম্মান আর থাকবে না)
মেয়েটিঃ বাই দা ওয়ে,, তোমার নাম কি?
আমিঃ সাহিদ হাসান সাহি। আপনার?
মেয়েটিঃ সামিয়া জাহান।
আমিঃ আহা কি নামরে যেমন চেহারা তেমন নাম।আবার ক্রাশ খেলাম,,(বিড়বিড় করে)
সামিয়াঃ কিছু বললে।
আমিঃ কইইই ন নাতো।
সামিয়াঃ তোমার নাম্বার দেও।
আমিঃহোয়াট,,, আমি কেন আপনার মতো ডাইনিকে নাম্বার দিতে যাবো। আমাকে কি ঐ রকম ছেলে মনে হয়,,।( ভাব নিয়ে)
সামিয়াঃ কি বললি,😠😠😠😠
আমিঃকইই কিছু না।এই নিন নাম্বার,০১৭৬৪৪৯****
( এহেরে ভাব নিতে যাইয়ে একটু বেশি রাগাইয়া ফেলেছি,,)
সামিয়াঃ আর শোন কোন মেয়ের সাথে কথা বলবি না এবং চোখ তুলে তাকাবি না।
আমিঃ ঠিক আছে আপু।
সামিয়াঃ আপু বলে ডাকবি না।বুঝলি??
আমিঃ তাহলে কি বলবো।
সামিয়াঃ নাম ধরে ডাকবি।
আমিঃ ঠিক আছে।
সামিয়া কে বিদায় দিয়ে রাফি দের টেবিলে দেখি ওরা দুজন নাই,,
আমি বিল দিতে চাইলে বলল, সামিয়া নাকি দিয়ে গেছে।
ক্যাম্পাসের বকুল গাছের নিচে দেখি ওরা দুজন বসে আছে।
ওদের কাছে যাতেই রাফি বললঃ মামা এতো দেরী হলো কেন?
আমি ওদের কে সব কিছু বললাম।
সিফাতঃ মামা সামিয়া আপি মনে হয় তোকে ভালোবাসে।
আমিঃ তাই যেন হয় মামা দোয়া কর।
ওদের সাথে কিছুক্ষণ আড্ডা দেওয়ার পর বাসায় আসলাম।
রোটিং অনুযায়ী আবার সন্ধ্যায় আম্মু ঘুম থেকে জাগিয়ে দিলো।
ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করে একটু ঘুরাঘুরি করতেই আজান দিলো।
নামাজ পড়ে বাসায় এসে পড়তে বসলাম।রাতে ডিনার করে ঘুমাতে যাবো এমন সময় ফোনটা বেজে উঠলো।
দেখি অপরিচিত নাম্বার থেকে ফোন এসেছে। প্রথমে ধরলাম না।পরে আবার দিলো ধরলাম না।
আবার দিলো এবার ধরলাম,,,
আমিঃ আসসালামুয়ালাইকুম।কে বলতেছেন?
অপরিচিতঃ ওয়ালাইকুমুস সালাম। আমি সামিয়া।
আমিঃ এতো রাতে কি জন্য ফোন দিয়েছেন?
সামিয়াঃ কথা বলার জন্য।
আমিঃ আজব তো, আমি এই প্রশ্ন করলাম,।
সামিয়াঃ ওসব বাদ দাও। ডিনার করেছো?
আমিঃ হ্যাঁ। আপনি করেছেন?
সামিয়াঃ হুমম।
এভাবে কিছুক্ষণ কথা বলে রাখে দিলাম।
পরের দিন ক্যাম্পাসে বসে তিনজন মিলে আড্ডা দিচ্ছিলাম এমন সময় একটা মেয়ে এসে বললো,,,,,
(চলবে,,)
#EX গার্লফ্রেন্ড যখন ইংলিশ ম্যাম 💖
#লেখকঃ Sahid Hasan Sahi
#পর্বঃ ৪র্থ
তিনজন মিলে আড্ডা দিচ্ছিলাম এমন সময় একটা মেয়ে এসে জিজ্ঞাসা করলোঃ ভাইয়া অনার্স ফার্স্ট ইয়ারের রুম কোনটি?
আমিঃ তুমি নতুন নাকি?
মেয়েটিঃ হ্যাঁ।
রাফিঃ আমরাও সেম ইয়ার।
মেয়েটিঃ তাহলে কি আমি আপনাদের বন্ধু হতে পারি।না মানে আমি এখানে নতুন তেমন কেউ পরিচিত নেই।
আমিঃ ঠিক আছে। কিন্তু তুই করে বলতে হবে।
মেয়েটিঃ আচ্ছা।
আমিঃ তোর নাম কি?
মেয়েটিঃ মিম। তোদের?
আমিঃ আমি সাহিদ হাসান সাহি।
রাফিঃ আমি রাফি।
সিফাতঃ আমি সিফাত।
মিমঃ ক্লাসে যাবি না।
আমিঃ হুমম চল।
ক্লাস শেষে বসে থেকে চারজন বসে আড্ডা দিচ্ছিলাম তখন সামিয়া আমার দিকে রাগি ভাবে তাকিয়ে চলে গেল।
আমি তো ভয় পেয়ে গেলাম।
যাইহোক, আড্ডা দিয়ে বাসায় গেলাম। রাতে ঘুমানোর সময় ফেসবুক লগইন করলাম।
একটু পরে সামিয়া ফোন দিলো,,
আমিঃ আসসালামুয়ালাইকুম।আপু কেমন আছেন?
সামিয়াঃ ওয়ালাইকুমুস সালাম। ওই আমি তোর কোন কালের আপু লাগি। আমাকে আর আপু ডাকি না😡😡😡😡 ( একদম রেগে)
আমিঃ ঠিক আছে।কি করতেছেন?
সামিয়াঃ বয়ফ্রেন্ডের সাথে কথা বলতেছি (অস্পষ্ট কর)
আমিঃ কীছু বললেন?
সামিয়াঃ কিছু না। ডিনার করেছো?
আমিঃ হ্যাঁ। আপনি করেছেন?
সামিয়াঃ হ্যাঁ।
কথা বলার পর ঘুমিয়ে গেলাম। সকালে ঘুম থেকে উঠে কলেজে গেলাম।
দেখি ওরা তিনজন বসে আছে। আমিও মিমের পাশে বসলাম।
চারজন মিলে কথা বলতেছি আর হাসাহাসি করতেছি।
ঠিক তখনি,কোথা থেকে সামিয়া এসে আমার শার্টের কলার ধরে টেনে নির্জনে নিয়ে গেল। আমি স্পষ্ট দেখতে পেলাম রাগে সামিয়ার চোখ লাল হয়ে গেছে।
সামিয়াঃ বল তোর এতো কেন মেয়ের সঙ্গে কথা।কই আমার সাথে তো হেঁসে হেঁসে কথা বলিস না😠😠😠
আমিঃ আপনি আমার কে যে আপনার সাথে কথা বলতে হবে।
সামিয়ার মুখ নিমিষেই মলিন হয়ে গেল।
সামিয়াঃ তুমি কি কিছুই বোঝ না।( করুন সুরে)
আমিঃ না বললে কী ভাবে বুঝবো।
সামিয়াঃ দেখো, আমি তোমাকে আমি স্পষ্ট ভাবে বলতেছি, তোমাকে অন্য কোন মেয়ের পাশে দেখলে আমার সহ্য হয়না। তোমাকে অন্য মেয়ের পাশে দেখলে আমার মনে হারানোর ভয় থাকে। এসবের কারণ কি জানো? কারণ টা হলো, আমি তোমাকে ভালবাসি। ( এক নিঃশ্বাসে)
আমিঃ এতো দেখছি মেঘ না চাইতেই বৃষ্টি 😏😏😏।,(মনে মনে)
আমিঃ কবে থেকে আমাকে ভালবাসেন?
সামিয়াঃ মনে আছে, একদিন তুমি একটা এতিম খানায় গিয়েছিলে বাচ্চাদের খাবার আর পোশাক দিতে। আমি কোন সেখানে গিয়েছিলাম।
তোমার এই কাজ আমার খুবই ভালো লাগে।তারপর ম্যানেজারের কাছে থেকে জানতে পারি চুমু এখানে নিয়মিত আসো।তখন থেকেই তোমাকে নিয়ে ভাবতে থাকি।
তার কয়েক দিন পরে তোমাকে দেখি, একটা ভিক্ষুকে রেস্টুরেন্টে নিয়ে যাইয়ে লাঞ্চ করাতে। তারপর থেকে তোমার প্রতি আমার ভাবনা কে আরো গভীর করে তুলেছে।আর আস্তে আস্তে এই ভাবনা টাই ভালোবাসা য় পরিণত হয়েছে।আর যখন জানতে পারলাম যে এই কলেজেই তুমি ভর্তি হয়েছো।তখন,,,
(চলবে,)
# EX গার্লফ্রেন্ড যখন ইংলিশ ম্যাম 💖
# লেখকঃ Sahid Hasan Sahi
# পর্বঃ ৫ম
সামিয়াঃ আমি যখন জানতে পারলাম তুমি এই কলেজেই ভর্তি হয়েছো,তখন যে আমি কি পরিমাণ খুশি হয়েছিলাম তা তোমাকে বোঝাতে পারবোনা। প্লিজ তুমি আমাকে ফিরিয়ে দিয়ো না।( লক্ষ্য করলাম সামিয়ার চোখের কোনে পানি এসেছে)
আমি ওর চোখের পানি মুছে দিয়ে বললামঃ আমিও যে ভালোবাসি আমার সিনিয়র ক্রাশকে।
সামিয়াঃ সত্যি।আই লাভ ইউ।
বলেই জড়িয়ে ধরলো।
আমিও জড়িয়ে ধরে বললামঃ আই লাভ ইউ টু।
সামিয়া জড়িয়ে ধরে কান্না করতেছে।
আমিঃ এই পাগলি কান্না করতেছেন কেন?
সামিয়াঃ কখনো ছেড়ে যাবে না তো।
আমিঃ যাবো না।আল্লাহ ছাড়া কেউ আমাদের আলাদা করতে পারবে না।
দুজন জড়িয়ে ধরে কথা বলতেছি। হঠাৎ করে কে যেন গলা ঝাড়া দিলো। পিছনে ফিরে দেখি রাফি আর সিফাত দাঁড়িয়ে আছে।
আমি আর সামিয়া ওদের দেখে সাথে সাথে ছেড়ে দিয়ে মাথা নিচু করে আছি।
রাফিঃ হয়েছে থাক আপনাকে আর লজ্জা পেতে হবেনা স্যার।
সিফাতঃ আমরা তোর জন্য কতো চিন্তা করেছিলাম।আর তুই এখানে। কর মামা কর সমস্যা নেই।
রাফিঃ ভাবি আমাদের বন্ধু টাকে দেখে রাখেন।
সামিয়াঃ সেটা আর তোমাদের বলতে হবে না।
সিফাতঃ আচ্ছা। কিরে দোস্ত তুই আজকে ক্লাস করবি।
আমিঃ না আজকে আর ক্লাস করব না। ঘুরতে যাব।
রাফি ও সিফাতঃ ঠিক আছে যা।
ওরা চলে গেল।আর আমি সামিয়া কে বললামঃ চলেন পার্কে যাই।
সামিয়াঃ এখনো কি আপনি করে বলবে? তুমি করে বলবা।
আমিঃ ঠিক আছে চলো।
সামিয়া কে নিয়ে একটা পার্কে আসলাম। কোনদিন কোনো মেয়ে সাথে আসিনি। নিজেকে কেমন কেমন মনে হচ্ছে।
যাইহোক, সামিয়া কে নিয়ে অনেক ঘুরলাম।ওকে ওর বাসায় রেখে আমিও আমার বাসায় আসলাম।
রাতে শুয়ে আছি তখন সামিয়া ফোন দিলো।ওর সাথে কথা বলে ঘুমিয়ে গেলাম।
লেখাপড়া করা, আড্ডা দেওয়া, সামিয়া কে ঘোরাফেরা করা এভাবে চলে গেল একবছর। সামিয়া আর আমার ভালোবাসা টা অনেক গভীর হয়েছে।
আমাদের সম্পর্ক টা আমাদের বাবা মা জেনে গেছে।
আগামীকাল থেকে আমার ইয়ার চেন্জ পরিক্ষা।
আল্লাহর রহমতে এক একে সব পরিক্ষা ভালো ভাবেই দিয়েছি।
আজকে আমার রেজাল্ট দিয়েছে। আমি ফার্স্ট হয়েছি।
আর সামিয়া ওদের ডিপার্টমেন্টে ফার্স্ট হয়েছে।
এজন্য আমাদের বাসায় সকলেই খুশি। তাদের কথা যাইহোক, লেখাপড়া ঠিকমতো হচ্ছে তো।
আরেকটা কথা, আমাদের রিলেশনের কথা কলেজের কেউ জানে না। শুধু আমার আর সামিয়ার বান্ধুরা জানে।
আজকে আমার কলেজে আসতে একটু দেরি হয়ে গেছে।
কলেজে ঢুকতেই আমার মাথায় রক্ত উঠে গেলো। কেননা, কলেজের মাঠে,,,,,
(চলবে)